Tag: jagannath dev

jagannath dev

  • Puri Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    Puri Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভক্তদের বিশ্বাস জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) দুর্মূল্য রত্নরাজি আগলে রেখেছেন নাগ দেবতা। তা স্পর্শ করা সহজ সাধ্য নয়। ৪৬ বছর পর রবিবার, সেই রত্নভান্ডার (Ratna Bhandar) খোলা হয়েছিল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারকে ঘিরে মানুষের কৌতূহল দীর্ঘদিনের। ভান্ডারে বৈদুর্যমণি, নীলকণ্ঠমণি-সহ অসংখ্য মূল্যবান রত্ন রয়েছে বলে দাবি পাণ্ডাদের। উল্টো রথের আগের দিন মাহেন্দ্রক্ষণে সেই রত্নভান্ডারে প্রবেশ করে ওড়িশা সরকারের তৈরি ১১ জন প্রতিনিধির একটি দল। রত্নভান্ডারের অন্ধকার কক্ষে কী রয়েছে তার ধারণা দিল সেই দল।

    কী জানা গেল (Puri Jagannath Temple)

    রাজ্য সরকারের তৈরি ওই প্রতিনিধি দলের সভাপতি ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ  জানান, ‘‘রত্নভান্ডারে যে দলটি প্রবেশ করেছিল, তাতে সাত থেকে আট জন মন্দির কমিটির সদস্যও ছিলেন। বহুদা যাত্রা শুরু হয়েছে বলে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। সে কারণে আমরা ভালো করে খতিয়ে দেখার এবং সব রত্ন সরানোর সময় পাইনি। বিগ্রহের অলঙ্কার, রত্ন সরানোর জন্য অন্য একটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এত বছর পর যখন জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার খোলা হল সেই সময় কোনও সাপ ওখানে ছিল না। এমনকী কোনও পোকামাকড় বা অন্য কোনও সরীসৃপও পাওয়া যায়নি ওখানে।’’ 

    কী আছে রত্ন রত্নভান্ডারে (Ratna Bhandar) 

    মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, রত্নভান্ডারের দুটি ভাগ, বাহির ভান্ডার ও ভিতর ভান্ডার। জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) যা কিছু আভূষণ থাকে বাহির ভান্ডারে। আর ভিতর ভান্ডারে থাকে মূল্যবান সামগ্রী, অলঙ্কার। বছরে ১৫ দিন বাহির ভান্ডার খোলা হয়, বন্ধ থাকে ৩৫০ দিন। বহু বছর খোলা হয়নি ভিতর ভান্ডার। শোনা যায়, রত্নভান্ডারে রয়েছে অসংখ্য কাঠের সিন্দুক। সেগুলির উচ্চতা ৩ ফুট, লম্বায় ৯ ফুট। ১৯৭৮ সালের অডিট অনুযায়ী, রত্নভান্ডারে রয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ রকমের অলঙ্কার। যার মধ্যে ৪৫৪ ধরনের খাঁটি সোনার অলঙ্কার রয়েছে। কিছু কিছু অলঙ্কারের ওজন এক কেজির বেশি। মোট সোনার অলঙ্কারের ওজন ১২ হাজার ৮৮৩ ভরি। আছে ২৯৩ রকমের রুপোর গয়না, যেগুলির ওজন ২২ হাজার ১৫৩ ভরি। 

    আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩ বর্ষ পূর্তি! নতুন এক ইতিহাস রচনা ভারতের

    অলঙ্কার রয়েছে মন্দির চত্বরেই (Puri Jagannath Temple)

    শ্রী জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) প্রশাসন (এসজেটিএ)-এর প্রধান অরবনিন্দা পাঢ়ি জানিয়েছেন, বাইরের রত্নকক্ষের (Ratna Bhandar) চাবি রাখা ছিল পুরীর রাজা গজপতি মহারাজের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘তাঁর থেকে চাবি নিয়েই বাইরের রত্নকক্ষে প্রবেশ করেছি আমরা।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে থাকা অলঙ্কার মন্দির চত্বরেই ‘অস্থায়ী স্ট্রং রুম’-এ রাখা হয়েছে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে ভিতরের কক্ষে প্রবেশের জন্য ভাঙা হয় তালা। ওড়িশার বিজেপি সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছায় ওড়িয়া অস্মিতার পরিচয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন ওড়িশাবাসী। এর আগে মানুষের ইচ্ছায় জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খোলা হয়েছিল। ৪৬ বছর পর রত্নভান্ডারের দরজা খোলা হল। মানুষ যা চায়, তাই করতে বদ্ধ পরিকর সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra: জগন্নাথ দেবের পাশেই মদনগোপাল জিউ, মহিষাদল রাজবাড়ির রথে ভক্তের ঢল

    Rath Yatra: জগন্নাথ দেবের পাশেই মদনগোপাল জিউ, মহিষাদল রাজবাড়ির রথে ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরী, মাহেশের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের রাজবাড়ির রথও (Mahishadal Rath Yatra) ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই কম সুপ্রাচীন নয়। এই বছর মহিষাদলের রথ পড়ল ২৪৭ বছরে। মহিষাদলের রাজবাড়ির রথের বিশেষত্ব হল, এই রথে জগন্নাথদেবের পাশাপাশি ওঠেন রাজবাড়ির কুলদেবতা মদনগোপাল জিউ। রথকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরে মেলা চলে মহিষাদলে। প্রচুর ভক্ত সমাগমে পরিপূর্ণ আজকের এই রথের মেলা।

    ইতিহাসে রথযাত্রা

    রথের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে আসে পুরী, মাহেশের রথের (Mahishadal Rath Yatra) কথা। কিন্তু জানেন কি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথও ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। ইতিহাস ঘাঁটলে অন্তত তেমনই জানা যায়। এই রথ আজও একই রকম ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। মহিষাদল রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই রথের যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য এই রাজ পরিবার থেকেই ১৭৩৮ সালে রাজা হন যুবরাজ আনন্দলাল উপাধ্যায়। তিনি ৩১ বছর রাজত্ব করার পরে মারা গেলে, তাঁর স্ত্রী রানী জানকী জগন্নাথ পূজা এবং রথের দায়িত্ব নেন। তিনিই ১৭৭৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা শুরু করেন।

    কেমন হয় রথযাত্রা

    সেই সময় এই রথে (Mahishadal Rath Yatra) ১৭টি চূড়া ছিল। চাকার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট। এই রথ তৈরিতে সে সময় খরচ হয়েছিল ৬৪ হাজার টাকা। পরে এই রথের চূড়া কমিয়ে ১৩টি করা হয়। ২০১৭ সালে এই রথকে আরেক বার নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। তখনও খরচ হয়েছিল প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। এক মাস ধরে এই রথের মেলা চলে মহিষাদলে। রাজ পরিবার ও মহিষাদল সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলায় হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। এই মেলায় বিভিন্ন শিল্পীরা ভিড় করেন। নানা রকমের হস্তশিল্প থেকে খাওয়া দাওয়া সব মিলে একেবারে জমে ওঠে মহিষাদলের রথযাত্রা।

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও হাজার হাজার ভক্তের তীর্থধাম হয়ে ওঠে এই মহিষাদল। দুপুর তিনটের পর প্রথা মেনে রাজবাড়ির কোনও সদস্য রথের রশিতে টান দেওয়ার পর সেই রথ টানা শুরু হয়। মহিষাদল রথতলা থেকে গুন্ডিচাবাটি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিমি রথে করে জগন্নাথদেব গিয়ে থাকেন মাসির বাড়িতে। সাত দিন মাসির বাড়িতে থেকে আবার ফিরে আসেন উল্টো রথে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share