Tag: Jagdeep Dhankhar

Jagdeep Dhankhar

  • Jagdeep Dhankhar: “ভারত এমন দেশ নয়, যাকে অন্যের উপদেশ নিতে হবে”, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: “ভারত এমন দেশ নয়, যাকে অন্যের উপদেশ নিতে হবে”, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের বিচারব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ়। এর মধ্য স্বচ্ছতা রয়েছে। এই ব্যবস্থা স্বাধীনও।” কথাগুলি বললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছে আমেরিকা, জার্মানি এবং রাষ্ট্রসংঘ। এই আবহে ধনখড়ের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     কী বললেন ধনখড়?

    বার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধনখড় বলেন, “পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের বিচারব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী।” জাতীয়তাবাদের প্রতি দেশবাসীকে দায়বদ্ধ হওয়ার পরামর্শও এদিনের অনুষ্ঠানে দেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বলেন, “আমরা এমন কোনও দেশ নয়, যাদের অন্যের কাছ থেকে উপদেশ নিতে হবে। যুব সমাজ যাতে বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্লাটফর্মে সরব হয়, সেই পরামর্শও দেন উপরাষ্ট্রপতি।” যেসব দেশ অজ্ঞানতাবশত ভারত সম্পর্কে মন্তব্য করছে, তাদের কাছে এ দেশের মহিমা প্রচার করার বার্তাও দেন ধনখড়।

    ভারতের বিচারব্যবস্থা

    ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি বলেন, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। এ দেশের বিচারব্যবস্থা দাঁড়িয়ে রয়েছে শক্ত ভিতের ওপর। এই ব্যবস্থা কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে আপোস করতে পারে না। আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে আমাদের, যাতে করে দেশ বিরোধী শক্তি মিথ্যে প্রচার করতে না পারে। দেশে যে গণতন্ত্র রয়েছে, তাকেও আগলে রাখতে হবে আমাদের।”

    আরও পড়ুুন: এবার উপগ্রহের মাধ্যমে দেশে টোল সংগ্রহ হবে, জানালেন গড়করি

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা (কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার) তাদের (বিচারব্যবস্থার) কাজ। কিন্তু যদি একদল লোক যাদের না আছে রেজিস্ট্রেশন কিংবা তারা কোনও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দল কোনও রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করে, তাহলে আমরা কী করব? তাদের ধর্তব্যের মধ্যে আনার প্রয়োজন নেই। তাদের ট্রাকশান দেওয়া হয়েছে। আমাদের অবশ্যই এর ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।” প্রসঙ্গত, কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেই মন্তব্য ধেয়ে আসে আমেরিকা, জার্মানি এবং রাষ্ট্রসংঘের তরফে। তার প্রেক্ষিতে আমেরিকা ও জার্মানির ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের ডেকে সমঝে দেয় নয়াদিল্লি (Jagdeep Dhankhar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ জোটের রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। মঙ্গলবারই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছিলেন কল্যাণ। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এদিন রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএর ১০৯ জন সাংসদ।

    কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?

    ঘটনাচক্রে এদিন দিল্লিতেই ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের মিমিক্রির দায় যে তিনি নেবেন না, তা তাঁর বয়ানেই স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “ওই বিষয়টি (কল্যাণের মিমিক্রি)দেখার জন্য সাংসদরা রয়েছেন। যা বলার, তাঁরাই বলবেন। আমি ও আমার দলের সাংসদরা সবাইকে সম্মান করেন।” মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল (Kalyan Banerjees Mimicry) করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই কল্যাণকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ আখ্যা দিয়েছেন নেট নাগরিকরা।

    উপরাষ্ট্রপতির পাশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

    ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন ২০ বছর উনিও এরকম অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ধনখড়ের অপমান আদতে জাঠ সম্প্রদায়ের অপমান বলে মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায়ের ভাই ও বোনেদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাংলার মানুষও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত একজন সাংসদের অসম্মানজনক ও সম্পূর্ণ লজ্জাজনক আচরণে বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Kalyan Banerjees Mimicry) একজন কৃষকের পুত্র এবং সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। তিনি সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি, কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর শাসনকালে সাংবিধানিক মূল্যবোধ, নিয়ম ও নিয়মাবলী সমুন্নত রেখেছিলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস (যা পরিবার ভিত্তিক দল) সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি শুধুমাত্র ভারতের মাননীয় উপরাষ্ট্রপতিকে বিদ্রুপ করেননি। সাংসদ প্রাঙ্গনে যখন অন্য সাংসদরা নির্লজ্জভাবে হাতহাতি দিচ্ছেন এবং উল্লাস করছেন তখন তাঁকে নকল করা কাম্য নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জনগণ অবশ্যই এই কাজের জন্য সাংসদ ও তাঁর আঞ্চলিক পরিবারভিত্তিক দলকে শিক্ষা দেবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’। সোমবার ঠিক এ কথাই বলতে শোনা গেল উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) মতে, ‘‘মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা এনেছিলেন। সত্যাগ্রহ এবং অহিংসা নীতিকে সম্বল করে। অন্যদিকে ভারতের সফলতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদেরকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে আমরা সর্বদাই যেতে চেয়েছি।’’ প্রসঙ্গত জগদীপ ধনখড় সোমবার বক্তব্য রাখেন জৈন ধর্মের প্রচারক ও দার্শনিক শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজি জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে।

    মোদি ও গান্ধীর জীবনে রয়েছে আধ্যাত্মিকতার প্রতিফলন

    উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) এদিন শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজির জীবন ও দর্শন নিয়েও আলোকপাত করেন তাঁর বক্তব্যে। প্রসঙ্গত, জৈন ধর্মের অন্যতম প্রচারক শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজি ১৮৬৭ জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুজরাটে। ১৯০১ সালে তাঁর প্রয়াণ ঘটে। জৈন ধর্মের প্রচারক এবং মহাত্মা গান্ধীকে আধ্যাত্মিক দর্শনদানের জন্য তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুজনেরই জীবনে যে শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজির প্রভাব রয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি আরও জানান যে দুজনেরই জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে শ্রীমাদ রাজচন্দ্রজির দর্শন।

    নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন উপরাষ্ট্রপতি

    নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar)। তিনি বলেন যে কিছু শক্তি ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। তাদের সহ্য হচ্ছে না ভারতের এমন উন্নতি। উন্নয়নে বাধা দেওয়া এই শক্তিগুলি একত্রিত হয়েছে। যখনই দেশের ভাল কিছু হয় তখনই তারা বিরোধিতায় সামিল হয়। এটা হওয়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন যে আশেপাশে আপনারা যে সকল দেশগুলিকে দেখছেন তাদের ইতিহাস রয়েছে ৩০০ বছরের ৫০০ বছরের কী খুব বেশি হলে ৭০০ বছরের। কিন্তু ভারতবর্ষের ইতিহাস রয়েছে ৫ হাজার বছরের।

    ‘শ্রীমাদ রাজচন্দ্র মিশন ধরমপুর’ হল একটি বিশ্বব্যাপী মিশন। আধ্যাত্মিকতার দ্বারা সমাজ পরিবর্তনের কাজ করে এই মিশন। মিশনের আন্তর্জাতিক সদর দফতর রয়েছে গুজরাটে। মিশনের বেশ কতগুলো সৎসঙ্গ সেন্টারও রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রীমদ রাজচন্দ্রা ইয়ুথ গ্রুপস এবং শ্রীমৎ রাজচন্দ্রা ডিভাইন টাচ সেন্টার। জানা যায়, শ্রীমদ রাজচন্দ্রাজি এবং মহাত্মা গান্ধীর প্রথম দেখা হয়েছিল মুম্বইতে ১৮৯১ সালে। সে সময়ে ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরেছিলেন গান্ধী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: “সংবিধানেই রামরাজ্যের ধারণা নিশ্চিত করা হয়েছে”, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: “সংবিধানেই রামরাজ্যের ধারণা নিশ্চিত করা হয়েছে”, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধানেই রামরাজ্যের ধারণা নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধান প্রণেতারা সুচিন্তিতভাবে ভগবান রাম, লক্ষ্মণ এবং সীতার ছবি এঁকেছেন মৌলিক অধিকারের অধ্যায়ের শীর্ষে।” শনিবার কথাগুলি বললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এদিন রাজস্থানের জয়পুরে জাতীয় ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথি সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি।

    কী বললেন ধনখড়?

    সেখানে তিনি বলেন, “আমি ব্যথা অনুভব করি তখন, যখন দেখি কোনও অজ্ঞ লোক, যাঁর ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই, তিনি হলফনামা দিয়ে বলেন ভগবান রাম কাল্পনিক চরিত্র। আমাদের সংবিধানে ২০টিরও বেশি ছবি রয়েছে। এবং মৌলিক অধিকারের অংশে সবার ওপরে ভগবান রাম, লক্ষ্মণ ও সীতাদেবীর ছবি রয়েছে।” তিনি বলেন, “ভগবান রাম ও রামরাজ্য ভারতীয় সংবিধানে রয়েছে। এবং সংবিধান প্রণেতারা একে শীর্ষে স্থান দিয়েছেন।”

    সংবিধানে রামের ছবি

    উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে ধনখড় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। তিনি সংবিধান বিশেষজ্ঞও। ধনখড় বলেন, “যাঁরা ভগবান রামকে অশ্রদ্ধা করেন তাঁরা আসলে আমাদের সংবিধান প্রণেতাদের অশ্রদ্ধা করেন। এঁরা সুচিন্তিতভাবে ও বিচার-বিবেচনা করে সেখানে ভগবান রামের ছবি এঁকেছেন।” তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন, “আমাদের সমাজ তখনই স্বাস্থ্যবান থাকবে, যখন এর সব স্তর ঐক্যবদ্ধ থাকবে।…যাঁরা সমাজকে ভাগ করতে চান, দ্রুত রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশে সমাজে বিষ ছড়াতে চান, তাঁরা কেবল সমাজের শত্রু নন, তাঁরা এর মালিকও।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘রামের যারা বিরোধিতা করত, মোদি জমানায় তারাই ভজন শুরু করেছে’’, মন্তব্য রাজনাথের

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এই সব মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে তাদের সতর্ক করা প্রয়োজন।…তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে। এটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করার প্রয়োজন নেই, তবে সামাজিকভাবে করতে হবে।” রাজস্থানের নয়া সরকারের নেতৃত্বে উন্নয়নের কাজ দ্রুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন উপরাষ্ট্রপতি।

    প্রসঙ্গত, দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল রামকে কাল্পনিক চরিত্র বলে দাবি করেছে। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকেও। তবে কংগ্রেস এবং সিপিএমের তরফে কেউ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলেই খবর। এহেন প্রেক্ষিতে উপরাষ্ট্রপতির (Jagdeep Dhankhar) রামরাজ্য সংক্রান্ত মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস”, তৃণমূলের ডেরেককে বললেন ধনখড়

    Rajya Sabha: “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস”, তৃণমূলের ডেরেককে বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে শুক্রবারও মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। শোরগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে গিয়েছে লোকসভাও। এই দাবিতে এনিয়ে টানা ষষ্ঠ দিন মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের বাদল অধিবেশন। এই হট্টগোলের আবহেই লোকসভায় খনি ও খনিজ সম্পদ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিল সরকার।

    ধ্বনি ভোটে পাশ বিল

    খনি বিল পাশ হয় ধ্বনি ভোটে। ২০১৫ সাল থেকে এই বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। খনি বিলের পাশাপাশি এদিন লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে আরও দুটি বিল। একটি হল জাতীয় নার্সিং কমিশন বিল, অন্যটি জাতীয় ডেন্টাল কমিশন বিল। এদিন মুলতুবি হওয়ার আগে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় ও সাংসদ তৃণমূলের ডেরেক ও’ ব্রায়েন। ডেরেকের উদ্দেশে ধনখড়কে বলতে শোনা যায়, “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।” তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আমাকে এত বোঝানোর কোনও প্রয়োজন নেই।”

    হট্টগোলের সূত্রপাত 

    প্রসঙ্গত, মণিপুরে দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। তার পরেই মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। বাদল অধিবেশনের শুরুতেই ২৬৭ ধারায় মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিশ দিয়েছিল (Rajya Sabha) কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তবে তাতে রাজি হয়নি মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ২৬৭ ধারার পরিবর্তে আলোচনা চান ১৭৬ ধারায়।

    আরও পড়ুুন: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়ও জানিয়েছিলেন মণিপুর নিয়ে আলোচনা হতে কোনও আপত্তি নেই। তবে কোন ধারায় আলোচনা হবে, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। এ থেকেই শুরু বিতণ্ডার। এদিনও  নাগাড়ে ডেস্ক চাপড়াতে দেখা যায় তৃণমূলের ডেরেককে। তখনই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, ডেস্ক চাপড়ানো বন্ধ করুন। চেয়ারকে সম্মান করুন। তার পরেও ডেরেককে দমানো যায়নি। এমতাবস্থায় এদিনের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। শনি ও রবিবার বন্ধ থাকায় সংসদের অধিবেশন ফের হবে ৩১ জুলাই, সোমবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jagdeep Dhankhar: ‘সাংসদ পদের অবমাননা’, আপ সাংসদকে সাসপেন্ড, ধনখড় সতর্ক করলেন ডেরেককেও

    Jagdeep Dhankhar: ‘সাংসদ পদের অবমাননা’, আপ সাংসদকে সাসপেন্ড, ধনখড় সতর্ক করলেন ডেরেককেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সাংসদ পদের অবমাননা’! তাই পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য আম আদমি পার্টির (AAP) রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে সাসপেন্ড করলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে আজ, সোমবার বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও উত্তপ্ত ছিল সংসদ। এদিন রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সঞ্জয়। এর পরেই সাংসদ পদের অবমাননা করায় তাঁকে সাসপেন্ড করেন ধনখড়। ২৬৭ নম্বর ধারায় মণিপুর নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সতর্ক করে দেন সাংসদ তৃণমূলের ডেরেক ও’ ব্রায়েনকে।

    সাসপেন্ড সঞ্জয়

    এদিন মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সঞ্জয় সহ কয়েকজন সাংসদ। এজন্য সঞ্জয়কে একাধিকবার সতর্ক করে দেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তাঁকে তাঁর আসনে গিয়ে বসতেও অনুরোধ করা হয়। তার পরেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সঞ্জয়। এর পর রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়াল আপ সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় সেই প্রস্তাব। তার পরেই সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করা হয়।

    ধনখড়-ডেরেক বিতণ্ডা 

    এদিকে, এদিন ধনখড়ের সঙ্গে সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনের তুমুল বিতণ্ডা হয়। তার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। এদিন রাজ্যসভায় কী কী নোটিশ এসেছে, তার উল্লেখ করছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান (Jagdeep Dhankhar)। ১৭৬ এর অধীনে যেসব নোটিশ এসেছে, সেই নোটিশ নিয়ে বলার সময় সাংসদদের নাম বলেন ধনখড়।

    আর ২৬৭-র অধীনে যেসব নোটিশ এসেছিল, সেগুলি বলার সময় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান কেন সাংসদদের নাম উল্লেখ করলেন না, তা নিয়েই শুরু হয় বিতণ্ডা।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড়, ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ প্রধান হাইকোর্টের বিচারপতির

    এর পর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাংসদদের নাম বলতে শুরু করেন। তখন ডেরেক ফের ‘কোন দল? কোন দল?’ বলে চেঁচামেচি জুড়ে দেন।  ধনখড় তাঁকে বলেন, “আপনি বসুন। তারপর বলুন কী হয়েছে।” ডেরেক তা করতে অস্বীকার করেন। এরপরেও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে বলতে শোনা যায়, “ডেরেক ও’ ব্রায়েন আপনি দয়া করে বসুন। আপনি কিন্তু চেয়ারকে চ্যালেঞ্জ করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    Jagdeep Dhankhar: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনকে নিজের কাজ করতে দিতে হবে। যদি তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাউকে ডেকে পাঠায় তাহলে বিরোধিতা না করে সাহায্য করাই কর্তব্য বলে অভিমত বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankar)। রবিবার, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই কথা বলেন তিনি।

    ধনখড়ের অভিমত

    সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উপস্থিত পড়ুয়াদের আইন নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। সেই বক্তৃতার মাঝেই তিনি টেনে আনেন ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং সংসদের অচলাবস্থা প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘আইন সকলের জন্য সমান। কোনও পরিবার সেখানে বড় নয়। আইনের কাছে সকলকে জবাবদিহি করতে হবে। ভারতে এখন আইন সঠিক পথে চলছে। তাই যাঁরা আইন লঙ্ঘন করতেন, তাঁদের জন্য চাপের কারণ হয়েছে।’ পাশাপাশি ধনখড় বলেন, ‘আইন লঙ্ঘনকারীরা এখন চাপে পড়ে পথে নামছে। কিন্তু কেন তাদের পথে নামতে হচ্ছে সেটাই ভাবার বিষয়।’ এরপরই বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের সংযোজন, ‘কাউকে যদি কোনও এজেন্সি ডেকে পাঠায়, তবে গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে সেই ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত।’

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আজ এক বেলায় ৭৩টি পঞ্চায়েত ভোট মামলার শুনানি

    সংসদের অচলাবস্থা প্রসঙ্গে উপরাষ্ট্রপতি

    রবিবারের ওই বক্তৃতায় সংসদের অচলাবস্থার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। তিনি বলেন, ‘‘আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমেই জনগণের মঙ্গল করা সম্ভব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অচলাবস্থা তৈরি করে, কাজে বাধা সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের মন্দিরকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে। যে ভাবে দিনের পর দিন এই দু’টি বিষয়কে সুকৌশলে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করে গণতন্ত্রের মন্দিরকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে, তা দেখে আমি মর্মাহত।’’ ধনখড় একই সঙ্গে নিজের মতামত জানিয়ে বলেছেন, ‘‘কিছু শক্তি ক্ষতি করার মানসিকতা থেকেই উন্নয়নের এই পবিত্রভূমিকে কলঙ্কিত করতে চাইছে। আমি এ দেশের তরুণ প্রজন্মকে বলব এই ধরনের শক্তিকে তোমাদেরই সমূলে বিনাশ করতে হবে। আর আমি জানি তোমরা সেটা পারবে।’’  তরুণ প্রজন্মের ওপর ভরসা রেখেই এদিন বক্তব্য রাখেন ধনখড়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buckingham Palace: তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান! লন্ডন যাচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়

    Buckingham Palace: তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান! লন্ডন যাচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডন যাচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আগামী শুক্র এবং শনিবার ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে হাজির থাকবেন তিনি। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। অনেক মিল এবং পরিপূরকতা রয়েছে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থায়।’’

    কেমন হবে অনুষ্ঠান

    ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর  প্রয়াত হন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানির মৃত্যুর পরই ৭৩ বছর বয়সে রাজার গদি পান তৃতীয় চার্লস। রাজা হওয়ার ৮ মাস পরে, শনিবার রাজ্যাভিষেক হবে তৃতীয় চার্লসের। তাঁর রাজ্যাভিষেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশিষ্টজনদের। রাজ্যাভিষেকে আমন্ত্রণ পেয়েছে ভারতও। ব্রিটেনের রাজার শপথ গ্রহণে ভারতীয় সরকারের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সে দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘কুইন কনসর্ট’ ঘোষণা করা হবে চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলাকেও। প্রথামাফিক, ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকবেন আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবেরি।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘মোখা’ ! মে মাসেই কি ফের ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    বাকিংহামের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৬ মে প্রায় ২ হাজার বিদেশি অতিথির সমাগম হবে। অনুষ্ঠানের দৈর্ঘ্য এক ঘণ্টা। ১৯৫৩ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেকের অনুষ্ঠানের থেকে অনেকটাই ‘ছোট মাপের’ হবে চার্লসের রাজ্যাভিষেক। রানির অভিষেকের অনুষ্ঠানে ছিলেন ৮ হাজার বিদেশি অতিথি। অনুষ্ঠান চলেছিল ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যেও আমন্ত্রিত ছিল ভারত। সেই সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ব্রিটেনে গিয়েছিলেন এবং রানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জানিয়েছিলেন। এবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, আগামী ৫ ও ৬ তারিখ ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আগামী ৬ মে ব্রিটেনের রাজা হিসাবে তৃতীয় চার্লস ও কুইন কনসর্ট হিসাবে তাঁর স্ত্রী ক্যামিলা শপথ গ্রহণ করবেন। সেই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রিত ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন উপরাষ্ট্রপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। বুধবার বিবিসির (BBC) নাম না করে এই ভাষায়ই আক্রমণ করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ভুল তথ্য দিয়ে ভারতকে (India) খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। এ সবের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন ধনখড়।

    জগদীপ ধনখড়…

    এদিন নিজের বাসভবনে ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিসের কয়েকজন ট্রেনি অফিসারের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। সেখানেই পশ্চিমি সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে উগরে দেন এক রাশ ক্ষোভ। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, গত শতাব্দীতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছিল একজনের কাছে জনজীবন বিপর্যস্ত করে দেওয়ার মতো সমরাস্ত্র রয়েছে। কিন্তু পরে সেই দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। রাজনীতির কারবারিদের মতে, উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) আমেরিকা-ইরাক যুদ্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। ওই সময় আমেরিকা ও কিছু সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, ইরাকের তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান সাদ্দাম হুসেনের কাছে ভয়ঙ্করতম যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। যদিও পরে তা ভুল বলে প্রমাণিত হত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিকৃত তথ্য নিয়ে এ বার ভারতবাসীকে সতর্ক করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। ওই ট্রেনি অফিসারদের কিছুটা উপদেশ দেওয়ার মতো করেই ধনখড় বলেন, সংবিধান ও জাতীয়তাবাদকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: দেশের হাল বদলাতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে, জানেন কী কী?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক দু পর্বের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে ‘বিকৃত’ তথ্য তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতকে খাটো করতেই মিথ্যা ও অবমাননামূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এদিন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও (Jagdeep Dhankhar) বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share