Tag: jail

jail

  • Imran Khan: তিন মামলায় বেকসুর খালাস ইমরান খান, তবে ঘুচছে না বন্দিদশা

    Imran Khan: তিন মামলায় বেকসুর খালাস ইমরান খান, তবে ঘুচছে না বন্দিদশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বছর একাত্তরের ইমরান খান (Imran Khan)। সোমবার তাঁকে খালাস করে দেয় ইসালামাবাদ হাইকোর্ট। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও। তবে আদালতের এহেন নির্দেশের পরেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না তাঁরা। কারণ এখনও তাঁদের মাথার ওপর ঝুলছে একাধিক মামলার খাঁড়া।

    বেকসুর খালাস (Imran Khan)

    ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়া যায় ইমরানের। তার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হতে থাকে একের পর এক মামলা। গত অগাস্ট মাস থেকে (Imran Khan) পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান। এদিন যে তিনটি মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সাইফার মামলাও। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের ডিভিশন বেঞ্চ সাইফার মামলার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সংক্ষিপ্ত রায়ে সাজা বাতিল করে তাঁকে (Imran Khan) বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের এক বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    সাইফার মামলা

    উল্লেখ্য, পাক প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে একটি নথি আনেন তিনি। এনিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। ইমরান দাবি করেছিলেন, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা ‘সাইফার’ অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়। এই মামলাই সাইফার মামলা নামে খ্যাত।

    আর পড়ুন: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    এদিকে, ইসলামি শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে অভিযুক্ত করা হয়। আবার এদিনই ৯ মে দাঙ্গার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুরেশিকে।প্রসঙ্গত, তোষাখানা-সহ একশোটিরও বেশি মামলার খাঁড়া ঝুলছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মাথার ওপর (Imran Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Amit Shah: “এই তো শুরু…সবাইকে জেলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে’’, মমতাকে আক্রমণ শাহের

    Amit Shah: “এই তো শুরু…সবাইকে জেলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে’’, মমতাকে আক্রমণ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চমদফার নির্বাচনের আগে ফের ভোটের প্রচারে এসেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি এদিন বনগাঁয় নির্বাচনী সভা করেন। মতুয়া সমাজকে বিজেপির জন্য ভোট দানের কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের কোনও শক্তি নেই সিএএ আটকাতে পারবে না”। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এবার অমিত শাহ, মমতাকে ফের আক্রমণ করলেন।

    কী বললেন আমিত শাহ (Amit Shah)?

    নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রবীণ বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah) তৃণমূলকে একাধিক বিষয়ে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “আপনারা কেউ জীবনে একসঙ্গে ৫০ কোটি টাকা দেখেছেন। তৃণমূলের মন্ত্রীর কাছে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল, তাপস পাল অনেক নেতা কুলপতি হয়েছেন। কেউ চাকরি বিক্রি করেছেন আবার কেউ গরু পাচার করেছেন। রাজ্যের কয়লা, বালি, গরু পাচারকারী সকলকে জেলে যেতে হবে। সবাইকে জেলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলার জন্য কিছুই করেননি। অনুপ্রবেশকারী এবং দুর্নীতিগ্রস্থ লোকেদের জন্য কেবল কাজ করে গিয়েছেন। দিদি আপনি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও ইভিএম-ই ছিল।”

    আরও পড়ুনঃ জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে ঝাঁঝরা এক পাচারকারী

    আর কী বললেন?

    বনগাঁয় এদিন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে ভোট প্রচারে এসে অমিত শাহ(Amit Shah) বলেন, “সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। মতুয়ারা নাগরিকত্ব পাবেনই। কেউ আটকাতে পারবেননা। দিদি আপনার সময় শেষ হতে চলেছে। দেশের কোনও এমন শক্তি নেই যে সিএএকে আটকাতে পারবে। নিমন্ত্রণ করা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাননি। তাঁদের কাছে ভোটব্যাঙ্ক হল অনুপ্রবেশকারীরা। রামমন্দির নির্মাণে বড় বাধা দিয়েছিল কংগ্রেস, তৃণমূল, কমিউনিস্টরা। কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদি জী রামমন্দির নির্মাণ করেছেন। দেশে ইতিমধ্যে ৩৮০টি আসনের ভোট হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৭০টি আসনে মোদি জয়লাভ করেছেন। বাংলায় ৩০টি আসনএ জয়ী হবে বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

    Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore)  শিল্পাঞ্চলে অবাধে তোলাবাজি চালায় বিচারাধীন বন্দিরা। পুজোর আগে এইসব দাগি বিচারাধীন বন্দিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। জেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। জেলে থাকা বন্দিদের হাতে মোবাইল যাতে কোনওভাবেই না পৌঁছায় তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে তোলাবাজি! কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    কয়েক মাস আগেই বারাকপুর (Barrackpore) শহরের এক নামী বিরিয়ানি প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিককে স্করপিও গাড়ি চেয়েছিল এক দাগি বন্দি। জেলে বসেই বিচারাধীন বন্দি সেই টাকা চেয়েছিল। বিরিয়ানির মালিক থানায় অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে জানতে পারে জেলখানা থেকেই এই ফোন এসেছে। এর পাশাপাশি বারাকপুর-বারাসাত রোডের উপরে আরও এক বিরিয়ানির মালিকের কাছে মোটা টাকা চায় এক বিচারাধীন বন্দি। বিরিয়ানি মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে হুমকি দেয় ওই বন্দি। হুমকি দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বিরিয়ানির দোকানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দোকান লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বড় ব্যবসায়ী, প্রোমোটারের কাছ থেকেও তোলা দাবি করে এই সব দাগি অপরাধীরা। জেলে থেকেই চলে তোলাবাজির কারবার। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, জেলের ভিতরে বন্দিদের হাতে কী করে মোবাইল যায়? এর পিছনে জেল কর্তৃপক্ষের একাংশে হাত রয়েছে। জেলে বসেই বন্দিরা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অপরাধ জগৎ সামলাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কড়া না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। এই অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। জানা গিয়েছে, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বারাকপুর মহকুমা সংশোধনাগার ছাড়াও দমদম জেল রয়েছে। মূলত এই দুটি জেল থেকেই দাগি বিচারাধীন বন্দিরা ফোন করে তোলাবাজি চালায়। এই দুই জেল কর্তৃপক্ষকে দাগি অপরাধীদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য বলা হয়েছে।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, পুজোর আগে  জেল থেকে দাগি বিচারাধীন বন্দিরা তোলাবাজি করতে না পারে এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এই ধরনের কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। তাদের হাতে কোনও ভাবেই যাতে মোবাইল না যায়  তার নজরদারি করতে বলা হয়েছে। জেলে বসে কিভাবে তারা বাইরের। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Stall:  বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    Tea Stall: বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। চাঁপদানী ফাঁড়ির সামনে অর্জুন টি স্টলের (Tea Stall) মালিক বছর বাহাত্তরের অর্জুন রাজভর তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যে সময় মানুষ অবসর জীবন কাটান, সেই বয়সে দাঁড়িয়ে তিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।  ভোর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত তাঁর চায়ের দোকানে (Tea Stall)  ভিড় লেগে থাকে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর এই চায়ের দোকান।

    কীভাবে গড়ে উঠল এই অর্জুন টি স্টল? Tea Stall

    দোকানের মালিক  অর্জুনবাবুর বাড়ি  চাঁপদানীর ফেসুয়াবাজারে। এই দোকান তৈরি হয়েছে মাসখানেক আগে। তৈরি করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই চায়ের দোকানের (Tea Stall)  পিছনে রয়েছে এক লম্বা ইতিহাস। আসলে এই চায়ের দোকানের মধ্য দিয়েই এক জন যাবজ্জীবন কয়েদিকে তার মেয়াদ পূর্ন হবার পর নতুন ভাবে পথ চলার পথ খুলে দেন জেলা প্রবেশন অফিসার মনোজ রায়। অতীত আর মনে রাখতে চাননা অর্জুনবাবু। একসময় তিনি একটি কারখানার গাড়ির চালক হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু, ছেলের অসুখকে কেন্দ্র করে কিছু অতিরিক্ত অর্থ দাবি করায় মালিকপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেটা ২০০৪ সাল। খুনে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রায় ১৭ বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংশোধনাগারে তাঁর ভালো আচরণের জন্য জেলা প্রবেশন অফিসারের সুনজরে পরে যান তিনি। সেই অফিসার মনোজ রায় জেলাশাসকের কাছে দরবার করে আইনগত ভাবে অর্জুনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। আর তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী নিয়ে অর্জুনবাবু বলেন, পুরোনো দিনের কথা আর মনে রাখতে চাইনা। কিছু ভুল করেছিলাম। তার শাস্তি পেয়েছি। শাস্তি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তাঁর আরও সংযোজন, যাঁরা শাস্তি দিলেন তাঁরাই আবার আমায় সাহারা দিয়েছেন। এরজন্য আমি সরকারি আধিকারিক দের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শুধু যে ভালোভাবে তিনি দোকান চালাচ্ছেন তা নয়, দোকানে মাইনে দিয়ে দু জন কর্মচারীও রেখেছেন তিনি। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইকে সকলেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Hooghly: কোন্নগরের শিশু খুনে ধৃত মা শান্তা জেলে বিরিয়ানি খেতে চান

    Hooghly: কোন্নগরের শিশু খুনে ধৃত মা শান্তা জেলে বিরিয়ানি খেতে চান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বিরিয়ানি খেতে চান কোন্নগরের শিশু খুনে ধৃত শান্তা ও তার বান্ধবী। আর যদি তা না পান তাহলে তদন্তে সহযোগিতা করবে না বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য ধৃত শান্তা শর্মাকে রাখা হয়েছে উত্তরপাড়া থানায়। অপরে বান্ধবী ইফফাত পারভিন বন্দি রয়েছে শ্রীরামপুর (Hooghly) মহিলা থানায়। উল্লেখ্য জেরা করার সময় পারভিনকে উত্তরপাড়া থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। জেলে বসে এই খাবারের আবদারে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    পুলিশ সূত্রে বক্তব্য (Hooghly)

    আট বছরের সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে মা এবং বান্ধবী। উল্লেখ্য যদিও কেউ এখনও পর্যন্ত খুনের বিষয় নিয়ে নিজের মুখে কিছুই স্বীকার করেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “দুজনেই জেলের (Hooghly) খাবার খাইতে চাইছে না। সন্তান খুনের গ্রেফতার হওয়া শান্তা চেয়েছে বিরিয়ানি খেতে। তার বান্ধবী ইফফাত আবার চায় চাইনিজ খাবার খেতে। যদিও কাউকেই তাদের পছন্দের খাবার দেওয়া হয়নি। খাবারের জন্য কেউ তদন্তে সহযোগিতা করছে না।” এই আজব দাবিতে অবাক সকলে। শিশুখুনে অভিযুক্ত শান্তা এবং পরভিন ৯ দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে বেশ কিছু সূত্র পেয়েছে। কিছু তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে। ধৃতদের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কিন্তু দুজনে তদন্তে অসহযোগিতা করছে বলে বিষয় উঠে এসেছে।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কোন্নগর (Hooghly) হত্যাকাণ্ডের এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, “ধৃত দুই অভিযুক্ত মুখরোচক খাবার খেতে চাইছে। কেউ বিরিয়ানি আবার কেউ চাইনিজ খাবার। জেলের ডাল-ভাত বা রুটি কোনও পদই তাদের মুখে রোচে না। পছন্দের খাবার না পেয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছ দুই প্রধান অভিযুক্ত।”

    গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্কুলছাত্র শ্রেয়াংশু শর্মার খুনের চারদিন পর তার মা এবং বান্ধবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে দাম্পত্য কলহ এবং শান্তা-পারভিনের সমকামী সম্পর্কের কারণ খুন হতে হয়েছে শিশুকে। তবে এখনও জেরায় কেউ হত্যার কথা শিকার করেনি। তার মধ্যেই অভিযুক্তদের আজব দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সংশোধনাগারে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant in Jail) হচ্ছেন মহিলারা! মহিলা বন্দিদের সঙ্গে এখন ১৯৬ শিশু রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সব পক্ষকে নিয়ে রাজ্যকে বৈঠকে বসতে হবে। সেখান থেকে কী উঠে এল, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-কে তা নিয়ে আগামী ৮ মার্চ আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। 

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এই ধরনের অভিযোগের কী সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে তা আমরা জানি। এটা মহিলাদের কালিমালিপ্ত করার চরম পথ। এমনিতেই তাঁরা অভিযুক্ত হয়ে জেলে। এই পরিস্থিতিতে এমন একটা অভিযোগ যদি সামনে আনা হয় সেক্ষেত্রে তা তাঁদের আরও বেশি কলঙ্কিত করতে পারে। এটা দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের আরও বেশি করে মাথায় রাখা জরুরি।’ মঙ্গলবার আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জের সওয়াল, জেলে ঢোকার পরে মহিলাদের পুরুষ বন্দিদের সেলের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা রাস্তা বা প্রবেশপথ নেই। এর ফলে অনেক সময় পুরুষ বন্দিরা হায়নার মতো আচরণ করেন। এটা আটকানো দরকার। আর মহিলা কয়েদিদের নিয়মিত ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ করানো হোক।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    গর্ভধারণের পরীক্ষা নিয়ে নিজে থেকে কোনও নির্দেশ দেবে না বলে আদালত জানায়। বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘এমন নির্দেশ আদালত একেবারেই দেবে না। কোনও মহিলা স্বেচ্ছায় চাইলে বা কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিতে পারে। কিছু সমস্যা রয়েছে, তা থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রাজ্যের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার পরামর্শ দিন রাজ্যকে পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের পথ আলাদা করা যায় কিনা।’’ এদিন বিচারপতি জানান, রাজ্যকে সমস্ত পক্ষের সঙ্গে বসতে হবে। সেখানেই বাড়তি বন্দি ভিড়, মহিলা বন্দি, জেলে বন্দি মৃত্যু, জেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অসুস্থ বন্দিদের মৃত্যু সহ নানা বিষয়ে সহমতের ভিত্তিতে একটি রূপরেখা তৈরি করার পর আদালত শুনানি করবে সমস্যা ধরে ধরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russian Opposition Leader Dead: রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতার, কারণ কী জানেন?

    Russian Opposition Leader Dead: রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতার, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির (Russian Opposition Leader Dead)। বয়স হয়েছিল সাতচল্লিশ বছর। রাশিয়ার প্রিজন সার্ভিসের তরফে এ খবর মিলেছে। ডিসেম্বরেই নাভালনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। এখন এল মৃত্যুর খবর। আর্কটিক পেনাল কোলোনিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

    অচৈতন্য হয়ে পড়েন নাভালনি

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নানা সময় মুখর হয়েছিলেন নাভালনি। রাশিয়ার কারা বিভাগের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার জেলেই অসুস্থ বোধ করেছিলেন নাভালনি। তার আগে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয় মেডিক্যাল স্টাফদের। কিন্তু নাভালনিকে বাঁচানো যায়নি। নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিস বলেন, “তিনি যে বেঁচেছিলেন (অচৈতন্য হওয়ার সময়), সে আশা ছিল না।”

    রাশিয়ার কারাগারে বন্দি

    একুশের জানুয়ারি মাস থেকে রাশিয়ার কারাগারে বন্দি ছিলেন পুতিন-বিরোধী (Russian Opposition Leader Dead) এই নেতা। গ্রেফতারির আগে পুতিন সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। এ নিয়ে প্রচারও করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের কড়া সমালোচনাও করেছিলেন নাভালনি।  

    ক্রেমলিন বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বও দেন। তার পরেই উগ্রপন্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আদালত তাঁকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার প্রিজন সার্ভিস নাভালনির মৃত্যুর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    পুতিন বিরোধী নেতার জেলবন্দি দশায় মৃত্যুতে ফুঁসছে তামাম বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “এই ঘটনার জন্য পুতিনই দায়ী। পুতিন সরকারের দুর্নীতি, হিংসা এবং সব খারাপ কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যালিক্সি। তাই তাঁকে মরতে হল। তাঁর মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী। একমাত্র পুতিন দায়ী।” কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বলেন, “এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুতিন কতদূর যেতে পারেন। রাশিয়ার মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে যিনিই কথা বলতে চাইবেন, তাঁকে থামানোর জন্য যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারেন পুতিন। গোটা বিশ্বের আরও একবার মনে পড়ে গেল, পুতিন ঠিক কত বড় (Russian Opposition Leader Dead) রাক্ষস।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Women Prisoners: মহিলা জেলেই অন্তঃসত্ত্বা! সব রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Women Prisoners: মহিলা জেলেই অন্তঃসত্ত্বা! সব রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা জেলে কয়েদিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন! কীভাবে এই ঘটনা ঘটছে? বাংলার মামলাটি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে গ্রহণ করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই মামলায় এবার সব রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। জেলে মহিলা বন্দিরা কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন, এখন তাঁরা কী অবস্থায় আছেন? তা জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। রিপোর্ট দিয়ে সব রাজ্যকে সেই তথ্য জানাতে হবে। এ বিষয়ে সব রাজ্যকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    জেলবন্দি মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ বিভিন্ন রাজ্যের জেলে মহিলা বন্দিরা কী অবস্থায় রয়েছেন সেবিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।  রাজ্যে রাজ্যে কারাগারগুলিতে মহিলা বন্দিদের কী অবস্থায় রাখা হয়েছে, তাঁদের জন্য কী পরিষেবা রয়েছে, খোঁজ নেবে ওই কমিটি। এরপর সব রাজ্যেকে মহিলা কয়েদিদের কী পরিষেবা দেওয়া হয় তা নিয়ে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গের মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি কোহলি বাংলার জেলগুলিতে মহিলা বন্দিদের জন্য পর্যাপ্ত স্যানিটারি ন্যাপকিনের বন্দোবস্ত রয়েছে কি না, তার খোঁজও নেন।

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

    পশ্চিমবঙ্গের মহিলা সংশোধনাগারগুলি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করেছিলেন আইনজীবী তথা আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জ। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি জানান, সংশোধনাগারে থাকাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন একাধিক মহিলা বন্দি। আদালত জানতে পারে, সম্প্রতি রাজ্যের জেলগুলিতেই ১৯৬টি শিশুর জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি, আলিপুর মহিলা জেলেও এক জন কয়েদি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। রাজ্যের মহিলা সংশোধনাগার বা যে সব সংশোধনাগারে মহিলা সেল রয়েছে, সেখানে কোনও পুরুষকে ঢুকতে না দেওয়ার আর্জি জানান তাপসবাবু। গত শুক্রবার বিষয়টি পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গরু পাচার কাণ্ডে এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর এককালের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, সকলেই একসময় আসানসোল জেলেই ছিলেন। তাঁদের কারাবাসের সময় সংশোধানাগারের সুপার থেকেছেন কৃপাময় নন্দী। এবার গরু পাচারকাণ্ডে আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জেল সুপারকে শুধু দিল্লিতে ডাকা হয়েছে এমন নয়, তাঁকে আগামী ৫ এপ্রিল তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ আসতে বলেছে ইডি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেল সুপার বলেছেন,”ই-মেল পেয়েছি। তবে কি কারণে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা বলতে পারব না। আমি উচ্চ আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যেমন বলবেন আমি সেই পথেই চলব।” গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘদিন আসানসোল জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অভিযোগ, এই সময় জেল থেকেই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিতেন কেষ্ট। নিজের জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ নিজেই এই অভিযোগ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা আটকাতে অবশ্য অনেক চেষ্টাই করা হয়েছিল। বীরভূম জেলার নেতারা প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে দিতেই পরিকল্পিতভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে নিজে বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত আসছে বলে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে।’ মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলেছিলেন, ‘এর থেকেই স্পষ্ট যে অনুব্রত জেলে বসেই দলের কাজ করছিলেন।’ আর এই সব বিতর্কের মাঝেই এবার আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে ইডির তলব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    জেল সুপারকে কী জিজ্ঞাসা করতে পারে ইডিAnubrata Mondal

    তিহার জেলের আগে বেশ কয়েকমাস আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন অনুব্রত। যদিও সেই সময় সংশোধনাগারে বহাল তবিয়তে থাকতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal), এই অভিযোগ বারে বারে করেছে বিরোধীরা। এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে জেলে কারা দেখা করতে আসত, তা জানতে চাওয়া হতে পারে জেল সুপারের থেকে। এদিকে অনুব্রত যখন আসানসোল সংশোধানাগারে ছিলেন, তখন বেশ কিছু বিষয়ে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, দিল্লি যাত্রার সময় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল জেল কর্তৃপক্ষের ওপর। সেই সময় কচুরির দোকানে জেলবন্দি অনুব্রত (Anubrata Mondal) দিব্যি বসে তৃণমূলের এক যুবনেতা এবং মেয়ে সুকন্যার গাড়ির চালকের সঙ্গে ‘বৈঠক’ করেছিলেন, যা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার খোদ জেল সুপারকেই দিল্লিতে তলব করল ইডি।  

    দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে রাখা হবে তিহার জেলে। পাশাপাশি দিল্লির আদালত অনুব্রতর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ এপ্রিল। অন্যদিকে, কাকতালীয় হলেও তিহার জেলে এখন রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী ও গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share