Tag: Jaishankar

Jaishankar

  • S Jaishankar: পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (nuclear suppliers group) বা পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে রয়েছে ভারত (India)। মোদি (modi) সরকারের অষ্টম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত কূটনৈতিক স্তরের এক বিশেষ বৈঠকে যোগ দিয়ে একথা জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। তাঁর মতে, সব রকম রাজনৈতিক বাধা দূর করে বিশ্বের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (NSG) যোগ দিতে চায় ভারত।

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারতের মতো দেশ নিয়ম-ভিত্তিক নির্দেশকে মজবুত করাকেই পছন্দ করে। ভারত সর্বদা এসব ক্ষেত্রে যে কোনও অবদান রাখার সুযোগকে মর্যাদা দেয়। এমটিসিআর, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ও ওয়াসেনার চুক্তিতে ভারতের সদস্যপদ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ সবকটি গোষ্ঠীই হল বহুপাক্ষিক পরমাণু রফতানি নিয়ন্ত্রণ সংগঠন। ফলে, এর থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, ভারত একটি  দায়িত্বশীল দেশ। তাই, পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তিতে ভারত স্বাক্ষর না করলেও, আমরা এনএসজি-তে জায়গা পাওয়ার যোগ্য অধিকারী।”

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    বিদেশ মন্ত্রক আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের মতো একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে আমরা মুখিয়ে রয়েছি। এজন্য যাবতীয় রাজনৈতিক বাধা দূর করে ওই গোষ্ঠীতে আমরা যোগ দিতে চাই। বিশ্বে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৪৮। এর মধ্যে ভারত নেই। অথচ ভারত পরমাণু শক্তিধর দেশ। চিনের (China) বিরোধিতার কারণে ভারত ওই গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারছে না। চিনের বক্তব্য, ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রসাররোধ চুক্তিতে (NPT) সই করেনি। তাই তাকে এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরেই বারবার চেষ্টা করেও ওই গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারছে না ভারত।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশনীতিতে কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তাও স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, আপনি যে ভারতে বাস করছেন, তা আগের চেয়ে ঢের আলাদা। দেশ কিংবা বিদেশনীতিতে এই দেশ তার মূল লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছে। নিত্য যার প্রমাণ মিলছে গণতন্ত্রের উন্নতিতে। তিনি বলেন, দেশের মানব উন্নয়ন সূচক ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করছে। এই সময় দেশ তার জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার বিষয়টিও মাথায় রেখেছে। তাই দেশের কল্যাণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঙ্গলের দিকটিও দেখছে ভারত।

     

  • Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই!  চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    Jaishankar meet Wang Yi : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চিনের বিদেশমন্ত্রী (Chinese State Councillor and Foreign Minister)  ওয়াং ই (Wang Yi) এর মুখোমুখি বসবেন  বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (External Affiars Minister S Jaishankar)? সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organisation) বা SCO-র বৈঠকে তাঁদের একসঙ্গে কথা বলতে দেখা যাবে  কি না তা নিয়েই এখন গুঞ্জন চলছে কূটনৈতিক মহলে। চলতি মাসের শেষেই উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) রাজধানী তাসখন্দে (Tashkent) হবে SCO-র বৈঠক। কেন্দ্রীয় আধিকারিক সূত্রে খবর, সেখানে আলাদা করে ওয়াং ই এবং জশঙ্করের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। চলতি মাসের ২৭-২৮ তারিখ নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত

    এর আগে বালিতে জি-২০ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন চলাকালীন এক পার্শ্ববৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বকেয়া বিষয়গুলি মেটাতে সওয়াল করে ভারত। এবারও দু-দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে আসতে পারে পূর্ব লাদাখ থেকে অবিলম্বে সেনা সরানোর দাবি। এ বিষয়ে বারবার চিনকে সতর্ক করেছে ভারত। এ-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত হওয়া উচিত ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’, ‘পারস্পরিক সংবেদনশীলতা’ এবং ‘পারস্পরিক স্বার্থ’। আবারও সেই দাবিই রাখা হবে। ভারত মনে করে, সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে দু’দেশেরই উচিত, সম্পূর্ণ সেনা সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে উদ্যম ধরে রাখা। দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকল এবং সীমান্ত চুক্তিগুলি মান্য করার উপরে বরাবরই জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। 

    আরও পড়ুন: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    চলতি বছরের ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর, উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরখন্দে (Samarkhand) পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেবেন SCO ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনায়করা। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে মুখোমুখি হবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত-সমস্যার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনায়কের সাক্ষাত হবে। তারই পথ প্রশস্ত করবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

LinkedIn
Share