Tag: Jallianwala Bagh massacre

  • BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার তোষণের রাজনীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh) পরিণত হয়েছে। রবিবার এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা কেশবন। এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেশবন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে। মুর্শিদাবাদে যখন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। তখন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান চা পান করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। এটি তৃণমূলের অসহিষ্ণু মানসিকতার প্রতিফলন।’’

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বিজেপি (BJP) নেতা আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিত্তিহীন বিরোধিতা করছেন। ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের নীতির পরিপন্থী (Jallianwala Bagh)। আমরা দেখতে পাচ্ছি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব দর্শক হিসেবে রয়ে গেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে এবং শান্তির জন্য সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। এটি আমাদের আরজি কর কাণ্ডের কথাও মনে (BJP) করিয়ে দিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে।’’

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের। বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

  • PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ১৩ এপ্রিল। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০৬তম বার্ষিকী। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পাশাপাশি শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুও।

    জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি কালো অধ্যায়

    এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘আমাদের জাতির ইতিহাসে এই ঘটনা একটি কালো অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আগামী প্রজন্ম সর্বদা শহিদদের স্মরণ করবে।’’ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলেও উল্লেখ করেন মোদি (PM Modi)। তিনি লেখেন, ‘‘জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি অন্ধকার অধ্যায় ছিল। এই ঘটনায় শহিদদের আত্মত্যাগ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে ওঠে।’’

    এদেশ শহিদদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে বললেন রাষ্ট্রপতি

    জালিয়ানওয়ালাবাগে জীবন উৎসর্গকারী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ‘‘তাঁদের (শহিদদের) আত্মত্যাগ আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। এদেশে তাঁদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে।’’ রাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh Massacre) ভারত মাতার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই সকল স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাকে (PM Modi) আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।’’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে সেই অমর শহিদদের কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে, সমস্ত দেশবাসী তাঁদের তন-মন-ধন দিয়ে ভারতের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।’’

    ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে বৈশাখী মেলায় জড়ো হয়েছিলেন শত শত সাধারণ নাগরিক। যাদের মধ্যে ছিল শিশুও। ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র মানুষদের এই সমাবেশে গুলি চালায় ব্রিটিশ বাহিনী। রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে দমন করতে এইভাবেই বর্বরোচিত হামলা করে ব্রিটিশ পুলিশ। সরকারি হিসেবে এই ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা হাজার পার করেছিল।

LinkedIn
Share