Tag: Jalpaiguri

Jalpaiguri

  • Jalpaiguri: দু’ফোঁটার বদলে গোটা শিশি! শিশুকে পোলিও খাওয়ানো ঘিরে তোলপাড়

    Jalpaiguri: দু’ফোঁটার বদলে গোটা শিশি! শিশুকে পোলিও খাওয়ানো ঘিরে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ফোঁটার বদলে গোটা শিশি! শিশুকে পোলিও খাওয়ানো ঘিরে তোলপাড়। গতকাল রবিবার দুই ফোঁটার বদলে পুরো শিশি পোলিও শিশুকে খাইয়ে দিল এক স্বাস্থ্য কর্মী। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শিশুকে। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মাল মহকুমার ক্রান্তি ব্লক এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। চার বছরের এক শিশুকে তার মা পোলিও খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মূল অভিযোগ হল, কর্তব্যরত এক স্বাস্থ্য কর্মী এক শিশি পোলিও খাইয়ে দেয়। এরপর মা, তাঁর স্বামীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ইতিমধ্যে শিশুর জ্বর চলে আসে। বাবা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বাস্থ্য কর্মীদের জিজ্ঞেস করলে উত্তর পান শিশুর কিছুই হবে না। কিন্তু তত সময়ে মারাত্মক হয়ে ওঠে শিশুর অবস্থা। এরপর মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণে পোলিও খাওয়ানোর জন্য এই অসুস্থাতা বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

    পরিবারের বক্তব্য (Jalpaiguri)

    পরিবার সূত্রে শিশুর বাবা তপন রায় বলেন,“এক শিশি সমস্ত পোলিও খাওয়ানোর ফলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বর চলে আসে আমার সন্তানের। স্বাস্থ্য কর্মীদের জিজ্ঞেস করলে ওরা বলে কিছুই হবে না। কিন্তু আমার সন্তান দারুণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বেগতিক বুঝে মালবাজার (Jalpaiguri) হাসপাতালে নিয়ে যাই। দোষী ওই স্বাস্থ্য কর্মীদের কঠোর শাস্তি চাই।”

    থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের

    ঘটনায় ইতিমধ্যে ক্রান্তি থানার (Jalpaiguri) ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুর বাবা তপন রায়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের ফোন ধরেননি। জেলা শাসক শামা পারভিন বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ফেল করা পড়ুয়াদের পাশ করাতে হবে, দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের

    Jalpaiguri: ফেল করা পড়ুয়াদের পাশ করাতে হবে, দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তাল কলেজ ক্যাম্পাস। ফেল করা পড়ুয়াদের পাশ করাতে হবে, কার্যত এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখালো টিএমসিপি। এই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে। কলেজের অধ্যক্ষের ঘরের সামনেই একত্রিত হয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন পড়ুয়ারা। তাদের সকলের দাবি, ফার্স্ট সেমিস্টারে পাশ করাতে হবে। এই আজব দাবিতে অবাক শিক্ষকদের একাংশ। 

    বিনামূল্যে পরীক্ষার খাতার পুনর্মূল্যায়ণ চায় টিএমসিপি (Jalpaiguri)

    কলেজের (Jalpaiguri) অধ্যক্ষকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় কলজে পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের দাবি, “ফেল করা ছাত্রদের পাশ করাতে হবে, সেই সঙ্গে পাশের জন্য খাতা দেখতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না।” এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলির প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ পড়ুয়ারা ফেল করেছেন। এই ফেলের লিস্টে রয়েছে ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। এই কারণে ফেল করা পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে টিএমসিপি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মূল দাবি হল, “বিনামূল্যে পরীক্ষার খাতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। আর যদি পাশ না করানো হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অবহেলা চলবে না।”

    টিএমসিপির বক্তব্য

    অধ্যক্ষের (Jalpaiguri) ঘরের সামনেই বিক্ষোভ দেখান হয় কলেজের টিএমসিপি শাখার পক্ষ থেকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য অর্ধেন্দু চক্রবর্তী বলেন, “আমরা বিক্ষোভ করছি কারণ আমরা বিশ্বাস করি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ফেল করতে পারে না। ছাত্র-ছাত্রীদের নিশ্চিত ভাবে খাতা ভালো করে মূল্যায়ন করা হয়নি। গাফিলতি অবশ্যই হয়েছে। নয় তো একসঙ্গে এতো ফেল কীভাবে সম্ভব?” সংগঠনের আরেক সদস্য কৌশিক রায় বলেন, “আগেও আমরা টিএমসিপির পক্ষ থেকে আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এবার ইচ্ছে করে আবার ফেল করানো হয়েছে। এই আন্দোলনের দাবি সঠিক। আমরা ফেল করা ছাত্রদের পাশে রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: হাতে দা উঁচিয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই বৃদ্ধার! প্রাণরক্ষা অল্পের জন্য

    Jalpaiguri: হাতে দা উঁচিয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই বৃদ্ধার! প্রাণরক্ষা অল্পের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্যত হাতে দা উঁচু করে দক্ষিণরায়ের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই চলল এক বৃদ্ধার। সেই সঙ্গে অবশেষে বৃদ্ধার কঠিন আক্রমণাত্মক চোখরাঙানিতে ভয়ে পালাল চিতাবাঘ। এভাবেই মৃত্যর মুখ থেকে রক্ষা পেলেন এই মহিলা। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতলে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সোনাখালি জঙ্গলে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Jalpaiguri)?

    চিতাবাঘের মুখ থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরলেন ৬৫ বছরের ফতেমা বিবি। ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি সাকোয়াঝোড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সোনাখালির কাছেই আদরপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাখালি জঙ্গলে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। আচমকা তাঁর ওপর হামলা করে একটি চিতাবাঘ। পাল্টা প্রতিরোধ করেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর হাতে ছিল একটি দা। তা দিয়েই চিতাবাঘের ঘাড়ে আঘাত করেন তিনি। এরপর ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায় চিতাবাঘটি। কিন্তু পিছোলেও ফের একবার আক্রমণের চেষ্টা করে চিতাবাঘটি। কিন্তু আক্রমণাত্মক হয়ে বৃদ্ধা তাঁর হাতের দা উঁচু করলে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় দক্ষিণরায়।

    বৃদ্ধার বক্তব্য

    ঘটনার কথা জানিয়ে বৃদ্ধা বলেন, “গরু নিয়ে ফেরার সময় জঙ্গল (Jalpaiguri) থেকে একটি চিতাবাঘ আচমকা আক্রমণ করে আমাকে আহত করে দিয়েছিল। আমি অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আমার হাতে থাকা দা দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর নিজের দাঁত, নখ বের করে ক্রোধ দেখিয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় দক্ষিণরায়। এরপর প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তায় এসে লোকের কাছে সাহায্য চাই। সেই সময় এক ব্যক্তি আমাকে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ধুপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়।” অপরদিকে এই আহত বৃদ্ধার নাতনি আনজিনা বেগম বলেন, “মাঠে গরু নিয়ে আসার সময় চিতাবাঘ আক্রমণ করে। কোনও রকমে লড়াই করে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরে এসেছেন আমার দিদা। তিনি খুবই অসুস্থ। ঘটনায় আমাদের এলাকায় তীব্র আতঙ্কিত ছড়িয়ে পড়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে মদ খেয়ে বেসরকারি ডুয়ার্সের রিসর্টে (Dooars Resort) গভীর রাতে এসে রীতিমত তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের মেটালিতে। এই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা বলেন, “কোনও রকম মারামারির ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে।”

    উল্লেখ্য হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুলিশের বসানো মদের আসর থেকে গ্রামের মহিলাদের গালিগালাজ কটূক্তি করার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল বড়দিনের রাতে। প্রতিবাদ করলে পুলিশই পালটা গ্রামের মানুষদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার ডুয়ার্সে ফের অভিযুক্ত পুলিশ।

    ঘটনা কী কীভাবে ঘটেছে (Dooars Resort)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার নদিয়া থেকে বেশ কিছু পর্যটক ডুয়ার্সের (Dooars Resort) চালসা ইনডর এলাকায় এক রিসর্টে ওঠেন। এরপর রাতের বেলায় নিজেদের রুম থেকে বেরিয়ে দেখেন তিনজন পুলিশ রিসর্টে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশেরা রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক গালিগালাজ এবং মারধর শুরু করে। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে যান। এমনকি পর্যটকদের গাড়ির ড্রাইভারদেরও অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ করে মেটালি থানার পুলিশকে খবর দেয় রিসর্ট কর্তৃপক্ষ।

    তাণ্ডবের ভিডিও ভাইরাল

    মদ খেয়ে পুলিশ উন্মত্ত অবস্থায় রিসর্টে (Dooars Resort) গিয়ে ঘরের বুকিং চায়। কিন্তু ঘর খালি না থাকায় রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা। কিন্তু তাণ্ডবের ভিডিও ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই পুলিশের এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। সাধারণত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন স্থানীয় পুলিশেরাই। অচথ্‌ পুলিশের কাছেই সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। রীতিমতো পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা।

    পর্যটকদের বক্তব্য

    নদিয়া থেকে ডুয়ার্স রিসর্টে (Dooars Resort) ঘুরতে আসা পর্যটক সঞ্জয় সাহা, সন্তু গুহ বলেন, “পুলিশের এই তাণ্ডবে আমরা নিজেদের অত্যন্ত অসুরক্ষিত মনে করছি। আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গাড়ির চালকদের ব্যাপক মারধর করে। আমাদের সঙ্গে মহিলা এবং শিশুরা ছিল, ঘটনায় সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: পোশাকের রঙ নীল-সাদা করায় বিতর্কের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল

    Jalpaiguri: পোশাকের রঙ নীল-সাদা করায় বিতর্কের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোশাক বিতর্কে ফের শোরগোল পড়েছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুলে। এই স্কুল শতাব্দীর পুরতান ইতিহাস বহন করে চলেছে। আগে স্কুলের পোশাকের রঙ ছিল সাদা জামা এবং কালো প্যান্ট। এবার থেকে নতুন স্কুল পোশাকের রঙ হবে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট। স্কুলের এই পোশাক বদলে রীতিমতো বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই জেলা স্কুল।

    ১৮৭৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশে মাসিক ২০০ টাকা করে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে স্কুল নির্মাণ করা হয়েছিল। নানা সময়ে স্কুলের ভবন নির্মাণের বদল হলেও বদলায়নি পোশাকের রঙ। ফলে স্কুলের অভিভাবক, প্রাক্তনীরা তীব্র আপত্তি তুলেছেন পোশাকের রঙ বদলের সিদ্ধান্তে। আবার প্রাক্তনীদের কেউ কেউ বলছেন, “বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের রঙ নীল-সাদাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্কুলের উপর। তাই অনেক ছাত্রের অভিভাবকেরা এই নীল-সাদা রঙের পোশাক ফিরিয়ে দিয়েছেন।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য (Jalpaiguri)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাতঃবিভাগে পড়ুয়াদের নীল-সাদা পোশাক দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট পরে আসতে হবে। প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এই পোশাক দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য মাত্র আর দুই বছর পরেই এই স্কুলের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন করা হবে। ফলে সবকিছু নতুন করে সেজে উঠছে স্কুলের পরিকাঠামো। ঠিক এই মুহূর্তে স্কুলের পোশাক বদলের সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভালো ভাবে নিচ্ছেন না।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    স্কুলের (Jalpaiguri) প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বাড়ুই বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে পড়ুয়াদের পোশাকের রঙ ঠিক করা হয়েছে। স্কুলের সব রকম পরিকল্পনার জন্য সরকার ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করেছে। তাই সরকারী স্কুলে সরকারের নির্দেশকে মান্যতা দিতে হবে। তবে কেউ কেউ আপত্তি করছেন। এটা ঠিক নয়।”

    নীল-সাদা রঙ নিয়ে আপত্তি একাকধিক স্কুলে

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুলের পোশাকের নীল-সাদা রঙ নিয়ে যেমন আপত্তি উঠেছে, ঠিক তেমনি রাজ্যের একাকধিক ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলিতে নীল-সাদা রঙে আপত্তি জানিয়ে আগেও আন্দোলন হয়েছিল। যেমন- কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি স্কুলের পোশাকের রঙ বদল করে নীল-সাদা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়। আবার শিলিগুড়ি গার্লস স্কুল ভবনের আগের রঙ লাল-হলুদকে বদল করে নীল-সাদা করতে চাইলে ব্যাপক প্রতিবাদ ওঠে স্কুলে। এমনকি প্রতিবাদের কারণে রঙ বদলের সিদ্ধান্তও স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Flash Flood: ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা থেকে উদ্ধার আরও ১১টি দেহ, সিকিমের হড়পা বান যেন দুঃস্বপ্ন!

    Sikkim Flash Flood: ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা থেকে উদ্ধার আরও ১১টি দেহ, সিকিমের হড়পা বান যেন দুঃস্বপ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার হড়পা বানে সিকিমে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় (Sikkim Flash Flood) নেমে আসে। সেই সঙ্গে উত্তর সিকিমে হ্রদ ভেঙে পড়ে। জলপাইগুড়ির তিস্তায় নেমে আসে মেঘভাঙা বৃষ্টির জলের তোড়। পাহাড়ের প্রভাব সমতলেও ভয়ঙ্করভাবে পড়ে। আগ্রাসী তিস্তা পাহাড় থেকে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে আসে নিচে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উদ্ধার হচ্ছে দেহ। গত ২৪ ঘণ্টায় উদ্ধার হয়েছে আরও ১১ টি দেহ। এইসব মিলিয়ে মোট মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, ১১ টি দেহের মধ্যে ১০ টি শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে বন্যার জলে রোজই ভেসে আসছে দেহ। এলাকার মানুষ এখনও আতঙ্কে রয়েছেন।

    জলপাইগুড়ি প্রশাসনের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৮ অক্টোবর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তিস্তা থেকে বানের জল থেকে মোট ৪১ টি মৃতদেহ (Sikkim Flash Flood) পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন যেন তিস্তা একটি লাশের নগরীতে পরিণত হয়েছে। যেদিকে নজর যায়, সেই দিকেই কেবল ধ্বংস এবং বিপর্যয়ের চিত্র চোখে পড়েছে। গতকাল শনিবারেও ৩ টি দেহ উদ্ধার করা হয়। শবদেহগুলি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। যারা যারা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের খোঁজ চলছে। সেনাকর্মী, প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে উদ্ধারকাজ করছে বলে জানা গেছে।

    ভয়ঙ্করী তিস্তা (Sikkim Flash Flood)

    গত মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেছে সুন্দর সাজানো সিকিম (Sikkim Flash Flood)। তার প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। জলের আঘাতে ভেঙে গেছে জাতীয় সড়ক। পাহাড়ের জল তিস্তায় পড়ে জলের উচ্চতা বৃদ্ধি হয়ে ভেসে গেছে বাড়িঘর, গাছপালা সবকিছু। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে প্রকৃতি। আটকে পড়েছেন প্রচুর পর্যটক। কার্যত হোটেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছিল কলকাতা- হাওড়ার পর্যটকদের। প্রকৃতিক বিপর্যয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সিকিম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কমিশনকে চিঠি! ধূপগুড়ির ভোটে কন্ট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িদের ব্যবহারের অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কমিশনকে চিঠি! ধূপগুড়ির ভোটে কন্ট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িদের ব্যবহারের অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ নির্বাচনের জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (30 company central force) মোতায়েন করার কথা বুধবারই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হলেও ভোটের কাজে রাজ্যের কনট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। 

    কমিশনকে চিঠি শুভেন্দুর

    আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ নির্বাচন (Dhupguri byelection)।  সেখানে বিজেপির হয়ে প্রচারে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সন্ধেয় ধূপগুড়ির দুরামারিতে এক দলীয় সভায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, ভোটের কাজে বেশ কিছু কন্ট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িদের ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য। এটা করা যাবে না। জেনারেল অবজারভারকে আমরা দলগতভাবে চিঠি পাঠাচ্ছি।” পর্যাপ্ত ফোর্স আসায় বিজেপি চিন্তামুক্ত হল বলেও এদিন খোলামেলা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, “আমরা চিন্তায় ছিলাম। ১৫ কোম্পানিতে ২৬০টি বুথ কভার হচ্ছিল না। তবে পঞ্চায়েতের মতো ভোট হবে না। ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার ফলে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ভোট হবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ।” ধূপগুড়ির বিধায়ক ছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। তাঁর অকাল মৃত্যুর কারণেই উপ নির্বাচন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: বিস্তর অসঙ্গতি! এসএসসির নতুন মেধা তালিকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা

    মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    উল্লেখ্য, গত সোমবার মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, ডিসেম্বরে কিংবা জানুয়ারিতে লোকসভা ভোট করাতে পারে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা যাতে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এখন থেকেই ঝাপিয়ে পড়ে, তার জন্যই ভোকাল টনিক দিতে ওই কথা বলেছিলেন মমতা। এদিন এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করা হলে এক বাক্যে সে জল্পনা উড়িয়ে দেন তিনি। আসন্ন লোকসভা উপলক্ষে কেন্দ্র বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে মুম্বই গিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর মুম্বইযাত্রাকে খোঁচা দিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘মুম্বইয়ে ঘুরতে গিয়েছেন মমতা। লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood Like Situation: যমুনার জলে ভাসছে দিল্লি, তরল তারিণী ঢুকে পড়ল মেট্রো টানেলেও

    Flood Like Situation: যমুনার জলে ভাসছে দিল্লি, তরল তারিণী ঢুকে পড়ল মেট্রো টানেলেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি, তার সঙ্গে ব্যারাজ থেকে ছাড়া জল, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দিল্লি (Flood Like Situation)। বৃষ্টির জমা জলে এমনিতেই ভোগান্তির শেষ ছিল না রাজধানীর বাসিন্দাদের। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো বৃহস্পতিবার যমুনার জল উপচে ভাসল শহর। হু হু করে জল ঢুকে গেল মেট্রো টানেলে। তবে তার জেরে বন্ধ হয়নি রাজধানীর লাইফ লাইন। যদিও ট্রেন চলেছে শম্বুক গতিতে। মঙ্গলবার থেকেই বাড়ছিল যমুনার জল।

    ফুলেফেঁপে উঠেছে যমুনা

    বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ যমুনার জলস্তর ছিল ২০৮.৬৬ মিটার, বিপদসীমার থেকে অন্তত তিন মিটার বেশি। হরিয়ানার হথিনীকুণ্ড ব্যারাজ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ায় যমুনার জল বাড়ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, হথিনীকুণ্ড থেকে জলছাড়া বন্ধ করতে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। সে যাই হোক, ধারাবর্ষণ এবং যমুনার উপচে পড়া জল জমে গিয়ে শোচনীয় অবস্থা (Flood Like Situation) ময়ূর বিহার, মজনু কা টিলা, সিভিল লাইন্স, যমুনা বাজার, মদনপুর এবং খাদার এলাকার। কোথাও হাঁটু সমান, তো কোথাও কোমর সমান জল। যমুনা তীরবর্তী গীতা কলোনি, নিগম বোধ ঘাট সহ বিভিন্ন এলাকা কার্যত জলের তলায়।

    দুয়ারে যমুনা 

    জল চলে এসেছে দিল্লি বিধানসভার অদূরে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসভবন থেকেও বানের জল (Flood Like Situation) খুব বেশি দূরে নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। উদ্ধারকার্যে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ টিমকে। ইতিমধ্যেই ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে শহরের নিচু এলাকাগুলি থেকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে রবিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল-কলেজ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সরকারি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নদীর ধারে ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির, লাঠিচার্জ পুলিশের, উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ

    যে কারণে ভাসছে দিল্লি, সেই একই কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতেও। টানা বৃষ্টি এবং তিস্তা ব্যারাজের ছাড়া জলে প্লাবিত হওয়ার জোগাড় জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকতে শুরু করেছে করলা নদীর জল। জলঢাকা নদীর সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত দুই এলাকায়ই জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। হাতিনালা উপচে পড়ে বানারহাটে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। নাগরাকাটায় ডায়না নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: গরম পড়তেই জলসঙ্কট! বালতি হাতে আন্দোলনে এলাকাবাসী

    Jalpaiguri: গরম পড়তেই জলসঙ্কট! বালতি হাতে আন্দোলনে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহ। জলস্তর নীচে নেমে গিয়েছে। পাতকুয়ো থেকেও জল উঠছে না।  জলের লাইন অনেকদিন আগেই পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সেই পাইপ বেয়ে আজও জল পড়েনি।  তীব্র দাবদাহে  জলের জন্য হাহাকার করছেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ  এলাকার মানুষ। আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ বালতি, ড্রাম, মগ হাতে রাস্তায় নেমে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে  দিচ্ছেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, মাঝে দু’দিন মেঘলা আকাশ ও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও গত সোমবার থেকে আবার তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। তীব্র তাপদাহে জলের  সঙ্কট চরমে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মায়া দাস, মণি বিশ্বাসদের  অভিযোগ, প্রধানকে বার বার বলেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি।  জল নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে। সোমবার থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিনগরের অরবিন্দ পল্লিসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির ডাবগ্রম – ফুলবাড়ি বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এই এলাকা প্রথম থেকেই তৃণমূলের দখলে রয়েছে।  গত ১০  বছর তৃণমূলের গৌতম দেব এখানকার বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। জলের সঙ্কটের পাশাপাশি রাস্তা, ড্রেন, লাইট নেই। সেকারণেই গত বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার মানুষ বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই তৃণমূল এই এলাকায় কোনও উন্নয়ন করছে না।  তাই কেন্দ্রীয় সরকার জল প্রকল্পের জন্য ঢালাও অর্থ দেওয়ার পরও সেই অর্থে এখন কাজ হচ্ছে না।  এলাকার মানুষকে শিক্ষা দিতে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এই এলাকার পানীয় জল সহ অন্যান্য উন্নয়নে কোনও নজরই দিচ্ছে না। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে হয়তো  কিছু কিছু এলাকায় জল সরবরাহ শুরু হবে ভোটের অঙ্ক কষে।

    পানীয় জলের পরিষেবা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল প্রধান?

    তৃণমূল পরিচালিত ডাবগ্রাম -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে আমরা চিঠি দিয়েছি। ২০২৪ এর মধ্যে সব জায়গায় জল পৌঁছে যাবে। প্রধানের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন, বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় জল সঙ্কটে রেখে এলাকার মানুষকে বোঝাতে চাইছে তৃণমূলকে ভোট না দিলে সঙ্কট মিটবে না বাড়বে। লোকসভা নির্বাচনের আগে  জল পৌঁছে দিয়ে ভোট নিশ্চিত করতে চাইবে তৃণমূল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পাঁচদিন আগেই  জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের পান্ডাপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনা নিয়ে সুবোধবাবুর দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় কয়েকজনের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বুধবার বিকেলে তিনি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় ফের যান। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেন অভিযুক্তরা গ্রেফতার হল না, তা তিনি জানতে চান। পরে, এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাই তিনি ওই পদে যতক্ষণ বসে থাকবেন ততক্ষণ পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না। তাই পুলিশের তদন্তের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সকলের, তাই তাঁর কাছে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানালাম সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ যাঁরা অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের সরকারি এবং দলীয় পদ থেকে সরিয়ে পুলিশকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিন। অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন নিজেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান।” পাশাপাশি জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আদালতের নজরদারিতে ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়। 

    সুইসাইড নোটে কোন নেতার নাম লেখা রয়েছে?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অপর্ণা ভটাচার্য এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্যের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে তাঁদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও তিন জনের নাম পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, অপর্ণা ভট্টাচার্য ২০০০ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর হিসেবে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের চাইল্ডলাইনে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী সুবোধবাবুও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রাক্তন সদস্য। কয়েক বছর আগে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু পাচার কাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়েছিল। 

    এনিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে যাঁরা জমি মাফিয়া বলছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মনোময় সরকারের কাছ থেকে শিখা চট্টোপাধ্যায় ২১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে কোতোয়ালিতে অভিযোগ জমা পরেছে। ৪ এপ্রিল তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি চাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share