Tag: Jamaat-e-Islami

Jamaat-e-Islami

  • Sheikh Hasina: ইউনূস জমানায় রমরমা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামির, ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র

    Sheikh Hasina: ইউনূস জমানায় রমরমা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামির, ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দুই আগেই বাংলাদেশের দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। তার পরেই ভারতের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিল জামাত-ই-ইসলামি । জামাতের (Jamaat-E-Islami) সাধারণ সম্পাদক মিঞা গোলাম পরওয়ার বলেছিলেন, “প্রতিবেশী দেশ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দিয়ে অপরাধীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছে, যা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক আইন মেনে হাসিনাকে বাংলাদেশে আইনের কাছে পাঠানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”

    জামাতের বাড়বাড়ন্ত (Sheikh Hasina)

    এমন পরিস্থিতিতে পদ্মা পারে জামাতের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, “বর্তমান প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সে দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত ভারতের।” তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামি এখন ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি বলেন, “এই গোষ্ঠী প্রচুর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিয়েছে। অথচ পূর্বতন সরকার জঙ্গি কার্যকলাপের দায়ে কারাদণ্ড দিয়েছিল তাদের। হাসিনা-পুত্রের মতে, এসব মুক্তি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি জানান, ভারত সরকার এই সব ঘটনা সম্পর্কে অবগত এবং তারা এটাও বুঝতে পারছে যে এগুলির সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থেও। ওয়াজেদ এও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রাজত্বে বাংলাদেশে লস্কর-ই-তৈবার নেটওয়ার্কও আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করছে।” তাঁর দাবি, এই সংগঠন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি লস্করের বাংলাদেশ শাখা এবং দিল্লির সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে।

    ভারতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের

    তিনি বলেন (Sheikh Hasina), “এই ঘটনাগুলি ভারতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত।” তাঁর মতে, দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের মুক্তি এসব নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করেছে। ওয়াজেদ বলেন, “পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই কার্যকলাপগুলি আঞ্চলিক নিরাপত্তা অংশীদারদের কঠোর নজরদারির দাবি রাখে।” ওয়াজেদ বলেন, “বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা সন্ত্রাস-সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্ভবত কড়া নজর রাখছেন। ভারতীয় নেতৃত্ব বোঝেন যে প্রতিবেশী দেশে এই উগ্রবাদী সংগঠনগুলি ভারতের জন্যও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে (Jamaat-E-Islami)।” হাসিনা-পুত্র বলেন, “ভারত সরকার সব সময় আইনি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংবেদনশীল আঞ্চলিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করে।”

    হাসিনার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ

    এদিকে, বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ছাত্র–নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশকে ক্রমেই অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, দেশকে সম্পূর্ণ উগ্রবাদিতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, “দেশটি এখন এমন উগ্রপন্থীদের হাতে রয়েছে, যাদের পেছনে মদত রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিরও।” অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতাও প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। তাদের দাবি, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস একজন পুতুল। তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করছেন, যেভাবে তাঁকে দিয়ে করানো হচ্ছে।”

    জামাতের চিন সফর

    প্রসঙ্গত, চলতি (Sheikh Hasina) বছরের জুলাই মাসে ফের চিন সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন জামাত ইসলামির একটি প্রতিনিধি দল। ৯ সদস্যের ওই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংগঠনের প্রধান সফিকুর রহমান। মাসখানেকর মধ্যে ওটাই ছিল তাদের দ্বিতীয় চিন সফর। বাংলাদেশের ওই মৌলবাদী সংগঠনের ঘন ঘন চিনে যাতায়াতকে ভালো চোখে দেখেননি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও। তখনই তাঁরা জানিয়েছিলেন, চিন-জামাতের সখ্যতা বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য আদৌ কোনও ভালো ইঙ্গিত দেয় না। একই সঙ্গে এটি সুখকরও নয় (Jamaat-E-Islami)।

    চিনা দূতাবাসে জামাত নেতারা

    এর আগে ঢাকায় থাকা তাদের দূতাবাসে জামাত নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চিন। ওই ঘটনাকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি ভারত। কারণ জামাত প্রকাশ্যেই নানা সময় ভারত বিরোধী মন্তব্য করে থাকে। সেক্ষেত্রে চিন জামাতকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে উসকানি দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারে। যদিও এনিয়ে ভারত কিংবা বাংলাদেশের সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচন হতে পারে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ‘নৌকা’ বাদ দিয়েই। তবে এই নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব করার দাবি জানিয়েছিল জামাত। গত ১৯ জুলাই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে এনিয়ে নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, ঢাকার ওই সমাবেশ থেকেই জামাত ইসলামি জানিয়ে (Jamaat-E-Islami) দিয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার ও সংসদকে কাজ করতে হবে ইসলামি বিধি-বিধান অনুযায়ী (Sheikh Hasina)।

    এহেন আবহে হাসিনা-পুত্রের ভারতের প্রতি এই সতর্কবার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

  • Jamaat-e-Islami: কাশ্মীর হোক বা বাংলাদেশ, জামাত-এ-ইসলামির বিষ ছড়িয়েছে সর্বত্র

    Jamaat-e-Islami: কাশ্মীর হোক বা বাংলাদেশ, জামাত-এ-ইসলামির বিষ ছড়িয়েছে সর্বত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার ইসলামপন্থী সংগঠন, জামাত-এ-ইসলামি (JEI)। ভারত-বিরোধী এই ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন কাশ্মীর এবং বাংলাদেশে সক্রিয়। যাদের একমাত্র লক্ষ্য হল গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে দেশে শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করা। এদের হাতে ক্ষমতা গেলে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান হতে খুব একটা দেরি হবে না বাংলাদেশ বা কাশ্মীরের। ইসলামি শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী এই সংগঠন অমুসলিম ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতিকে ইসলাম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।

    অতীতের কথা

    স্বাধীনতার আগে, ১৯৪১ সালে পরাধীন ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় জামাত-ই-ইসলামি (JEI)। সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলামি রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়েই তৈরি হয় এই সংগঠন। ইসলামি অনুশীলনগুলিকে সংস্কার করে ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারমূল্যবোধের পরিবর্তে শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল জামাত (Jamaat-e-Islami)। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর দলটি দুটি সংগঠনে ভাগ হয়। জামাত-এ-ইসলামি পাকিস্তান ও জামাত-এ-ইসলামি হিন্দ। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জামাত-এ-ইসলামি কাশ্মীর, যা ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জামাত-ই-ইসলামি আজাদ কাশ্মীর নাম গ্রহণ করে। জামাত-ই-ইসলামি বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে পুনর্যাত্রা শুরু করে মেজর জিয়ার শাসনকাল থেকে। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামি। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির। ১৯৮০ এর দশকে পাকিস্তানি জামাত কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহে সমর্থন জোগায়।

    আরও পড়ুন: তমলুকে গড়ে ওঠে পরাধীন ভারতের স্বাধীন সরকার, ফিরে দেখা অগাস্ট ক্রান্তি দিবস

    ১৯৪৭-এর পাকিস্তান বিরোধিতার মতো তারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশেরও বিরোধিতা করেছিল। এর অন্যতম কারণ হিসেবে তারা মনে করত, পাকিস্তান ভাগ হলে বাংলাদেশ হবে ভারতের কলোনি। তাদের আরেকটি বড় অসুবিধা ছিল আদর্শিক জায়গায়। আদর্শগত কারণেই জামাতের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

    কাশ্মীরে সক্রিয় জামাত

    কাশ্মীর উপত্যকায়, জামাত ইসলামের ঐতিহ্যবাহী সুফি চর্চার সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়। সুফিরা উগ্র ইসলামকে সমর্থন করে না। এখানে ইসলামিক বিশ্বাসের সঙ্গে স্থানীয় হিন্দু ঐতিহ্যের মিশ্রণ দেখা যায়। কাশ্মীরি সুফি ঐতিহ্য এবং সুফি-সাধকেরা, যা আধ্যাত্মিক বহুত্ববাদ এবং মেলবন্ধনের জন্য পরিচিত, জামাতের আক্রমণের লক্ষ্য হয়। কাশ্মীরে সুফির পরিবর্তে কঠোর এবং রক্ষণশীল ইসলামের বিকাশ ঘটাতে থাকে জামাত। তাদের মতাদর্শ সংঘর্ষ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবকে উস্কে দেয় এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির উত্থানের পথ প্রশস্ত করে। এরা কাশ্মীরে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।

    কাশ্মীরে নিষিদ্ধ জামাত

    ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ তকমা প্রত্যাহার ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের সময়ে সংগঠনটিকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ জানিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া থেকে শুরু করে হিংসা ছড়ানো, জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এমন বহু অভিযোগ রয়েছে জামাতের বিরুদ্ধে। রয়েছে পাক যোগাযোগের অভিযোগও। তবে সম্প্রতি এই সংগঠন কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছোট বালুকণার মধ্যেও অসীমের স্পর্শ পেতেন, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা কবিগুরুকে

    বাংলাদেশে জামাতের বিস্তার

    কাশ্মীরের মতোই বাংলাদেশেও জামাতের প্রভাব সমানভাবে ধ্বংসাত্মক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময়, জামাতের আধা-সামরিক বাহিনী, রাজাকাররা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে বাঙালি নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচার চালায়, যার মধ্যে মুসলমান ও হিন্দু উভয়ই অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বর্বর অত্যাচার বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় স্থায়ী ক্ষত রেখে যায়। এর প্রভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে অস্থির করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের পর, জামাতের প্রভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিকে বারবার অস্থিতিশীল করে তুলেছে। সংগঠনটি শেখ হাসিনার ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে সরিয়ে তাদের ইসলামপন্থী এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদা সক্রিয় থাকে। বর্তমানেও সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্রমশ রাজনৈতিক বিক্ষোভের রূপ ধারণ করে, যা ছিনিয়ে নিয়েছে ধর্মান্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন আর ভারত-বিরোধী অংশ। বাংলাদেশে উৎখাত হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। শেষপর্যন্ত, বাংলাদেশ পরিচালনায় তৈরি করা হয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। যার রাশ বকলমে জামাত গোষ্ঠীর হাতেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেমনভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা হয়, ঠিক সেইভাবেই জামাত ও ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাতে-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) ও তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, ঠিক এই ভাবেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ইতিমধ্যে সেই দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, জামাত শিবিরের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ইসালামি জেহাদি সংগঠন আল-কায়দার যোগসূত্র থাকার চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত প্রকাশ্যে এনেছে।

    কী বললেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)?

    বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি নোটিশ দিয়ে এই দুই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, “জামাত (Jamaat-e-Islami) ও ছাত্র শিবিরকে এখন থেকে জঙ্গি সংগঠন ধরেই মোকাবিলা করতে হবে। আমি নিশ্চিত, নিষিদ্ধ হওয়ার পরে এরা আত্মগোপনে করবে এবং নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজ করবে। এতদিন রাজনৈতিক ভাবে জামাতের মোকাবিলার পথ চলেছিল। এখন আর উপায় নেই। এই বিপুল পরিমাণে প্রাণহানি এবং নাশকতার তদন্তে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে সাহায্য চাইব।”

    নির্বাচন কমিশন আগেই জামাতকে অবৈধ বলেছে

    প্রায় অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি একাধিক সময়ে আন্দোলন করে দাবি তুলেছেন যে, জামাতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টেও আইনি লড়াইও চলছে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ হিসেব স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাতে ইসলামিকে অবৈধ ঘোষণা করে সেদেশের নির্বাচন কমিশন। এবার, সেই দেশের সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে পাকিস্তানি সেনাদের সহচর জামাতে ইসলামিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকার।

    আরও পড়ুনঃ অশান্তির জের, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে জামাত, বড় সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার

    পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল

    সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী আন্দোলনে, সাধারণ ছাত্রদের ঢাল করে দেশব্যাপি সন্ত্রাস, প্রাণহানি, লুটপাট, ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির জন্য জামাতে ইসলামি এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বড় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গোয়েন্দারা দাবি করেন, গত তিন মাসে রাজশাহি, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, ফেনি, ফরিদপুর থেকে অন্তত পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। দাহ্য, তেল, বিস্ফোরক, দেশি অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। বাগমারা এলাকা থেকে প্রশিক্ষিত নিষিদ্ধ জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। জেএমবি সরাসরি আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত। আন্দোলনের নামে বড়সড় নাশকতামূলক ছক করেছিল এই জামাত শিবির। তাই কড়া হাতে দমনের পথেই হাঁটছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamaat-e-Islami: অ-মুসলিম মহিলাদের নিয়ে গেট টুগেদারের আয়োজন জামাতের, জল ঢালল ভিএইচপি

    Jamaat-e-Islami: অ-মুসলিম মহিলাদের নিয়ে গেট টুগেদারের আয়োজন জামাতের, জল ঢালল ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠানের পোশাকি নাম গেট টুগেদার। উদ্যোক্তা জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) হিন্দ। ওই অনুষ্ঠানে কোনও মুসলিম (Muslims) নয়, ডাকা হয়েছিল অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের। এঁদের মধ্যে যেমন কমবয়সীরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন মধ্য বয়সীরাও। তেলঙ্গানার করিমনগর এলাকায় এই অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে শুনে ততক্ষণাৎ পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) কর্মকর্তারা। এরপর পুলিশ ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। প্রত্যাশিতভাবেই বন্ধ হয়ে যায় অনুষ্ঠান।

    খবরে প্রকাশ, করিমনগরের ওই গেট টুগেদার অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ইসলামিক সংগঠন, জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) হিন্দ। সংগঠনের সদস্যরা চেয়েছিলেন গেট টুগেদারে অংশ নিন অ-মুসলিম মহিলারা। এজন্য তাঁরা ছাপিয়েছিলেন আমন্ত্রণপত্রও (Invitation Letter)। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) হিন্দের এই অনুষ্ঠানের বিষয়টি নজরে আসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। ইসলামিক ওই সংগঠনের অনুষ্ঠান বন্ধে উদ্যোগী হয় তারা। করিমনগরের পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয় সংঘের তরফে। পুলিশকে অনুষ্ঠানের অনুমতি না দিতেও অনুরোধ করা হয়। এও বলা হয়, এই গেট টুগেদারের ফল হতে পারে মারাত্মক। অশান্তির আশঙ্কায় তড়িঘড়ি অনুষ্ঠানস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। যদিও তার আগেই এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) শাখা গৌ রক্ষার সভাপতি ভুতুকুরু রাধাকৃষ্ণাণ রেড্ডির অভিযোগ, লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টার অঙ্গ হিসেবেই আয়োজন করা হয়েছিল এমন একটি গেট টুগেদার অনুষ্ঠানের। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এই অনুষ্ঠান হিন্দুদের আত্ম-শ্রদ্ধায় আঘাত হেনেছে। পুলিশ গেট টুগেদারের উদ্যোক্তা জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) হিন্দের সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক, চাইছেন রাধাকৃষ্ণাণ রেড্ডি। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলার পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদেরও কোনও মূল্যেই এমন অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share