Tag: Jamai Sasthi

Jamai Sasthi

  • Jamai Sasthi: জামাইষষ্ঠীর আগে আগুন দাম ফল-মিষ্টি থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের! নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের

    Jamai Sasthi: জামাইষষ্ঠীর আগে আগুন দাম ফল-মিষ্টি থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের! নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির ১৩ পার্বনের মধ্যে অন্যতম পার্বন হল জামাইষষ্ঠী (Jamai Sasthi)। এদিন শাশুড়িরা জামাইয়ের কল্যাণার্থে পুজো দেন এবং সারাদিন উপোস করে জামাইকে পাঁচ রকম ফল, মিষ্টি, দই এবং মাছ-মাংস ইত্যাদি হরেক পদের মাধ্যমে আপ্যায়ণ করেন। তাই জামাইষষ্ঠীর মরশুমে ধীরে ধীরে শহরের বিভিন্ন বাজার জমতে শুরু করেছে ভিড়। জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) আগে রেকর্ড দাম রয়েছে বাজারে। আম থেকে শুরু করে কাঁঠাল, লিচু, জাম এমনকি মাছের দামও রয়েছে আকাশছোঁয়া। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চিকেন, মটনের রেটও। তবে এর মধ্যেই কোথাও আগাম পছন্দসই মাছের জন্য অর্ডার চলছে, তো কোথাও দাম বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় সবজি কিনে নেওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ছেন শ্বশুর-শাশুড়িরা।

    অগ্নিমূল্য ফল-সবজির বাজার 

    এবছর আমের ফলন কম। তাই স্বাভাবিকভাবেই রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে আম। হিমসাগরের প্রতি কেজির দাম রয়েছে ১০০- ১২০ টাকা। তবে হিমসাগরের তুলনায় আরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ল্যাংরা আম। ১৪০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিকোচ্ছে এই আম। অন্যদিকে কাঁঠালের প্রতি কেজির দাম রয়েছে প্রায় ১০০- ১৫০ টাকা কেজি। বাজারে লিচু ১৫০ টাকা কেজি। জামের দামও রয়েছে আকাশছোঁয়া । প্রতি কেজি জাম বিকোচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। (Jamai Sasthi)

    অন্যদিকে, বাজারে পটল, বেগুন, করলা, মিষ্টি আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা। বাঁধাকপি, ঢ্যাঁরশ, কুমড়োর দাম ছিল কেজি প্রতি ৩০ টাকা। যার জেরে ফল থেকে শুরু করে সবজি— সব কিছুর বাজারেই রীতিমতো পকেটে টান ধরছে আমজনতার।

    আরও পড়ুন: মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ ও বয়োজ্যেষ্ঠ মন্ত্রী কারা? জানুন

    মাছ মাংসের বাজারদরও আকাশছোঁয়া (Chicken Mutton Rate)

    এবছর মটনকে টেক্কা দিচ্ছে ইলিশ। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম রয়েছে প্রায় ১৫০০ টাকা। বুধবার অর্থাৎ জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) দিন এই দাম ২০০০ টাকা ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। চিতলের পেটি ১০০০ টাকা কেজি। কাতলা মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০০ টাকা। ট্যাংরা মাছের কেজি প্রতি দাম ৫০০ টাকা। আর ভেটকির কেজি শুরুই হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে। অন্যদিকে, গলদা চিংড়ির প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৭০০ টাকা। 

    এতো গেল মাছ বাজার। তবে মাছের মতোই চড়া দাম মাংসের বাজারেও। বাজারে চিকেনের প্রতি কেজি দাম রয়েছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। অন্যদিকে, মটনের কেজি প্রতি রেট রয়েছে ৮৫০ টাকা। অর্থাৎ জামাইয়ের ভূরিভোজে (Jamai Sasthi) শ্বশুরদের সঞ্চয়ে বুধবার যে টান পড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।   

    একদিকে তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। অন্যদিকে, বাজারের এই চড়া দামে হিমশিম খাচ্ছে আজজনতা। যদিও এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দাম যতই থাকুক না কেন জামাই আদরে (Jamai Sasthi) কোনও খামতি রাখছেন না শ্বশুরমশাইরা। মন খুলে চলছে দেদার বাজারহাট। 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamai Sasthi: রাত পোহালেই জামাই ষষ্ঠী! কীভাবে চালু হল এই প্রথা? জানুন বিশেষ দিনটির তাৎপর্য

    Jamai Sasthi: রাত পোহালেই জামাই ষষ্ঠী! কীভাবে চালু হল এই প্রথা? জানুন বিশেষ দিনটির তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি হিন্দুর ষষ্ঠীর তালিকা নেহাত ছোট নয়। অশোক ষষ্ঠী, নীল ষষ্ঠী এসব তো রয়েছেই। তবে, ষষ্ঠীর মধ্যে জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) বেশ জনপ্রিয়। খাওয়া-দাওয়ার রাজকীয় আয়োজন। জামাই আপ্যায়নে ত্রুটি থাকে না কোনও শ্বশুরবাড়িতেই। সকাল থেকেই লুচি সমেত নানা ব্যঞ্জনে ভরে যায় জামাইয়ের পাত। দুপুরেও এ চিত্র বদলায় না। জামাই ষষ্ঠীকে ঘিরে ভিড় দেখা যায়, ফলের স্টলে, বাজারে, পোশাকের দোকানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামাই ষষ্ঠীর প্রথা অনেক প্রাচীন। সেই বৈদিক আমল থেকেই।

    জামাই ষষ্ঠীর বিশেষ প্রথা…

    কন্যার সুখের জন্য জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতে ব্রত পালন করেন মা। এটাই প্রসিদ্ধ জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) নামে।  জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের কবজিতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেন শাশুড়ি মা। ষষ্ঠীর ডোর বাঁধার সময় মুখে শ্বাশুড়ি ষাট-ষাট-ষাট বলেন। এরপর মঙ্গল কামনায় তেল-হলুদের ফোঁটা কপালে দিয়ে তালপাতার পাখা দিয়ে বাতাস করেন। সাবেকি ঘরানায় নতুন বস্ত্র, উপহার, ফল-ফলাদি, পান-সুপারি, ধান-দূর্বা, বাঁশের করুল, তালের পাখা, করমচা দিয়ে শাশুড়ি মায়েরা উদযাপন করেন জামাইষষ্ঠী। জামাইয়ের মাথায় ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন মেয়ের মা। জামাইকে আশীর্বাদ করে জামাকাপড় উপহার দেন। সেই সঙ্গে থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় পাঁচ রকমের গোটা ফল। পরে, দুপুরে জামাইয়ের জন্য নানা পদ সাজিয়ে দেওয়া হয়। যা নিজের হাতে রান্না করেন শাশুড়ি মা। 

    এর সঙ্গে জড়িত সংস্কার…

    বাংলার লোকায়ত দেবী মা ষষ্ঠী হলেন উর্বরতার দেবী। তাঁর আশীর্বাদে দম্পতির কোল আলো করে সন্তান আসে। সন্তান লাভ ও তাদের মঙ্গল কামনায় মা ষষ্ঠীর পুজো করে থাকেন বাংলার মায়েরা। ভারতবর্ষ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একসময় সংস্কার ছিল একটি মেয়ে যতদিন না পুত্রবতী হয়, ততদিন তার বাবা- মা কন্যা গৃহে পা রাখবেন না৷ এই ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়, সন্তানধারণে সমস্যা বা সন্তান মৃত্যুর (শিশুমৃত্যু) ফলে বাবা- মাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত মেয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য৷ সেক্ষেত্রে বিবাহিত মেয়ের মুখ দর্শনের জন্য সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নেয় জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) হিসাবে৷ যেখানে মেয়ে জামাইকে নিমন্ত্রণ করে সমাদর করা হবে ও মেয়ের মুখ দর্শন করা যাবে এবং সেই সঙ্গে মা ষষ্ঠীর পুজো করে তাঁকে খুশি করা। যাতে, মেয়ে শীঘ্র পুত্রমুখ দর্শন করাতে পারে।

    এবছর জামাই ষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) তিথি ও ক্ষণ

    প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসে শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিকে জামাই ষষ্ঠী হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর জামাই ষষ্ঠী পড়েছে ১২ জুন অর্থাৎ ২৯ জ্যৈষ্ঠ, বুধবার। আজ মঙ্গলবার, ১১ জুন সন্ধ্যা ৫/৫৮/৫৭ মিনিট থেকে ১২ জুন রাত ৭/২৪/৫২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে ষষ্ঠী তিথি।

    প্রচলিত লৌকিক কাহিনী…

    কথিত আছে, কোনও এক সময়ে কোনও এক পরিবারে, একটি বাড়ির বউ খেতে ভীষণ ভালোবাসত। বাড়িতে মাছ বা অন্য কিছু ভাল রান্না হলেই নিজে সব খেয়ে ফেলে দোষ চাপাত একটি কালো বিড়ালের ওপর। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বিড়াল হল মা ষষ্ঠীর বাহন। নিজের সম্পর্কে এই মিথ্যে অভিযোগ শুনে বিড়াল মা ষষ্ঠীর কাছে গিয়ে সব জানায়। নিজের বাহন সম্পর্কে এই মিথ্যে কথা শুনে মা ষষ্ঠী অত্যন্ত রেগে যান এবং অভিশাপ দেন (Jamai Sasthi)। এরপর মা ষষ্ঠীর অভিশাপে ওই বউ এর একটি করে সন্তান হয়, আর জন্মের কিছু পরেই তার মৃত্যু হয়। সাত পুত্র ও এক কন্যা এই ভাবে জন্মের পরেই মারা যায়। স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে তখন বউকে অলক্ষণা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বউ এরপর মনের দুঃখে বনে চলে যায়।

    …দেখা দেন মা ষষ্ঠী

    একদিন জঙ্গলে বসে একা একা কাঁদছে, এমন সময় বৃদ্ধার ছদ্মবেশ ধারণ করে তাকে দেখা দেন মা ষষ্ঠী। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বউ তখন সব সত্যিটা বলে ওই বৃদ্ধাকে। নিজের আগের অন্যায় আচরণের কথা স্বীকার করে মা ষষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চায় সে। মা ষষ্ঠী তাঁকে ক্ষমা করে দেন এবং বলেন যে ঘরে ফিরে গিয়ে ভক্তিভরে তাঁর পুজো করলে নিজের মৃত সাত পুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে। এরপর সংসারে ফিরে এসে মা ষষ্ঠীর পুজো করে নিজের সব পুত্র কন্যাদের ফিরে পায় বউ। এরপরেই ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় মেয়ে দীর্ঘদিন বাপের বাড়ি যায়নি। তাকে দেখার জন্য ব্যাকুল মা-বাবা একবার ষষ্ঠীপুজোর দিন জামাইকে সাদরে নিমন্ত্রণ জানান। জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) পুজোর দিনে সস্ত্রীক উপস্থিত হন। সেই থেকে শুরু হয় জামাই ষষ্ঠী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamai Sasthi: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে জুটল শাশুড়ির ছোড়া ইঁট, শালার গলাধাক্কা!

    Jamai Sasthi: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে জুটল শাশুড়ির ছোড়া ইঁট, শালার গলাধাক্কা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে শাশুড়ির ছোড়া ইঁটের আঘাত এবং শালার গলাধাক্কা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন জামাই। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। রাস্তাঘাটে রীতিমতো আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে এই ঘটনা। জামাই শ্বশুরবাড়ি এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানালেও অভিযুক্ত শাশুড়ি, শালা বা স্ত্রী-কেউই এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। এলাকার মানুষের কথা শুনে মনে হয়েছে, তাঁরা জামাইয়েরই পক্ষে।

    স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা নেই বছর পাঁচেক (Jamai Sasthi)

    স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা নেই বছর পাঁচেক হবে। নদিয়ার হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপ কুমার মজুমদারের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। তাঁর কাছ থেকে খোরপোষের মামলা বাবদ বেশ কিছু টাকাও নিয়েছেন স্ত্রী। আটকে রেখে দিয়েছেন তাঁর গাড়ি। দেখা করতে দেওয়া হয় না সাত বছর বয়সী একমাত্র ছেলের সাথে। বারবার বলেও হয়নি কোনও কাজ। তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর দু’নম্বর কলোনিতে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) দিন হাজির তিনি। শাশুড়ির জন্য শাড়ি, আম-কাঁঠাল, দই-মিষ্টি এবং ছেলের জন্য লজেন্স-বিস্কুট নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হল হিতে বিপরীত। তিনি যেতেই স্ত্রী চলে যান বাড়ি ছেড়ে। দরজায় তালা লাগিয়ে দেন শাশুড়ি এবং শালা। বহু ডাকাডাকির পর শাশুড়ির দেখা মিললেও প্রণাম করতে গিয়ে জুটলো ইঁটের টুকরো। ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে গেলে শালা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে দেয়। প্রতিবেশীরা দাঁড়িয়ে দেখলেও ওই পরিবারের প্রতি সকলেরই বিতৃষ্ণা রয়েছে। তাই প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও গুঞ্জন শোনা গিয়েছে, জামাই নাকি খুব ভালো।

    আইনি সমস্যায় জর্জরিত জামাই (Jamai Sasthi)

    এ প্রসঙ্গে অনুপবাবু বলেন, লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করতাম আমি। কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট এবং এমএ পাশ করাই। আমার সুপারিশে তার বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি হয়। কিন্তু সেখানেও পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে শুরু। পরবর্তীতে প্রতিবেশী একটি ছেলের সাথে গোপন সম্পর্ক whatsapp এ দেখে ফেলি আমি। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ি সহ স্থানীয় কাউন্সিলার, বিধায়ক সকলকে জানিয়েও মেলেনি কোনও ফল। তাই বাধ্য হয়েই আজকের এই সিদ্ধান্ত। খোরপোষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে এক লক্ষ টাকা নিয়েও তাঁকে আইনি সমস্যায় জর্জরিত করে রাখা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে (Jamai Sasthi) অনুপবাবুর শাশুড়ি এবং শালাকে বারংবার প্রশ্ন করলেও ক্যামেরার সামনে তাঁরা মুখ খোলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুঁচুড়ায় (Chinsurah) জামাইষষ্ঠীর দিনে ফেঁসে গেলেন জামাই। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার কাপাসডাঙ্গা এলাকায়, একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০০ কেজি বাজি আটক করলো চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    চুঁচুড়াতে (Chinsurah) কী ঘটেছিল?

    রাজ্যের একাধিক জায়গায় পর পর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার পর, রাজ্যজুড়ে অবৈধ বাজি কারখানায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় চলছে বাজি, বাজির মশলা উদ্ধার এবং ধরপাকড়। ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়ার কাপাসডাঙ্গা (Chinsurah) এলাকায়। শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথের বাজি কারখানায় তৈরি বাজি, তাঁর জামাইবাবু প্রণব দত্তের বাড়িতে রাখার জন্য গ্রেফতার হয়ে মহাবিপদে এখন জামাইবাবু ।

    পুলিশের ভূমিকায় কীভাবে উদ্ধার?

    বেশ কিছুদিন ধরে চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন থানার পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে দিন দুই আগেই চুঁচুড়া কামারপাড়ার একজনের বাড়ি থেকে ২৫ কিলো বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও হয় একজন। এরপরেই জামাইষষ্ঠীর দিন দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাপাসডাঙায় অভিযান চালায় চুঁচুড়া (Chinsurah) থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শব্দবাজি গুলো বেআইনি বাজি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে প্রণবের দাবী, ওই বাজি তাঁর নয়। তাঁর শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথ গাড়ি ভর্তি করে ওই বাজি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে রাখার জন্য। হুগলি গ্রামীন পুলিশ জেলার চণ্ডীতলা থানার বেগমপুর এলাকায় বাপ্পার বাজি কারখানা রয়েছে বলে জানিয়েছে। চন্ডিতলা থানা যেভাবে চেকিং শুরু করেছে, তাতে নিরাপদ নয় ভেবে বাপ্পাদিত্য নাথ সেখান থেকে সরিয়ে, বৃহস্পতিবার সকালেই গাড়ি করে বাজি নিয়ে আসেন চুঁচুড়ার কাপাসডাঙায়। আর সরল মনের প্রণব ওই ট্রাক ভর্তি বাজি বাড়িতে রেখে দেন। খবর মিলতেই এদিন এলাকা ঘিরে ফেলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘন্টাখানেক ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজে সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে, জানিয়েছেন চুঁচুড়া থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী। আরও কে কে এই বাজির পেছনে জড়িত, তা বর্তমানে জানার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: জামাই আদর হবে কী করে? ইলিশের গা দিয়ে তো আগুন ঝরছে!

    Hilsa Fish: জামাই আদর হবে কী করে? ইলিশের গা দিয়ে তো আগুন ঝরছে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা ধরনের মাছের চাষ ও বিক্রির জন্য গোটা বাংলা জুড়ে সুপরিচিত ও বিখ্যাত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর। জামাইষষ্ঠীর আগে গঙ্গারামপুর মাছ বাজারে আগুন ইলিশের দামে। জামাইদের আদর-আপ্যায়নে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাই এই পরিস্থিতিতে অগ্নিমূল্য বাজারদর ভাবাচ্ছে আমবাঙালিদের। কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। পাতে মাছ না পড়লে যে কোনও অনুষ্ঠানই অপূর্ণ থেকে যায় বাঙালিদের। তবে এই উৎসবে ইলিশের (Hilsa Fish) চাহিদাটাই বেশি থাকে। চলতি বছরে সেই ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত আমবাঙালি। তার প্রধান কারণ অতিরিক্ত দাম। বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে হাতে ছেঁকা খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে।

    বিভিন্ন সাইজের ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কেমন?

    মূলত, ইলিশের (Hilsa Fish) কম সরবরাহ থাকায় পাইকারি ও খুচরো বাজারে দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ইলিশের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। বাজারে এক কেজি বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৭০০-১৮০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩০০-১৪০০ টাকা। এছাড়াও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১২০০-১৩০০ টাকা মূল্যে। যদিও সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা বলছে, এই ধরনের অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে বিক্রেতারা বাড়তি মুনাফার লোভে নিজেরাই দাম বাড়িয়ে দেন। গঙ্গারামপুরের পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন মাছ বাজার, পান সমিতি মাছ বাজার, কালদিঘি ও ধলদিঘি মাছ বাজার সহ বিভিন্ন জায়গাতেও ইলিশ মাছের দাম রয়েছে চড়া। এছাড়াও জামাইষষ্ঠীর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন জিনিসেরই দাম বেড়েছে। যা কিনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাত পুড়ছে। তবুও জামাই আদরে খামতি রাখতে চান না কেউই। তাই কৃপণতা না করেই মিষ্টি-মন্ডামিঠাই সহ বাঙালির মাছের রাজা ইলিশ কিনতে গিয়ে সকলে যে হিমসিম খাচ্ছেন, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jamai Sasthi 2022:  মেয়ের মঙ্গল কামনাতেই জামাইষষ্ঠী! জানুন এর নেপথ্য কথন

    Jamai Sasthi 2022: মেয়ের মঙ্গল কামনাতেই জামাইষষ্ঠী! জানুন এর নেপথ্য কথন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। প্রতি মাসেই কোনও না কোনও উৎসব পালন করা হয়। নববর্ষ, অক্ষয় তৃতীয়ার পরই আসে জামাইষষ্ঠী। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে ষষ্ঠী তিথিতে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়। এবছর ৫ জুন, রবিবার ঘরে ঘরে পালিত হবে জামাইষষ্ঠী। ব্যস্ত সময়ে আদরের জামাইকে নিজে হাতে পঞ্চব্যঞ্জন রেঁধে খাওয়ানোর সুযোগ খুব কমই পান শাশুড়ি মায়েরা। এবছর রবিবার, ছুটির দিন তাই এমন সুযোগ কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চান না অনেকে। তবে জামাইষষ্ঠী নাম হলেও আদতে মেয়ের মঙ্গল কামনাতেই এই উসৎব পালন করা হয়। এর পিছনে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। 

    ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এক সময়ে সংস্কার ছিল যে মেয়ের বিয়ের পর তার বাবা বা মা-মেয়ের বাড়িতে ততদিন পর্যন্ত যেতে পারবেন না, যত দিন না তিনি সন্তানের জন্ম দেন। এতে সমস্যা হল — সন্তানধারণে সমস্যা বা সন্তান মৃত্যুর (শিশুমৃত্যু) ফলে কন্যার পিতামাতাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত কন্যার বাড়ি যাওয়ার জন্য৷ তাই উপায়? সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন জামাইষষ্ঠী হিসাবে৷ যেখানে মেয়ে জামাইকে নিমন্ত্রণ করে সমাদর করা হবে ও কন্যার মুখ দর্শন করা যাবে৷ আর সেইসঙ্গে মা ষষ্ঠীর পুজো করে তাঁকে খুশি করতে হবে যাতে কন্যা শীঘ্র সন্তানের মুখ দর্শন করতে পারে ৷ 

    ষষ্ঠী-পালন সাধারণত করে থাকেন মেয়েরা৷ তাঁদের কাছে এর তাৎপর্য অন্যরকম ৷ কথিত আছে — এক পরিবারে দুটি বউ ছিল৷ ছোট বউ ছিল খুব লোভী৷ বাড়ির মাছ বা অন্যান্য ভাল খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে অভিযোগ করত ‘সব কালো বেড়ালে খেয়ে নিয়েছে।’ বেড়াল মা ষষ্ঠীর বাহন ৷ তাই বেড়াল, মা ষষ্ঠীর কাছে অভিযোগ জানাল৷ মা ষষ্ঠী রেগে গেলেন৷ যার জেরে ছোট বউ-এর একটি করে সন্তান হয় আর মা ষষ্ঠী তার প্রাণ হরণ করেন৷ এইভাবে ছোট বউয়ের সাত পুত্র ও এক কন্যাকে মা ষষ্ঠী ফিরিয়ে নেন৷ ফলে স্বামী, শাশুড়ি ও অন্যান্যরা মিলে তাকে ‘অলক্ষণা’ বলে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ অথচ বড় বউ পুত্রকন্যাদের নিয়ে সুখে ঘর করতে থাকে৷

    ছোট বউ মনের দুঃখে বনে চলে যান ও একাকী কাঁদতে থাকেন৷ শেষে মা ষষ্ঠী বৃদ্ধার ছদ্মবেশে তার কাছে এসে কান্নার কারণ জানতে চান৷ সে তার দুঃখের কথা বলে৷ তখন মা ষষ্ঠী তার পূর্বের অন্যায় আচরণের কথা বললে সে মাফ চায়৷ ষষ্ঠী তাকে ক্ষমা করেন। এরপর বলেন— ভক্তিভরে ষষ্ঠীর পুজো করলে সাতপুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে৷ তখন ছোট বউ সংসারে ফিরে এসে ঘটা করে মা ষষ্ঠীর পুজো করে ও ক্রমে ক্রমে তার পুত্র কন্যাদের ফিরে পায়৷ এর থেকে দিকে দিকে ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে৷ এটাই জামাই ষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী ব্রতকথার মূল গল্প৷

    জামাইষষ্ঠী মূলত লোকায়ত প্রথা। ষষ্ঠীদেবীর পার্বণ থেকেই এই প্রথার উদ্ভব। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতে প্রথম প্রহরে ষষ্ঠীদেবীর পুজোর আয়োজন করা হয়। ষষ্ঠীদেবী মাতৃত্বের প্রতীক। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেওয়া হয় মা ষষ্ঠীর আর্শীবাদ রূপে। এরপর দীর্ঘায়ু কামনায় তেল-হলুদের ফোঁটা কপালে দিয়ে তালপাতার পাখা দিয়ে বাতাস করা হয়। ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়। সঙ্গে একটি থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় পাঁচটি বিভিন্ন রকমের গোটা ফল আর মিষ্টি। এ তো গেল পুজোর রীতিনীতি।

    জামাইষষ্ঠীর আসল চমক হল জামাইয়ের জন্য শাশুড়ি মায়ের নিজের হাতে রান্না করা পঞ্চব্যাঞ্জন। বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস, মিষ্টির এলাহি আয়োজন। এখন অবশ্য উপহার দেওয়া-নেওয়ারও একটা পর্ব থাকে। নিয়মকানুন, রীতিনীতি, খাওয়া-দাওয়া, উপহার আদান-প্রদানের ভিড়ে এই উৎসবে মিশে থাকে সারা বছর ব্যস্ততার কারণে মেয়ে জামাইকে কাছে না পাওয়া মায়ের আবেগও। জামাইও শ্বশুরবাড়ি ঢোকার সময় দই-মিষ্টি আনতে ভোলেন না। প্রণামী হিসেবে শাশুড়িকে বস্ত্রাদি দেওয়ার রীতিও রয়েছে। সাহিত্যে এদিনে শ্যালক-শ্যালিকা নিয়ে জামাইয়ের থিয়েটার দেখা, সন্ধেবেলা জামাই ঠকানোর রঙ্গতামাশার কথাও আছে।

LinkedIn
Share