Tag: Jammu Kashmir

Jammu Kashmir

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, উঠেছে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিও, কে এই ইয়াসিন মালিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ (NIA)। ইয়াসিনের আইনজীবী যাবজ্জীবনের আবেদন রাখেন। গত ১৯ মে দিল্লির এনআইএ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় ইয়াসিন।

    কে এই মালিক: ১৯৬৬ সালে শ্রীনগরে ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা মাইসুমায় জন্ম ইয়াসিন মালিকের।  তার দাবি ছিল, ১৯৮০ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (Indian security Forces) সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার পর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে। এরপর তালা পার্টি গঠন করে সে, পরে যার নাম হয় ইসলামিক স্টুডেন্টস লিগ৷ ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সময় শ্রীনগরে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে মালিক। সেই সময় মালিককে গ্রেফতার করা হয়। চার মাসের জন্য জেলও খাটে মালিক। ১৯৮৮ সালে ইয়াসিন মালিক নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) পেরিয়ে পাকিস্তানে যায়। সেখান থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসে সে।

    জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান: পাকিস্তান থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF) চেয়ারম্যান হয় মালিক। মূলত কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র জঙ্গিবাদের (armed terrorism) নেতৃত্ব দেয় সে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) বিরুদ্ধে সহিংসতার নেতৃত্বদানকারী প্রাথমিক ব্যক্তিত্বদের একজন মালিক। তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের (Mufti Mohammed Sayeed) কন্যা রুবিয়া সইদকে অপহরণের নেতৃত্বও দেয় ইয়াসিন।

    ১৯৯০ সালে চারজন সেনা অফিসারকে হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল সে। ওই বছর অগাস্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বন্দি হয় মালিক। ১৯৯৪ সালের মে মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত ছিল হিংসা ত্যাগ করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করবে মালিক। ১৯৯৫ সালে উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিবাদ করে সে। তার দাবি ছিল, গণতন্ত্রের নামে কাশ্মীরিদের উপর নির্বাচন চাপিয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্যের মামলা: অভিযোগ, দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন জেকেএলএফ। দেশের সার্বভৌমিকতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে ইন্ধন জোগাচ্ছিল তারা। জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই সংগঠনের। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নষ্ট করতে উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতামূলক কাজকর্মে ইন্ধন ছিল তাদের। তাই ২০১৯ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা (separatist leader) ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে জেলবন্দি করা হয় মালিককে। 

    ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (terror activitieds), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against government), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলা করা হয়েছিল। এনআইএ আদালতে সওয়াল করে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম করে একটি বিরাট জঙ্গিজাল বুনেছিল ইয়াসিন। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ১০ মে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন। ১৯ মে ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত।

  • Yasin Malik: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা  

    Yasin Malik: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে শান্তি বজায় রাখতে বাড়ানো হল নিরাপত্তা। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত। তার পরেই আঁটসাঁট করা হয়েছে উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    এদিন মালিককে যখন সাজা দেওয়া হচ্ছিল, তখনই উপত্যকায় বৈঠকে বসেন জম্মু-কাশ্মীর (jammu  kashmir) প্রশাসনের শীর্ষকতার্রা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF), সশস্ত্র সীমা বল (SSB), সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) এবং সেনাবাহিনীর (Indian Army) কর্তারা।

    উপত্যকার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলার সমস্যা পর্যালোচনা করতেই ওই বৈঠক হয়। পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (কাশ্মীর রেঞ্জ) বিজয় কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ওই বৈঠক। মালিকের সাজার আঁচে যাতে উপত্যকায় অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, সেই জন্য কাশ্মীরের একাংশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন সাজা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

    এদিন শ্রীনগরের (srinagar) একটি বড় অংশের ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন‍্‍ধ পালন করেন। তবে এর বাইরে গোটা উপত্যকা মোটের ওপর শান্তিপূর্ণই ছিল। গ্রীষ্মকালীন রাজধানীর ভিতরে ও বাইরে এদিন যথারীতি চলেছে সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন।

    মালিকের সাজা ঘোষণার সময় তার পৈত্রিক ভিটে মাইসুমা এলাকায় ভিড় জমায় স্থানীয় লোকজন। আজাদির পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফের একটি দলের দিকে পাথর ছুড়তে দেখা যায় তাদের। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। এই ঘটনায় সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে মাইসুমা ও তার আশপাশ এলাকায় লোকজনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেজন্য পুলিশ ও সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    এদিকে, মালিকের সাজা ঘোষণায় জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (Gupkar) এবং জাতীয় বাম দলগুলির সহযোগীদের মতে, মালিককে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দুর্ভাগ্যজনক। শান্তি উদ্যোগের জন্য একটি বড় ধাক্কা। পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশনের (PAGD) প্রধান মুখপাত্র এবং সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারগামি বলেন, এনআইএ আদালত রায় দিয়েছে, কিন্তু ন্যায়বিচার করেনি। বিজেপি এবং কর্পোরেট মিডিয়া যে জয়জয়কার প্রদর্শন করছে, তার উল্টোটা প্রমাণিত হতে বাধ্য।

    আরও পড়ুন : ইয়াসিনকে আটকে কাশ্মীরের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না…ট্যুইট আফ্রিদির

    মালিকের সাজার নিন্দা করেছে মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের (Hurriyat conference) জোটও। তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (ইয়াসিন মালিকের দল) ১৯৯৪ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

    অবশ্য এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, এটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে না, বিশেষ করে মালিকের দ্বারা নির্যাতিতদের। দলের নেতা নির্মল সিং এবং কাবিন্দর গুপ্ত এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, জেকেএলএফের (JKLF) নেতাকর্মীরা যাঁদের আত্মীয়দের খুন করেছিল, তাঁরা আশা করেছিলেন যে আদলত মালিককে মৃত্যুদণ্ড দেবে।  

     

  • Yasin Malik: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    Yasin Malik: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের মদত এবং অর্থসাহায্য মামলায় (Terror funding) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। এই ঘটনার আঁচ পড়ল ভারত-পাক  ক্রিকেট বৃত্তেও। ইয়াসিন মালিককে নিয়ে ট্যুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি (Afridi) এবং ভারতের অমিত মিশ্র (Amit Mishra)।

    ঘটনার সূত্রপাত আফ্রিদির একটি ট্যুইট থেকে। আফ্রিদি ট্যুইটে লেখেন “মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক মতামতকে চেপে রাখতে চেষ্টা করে ভারত। ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ করে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আটকে রাখা যাবে না।” এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন, “কাশ্মীরি নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বেআইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    এই ট্যুইটের পালটা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় লেগস্পিনার অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, “ইয়াসিন মালিক আদালতে নিজেই সব দোষ স্বীকার করেছেন। সবকিছু তোমার বয়সের (Shahid Afridi Age) মতো বিভ্রান্তিকর নয়।” প্রসঙ্গত, গত বছর নিজের জন্মদিনেই আফ্রিদি জানিয়েছিলেন তাঁর বয়স ৪৪ বছর। কিন্তু আইসিসির রেকর্ড অনুযায়ী শাহিদ আফ্রিদির বয়স ৪১ বছর। আবার তাঁর আত্মজীবনী অনুযায়ী, আফ্রিদির বয়স ৪৬ বছর। সেই নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিল। অমিতের ট্যুইটে ফের মাথাচাড়া দিল সেই বিতর্ক। 

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (Terror activities), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against nation), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলায় সাজা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF)  নেতা ইয়াসিনের। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, ইয়াসিন তা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। এই কারণে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয় তাকে। গত ১০ মে আদালতে দোষ কবুল করেছিলেন ইয়াসিন নিজেই। 

  • Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এই প্রথম সীমান্তাঞ্চল বাদ দিয়ে জম্মুর লোকালয়ে আসছেন মোদী। জম্মু থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সাম্বা জেলার পালি গ্রামে তাঁর সভা করার কথা। পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখার কথা তাঁর। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি ও নৌসেরা সেক্টরে  সেনা ছাউনিতে দীপাবলি পালন করেন মোদী। তবে, এই প্রথম সেনা ছাউনির বাইরে কাশ্মীরিদের মাঝে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

    তাঁর এই সফরের ঠিক দু’দিন আগে জম্মুর সেনা ছাউনির কাছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে চলল গুলির লড়াই। মোদীর সফর বন্ধ করা বা  হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্যই জঙ্গিরা ক্রমাগত জম্মুতে হামলার ছক কষছিল বলে খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। সেই মতো জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে এক জন সিআইএসএফ কর্মী নিহত এবং আরও চার জন জওয়ান আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি মারা গিয়েছে।

    সুঞ্জোয়ান এলাকায় অন্তত দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাতে সেনা জম্মু শহরের সুঞ্জোয়ান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি তল্লাশি শুরু করে। অভিযান শুরুর পরই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ও গ্রেনেড বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। গুলির আঘাতে সিআইএসএফ-এর এক সহকারি সাব ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। বাহিনীর প্রত্যুত্তরে খতম হয়েছে ২ জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র ও স্যাট ফোন।

    জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মুকেশ সিংহ বলেন, ‘‘জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার এবং হামলার ছক কষার তথ্য পেয়ে আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করি। জঙ্গি হানার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন এবং আরও কয়েকজন জন আহত হয়েছেন।  দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলেছে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালেও জঙ্গিরা সুনজবা ক্যান্টনমেন্ট হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় বেশ কিছু সেনা নিহত হন। 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ ইউসুফ দার ওরফে কান্ত্রু সহ ৪ জঙ্গি। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায় বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। তিনি জানান, বদগাম জেলার সীমানায় পাহাড় ঘেরা একটি গ্রামে প্রায় এক ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। ইউসুফের সঙ্গেই গুলিতে মারা পড়েছে আরও তিন লস্কর জঙ্গি। ঘটনায় একজন অফিসার সহ চার সেনা জওয়ান ও একজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

    বিজয় বলেন, ‘‘ইউসুফের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ মানুষকে খুনের অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে।’’ এর মধ্যে রয়েছে গত মার্চে বদগামে এসপিও (স্পেশাল পুলিশ অফিসার) মহম্মদ ইশফাক দার এবং তাঁর ভাই ওমরকে খুনের ঘটনা। গত মাসেই মহম্মদ সামির মোল্লা নামে নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান এবং তাগামুল মহিদিন নামে বদগামের এক গ্রামবাসীকেও ইউসুফ খুন করে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া গত বছর কাশ্মীর উপত্যকায় কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিককে খুনের ঘটনাতেও উঠে এসেছিল ওই লস্কর কমান্ডারের নাম। 

  • Jammu & Kashmir: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা

    Jammu & Kashmir: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গিদের হামলার শিকার ফের দুই পরিযায়ী শ্রমিক। সূত্রের খবর, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দুই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ফলে আহত অবস্থায় তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আহত দুই শ্রমিক আদতে বিহারের বাসিন্দা।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার রত্নিপোরার খারপোরা এলাকায় দুই শ্রমিককে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। ঘটনার পর দুই শ্রমিককে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা বিহারের বাটিয়া জেলার বাসিন্দা শামশাদ এবং ফাইজান কাসরি। এই বিষয়ে গতকালই কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে।


    [/tw]

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর পুলিশের এনকাউন্টারে খতম বাংলার শ্রমিক হত্যাকারী দুই জঙ্গি

    কিন্তু তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে, এখনও হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই খবর। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে বারবার জঙ্গি হামলার মুখে পড়তে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। গত মাসেই কাশ্মীরের বান্দিপোরায় এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের। ওই শ্রমিকও বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। চলতি মাসেও বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ২ সেপ্টেম্বর এই ঘটনাটি ঘটেছিল। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, আহত ওই শ্রমিক বাঙালি। তাঁর নাম মুনিরুল ইসলাম। পুলওয়ামার উগারগুন্ড এলাকায় জঙ্গিহামলার এই ঘটনাটি ঘটেছিল। চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। বাঙালি শ্রমিককে মেরে ফেলার ঘটনায় যুক্ত ছিল দুই জঙ্গি, পরে তাদেরকে শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় এনকাউন্টারে খতম করা হয়। 

  • Pulwama Encounter: পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলায় জড়িত ২ আল-বদর জঙ্গি

    Pulwama Encounter: পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলায় জড়িত ২ আল-বদর জঙ্গি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় খতম ২ আল-বদর জঙ্গি। বুধবার বিকেল থেকে মিত্রিগ্রাম এলাকায় জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়৷ তাতেই ২ জঙ্গি খতম হয়েছে। এই কথা টুইট করে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে নির্দিষ্ট সূত্র মারফৎ দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার মিতরিগাম এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে। সময় নষ্ট না করে, দ্রুত তল্লাশি অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গভীর রাতে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হানা দেয় পুলিশ, আধাসেনা ও সেনাকে নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ যৌথবাহিনী। নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি টের পেতেই এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। প্রায় রাতভর চলা এনকাউন্টার শেষে দুই জঙ্গি নিহত হয়। আহত হয়েছেন এক জওয়ানও। 

    [tw]


    [/tw]

    কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গিরা পাক মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠন আল বদরের সদস্য। তাদের নাম–আইজাজ হাফিজ ও শাহিদ আয়ুব। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং হামলায় জড়িত ছিল এই ২ জঙ্গি। ঘটনাস্থলে থেকে দু’টি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। 

     

     

     

  • Kashmir: উপত্যকায় হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালার হত্যায় জড়িত জঙ্গি নিহত

    Kashmir: উপত্যকায় হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালার হত্যায় জড়িত জঙ্গি নিহত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলগামে (Kulgam) স্কুলে ঢুকে হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালা (Rajani Bala) হত্যার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের খতম করল পুলিশ। টানা তিনদিন কুলগামে অভিযান চালিয়ে ওই দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে বলে জানান জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। তিনি জানান, এখনও দুই হিজবুল মুজাহিদিন (Hizbul) জঙ্গির খোঁজে অনন্তনাগে (Anantnag) অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

    মঙ্গলবারই শোপিয়ানে (Shopian) অভিযান চালিয়ে রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমার (Vijay Kumar) নামে কুলগামের ব্যাংক ম্যানেজার খুনে অভিযুক্ত-সহ দুই লস্কর-ই-তৈবা (Laskar-e-Taiba) জঙ্গিকে খতম করেছিল পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী। এদিনের অভিযানেও সাফল্য পায় বাহিনী। জঙ্গিদের কাছ থেকে এদিন ১৫ কেজি আইইডি (IED) উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, জঙ্গিরা উপত্যকায় বড়সড় বিস্ফোরণের ছক কষছিল। বিস্ফোরক উদ্ধারে সেই ছক বানচাল করা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কুলগামে গোপন ডেরায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, এই খবর পেয়েই মিশিপুরা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ, সেনা ও আধা সেনার জওয়ানরা। অন্যদিকে, অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায়ও পুলিশ ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই হিজবুল জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে পুলিশ।  নিহত দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের মধ্যে এক জঙ্গির নাম জুনায়েদ বাসিত ভাট। ২০১৮ সাল থেকে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল জুনায়েদ। ২০২১ সালে উপত্যকায় খুন হন বিজেপির (BJP) গ্রাম প্রধান  জিএইচ রসুল দার ও তাঁর স্ত্রী। এই খুনের নেপথ্যে ছিল জুনায়েদ। অনন্তনাগের আর এক গ্রাম প্রধানকেও গুলি করে হত্যা করে এই জঙ্গি। তৃতীয় জঙ্গির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুন: জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে জম্মুর ৩৬ বছর বয়সী মহিলা রজনী বালাকে কুলগাম জেলার গোয়ালপোরা এলাকায় সরকারি হাইস্কুলে ঢুকে  হত্যা করে জঙ্গিরা। তারপর থেকেই উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্ত ছেড়ে জম্মুতে ফিরে আসতে চান সরকারি কর্মীরা। সেই দাবি মেনে নিয়ে নিহত শিক্ষিকা রজনী বালার স্বামীকে কুলগামের স্কুল থেকে জম্মুতে বদলি করল সরকার। রজনীর স্বামী রাজকুমার লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাকে (Lt Governor Manoj Sinha) একথা জানান। এই বদলিকে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দু পণ্ডিত ও দলিত সরকারি কর্মীরা। একইসঙ্গে তাঁরা নিরাপত্তার খাতিরে সকলেরই বদলির জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন রাখেন।

LinkedIn
Share