Tag: Jammu Kashmir

Jammu Kashmir

  • Terrorist Killed J&K: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি

    Terrorist Killed J&K: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহর (Amit shah) কাশ্মীর যাত্রা ঘিরে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল ভূস্বর্গ কাশ্মীর। শাহের সফরের আগেই কাশ্মীরে হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terrorist), জঙ্গিদের পালটা আক্রমনে প্রাণ হারিয়েছেন কাশ্মীরের এক পুলিশকর্মী এবং আহত হয়েছেন সি আর পি এফ (CRPF) এর একজন জওয়ান। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরের দিন শাহের সফরের মাঝেই সন্ধ্যায় শোপিয়ানের ডাচ এলাকায় ভারতীয় সেনা জম্মু-কাশ্মীরে দুটি স্থানে এনকাউন্টার চালিয়ে নিকেশ করেছে চার জঙ্গিকে। এর মধ্যে তিন জন নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) সাথে যুক্ত এবং আজ ভোরে শোপিয়ানেরই(Sopian) মুলু এলাকায় নিকেশ করা হয়েছে আরও এক জেহাদিকে।

    [tw]


    [/tw]

    কাশ্মীরের এডিজিপি বিজয় কুমার ট্যুইট করে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছে হানান-বিন-ইয়াকুব-জামশেদ নামে এক জঙ্গি।২-ই অক্টোবর পুলওয়ামায় পুলিশ কর্তা জাভেদার আর ২৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপত্যকায় কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক খুনে যুক্ত ছিল সে।

    [tw]


    [/tw]

    শাহর উপত্যকা সফর ঘিরেই বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে প্রস্তুতি। গোয়েন্দা সূত্র (Intelligence agency) মারফত জানা যায় যে, শাহর সফর ঘিরেই জঙ্গি আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল, তাই প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যায় উপত্যকা জুড়ে। ভারতীয় সেনার লাগাতার খানা-তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র ,গ্রেনেড, গোলাবারুদ সহ বেশ কিছু নথি। উদ্ধার হওয়া নথি পুলিশ রেকর্ডে যুক্ত করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে তদন্তের কাজে ব্যবহার করা হবে। প্রশাসনের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে সেনা আর পলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় বড়সড় জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা পেল কাশ্মীর উপত্যকা (Kashmir Valley)।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    প্রসঙ্গত, ৩৭০ ও ৩৫এ হঠানোর পর থেকেই কাশ্মীরে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।প্রায় দু বছরের মতো কার্ফু জারি করা হয় জন্মূ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে। কেন্দ্র সরকার কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে ও যুবসমাজকে সমাজের মূল স্ত্রোতে ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিনই উপত্যকার পাহাড়ি মানুষদের তফসিলী উপজাতির মর্যাদা দিয়েছেন। এছাড়াও জন্মুতে ১৯৬০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করেন।

    [tw]


    [/tw]

    শাহের সফরের আগেই জম্মুতে ডিজি খুনের ঘটনায় কাশ্মীর উপত্যকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিরাপত্তাজনিত (Security) কারণেই সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ফের জঙ্গি কার্যকলাপ ভূস্বর্গ-এ ফের মাথা চাঁড়া দেওয়ায় ওয়াকিবহাল মহলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Modi In Kashmir: ‘মোদির সভায় যাবেন না’, বিদেশ থেকে হুমকি-ফোন কাশ্মীরবাসীকে

    Modi In Kashmir: ‘মোদির সভায় যাবেন না’, বিদেশ থেকে হুমকি-ফোন কাশ্মীরবাসীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদির সভায় যাবেন না।’ ঠিক এই ভাষায়ই হুমকি দেওয়া হচ্ছে কাশ্মীরবাসীকে। আন্তর্জাতিক একাধিক নম্বর থেকে কল করে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। পাঁচ বছর পরে আজ, বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Kashmir)। শ্রীনগরের বকসি স্টেডিয়ামে জনসভা করবেন তিনি। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তাই শ্রীনগরের জনসভায় তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে উপত্যকাবাসী।

    উপত্যকায় প্রধানমন্ত্রী

    ভূস্বর্গে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর এই প্রথম জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সভা হওয়ার কথা ছিল শ্রীনগরের কনভেনশন সেন্টার হলে। পরে ঠিক হয়, জনসভা হবে শ্রীনগর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বকসি স্টেডিয়ামে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায়ই যোগ না দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে উপত্যকাবাসীকে।

    নেপথ্যে আইএসআই!

    জানা গিয়েছে, এই হুমকি ফোনের নেপথ্যে রয়েছে (Modi In Kashmir) পাকিস্তানের আইএসআই। তারাই বিভিন্ন ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল ফোন থেকে হুমকি দিচ্ছে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। হুমকি ফোনে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। গেলে যে ফল ভালো হবে না, তাও শুনিয়ে দিচ্ছে ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা মানুষ। সভায় গেলে তাঁদের পরিবারের ক্ষতি করার হুমকিও দিচ্ছে জঙ্গিরা। উপত্যকাবাসীকে এই হুমকি ফোন সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।

    বকসি স্টেডিয়ামে ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত জম্মু-কাশ্মীর’ শীর্ষক সভায় বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের। এক হাজার কর্মপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্রও তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সভাই বয়কট করতে হুমকি ফোন করছে দুর্বৃত্তরা।

    আরও পড়ুুন: “বাংলার অরাজক পরিস্থিতি ঘোচানোর চেষ্টা করব”, পদ্ম-পতাকা নিয়ে বললেন তাপস

    বিজেপি নেতা ফৈয়জ আহমেদ বলেন, “স্থানীয়রা যে এমনতর ফোনকল পাচ্ছেন, তা আমি জানি। দলীয় কর্মীরাও আমায় জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের লোকজনকেও আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে যাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Kashmir) সভায় না যান।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলতে চাই, শত্রু পক্ষ ক্ষেপে গিয়েছে। তারা সংসার চালাতে পারছে না, পরিবারের সদস্যদের জেলে পাঠাচ্ছে। পরিবারকে তারা খাবার এবং শিক্ষাও দিতে ব্যর্থ। হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তারা। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের যে চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন হচ্ছে, তা মেনে নিতে পারছে না তারা। তাই দিচ্ছে হুমকি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • PM Modi: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    PM Modi: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই।” মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূস্বর্গে এদিন ৩২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ, বিজেপির জম্মু-কাশ্মীর ইউনিটের প্রেসিডেন্ট রণবীর রায়না।

    চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র

    অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না জম্মু-কাশ্মীরের মৌলানা আজাদ স্টেডিয়ামে। এদিনের অনুষ্ঠানে দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত জম্মু’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্তমানে ৪৫ হাজারেরও বেশি ছেলেমেয়ে স্কুলের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে মেয়েদেরও।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আজ জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আমার সঙ্গে কথা বলছেন এবং যে উচ্চকিত কণ্ঠে তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা নিঃসংকোচে আমায় বলছেন, তুলে ধরছেন তাঁদের সুখের কথা, এটা অভাবনীয়। আজ দেশের যে প্রান্তের মানুষই আমাদের এই কথোপকথন শুনছেন, তাঁর নৈতিকতা বোধ বৃদ্ধি পাবে, শক্তিশালী হবে বিশ্বাস।”

    মোদির গ্যারেন্টি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মোদির গ্যারান্টি চলতেই থাকবে। দেশে উন্নতি হতে থাকবে। যেভাবে কংগ্রেস কাশ্মীরকে নিয়ে রাজনীতি করেছিল, তা থেকে কাশ্মীরবাসীকে মুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিকশিত ভারতের টার্গেট বজায় রাখতে কাশ্মীরকে সঙ্গে নিয়েই চলবে বিজেপি।” তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে গত ১০ বছরে যে হারে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, তা নজির সৃষ্টি করেছে।”

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের উন্নতির পথে প্রধান বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। বিজেপি সেই বাধা অতিক্রম করেছে। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার কাশ্মীরেও সমানভাবে উন্নতি ঘটবে।” ৩৭০ ধারার ওপর একটি ফিল্ম বানিয়েছেন ইয়ামি গৌতম। সে প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি শুনেছি ৩৭০ ধারার ওপর একটি ছবি এই সপ্তাহেই মুক্তি পেতে চলেছে। এটা একটা ভালো বিষয়। চলচ্চিত্রটি দেখে মানুষ প্রকৃত তথ্য জানতে পারবেন।” ভূস্বর্গে এদিন একটি ইলেকট্রিক ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Operation Sarvashakti: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?

    Operation Sarvashakti: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর ক্রমেই ছন্দে ফিরছিল ভূস্বর্গ। ছবির মতো সাজানো এই উপত্যকায় শান্তি বিরাজ করুক, তা কখনওই চায়নি পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশটির এই অংশে নিত্য অশান্তি জিইয়ে রাখতে চায় ইসলামাবাদ। সেই কারণেই ভূস্বর্গে ফের বেড়েছে জঙ্গি উপদ্রব। জঙ্গিদের এই বাড়বাড়ন্তে পাকিস্তান ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে ‘অপারেশন সর্বশক্তি’ (Operation Sarvashakti) চালু করতে চলেছে সেনা বাহিনী। দু’ দশক আগে কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে চালু হয়েছিল অপারেশন সর্বশক্তি। ভূস্বর্গে জঙ্গি নির্মূলে এবার সেই ধাঁচেই চালু হচ্ছে অপারেশন সর্বশক্তি।

    ভূস্বর্গে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ

    ইদানিং পাকিস্তানের মদতে ভূস্বর্গে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। বিশেষত, রাজৌরি পুঞ্চ সেক্টরের দক্ষিণ পির পাঞ্জাল রেঞ্জ এলাকায়। এই অঞ্চলে শহিদ হয়েছেন প্রায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সর্বশেষ জঙ্গি-সেনা লড়াইয়ের ঘটনাটি ঘটে ডিসেম্বরের ২১ তারিখে, ডেরা কি গলি এলাকায়। সেদিন শহিদ হন চার জওয়ান (Operation Sarvashakti)। সেনা সূত্রে খবর, ২০০৩ থেকে ২০২১ এর অক্টোবর পর্যন্ত এই এলাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি।  

    কী বলছেন সেনাকর্তা?

    নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্তা বলেন, “পির পাঞ্জাল রেঞ্জের দক্ষিণে বিশেষ করে রাজৌরি পুঞ্চ সেক্টরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঠেকাতে এবার আমরা চালু করছি অপারেশন সর্বশক্তি। আশা করছি, ২০০৩ সালের মতো এবারও সাফল্য পাব আমরা।” ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে এবং জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে শুক্রবার পুঞ্চে বৈঠকে বসেছিলেন সেনার পদস্থ কর্তারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সহ পদস্থ কর্তারা। বাহিনীর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “কাশ্মীরে যেভাবে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে তাতে এই ধরনের অপারেশন ছাড়া জঙ্গিদের নির্মূল করা অসম্ভব। তাই এই পদক্ষেপ।”

    আরও পড়ুুন: “সংবিধানেই রামরাজ্যের ধারণা নিশ্চিত করা হয়েছে”, বললেন ধনখড়

    অন্য এক সেনাকর্তা বলেন, “জঙ্গি দমনে পির পাঞ্জাল রেঞ্জের দু’দিক থেকেই চালানো হবে ‘অপারেশন সর্বশক্তি’। এই অভিযানে শামিল হবে শ্রীনগরস্থিত সেনার চিনার কোর এবং নাগরোটায় স্থিত হেডকোয়ার্টারের হোয়াইট নাইট কোর।” সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি একযোগে চালাবে অভিযান (Operation Sarvashakti)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করা হবে কীভাবে? জোড়া পদ্ধতিতে জোর কেন্দ্রের

    Amit Shah: কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করা হবে কীভাবে? জোড়া পদ্ধতিতে জোর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া পরপর জঙ্গি-হামলার প্রেক্ষিতে উপত্যকা অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক (J&K Security Meet) করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং একইসঙ্গে নাশকতা নির্মূল করার কী কী কৌশল হতে পারে, তা স্থির করতে বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়। 

    দিল্লিতে শাহের দফতরে হওয়া ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা (J&K Security Meet)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, আইবি প্রধান তপন ডেকা, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি, এবং কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর প্রধানরা।

    স্পর্শকাতর অঞ্চলে বেশি বাহিনী মোতায়েন

    সূত্রের দাবি, জঙ্গিদমন অভিযানে আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ (Amit Shah)। একইসঙ্গে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের মুখপাত্র জানান, স্পর্শকাতর অঞ্চলে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপসহীন নীতি বজায় রাখবে (J&K Security Meet)।

    বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধিতে জোর

    সূত্রের দাবি, সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়ানোর ডাকও দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই প্রেক্ষিতে বৈঠকে এরিয়া ডমিনেশন-এর উপর আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপত্যকায় পুলিশ, সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও ভালো করার জন্যও বলেছেন তিনি। তিনি মনে করিয়ে দেন, সাফল্য পেতে হতে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে (J&K Security Meet)।

    স্থানীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করার ডাক

    একইসঙ্গে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করতে হলে স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের নেটওয়ার্ককে যে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করতে হবে, তাও বৈঠকে মনে করিয়ে দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এর জন্য স্থানীয়দের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতাকে বাড়ানোর পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি মনে করিয়ে দেন, কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করতে হলে স্থানীয়দের পাশে পেতেই হবে। 

    ২০২৩ সালে একাধিক সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি ও বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ ডিসেম্বর। পুঞ্চ জেলার ডেরা কি গলি সেক্টরের অন্তর্গত থানামন্ডিতে এলাকায় ভারতীয় সেনার দুটি গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই। জঙ্গিদমন অভিযান চলাকালীন চার সেনা জওয়ান শহিদ হন। আহত হন আরও ২ জন। এর আগে, নভেম্বরে রাজৌরির কালকোটে জঙ্গিদমন অপারেশন চলাকালীন দু’জন ক্যাপ্টেন-সহ পাঁচ সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। তারও আগে, মে মাসে এক মেজর পদমর্যাদার অফিসার সহ পাঁচ সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন চারমের জঙ্গলে। এক জঙ্গিও খতম হয়েছিল।

    সরকারি তথ্য বলছে, গত বছর রাজৌরি, পুঞ্চ ও রেয়াসি সেক্টরে চলা জঙ্গিদমন অভিযানে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তালিকায়, ২৮ জন জঙ্গি ও ১৯ জন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। এই ৫৪ জনের মধ্যে, ১০ জঙ্গি ও ১৪ নিরাপত্তা কর্মী সহ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজৌরিতে। পুঞ্চে ১৫ জঙ্গি ও ৫ নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং রেয়াসিতে ৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সীমান্ত পার করে অনুপ্রবেশ করার সময় সেনা-জঙ্গির এনকাউন্টার হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ। সাম্প্রতিককালে, একের পর এক জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে উপত্যকা। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণের বলি দিয়েছেন বহু সেনা জওয়ান। এই আবহে, সেনার মনোবল বাড়াতে কাশ্মীরে গেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

    ‘সেনারা আমাদের পরিবারের সদস্য’

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “প্রত্যেক সেনা সদস্যকে তাঁদের পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন ভারতীয় নাগরিকরা। প্রত্যেক ভারতীয় এটি অনুভবও করেন। কেউ যদি আপনার দিকে খারাপ দৃষ্টি দেয়, তা কোনও ভারতীয় সহ্য করতে পারে না। এই ধরনের হামলা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। নজরদারি বাড়াতে যত রকমের সমর্থন প্রয়োজন, আমাদের সরকার তা দেবে।”

    তিনি বলেন, “আপনাদের জন্য সব সময় আমাদের কোষাগারের দরজা খোলা। আমি জানি, আপনারা সবাই সজাগ থাকেন। কিন্তু আমার মতে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করছি যে, সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে সবার ওপরে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “সাধারণ মানুষের কাছে আপনারা কতটা মূল্যবান, তা আমায় আলাদা করে বলতে হবে না। কোনও জওয়ান শহিদ হলে তাঁর জন্য যত ভিড় হয়, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতেও তত লোক হয় না।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    ‘‘মানুষেরও মন জয় করুন…’’

    এদিকে, গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনাবাহিনীর এক কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়। ওই ঘটনায় শহিদ হন চার সেনাকর্মী। জখম হন দুজন। ঘটনার পরে পরেই স্থানীয় কয়েকজনকে আটক করে সেনা। পরে দেহ উদ্ধার হয় তিনজনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, সেনা হেফাজতেই মৃত্যু হয়েছে ওই তিনজনের। শুরু হয়েছে তদন্ত। সেনাকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আপনারা দেশের রক্ষক। কিন্তু আমি আপনাদের বলব, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের মন জয় করার দায়িত্বও রয়েছে আপনাদের। এমন কোনও ভুল করা উচিত নয়, যাতে কোনও ভারতীয় নাগরিকের ক্ষতি হয়। আমাদের যুদ্ধে জিততে হবে ঠিকই, সন্ত্রাসবাদীদেরও নির্মূল করতে হবে। তবে তার চেয়েও বড় উদ্দেশ্য হল, মানুষের মন জয় করা। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের মন জয় করার দায়িত্বও আপনাদের। আমরা যুদ্ধ জিতব, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হৃদয়ও জয় করতে হবে। আমি জানি, আপনারা এজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।”

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • J-K Terror Attack: পুঞ্চে সেনা-ট্রাকে পুলওয়ামার ধাঁচে হামলা জঙ্গিদের, শহিদ ৫ জওয়ান

    J-K Terror Attack: পুঞ্চে সেনা-ট্রাকে পুলওয়ামার ধাঁচে হামলা জঙ্গিদের, শহিদ ৫ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। আবারও পুলওয়ামা ধাঁচে সেনা কনভয়ে হামলা চালালো জঙ্গিরা (J-K Terror Attack)। পুঞ্চে ডেরা কি গলি (Poonch Terror Attack) এলাকায় হওয়া এই হামলায় শহিদ হলেন সেনার ৫ জওয়ান। আহত হয়েছে চিকিৎসাধীন আরও কয়েকজন।

    ঠিক কী ঘটেছে? 

    জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত থেকে সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছিল ডেরা কি গলি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হচ্ছিল। পথেই, পৌনে ৫টা নাগাদ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের (Rashtriya Rifles) একটি জিপ এবং ট্রাকের উপরে অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা (J-K Terror Attack)। জানা গিয়েছে, হামলায় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করে জঙ্গিরা। সেনা সূত্রে খবর, সুরনকোট থানার অধীন বাফলিয়াজ থেকে রাজৌরির দিকে যাচ্ছিল সেনার গাড়ি দু’টি। বাফলিয়াজ এবং ডেরা কি গলির মাঝে ধতয়ার মোড়ে একটি পাহাড়ের উপরে লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। এই অঞ্চলটি গভীর জঙ্গলে ঘেরা। কাছে টোপা পীর অঞ্চলের কাছে একটি সঙ্কীর্ণ পাহাড়ি বাঁকের মুখে সেনার জিপ এবং ট্রাকের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা (Poonch Terror Attack)। 

    হামলার নেপথ্যে লস্কর?

    বিস্ফোরণের পাশাপাশি, সেনা লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর দুপক্ষের মধ্যে লড়াই হয়। গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিন জওয়ান (J-K Terror Attack)। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুঞ্চের জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিক এবং সেনা আধিকারিকরা। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এক জওয়ান সেখানে মারা যান। শুক্রবার সকালে আরও এক আহত জওয়ানের মৃত্যু হয়। হামলার দায় নিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (পিএএফএফ)। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের অনুমান, পুলিশ বুধবার ভোররাতে পুঞ্চেরই সুরানকোটে (Poonch Terror Attack) রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর শিবিরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই দলটিই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত থাকতে পারে। 

    পুলওয়ামা-ধাঁচে হামলা

    ২০০৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই অঞ্চলটি মূলত সন্ত্রাসবাদ মুক্ত ছিল। এরপর ঘনঘন সংঘর্ষ শুরু হয়। গত মাসে রাজৌরি জেলারই কালাকোটে সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক বিশেষ বাহিনী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়েছিল (J-K Terror Attack)। সেই ঘটনায় সেনার দুই ক্যাপ্টেন সহ পাঁচ সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। তার আগে, চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে রাজৌরি-পুঞ্চ অঞ্চলে জোড়া হামলায় শহিদ হন ১০ জওয়ান। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছিল। সিআরপিএফের কনভয়ে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। ওই নাশকতায় মৃত্যু হয় ৪০ জন জওয়ানের। ভয়ঙ্কর সেই বিস্ফোরণের ধাঁচেই এবারও নিশানা করা হয় সেনার ট্রাককে (Poonch Terror Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: “জম্মু-কাশ্মীরকে অন্য রাজ্যগুলোর সমতুল করতেই ৩৭০ ধারা”, বললেন বিচারপতি কাউলও

    Supreme Court: “জম্মু-কাশ্মীরকে অন্য রাজ্যগুলোর সমতুল করতেই ৩৭০ ধারা”, বললেন বিচারপতি কাউলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়। সোমবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, সংবিধান মেনেই উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    কী বললেন বিচারপতি কাউল?

    এদিনই ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে অন্য একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউল জানান, ১৯৮০ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিচারপতি কাউল বলেন, “ভূস্বর্গে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র নয় এমন কলাকুশলীদের দ্বারা যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তার তদন্তে যে নিরপেক্ষ ট্রুথ ও রিকনসিলিয়েশন কমিটি গড়া হয়েছে, আমি তা অনুমোদন করেছিলাম। ১৯৮০ সাল থেকে ওই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে। সমন্বয় সাধনের যেসব পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে, আমি তাও অনুমোদন করি।”

    ‘ভূস্বর্গের ক্ষতগুলো নিরাময়ের প্রয়োজন’

    তিনি (Supreme Court) আরও বলেন, “সামনের দিকে এগোতে গেলে ভূস্বর্গের ক্ষতগুলো নিরাময়ের প্রয়োজন। সেখানকার বাসিন্দারা আন্তঃপ্রজন্মীয় ট্রমায় ভুগছেন। তাঁদের ক্ষত নিরাময় করতে গেলে প্রথমে জানতে হবে সেখানে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র নয় এমন কলাকুশলীদের দ্বারা যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে, সে সম্পর্কে।” বিচারপতি কাউল বলেন, “৩৭০ ধারার উদ্দেশ্যই ছিল, জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর সমতুল করে তোলা। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার অনুমোদনকে এভাবে দেখা ঠিক হবে না যে, এটা কোনও আলাদা অঙ্গরাজ্য।” তিনি বলেন, “৩৬৭ ধারা ব্যবহার করে ৩৭০ ধারার সংশোধন করার সময়ও আমি বলেছি, যখনও কোনও পদ্ধতি নিয়ে কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়, তখন তা অনুসরণ করতে হয়। পিছনের দরজা দিয়ে সংশোধনী আনা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয় (Supreme Court)।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানি যোগ! ১০ দিনে ৫২জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। যার জেরে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ পায়। এনিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়। সোমবার ওই মামলায় রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়”, বললেন শাহ, জানালেন বিধানসভার আসন সংখ্যাও

    Amit Shah: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়”, বললেন শাহ, জানালেন বিধানসভার আসন সংখ্যাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় আমরা ২৪টি আসন সংরক্ষিত রেখেছি। কারণ ওটা আমাদের জায়গা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়।” বুধবার সংসদে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিধানসভা কেন্দ্রের বিন্যাসের কথাও ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।

    কাশ্মীর ভারতেরই

    পাকিস্তানের পাশাপাশি তামাম বিশ্বকেও পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, ফের একবার সেই বার্তা দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মনোনীত সদস্যদের তালিকায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একজন প্রতিনিধিকেও রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য বিধানসভায় মোট ২৫টি আসন সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “আগে জম্মুতে মোট ৩৭টি আসন ছিল। এখন ৪৩টি আসন হয়েছে। কাশ্মীরে আগে ছিল ৪৬টি আসন। এখন হয়েছে ৪৭টি। আর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন আমরা সংরক্ষিত রেখেছি।”

    কলেবর বাড়ল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আগে মোট আসন ছিল ১০৭টি। এখন সেটা বেড়ে হল ১১৪টি। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মনোনীত সদস্যের সংখ্যা ছিল দুই। সেটা বেড়ে হবে পাঁচ। তিনি বলেন, “এখন থেকে কাশ্মীরের দুই বাসিন্দাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে একজন হবেন মহিলা। আর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একজনকে মনোনয়নের জন্যও আসন সংরক্ষিত রাখা হবে।” মনোনীত সদস্যের একটি পদ কাশ্মীরের উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    এদিন লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল’ ও ২০২৩ সালের ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিল’ নিয়ে আলোচনার সময় নেহরুকেও নিশানা করেন শাহ। বলেন, “আমি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে বলছি, যখন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন যে দুটি ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরকে দশকের পর দশক ধরে সেই ভুলের ফল ভুগতে হয়েছে।” তিনি বলেন, “সব থেকে বড় ভুল হল, আমাদের সেনা জিতছিল। কিন্তু পঞ্জাবের কাছে যেতেই সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জন্ম হয়েছিল। যদি তিনদিন পরে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করা হত, তাহলে ভারতের মধ্যেই থাকত (Amit Shah) পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর। দ্বিতীয়ত, আমাদের (কাশ্মীর) ইস্যুকে রাষ্ট্রসংঘে নিয়ে যাওয়ার ভুলও করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুুন: সলমন-মুখ্যমন্ত্রী ‘ডুয়েট’, মমতাকে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা শুভেন্দুর, আক্রমণ গিরিরাজেরও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • NIA Terror Probe: ভূস্বর্গকে ফের আশান্ত করতে তৎপর পাকিস্তান! এনআইএ-র হাতে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ

    NIA Terror Probe: ভূস্বর্গকে ফের আশান্ত করতে তৎপর পাকিস্তান! এনআইএ-র হাতে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে কি ফের ফিরছে নাশকতার কালো মেঘ (Terrorism in Jammu Kashmir)? প্রশ্নটা উঠছে কারণ সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি সে-জঙ্গি এনকউান্টারের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে জম্মু কাশ্মীর উপত্যকা। বাহিনী সজাগ থাকায় (NIA Terror Probe) জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল হলেও, প্রাণ গিয়েছে একাধিক বীর সেনানীর। অনন্তনাগ হোক বা রাজৌরি— জঙ্গিরা যে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে এদেশে নাশকতার জাল বিছোতে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ঠিক যেমন বেশ কিছুদিন চুপ করে থাকার পর ফের কাশ্মীর দিয়ে সীমান্তপার সন্ত্রাস চালাতে তৎপর হয়েছে পাকিস্তান।

    পাকিস্তান থেকে লাগাতার অনুপ্রবেশ

    জঙ্গি-নেতারা যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে কাশ্মীরে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Terrorism in Jammu Kashmir) করে চলেছে এবং সেখান থেকেই যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, এটা আগে তো জানা ছিলই। তবে, এই মর্মে নতুন তথ্যপ্রমাণও হাতে পেয়েছেন এদেশের গোয়েন্দারা (NIA Terror Probe)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজৌরির ধাংরি গ্রামে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আইইডি বিস্ফোরণে ৭ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। এর পর এপ্রিল মাসে পুঞ্চে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলায় পাঁচ জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তথা অনুসন্ধানকারী সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, এই দুই ঘটনাতেই একই জঙ্গিরা জড়িত ছিল। 

    স্থানীয়দের মদত পেয়েছিল জঙ্গিরা!

    এনআইএ তদন্তে উঠে আসে, জঙ্গিরা স্থানীয়দের মদত পেয়েছিল। হামলার পর তারা আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিসার আহমেদ ও মুস্তাক হোসেন নামে দুজনকে পাকড়াও করে এনআইএ। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, পুঞ্চের বাসিন্দা এই দুজনই ধাংরি হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সাহায্য করেছিল। ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে এনআইএ-র হাতে (NIA Terror Probe)। জানা যায়, নিসারের সঙ্গে লস্কর হ্যান্ডলার আবু কতল ওরফে কতল সিন্ধির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। নিসারকে আগও গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২ বছর জেলে কাটিয়ে ২০১৪ সালে সে ছাড়া পায়। 

    গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে জঙ্গিদের ইনফর্মার হিসেবে নাকি কাজ করত এই নিসার (Terrorism in Jammu Kashmir)। ধাংরিতে হামলার ঘটনায় তাকে ডেকেও পাঠিয়েছিল পুলিশ। এনআইএ-কে নিসার জানিয়েছে, দুই জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল আবু কতল। এর পর মুস্তাক হোসেনকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ওই ২ জঙ্গির জন্য গুহার মধ্যে একটি গোপন আস্তানা তৈরি করে দিতে। ওই জঙ্গিদের বাড়িতে তৈরি খাবার দিয়ে আসত নিসার। 

    নির্দেশ দিয়েছিল পাক হ্যান্ডলাররা

    এনআইএ জানিয়েছে (NIA Terror Probe), জেরায় নিসার দাবি করেছে, এপ্রিলে সেনার ওপর হামলার ২ দিন আগে ওই জঙ্গিরা ২২টি রুটি চেয়ে পাঠায়। সেই মতো, সে রুটি পৌঁছে দেয়। এর পর জঙ্গিরা তাকে না জানিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এনআইএ জানিয়েছে, এর পরই পুঞ্চের ভিম্বর গলি-সুরানকোট সড়কের ওপর ভাট্টা দুরিয়াঁর কাছে ঘটা হামলার খবর আসে (Terrorism in Jammu Kashmir)। গোয়েন্দাদের মতে, পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর-ই-তৈবা হ্যান্ডলারদের নির্দেশ অনুযায়ী এই হামলাগুলো চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সইফুল্লাহ ওরফে সাজিদ জট্ট, আবু কতল এবং মহম্মদ কাসিম নামে তিন লস্কর হ্যান্ডলার পাকিস্তান বসে জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share