Tag: Jammu Kashmir

Jammu Kashmir

  • Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসে রচিত হল ইতিহাস। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথমবার জাতীয় পতাকা (National Flag) উড়ল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার ত্রালে। রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day 2025) ত্রালের ট্রায়াল চকে উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় ত্রালের আকাশ-বাতাস। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তত হাজার খানেক মানুষ। এর সিংহভাগই তরুণ।

    তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি (Republic Day 2025)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ঐক্যবদ্ধ ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের আশা-আকাঙ্খা প্রকাশ করছে। এই ত্রাল এক সময় প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসত অশান্তির কারণে। এদিন সেখানেই মেঘমুক্ত আকাশে পতপত করে উড়তে থাকে ভারতের গর্বের প্রতীক তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)। রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের উদ্যোগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে উদযাপিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিনের অনুষ্ঠান স্থানীয় সম্প্রদায় ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। নয়া কাশ্মীরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ।

    পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। সেনা কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই ত্রালই সাক্ষী রইল দিন বদলের। প্রথমবার জাতীয় পতাকা উড়ল ত্রালের আকাশে।

    এদিন সন্ধেয় গান্ডারবল জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলি সাজানো হয়েছিল তেরঙ্গা আলোকমালায় (Republic Day 2025)। গান্ডারবল মিনি সেক্রেটারিয়েট এবং দুদারহামা ব্রিজ জাতীয় পতাকার উজ্জ্বল রঙে রাঙানো হয়। লালচকের প্রতীকী ঘণ্টাঘরও ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তেরঙ্গা আলোয় সাজানো হয়েছিল (National Flag)।

    কী বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী?

    জম্মু-কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী শ্রীনগরের বখশি স্টেডিয়ামে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, “এটি আমার জন্য গর্বের বিষয়। আজ আমি জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমায় এই বখশি স্টেডিয়ামে তেরঙ্গা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছেন। আমরা এই সংবিধানের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছি। বিশেষ মর্যাদার বিষয়ে, এটি আমাদের দাবি ছিল এবং চিরকাল থাকবে।”

    তেরঙ্গা উড়ল ছত্তিশগড়েও

    এই যদি জম্মু-কাশ্মীরের ছবিটা হয়, তাহলে প্রায় একই ছবি দেখা গিয়েছে একদা মাও- অধ্যুষিত ছত্তিশগড়েও। এদিন সেখানকার বিভিন্ন জায়গায়ও উড়েছে তেরঙ্গা ঝান্ডা। বিজাপুর, সুকমা, কাঁকের এবং নারায়ণপুর জেলার ২৬টি প্রান্তিক গ্রামে উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এই সব এলাকায় উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। ওই গ্রামগুলি এক সময় মাওবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

    সুকমা জেলার তুমালপাড় গ্রামে, ৭৪তম ব্যাটালিয়নের সিআরপিএফের কমান্ড্যান্ট নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামটি একসময় মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল। মাওবাদীদের দমন করে শিবির স্থাপন করে নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে (National Flag)।

    মাও ঘাঁটিতেই উড়ল জাতীয় পতাকা

    একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সুকমার গোমগুডা, দান্তেওয়াড়ার গোডামের ফুন্দারি এবং বিজাপুরের কোন্ডাপল্লি গ্রামেও (Republic Day 2025)। এক সময় এই গ্রামগুলিও মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এই জায়গায়গুলিতেও এবারই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামগুলিতে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রচুর গ্রামবাসী অংশ নেন। এই সব অঞ্চলে যখন মাওবাদীদের রমরমা ছিল, তখন স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করার কথা ঘোষণা করত মাওবাদীরা। বনপার্টির ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত্র গ্রামবাসীরা পালন করতে পারতেন না এই দুই জাতীয় উৎসব। মোদি জমানায় মাও দমনে কোমর বেঁধে নামে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মাওবাদীরা। সম্প্রতি ১৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করে নিরাপত্তাবাহিনী। তার পরেই এবার উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)।

    মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

    এলাকার পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই রবিবার মাওবাদী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে তেরঙ্গা উত্তোলন হওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি বিকাশমান ছত্তিশগড়ের নতুন বস্তার, পরিবর্তিত বস্তার।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি আরও বলেন, “আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের এই শুভ দিনে, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বিজাপুর, নারায়ণপুর, সুকমা এবং কাঁকেরের ২৬টি মাওবাদী-প্রভাবিত গ্রামে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়েছে। এটি এক অনন্য আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক তৃপ্তির বিষয় (National Flag)। প্রজাতন্ত্র দিবস গর্বের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে (Republic Day 2025)।”

  • Vande Bharat Express: নজির গড়ল ভারতীয় রেল, বিশ্বের উচ্চতম সেতুর ওপর দিয়ে চলল বন্দে ভারত

    Vande Bharat Express: নজির গড়ল ভারতীয় রেল, বিশ্বের উচ্চতম সেতুর ওপর দিয়ে চলল বন্দে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশ ছোঁয়া বিশ্বের উচ্চতম রেল ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চালালো ভারতীয় রেল। এ যেন এক নতুন রেকর্ড গড়ল বন্দে ভারত ট্রেন। জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) চেনাব রেল ব্রিজ এবং প্রথম কেবল সেতু আঞ্জি খাড় হল দেশের উচ্চতম রেল সেতু। প্রথমবারের জন্য রেলের (Vande Bharat Express) ট্রায়াল সম্পন্ন হওয়ার চিত্র এবং ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। রেলযাত্রীরা অত্যন্ত উৎসাহী হয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিনিময় করে যাত্রার করার মত বিনিময় করেছেন।

    চারপাশে যদি সাদা বরফে ঢেকে যায় তবুও চলবে ট্রেন (Vande Bharat Express)

    জানা গিয়েছে, শ্রীমাতা বৈষ্ণো দেবী কাটার স্টেশন থেকে শ্রীনগর স্টেশন (Jammu Kashmir) পর্যন্ত এই ট্রেনর ট্রায়াল (Vande Bharat Express) সম্পন্ন হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়া এবং ভূ-প্রকৃতি যেহেতু বাকি রাজ্যের তুলনায় একে বারে অন্যরকম তাই সেই বিষয়কে মাথায় রেখে ভারতীয় রেল বন্দে ভারত একপ্রেস বিশেষ ভাবে চালানোর পরিকল্পনা করেছে। যে ট্রেনটি চালানো হবে তার গাড়ি নম্বর ২৪৪০২৭ এবং ১৩৬ টি বন্দে ভারত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই গাড়ি মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও অনায়াসে ছুটতে পারবে এই ট্রেন। এমনকি লাইনের চারপাশে যদি সাদা বরফে ঢেকে যায় তাহলেও এই ট্রেন ছুটে যাবে অনায়সে। এই ট্রেন হবে সেমি হাই স্পিড এক্সপ্রেস।

    উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    জানা গিয়েছে ট্রেনটি (Vande Bharat Express) শনিবার সকাল ৮ টায় কাটরা থেকে রওনা দেয় এবং কাশ্মীরের শেষ স্টেশন শ্রীনগরে পৌঁছায় সকাল ১১টায়। ১৬০ কিমি পথ পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৩ ঘণ্টা। এই ট্রেনে রয়েছে অ্যাডভান্স হিটিং সিস্টেম, যা ট্রেনের জলকে কোনও ভাবেই বরফ হতে দেবে না। একই ভাবে বায়ো-টয়লেট ট্যাঙ্কও রয়েছে এই ট্রেনে। সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার পর ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাটরা-বারামুল্লা (Jammu Kashmir) রুটে এই ট্রেন চলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন এক জওয়ান (Jammu Kashmir)। সোমবার দুপুরে ওই জওয়ানের শহিদ হওয়ার (Army Personnel Killed) খবর জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। রবিবার গভীর রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায়।

    জঙ্গিদের ডেরায় হানা (Jammu Kashmir)

    জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পেয়ে রবিবার গভীর রাতে হানা দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ছুড়তে শুরু করে গ্রেনেডও। গুলিবিদ্ধ হন ওই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে জঙ্গিদের ওই আস্তানা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় গুলির লড়াই চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের সন্ধানে এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করেছে সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ।

    ৬ মাসে খতম ২৩ জঙ্গি

    ডিসেম্বরের ২১ তারিখ সন্ধ্যায় সোপোরের ডাঙ্গিওয়াচা এলাকায় জঙ্গিদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি একে সিরিজের রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ২৫০ রাউন্ড গুলি। জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাস থেকে পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ২৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শহিদ হয়েছেন বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান। এঁদের মধ্যে কাশ্মীরে শহিদ হয়েছেন ৬ জন। আর জম্মুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।

    আরও পড়ুন: ভারতের শক্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে একতার মধ্যে, মনে করেন মোহন ভাগবত

    এদিকে, ফি বার (Jammu Kashmir) শীতে তুষারপাতের আগে রাজৌরি এবং পুঞ্চের জঙ্গল দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেই কারণেই প্রতিবারের মতো এবারও গত কয়েক মাস ধরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ওই সব অঞ্চলের জঙ্গলে। অনুপ্রবেশ রুখতে প্রাণপণ করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তার পরেও নিরাপত্তার ফাঁক গলে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে অশান্তি জিইয়ে রাখতেই পাকিস্তান মদত (Army Personnel Killed) দেয় এই অনুপ্রবেশে (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে ‘স্বপ্ন সফল’ কাশ্মীরের, খুলে গেল জেড-মোড় সুড়ঙ্গ

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে ‘স্বপ্ন সফল’ কাশ্মীরের, খুলে গেল জেড-মোড় সুড়ঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রমাণ হল যে, মোদি (PM Modi) হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে খুলে গেল শ্রীনগর-লাদাখের সংযোগ পথ জেড-মোড় টানেল (Z Morh Tunnel in Sonamarg)। এই টানেলকে ঘিরে উপত্যকায় উৎসবের আমেজ। সাধারণের সঙ্গে সেই উৎসবে পা মিলিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সোনমার্গের এই সুড়ঙ্গের হাত ধরে কাশ্মীরে বদলের হাওয়া। এর ফলে সব ঋতুতেই কাশ্মীর ও লাদাখের যোগাযোগ খুলে যাবে। বাড়বে পর্যটন। উন্নত হবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খুব সহজেই বাধা বিপত্তিকে এড়িয়ে লাদাখের একাধিক সেনাঘাঁটিতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী-সহ সেনাদের জন্য খাবার ও ওষুধপত্র পৌঁছানো সহজ হয়ে যাবে।

    টানেল পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

    সোমবার সোনমার্গে জেড মোড় টানেলের (Z Morh Tunnel in Sonamarg) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি এবং জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং অন্যান্য আধিকারিকরা৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি টানেলের পূর্ব পোর্টালে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী টানেল পরিদর্শন করেন। রুটম্যাপ এবং নির্মাণকাজ নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে চান। নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিক এবং নির্মাণকাজে যুক্ত থাকা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাঁরা চূড়ান্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও টানেল তৈরির কাজ করে গিয়েছেন। আজ টানেল উদ্বোধনের পরে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    সারা বছর সোনমার্গ

    জোজিলা টানেল প্রকল্পের প্রথম ধাপ হিসেবে জেড-মোর টানেলটি নির্মিত হচ্ছে। ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি শ্রীনগর ও সোনমার্গের মধ্যে সারা বছর যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করবে। শীতকালে প্রবল তুষারপাতের জন্য বাকি উপত্যকার সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সোনমার্গ। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে এই টানেলের মাধ্যমে। জেড-মোড় টানেলের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সোনমার্গ সারা বছর পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সোনমার্গ এখন একটি দুর্দান্ত স্কি রিসর্টে পরিণত হতে চলেছে। স্থানীয় লোকজনকে শীত উপভোগ করতে আর বাইরে কোথাও যেতে হবে না। 

    কমবে শ্রীনগর থেকে কার্গিল-লেহ ভ্রমণের সময়

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৬৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই সুড়ঙ্গ পথ তৈরিতে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে খুলে যাবে কাশ্মীরের জোজিলা পাসও। যার মাধ্যমে লাদাখের সঙ্গে শ্রীনগরের পথের দূরত্ব ৪৯ কিলোমিটার থেকে কমে নেমে আসবে ৪৩ কিলোমিটারে। এর ফলে শ্রীনগর থেকে কার্গিল-লেহ ভ্রমণের সময়ও আগের তুলনায় অনেকটা কমে যাবে। সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে এই টানেলের উদ্বোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    উপত্যকায় উন্নয়নযজ্ঞ

    উপত্যকায় উন্নয়নযজ্ঞ দেখে আবেগে ভাসছেন সেখানকার বাসিন্দারাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই জম্মু-কাশ্মীরের স্বপ্ন সফল হয়েছে, বলে দাবি করেন এক বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ‘আজ বিরাট খুশির দিন। এই সুড়ঙ্গের হাত ধরে ভোল বদলে যাবে কাশ্মীরের। লাদাখ যাওয়ার রাস্তা আরও সহজ হবে। বাড়তি শক্তি পাবে প্রতিরক্ষাও।’ ইতিমধ্যে এই সুড়ঙ্গের উদ্বোধন ঘিরে বদলে গিয়েছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক আবহাওয়াও। এদিন উপত্যকায় সুড়ঙ্গ উদ্বোধন করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর তার আগেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পর্ব সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আসেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। দিল্লির সঙ্গে যে সহযোগিতার সমীকরণেই নেমেছেন তিনি, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

    কবে খুলবে টানেল

    জানা গিয়েছে, টেস্ট রান এবং প্রযুক্তিগত সিস্টেম ইনস্টলেশনের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই এই টানেল সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। জেড-মোড় টানেল জোজিলা টানেলের জন্য এক বড় পদক্ষেপ। এই টানেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড।  ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল টানেলের নির্মাণকাজ। গান্দেরবল জেলায় নির্মিত এই টানেল কৌশলগত ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে সীমান্ত সড়ক সংস্থা (বিআরও) এই সুড়ঙ্গের কাজ শুরু করে। প্রকল্পটি টানেলওয়ে লিমিটেডকে দেওয়া হয়েছিল। পরে এটি জাতীয় মহাসড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হয়। এটি জরুরি অবস্থার জন্য একটি সমান্তরাল ৭.৫-মিটার-প্রশস্ত এস্কেপ প্যাসেজ দিয়ে সজ্জিত।

    আরও পড়ুন: পুজো দিলেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে, মহাকুম্ভে স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন এখন কমলা

    পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

    যেখানে জেড-মোড় টানেল তৈরি করা হয়েছে, সেখানে শীতকালে প্রবল তুষারপাত হয়ে থাকে। আশঙ্কা থাকে তুষারঝড়েরও। ফলে বছরের একটা বড় সময় সোনমার্গ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকত। এখন টানেল তৈরি হয়ে যাওয়ার ফলে যে কোনও আবহাওয়া, প্রবল তুষারপাত সত্ত্বেও সোনমার্গে পৌঁছানো যাবে। তাতে সবদিক থেকে লাভ হবে। সোনমার্গের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হল পর্যটন। আর নয়া টানেলের ফলে সারা বছর সোনমার্গে আসতে পারবেন পর্যটকরা। স্থানীয় মানুষের আয় আরও বাড়বে। টানেল উদ্বোধনের দিন অনেক আশা নিয়ে শ্রীনগরের এক ট্যুর অপারেটর বলেন, “সোনমার্গ আমাদের পর্যটন প্যাকেজের অন্যতম আকর্ষণ। জেড-মোড় টানেল চালু হলে শীতকালেও পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাব। কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে এটা বিপ্লব আনবে।”

    প্রতিরক্ষা-সামরিক দিক থেকে গুরুত্ব

    মূলত সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নতির লক্ষ্যে এই টানেল তৈরি হয়েছে। এর ফলে লাদাখের সঙ্গে সংযোগ আরও দৃঢ় হবে। এই টানেলের ফলে শীতকালেও সহজেই পৌঁছানো যাবে কার্গিল, লেহ্-এর মতো সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। ২০২৮ সালের মধ্যেই জোজিলা টানেলের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর তারপরই কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে লাদাখের দ্রাসে অনায়াসে পৌঁছানো যাবে। পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গে সীমান্ত আছে লাদাখের। সেখানে বছরভর সামরিক সরঞ্জাম, দৈনন্দিন জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই দুটি টানেলকে ব্যবহার করা হবে। সহজেই লাদাখে পৌঁছে যেতে পারবেন জওয়ানরা। ওই অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে আকাশপথের উপরে অনেকটা নির্ভর করতে হত, সেটা কমে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরের জঙ্গলে বাহিনীর রাতভর অভিযানে খতম ১ জঙ্গি, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরের জঙ্গলে বাহিনীর রাতভর অভিযানে খতম ১ জঙ্গি, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগরে (Jammu Kashmir) কাছে ডাচিগামের জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গি খতম (Terrorist Killed) হয়েছে। ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    জঙ্গলে চলছে চিরুনি তল্লাশি

    সোমবার রাতে একদল সশস্ত্র জঙ্গিকে ডাচিগাম জঙ্গলে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখতে পান স্থানীয়রা (Jammu Kashmir)। খবর পেয়েই সেনার চিনার কোরের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেয় পুলিশ। এরপর রাত থেকেই শুরু হয় অভিযান। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি। বাহিনীকে দেখেই তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। খবর পেয়ে অতিরিক্ত বাহিনী এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। জঙ্গলে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ে এক জঙ্গি খতম (Terrorist Killed)  হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে অন্ধকার থাকায় ঠিক কতজন জঙ্গি ছিল, তা এখনও নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেনি পুলিশ।

    আরও পড়ুনঃ “জীবন বাঁচাতে পরিচয় গোপন করুন”, বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দু সন্ন্যাসীদের পরামর্শ ইসকনের

    ২৩ নভেম্বর উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র-বিস্ফোরক

    এর আগে, নভেম্বর মাসেও একাধিক জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বাহিনী। ৬ নভেম্বর বান্দিপোরায় অপারেশন কাইটসানে এক সন্ত্রাসবাদীকে এনকাউন্টার করা হয়। ২ নভেম্বরে অনন্তনাগ জেলায় (Jammu Kashmir)  আরও এক অভিযানে ২ জন সন্ত্রাসী নিহত (Terrorist Killed)  হয়েছিল। গত ৯ নভেম্বরে রাজপুর, সোপোর এবং বারামুল্লা এলাকায় যৌথ অভিযান হয়েছিল। ২৩ নভেম্বর বারামুলার কুনজের এলাকায় জঙ্গিদের একটি গোপন ডেরায় হদিস পেয়েছিল পুলিশ। সেখানে সেনা এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রচুর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার করে। কিন্তু ওই অভিযানে কোনও জঙ্গির খোঁজ মেলেনি।

    উল্লেখ্য সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। সরকার গড়ছে ইন্ডি জোটের শরিকরা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ওমর আবদুল্লা। কিন্তু জঙ্গিদের উৎপাত সাধারণ জনমনে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। ধারা ৩৭০ বাতিল হওয়ার পর এই প্রথম সরকার গঠন হয়েছে এই রাজ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    Jammu Kashmir: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নানা জায়গায় একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় মাঝেই শ্রীনগরে সেনার গুলিতে নিহত হল ২ জঙ্গি। শুক্রবার রাত থেকে বারামুল্লার সোপোর এলাকায় জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় সেনা। জঙ্গিদের নিকেশ করার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘সোপোরে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। মৃত জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

    জঙ্গি দমনে অভিযান

    পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর আসে বারামুল্লার (Jammu Kashmir) সোপোর এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। সোপোরের পানিপুরায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে এবং পিছু হটবার জায়গা না থাকায় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দুই তরফের গুলির লড়াইয়ের পর ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গি কার্যকলাপ

    জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কিস্তওয়ার জেলায় দুই ভিডিজি (ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড) সদস্যকে অপহরণ করে খুন করল জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওহলি-কুন্তওয়ারা গ্রামের ওই দুই বাসিন্দার নাম নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার। পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ‘ছায়া সংগঠন’ কাশ্মীর টাইগার্স খুনের দায় স্বীকার করেছে। নিহত দুই ভিডিজি সদস্যের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জঙ্গি হানায় দুই ভিডিজি সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এই সন্ত্রাসের চক্র আমরা ধ্বংস করবই।’’ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে উপত্যকায় জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস রুখতে আগামী দিনেও এই ধরনের অভিযান জারি থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ফের উত্তাল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের

    Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ফের উত্তাল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে শুক্রবারও উত্তপ্ত হল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা। বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। এদিন বিজেপি বিধায়কদের পাশাপাশি মার্শালের নিশানা হলেন আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ। স্পিকার আব্দুল রহিম রাথেরের নির্দেশে শুক্রবার খুরশিদের পাশাপাশি ১২ জন বিজেপি বিধায়ককেও সভা থেকে বার করে দেন মার্শাল। এর প্রতিবাদে বিজেপির বাকি ১১ বিধায়ক ওয়াকআউট করেন।

    এদিন ঠিক কী ঘটেছিল? (Article 370)

    এই নিয়ে টানা তিন দিন ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে অশান্তি হল দেশের নবীনতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভায়। শুক্রবার সভার শুরুতেই বিরোধী বিজেপির বিধায়কেরা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। জবাবে বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই খুরশিদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে স্লোগান তোলেন। আর এক বিরোধী দল পিডিপির বিধায়কেরাও তাঁর সঙ্গে গলা মেলান। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে মার্শালকে তলব করেন স্পিকার। পরে, বিজেপি বিধায়কদের বের করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারও দু’পক্ষের অশান্তির কারণে মার্শাল ডেকে কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে বার করে দিয়েছিলেন স্পিকার। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সরকার বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ করেছিল সেখানকার বিধানসভায়। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকার ৩৭০ নম্বর (Article 370) ধারা বাতিল করে। ফলে, বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ-দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বরের রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়।

    জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে!

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Article 370) এবং কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) জম্মু- কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করে বলেন, “ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: জঙ্গি সংগঠনগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে, কড়া নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের

    Jammu Kashmir: জঙ্গি সংগঠনগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে, কড়া নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমন অভিযানে লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার ওসমানের মৃত্যুর পরই ফের রক্তাক্ত শ্রীনগর (Srinagar)। রবিবার বাজারে গ্রেনেড হামলায় কমপক্ষে ১২ জন জখম হয়েছেন। গত কয়েকদিনে একাধিকবার জঙ্গি হামলায় রক্ত ঝরেছে উপত্যকায়। এরপরই কড়া নির্দেশ দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) উপরাজ্যপাল মনোজ সিন‍্‍হা। সেনাকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিলেন তিনি। 

    যে কোনও মূল্যে জঙ্গি দমন

    রবিবার বিকেলে টিআরসি থেকে লালচক পর্যন্ত, রেসিডেন্সি রোডে একটি বড় বাজার বসে। সেই বাজারের মধ্যেই এদিন সিআরপিএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল জঙ্গিরা। এই হামলার নিন্দা করে উপরাজ্যপাল নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, “জঙ্গিদের কড়া জবাব দিতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।” জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি নলিন প্রভাতের সঙ্গে কথা বলেন উপরাজ্যপাল। নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। সরকারি এক মুখপাত্র জানান, জঙ্গিদের কড়া জবাব দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন উপরাজ্যপাল। উপরাজ্যপাল বলেন, যারা সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা চালিয়েছে, এর মূল্য তাদের চোকাতে হবে। জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর পূর্ণ স্বাধীনতা আছে বলে মন্তব্য করেন মনোজ সিন‍্‍হা।

    আরও পড়ুন: ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সমর্থনে ব্যবহার করা হচ্ছে উইকিপিডিয়াকে, দাবি মার্কিন সংস্থার

    লস্কর জঙ্গি ওসমান-নিধনে বিস্কুটের ভূমিকা

    এর আগে, শনিবার শ্রীনগরের (Jammu Kashmir) খানিয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিনেতা ওসমানের। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার এই কমান্ডারকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল নিরাপত্তা বাহিনী। গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক জঙ্গি হামলায় বড় ভূমিকা রয়েছে ওসমানের। তার মৃত্যুকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে (Srinagar) চার জওয়ানও জখম হয়েছেন। সেনা সূত্রে খবর, শনিবারের অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্যে বিস্কুটের একটি বড় ভূমিকা ছিল। অভিযানের সময়ে পথকুকুররা যাতে ডাকাডাকি না করে, সে দিকে সজাগ নজর ছিল বাহিনীর। ওসমানকে খুঁজে বার করার সময় পথকুকুরদের শান্ত রাখা ছিল বাহিনীর অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ, কুকুর ডাকাডাকি করলে ওসমানের সতর্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই অভিযান শুরুর সময় জওয়ানেরা সঙ্গে বিস্কুট রেখে দিয়েছিলেন। এলাকায় কুকুরদের শান্ত রাখার জন্য বিস্কুট খাওয়ান তাঁরা। শেষে খানিয়ারে ওসমানের সম্ভাব্য আস্তানাকে চিহ্নিত করে ৩০টি বাড়ি ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। অভিযানের একটি পর্যায়ে জঙ্গিনেতাকে খুঁজেও পান তাঁরা। লস্কর নেতার সঙ্গে ছিল একে-৪৭, একটি পিস্তল এবং বেশ কিছু গ্রেনেড। কয়েক ঘণ্টা ওসমান ও অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে নিরাপত্তা বাহিনীর। শেষে বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ওসমানের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সীমান্তঘেঁষা আখনুর সেক্টরে ভারতীয় সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলার (Akhnoor Terror Attack) ঘটনার পর জওয়ানদের প্রত্যাঘাতে তিন হামলাকারী খতম হয়েছে। এখনও তল্লাশি-অভিযান চলছে। সেনা অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। এখানেই দেখা যায়, হামলায় সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এমন আধুনিক স্টিলের গুলি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। এই অভিযানে বীর বিক্রমে লড়াই করে শহিদ হয়েছে সেনা-সারমেয় ফ্যান্টম।

    বানচাল জঙ্গিদের ছক

    সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ এই জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটে। বালতাল এলাকায় তিন জন জঙ্গি আচমকাই সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের দাবি, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল তিন জন। সেনাবাহিনীর কনভয়ে ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স, যার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর পরেই জঙ্গিদের ধরতে পাল্টা অভিযান শুরু করে সেনা। দ্রুত গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জঙ্গিদের খোঁজে জঙ্গলেও তল্লাশি চালানো হয়। জঙ্গিদের অবস্থান বুঝতে জঙ্গলে যায় সেনার ‘কে-৯’ ব্রিগেডের সদস্য ফ্যান্টম। তাকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা। গুলি এসে লাগে ফ্যান্টমের। কিন্তু, ততক্ষণে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জেনে যায় বাহিনী। শহিদ হয় ফ্যান্টম। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় সেনা সারমেয় ফ্যান্টম। এর পর শুরু হয় জঙ্গি-বাহিনীর গুলির লড়াই। প্রায় ২৪-ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর খবর মেলে যে তিন জঙ্গিই বাহিনীর অভিযানে খতম হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করেছে।

    দীপাবলি উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা

    দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তার কড়াকড়ি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তারই মধ্যে ঘটে গেল এই হামলার ঘটনা। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গোলা-বারুদের মধ্যে বেশ কিছু ছিল অত্যাধুনিক। সহজেই সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এরকম স্টিলের বুলেট ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সারাদিন তল্লাশি অভিযান চলে আখনুরে। অবশেষে তিন জঙ্গি নিহত হয়।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গ থেকে কিছু দূরে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। নিহত হন দুই জওয়ান এবং সেনাবাহিনীর দুই মালবাহক। আরও এক মালবাহক এবং জওয়ান ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। জঙ্গিদের ধরতে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সেনা। এর আগে ২০ অক্টোবর গান্ডেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ্ জাতীয় সড়কে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের কাছে জঙ্গি-হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ছয় নির্মাণ শ্রমিকের। তাঁরা সকলেই ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: গুলমার্গের পর আখনুর, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনার গাড়ির ওপর হামলা জঙ্গিদের

    Terrorist Attack: গুলমার্গের পর আখনুর, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনার গাড়ির ওপর হামলা জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উপত্যকায় জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack)। সোমবার সাত সকালে সেনাবাহিনীর গাড়ির (Army Vehicle) ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জম্মু কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বাতাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এরপরে পাল্টা গুলি চালাতেই পিছু হঠে জঙ্গিরা। সংঘর্ষে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এরপরেই গোটা এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনও চলছে এই অভিযান। প্রসঙ্গত, দুদিন পরেই দীপাবলি, তার আগে এমন জঙ্গি হামলা উদ্বেগ বাড়িয়েছে উপত্যকায়।

    সম্প্রতি জঙ্গিদের গুলিতে (Terrorist Attack) ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে 

    জঙ্গিদের গুলিতে ২ জওয়ান সহ মোট ১২ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে সম্প্রতি। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বারামুল্লার গুলমার্গে একই কায়দায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে (Terrorist Attack) হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সে সময় সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুইজন জওয়ান। তার আগে গত ২০ অক্টোবর সোনমার্গে হামলা চলে শ্রমিকদের ওপরে। সেই সময় ৬ জন শ্রমিক ও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয় জঙ্গিদের গুলিতে।

    চলছে লাগাতার তল্লাশি (Terrorist Attack) 

    জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জোরকদমে তল্লাশি শুরু করে (Army Vehicle) সেনাবাহিনী। তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশের ‘কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স উইং’। শ্রীনগর, গান্ডেরবাল, কুলগাম, বদগাম, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। জানা গিয়েছে, লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে বুধবারই পুঞ্চে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র একটি শাখা সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। তবে তার পরও একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে প্রশাসনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share