Tag: jamtara gang

jamtara gang

  • Fraud: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কীভাবে জানেন?

    Fraud: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাল প্যান কার্ড তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই প্রতারণা চক্রের দুই পান্ডাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অনুজ শর্মা এবং সুনীল পাটওয়া। অনুজের বাড়ি কলকাতার ট্যাংরায়। সুনীলের বাড়়ি মানিকতলায়। তাদের কাছে থেকে একাধিক মোবাইল, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতারকরা বিভিন্ন পরিচিতদের নামে জাল প্যান কার্ড তৈরি করতো। আর সেই প্যান কার্ড দিয়ে গ্রামীণ এলাকায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলত। আর বেসরকারি ব্যাঙ্কে তারা এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলত। সেখানে নিয়ম মেনে বেশ কিছু টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখত। সেই টাকার জোগান দিত জামতাড়া গ্যাং। এরপরই নিয়ম মেনে ব্যাঙ্ক থেকে ক্রেডিট কার্ড পেয়ে যেত প্রতারকরা। সেই ক্রেডিট কার্ড নিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করতো। মূলত তাদের টার্গেট পয়েন্ট ছিল সোনার দোকান। সোনার দোকানে গয়না কিনে টাকা মেটানোর সময় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতো। এরপর সেই সোনা ব্যাঙ্কে মডগেজ রেখে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিত। আর লোন তারা শোধ করত না। নিউ বারাকপুরে একটি সোনার দোকানে ৩৮ হাজার টাকার সোনা কিনেছিল প্রতারকরা। ক্রেডিট কার্ডে বিলও মিটিয়েছিল। পরে, লোন পরিশোধ না করায় প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি জানাজানি হয়। কারণ, নতুন করে আরও একজন ওই সোনার দোকানে একই কায়দায় ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সোনা কিনতে এসে ধরা পড়ে। তার সূত্র ধরেই আরও একজনের হদিশ পায় পুলিশ।

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক কী বললেন?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার (Fraud) হিসেব আমাদের কাছে এসেছে। যদিও এই পরিমাণটা যৎসামান্য বলে মনে করছেন ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের ধারণা, এর থেকে অনেক বেশি প্রতারণা করছে এই প্রতারকরা। বাগুইআটি, মধ্যমগ্রাম মিলে তিনটে অফিস রয়েছে প্রতারকদের। সেখান থেকে মূলত জালিয়াতি কারবার চালাতে প্রতারকরা। সেখানেও পুলিশ হানা দিয়ে বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দায় (Khardah) বসে বিদেশের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিত প্রতারকরা। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছে এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে। মূলত, প্রতারণা জগতের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচিত জামতারা গ্যাং। পুলিশকে ঘোল খাইয়ে বহু মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অনেক ঘটনা রয়েছে এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। জামতা়ড়া গ্যাংকে টেক্কা দেওয়ার মতো গ্যাং তৈরি হয়ে গিয়েছিল খড়দায়। পুলিশ টের পর্যন্ত পায়নি। করোনার সময় এই গ্যাং মার্কিন মুলুকে সব থেকে বেশি প্রতারণা করেছিল। গত চার বছর ধরে সক্রিয় ছিল এই প্রতারণা চক্র। সবমিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ভয়েস চেঞ্জার, অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দেরাদুনের পাঁচ তারা একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিটকয়েন এবং হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা যেত বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে।

    কীভাবে প্রতারণা করত? (Khardah)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা মূলত ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশীদের সঙ্গে  কথা বলত। তাঁদের কম্পিউটারের অ্যান্টি ভাইরাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, নতুন করে অ্যান্টি ভাইরাস দেওয়ার জন্য তারা লিংক পাঠাত। সেই লিংকে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টের ডিটেলস চলে আসত প্রতারকদের কাছে। এরপর খড়দায় (Khardah) বসেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। আমেরিকা এবং কানাডার ৭০-৮০ জন প্রবীণ নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার হদিশ মিলেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের আশঙ্কা। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দেরাদুন থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে বারাকপুর সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা।

    কীভাবে হদিশ মিলল প্রতারকদের?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে খড়দহ থানা এলাকার বলরাম হাসপাতালের কাছে একটি কল সেন্টারে হানা দেয় খড়দা থানার পুলিশ। সৈয়দ শাহাবাজ হাসান নামে এক প্রতারকের বাড়িতে চলত এই কল সেন্টার। সেখানে খড়দা,(Khardah) টিটাগড়ের পাশাপাশি কলকাতার গড়ফার একজনেক হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে। এরপর এই কেসের তদন্তভার কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়। তারপর তদন্তে নেমে ২৫ অক্টোবর গোয়েন্দা বিভাগ আরবাজ হাসান নামে একজনকে সল্টলেকের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের হদিশ পায়। এরপর গত তিনদিন আগে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের  একটি পাঁচ তারা হোটেল থেকে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দ শাহাবাজ হাসান, সোনু জয়সওয়াল, কৃষ্ণ কুমার সিং, অনীশ ঠাকুর, ফরহাদ হাসান ও হর্ষ দিনানি। এই ছয়জনকে শনিবার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হচ্ছে বারাকপুর আদালতে।

    কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা?

    বারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পান্ডে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, গত ১৮ই অক্টোবর খড়দার (Khardah) একটি কলসেন্টারে হানা দিয়ে পুলিশ প্রচারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একটি অডি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবীণ ব্যক্তিদের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এই কল সেন্টার কাজ করে। এই চক্র দীর্ঘ চার বছর ধরে এরা খড়দা থেকে চালাচ্ছিল। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share