Tag: janmashtami 2025 tithi

  • Janmashtami 2025: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী, পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    Janmashtami 2025: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী, পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। দৃক সিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তমতে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে আজ, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। এদিন রাত ১১টা ৫১ মিনিটে এই তিথি শুরু হচ্ছে। আর অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে শনিবার ১৬ অগাস্ট রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে। মধ্যরাত ১২টা ০৪ মিনিট থেকে ১২টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত পুজো করার শুভ সময়। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস বা বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকামতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট গভীর রাত ১টা ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডে। শেষ হবে শনিবার রাত ১০টা ৪৮ মিনিট ৩ সেকেন্ডে। ফলে, উদয় তিথি হিসেবে শনিবার অষ্টমী। ফলে, শনিবারই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জন্মাষ্টমী পুজো হবে। তবে, মধ্যরাতের নিরিখে শুক্রবারেও বহু গৃহে উদযাপন হচ্ছে।

    জন্মাষ্টমী পুজোর উপকরণ—

    ধূপকাঠি, কর্পূর, জাফরান, চন্দন, সিঁদুর, সুপারি, পান, পদ্ম, তুলসীর মালা, ধনে, যজ্ঞবেত ৫, কুমকুম, ধান, আবির, কাঁচা হলুদ, গোপালের গয়না, সপ্তমৃত্তিকা, সপ্তধন, কুশ ও দূর্বা, শুকনো ফল, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, মিছরি, তুলসী ডাল, খাঁটি ঘি, দই, দুধ, মৌসুমি ফল, নৈবেদ্য বা মিষ্টান্ন, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, সুগন্ধি, সিংহাসন, ঝুলা।

    এই পুজোতে লাগে— আমপল্লব, পঞ্চামৃত, কলা পাতা, ওষুধ, শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি, গণেশের ছবি, অম্বিকার ছবি, ভগবানের পোশাক, গণেশকে নিবেদনের পোশাক, অম্বিকাকে নিবেদনের পোশাক, সাদা কাপড়, লাল কাপড়, পঞ্চ রত্ন, প্রদীপ, পান, নারকেল, চাল, গম, গোলাপ ও লাল পদ্মফুল, দূর্বা, অর্ঘ্য পাত্র, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধুপর্কের বাটি।

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় ময়ূরের পালক ও বাঁশির মাহাত্ম্য

    ময়ুর পালক

    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীতে ময়ূরের পালক দেওয়া ভগবান কৃষ্ণের আরাধনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান কৃষ্ণ বাঁশির মতো ময়ূরের পালক অত্যন্ত পছন্দ করেন। তাই তিনি এটিকে মুকুট হিসাবে ব্যবহার করতেন। জন্মাষ্টমীর পুজো সফল করতে ময়ূরের পালক ও একটি মুকুট অর্পণ করুন গোপালকে। ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূরে সরিয়ে সমৃদ্ধি পেতে চাইলে বাড়িতে রাখুন ময়ূরের পালক। জন্মাষ্টমীর পুজোতেও ময়ূরের পালক রাখা প্রয়োজন। এতে ঘরে সুখ শান্তি আসে।

    বাঁশি

    ময়ূরের পালকের মতো বাঁশি ছাড়াও পুজো করা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে বাঁশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। আপনি যদি চান যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হোক, তা হলে আপনাকে অবশ্যই গোপালকে জন্মবার্ষিকীতে বাঁশি নিবেদন করতে হবে। বলা হয়, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে বাঁশি রাখলে খুবই উপকার হয়। এতে ঘরে ধন-সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে সুখ ও শান্তি। ফলে পুজোর বেদীতে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি রেখে দিতে পারেন।

    শঙ্খ ও তুলসীর তাৎপর্য

    শঙ্খ

    জন্মাষ্টমীর পুজোতে শঙ্খ ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শঙ্খকে সনাতন ঐতিহ্যে শুভর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসবে গোপালকে স্নান করাতে এবং পুজোর সময় শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় সঙ্গে রাখুন একটি শঙ্খ।

    তুলসী

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী পাতা অবশ্যই নিবেদন করতে হয় গোপালকে। কারণ তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী নিবেদন করলে শীঘ্রই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন এবং কাঙ্খিত বরদান করেন।

    জন্মাষ্টমীর বিশেষ ভোগ-

    জন্মাষ্টমীর ভোগের মধ্যে ৫৬ ভোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ৫৬ রকমের নৈবেদ্যর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০ টি মিষ্টি এবং ২০ ধরণের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

    তবে, যদি বাড়িতে ৫৬ ভোগ করা সম্ভব না হয়, তাহলে লুচি, ছোলার ডাল এবং সুজি প্রস্তুত করুন। গোপাল পুজোয় ঘরে ঘরে তৈরি হয় তালের বড়া ও তালের ক্ষীর, মালপোয়া, মোহনভোগ, নারকেল নাড়ু, মাখন, ক্ষীর, মিষ্টি, পায়েস, বাসন্তী পোলাও। এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই দুধ-দই, কাঁচা মাখন বা ননীর ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ গোপাল দুধ-দই এবং মাখন খুব পছন্দ করেন। পঞ্চামৃত তৈরি করুন এবং সব ধরনের ফল রাখুন।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন।

    এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের জলাভিষেক করে তাকে দোলনায় রাখুন। এরপর আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়।

    এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ পুজো করুন। সেই সময় নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের আরতি করুন।

  • Janmashtami 2025: ১৫ না ১৬ তারিখ, এ বছর ঠিক কবে পড়েছে জন্মাষ্টমী? কী বলছে পঞ্জিকা?

    Janmashtami 2025: ১৫ না ১৬ তারিখ, এ বছর ঠিক কবে পড়েছে জন্মাষ্টমী? কী বলছে পঞ্জিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে পালিত উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতেই দেশজুড়ে পালন করা হয় জন্মাষ্টমী (Janmashtami)। এটি হিন্দু ধর্মের কাছে খুবই পূণ্যের তিথি। এই শুভ তিথিতে শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসাবে শ্রীকৃষ্ণকে পুজো করা হয়। বাসুদেব ও দেবকীর অষ্টম সন্তান এবং বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ কংসের কারাগৃহে জন্ম হয়। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে (Janmashtami 2025 Tithi) ও রোহিণী নক্ষত্রে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। প্রতি বছর এই তিথিতে কৃষ্ণের ছোটবেলার রূপ, ননীগোপালের পুজো করা হয়। জন্মাষ্টমীর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছরটি শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫১তম জন্মদিন।

    কবে কখন পড়ছে তিথি? কী বলছে বিভিন্ন মত?

    চলতি বছর, জন্মাষ্টমী ১৬ অগাস্ট। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তমতে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। সেদিন রাত ১১টা ৫১ মিনিটে এই তিথি শুরু হবে। আর অষ্টমী তিথি শেষ হবে শনিবার ১৬ অগাস্ট। সেদিন রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তিথি শেষ হবে। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকামতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। সেদিন (গভীর) রাত ১টা ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি শুরু হবে। অষ্টমী তিথি শেষ হবে শনিবার। পঞ্জিকা বলছে, সেদিন রাত ১০টা ৪৮ মিনিট ৩ সেকেন্ডে অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে।

    তবে, উপবাস তিথিটি পড়েছে ১৫ থেকে ১৬ অগাস্টের মধ্যে। নিশীথপুজোর সময়টা হল– ১৬ অগাস্ট রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে ১২টা ৪৬ মিনিট। রোহিণী নক্ষত্রে অষ্টমী তিথি শেষ হলে তবেই উপবাসভঙ্গ করার বিধি। ব্রহ্ম মুহূর্ত পড়ছে ভোর ৪টে ২৪ মিনিট থেকে ভোর ৫টা ০৭ মিনিট পর্যন্ত। স্মার্ত ও বৈষ্ণব ঐতিহ্যে জন্মাষ্টমী দুদিন মানা হয়। ইসকন-ই এখন বলতে গেলে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বে। তারা ১৬ অগাস্ট দিনটিকেই জন্মাষ্টমীর মূলতিথি হিসেবে ধরছে। অন্যদিকে, ১৫ অগাস্ট স্মার্ত সম্প্রদায় পালন করবে জন্মাষ্টমী। এই সম্প্রদায় রোহিনী নক্ষত্র অনুসারে তাঁদের জন্মাষ্টমী তিথি পালন করে থাকে। এই সম্প্রদায় নিশীথকালকেই অগ্রাধিকার দেয়। অষ্টমীতিথিটা কতক্ষণ থাকছে– এটাই তাঁদের কাছে সব জরুরি। জ্যোতিষশাস্ত্রের গ্রহনক্ষত্র দিন-তিথি অনুযায়ী কখন এই মহাপুণ্যমুহূর্ত আসছে, সেটা দেখেই তারা জন্মাষ্টমী পালন করে।

    ১৭ তারিখ পালিত হবে নন্দোৎসব

    জন্মাষ্টমীর পরের দিন, অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট পালিত হবে নন্দোৎসব। এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ উদযাপন করে, যেখানে নন্দ মহারাজ (কৃষ্ণের পালক পিতা) তার পুত্রের জন্ম উপলক্ষে এই উৎসব পালন করেন। নন্দোৎসব, যা নন্দনন্দন উৎসব নামেও পরিচিত, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। এদিন, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করে এবং তাদের প্রতি ভক্তি জানায়। নন্দোৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ ও উল্লাসের উদযাপন। এই দিনে, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এটি ভক্তদের মধ্যে আনন্দ, প্রেম এবং ভক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এই উৎসবটি বৃন্দাবনের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিশেষ দিনে কৃষ্ণের প্রিয় ভোগ নিবেদন করা হয়। অনেক বাড়িতে জন্মাষ্টমীর থেকেও বেশি বড় করে নন্দোৎসব পালন করা হয়।

LinkedIn
Share