Tag: Japan

Japan

  • PM Modi: মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধের আবহে চলতি সপ্তাহেই জাপান ও চিন সফরে নরেন্দ্র মোদি, কী কী কর্মসূচি?

    PM Modi: মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধের আবহে চলতি সপ্তাহেই জাপান ও চিন সফরে নরেন্দ্র মোদি, কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই জাপান ও চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি মঙ্গলবার জানিয়েছন, ২৮ অগাস্ট সন্ধ্যায় জাপানের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ এই সফরে তাঁর সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার দেখা হবে ৷ জাপান সফর শেষে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেরে প্রায় ২০ জন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেখা হবে প্রধানমন্ত্রীর ৷ চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ৩১ অগাস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর তিয়ানজিনে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organization) শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির অষ্টম জাপান সফর

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এর আগে সাতবার জাপানে গিয়েছেন মোদি৷ এটি তাঁর অষ্টম সফর৷ তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বদলের পর এই প্রথমবার সূর্যোদয়ের দেশে যাবেন মোদি৷ দীর্ঘদিন দেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ইশিবা৷ তাঁর অনুরোধে ১৫তম ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এবার জাপান সফরে যাচ্ছেন মোদি ৷ ২৯ ও ৩০ অগাস্ট হবে এই বার্ষিক সম্মেলন৷ বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ইশিবার সাথে এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। প্রায় ৭ বছরের মধ্যে এটিই তার প্রথম জাপান সফর। তিনি শেষবার ২০১৮ সালে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।” তারপর থেকে, তিনি জাপান সফর করেছেন, তবে তা বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডের জন্য। এই সফরটি সম্পূর্ণরূপে ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়সূচির প্রতি নিবেদিত। ভারত-জাপান বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ।”

    জাপানের সঙ্গে আলোচনা

    ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, ব্যবসা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুটি দেশ একে অপরকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে কথা বলবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কয়েকটি বিষয় নিয়েও কথা বলবেন দুই নেতা৷

    চিনের পথে মোদি

    সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রধানমন্ত্রীর চিন সফর সমস্ত দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ৷ বাড়তি শুল্ক চাপিয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা৷ এই পরিস্থিতিতেই চিনে যাবেন মোদি ৷ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনের শহর তিয়ানজেন শহরে যাচ্ছেন মোদি৷ কমপক্ষে ২০টি দেশের প্রধানরা এই সম্মেলনের অংশ নেবেন৷ এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বেশ কয়েকটি দেশের প্রশাসনিক প্রধানরা এই বৈঠকের অংশ হবেন ৷

    মোদির চিন সফরের গুরুত্ব

    আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের আবহে তো বটেই গালোয়ান সীমান্তে হওয়া ভারত ও চিন সংঘাতের পর এই প্রথম সে দেশের মাটিতে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ তাছাড়া ঠিক যেদিন মোদির চিন সফরের কথা সরকাররে তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হল ঠিক সেদিনই বেজিংকে ‘হুমকি’ দিয়েছেন ট্রাম্প৷ তিনি চাইলে চিনকে ধ্বংস করে ফেলতে পারেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প৷ এই ঘো৷ষণা আবশ্যিকভাবে মোদি-সফরের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ৩১ অগাস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর চিনের তিয়ানজিনে এসসিও এর রাষ্ট্রপ্রধানদের ২৫তম বৈঠকে যোগদান করবেন মোদি। তিয়ানজিনে ৩১ অগাস্ট সন্ধ্যায় একটি স্বাগত ভোজের আয়োজন করা হয়েছে এবং ১ সেপ্টেম্বর প্রধান শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    পুতিন-মোদি-জিনপিং এক মঞ্চে!

    ভারত ২০১৭ সাল থেকে এসসিও-এর সদস্য দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করছে এবং ২০২২-২৩ সালে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধান কাউন্সিলের সভাপতিত্বও পালন করেছে। এই সফর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কর্তৃক আয়োজিত হচ্ছে এসসিও শীর্ষ সম্মেলন। এই শীর্ষ সম্মেলনের সময়, সমস্ত এসসিও দেশ একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে পারে। এর পাশাপাশি, সমস্ত সদস্য দেশ এসসিও উন্নয়ন কৌশল অনুমোদন করবে এবং নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার পদক্ষেপগুলি নিয়েও আলোচনা করবে। এই ঘোষণাপত্রে আমেরিকার শুল্ক নীতির উপযুক্ত জবাব দেওয়া হতে পারে। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।

  • PM Modi: ১০০-র বেশি দেশে যাবে ভারতে তৈরি গাড়ি, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”, বললেন মোদি

    PM Modi: ১০০-র বেশি দেশে যাবে ভারতে তৈরি গাড়ি, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ হল ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডে’র সূচনা।” মঙ্গলবার গুজরাটে মারুতি সুজুকির বৈদ্যুতিক গাড়ি (Electric Vehicle) ই-ভিটারার উৎপাদনের শুভারম্ভ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মারুতি সুজুকি। তাদের প্রথম ব্যাটারি-চালিত এসইউভি ই-ভিটারার উৎপাদন শুরু করেছে। গুজরাটের হানসালপুর প্ল্যান্ট থেকে গাড়িটির প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গাড়িটির।

    ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া যাত্রায় নয়া অধ্যায় (PM Modi)

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং ভারতের জাপানি রাষ্ট্রদূত কেইচি ওনো। এই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণেশ উৎসবের এই আবহে আজ ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া যাত্রায় একটি নয়া অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। ভারত এখন মেক ইন ইন্ডিয়া ছাড়িয়ে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ থেকে ভারতে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি রফতানি করা হবে ১০০টি দেশে। এর সঙ্গে সঙ্গে হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেক্ট্রোলাইট উৎপাদনও আজ থেকে শুরু হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা এখানেই থামব না এবং ভারত সেমি-কন্ডাক্টর সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি আগামী সপ্তাহে জাপান সফরে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। মারুতি দিয়ে শুরু হওয়া যাত্রা এখন বুলেট ট্রেনে পৌঁছেছে। ২০ বছর আগে গুজরাট-জাপান সম্পর্ক এখান থেকেই শুরু হয়েছিল।”

    ভারত-জাপান বন্ধুত্বে নয়া মাত্রা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণেশ উৎসবের আবহে ভারত-জাপান বন্ধুত্ব এক নয়া মাত্রা পেয়েছে। ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি আছে। ভারতের জনসংখ্যার সুবিধা আছে। আমাদের দক্ষ কর্মী রয়েছে। আজ সুজুকি জাপান ভারতে উৎপাদন করছে। এখানে তৈরি গাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে জাপানে। এটি কেবল ভারত ও জাপানের সম্পর্কের শক্তির প্রতীক নয়, বরং ভারতের প্রতি বিশ্বব্যাপী আস্থার প্রতিফলন।” তিনি বলেন, “এক অর্থে, মারুতি সুজুকির মতো (Electric Vehicle) কোম্পানিগুলি মেক ইন ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছে। এখন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে যে ইভিগুলি চলবে, সেগুলির গায়ে লেখা থাকবে – মেড ইন ইন্ডিয়া। আজ, সমগ্র বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এমন সময়ে কোনও রাজ্যেরই পিছিয়ে থাকা উচিত নয়। এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত প্রতিটি রাজ্যেরই। যার ফলে ভারতে আসা বিনিয়োগকারীরা এতটাই বিভ্রান্ত হয়ে ভাবতে শুরু করেন যে – আমি কি এই রাজ্যে যাব নাকি ওই রাজ্যে (PM Modi)।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজকের দিনটি ভারতের আত্মনির্ভরতার অভিযাত্রা এবং সবুজ পরিবহণের কেন্দ্র হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিন। হানসালপুরের অনুষ্ঠানে ই-ভিটারা উদ্বোধন করা হবে। এই ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকল সম্পূর্ণভাবে ভারতে নির্মিত এবং এটি একশোরও বেশি দেশে রফতানি করা হবে। আমাদের ব্যাটারি ইকোসিস্টেমকে (Electric Vehicle) আরও শক্তিশালী করতে, গুজরাটের একটি কারখানায় হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেকট্রোড উৎপাদনও শুরু হবে (PM Modi)।”

  • Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ভারত। তার ঠিক আগেই রয়েছে এশিয়া মহাদেশেরই দেশ জাপান (Japan)। সেই জাপান সরকারই আগামী ১০ বছরে ভারতের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার পরিকল্পনা করছে। টোকিও থেকে প্রকাশিত দ্য আসাহি শিম্বুন পত্রিকার প্রতিবেদনেই মিলেছে এই খবর। জানা গিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২৯ অগাস্ট টোকিওয় বৈঠকের সময় এই নয়া লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করবেন। এই পরিকল্পনা জাপানের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রাকে আরও প্রসারিত করবে। ২০২২ সালের মার্চে ভারত সফরের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভারতে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

    তিন দিনের জন্য জাপান সফরে মোদি (Japan)

    দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, তাতে এই নয়া বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার কথা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৯ অগাস্ট থেকে তিন দিনের জন্য জাপান সফরে যাবেন। এটি হবে ২০২৩ সালের মে মাসে হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর তাঁর প্রথম জাপান সফর। জাপানি ব্যবসায়ীরা এরপর থেকে গড়ে প্রতি অর্থবর্ষে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) ভারতে বিনিয়োগ করেছে। সরকার নয়া লক্ষ্যমাত্রা আপডেট করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে একটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনাও করছে। এটি হবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি নতুন কাঠামো, যা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে – যেমন গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মূল পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

    অগ্রাধিকার যেসব ক্ষেত্রে

    এই উদ্যোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূল খাতগুলিতে, যেমন, সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগিতা উদ্যোগ গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি, ডিজিটাল পার্টনারশিপ ২.০ নামে একটি প্রকল্পও চালু করা হবে, যা উৎপাদনশীলতার বাইরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসারিত করে উদীয়মান প্রযুক্তি খাত, যেমন সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্টার্টআপকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে (Japan)।

    জানা গিয়েছে, জাপান ও ভারত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করবে ‘এনার্জি ডায়ালগ’ নিয়ে। এর উদ্দেশ্য হল দুই দেশের সহযোগিতা মজবুত করা, যাতে একইসঙ্গে ডিকার্বনাইজেশন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন করা যায়। দুই দেশই যৌথ ক্রেডিটিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা করতে পারে। এটি (PM Modi) একটি দ্বিপাক্ষিক কাঠামো, যার মাধ্যমে জাপান ও ভারতের মধ্যে তার গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসকারী প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিয়ে অর্জিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৃতিত্বকে নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যপূরণের অংশ হিসেবে গণনা করতে পারবে (Japan)।

  • Earthquake in Russia: কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮, তীব্র ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়ল সুনামি

    Earthquake in Russia: কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮, তীব্র ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়ল সুনামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পের পর সুনামি, বিধ্বস্ত রাশিয়া! বুধবার রাশিয়ার পূর্বে কামচাটকা উপদ্বীপ কেঁপে ওঠে শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake in Russia)। কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে আছড়ে পড়েছে সুনামিও। প্রায় চার মিটার উঁচু ঢেউয়ে ভেসে গিয়েছে এলাকা। রাশিয়ায় তীব্র ভূমিকম্পের পরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল জাপান ও আমেরিকা। সেই অনুযায়ী ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার সেভেরো-কুরিলস্ক উপকূলে সুনামির (Tsunami in Russia) প্রথম ঢেউ দেখা যায়। অনেকেই সুনামির আগের ও পরের ছবি এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সুনামির জেরে উপকূলে একাধিক বাড়ি প্রায় ডুবে গিয়েছে।

    ভূমিকম্পের তীব্রতা 

    মার্কিন আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস ভূপৃষ্টের ১৯.৩ কিলোমিটার গভীরে। প্রথমে মনে হয়েছিল কম্পনের (Earthquake in Russia) মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৮। পরে জানা যায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ৮.৭। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে রাশিয়ার কামচাটকা পেনিনসুলা। সাম্প্রতিককালে এই অঞ্চলে যতগুলি তীব্র ভূমিকম্প হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম এদিনের এই ভূমিকম্প। কামচাটকার গভর্নর ভ্লাদিমির সোলোদেব সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় বলেন, “দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।” ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই যে উপকূলবর্তী এলাকার অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের কারণে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আছড়ে পড়েছে সুনামি

    আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, তীব্র এই ভূমিকম্পের ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে রাশিয়া ও জাপানের উপকূলে ভয়ঙ্কর সুনামি দেখা যেতে পারে। শুধু রাশিয়া নয়, ভূমিকম্পের কারণে আমেরিকা-সহ প্রশান্ত মহাসাগরের আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশেও সুনামির (Tsunami in Russia) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাপানের হোক্কাইডো উপকূলবর্তী এলাকাতেও আছড়ে পড়েছে সুনামি। উত্তর-পশ্চিম হাওয়াই দীপপুঞ্জ এবং রাশিয়ার উপকূলরেখার কিছু অংশে তিন মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে। মার্কিন সংস্থার আশঙ্কা কোসরে, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পালাউ এবং ফিলিপিন্সের কিছু অংশে সুনামির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সব অংশে ০.৩ মিটার থেকে এক মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। রাশিয়ার এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর কামচাটকা অঞ্চলের কিছু অংশে তিন থেকে চার মিটার উঁচু ঢেউ-সহ সুনামি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই কারণে সকলকে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে যত দূর সম্ভব সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে জোরকদমে।

  • PM Modi: ২০১৯-এর পর এই প্রথম, চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    PM Modi: ২০১৯-এর পর এই প্রথম, চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জাপান ও চিন (China) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অগাস্টের শেষের দিকে বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে যাবেন তিনি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই দুই দেশ সফরের নেপথ্যে কাজ করছে ভারত ও চিনের শি জিনপিং সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা।

    সলতে পাকানোর কাজ শুরু (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে যান, তাহলে এটাই হবে উনিশের পরে তাঁর প্রথম চিন সফর। ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা ফৌজদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। যদি প্রধানমন্ত্রী এসসিও সম্মেলনে যোগ দেন, তবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্ব শেষ দেখা হয়েছিল কাজানে, ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে। সেই সময়ই শুরু হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার সলতে পাকানোর কাজ।

    চিন সফরে জয়শঙ্কর

    প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত চিন সফরের আগে সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বেজিংয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং ভারতের প্রতি বিরল মাটির চুম্বক ও সার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাধার বিষয়টি উত্থাপন করেন। চলতি চিন সফরে জয়শঙ্কর মঙ্গলবার বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিতও করেন। তিনি তিয়ানজিনে এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেন।

    এসসিও গঠনের কারণ

    এসসিও কাউন্সিলে জয়শঙ্কর বলেন, “এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার (PM Modi) জন্য। তাই এসসিওকে অবশ্যই তার মূল উদ্দেশ্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকতে হবে এবং এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান নিতে হবে (China)।” তিনি জানান, চলতি বছর ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা ছিল এই জাতীয় একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এই হামলা ইচ্ছাকৃতভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিবৃতি জারি করে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং এই নৃশংস সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষকদের জবাবদিহির আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    এসসিও বর্তমানে ১০টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এই দেশগুলি হল, চিন, রাশিয়া, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুস। পাকিস্তানের তরফে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিও-র বৈঠক এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। কারণ বিগত কয়েক বছরে সংঘাত, প্রতিযোগিতা ও জোরজবরদস্তি বেড়ে গিয়েছে এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাও বাড়ছে। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা, বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁকি হ্রাস করা এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সেই সব দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান করা যা আমাদের সমষ্টিগত স্বার্থের জন্য হুমকি স্বরূপ (China)।”

    ভারতের অবস্থান

    তিনি বলেন, “ভারত ভবিষ্যতেও এমন সব নতুন ধারণা ও প্রস্তাবকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করবে, যেগুলি (PM Modi) প্রকৃত অর্থেই সম্মিলিত কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব এখন আরও মাল্টি পোলারিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেবল জাতীয় ক্ষমতার পুনর্বণ্টনের দিক থেকেই নয়, বরং এসসিও-র মতো কার্যকর গোষ্ঠীগুলির উদ্ভবের দিক থেকেও।  বিশ্ব পরিস্থিতি গঠনে এই গোষ্ঠীর ভূমিকা নির্ভর করবে এই বিষয়ের ওপর আমরা সবাই কতটা একটি শেয়ার্ড অ্যাজেন্ডারপর একত্রিত হতে পারি, তার ওপর।” অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সেই অনুযায়ীই কাজ করেছি এবং তা চালিয়ে যাব।”

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানের সঙ্গে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষ শুরু হয়। ১০ মে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয় (PM Modi)। বর্তমানে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য।

    জয়শঙ্করের সাফ কথা

    জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিও-র মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করতে হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পারস্পরিক আদান-প্রদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আর এজন্য বর্তমান কিছু সমস্যার সমাধান অপরিহার্য।” তিনি বলেন, “এই সমস্যাগুলির একটি হল – এসসিও অঞ্চলের মধ্যে নির্ভরযোগ্য ট্রানজিটের অভাব (China)। এই অভাব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে তোলে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডোর (INSTC)-এর প্রসারে উদ্যোগী হওয়া (PM Modi)।”

  • Indian Economy: জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল ভারত

    Indian Economy: জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে (Indian Economy) আরও পোক্ত হল ভারতের অবস্থান। জাপানকে টপকে ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ভারতের মোট জিডিপি চার লক্ষ কোটি ডলার ছুঁয়ে ফেলেছে। মোদি জমানায় ভারতের এমন সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছে নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম। নীতি আয়োগের দশম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রহ্মণ্যম আইএমএফের তথ্য় উল্লেখ করে বলেন,‘‘ভারত এখন চার ট্রিলিয়ন (চার লক্ষ কোটি) মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশ। আজ ভারত জাপানের চেয়েও এগিয়ে।’’

    আড়াই-তিন বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হব

    এই ঘোষণার পরেই ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economy) নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন সুব্রহ্মণ্যম। তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতির বিচারে এখন ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং জার্মানি। আমরা যদি পরিকল্পনা এবং চিন্তাভাবনা মেনে চলি, তাহলে আড়াই-তিন বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হব।’’ সম্প্রতিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাপেলকে ভারতে আইফোন তৈরি না করে তা আমেরিকাতেই তৈরি করতে বলেছেন। শর্ত না মানলে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এনিয়ে নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘ট্যারিফ কী হবে, তা অনিশ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করলে আমাদের এখানে আইফোন তৈরি করা সস্তা হবে।’’

    মোদি সরকারের লক্ষ্য ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে তুলে ধরা

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মোদি জমানায় দেশজুড়ে চালু হওয়া বিভিন্ন আর্থিক সংস্কার, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প ভারতীয় অর্থনীতিকে (Indian Economy) এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিও ভারতের পক্ষেই গিয়েছে। এসব কারণের জন্যই ভারতীয় অর্থনীতিতে সাফল্য এসেছে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে মোদি সরকারের লক্ষ্য হল ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরা। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কিং বিনিয়োগ সংস্থা জেফ্রিসের অর্থনীতি মূল্যায়নের রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে তারা বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে ভারত (India)।

  • IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় তরতরিয়ে চড়ছে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারা। ব্রিটেনকে ষষ্ঠস্থানে ঠেলে দিয়ে বছর দুয়েক আগেই ভারত (India) দখল করেছিল বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির পঞ্চম স্থানটি। এই স্থানটিতে দীর্ঘদিন ধরে ছিল রাজার দেশ। ২০১৪ সালে (IMF) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই ব্রিটেনকে সরিয়ে পঞ্চম স্থানে চলে আসে মোদির ভারত। তারপরেই চতুর্থ স্থানে থাকা জাপানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে  ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (আইএমএফ) দাবি, চলতি বছরই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চতুর্থ স্থানে চলে আসবে ভারত।

    আইএমএফের প্রতিবেদন (IMF)

    আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর ভারতের নমিনাল জিডিপি পৌঁছবে ৪,১৮৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এটি থাকবে জাপানের নমিনাল জিডিপি ৪,১৮৬.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য ওপরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রাভান্ডারের (IMF) পূর্বাভাস, ভারত আগামী দু’বছর ধরে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে সব চেয়ে দ্রুতগতিতে বিকাশমান দেশ হিসেবে থাকবে। উল্টে দিকে, জাপানে ২০২৫ ও ২০২৬ – এই দুই বছরেই মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে মন্দার প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বৈশ্বিক বাণিজ্যের মন্দা তাদের রফতানি নির্ভর অর্থনীতিতে চাপ ফেলছে। ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক গতি সম্ভবত তাকে গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরে তুলে নিয়ে যাবে।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি ৫,৫৮৪.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা তাকে জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ করে তুলবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বর্তমানে চতুর্থ স্থানে থাকা জার্মানি বর্তমানে চলা বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে ইউরোপের সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তগুলির একটি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২৫ সালে জার্মানির প্রবৃদ্ধি শূন্য থাকবে এবং ২০২৬ সালে সামান্য উন্নতি করে ০.৯ শতাংশ হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে জার্মানির জিডিপি ৫,২৫১.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ৩০,৫০৭.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আনুমানিক জিডিপি নিয়ে (IMF) বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখবে। চিন থাকবে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তার জিডিপি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে ১৯,২৩১.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার জানিয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের এক তরঙ্গ শুরু করেছে। তাই তাদের অর্থনীতিতে মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির হার ১.৮ শতাংশে এবং ২০২৬ সালে ১.৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে (India)।

    মন্থর প্রবৃদ্ধি!

    ইউরোজোন এলাকায়ও মন্থর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ১.২ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রবৃদ্ধি আগামী দুবছরে যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস (IMF)। স্পেন তার অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে তার প্রবৃদ্ধির হার হবে ২.৫ শতাংশ। তবে ২০২৬ সালে এটি হ্রাস পেয়ে ১.৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ এবং ১.৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    আইএমএফের রিপোর্টে আর্থিক বৃদ্ধির হার 

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ২.১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪.৩ লাখ কোটি ডলার। গত ১০ বছরে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৫ শতাংশ। কিন্তু জাপানের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বর্তমানে বিশ্বে অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত (IMF)। শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে চিন, জার্মানি এবং জাপান। এই বৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৫ সালেই জাপানকে পিছনে ফেলে দেবে নরেন্দ্র মোদির ভারত। শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালে জার্মানির অর্থনীতিকে টপকে যাওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা (India)। ডব্লিউইও-এর এপ্রিল ২০২৫ সংস্ককরণ বলছে, জানুয়ারি ২০২৫ সালের আপডেটের তুলনায় একটি নিম্নমুখী সংশোধন দেখানো হয়েছে। এটি বর্ধিত বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা ও ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রভাব প্রতিফলিত করে। এদিকে, আইএমএফ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক কম হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

    শুল্কযুদ্ধের মধ্যে ২০২৫ সালের জন্য জাপানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা জাপানের জন্য তার পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। ২০২৫ সালের পূর্বাভাস জানুয়ারিতে ১.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৬ শতাংশ করেছে। এই হ্রাস অর্থনৈতিক (India) কর্মদক্ষতার ওপর মার্কিন শুল্কের প্রত্যাশিত নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (IMF)।

  • Japan: নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে জাপান? ব্যাপক কমছে জন্মহার, বিয়ে ও সন্তানধারণে উৎসাহিত করছে সরকার

    Japan: নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে জাপান? ব্যাপক কমছে জন্মহার, বিয়ে ও সন্তানধারণে উৎসাহিত করছে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের (Japan) সভ্যতা কি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে? কেন উঠছে এমন প্রশ্ন? দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালে জাপানে জন্মহার সর্বনিম্নের ভিত্তিতে রেকর্ড (Low Birth Rate) গড়ে একেবারে ফেলেছে। এই নিয়ে টানা ৯ বছর ধরে এই একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে জাপানে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যদি এমনই চলতে থাকে, তবে এখন থেকে ৬৯৫ বছর পর ২৭২০ সালের জানুয়ারিতে জাপানে শিশুর সংখ্যা মাত্র একটিতে নেমে আসবে। এখানেই উদ্বেগ দেখা গিয়েছে।

    জন্মহার না বাড়লে জাপান (Japan) একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে

    জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জন্মহার না বাড়লে জাপান একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই আবহে সামনে এসেছে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে বিদেশি নাগরিক-সহ মাত্র ৭,২০,৯৮৮ শিশুর জন্ম হয়েছে জাপানে। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭,৫৮,৬৩১। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের মধ্যে শিশুজন্মের সংখ্যা পাঁচ শতাংশ কমে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ইদানিং বিয়ের সংখ্যা কমতে শুরু করে জাপানে। ২০২০ সালে, কোভিডের সময়ে ১২.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল বিয়ের হার। সেই প্রভাব এখনও টের পাওয়া যাচ্ছে জাপান।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর এথিক্স ইন এআই-এর সহযোগী অধ্যাপক একাতেরিনা হার্টোগের মতে, ‘‘জাপান যদি কখনও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তার মূল কারণ হবে সে দেশের কর্মসংস্কৃতি। ভালো বেতনের চাকরি না করলে পুরুষদের বিবাহযোগ্য বলে মনে করা হয় না। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এই দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে বটে, কিন্তু জাপানের ক্ষেত্রে এ ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে। জাপানের (Japan) বাজারে ভালো চাকরির অভাব বাড়ছে বলেই বক্তব্য বিশেষজ্ঞদের। ফলে পুরুষদের মধ্যে এমন এক শ্রেণি তৈরি হচ্ছে, যাঁরা আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে বিয়ে করতে চাইছেন না অথবা সন্তানের জন্ম দিয়ে পরিবার গড়ে তোলার ব্যাপারে সাহস পাচ্ছেন না।’’

    সরকারি উদ্যোগ (Japan)

    তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও সমাজবিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক হিরোশি ইয়োশিদা বলছেন, ‘‘কম জন্মহারের কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রথম দেশ হতে পারে জাপান (Japan)।’’ বিয়ে এবং সন্তানধারণে দম্পতিদের উৎসাহিত করার জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে জাপান সরকার। সরকার চালু করেছে ডেটিং অ্যাপ। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে শিশুযত্নের সুবিধা, আবাসনের সুবিধা ইত্যাদি নানা পরিষেবা চালু করা হয়েছে।

  • S Jaishankar: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    S Jaishankar: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত একাধিপত্যকে মেনে নেবে না আমেরিকা। ক্ষমতায় এসেই কোয়াডের (Quad Meetings) সঙ্গে সুর মিলিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সরাসরি চিনের নাম না করা হলেও ভারত, জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতিতে বেজিংকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, শক্তিপ্রয়োগ করে বা জোরজবরদস্তি করে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একতরফা কোনও স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটনার চেষ্টা করা হলে সেটা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানান, কোয়াডের বৈঠকের পর স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড।

    কোয়াডকে গুরুত্ব ট্রাম্পের

    কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) যখন আমেরিকা যাত্রা করেন, তখনও নয়াদিল্লির উদ্বেগ ছিল চিন-বিরোধী এই কোয়াড অক্ষটিকে কতটা গুরুত্ব দেবেন ট্রাম্প। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করে দেয় তাদের মনোভাব। প্রথম দিন দায়িত্ব নিয়েই আমেরিকার নতুন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়ং জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শপথের পরপরই কোয়াড গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বৈঠক প্রমাণ করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে ‘সমমনস্ক বন্ধুদের’। তাঁর বক্তব্য, “কোয়াডভুক্ত সমস্ত রাষ্ট্রের সামগ্রিক দায়বদ্ধতা এটাই প্রমাণ করে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যখন ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন, সেখানে প্রত্যেকেই লৌহ সংকল্পে আবদ্ধ।”

    চিন নয়, ভারতই ভরকেন্দ্র

    চিন নয় বরং ভারতকেই যে এশিয়ার প্রধান ভরকেন্দ্র হিসাবে দেখছে আমেরিকার নতুন জমানা, তার ইঙ্গিত মিলেছে প্রথম দিনই। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করকে আসন দেওয়া হয়েছিল একেবারে প্রথম সারিতে, যাকে ইতিবাচক সংকেত হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তাঁর দু’টি সারি পিছনেই বসেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি আইওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়ং, অর্থাৎ কোয়াডের আর দুই সদস্য। অর্থাৎ কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্রগুলিকে প্রথম দিকেই রেখেছে আমেরিকার নতুন প্রশাসন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar) জানিয়েছেন, কোয়াডের বৈঠক থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে এই অনিশ্চিত দুনিয়ায় বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড। 

    ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মুক্ত রাখার বার্তা

    ওয়াশিংটনে কোয়াড সদস্য দেশগুলির মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকের পরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোয়াডের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক হল, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে বন্ধু রাষ্ট্রগুলির ক্ষেত্রে (আমেরিকার) বৈদেশিক নীতি কতটা অগ্রাধিকার পায়। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যাতে মুক্ত, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধশালী থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    কোয়াড বৈঠক (Quad Meetings) প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আরও বৃহাদাকারে ভাবনাচিন্তা করা, নিজেদের পদক্ষেপকে আরও দৃঢ় করা এবং আমাদের সমন্বয় আরও মজবুত করার বিষয়ে একমত হয়েছি (আমরা)। আজ যে বৈঠক হল, সেটা থেকে স্পষ্ট বার্তা গেল যে এই অনিশ্চিত এবং অস্থির দুনিয়ায় কোয়াড বিশ্বের ভালোর জন্য একটি শক্তি হয়ে থাকবে।”

    আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নয়া সমীকরণ! ট্রাম্পের শপথের সময় সামনের সারিতে জয়শঙ্কর

    কোয়াড বৈঠকে যৌথ বিবৃতি

    ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের পরই কোয়াড বৈঠক নিয়ে কূটনৈতিক মহলের মত, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাড়বাড়ন্ত, আগ্রাসন রুখতে গঠিত কোয়াডের উপর আমেরিকা যে আগের সরকারের মতোই জোর দেবে, সেই বার্তাটা দেওয়া হল। কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতেও সেই বিষয়টা উঠে এসেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগামীদিনে কোয়াডের কাজকর্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা মুখিয়ে আছি। ভারত যে পরবর্তী কোয়াড নেতাদের সম্মেলেনের আয়োজন করবে (২০২৫ সালেই হবে), সেটার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যেই আমরা নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asian Champions Trophy Hockey 2024: এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দাপটে শুরু! চিনের পর জাপান, হকিতে অপ্রতিরোধ্য ভারত

    Asian Champions Trophy Hockey 2024: এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দাপটে শুরু! চিনের পর জাপান, হকিতে অপ্রতিরোধ্য ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের পর জাপানও তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারল না ভারতীয় হকি দলের বিরুদ্ধে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Asian Champions Trophy Hockey 2024) দ্বিতীয় ম্যাচেও সহজ জয় পেল ভারতীয় হকি দল। সোমবার জাপানকে ৫-১ গোলে হারালেন হরমনপ্রীতরা (India beat Japan)। প্যারিস অলিম্পিকে পদক জয়ী হরমনপ্রীতরা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হতেও বদ্ধ পরিকর।

    আগ্রাসী শুরু ভারতের

    এদিন প্রথম মিনিট থেকেই আগ্রাসী মেজাজে শুরু করে ভারতীয় দল। জাপানের খেলোয়াড়েরা ঠিক মতো পজিশন নেওয়ার আগেই উইং দিয়ে আক্রমণ তৈরি করেন সুখজিৎ সিং। প্রথম মিনিটেই তাঁর গোল এগিয়ে দেয় ভারতকে। দ্বিতীয় গোলের জন্যও বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতীয় দলকে। দ্বিতীয় মিনিটেই জাপানের একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোল করেন অভিষেক। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত। রক্ষণে খেলোয়াড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন জাপানিরা। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে পেনাল্টি কর্নার থেকে ৩-০ করে ভারত। ১৭ মিনিটের মাথায় পাওয়া পেনাল্টি কর্নারে ড্র্যাগ ফ্লিক নেননি হরমনপ্রীত। অধিনায়ক যান পেনাল্টি কর্নার নিতে। সঞ্জয় ড্র্যাগ ফ্লিক মারেন। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ৪১ মিনিটে জাপানের মাসুমোতো একমাত্র গোল করেন তাঁর দলের হয়ে। চতুর্থ কোয়ার্টারে উত্তম সিং (৫৪’) ও সুখজিতের (৬০’) গোলে ভারত ম্য়াচ পকেটে পুরে ফেলে।

    টেবল শীর্ষে

    গত রবিবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Asian Champions Trophy Hockey 2024) চিনকে ৩-০ চূর্ণ করেই শুভারম্ভ করেছিল টিম ইন্ডিয়া। কয়েক ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই ভারত এবার ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল জাপানকে। সোমবার  হুলুনবুইরে জাপানকে দাঁড়াতে দিল না ভারত। হরমনপ্রীতদের আগুনে হকিতে আঁধার নামল সূর্যোদয়ের দেশে। আর ২ ম্য়াচে ২ জয়ের সুবাদে ভারত এখন লিগ টেবলে শীর্ষে চলে এল। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে আজকের দিনেই রুপো জিতেছিল ভারত। দাপটে হকি খেলে সেদিনটাকে ফের স্মরণ করালেন হরমনপ্রীতরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share