Tag: jem

jem

  • Jaish E Mohammed: গুপ্ত-মহিলা ব্রিগেড খুলছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ! দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে

    Jaish E Mohammed: গুপ্ত-মহিলা ব্রিগেড খুলছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ! দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গুপ্ত-মহিলা ব্রিগেড খুলতে চলেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish E Mohammed)। এই ব্রিগেডের (Womens Brigade) নাম রাখা হয়েছে ‘জামাত আল মু’মিনাত’, বাংলায় তর্জমা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় ‘বিশ্বাশী নারীদের সম্প্রদায়’।

    নারী সংগঠন (Jaish E Mohammed)

    জানা গিয়েছে, এই নয়া মহিলা সংগঠনটিকে জইশ-ই-মহম্মদের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ ও তৃণমূল পর্যায়ের নিয়োগ কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশেষত শিক্ষিত, শহরাঞ্চলের মুসলিম মহিলাদের প্রভাবিত করাই এদের লক্ষ্য, যার বিস্তার জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ এবং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি পর্যন্ত। সূত্রের খবর, এই কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে এনক্রিপটেড অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম এবং ধর্মীয় প্রচার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই সংগঠনের কার্যকলাপ অত্যন্ত সুচারুভাবে ধর্মীয় ও ভক্তিমূলক ভাষায় আড়াল করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে যেন এটি একটি ইসলামি সংস্কারমূলক উদ্যোগ।

    মক্কা ও মদিনার ছবি

    জইশ-ই-মহম্মদের তরফে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে, যেখানে মক্কা ও মদিনার ছবি এবং কোরানের আয়াত ব্যবহার করা হয়েছে। সংগঠনে এক ধরনের ধর্মীয় বৈধতার ছাপ দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এক শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, “নৈতিক শুদ্ধতা এবং ভক্তিমূলক ভাষার মাধ্যমে এই সূক্ষ্ম প্রোপাগান্ডা তৈরি করা হয়েছে, যা আত্মিক অন্বেষায় আগ্রহী শিক্ষিত মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার জন্য পরিকল্পিত।” আধিকারিকদের মতে, এটি দু’ধাপের মগজধোলাইয়ের একটি পরিকল্পনা। প্রথম ধাপে রয়েছে আধ্যাত্মিক শর্তায়ন বা মানসিক প্রস্তুতি, আর পরবর্তী ধাপে রয়েছে নিয়োগপ্রাপ্তদের ধীরে ধীরে জইশ-ই-মহম্মদের রাজনৈতিক ও জেহাদি মতাদর্শের সঙ্গে পরিচয় করানো (Jaish E Mohammed)।

    ‘জামাত আল-মু’মিনাত’

    অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের গোয়েন্দা বার্তা থেকে জানা গিয়েছে, ‘জামাত আল-মু’মিনাত’ যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কাঠামোটি সেল-ভিত্তিক উল্লম্ব শৃঙ্খলায় পরিচালিত হচ্ছে। এর কাঠামো জইশ-ই-মহম্মদের বর্তমান সাংগঠনিক পরিকাঠামোর মতোই (Womens Brigade)।এক প্রবীণ গোয়েন্দাকর্তা বলেন, “এই মহিলাদের দলগুলিকে নিয়োগকারী, বার্তা বহনকারী এবং অর্থ সংগ্রাহক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তারা গোপনে থেকে পুরুষ সদস্যদের জন্য পরোক্ষ লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এই কৌশলগত পরিবর্তন জইশ-ই-মহম্মদের ২০২৪ সালের পরবর্তী অপারেশনাল পুনর্গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার মূল জোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাব বিস্তার এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ ও কাশ্মীরজুড়ে মাদ্রাসা নেটওয়ার্ককে কেন্দ্র করে কার্যকলাপ বিস্তারে।

    ধর্মের আড়ালে মারকাজ-স্তরের সমাবেশের

    বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের ইঙ্গিত, ধর্মের আড়ালে মারকাজ-স্তরের সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। সংগঠনের একটি পুস্তিকায় এই সব সভায় অংশগ্রহণকে আধ্যাত্মিক কর্তব্য এবং সমষ্টিগত দায়িত্ব বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, এই সব বাক্যাংশের সঙ্গে মিল রয়েছে বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠনগুলির প্রাথমিক মহিলা জেহাদি বর্ণনার (Jaish E Mohammed)। এই ধরনের একটি পুস্তিকায় ১৩ই রবিউস সানির উল্লেখ রয়েছে, যা সম্ভাব্যভাবে একটি সমন্বিত পরিকল্পিত সভার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে হুন্ডি বা দান-ভিত্তিক অর্থায়নের ব্যবস্থার সঙ্গে সংযোগ থাকতে পারে। সূত্রের খবর, “এই ধরনের সভাগুলি প্রায়ই ধর্মীয় এনজিও এবং মাদ্রাসা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তরের আড়াল হিসেবে কাজ করে, যেগুলিকে ইসলাহে উম্মাহ (সমাজ সংস্কার)-এর নামে দানের ছদ্মবেশে পরিচালনা করা হয়।”

    জামাত আল-মু’মিনাত

    নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জেনেছেন, জামাত আল-মু’মিনাতের সাহিত্যিক উপকরণের ধর্মীয় ভাষা, নকশা ও বিষয়বস্তুর কাঠামো পাকিস্তানভিত্তিক আল-মুহাজিরাত (জেইএম-এর আনুষ্ঠানিক মহিলা শাখা) এবং বাহাওয়ালপুরের মারকাজ-উসমান-ও-আলি (জেইএম-এর পরিচিত ঘাঁটি) কর্তৃক প্রকাশিত উপকরণের সঙ্গে যথেষ্ট সাদৃশ্যপূর্ণ (Womens Brigade)। জইশ-ই-মহম্মদ কৌশলগতভাবে তাদের মহিলা ইউনিটগুলিকে তথ্যযুদ্ধ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি করছে। তারা অনলাইনে দাওয়াহ (ধর্মপ্রচার), ভ্রান্ত তথ্য প্রচার এবং আর্থিক কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। এভাবেই তারা ফাঁকি দিচ্ছে প্রচলিত নজরদারি ব্যবস্থাকে (Jaish E Mohammed)।

    জইশ-ই-মহম্মদের মনস্তাত্ত্বিক অভিযান

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, “এই মহিলা কর্মীরা জইশ-ই-মহম্মদের মনস্তাত্ত্বিক অভিযানে ডিজিটাল পদাতিক সেনার ভূমিকা পালন করছে। তাদের অনলাইন বর্ণনাগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে আদর্শগত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, চরমপন্থী মতাদর্শকে স্বাভাবিক করে তোলা যায়, এবং সরাসরি সশস্ত্র প্রশিক্ষণ ছাড়াই জেহাদি উদ্দেশ্যের প্রতি আনুগত্য জাগিয়ে তোলা যায়।” কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, এই উদ্যোগ সন্ত্রাসবাদী প্রভাব বিস্তারের এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে, যেখানে ধর্মীয় ভক্তি, লিঙ্গভিত্তিক আবেগময় আবেদন এবং ডিজিটাল গোপন কৌশল একত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে (Womens Brigade)।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে জইশের শেকড় যে অনেক গভীরে প্রোথিত, তার প্রমাণ মেলে দিন কুড়ি আগে ভাইরাল হওয়া জইশ নেতা মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির এক ভিডিও বার্তায়। তিনি বলেছেন, “২৫ বছরের ধৈর্য, সাহস ও সংকল্পের ফল যে পাকিস্তানের সরকার, সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীকে জেহাদের পথে আনতে পেরেছি। যারা শহিদ হয়েছে, তারা জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। পাক বায়ুসেনা এর বদলাও নিয়েছে (Jaish E Mohammed)।”

  • JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর হাঁটু কেঁপে গিয়েছে জঙ্গিদের। দিন কয়েক আগে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি যে নিছক মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার, প্রতিরক্ষা ও সামরিক সূত্রে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সিংহ-বিক্রমে আক্ষরিক অর্থেই ভয় পেয়ে গিয়েছে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। সূত্রের খবর, সেই ভয়েই জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিন (JEM Hizbul Mujahideen) তাদের ঘাঁটি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে পাকিস্তানেরই (POK) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত এই জঙ্গি সংগঠনগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অভিযোজন। তারা এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ আফগান সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

    অপারেশন সিঁদুর (JEM Hizbul Mujahideen)

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। তার জেরে শুরু হয় ভারত-পাক সংঘর্ষ। চার দিন পরে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় বিধ্বস্ত পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের পূর্ণ মদত এবং প্রত্যক্ষ সাহায্যে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি ডেরা বদলাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি সুরক্ষায় জেইএমের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক-ধর্মীয় সংগঠন জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের সহযোগিতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ

    প্রসঙ্গত, এই সব তথ্য ভারতের একাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথভাবে প্রস্তুত করা একটি ডসিয়ারের অংশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলার গড়ি হাবিবুল্লাহ শহরে (JEM Hizbul Mujahideen)। এখানে জেইএম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রায় সাত ঘণ্টা আগে প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ কর্মসূচি চালায়। সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানটি ছিল জেইএম এবং জেইউআইয়ের যৌথভাবে পরিচালিত একটি গণ-সমাবেশ। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা মুফতি (POK) মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরি ওরফে আবু মহম্মদ। তিনি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ এবং কাশ্মীর অঞ্চলে জেইএমের শীর্ষ নেতা।

    ইলিয়াস কাশ্মিরি মোস্ট ওয়ান্টেড

    ইলিয়াস কাশ্মিরি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড টার্গেট। তিনি জেইএমের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সূত্রের খবর, এম৪ রাইফেল হাতে জেইএম সশস্ত্র ক্যাডার ও স্থানীয় পুলিশ প্রহরায় জনসভায় তাঁর উপস্থিতি পাকিস্তানের জেইএমের প্রতি প্রত্যক্ষ মদতই প্রমাণ করে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে জইশ কমান্ডার ইলিয়াসকে বলে শোনা যায়, “সেনা সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরে নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে যাতে পদস্থ পাক কমান্ডাররা উপস্থিত থাকেন। তিনি এও বলেন, শহিদদের সম্মান জানাতে জওয়ানদের সেনার পোশাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এমনকী কিছু জওয়ানকে সেখানে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সদর দফতর থেকে। তাঁর দাবি, অপারেশন সিঁদুরের পর জঙ্গিদের সৎকারে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ (POK) দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান খোদ আসিম মুনিরই (JEM Hizbul Mujahideen)।

    প্রকাশ্যে পাক মদত

    অপারেশন সিঁদুরে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের দেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে শেষকৃত্য করেছিল পাক সেনা। গান স্যালুট দিয়ে জঙ্গিদের শহিদ তকমা দিতেও শোনা গিয়েছিল তাঁদের। ইলিয়াসের দাবি, এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সেনবাহিনীর মুখ্য কার্যালয় থেকে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দিল্লি এবং মুম্বই হামলায় মাদুস আজহারের হাত ছিল বলেও কবুল করেন ইলিয়াস। তিনি বলেন, “দিল্লির তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এবং শত্রুদের কবল থেকে পালানোর পর আমির-উল-মুজাহিদিন মাসুদ আজহার পাকিস্তানে বালাকোটে বসেই দিল্লির সংসদ ভবন এবং মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার ছক কষেছিলেন (POK)। এই মাটি, এর প্রতিটি কণা, তাঁর কাছে ঋণী (JEM Hizbul Mujahideen)।’’

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান যে কেবল জঙ্গিদের আশ্রয়ই দেয় না, বরং ভারত-বিরোধী জঙ্গি হামলায় সরাসরি মদত দেয়, এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বারংবার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার স্বয়ং জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তির পর ভারতের দাবি যে আরও স্পষ্ট হল, তা বলাই বাহুল্য (JEM Hizbul Mujahideen)।

  • Jammu Kashmir: পুলিশ কর্তা ও এনআইএ-র অফিসে নাশকতার ছক জঙ্গিদের! সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা

    Jammu Kashmir: পুলিশ কর্তা ও এনআইএ-র অফিসে নাশকতার ছক জঙ্গিদের! সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় ধরনের নাশকতার ছক লস্কর-ই-তইবা (LeT) এবং জইশ-ই-মহম্মদের (JEM)! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে এনআইএ এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সাবধান করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যেসব আধিকারিক দিল্লিতে কর্মরত, তাঁদের বাসভবন এবং এনআইএর অফিসে হামলা করার ছক কষছে জঙ্গিরা। এর আগে কেন্দ্রীয় গেয়েন্দা সংস্থার তরফে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর যে হামলা হতে পারে, তা আগাম জানানো হয়েছিল। সেই মতো দিন কয়েক আগে বারমুলায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। তাই এবারও যে এমন কোনও ঘটনা ঘটতে পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে ওই সংস্থা।

    লস্কর-ই-তইবার (LET) ছক…

    গত মাসেই কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুঞ্চ জেলার ভীম্বার এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। তার জেরে শহিদ হন পাঁচ জওয়ান। জইশ-ই-মহম্মদ এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দেয়। গোয়েন্দারা এও জেনেছেন, পাকিস্তান (LET) ভিত্তিক লস্কর কমান্ডার রফিক নাই এবং তার ভাই শামসের নাই পুঞ্চের বালাকোট এলাকায় ডেরা বেঁধেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে শ্রীনগরে হতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। সেই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তার আগে ভূস্বর্গকে অশান্ত করে তোলাই পাখির চোখ জঙ্গিদের।

    বিস্ফোরক সহ ধৃত ১

    এদিকে, জঙ্গি দমনে প্রাণপণ করেছে সেনা। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) রাজৌরি এবং বারামুল্লায় গত কয়েকদিন ধরেই চলছে জঙ্গি দমন অভিযান। অভিযান চলাকালীন সন্ত্রাসবাদী এবং সেনার গুলির লড়াইয়ে একাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ দাবি করেছে, জঙ্গিদের এক সহযোগীকে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। তার কাছ থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা ৫ কেজি (LET) ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে। ধৃতের নাম ইশফাক আহমেদ ওয়ানি।

    আরও পড়ুুন: পটাশপুরে শুভেন্দুর সভা বাতিল প্রশাসনের! রবিবার ফের জনসভার ডাক বিরোধী দলনেতার

    তার বাড়ি বদগামের আরিগাম এলাকায়। ট্যুইট-বার্তায় কাশ্মীর (Jammu Kashmir) জোন পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামা পুলিশ সন্ত্রাসবাদে এক সহযোগী ইশফাক আহমেদ ওয়ানিকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি আইইডি উদ্ধার করে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হয়েছে। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে, শনিবারও চলে জঙ্গি দমন অভিযান। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় এক জঙ্গির। তার পরেই আইইডি সহ গ্রেফতার জঙ্গির সহকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Terrorists: চার দিনে দুই গোষ্ঠী এবং ৪ জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    Terrorists: চার দিনে দুই গোষ্ঠী এবং ৪ জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তপারের মদত দেওয়া সন্ত্রাস বন্ধে ফের কড়া পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার। লস্কর-ই-তৈবা (LeK) এবং জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) দুই ছায়া সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। গত চারদিনে চারজনকে জঙ্গিও (Terrorists) ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে, তা বারংবার জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে…

    জানুয়ারির ৪ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আইজাজ আহমেদ আহাঙ্গার ওরফে আবু উসমান আল-কাশ্মীরির জন্ম কাশ্মীরে। সে সন্ত্রাসবাদী। আল কায়দার সঙ্গে যোগ রয়েছে তার। অন্যান্য গ্লোবাল টেররিস্ট গ্রুপের সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। সে ভারতে ইসলামিক স্টেট (IS) শুরু করার কাজে নিয়োজিত। তাকে ইনডিভিজ্যুয়াল টেররিস্ট ঘোষণা করা হয়েছে। আইজাজ আহমেদ বর্তমানে রয়েছে আফগানিস্তানে। সে জম্মু-কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেটের প্রধান নিয়োগ কর্তা। ১৯৭৪ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম আইজাজের। দু দশকেরও বেশি সময় ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সে ওয়ান্টেড টেররিস্ট। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলে সে টেরর রিলেটেড স্ট্র্যাটেজি তৈরির পরিকল্পনা করতে শুরু করেছিল। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করেছিল সে।

    আরও পড়ুুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাওড়ায় এসটিএফের জালে দুই, আইএসআইএসের সঙ্গে যোগ ধৃতদের?

    ৫ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ওই দিনই ওই মন্ত্রক মহম্মদ আমিন খুবাইব ওরফে আবু খুবাইবকেও ইন্ডিভিজ্যুয়াল টেরিরিস্ট (Terrorists) ঘোষণা করেছে। জন্মু-কাশ্মীরে বেড়ে ওঠা খুবাইব বর্তমানে রয়েছে পাকিস্তানে। সে বর্তমানে লস্কর-ই-তৈবার লঞ্চিং কমান্ডার। ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন পিপলসস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের কাজে যুক্ত ছিল এই সংগঠন। ওই রাতেই আলাদা একটি নোটিশ জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরবাজ আহমেদ মিরকে ইন্ডিভিজ্যুয়াল জঙ্গি ঘোষণা করে। জম্মু-কাশ্মীরে বেড়ে উঠলেও, বর্তমানে সে থাকে পাকিস্তানে। ৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আশিফ মকবুল দারকে ইন্ডিভিজ্যুয়াল জঙ্গি (Terrorists) ঘোষণা করে। আশিফ সৌদি আরবে থাকে। কাশ্মীরি তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে উৎসাহিত করে সে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ঠিক আগেই জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক। শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পশ্চিমের সাহারানপুর (Saharanpur) জেলা থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) ও তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban ) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় বছর পঁচিশের ওই যুবককে।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশের (UP Police) দাবি, ওই যুবককে গ্রেফতার করায় ফাঁস হল বড়সড় নাশকতার ছক। পুলিশের দাবি, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবককে  বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে খুনের দায়িত্ব দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাহারানপুরের কুন্দাকালা গ্রামের ওই বাসিন্দার নাম মহম্মদ নাদিম। পুলিশের দাবি, নূপুরকে হত্যা করতে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের এক চাঁই ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল বলে স্বীকারও করেছে নাদিম। সে তার আরও কয়েকজন সহযোগীর নামও জানিয়েছে পুলিশকে। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুন : হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি সাসপেন্ড করে দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে। তার পরেও এক শ্রেণীর দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায় দেশের বিভিন্ন অংশে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা সবই হয়েছে। দিন দুই হাত গুটিয়ে বসে থাকার পর পথে নামে পুলিশ। তার পরেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। সেই নূপুরকেই খুন করতে ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল জঙ্গিরা।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নাদিমের। জইশ-ই-মহম্মদ ও তেহরিক-ই-তালিবান দুই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত ছিল সে। তার ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ জেনেছে, অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান ও সিরিয়াও যেতে বলা হয়েছিল তাকে। কীভাবে আইইডি তৈরি করতে হয়, ফোনের মাধ্যমে তাকে তার কৌশলও শিখিয়েছিল জঙ্গিরা। পুলিশের দাবি, তার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন চ্যাট এবং ভয়েস বার্তায়ও জইশ এবং তেহরিক-ই-তালিবানের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত নাদিম। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেন, নাদিমের কাছ থেকে দুটি সিম কার্ড এবং বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরির কৌশল লেখা কিছু কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

     

LinkedIn
Share