Tag: Jharkhand

Jharkhand

  • Jharkhand: ভালোবাসা মানে না সীমা! ফিলিপাইনের কনে, ভারতের বর, বিবাহ হল রাঁচিতে

    Jharkhand: ভালোবাসা মানে না সীমা! ফিলিপাইনের কনে, ভারতের বর, বিবাহ হল রাঁচিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায়ই শোনা যায় যে ভালোবাসার কোনও সীমানা থাকে না। ভালোবাসা মুক্ত। সত্যিকারের ভালোবাসার সামনে বাধা হয়না জাত-পাত সংস্কৃতি ও ভাষা। সম্প্রতি এমনই একটি গল্প সামনে এসেছে। যেখানে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে দুটি মন। ফিলিপাইনের ইরা ফ্রান্সিসকা বার্নাসোল এবং ঝাড়খণ্ডের পীতাম্বর কুমার সিং প্রেমে পড়েন। এরপরেই তাঁরা নিজেদের বাড়িতে জানান বিষয়টি। বাড়ির লোক রাজি হওয়াতে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রাঁচিতেই (Jharkhand) সম্পন্ন হয় এই বিবাহ অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, তাঁদের প্রথমে কোর্ট ম্যারেজ সম্পন্ন হয়। ইরা (Filipino Bride) এখানে পীতাম্বর ও ইরার বন্ধুরাও হাজির ছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়। এই দম্পতি রাঁচির হিনুতে রেজিস্ট্রি অফিসে নিজেদের বিবাহ নথিভুক্ত করেন। এরপর সেখানকার আধিকারিক তাঁদের ম্যারেজ সার্টিফিকেটও দেন।

    কী বললেন ম্যারেজ অফিসার (Jharkhand)?

    ম্যারেজ রেজিস্ট্রার বাল্মীকি সাহু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ফিলিপাইনের বাসিন্দা ইরা এবং রাঁচির (Jharkhand) ধুরভার বাসিন্দা পীতাম্বর কুমার সিং আমাদের অফিসে কোর্ট ম্যারেজের জন্য আবেদন করেছিলেন। আমরা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এরপর তাঁদের একটি ম্যারেজ সার্টিফিকেটও দিয়েছি।’’

    দুবাইয়ে কাজ করতেন পীতাম্বর

    জানা যায়, পীতাম্বর দুবাইয়ের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই তাঁর পরিচয় হয় ইরার সঙ্গে। এরপরেই দুজনে প্রেমে পড়েন। তারপরেই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন (Jharkhand)। পীতাম্বর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার পরিবার প্রথমে বিয়ে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল কিন্তু আমি পরিবারকে রাজি করাতে পেরেছিলাম। এরপর আমি একদিন ইরাকে রাঁচিতে নিয়ে এসেছিলাম। পরে ইরার পরিবারও এসেছিল। আমাদের পরিবার ও ইরার পরিবার মিলে বিয়ের দিন ঠিক করে।’’

    আনন্দের সঙ্গে পালন বিবাহ অনুষ্ঠান

    নিজেদের বিবাহ অনুষ্ঠান (Jharkhand) খুবই আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করেন ইরা ও পীতাম্বর। হিন্দু রীতিতে তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ভারতীয় পোশাকে সেজেছিলেন ইরা। একেবারে নিঁখুত ভারতীয় কনের পোশাক পরেছিলেন। এনিয়ে পীতাম্বর বলেন, ‘‘আমরা আনন্দিত। আমাদের ভালোবাসা পরিণতি পেয়েছে। এজন্য আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমার ও ইরার পরিবারকে ধন্যবাদ আমাদের সম্পর্ককে মেনে নেওয়ার জন্য।’’

  • Jharkhand: রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা, সতর্কতা জারি ঝাড়খণ্ডের এটিএসের

    Jharkhand: রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা, সতর্কতা জারি ঝাড়খণ্ডের এটিএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বাংলাদেশের জঙ্গিরা ঢুকছে। তারা পাকুড়ে (Jharkhand) নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। পরে ফের সীমান্ত পার হয়ে ফিরে গিয়েছে (JMB)। এই মর্মে উচ্চস্তরের সতর্কতা জারি করেছে ঝাড়খণ্ড অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলির। সেগুলিই ভারতে ঢুকে অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

    গোয়েন্দা তথ্য (Jharkhand)

    এটিএসের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর জঙ্গি আবদুল মামুন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সে পাকুড়ে পৌঁছেছে। সেখানে থাকার সময় সে ডুবরাজপুরের ইসলামি দাওয়া সেন্টারে জেএইচএ ইন্ডিয়ার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে। ১৫ জন স্থানীয় নিয়োগপ্রাপ্তকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর মামুন ৭ জানুয়ারি ধুলিয়ান রুট দিয়েই আবার বাংলাদেশে ফিরে যায়।

    এটিএসের সতর্কবার্তা

    জানা গিয়েছে, এটিএস (JMB) সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলদের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে তারা কার্যকর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে এবং সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলায় কঠোর প্রতিরোধমূলক ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে (Jharkhand)। এটিএসের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি আঞ্চলিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারতে তাদের কার্যকলাপ প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জেএমবি সহ চরমপন্থী সংগঠনগুলি ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মতো ভারতীয় রাজ্যগুলিতে অনুপ্রবেশ করে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র করছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, পাকুড়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটিএসের নজরদারিতে পাকুড়ের নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কিছু ব্যক্তির যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। এরা জঙ্গি প্রশিক্ষণ কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। সাহেবগঞ্জ ও পাকুড়ে, সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেখানে আগে জেএমবি সক্রিয় ছিল, সেখানে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত গোপন কর্মী ও সমর্থকদের সন্ধান করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থাও (JMB) করা হয়েছে এটিএসের তরফে (Jharkhand)।

  • Bangladeshi Infiltration: ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রক

    Bangladeshi Infiltration: ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা রাজনৈতিক বিতর্ক ও অভিযোগকে উসকে দিচ্ছে। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে। এই সব বিতর্কের মধ্যে এবার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ সম্পর্কে কোনও কেন্দ্রীয় – স্তরের ডেটা রাখা হয় না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) সম্প্রতি তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তথ্যের অধিকার (আরটিআই) প্রশ্নের উত্তরে এই স্পষ্টীকরণ এসেছে, যা সমস্যাটিকে ঘিরে জটিলতাগুলিকে আরও স্পষ্ট করেছে।

    আরটিআই প্রশ্ন এবং MHA এর প্রতিক্রিয়া (Bangladeshi Infiltration)

    ঝাড়খণ্ড জনাধিকার মহাসভার সঙ্গে যুক্ত সিরাজ দত্ত তিনটি মূল দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে এমএইচএ-তে একটি অনলাইন আরটিআই আবেদন জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি জানতে চেয়েছেন, ১) প্রতিটি রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর (Bangladeshi Infiltration) সংখ্যা। ২) বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জড়িত “লাভ জিহাদ” এবং “ল্যান্ড জিহাদ” সম্পর্কিত মামলা। ৩) এসব সমস্যা সমাধানে কী প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার প্রতিক্রিয়ায়, এমএইচএ বলেছে যে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলি ১৯৩৯ সালের বিদেশি আইন এবং ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পড়ে। তবে, মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে যে কেন্দ্রীয় স্তরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডেটা রাখা হয় না। পরিবর্তে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা ইমিগ্রেশন ব্যুরোতে এই ধরনের তথ্য সম্ভাব্যভাবে উপলব্ধ হতে পারে।

    ঝাড়খণ্ডে আইনি উন্নয়ন

    ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) এমন একটি রাজ্য যেখানে বাংলাদেশের (Bangladeshi Infiltration) সঙ্গে কোনও সীমানা নেই। কিন্তু সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এর আগে রাজ্য সরকারকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। যাই হোক, রাজ্য সরকারের আপত্তির পরে বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের পর্যালোচনাধীন রয়েছে। ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল যুক্তি দিয়েছিলেন যে ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।  

    অসন্তোষ প্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট

    এই বছরের সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে ড্যানিয়েল ড্যানিশের দ্বারা একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করার পরে বিষয়টি গতি পায়। পিআইএল সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়েছিল। জেলা প্রশাসক সহ জেলা আধিকারিকদের দ্বারা জমা দেওয়া রিপোর্টগুলি কোনও উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ অস্বীকার করেছে। হাইকোর্ট জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদনে অসঙ্গতি উল্লেখ করে অসন্তোষ প্রকাশ করে। হাইকোর্ট এমন একটি মামলা তুলে ধরে, যেখানে সাহেবগঞ্জে চার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে, আর বিষয়টি জেলা প্রশাসন অস্বীকার করেছে। আদালত মন্তব্য করেছে যে যদিও আদালত বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের জন্য জেলা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, তবে এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল সত্যটি নিশ্চিত করা।  

    সাঁওতাল পরগণায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি!

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুসারে সাঁওতাল পরগণায় উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটেছে। রিপোর্ট অনুসারে, এই অঞ্চলে উপজাতীয় জনসংখ্যা ৪২ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। পাশাপাশি পাকুর এবং সাহেবগঞ্জের মতো জেলাগুলিতে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। সমগ্র সাঁওতাল পরগণা অঞ্চল জুড়ে একই সময়ে মুসলিম (Bangladeshi Infiltration) জনসংখ্যা ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।

    কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সহযোগিতা

    সাম্প্রতিক শুনানির সময় ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্য সচিব যৌথভাবে সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-ক্ষমতার কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কেন্দ্রীয় সরকার একটি হলফনামার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জমা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পরবর্তী শুনানি ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। আগে জমা দেওয়া একটি হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার পরামর্শ দিয়েছিল যে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) এর মাধ্যমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্তকরণ এবং নির্বাসনকে সহজতর করা যেতে পারে। এমএইচএর স্পষ্টীকরণ কেন্দ্রীভূত ডেটার অনুপস্থিতির পরামর্শ দেয়, ঝাড়খণ্ডে চলমান আইনি প্রক্রিয়াগুলি এই ধরনের অভিযোগগুলি মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raghubar Das: ‘মিশন’ ওড়িশার পর এবার ঝাড়খণ্ড! রঘুবর দাসের বিজেপির রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা

    Raghubar Das: ‘মিশন’ ওড়িশার পর এবার ঝাড়খণ্ড! রঘুবর দাসের বিজেপির রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাস (Raghubar Das) পদত্যাগ করলেন। এরপর থেকে ঝাড়খন্ডে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার বিষয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে  নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। রাজভবন থেকে একটি সরকারি বিবৃতিতে রঘুবর দাসের পদত্যাগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। মিজোরামের গভর্নর কামহামপতি হরি বাবুকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

    ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে মাত্র ১৪  মাস দায়িত্ব পালন (Raghubar Das)

    ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস (Raghubar Das) ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে মাত্র ১৪ মাস দায়িত্ব পালন করার পরে পদত্যাগ করেছেন। সক্রিয় রাজনীতিতে তার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আলোচনাটি সাম্প্রতিক ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি তার পুত্রবধূ পূর্ণিমা সাহুকে শক্ত ঘাঁটি জামশেদপুর পূর্ব থেকে প্রার্থী করার পর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। সেই আসনে পূর্ণিমা সাহু জিতেছিলেন। দাস ছিলেন ঝাড়খণ্ডের একমাত্র অ-উপজাতি মুখ্যমন্ত্রী, যিনি একটি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেছেন। তাঁর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

    রঘুবর দাস কী বললেন?

    পুরী জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা করার পর রঘুবর দাস (Raghubar Das) সাংবাদিকদের বলেন, “আমি একটি শ্রমজীবী পরিবার থেকে উঠে এসেছি। ১৯৮০ সালে আমি দলে (বিজেপি) যোগদানের পর আমাকে বুথ, মণ্ডলে অনেক কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য এবং জাতীয় স্তরেও আমি ঝাড়খণ্ডের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি (মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে)। দল এবার নতুন ভূমিকা নির্ধারণ করবে।”

    ওড়়িশার বিজেপি নেতা কী বললেন?

    ওড়িশার এক বিজেপি (BJP) নেতা বলেন, ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে দাসের (Raghubar Das) “দৃঢ় প্রভাব” রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বের “তার জন্য একটি পরিকল্পনা” থাকতে পারে।” ওড়িশা বিজেপি প্রধান মনমোহন সামল বলেন, “দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে দাস হয়তো পদত্যাগ করেছেন। দাস গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওড়িশার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। গত তিন দশকে তার পাঁচজন পূর্বসূরি তাদের সম্পূর্ণ পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন বলে রাজভবনে তাঁর সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম কার্যকাল ছিল।” ওড়িশায় দাসের ভূমিকাকে “গুরুত্বপূর্ণ” হিসেবে দেখা হয়েছিল। কারণ বিজেপি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও, নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দলকে (বিজেডি) ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে রাজ্যে প্রথম সরকার গঠন করেছিল। 

    বিজেডি নেতা কী বললেন?

    বিজেডির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে একই সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পিছনে দাসের (Raghubar Das) “ভুমিকা” ছিল। জুলাই মাসে বার্ষিক রথযাত্রার সময় পুরীতে তার ছেলে ললিত কুমারের দ্বারা রাজভবনের এক কর্মচারীর হামলার জন্যও বিজেডি দাসকে নিন্দা করেছিল। বিজেডি দাসকে তার পদত্যাগের পরেও এই ইস্যুতে টার্গেট করা অব্যাহত রেখেছিল। দলের মুখপাত্র লেলিন মোহান্তি উল্লেখ করেছেন যে সেই হামলার শিকার ব্যক্তি এখনও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে বিজেপির দাবি একটি প্রহসন”। বিজেডি আরও অভিযোগ করেছিল যে গত মাসে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সময় “রাজনৈতিক কৌশলের” জন্য রাজভবনকে “যুদ্ধ কক্ষে” পরিণত করা হয়েছিল। একজন বিজেডি নেতা বলেছিলেন, “দাসই বিজেপি নেতৃত্বকে দলের মধ্যে পান্ডিয়ানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। “

    ওড়িশায় মিশনে বিজেপি তার লক্ষ্য অর্জন করেছে

    আরেক বিজেডি নেতা বলেছিলেন, দাসকে (Raghubar Das) বিজেপি নেতৃত্ব “দলকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করার জন্য ওড়িশায় মিশনে” প্রেরণ করেছিলেন। “যেহেতু বিজেপি তার লক্ষ্য অর্জন করেছে, তাদের এখন তার জন্য আলাদা পরিকল্পনা থাকতে পারে”। রঘুবর দাস অবশ্য বলেছিলেন যে রাজ্যে বিজেপির জয়ে তাঁর কোনও অবদান নেই। এটি মহাপ্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদের কারণে হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল হিসেবে তার মেয়াদকালে রাজ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে নতুন বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাঁর মতভেদ দেখা যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে শনিবারই। এনডিএ শিবিরের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সেখানে পরপর তিনটি নির্বাচনে জিতল তারা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে সর্বোচ্চ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এনিয়ে বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ফলাফল সামনে আনল জনগণের বিশ্বাসকেই। জনগণ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডাবল ইঞ্জিন সরকারই উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।’’ অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটের এই জয় আসলে উন্নয়নের জয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জয়।

    ঝাড়খণ্ডে সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি, সংখ্যায় ৫৯ লাখ ২০ হাজার

    নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে শতাংশের বিচারে সব চেয়ে বেশি মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছেন। এজন্য আমরা ওই প্রদেশের সমস্ত মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। ঝাড়খণ্ডের সমস্ত বিজেপি কর্মী নিরলস পরিশ্রম করেছেন। এজন্য তাঁদেরকে শুভকামনা জানাই।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। সংখ্যার বিচারে যেটা ৫৯ লাখ ২০ হাজার। অন্যদিকে সরকার গড়লেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাপ্ত ভোটের হার ২৩ শতাংশ। বিজেপির থেকে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে তারা।

    মোদির ওপর ভরসা রেখেছেন দেশের মানুষ

    একইসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএ প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সারা দেশ এক উন্নয়নের যুগের মধ্যে দিয়ে চলেছে। এর ওপরে ভরসা করছেন সাধারণ মানুষ। লোকসভা নির্বাচন হোক অথবা হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, সর্বত্রই বিজেপির জয়জয়কার।’’ প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসন-বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি ২৩০টি আসন ছিনিয়ে নিল। সেখানে ৪৬টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস জোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে শনিবারই। এনডিএ শিবিরের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সেখানে পরপর তিনটি নির্বাচনে জিতল তারা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে সর্বোচ্চ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এনিয়ে বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ফলাফল সামনে আনল জনগণের বিশ্বাসকেই। জনগণ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডাবল ইঞ্জিন সরকারই উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।’’ অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটের এই জয় আসলে উন্নয়নের জয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জয়।

    ঝাড়খণ্ডে সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি, সংখ্যায় ৫৯ লাখ ২০ হাজার

    নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে শতাংশের বিচারে সব চেয়ে বেশি মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছেন। এজন্য আমরা ওই প্রদেশের সমস্ত মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। ঝাড়খণ্ডের সমস্ত বিজেপি কর্মী নিরলস পরিশ্রম করেছেন। এজন্য তাঁদেরকে শুভকামনা জানাই।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। সংখ্যার বিচারে যেটা ৫৯ লাখ ২০ হাজার। অন্যদিকে সরকার গড়লেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাপ্ত ভোটের হার ২৩ শতাংশ। বিজেপির থেকে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে তারা।

    মোদির ওপর ভরসা রেখেছেন দেশের মানুষ

    একইসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএ প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সারা দেশ এক উন্নয়নের যুগের মধ্যে দিয়ে চলেছে। এর ওপরে ভরসা করছেন সাধারণ মানুষ। লোকসভা নির্বাচন হোক অথবা হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, সর্বত্রই বিজেপির জয়জয়কার।’’ প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসন-বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি ২৩০টি আসন ছিনিয়ে নিল। সেখানে ৪৬টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস জোট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election 2024: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডে শুরু ভোট গণনা, দুই রাজ্যেই এগিয়ে বিজেপি জোট

    Assembly Election 2024: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডে শুরু ভোট গণনা, দুই রাজ্যেই এগিয়ে বিজেপি জোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে যে ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র- এই দুই রাজ্যে সরকার গঠন করবে বিজেপি। সকাল থেকেই দুই রাজ্যেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের ছয় মাসের মাথাতে ভোট হচ্ছে দুই রাজ্যে। আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রে (Assembly Election 2024) শুরু হয়েছে ভোট গণনা। এর পাশাপাশি গণনা চলছে বাংলার ছটি কেন্দ্রে (Election Results)। যেগুলিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্যদিকে, উপনির্বাচন হচ্ছে ২ রাজ্যের ২ লোকসভা কেন্দ্রেও। মহারাষ্ট্রের নান্দেড় লোকসভার পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে কেরলের ওয়েনাড়। সেখানেও গণনা চলছে। মোট ১৪টি রাজ্যের ৪৮টি বিধানসভা এবং দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন চলছে। রাজ্যগুলি হল- অসম, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাট, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মেঘালয়, পাঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।

    পশ্চিমবঙ্গের ৬ কেন্দ্র সমেত গণনা ঝাড়খণ্ডেও (Assembly Election 2024)

    গণনা চলছে পশ্চিমবঙ্গের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে (Election Results)। এগুলি হল-কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর। যেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বাংলার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ন’টি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফলও বের হবে আজ শনিবার। বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে (Assembly Election 2024) মোট ৮১টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে ভোট হয়েছিল প্রথম দফায়, গত ১৩ নভেম্বর। বাকি ৩৮টিতে দ্বিতীয় দফায়, ২০ নভেম্বর। মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনেই ২০ নভেম্বর এক দফায় ভোট হয়েছিল। 

    মহারাষ্ট্রের ভোট গণনা

    মহারাষ্ট্রে মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে), এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাযুতি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। এ ছাড়া ভোটের ময়দানে রয়েছে রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাও, বাবাসাহেব আম্বেদকরের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রকাশ আম্বেদকর ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ী’ দলের হয়ে লড়ছেন। মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন ‘মহাযুতি’র গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Assembly Election 2024) তথা শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে (কোপরি-পাচপাখাড়ি), দুই উপমুখ্যমন্ত্রী, এনসিপির অজিত পওয়ার (বারামতী) এবং বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীস (নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: ঝাড়খণ্ডেও সরকার গড়বে বিজেপি, বলছে একাধিক এক্সিট পোল রিপোর্ট

    Jharkhand: ঝাড়খণ্ডেও সরকার গড়বে বিজেপি, বলছে একাধিক এক্সিট পোল রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ এখন সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু প্রত্যাশিত এক্সিট পোলের দিকে এখন সকলের নজর। একদিকে, বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে এই নির্বাচন প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। অন্যদিকে, ক্ষমতা বজায় রাখতে মরিয়া লড়াই মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম প্রার্থী হেমন্ত সোরেনের। যদিও অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী (Exit Poll 2024) ঝাড়খণ্ডে এবার সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। ফলে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ঝাড়খণ্ডে পালাবদল হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    গতবার কী ফল ছিল? (Jharkhand)

    ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৮১টি। ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৩০টি আসনে জিতেছিল। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ১৬টি আসন। আর আরজেডি একটি আসনে জিতেছিল। অর্থাৎ জোটের ঝুলিতে মোট ৪৭টি আসন গিয়েছিল। এই জোটই সরকার গড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। ২৫টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। দুটি আসনে জিতেছিল অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু)। এবার দু’দফায় ভোট হয়। আজ, বুধবার ছিল শেষ দফার ভোট। ২৩ নভেম্বর ফল ঘোষণা হবে।

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    টাইমস নাও- জেভিসি এক্সিট পোল অনুযায়ী এনডিএ আসছে

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ভোটারদের প্রভাবিত না করার জন্য সমস্ত ভোটের পর্যায় শেষ হওয়ার পরেই ভারতে এক্সিট পোল প্রকাশ করা যেতে পারে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এক্সিট পোলের রেজাল্টই রাজনৈতিক আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। টাইমস নাও- জেভিসি ঝাড়খণ্ডে এনডিএ সরকার যে এবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিয়েছে। টাইমস নাও-জেভিসি এক্সিট পোল অনুযায়ী, বিধানসভার ৮১টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেতে চলেছে ৪০-৪৪টি আসন। ইন্ডি জোটের ঝুলিতে থাকবে ৩০-৪০টি আসন। আর অন্যান্যরা পাবে ১-১টি আসন। 

    এবিপি ম্যাট্রিজের এক্সিট পোলেও এনডিএ

    এবিপি ম্যাট্রিজের এক্সিট পোলের হিসেব অনুযায়ী,ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) বিজেপি সরকার আসতে চলেছে। এই রাজ্যে ৮১টি আসনের মধ্যে ৪২ থেকে ৪৭টি, প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেস পেতে পারে ২৫ থেকে ৩০টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ১-৪টি আসন।

    এনডিএ সরকার গঠনের পক্ষে রায় পিপলস পালসের এক্সিট পোল

    পিপলস পালস সমীক্ষা অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) এনডিএ সরকার গড়বে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তাদের এক্সিট পোল অনুযায়ী, ৮১টি আসনের মধ্যে এনডিএ ৪৪-৫৩টি আসন পাবে। ইন্ডি জোট পাবে ২৫-৩৭টি আসন। আর অন্যান্যরা পাবে ৫-৯টি আসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections) মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করল শিখ সম্প্রদায়। সোমবার শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গত আড়াই বছরে, সরকার গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু পাঞ্জাবি, লুবানা, সিকলিগার এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের কল্যাণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।” তারা আরও উল্লেখ করেছে, “বিজেপি সরকার শুধু এই সম্প্রদায়গুলির জন্য উপকারি ঘোষণাই করেনি, বরং তাদের উন্নতির জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপও করেছে।”

    মহাজুটি জোটের পাশে শিখরা

    সোমবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের সবগুলিতেই প্রচার (Maharashtra Assembly Elections) শেষ হয়েছে। বুধবার ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে। বুধবার এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি-র (অজিত) জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি-র (শরদ) ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’র মধ্যে। সম্প্রতি, একজন শিখ সদস্যকে মহারাষ্ট্র সরকারের মাইনরিটি কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১১ সদস্যের মহারাষ্ট্র রাজ্য পাঞ্জাবি সাহিত্য অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি স্পষ্টভাবে সরকারের উদ্দেশ্য এবং শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অগ্রগতির প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে বলে মনে করা হচ্ছে।

    শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, সিকলিগার, বানজারা ও লুবানা সম্প্রদায় এই ইতিবাচক পদক্ষেপগুলির জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আশাবাদী যে, সরকার ভবিষ্যতেও সমস্ত সম্প্রদায়ের কল্যাণে একই উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবে। তাই এই সম্প্রদায়ের সকল প্রতিনিধিদের মহাজুটি জোটকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছে শিখ সংগঠনটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “অনুপ্রবেশকারীদের আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করার অনুমতি দিচ্ছেন হেমন্ত”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “অনুপ্রবেশকারীদের আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করার অনুমতি দিচ্ছেন হেমন্ত”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুপ্রবেশকারীদের আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করার অনুমতি দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand Polls) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।” শনিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের দুমকায় এক জনসমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কাঠগড়ায় হেমন্ত (Amit Shah)

    রাজ্যের আদিবাসী জনসংখ্যা হ্রাসের জন্যও হেমন্তকে কাঠগড়ায় তোলেন শাহ। বলেন, “হেমন্ত সোরেন আদিবাসী জনসংখ্যা হ্রাসের জন্য দায়ী। কারণ তিনি অনুপ্রবেশকারীদের ঝাড়খণ্ডে ঢুকতে এবং আদিবাসী নারীদের বিয়ে করতে দিচ্ছেন। তারা এখানকার আদিবাসী ভূমি দখল করছে, যা আমরা হতে দেব না।” বিজেপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, “হেমন্ত সোরেন কংগ্রেসের সমর্থনে পিছনের দরজা দিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণ দিতে চাইছেন। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি যে বিজেপি হেমন্ত সোরেন ও রাহুল গান্ধীর এমন কোনও পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না।”

    শাহি আশ্বাস

    রাজ্যের কোনও যুবককে যাতে চাকরির জন্য অন্যত্র যেতে না হয়, তাই বিজেপি ক্ষমতায় এলে যথেষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠার আশ্বাসও দেন তিনি (Amit Shah)। শাহ বলেন, “হেমন্ত সোরেন দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতে জড়িত ছিলেন। তবে তাঁকে ২৩ নভেম্বর বিদায় জানানো হবে। ক্ষমতার লোভ হেমন্ত সোরেনকে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে বাধ্য করেছিল। এরাই ঝাড়খণ্ড সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল।”

    আরও পড়ুন: “সত্য প্রকাশিত হচ্ছে”, ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ফিল্মের প্রতিক্রিয়ায় বললেন মোদি

    মধুপুরে দেওঘর জেলায় অন্য একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “কংগ্রেস পার্টি এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা মুসলমানদের সংরক্ষণ দিতে চায়। ঝাড়খণ্ড ইতিমধ্যেই সংরক্ষণের জন্য ৫০ শতাংশ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। যদি মুসলমানদের সংরক্ষণ দিতে হয়, তবে তা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণের কোটা থেকে কেটে নিতে হবে। আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, যতদিন আমাদের একজনও সাংসদ থাকবেন, ততদিন আমরা মুসলমানদের সংরক্ষণ পেতে দেব না।”

    তিনি বলেন, “এই নির্বাচন একজন বিধায়ক বা একটি দল নির্বাচিত করার জন্য নয়। এটি হেমন্ত সোরেনকে সরিয়ে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী আনার জন্য নয়। এই নির্বাচন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand Polls) নারী, যুবক এবং পিছিয়ে থাকা শ্রেণির ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share