Tag: Jharkhand Police

Jharkhand Police

  • Jharkhand Police: ঝাড়খণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত রাজ্যের ৭, আটক ২ গাড়ি, উদ্ধার তৃণমূলের ব্যাজ, উত্তরীয়

    Jharkhand Police: ঝাড়খণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত রাজ্যের ৭, আটক ২ গাড়ি, উদ্ধার তৃণমূলের ব্যাজ, উত্তরীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড পুলিশের (Jharkhand Police) হাতে আটক পশ্চিমবঙ্গের দুটি গাড়ি। যেখানে উদ্ধার পিস্তল, ধারালো অস্ত্র। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ভিজিলেন্স অফিসার সেজে এই গ্যাং ডাকাতি করতো। পাশাপাশি ওই গাড়ির ভিতরেই রাখা ছিল তৃণমূলের উত্তরীয় এবং ব্যাজ। যা নিয়ে রাজনৈতিক আঁচ দেখা গিয়েছে আসানসোলে। শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতোর। পুলিশ (Jharkhand Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ঝাড়খণ্ডের নিরসা থানার (Jharkhand Police) গোপালগঞ্জ এলাকাতে পুলিশ দুটি গাড়ি আটক করে। 

    ভুয়ো অফিসার সেজে তোলাবাজি করতো এই গ্যাং

    গাড়িতে থাকা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই পুলিশের (Jharkhand Police) সন্দেহ হয়। এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের আধিকারিকরা। উদ্ধার হয়, পিস্তল, ছুরি এবং নগদ টাকা। শুধু তাই নয় গাড়ি দুটির সামনে লেখা, ‘‘সোশ্যাল জাস্টিস ফর ইন্টারন্যাশনাল সিভিল রাইট কাউন্সিল’’ এবং ‘‘অ্যান্টি কোরাপশন ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া’’। জানা গিয়েছে, যে গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর তাদের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ জমা হচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন থানা (Jharkhand Police) এলাকায় এই অভিযোগ আসছিল। ভারী পণ্যবাহী লরিগুলিকে আটক করে তারা সেখান থেকে তোলাবাজি করতো। কীভাবে চলতোস তোলাবাজি? পুলিশ (Jharkhand Police) জানাচ্ছে, ধৃতরা ভুয়ো ভিজিল্যান্স অফিসার সেজে জাতীয় সড়কে গাড়িগুলিকে আটকাতো এবং মোটা টাকা দাবি করত। তাদের পোশাক এবং গাড়ি দেখে লরির মালিকরা তা দিয়েও দিত। অনেকদিন ধরেই এই কাজকর্ম চলার পরে লরি চালকরা নিরসা থানাকে খবর দেয়। তারপর থেকেই এই গ্যাংকে ধরতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ (Jharkhand Police)।

    ছবি-সংগ্রহীত

    মোট গ্রেফতার ৭ জন

    জানা গিয়েছে, এই দলের বিরুদ্ধে আরপিএফ এর কাছেও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার অভিযোগ গিয়েছে। এদিনই ধৃত ৭জনকে ধানবাদ আদালতে তোলা হয়। মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঝাড়খণ্ড পুলিশ (Jharkhand Police) সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিনই এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের (Jharkhand Police) উচ্চ পদস্থ আধিকারিক অমর পাণ্ডে। এবং তিনি বলেন যে অভিযুক্তরা প্রত্যকেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। অমর পান্ডে আরও বলেন, ধৃত যুবকদের কাছ থেকে পিস্তল ছাড়াও চাকু, নগদ টাকা, আইফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদেরকে জেরা করে ডাকাতির প্রমাণও মিলেছে।

    শুরু তৃণমূল-বিজেপি তরজা

    এদিকে, এই ঘটনায় শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। বিজেপি-র জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল আর দুষ্কৃতী সমর্থক। ঝাড়খণ্ডে তোলাবাজি করছিল সাত যুবক। তাঁরা আসলে আসানসোলের। আসলে ভিন রাজ্যে ছিল বলেই ধরা পড়েছে।” অন্যদিকে, তৃণমলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের সাফাই, “দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে শুনেছি। তৃণমূলের ব্যাজ, উত্তরীয় পাওয়া গিয়েছে, সেটাও শুনেছি। কিন্তু এগুলো তো বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।” পাশাপাশি, ধৃতদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

    Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা। সোমবারই চঞ্চলা কুমারী নামে এক তরুণীকে তার ভাইকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ চঞ্চলার সঙ্গে সোনু আনসারি, নামে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক চঞ্চলার ভাই রোহিত কুমার মেনে নেয়নি। এর ফলেই রোহিতকে খুন করে চঞ্চলা ও সোনু। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায়। পাত্রাতু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করা হয় রোহিতের দেহ। এরপরই সোমবার চঞ্চলা ও সোনুকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে যে কুমার অন্য সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে তাঁর বোনের সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার পুলিশ কুমারের বিকৃত দেহটি উদ্ধার করে। চঞ্চলা এই অপরাধে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, চঞ্চলা ও রোহিতের বাবা নরেশ মাহাতোর পাত্রাতু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাঁচির ব্যবসায়ী নরেশ এফআইআরে জানিয়েছেন, চঞ্চলার সঙ্গে দেখা করতে রোহিত রাঁচি থেকে রামগড়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

     অন্যদিকে, রাঁচিরই একটি স্কুলে ঢুকে হিন্দু মেয়েদের বাধ্য করা হল মুসলিম যুবকদের বন্ধুত্ব মেনে নিতে। অভিযোগ, একদল মুসলিম যুবক ওই সরকারি স্কুলে ঢুকে ছুড়ি দেখিয়ে হিন্দু ছাত্রীদের ভয় দেখায়। হুমকি দেওয়া হয়, বন্ধুত্ব স্বীকার না করলে মেয়েদের অপহরণ করা হবে। কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ওই মেয়েদের পাশে দাঁড়ালে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই নবম শ্রেণির কয়েকজন হিন্দু ছাত্রীকে বিরক্ত করছে একদল মুসলিম যুবক।

    এক সিনিয়র পুলিশ অফিসারের কথায়, ঘটনাটিকে অযথা সাম্প্রদায়িকতার রঙ দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের এবং স্কুলের ম্যানেজমেন্টের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনায় হেমন্ত সোরেন সরকারকে দায়ী করেছে। বিজেপির দাবি করেছে যে রাজ্যে লাভ জিহাদ এবং গুন্ডামি নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না।

LinkedIn
Share