Tag: JK

JK

  • Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ (Separatism) এখন অতীত।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিনই তিনি হুরিয়তের দুটি শাখা সংগঠনের মূল স্রোতে ফেরার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন ভূস্বর্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত।

    জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ (Amit Shah)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে কোমর বেঁধে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে যেমন উপত্যকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়া হয়, তেমনি অন্যদিকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। এই জোড়া ফলায় মেলে সাফল্য। গত ১০ বছরে উপত্যকায় নিত্য কমছে অশান্তির হার। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের দুটি শাখা সংগঠন হিংসার রাস্তা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী বলছেন শাহ

    সোশ্যাল মিডিয়া শাহ লিখেছেন, “কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন ইতিহাস। মোদিজির সবকা সাথের নীতি উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। হুরিয়তের দুই শাখা সংগঠন সমস্ত রকম বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল।” তিনি লিখেছেন, “এই দুই সংগঠনকে সমাজের মূল ধারায় স্বাগত। আমি এই ধরনের সব সংগঠনকেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ভুলে দেশের ঐক্যের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। উন্নত, শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টিরই সুফল এটা।”

    গত কয়েক দশক ধরে কাশ্মীরে ভারত বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল বিচ্ছিন্নতাাদীরা। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল হুরিয়ত। তারা কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে প্রকাশ্যেই। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর অবশ্য বদলে যায় ছবিটা। ভূস্বর্গে প্রকৃত শান্তি ফেরাতে ধরপাকড় শুরু করে কেন্দ্র (Amit Shah)। তার পরেই বেপাত্তা হয়ে যায় হুরিয়ত পন্থী নেতাদের মাথারা। এঁদের অনেকেই আবার পরে ফেরেন সমাজের মূল স্রোতে। কেবল হুরিয়ত নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আরও অনেক সংগঠনই ফিরেছে মূল ধারায়। সেই তালিকায় এবার জুড়ল হুরিয়তের দুই সংগঠনের নাম।

    গত ২১ মার্চ রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “মোদি সরকার নিষ্ঠুরভাবে জঙ্গিদের আত্মীয় যারা সরকারি চাকরি করছিলেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সহানুভূতিশীলরা দিল্লি ও শ্রীনগরের জেরে রয়েছে। আরও একটি সময় ছিল যখন জঙ্গিদের (Separatism) গৌরবান্বিত করা হত। আর নয়। আজ তারা যেখানে মারা যায়, সেখানেই সমাহিত করা হয় (Amit Shah)।”

  • India Slams Pakistan: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও,” রাষ্ট্রসংঘে ফের বলল ভারত

    India Slams Pakistan: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও,” রাষ্ট্রসংঘে ফের বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।” রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা জম্মু-কাশ্মীর (India Slams Pakistan) নিয়ে মন্তব্য করলে, তার প্রতিবাদে এ কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতানেনি হরিশ। জম্মু-কাশ্মীরের কিছু অংশকে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ইসলামাবাদ। অবিলম্বে ওই অংশ ছাড়তে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন নয়াদিল্লির দূত। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়াদিল্লির অবস্থান ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি।

    পাকিস্তানের মন্তব্য অযৌক্তিক (India Slams Pakistan)

    জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের মন্তব্যকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে দাবি করে ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, “বার বার এই ধরনের কথা বললে তাদের (পাকিস্তানের) অবৈধ দাবি বৈধতা পেয়ে যায় না। তাদের রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকেও বৈধতা দেয় না।” রাষ্ট্রসংঘে হরিশ জানান, পাকিস্তান এখনও জম্মু-কাশ্মীরের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তান যাতে ওই অংশ ছেড়ে দেয়, তা নিয়েও সুর চড়ান ভারতীয় এই কূটনীতিক। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওই আলোচনা সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভবিষ্যৎ। সেখানেই পাকিস্তানের দূত সৈয়দ তারিক ফতেমির বক্তৃতায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ। তার পরেই বলতে উঠে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

    কী বললেন ভারতের রাষ্ট্রদূত

    ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত বাধ্য হয়ে লক্ষ্য করেছে যে পাকিস্তানের প্রতিনিধি আবারও ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করেছে। এ ধরনের মন্তব্য বার বার করে তারা তাদের অবৈধ দাবিকে বৈধতা দেয় না, না তাদের রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করে। এর পরেই তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” হরিশ বলেন, “পাকিস্তান অবৈধভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ দখল করে রেখেছে, যা তাদের ছেড়ে দিতে হবে। আমরা পাকিস্তানকে পরামর্শ দেব যে এই ফোরামের মনোযোগ তাদের সংকীর্ণ ও বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করতে। ভারত আরও বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে।”  তিনি বলেন, “ভারতের ব্যাপারে নাক গলিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে আলটপকা মন্তব্য করছেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। তাই ভারত বলতে বাধ্য হচ্ছে, পাকিস্তানের এ ধরনের মন্তব্যে তাদের দাবিদাওয়া মান্যতা পাবে না। এমনকী, রাষ্ট্রের মদতে সীমান্তে যে সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তান কায়েম করতে চাইছে, তাও কোনওভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে না (Jammu Kashmir)।”

    আগেই একহাত নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এ মাসের শুরুতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তান-দখলকৃত কাশ্মীরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দীর্ঘতম সময় ধরে অন্য একটি দেশের অবৈধ উপস্থিতি ও দখলদারিত্ব বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাইসিনা ডায়লগ ২০২৫-এ ভাষণ দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের ভুল ব্যাখ্যা এবং আগ্রাসনকে বিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করার সমালোচনা করেছিলেন। জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘে গিয়েছিলাম। যে ঘটনাটি আদতে একটি আগ্রাসন, তাকে বিরোধে পরিণত করা হয়েছিল। আক্রমণকারী ও শিকারিকে একই সারিতে দাঁড় করানো হয়েছিল। অপরাধী পক্ষগুলি কারা? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (India Slams Pakistan)?”

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পাওয়াই বাকি

    এর আগে, জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে জম্মু কাশ্মীরের সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান অর্জনের জন্য এখন শুধু পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ফিরে পাওয়াই বাকি রয়েছে। লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “কাশ্মীরে আসলে আমরা বেশ ভালো কাজ করেছি। বেশিরভাগ সমস্যারই সমাধান হয়েছে বলে আমি মনে করি। ধারা ৩৭০ বাতিল করা ছিল আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। তারপর, কাশ্মীরে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে উচ্চ ভোটদানের সঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি মনে করি, এখন আমরা শুধু কাশ্মীরের চুরি হয়ে যাওয়া অংশ—যা পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে — সেটি ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। যখন সেটি সম্পন্ন হবে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে (India Slams Pakistan)।”

    সম্প্রতি আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক শীতলতা নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান তার বদলে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওই সাক্ষাৎকারে এও জানিয়েছেন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ২০১৪ সালে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যাতে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুনভাবে শুরু করা যায় (Jammu Kashmir)। কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে বিরোধিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা মিলেছে বলেও জানান তিনি (India Slams Pakistan)।

  • Terrorist Organisations: ৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, জানুন বিশদে

    Terrorist Organisations: ৬৭টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ ৬৭টি জঙ্গি সংগঠন (Terrorist Organisations) ও বেআইনি সংস্থার তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। এই সংগঠনগুলি হয় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, নয়তো ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ। সেই কারণে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ)-র আওতায় ওই জঙ্গি সংগঠন ও বেআইনি সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    ইউএপিএ-র ধারা ৩৫ (Terrorist Organisations)

    জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় ৪৫টি সংগঠনকে ইউএপিএ-র ধারা ৩৫-এর অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এদের এই আইনটির প্রথম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি ২২টি সংগঠনকে ইউএপিএর ধারা ৩(১) অনুযায়ী বেআইনি সংস্থা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যেসব সংগঠন ও সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলির অনেকগুলিই ভারতে বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং সহিংস কার্যকলাপে জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়মিত এই তালিকা আপডেট করে। সেই তালিকায় হল প্রকাশিত। এই প্রক্রিয়া ভারতের জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থা দমনের চেষ্টার একটি অঙ্গ। ইউএপিএ-র আওতায় যে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত সদস্যদের গ্রেফতার করাও অন্তর্ভুক্ত।

    জঙ্গি সংগঠনের তালিকা

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সংগঠনগুলিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলি হল – বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল, খালিস্তান কমান্ডো ফোর্স, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স, ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন, লস্কর-ই-তৈবা বা পাসবান-এ-আহলে হাদিস বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এবং এদের সকল শাখা ও সহযোগী সংগঠন, জইশ-ই-মহম্মদ বা তাহরিক-ই-ফুরকান বা পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (PAFF) এবং এদের সকল শাখা ও সহযোগী সংগঠন, হরকত-উল-মুজাহিদিন বা হরকত-উল-আনসার বা হরকত-উল-জেহাদ-ই-ইসলামি বা আনসার-উল-উম্মাহ, হিজবুল মুজাহিদিন বা হিজবুল মুজাহিদিন পীর পাঞ্জাল রেজিমেন্ট, আল-উমর-মুজাহিদিন, জম্মু ও কাশ্মীর ইসলামিক ফ্রন্ট, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (ULFA), অসমের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বডোল্যান্ড (NDFB), পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF), পিপলস রেভল্যুশনারি পার্টি অব কাংলেইপাক (PREPAK), কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP), কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (KYKL), মণিপুর পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (MPLF), অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT), লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE), স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI), দিনদার আনজুমান, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-পিপলস ওয়ার এবং এর সমস্ত শাখা, মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার (MCC), এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি। তালিকায় (Terrorist Organisations) রয়েছে আল বদর, জামিয়াত-উল-মুজাহিদিন, আল-কায়েদা বা ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়দা (AQIS) এবং এর সমস্ত রূপ, দুখতারান-ই-মিলাত (DEM); তামিলনাড়ু মুক্তি বাহিনী (TNLA); তামিল ন্যাশনাল (MHA) রিট্রিভাল ট্রুপস (TNRT); অখিল ভারতীয় নেপালি একতা সমাজ (ABNES); এবং ২০০৭ সালের রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও দমন (নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন) নির্দেশের তফসিলে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলি, যা ১৯৪৭ সালের রাষ্ট্রসংঘ (নিরাপত্তা পরিষদ) আইন অনুসারে তৈরি এবং সময়ে সময়ে সংশোধিত হয়েছে; তেমনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) এবং এর সমস্ত সংগঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (GNLA) এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; ইসলামিক স্টেট বা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক ও লেভান্ত বা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক ও সিরিয়া বা দাইশ এবং এর সমস্ত রূপ; ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) এবং এর সমস্ত গঠন ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স এবং এর সমস্ত রূপ; তেহরিক-উল-মুজাহিদিন (TuM); জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জামাত-উল-মুজাহিদিন ভারত বা জামাত-উল-মুজাহিদিন হিন্দুস্তান এবং এর সমস্ত রূপ; জম্মু ও কাশ্মীর গজনবি ফোর্স (JKGF) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি; খালিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি;
    এবং হিজব-উত-তাহরির (HuT) এবং এর সমস্ত রূপ ও ফ্রন্ট সংস্থাগুলি।

    অবৈধ সংগঠন

    অবৈধ সংগঠন হিসেবে ঘোষিত গোষ্ঠীগুলি হল, শিক্ষার্থী ইসলামী আন্দোলন, ভারত (SIMI), ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (ULFA), অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (NLFT), হ্নিউত্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল (HNLC), লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE), ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) (Terrorist Organisations), ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (IRF), জম্মু ও কাশ্মীর জামাত-এ-ইসলামি, জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক গোষ্ঠী), শিখস ফর জাস্টিস (SFJ), জম্মু ও কাশ্মীর ডেমোক্রেটিক ফ্রিডম পার্টি, মুসলিম লিগ জম্মু ও কাশ্মীর (মাসরাত আলম গোষ্ঠী), তেহরিক-ই-হুরিয়ত, জম্মু ও কাশ্মীর, মুসলিম কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীর (ভাট গোষ্ঠী), মুসলিম কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীর (সুমজি গোষ্ঠী), জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্ট, জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ফ্রিডম লিগ।

    আরও অবৈধ সংগঠন

    এছাড়াও, সাতটি মৈতেই চরমপন্থী সংগঠনকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল, পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) এবং এর রাজনৈতিক শাখা, রেভোলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট (RPF), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (UNLF) এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক (PREPAK) এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’, কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP) এবং এর সশস্ত্র শাখা, যা ‘রেড আর্মি’ নামে পরিচিত, কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (KYKL), কোঅর্ডিনেশন কমিটি (CorCom), অ্যালায়েন্স ফর সোশ্যালিস্ট ইউনিটি কাংলেইপাক (ASUK)। এছাড়াও, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এবং এর সহযোগী, অধিভুক্ত বা শাখাগুলিকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল: রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, রিহ্যাব ফাউন্ডেশন, কেরালা। জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস লিগের চারটি গোষ্ঠী, যথা জেকেপিএল (মুখতার আহমদ ওয়াজা), জেকেপিএল (বশির আহমেদ টোটা), জেকেপিএল (গুলাম মোহাম্মদ খান (MHA) ওরফে সোপোরি) এবং জেকেপিএল (আজিজ শেখ), যা ইয়াকুব শেখের নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ইউএপিএ ১৯৬৭ ভারতের প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী আইন, যা সরকারকে বিভিন্ন সংগঠন জঙ্গি গোষ্ঠী বা অবৈধ সংস্থা (Terrorist Organisations) হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষমতা দেয়, যাতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এই আইনটি একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর এটি আরও কঠোর করা হয়েছে।

    একটি সংগঠনকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণার অর্থ হল ভারতের অভ্যন্তরে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, তাদের আর্থিক সম্পদ ফ্রিজ করা, সদস্যদের তহবিল সংগ্রহ বা নিয়োগ প্রতিরোধ করা এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। ভারত সরকার নিয়মিত এই তালিকা আপডেট করে, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে সক্রিয় জঙ্গি, বিদ্রোহী এবং চরমপন্থী (MHA) গোষ্ঠীগুলোর হুমকির মোকাবিলা করা যায় (Terrorist Organisations)।

  • Hizbul Terrorist: কাশ্মীরে বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি, ছক কষেছিল নাশকতার?

    Hizbul Terrorist: কাশ্মীরে বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি, ছক কষেছিল নাশকতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পরেও শেষ রক্ষা হল না। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পুঞ্চ থেকে গ্রেফতার হিজবুল জঙ্গি (Hizbul Terrorist)। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ানো এই জঙ্গিকে শেষমেশ গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা এবং জম্মু-কাশ্মীরের কাঠগড় থানার পুলিশ। শনিবার উলফত হুসেন নামের ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল হুসেনের নাম। তার মাথার দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা।

    পুঞ্চে ঘোরাফেরা জঙ্গির (Hizbul Terrorist)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরের সন্ত্রাসদমন শাখার কাছে খবর আসে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে হুসেনকে। খবর পেয়েই পুঞ্চে পৌঁছে যান সন্ত্রাসদমন শাখার কর্তারা। তাঁরা যোগাযোগ করেন কাঠগড় থানার সঙ্গে। তার পরেই মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গিকে ধরতে অভিযানে নামে সন্ত্রাসদমন শাখা ও কাঠগড় থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় হুসেনকে। তার কাছ থেকে একটি একে ৪৭, একে ৫৬, দুটি পিস্তল, ১২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩৯টি টাইমার, ৫০টি ডিটোনেটর, ৩৭টি ব্যাটারি, ২৯ কেজি বিস্ফোরক, ৫৬০টি তাজা কার্তুজ এবং ৮টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। ২০০২ সালে চার সঙ্গী-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল হুসেনকে।

    পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হুসেন

    ২০০৮ সালে জেল থেকে ছাড়া পায়। তার পর থেকেই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হুসেন। আদালতে হাজিরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হুসেনকে। তবে বারবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে সে (Hizbul Terrorist)। এর পরেই হুসেনের বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। ঘোষণা করা হয় পুরস্কারও। হুসেনের খোঁজে চলতে থাকে তল্লাশি। অবশেষে পুঞ্চ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুসেনকে। জানা গিয়েছে, পলাতক এই জঙ্গির কাছ থেকে যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে দেশে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করেছিল মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি। এক বছর ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল হুসেন।

    ১৯৯১ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই হুসেন ধর্মীয় শিক্ষার পাঠ নিতে কাশ্মীর থেকে উত্তরপ্রদেশের বারেলিতে আসে হুসেন। পরে রামপুরে এবং তারও (Jammu And Kashmir) পরে মোরাদাবাদে যায় সে। সেখানেই সে মৌলবী ‘সেজে’ ছিল (Hizbul Terrorist)।

  • Kashmir Remarks: ‘‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র যারা…’’, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে ফের একবার ধুয়ে দিল ভারত

    Kashmir Remarks: ‘‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র যারা…’’, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে ফের একবার ধুয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুতে (Kashmir Remarks) আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে ফের একবার ধুয়ে দিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে আবারও একবার চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিল ভারত। সাফ জানিয়ে দিল, জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে যে অভিযোগ পাকিস্তান তুলেছে, তা ভিত্তিহীন (Geneva Meet)। পাকিস্তানের এই অভিযোগ মিথ্যা বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে পাকিস্তানকে ‘ব্যর্থ দেশ’ বলেও দাগিয়ে দেন ভারতের প্রতিনিধি। পাকিস্তান যে আন্তর্জাতিক সাহায্য-অনুদানে টিকে রয়েছে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

    মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠক (Kashmir Remarks)

    জেনিভায় চলছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠক। বৃহস্পতিবার সেখানেই পাক প্রতিনিধির ভিত্তিহীন দাবির জবাবে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। তাই অন্য কাউকে জ্ঞান দেওয়ার জায়গায় নেই তারা।” এটা হিপোক্রেসি ছাড়া আর কিছু নয় বলেও জানিয়ে দেন ভারতের প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের আইন, বিচার ও মানবাধিকার মন্ত্রী অজম নাজির তারার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাবি করেন, “কাশ্মীরে সাধারণ মানুষকে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে (Kashmir Remarks)।”

    কী বললেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

    এর পরেই বলতে ওঠেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে পাকিস্তানের তথাকথিত নেতা ও কূটনীতিকরা জঙ্গি ও সেনার দেওয়া মিথ্যা তথ্য নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যেচার করে চলেছেন।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে। বিগত কয়েক বছরে জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নই তার প্রমাণ (Geneva Meet)। পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাসে যে এলাকা এতদিন ভীত-সন্ত্রস্ত্র ছিল, সেখানে এই উন্নয়ন সরকারের কাজের প্রচেষ্টাকেই প্রমাণ করে।” ভারতের ওপরে এভাবে ‘অবসেসড’ না হয়ে পাকিস্তানের নিজের দেশের মানুষদের ন্যায় বিচার দেওয়া উচিত বলেও খোঁচা দেন ভারতের প্রতিনিধি।

    মিথ্যে তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ

    এদিন পরিষদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক ক্ষিতিজ ত্যাগী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার সামরিক-সন্ত্রাসবাদী জোট দ্বারা প্রচারিত মিথ্যে তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনেন। তিনি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (OIC) বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য একে তাদের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগও করেন। ত্যাগী বলেন, “এটা দুঃখজনক যে পাকিস্তানের তথাকথিত নেতা ও প্রতিনিধিরা তাঁদের সামরিক-সন্ত্রাসবাদী জোটের দেওয়া মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে যাওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। পাকিস্তান ওআইসিকে তার মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করে একে উপহাসে পরিণত করছে।” এর পরেই তিনি (Kashmir Remarks) বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর (J&K) এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সর্বদা ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অপ্রতিরোধ্য অংশ থাকবে।” তিনি ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে এই অঞ্চলে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন।

    পাকিস্তানের কোনও অধিকার নেই!

    আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি জানান, পাকিস্তানের কোনও অধিকার নেই নিজের সংখ্যালঘু নিপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রসংঘ দ্বারা নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ডের কারণে অন্যদের মানবাধিকার বিষয়ে উপদেশ দেওয়ার। তিনি বলেন, “একটি দেশ যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিকল্পিত অবক্ষয় রাষ্ট্রনীতির অংশ এবং যা নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রসংঘ দ্বারা নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়, সেই পাকিস্তান কারও উপদেশ দেওয়ার জায়গায় নেই। ভারতের প্রতি এই অসুস্থ মোহের বদলে, পাকিস্তানের উচিত তার নিজস্ব জনগণকে প্রকৃত শাসন ও ন্যায়বিচার দেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া (Kashmir Remarks)।” ত্যাগী পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা যেন ভারতের ওপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের (Geneva Meet) অভ্যন্তরীণ সংকট, শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারাবাহিক অবক্ষয় মোকাবিলায় মনোনিবেশ করে।

    ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’

    পাকিস্তানকে ‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করে ত্যাগী বলেন, “পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেওয়া বক্তৃতা ভণ্ডামির গন্ধে ভরা। জম্মু ও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা সফল হয়নি, বরং সেই অঞ্চলের মানুষ ক্রমশ ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি আস্থা রাখছে।” তিনি বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা এই যে এই পরিষদের মূল্যবান সময় একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বারা নষ্ট হচ্ছে, যারা অস্থিরতাকে পুঁজি করে টিকে আছে এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। তাদের বক্তব্য ভণ্ডামিতে ভরা, তাদের কর্মকাণ্ড অমানবিক এবং তাদের শাসন অযোগ্যতায় ভরা। ভারত গণতন্ত্র, উন্নতি এবং তার জনগণের মর্যাদা নিশ্চিত করায় মনোযোগী রয়েছে (Geneva Meet) — এ সবই এমন মূল্যবোধ, যা পাকিস্তানের শেখা উচিত (Kashmir Remarks)।”

  • Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না। তখন আর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ভেতরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। তাদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকবে সীমান্ত পাহারায়।”

    ‘ওয়াতন কো জানো’

    সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। ‘ওয়াতন কো জানো’ (নিজের দেশকে জানো) কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিল্লি সফরে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল পড়ুয়াদের একটি দল। সেই দলের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, “এদের মধ্যে কারও কারও বয়স মাত্র আট, অনেকেই প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ি ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের বাইরে এসেছে।”

    দেশের প্রতিটি অংশই তোমাদের

    তিনি বলেন, “এই দেশের প্রতিটি অংশ তোমাদের ঠিক ততটাই নিজের, যতটা জম্মু-কাশ্মীর।” শিশুরা যাতে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে না দেয়, সেই অনুরোধও করেন শাহ। বলেন, “দেশজুড়ে তোমাদের জন্য প্রচুর সুযোগ অপেক্ষা করছে। এই সুযোগগুলো তোমাদের কাজে লাগাতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে এখন শান্তি বিরাজ করছে। তবে তোমাদের নিশ্চিত করতে হবে এই শান্তি যেন স্থায়ী হয়।” তিনি শিশুদের বলেন, “ওয়াতন কো জানো সফরের সময় যে শান্তি ও উন্নয়নের ছবি তোমরা দেখেছ, সেই বার্তা তোমরা নিজেদের পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী ও গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিও।” এদিন প্রায় ২৫০ জন শিশু জম্মু-কাশ্মীর থেকে জয়পুর ও দিল্লি সফরে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল তাদের দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করানো। এই দলের এক পড়ুয়া বলে,

    “আমরা হাওয়া মহল পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম এবং জয়পুরে কাশ্মীরের বাইরের খাবার এনজয় করেছি।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit shah) বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, কোনও সরকারই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে পারবে না। কেবল এখানকার শিশুরাই তা পারবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের শিশুদের তাদের বাবা-মা এবং প্রতিবেশীদের বোঝাতে বলেন যে সমগ্র দেশ তাদেরই এবং সন্ত্রাসবাদকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের (Kashmir) মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে হবে, যা দেশের অন্যান্য অংশে দেখা যায় (Amit shah)।

  • Indias Reaction: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Indias Reaction: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সফরে এসে কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট (Turkish President) রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুসারে সমস্যা সমাধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই আপত্তিকর মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত (Indias Reaction)। তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের চিরস্থায়ী বিষয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে এমন অযাচিত মন্তব্য কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

    তুর্কি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য (Indias Reaction)

    সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমস্যার সমাধান করা উচিত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে এবং কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে। অতীতের মতো আজও আমাদের রাষ্ট্র এবং আমাদের জাতি আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে (Indias Reaction )।”

    ভারতের মোক্ষম জবাব

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার পরিবর্তে, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি, ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ব্যবহারের পাকিস্তানের নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা হলে ভালো হত।” পাকিস্তানের সংসদ ভারতের প্রতি কাশ্মীরে গণভোট পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করানোর বিষয়ে আর একটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং সর্বদা তাই থাকবে। তিনি বলেন, এনিয়ে কোনও সন্দেহ বা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ এবং কোন কার্যকলাপ সার্ককে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী (Turkish President)। জয়শঙ্কর জানিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক করা উচিত নয় (Indias Reaction)।

  • Golwalkar: আজ আরএসএসের ‘গুরুজি’র জন্মদিন, চিনে নিন এই মহান দেশপ্রেমিককে

    Golwalkar: আজ আরএসএসের ‘গুরুজি’র জন্মদিন, চিনে নিন এই মহান দেশপ্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি। শ্রী মাধব সদাশিব গোলওয়ালকরের (Golwalkar) জন্মদিন। যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কাছে ‘গুরুজি’ মানে শুধুই তিনি। তিনি ডক্টর কেশব বালিরাম হেডগেওয়ারের পর দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক। তাঁর ৩৩ বছরের কার্যকালে, বিশেষ করে স্বাধীনতার পরে সংঘকে বিশাল প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিতে পরিণত করেছিলেন তিনিই। আজ তাঁর ১১৯তম জন্মদিন।

    “গুরুজি” (Golwalkar)

    ১৯০৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নাগপুরের কাছে রামটেক নামে একটি ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুরুজি। তিনি ছিলেন পরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে একমাত্র জীবিত সন্তান। তিনি বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (BHU) থেকে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, মহান জাতীয়তাবাদী নেতা শ্রী মদন মোহন মালব্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি প্রাণীবিদ্যা পড়াতে শুরু করেন। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। স্নেহভরে তাঁকে “গুরুজি” নামে ডাকতে শুরু করেন তাঁরা। সেই থেকে তিনি গুরুজি নামেই পরিচিত।

    সংঘচালক

    ১৯৩২ সালে হেডগেওয়ার গুরুজিকে বিএইচইউয়ের সংঘচালক হিসেবে নিয়োগ করেন। ১৯৩৬ সালে গুরুজি আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে বাংলার সারগাছিতে যান। সেখানে রামকৃষ্ণ মঠের স্বামী অখণ্ডানন্দের সেবা করেন দুবছর ধরে। ১৯৪০ সালে হেডগেওয়ারের মৃত্যু হলে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে গুরুজি (RSS) সংঘের সরসংঘচালক (Golwalkar) পদ গ্রহণ করেন। গুরুজির ওপর ছিল গুরু দায়িত্ব। প্রথমত, তাঁকে আরএসএসকে একটি শক্তিশালী ক্যাডার-ভিত্তিক সংগঠনে পরিণত করতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে নিজেকেও এমন একটি সংগঠন পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করতে হয়েছে। অনেকেই তাঁর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ তিনি তুলনামূলকভাবে নতুন সদস্য ছিলেন। তবে গুরুজি তাঁর দৃঢ় সংকল্প, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একজন দক্ষ নেতা হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন।

    জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা

    দেশ ভাগের সময় সমস্যা শুরু হয় জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে। পাকিস্তান কাশ্মীরকে তাদের মুকুটের রত্ন হিসেবে দেখেছিল। কারণ আক্ষরিক অর্থেই কাশ্মীর “ভূস্বর্গ”। ভারতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, “লৌহপুরুষ” সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ও তাঁর সচিব ভি.পি. মেননের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ৫০০-রও বেশি দেশীয় রাজ্যকে ভারতে একীভূত করা হয়েছিল। জওহরলাল নেহরু কাশ্মীরের বিষয়টি নিজে সামলাতে চেয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যার সমাধান করার পরিবর্তে তিনি তা (Golwalkar) আরও জটিল করে তুলেছিলেন।

    হরি সিংকে রাজি করালেন গুরুজি

    দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন কাশ্মীরের রাজা হরি সিং। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার হিন্দু রাজা তিনি। মহম্মদ আলি জিন্না জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজাকে পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল শেখ আবদুল্লার চাপ। তিনি নেহরুর সমর্থন পাচ্ছিলেন। তখনই কাশ্মীরে পাকিস্তানপন্থী আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। বিদ্রোহের প্রস্তুতির জন্য রাজ্যে ব্যাপকভাবে অস্ত্র পাচার করা হয়। লর্ড মাউন্টব্যাটেন স্বয়ং কাশ্মীরে গিয়ে হরি সিংকে পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে, সেই সময় কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী আরসি কাক হরি সিংকে স্বাধীন থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই সব কিছু মহারাজা হরি সিংকে বিভ্রান্ত করে তোলে। তিনি এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। তাঁর সামনে তখন মাত্র তিনটি বিকল্প পথ খোলা ছিল। এক, হয় তাঁকে পাকিস্তানে যোগ দিতে হবে, দুই, নয় তাঁকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে এবং তিন, তা না হলে তাঁকে স্বাধীন থাকতে হবে। হরি সিং পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না। তিনি ভারতের সঙ্গেও যুক্ত হতে চাননি। কারণ তিনি নেহরুর মনোভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। নেহরু শেখ আবদুল্লাকে সমর্থন করতেন। হরি সিং স্বাধীনও থাকতে পারেননি। কারণ (RSS) তিনি পাকিস্তানের আগ্রাসনের আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর কাছে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল (Golwalkar) না।

    কাশ্মীরের ভারতভুক্তি

    সমস্ত নেতার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হরি সিংকে যখন রাজি করানো গেল না, তখন সর্দার প্যাটেল গুরুজিকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে তাঁকে হরি সিংকে রাজি করাতে অনুরোধ করেন। গুরুজি তখনই তাঁর সমস্ত কাজ ফেলে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন। গুরুজিই হরি সিংকে ভারতভুক্তিতে সম্মত করান। এই বৈঠকের পর, হরি সিং দিল্লিতে সংযুক্তির প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু, গুরুজি বুঝতে পারলেন যে এই সংযুক্তি সহজ হবে না। তাই, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সকল আরএসএস কর্মীদের নির্দেশ দেন যে তাঁরা যেন কাশ্মীরের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করেন। আরএসএসের কর্মীরা গুরুজির আদেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন।

    পরবর্তীকালে গুরুজি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ভারতীয় মজদুর সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এটা সংঘ পরিবারকে আরও বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন এই বলে যে, এই সমস্ত সংগঠনের মূল আদর্শ সব সময় একই থাকবে। সেটি হল আমাদের মাতৃভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। গুরুজি (RSS) সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী সরসংঘচালক। তিনি তাঁর চিন্তা, নেতৃত্ব ও অসাধারণ ব্যবস্থাপনা দক্ষতার মাধ্যমে বহু প্রজন্মের স্বয়ংসেবকদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন (Golwalkar)।

  • Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসে রচিত হল ইতিহাস। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথমবার জাতীয় পতাকা (National Flag) উড়ল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার ত্রালে। রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day 2025) ত্রালের ট্রায়াল চকে উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় ত্রালের আকাশ-বাতাস। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তত হাজার খানেক মানুষ। এর সিংহভাগই তরুণ।

    তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি (Republic Day 2025)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ঐক্যবদ্ধ ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের আশা-আকাঙ্খা প্রকাশ করছে। এই ত্রাল এক সময় প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসত অশান্তির কারণে। এদিন সেখানেই মেঘমুক্ত আকাশে পতপত করে উড়তে থাকে ভারতের গর্বের প্রতীক তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)। রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের উদ্যোগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে উদযাপিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিনের অনুষ্ঠান স্থানীয় সম্প্রদায় ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। নয়া কাশ্মীরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ।

    পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। সেনা কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই ত্রালই সাক্ষী রইল দিন বদলের। প্রথমবার জাতীয় পতাকা উড়ল ত্রালের আকাশে।

    এদিন সন্ধেয় গান্ডারবল জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলি সাজানো হয়েছিল তেরঙ্গা আলোকমালায় (Republic Day 2025)। গান্ডারবল মিনি সেক্রেটারিয়েট এবং দুদারহামা ব্রিজ জাতীয় পতাকার উজ্জ্বল রঙে রাঙানো হয়। লালচকের প্রতীকী ঘণ্টাঘরও ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তেরঙ্গা আলোয় সাজানো হয়েছিল (National Flag)।

    কী বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী?

    জম্মু-কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী শ্রীনগরের বখশি স্টেডিয়ামে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, “এটি আমার জন্য গর্বের বিষয়। আজ আমি জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমায় এই বখশি স্টেডিয়ামে তেরঙ্গা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছেন। আমরা এই সংবিধানের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছি। বিশেষ মর্যাদার বিষয়ে, এটি আমাদের দাবি ছিল এবং চিরকাল থাকবে।”

    তেরঙ্গা উড়ল ছত্তিশগড়েও

    এই যদি জম্মু-কাশ্মীরের ছবিটা হয়, তাহলে প্রায় একই ছবি দেখা গিয়েছে একদা মাও- অধ্যুষিত ছত্তিশগড়েও। এদিন সেখানকার বিভিন্ন জায়গায়ও উড়েছে তেরঙ্গা ঝান্ডা। বিজাপুর, সুকমা, কাঁকের এবং নারায়ণপুর জেলার ২৬টি প্রান্তিক গ্রামে উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এই সব এলাকায় উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। ওই গ্রামগুলি এক সময় মাওবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

    সুকমা জেলার তুমালপাড় গ্রামে, ৭৪তম ব্যাটালিয়নের সিআরপিএফের কমান্ড্যান্ট নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামটি একসময় মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল। মাওবাদীদের দমন করে শিবির স্থাপন করে নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে (National Flag)।

    মাও ঘাঁটিতেই উড়ল জাতীয় পতাকা

    একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সুকমার গোমগুডা, দান্তেওয়াড়ার গোডামের ফুন্দারি এবং বিজাপুরের কোন্ডাপল্লি গ্রামেও (Republic Day 2025)। এক সময় এই গ্রামগুলিও মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এই জায়গায়গুলিতেও এবারই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামগুলিতে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রচুর গ্রামবাসী অংশ নেন। এই সব অঞ্চলে যখন মাওবাদীদের রমরমা ছিল, তখন স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করার কথা ঘোষণা করত মাওবাদীরা। বনপার্টির ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত্র গ্রামবাসীরা পালন করতে পারতেন না এই দুই জাতীয় উৎসব। মোদি জমানায় মাও দমনে কোমর বেঁধে নামে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মাওবাদীরা। সম্প্রতি ১৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করে নিরাপত্তাবাহিনী। তার পরেই এবার উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)।

    মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

    এলাকার পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই রবিবার মাওবাদী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে তেরঙ্গা উত্তোলন হওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি বিকাশমান ছত্তিশগড়ের নতুন বস্তার, পরিবর্তিত বস্তার।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি আরও বলেন, “আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের এই শুভ দিনে, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বিজাপুর, নারায়ণপুর, সুকমা এবং কাঁকেরের ২৬টি মাওবাদী-প্রভাবিত গ্রামে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়েছে। এটি এক অনন্য আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক তৃপ্তির বিষয় (National Flag)। প্রজাতন্ত্র দিবস গর্বের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে (Republic Day 2025)।”

  • Sudhanshu Trivedi: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    Sudhanshu Trivedi: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে সাফ জানিয়ে দিলেন সাংসদ তথা বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী (Sudhanshu Trivedi)। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান মিথ্যা কথা বলে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘে শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে অধিবেশন চলছে। সেই অধিবেশনে ভারতের তরফে যোগ দিয়েছিলেন সুধাংশু। সেখানেই তিনি মুখোশ খুলে দেন পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানকে জবাব সুধাংশুর (Sudhanshu Trivedi)

    বিশ্বমঞ্চে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান। এদিনের অধিবেশনে বিজেপি সাংসদ সেই সব শান্তিরক্ষীদের জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন, যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিও। সেখানে তিনি জানান, ১৯৪৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে একটি বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে ধরে সেখানে শান্তিরক্ষীদের পাঠিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এর পরেই বলতে ওঠেন ভারতের প্রতিনিধি (Sudhanshu Trivedi)। সাফ জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতেই অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি ফোরামকে জানান, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (জম্মু-কাশ্মীর) সম্প্রতি সঠিক গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনা করেছে। রাষ্ট্রসংঘের ফোরামে অসংগঠিত ও বিভ্রান্তিকর শব্দ ব্যবহার করায় পাকিস্তানকে তিরস্কারও করেন ত্রিবেদী।

    কী বললেন সুধাংশু

    তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের মন্তব্যের জবাব দিতে বেছে নিয়েছে সেই সম্মানিত সংস্থা, যার থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ সম্প্রতি তাঁদের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী অধিকার প্রয়োগ করেছেন। একটি নতুন সরকার নির্বাচন করেছেন। পাকিস্তানের উচিত এই ধরনের বক্তব্য ও মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকা। কারণ এটি বাস্তবকে পরিবর্তন করতে পারবে না।”

    আরও পড়ুন: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    এক্স হ্যান্ডেলে ত্রিবেদী (Sudhanshu Trivedi) লিখেছেন, “রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার সময়, পাকিস্তানের প্রতিনিধি একই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রসঙ্গ থেকে সরে গিয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উল্লেখ করেন যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালে, যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিতর্কিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share