Tag: JNU

JNU

  • ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ফের একবার খবরের শিরোনামে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। সম্প্রতি, অভিযোগ ওঠে যে জওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিভাজনের মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যের কারণে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। ঠিক এই আবহে পাল্টা আন্দোলনে নামল এবিভিপি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) তরফে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই ডাক দেওয়া হয় একাত্মতা যাত্রার। এই কর্মসূচিতে ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কী জানাল এবিভিপি (ABVP)?

    এবিভিপির-র (ABVP) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য হল, ভারতের প্রাচীনতম সনাতন সভ্যতা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতে রক্ষা করা। সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতেই বামপন্থীদের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিভিপি। বাম ছাত্র সংগঠনগুলির বিভাজনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গঙ্গা ধাবা থেকে এই একাত্মতা যাত্রা শুরু হয় এবং তা চলে বারাক হস্টেল পর্যন্ত।

    আগেও এমন আন্দোলন করেছে এবিভিপি (ABVP)

    প্রসঙ্গত, এটাই নতুন নয়, এর আগেও বাম সংগঠনগুলির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবিভিপি রাষ্ট্রীয় একতা যাত্রার আয়োজন করেছে। সেখানে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এবিভিপি কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) শাখা জানিয়েছে, তারা যে কোনও ধরনের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এরপাশাপাশি তারা বামেদের এমন বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পথে নামাতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

    কী বললেন এবিভিপির জেএনইউ-র সভাপতি?

    অখিল ভারতী বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) জেএনইউ শাখার সভাপতি রাজেশ্বর কান্ত দুবে এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘জেএনইউ-র একটা পরিচয় রয়েছে। এটি বিবিধতার মধ্যে ঐক্যের কথা বলে। এখানে যদি কেউ আঘাত করে তাহলে আমরা তার পাল্টা জবাব দেবই। জেএনইউ-র একাত্মতা যাত্রার মাধ্যমে আমরা এইবার তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে এই বার্তা দিতে চাইলাম যে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিভাজনের রাজনীতিকে সমর্থন করেনা।’’

  • JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

    JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় আবিষ্কার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) বিজ্ঞানীদের। ম্যালেরিয়া ও কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই আবিষ্কার। জেএনইউয়ের (Big Discovery) স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের দলটি একটি মানব প্রোটিন, ‘এইচএসপি ৭০’-কে চিহ্নিত করেছে।

    একাধিক সংক্রমণ রুখবে (JNU)

    এই প্রোটিনটি ম্যালেরিয়া ও কোভিড-১৯ এর মতো রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিজ্ঞানীরা রাশিয়া ও ভারতের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে এইচএসপি ৭০ এর একটি ছোট মলিকিউল ইনহিবিটর তৈরি করেছেন, যা একাধিক সংক্রমণের জন্য একটি বিস্তৃত-স্পেকট্রাম চিকিৎসা হিসাবে কাজ করতে পারে। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন জেএনইউয়ের স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং শৈলজা সিং। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এইচএসপি ৭০-কে টার্গেট করা হলে ওষুধ প্রতিরোধ আটকানো যেতে পারে, যা সংক্রমণের চিকিৎসায় একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ফর বায়োলজিকাল ম্যাক্রোমলিকিউলসে।

    এইচএসপি ৭০ টার্গেট

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে (JNU), এইচএসপি ৭০ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন এবং মানুষের এসিই২ রিসেপ্টরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, যা ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, জ্বরের সময় এইচএসপি ৭০ এর মাত্রা বাড়ে এবং এই সংযোগকে স্থিতিশীল করে। ফলে ভাইরাসটি কোষে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এইচএসপি ৭০ ইনহিবিট করে তারা ল্যাব পরীক্ষায় ভাইরাসের প্রতিলিপি সম্পূর্ণরূপে থামাতে সক্ষম হন। অধ্যাপক শৈলজা সিং বলেন, “ম্যালেরিয়া পরজীবী বা সার্স-কোভ২ এর মতো রোগজীবাণু হোস্টের মেকানিজম ব্যবহার করে বেঁচে থাকে। এইচএসপি ৭০ টার্গেট করে আমরা তাদের প্রতিলিপি তৈরি করার ক্ষমতা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে (Big Discovery) লড়াই করার ক্ষমতা ব্যাহত করতে পারি।”

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    আবিষ্কারের গুরুত্ব প্রসঙ্গে অধ্যাপক রঙ্গনাথন বলেন, “বিশ্ব হয়ত কোভিড ১৯-কে পেছনে ফেলেছে। কিন্তু বিজ্ঞানী হিসেবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের আবিষ্কার ভবিষ্যৎ মহামারির জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করতে পারে।” এইমসের ড. প্রমোদ গর্গ এবং পিএইচডি স্কলার প্রেরণা জোশি-সহ গবেষণার অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “এই গবেষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে একটি সর্বজনীন পদ্ধতি প্রদান করতে পারে (JNU)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • JNU: পশ্চিম এশিয়া নিয়ে তিন আলোচনা সভা বাতিল করল জেএনইউ

    JNU: পশ্চিম এশিয়া নিয়ে তিন আলোচনা সভা বাতিল করল জেএনইউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক অচলাবস্থা নিয়ে আয়োজিত তিনটি পৃথক আলোচনা সভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। কেন পশ্চিম এশিয়া নিয়ে তিন আলোচনা সভা বাতিল করা হল, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। এই সেমিনারে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত ইরান, প্যালেস্টাইন ও লেবাননের রাষ্ট্রদূতদের। তাঁরাও সেমিনার বন্ধ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি।

    কোন কোন সভা বাতিল

    জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) এই আলোচনা সভার আয়োজক ছিল জেএনইউয়ের ‘সেন্টার ফর ওয়েস্ট এশিয়ান স্টাডিজ’। তিনটি পৃথক দিনে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের আসার কথা ছিল। গত বুধবার ছিল প্রথম আলোচনা সভা। আসার কথা ছিল ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ ইলাহির। পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ইরান কী চোখ দেখছে, সেটাই ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু। সময় নির্ধারিত ছিল বেলা ১১টা। কিন্তু সকাল আটটাতেই আলোচনা সভার সমন্বয়ক সীমা বৈদ্য ইরানি রাষ্ট্রদূতকে ইমেল করে জানিয়ে দেন, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সেই একই বার্তা পাঠানো হয় প্যালেস্টাইন ও লেবাননের রাষ্ট্রদূতদেরও। 

    আরও পড়ুনঃ দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    কেন সভা বাতিল

    প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত আদনান আবু আল হাইজার আসার কথা ছিল ৭ নভেম্বর। লেবাননের আলোচনা সভার সময়সূচি ছিল ১৪ নভেম্বর। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, সে দেশের রাষ্ট্রদূত রাবিই নার্সের। ইরান ও লেবানন দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, কী কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। আলোচনা সভার সমন্বয়ক সীমা বৈদ্যও কারণ জানাতে চাননি। যদিও জেএনইউ (JNU) সূত্রে খবর, ‘স্কুল অব ইন্টারন্যাশন্যাল স্টাডিজ’–এর (সিস) শীর্ষ ফ্যাকাল্টি সদস্যরা এই আলোচনা সভাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা, আলোচনা সভা হলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ হতে পারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JNU: জেএনইউকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন ‘সঙ্ঘী ভিসি’ শান্তিশ্রী, চেনেন তাঁকে?

    JNU: জেএনইউকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন ‘সঙ্ঘী ভিসি’ শান্তিশ্রী, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) উপাচার্য নিয়োগ করার পরেই মোদি সরকারের মুণ্ডপাত করেছিলেন বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতারা। অথচ মাত্র দু’বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোল বদলে দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গিয়েছেন উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার এক নম্বরে। এখন তাঁর নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন এক সময়কার সমালোচকরাও। পুণের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে নিয়োগ করা হয় জেএনইউয়ের উপাচার্য হিসেবে।

    জেএনইউয়েরই প্রাক্তনী শান্তিশ্রী (JNU)

    শান্তিশ্রী জেএনইউয়েরই প্রাক্তনী। এমফিল এবং পিএইচডিও করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল, ‘নেহরুর আমলে ভারতের সংসদ ও বিদেশনীতি’। তাঁকেই বসানো হয় জেএনইউয়ের উপাচার্য পদে। তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। সেসব পাত্তা না দিয়েই দায়িত্ব নিয়েছিলেন শান্তিশ্রী। বিশ্ববিদ্যালয়কে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়ে তিনি বলছেন, “জেএনইউ (JNU) কখনওই দেশ-বিরোধী ছিল না, টুকরে টুকরে গ্যাং ছিল না। এই বিশ্ববিদ্যালয় চিরকালই ভিন্নমত, বিতর্ক এবং গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে।” শান্তিশ্রী জেএনইউয়ের প্রথম মহিলা উপাচার্য। তিনি বলেন, “জেএনইউতে গৈরিকীকরণ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও চাপও নেই।” উপাচার্য বলেন, “আরএসএসের সঙ্গে আমার যে যোগ রয়েছে, তা নিয়ে আমি দুঃখিত নই, এই পরিচয় আমি লুকোতেও চাই না।”

    ‘জেএনইউয়ের নির্দিষ্ট কোনও পরিচয় নেই’

    শান্তিশ্রীর জন্ম রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে। ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পরে তিনি ফিরে আসেন চেন্নাইয়ে দেশের বাড়িতে। মধ্যবিত্ত সাউথ ইন্ডিয়ান পরিবারে বেড়ে ওঠা তাঁর। আরএসএসের সঙ্গে যোগ থাকায় পড়ুয়ারা তাঁকে আবডালে ‘সঙ্ঘী ভিসি’ বলে ডাকেন। সেই তিনিই হাল ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU)। QS ranking-এ বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে নিয়ে গিয়েছেন শীর্ষস্থানে। উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের উচিত এসবের (গৈরিকীকরণ) উর্ধ্বে ওঠা। জেএনইউ দেশের প্রতিষ্ঠান, তার নির্দিষ্ট কোনও পরিচয় নেই। জেএনইউ অন্তর্ভুক্তি ও বিকাশের প্রতীক। আমি সব সময়ই বলি, এই বিশ্ববিদ্যালয় সাত ‘ডি’-এর প্রতীক। এই সাত ‘ডি’ হল ডেভেলপমেন্ট, ডেমোক্রেসি, ডিসেন্ট, ডাইভার্সিটি, ডিবেট ও ডিসকাশন, ডিফারেন্স এবং ডেলিবারেশন।”

    দু’তরফেই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল

    শান্তিশ্রী যখন জেএনইউয়ের দায়িত্ব নেন, তখন ছাত্রবিক্ষোভ তুঙ্গে। দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে। দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁরা ‘টুকরে গ্যাং’য়ের সদস্য বলে দেগে দেওয়া হয়েছিল। সে প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “সেটা একটা ফেজ ছিল। দু’তরফেই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমার মনে হয়, নেতারা আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।” তিনি বলেন, “যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু অন্যধারার পড়ুয়া থাকেন, কেবল জেএনইউতেই (JNU) নয়। সেক্ষেত্রে নেতাদেরই দায়িত্ব বর্তায় কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবেন। কিন্তু আমি মনে করি না যে আমরা দেশ-বিরোধী অথবা টুকরে টুকরে গ্যাং।”

    কী বললেন সঙ্ঘী ভিসি?

    সঙ্ঘী ভিসি বলেন, “আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পর্বটা খারাপ ছিল। দু’তরফেই কিছু ভুল হয়েছিল। এর কারণ মেরুকরণ এবং নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব। আপনাদের বুঝতে হবে প্রতিটি মানুষ আলাদা। তাঁদের যুক্তিও আলাদা হবে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় কখনওই দেশ-বিরোধী ছিল না।” তিনি বলেন, “আমি যখন এখানে পড়াশোনা করতাম, তখন এখানে বামেরা রাজত্ব করত। তখনও কেউ দেশ-বিরোধী ছিলেন না। তাঁরা সমালোচক। সমালোচক ও ভিন্নমত পোষণ করলেই কাউকে দেশ-বিরোধী বলে দেগে দেওয়া যায় না।” উপাচার্য বলেন, “আমার মনে হয়, প্রশাসন জেএনইউকে বুঝতে পারেনি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে পার হতে হয়েছে দুর্ভাগ্যের সেই পর্ব।”

    আরও পড়ুুন: প্রত্যাঘাত করল ইজরায়েল, ইরানের ‘লক্ষ্যবস্তু’তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তেল আভিভের

    স্কুলে বরাবরই প্রথম হতেন শান্তিশ্রী। মেডিক্যাল জয়েন্ট পাশ করে নয়াদিল্লির এইমসে যোগ দিয়েছিলেন। তিন মাস পরে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দেন। কারণ তাঁকে বলা হয়েছিল হয় গাইনোকোলজি নয়ত চাইল্ড স্পেশালিস্ট হতে হবে। নিউরোলজি নৈব নৈব চ। এইমসের পড়া ছেড়ে শান্তিশ্রী ভর্তি হন কলেজে। পরে হন পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন। তাঁর বাবাই আরএসএস অনুমোদিত সেবিকা সমিতির সামার ক্যাম্পে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর আরএসএসের সঙ্গে সখ্যতা। শান্তিশ্রী বলেন, “আমার জীবনে সংঘের সদর্থক প্রভাব রয়েছে। তবে জেএনইউয়ে (JNU) আমাদের গৈরিকীকরণ হয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JNU: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট, উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি এবিভিপির

    JNU: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট, উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে (JNU) চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট। রবিবার ভোট গণনা চলাকালীন একাধিক সংবাদমাধ্যম পূর্বাভাস দিতে শুরু করে বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার গেরুয়া হতে চলেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যালট বাক্স খুলতেই বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। প্রাথমিক ট্রেন্ডে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন এবিভিপির প্রার্থীরা। রবিবার ২৫ মার্চ গণনা শুরু হতেই লড়াইতে একেবারে ‘কাঁটে কি টক্কর’ দেখা যায়। কিন্তু, রাত ১১টার পর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হতেই দেখা যায়, সেন্ট্রাল প্যানেলের চার আসনেই জিতেছেন বাম জোটের প্রার্থীরা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন জেএনইউতে উল্লেখযোগ্যভাবে অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে এবিভিপির।

    জোর টক্কর

    এত ভোট আগে কখনও পায়নি আরএসএস অনুপ্রাণিত এই ছাত্র সংগঠন। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এবিভিপি-কে রুখতে সমস্ত বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে জোট করে। এর ফলে বাম ভোট কোনওভাবে ভাগ হয়নি। এতকিছুর পরেও দেখা যায়, এবিভিপির প্রার্থীরা জোর টক্কর দিয়েছেন। ১৯৬৯ সালে সালে জেএনইউ (JNU) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির দাপট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে ছিল ব্যাপক। এবার প্রথম নির্বাচন যখন তাদের দাপট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।

    একনজরে ভোটের ফলাফল

    প্রেসিডেন্ট পদ

    ধনঞ্জয় (বাম)- ৩,১০০
    উমেশ চন্দ্র আজমীরা (এবিভিপি)- ২,১১৮

    ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ

    অভিজিৎ ঘোষ (বাম)- ২৭৬২
    দীপিকা শর্মা (এবিভিপি)- ১৮৪৮

    সাধারণ সম্পাদক পদ

    অর্জুন আনন্দ (এবিভিপি)- ২৪১২
    প্রিয়ংশী আর্য (বাপসা)- ৩৪৪০

    যুগ্ম সম্পাদক পদ

    গোবিন্দ ডাঙ্গি (এবিভিপি)- ২৫৯১
    মহঃ সাজিদ (বাম)- ৩০৩৫

    রেকর্ড ভোট চলতি বছরে

    জেএনইউ-র (JNU) ছাত্র ইউনিয়নের ভোটে গত ১২ বছরে রেকর্ড ভোট পড়েছে চলতি বছরের ভোটগ্রহণে। ৭৩ শতাংশ ভোট পড়ে। ৭৭৫১ সংখ্যক ভোটার সংখ্যা নিয়ে চার পদের জন্য ভোট হয় জেএনইউয়ের ছাত্র ইউনিয়নে। শেষবার ২০১৯ সালে জেএনইউএর ভোটে ভোট পড়েছিল ৬৭.৯ শতাংশ। এমনটাই বলছে, ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ভোট বেশি পড়লে তা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতারই প্রতিফলন হয় সাধারণত। এবারেও তাই হল। উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি হল এবিভিপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JNU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এবিভিপির প্রার্থী ঘোষণা, ক্যাম্পাসে শিক্ষা পরিমণ্ডলকে উন্নত করার ডাক

    JNU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এবিভিপির প্রার্থী ঘোষণা, ক্যাম্পাসে শিক্ষা পরিমণ্ডলকে উন্নত করার ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। এবিভিপির ইউনিট সম্পাদক বিকাশ প্যাটেল বলেন,  “বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষা পরিমণ্ডলকে উন্নত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। একই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে হবে। সাশ্রয়ী মূল্যে সকলের জন্য শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে শক্তিশালী ছাত্র সংসদের প্রার্থী নির্বাচন করে ক্যাম্পাসের ছাত্র স্বার্থকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। আগামী ২২ মার্চ ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিন। প্রেসিডেন্ট বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে ২০ মার্চ এবং নাম প্রত্যহারের শেষ দিন ওই দিনই।”

    ছাত্র সংসদের প্রার্থী কারা কারা (JNU)?

    জেএনইউ (JNU) এবিভিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন উমেশ চন্দ্র আজমিরা, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন দীপিকা শর্মা, সম্পাদক পদের প্রার্থী অর্জুন আনন্দ এবং যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে প্রার্থী হয়েছেন গোবিন্দ ডাঙ্গী। একই ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৪২ টি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবিভিপি।

    প্রেসিডেণ্ট প্রার্থীর পরিচয়

    প্রেসিডেন্ট প্রার্থী উমেশ চন্দ্র আজমিরা মূলত তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলের বাসিন্দা। হায়দ্রাবাদের নিজাম কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক। এরপর জেএনইউতে (JNU) স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর এবং এমফিল করেছেন। বর্তমানে তিনি ওই বিভাগের গবেষক ছাত্র।

    ভাইস প্রেসিডেন্টের পরিচয়

    ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দীপিকা শর্মা হলেন হরিয়ানার ভিওয়ানির বাসিন্দা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দৌলত রাম কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন। তিনি জেএনইউর (JNU) স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স থেকে এমএসসি করেছেন। বর্তমানে ওই বিভাগের গবেষক ছাত্রী তিনি।

    সম্পাদক ও সহ সম্পাদকের পরিচয়

    সম্পাদক প্রার্থী অর্জুন হলেন মূলত হিমাচলের বাসিন্দা। তিনি ধর্মশালার একটি কলেজ থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতক হয়েছিলেন। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএ করেন। বর্তমান জেএনইউর (JNU) সেন্টার ফর নর্থ ইস্ট স্টাডিজ থেকে গবেষণা করছেন। সহ সম্পাদকের প্রার্থী হয়েছেন গোবিন্দ। তাঁর বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। এলাহাবাদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। এরপর জেএনইউতে অ্যামেরিকান স্টাডিজে এমফিল করেছেন। বর্তমানে স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিভাগের গবেষক ছাত্র তিনি। এবিভিপির সকল প্রার্থীরা নির্বাচনে জয় বিষয়ে আশাবাদী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে’’, দিল্লিতে জেএনইউ-র সেমিনারে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে সিরিয়া’র সঙ্গে তুলনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দিল্লিতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিরিয়াতে যা হচ্ছে বাংলাতেও তাই হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি তৃণমূলের সংগঠনকে হামাস জঙ্গিদের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘হামাস যা করছে বাংলাতে তাই হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ও দিদি নয়। দিদির নামের সঙ্গে এক মমতা জড়িয়ে, ওটা একটা মানবিক ব্যাপার। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধু নিষ্ঠুরতা। আমি নন্দীগ্রামে ওনাকে হারিয়েছিলাম। তারপরে আমার বিরুদ্ধে তিনি ৪২টা কেস করেছেন। এতটাই নিষ্ঠুর মহিলা।’’

    ভোট পরবর্তী হিংসা

    বাংলার ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসাও এদিন জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তুলে ধরেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘১৫ রাজ্যে ভোট হয়েছে। কিন্তু, একটা রাজ্যেও ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলতে পারেন? শুধু বাংলায় হয়েছে। ভোট গণনাকেন্দ্র লুঠ করা হয়েছে। ৫৭ বিজেপি কর্মীকে রেজাল্ট বের হওয়ার পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ১ লক্ষ হিন্দু, বিশেষ করে তফসিলি জাতি উপজাতির লোকেদের ঘর ছাড়তে হয়েছে। অসমে সর্বানন্দ সোনওয়াল তখন মুখ্যমন্ত্রী। উনি আশ্রয় শিবির দিয়েছিলেন। বিহার, ওড়িশায় পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।’’

    একযোগে আক্রমণ সিপিএম-তৃণমূলকে

    জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রদের কার্যকলাপ বরাবরই বিতর্ক টেনেছে। উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও। হিন্দু সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছেন বামপন্থী ছাত্র নেতারা। জেএনইউ-তে দাঁড়িয়ে সিপিএম-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এবং বলেন, ‘‘সিপিএম-তৃণমূলের সেটিং রয়েছে। ডিওয়াইএফআই-এসএফআই মমতাকে চোর বলতে বলে, আর ওদের কাকা-জ্যাঠা সীতারাম-ইয়েচুরি বেঙ্গালুরুতে, পাটনা, দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করে, খাওয়া-দাওয়া করে। সেটিং করে।’’

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    এদিন জেএনইউ-এর সেমিনারে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকে দেশের মধ্যে অন্য দেশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক আগে থেকেই সন্দেশখালিতে আসলে একটা দেশের মধ্যে অন্য একটা দেশ হয়ে গিয়েছিল। যেন দেশের মধ্যে অন্য একটা রাষ্ট্র।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে। জেএনইউ সর্বদা গণতন্ত্রের কথা বলা হয়। জোর গলায় এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করা হয়। কিন্তু এই গণতন্ত্র কীরকম? এখানে কিছু পড়ুয়া আছে যাঁরা নিজেরাই নিজেদের লেফট-লিবারেল বলে দাবি করে। কিন্তু, চোদ্দো সালের আগে লেফট-লিবারেলদের কতটা গণতন্ত্র এখানে ছিল তা সবাই জানাই। কত ছাত্রদের কত সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এরকমই একটা পরিবেশ সন্দেশখালিতে তৈরি করে রাখা হয়েছিল।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JNU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, লাগু আদর্শ আচরণ বিধি, জানুন নির্ঘণ্ট

    JNU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, লাগু আদর্শ আচরণ বিধি, জানুন নির্ঘণ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে চার বছর বাদে লোকসভা নির্বাচনের মুখে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU)। নির্বাচন হবে ২২ মার্চ। ফল প্রকাশ হবে দু’দিন পরে, ২৪ মার্চ।

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ইলেকশন কমিটি জানিয়েছে, সোমবার থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে ছাত্র ভোটের। মনোনয়নপত্র বিলি করা হবে বৃহস্পতিবার। তার আগেই প্রকাশ করা হবে ভোটার তালিকা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ মার্চ। স্ক্রুটিনি হবে তার পরের দিন। ইলেকশন কমিটির তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২ মার্চ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। ফের শুরু হবে দুপুর আড়াইটে থেকে। চলবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে। ভোটের আগে (JNU) রীতি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হবে তর্কসভা। এই সভায় বিভিন্ন দল তাদের দলের লক্ষ্য ও নীতি সম্পর্কে ভোটারদের অবহিত করবে।

    আদর্শ আচরণ বিধি জারি

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যেহেতু নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, তাই এদিন থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধিও। এই বিধি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিটির আগাম অনুমতি ছাড়া পোস্টার ও প্যামফ্লেট প্রকাশ করা যাবে না। প্রার্থী ও তাঁদের দল কেবল হাতে লেখা পোস্টার ও তার ফটোকপি ব্যবহার করতে পারবে প্রচারের জন্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভবন, রাস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি, বাসস্টপ, গাছপালা ইত্যাদি এলাকায় পোস্টার টাঙানো যাবে না। প্রচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তিও বিকৃত করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের আগাম অনুমতি নিয়ে তবেই সোশ্যাল, সাংস্কৃতিক এবং নির্বাচনী সভার আয়োজন করা যাবে।     

    আরও পড়ুুন: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    জেএনইউয়ে শেষবার ছাত্র ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, লোকসভা নির্বাচনের পরে। সেবার নির্বাচনে জিতে সংসদের সভানেত্রী হয়েছিলেন এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ। হেরে গিয়েছিলেন এবিভিপির প্রার্থী। এর পর যমুনা দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তি বাড়িয়েছে এবিভিপি। দিল্লিতেও আগের চেয়ে মজবুত হয়েছে বিজেপির ভিত। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে জেএনইউতে নির্বাচনে করিয়ে সংগঠনের ভিত কতটা পোক্ত হয়েছে, তা-ই মেপে নিতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব (JNU)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • JNU: জেএনইউ-তে বিকৃত করা হল ‘ওনাম উৎসব’, রাজা মহাবলিকে পরানো হল প্যালেস্তাইনের পতাকা

    JNU: জেএনইউ-তে বিকৃত করা হল ‘ওনাম উৎসব’, রাজা মহাবলিকে পরানো হল প্যালেস্তাইনের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিকৃত করার ফের একবার অভিযোগ উঠল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) বামপন্থী-ইসলামপন্থী ছাত্রদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম বড় উৎসব হল ওনাম। ওনাম উৎসব পালন করা হয় ভগবান বিষ্ণুর বামন অবতার এবং রাজা মহাবলির পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন উদযাপনের জন্য। ধর্মীয় বিশ্বাস, তিরুভোনামের দিনে, অসুর রাজা মহাবলি তাঁর প্রজাদের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিটি মালয়ালী পরিবারে যান। মনে করা হয় যে ওনামের দিনে যাঁরা ভগবান বিষ্ণুর পূজা করেন, তাঁদের জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।  ওনামের অসুররাজ মহাবলি কেরলের বড় অংশের মানুষের উপাস্য। সেই মহাবলিকেই বিকৃত করল বামপন্থী-ইসলামপন্থী ছাত্ররা। প্যালেস্তাইনের পতাকা পরিধান করে রয়েছেন মহাবলি এমন বেশে তাঁকে সাজিয়ে পোস্টার বানানো হল। এর পুরোটাই জেএনইউ-এর (JNU) বামপন্থী-ইসলামপন্থী ছাত্ররা হামাসের সমর্থনে করল। 

    জঙ্গি সংগঠনের সমর্থনে জেএনইউ-এর বামপন্থী-ইসলামপন্থী

    এতে পরিষ্কার যে বামপন্থী-ইসলামপন্থীরা সমগ্র সমাজের কথা একেবারেই ভাবে না। কারণ হামাস কোনও সামাজিক সংগঠন নয় অথবা মানবাধিকারের জন্যও লড়ে না, তা একটি কট্টর ইসলামিক সংগঠন। অর্থাৎ হিন্দুধর্মের পবিত্র উৎসব ওনামকে বিকৃত করে হামাসকে সমর্থন! দক্ষিণ ভারতের লাখ লাখ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে এভাবেই আঘাত হানল জেএনইউ-এর (JNU) বামপন্থী-ইসলামপন্থী ছাত্ররা। ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘ওনাম অফ সলিডারিটি’। বামপন্থী-ইসলামপন্থী ছাত্রদের এমন হিন্দু ধর্মবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে ক্যাম্পাসে কেরলের ছাত্রদের একটি বড় অংশকে। ঠিক এই কারণেই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বামপন্থী-ইসলামপন্থী ছাত্রদের ওনাম উৎসবে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের সংখ্যাও। প্রতিবছর যেখানে উপস্থিতি থাকে ৭০০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী। এবার সেখানে হাজির ছিলেন মাত্র ১৫০ জন। 

    সলিডারিটির নামে ভণ্ডামি

    অন্যদিকে ওনাম উৎসব পালিত হয় অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে। বামপন্থী-ইসলামপন্থী ছাত্ররা সেটা টেনে নিয়ে এসেছে নভেম্বরের ৯ তারিখে। ওয়াকিবহাল মহল ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, ইরাকের ইয়েজিদি সমাজ, হামাসের হানায় নিহত ১,৪০০ নিরীহ ইজরায়েলি মানুষের প্রতি সলিডারিটি কেন দেখায় না ক্যাম্পাসের বামপন্থী-ইসলামপন্থী ছাত্ররা। আসলে এর পিছনের উদ্দেশ্য হল ক্যাম্পাসের ভোট-ব্যাঙ্ককে বিভাজিত করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • JNU: জেএনইউ-তে ব্রাহ্মণ বিরোধী স্লোগান বামেদের, নিন্দায় এবিভিপি

    JNU: জেএনইউ-তে ব্রাহ্মণ বিরোধী স্লোগান বামেদের, নিন্দায় এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বিতর্কে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের (JNU) বেশ কয়েকটি ভবনের দেওয়ালে ব্রাহ্মণ বিরোধী স্লোগান লেখার অভিযোগ উঠল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)।

    আরও পড়ুন: মহিলা বিচারপতিদের নিয়ে পৃথক ডিভিশন বেঞ্চ গঠন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    এদিন স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-২ ভবনের দেয়াল ভাঙচুর করে ব্রাহ্মণ ও বনিয়া সমাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ছাত্র-ছাত্রীদের।

    এই ঘটনায় জেএনইউ কর্তৃপক্ষের তরফে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: এনডিটিভি ডিরেক্টর পদে ইস্তফা প্রণয়-রাধিকার, সংস্থা ছাড়লেন রবীশও

    “ব্রাহ্মণ ক্যাম্পাস ছোড়ো”, “ব্রাহ্মণ ভারত ছোড়ো” এবং “ব্রাহ্মণ-বনিয়ারা, “উই আর কামিং ফর ইউ” ইত্যাদি স্লোগানে ভরে উঠেছে বিভিন্ন দেয়াল (JNU) । স্লোগানগুলি লাল কালিতে লেখা। জনৈক অধ্যাপকের চেম্বারের সামনে লেখা হয়েছে, “গো ব্যাক টু শাখা”। 

    এবিভিপির বিবৃতি

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, এই ভাঙচুরের ঘটনা এবং বিকৃত স্লোগানগুলির জন্য বাম ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। ABVP-এর JNU ইউনিটের সভাপতি রোহিত কুমার এদিন জানান, “এবিভিপি, শিক্ষাক্ষেত্রে কমিউনিস্ট গুন্ডাদের দ্বারা এই ভাঙচুরের ব্যাপক নিন্দা করছে। কমিউনিস্টরা JNU-এর স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-2 ভবনের দেওয়ালে গালাগালি পর্যন্ত লিখেছে। তারা ভয় দেখানোর জন্য, মুক্ত চিন্তার অধ্যাপকদের চেম্বারকে অবধি বিকৃত করেছে, হুমকির ভাষা লিখে”। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে শিক্ষাক্ষেত্রগুলি বিতর্ক এবং আলোচনার জন্য ব্যবহার করা উচিত, সমাজ এবং ছাত্রদের বিষাক্ত করার জন্য নয়।

    অধ্যাপক সংগঠনের বিবৃতি

    JNU শিক্ষকদের একটি সংগঠনও এই ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট পোস্ট করেছে এবং এর জন্য বামেদেরকে দায়ী করেছে।
    JNU টিচার্স ফোরাম ট্যুইটারে লিখেছে, “বামেরা প্রতিটি ভিন্নমতের কণ্ঠকে ভয় দেখায়, ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
LinkedIn
Share