Tag: JP Nadda

JP Nadda

  • BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির (BJP) সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হচ্ছে বিজেপির জাতীয় সভাপতির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা। নিয়ম অনুযায়ী বা বিজেপির সংবিধান অনুসারে জাতীয় সভাপতির (JP Nadda) নির্বাচন করতে সারা দেশের যে ৩৭টি সাংগঠনিক রাজ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্ততপক্ষে ১৯ সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতেই হবে।

    মঙ্গলবারই ১৯টি রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে

    মঙ্গলবার ১৯টি রাজ্যে সভাপতি (BJP) নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এই দিনই আবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে। ওই নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ৩ জুলাই দুপুরের পর রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সোমবারই পুদুচেরি ও মিজোরামে বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। পুদুচেরিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভিপি রামালিঙ্গম, অন্যদিকে মিজোরামে দলের দায়িত্বে এসেছেন কে বেইচুয়া।

    কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে শীঘ্রই

    যে রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেই পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নাম ঘোষণা করা হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে। তেলেঙ্গানায় বিজেপি নতুন সভাপতি হিসেবে বেছে নিয়েছে রামচন্দ্র রাউকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচিত হয়েছেন পি.ভি.এন. মাধব। জনগণের মাঝে দুজনের পরিচিতি কিছুটা কম হলেও, তাঁরা দক্ষ সংগঠক বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির (BJP) ।

    জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা?

    অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বর্তমান কার্যকরী সভাপতি ও চারবারের বিধায়ক রবীন্দ্র চৌহানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। উত্তরাখণ্ডে আবার সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ মহেন্দ্র সিং ঘাটি। এটি তাঁর দ্বিতীয় দফার কার্যকাল। একের পর এক রাজ্যে বিজেপির সভাপতি (BJP) পদের নাম ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে, চলতি জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার (JP Nadda) উত্তরসূরির নাম ঘোষণাও শুধু সময়ের অপেক্ষা।

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণকাণ্ডে শহরে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, বুধে কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণকাণ্ডে শহরে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, বুধে কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা চার সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধানী দল গঠন করেছেন। এই দল সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করবে। সোমবারই সেই দলের সদস্যরা একে একে কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে শহরে এসে গিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ বিপ্লব দেব। দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং ও মীনাক্ষী লেখী এবং রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁদের স্বাগত জানানোর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে গণধর্ষণকাণ্ডে আগামী ২ জুলাই কসবা অভিযানের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    পুলিশকে তোপ শুভেন্দুর (Kasba Gangrape)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর করবেন। মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে নির্যাতিতা (Kasba Gangrape) ও তাঁর পরিবারকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছে দিয়েছে। এনিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে নিশানা করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “নির্যাতিতাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন? বাবা-মায়ের সঙ্গেও দেখা করতে দিচ্ছেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

    ২ জুলাই বুধবার যুব মোর্চার নেতৃত্বে ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক শুভেন্দুর

    অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২ জুলাই বুধবার যুব মোর্চার নেতৃত্বে ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তবে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আমরা কসবায় ঢুকবই, হাজার হাজার মানুষ নিয়ে যাবো।” তিনি আরও বলেন, “কোনও শক্তি আমাদের আটকাতে পারবে না। যেমন মহেশতলা বা ধুলিয়ানে ঢুকেছি, এখানেও ঢুকব। সত্য প্রকাশ করেই ছাড়ব।” কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ ও ধরনা।

    গণধর্ষণকাণ্ডে প্রথম থেকেই রাস্তায় বিজেপি (BJP)

    প্রসঙ্গত কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। শনিবার রাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে গ্রেফতার হন। গড়িয়াহাটে পুলিশের সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। এই প্রেক্ষিতে রবিবারই, কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদে মশাল মিছিল সংগঠিত করে বিজেপি। গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত এই মিছিলে দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যজুড়ে ‘কন্যাসুরক্ষা যাত্রা’র ডাক বিরোধী দলনেতার

    কসবা ল’ কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অন্তত এক সপ্তাহ অন্য কোনও ইস্যুতে না গিয়ে কেবল কসবা-কাণ্ডকে ঘিরেই চলবে তাদের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি। রাজ্যজুড়ে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনে গতি আনতেই এই কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার সকালেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, আইন কলেজের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে তিনি একটি নতুন কর্মসূচি শুরু করছেন, ‘কন্যাসুরক্ষা যাত্রা’। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সোমবার বিকেলে তিনি গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আর বাড়িতে বসে থাকলে হবে না। পার্ক স্ট্রিট, কামদুনি, হাঁসখালি, আরজি কর এবং কসবার ঘটনার প্রতিবাদে কন্যাসুরক্ষা যাত্রা চলতে থাকবে।”

    ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে অভয়ার বাবা-মাকে আর্জি শুভেন্দুর

    উল্লেখযোগ্যভাবে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রীর উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে গত বছর ‘ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে নবান্ন অভিযান সংগঠিত হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু এদিন ফের বলেন, “আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে আমি যাব কিছু দিন বাদে। তখন নির্যাতিতার বাবা-মাকে বলব, আগামী ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিন। সব নাগরিক সেখানে সামিল হবেন। রাজনীতি সরিয়ে রেখে আমিও যোগ দেব।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। কসবাকাণ্ডে এমনিতেই দলীয় যোগ উঠে আসায় বেশ কোণঠাসা তৃণমূল। এই আবহে মমতা সরকারকে চাপে ফেলতে এই ইস্যুতে লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির (BJP)।

    আইনজীবীদের জনস্বার্থ মামলা

    এদিকে, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কসবা কাণ্ডে (Kasba Gangrape) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। তিন আইনজীবী, সৌম্যশুভ্র রায়, সায়ন দে এবং বিজয় কুমার সিংহল, বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসে মামলার অনুমতি চান। তাঁরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মূলত দুইটি বিষয়ে—এক, ঘটনার তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় রাখা; দুই, রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিচারপতি সেন তাঁদের মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Caste Census: জাতিভিত্তিক গণনার কথা ঘোষণা কেন্দ্রের, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেতারা

    Caste Census: জাতিভিত্তিক গণনার কথা ঘোষণা কেন্দ্রের, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মোদি সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন নেতানেত্রী। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah), তেমনি রয়েছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানের পাশাপাশি এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারও।

    কী বললেন শাহ (Caste Census)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই ঘোষণার ফলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নতি হবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আজকের সিসিপিএ সভায় আসন্ন আদমশুমারিতে জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সামাজিক সমতা ও প্রতিটি বিভাগের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও তার মিত্র দলগুলি কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকাকালীন জাতিভিত্তিক আদমশুমারির বিরোধিতা করেছিল এবং বিরোধী দলে থাকাকালীন একে নিয়ে রাজনীতিকরণ করেছিল। এই সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া সকল শ্রেণির ক্ষমতায়ন করবে, অন্তর্ভুক্তি প্রচার করবে এবং বঞ্চিতদের অগ্রগতির জন্য নতুন পথ প্রশস্ত করবে।”

    নাড্ডার পোস্ট

    বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত স্তরে পিছিয়ে পড়া জাতিগুলিকে মূলধারায় আনার ক্ষেত্রে এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের অধিকার ও অধিকার থেকে বঞ্চিতদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “মোদি সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতি সম্প্রসারণ, সমাজের প্রতিটি অংশের উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মর্যাদা বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। সমাজের সকল অংশের কল্যাণের লক্ষ্যে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি মোদিজির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকাকালীন, কংগ্রেস সব সময় জাতিগত জনগণনার বিরোধিতা করেছে, যার প্রমাণ স্বাধীনতার পর দেশে আজ পর্যন্ত জাতিগত জনগণনা করা হয়নি। মোদি সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতি প্রসারিত করার পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণির উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া অংশের সম্মান বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক (Amit Shah) হয়ে থাকবে। সমগ্র সমাজের কল্যাণে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি মোদিজিকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই (Caste Census)।”

    অজিত পাওয়ারের বক্তব্য

    মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, “দেশে সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার ঐতিহাসিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি, মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহজি এবং সমগ্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!” তিনি লেখেন, “বহু দশক ধরে অসংখ্য ব্যক্তি, সংগঠন এবং গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে জাতিভিত্তিক আদমশুমারির দাবি করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহের দূরদর্শী এবং সংবেদনশীল নেতৃত্বের কারণে এই দাবি পূরণ হয়েছে। জাতিভিত্তিক আদমশুমারির অভাবে তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া অন্যান্য বর্ণের জনসংখ্যার অর্থনৈতিক (Amit Shah) ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলস্বরূপ, সমাজের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ওবিসি সম্প্রদায়কে এর পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল।” মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধানও (Caste Census)।

    কী বললেন নীতীশ কুমার 

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জাতিভিত্তিক আদমশুমারির সরকারি সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “জাতিগত আদমশুমারি পরিচালনার জন্য আমাদের দাবি অনেক পুরানো। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে কেন্দ্রীয় সরকার জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনা বিভিন্ন শ্রেণির জনসংখ্যা নির্ধারণে সাহায্য করবে, যা তাদের উন্নয়ন ও উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নকে সহজতর করবে। এটি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শ্রদ্ধেয় শ্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন ও ধন্যবাদ (Caste Census)।”

    প্রসঙ্গত, ভারতে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। জনগণনা হয় প্রতি ১০ বছর অন্তর। সেই হিসেবে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে সেবার জনগণনা হয়নি। শেষ জনগণনা অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১২১ কোটি (Amit Shah)। এর মধ্যে তফশিলি উপজাতি ৮.৬১ শতাংশ, তফশিলি জাতি রয়েছে মোট জনসংখ্যার ১৬.৬৩ শতাংশ। আর ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন ৫২ শতাংশ (Caste Census)।

  • Pahalgam Attack: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন,” প্রত্যয়ী নাড্ডা

    Pahalgam Attack: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন,” প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, তাতে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। তারা আশা করছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন।” শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “ভারত পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জন্য দোষীদের যোগ্য জবাব দেবে। এই সপ্তাহের শুরুতে ওখানে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন।”

    হামলার কড়া জবাব (Pahalgam Attack)

    শ্রীমন্ত দাগদুশেঠ গণপতির কাছে প্রার্থনা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, “সমগ্র দেশ আশা করে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন।” প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন এলাকায় পর্যটকদের নিশানা করে জঙ্গিরা। জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করে। এক নেপালি সহ মোট ২৮জনের মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলিম যুবক। ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই প্রসঙ্গেই এদিন নাড্ডা বলেন, “দেশ যেন দৃঢ়তার সঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এবং হামলায় দোষীদের যোগ্য জবাব দেয়।” সেজন্য আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি। বিজেপি সভাপতি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে গণেশজির আশীর্বাদ, তাঁর প্রজ্ঞা এবং শক্তিতে দেশ এই কঠিন সময় পার করবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দোষীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”

    ইজরায়েল স্টাইলের প্রতিশোধ!

    এদিকে, বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি (Pahalgam Attack) বলেন, “হামাস-স্টাইলের হামলা ঘটলে ইজরায়েল স্টাইলের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। জঙ্গি এবং জিহাদিরা যদি ধর্মহীন হয়, তাহলে তারা ধর্ম জিজ্ঞেস করে মানুষ হত্যা করছে কেন? ১৪০ কোটি ভারতবাসী এই প্রশ্ন সেই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের কাছে করতে চায়।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন (BJP), তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যার কথা তারা কল্পনাও করতে পারবে না (Pahalgam Attack)।”

  • India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যক্ষ্মা দূরীকরণে (India TB Elimination Campaign) জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী মাইকো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। এই জীবাণু সাধারণত ফুসফুসে আক্রমণ করে। ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। এক আক্রান্ত থেকে আরেক আক্রান্তের শরীরে। যক্ষ্মায় প্রতি বছর গড় মৃত্যুর হার ৫ শতাংশ। যক্ষ্মা রোগীদের আরও একাধিক রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি— এগুলিই যক্ষ্মার উপসর্গ। ভারত সরকার যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান আরও সম্প্রসারণ করছে, সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

    ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান

    বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৫ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানান, দেশব্যাপী ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান চালায় সরকার। এই অভিযান চলাকালীন মোবাইল স্ক্রিনিং ইউনিট, যেমন হাতে ধারণযোগ্য এক্স-রে মেশিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্টিং (NAAT), দুর্গম এবং অবহেলিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা সেবা পৌঁছে দিতে সহায়ক হয়েছে। সারা দেশে এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ১৩.৪৬ লক্ষ শিবির আয়োজন করা হয়েছে। যক্ষ্মা চিকিৎসার কভারেজ ৫৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫% হয়েছে। ৫,০০০ বিধায়ক এবং ১০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত সক্রিয়ভাবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে। নাড্ডা আরও জানান, তারা এই উদ্যোগটি সারা দেশের সমস্ত জেলার মধ্যে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন, যাতে কোনো রোগী অবহেলিত না থাকে। এই অভিযানে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যাপক সমর্থন মিলেছে। ২২টি মন্ত্রক এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে। ৩,০০,০০০ এরও বেশি নির্বাচিত প্রতিনিধি সচেতনতা এবং প্রতিরোধ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।

    যক্ষ্মা দূরীকরণে সরকারের ভূমিকা

    নাড্ডা (India TB Elimination Campaign) বলেন, “যক্ষ্মা এখনও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ” তিনি আরও জানান, ভারত যক্ষ্মা গবেষণায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর সময় ব্যবহৃত আরটি-পিসিআর মেশিনগুলো এখন যক্ষ্মা নির্নয়ে ব্যবহার করা হয়। ভারতের স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা (ICMR) দ্বারা উন্নীত দেশীয় ডায়াগনস্টিক কিটগুলো ৩২টি পরীক্ষা একসঙ্গে করতে সক্ষম। যা যক্ষ্মা নির্নয়ের খরচ কমিয়েছে। এআই-চালিত হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে মেশিনগুলি উপসর্গবিহীন যক্ষ্মা রোগ সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।নাড্ডা একটি ডিজিটাল কফি টেবিল বুকও চালু করেছেন, যেখানে ‘ডিফারেনশিয়েটেড টিবি কেয়ারের উপর নির্দেশিকা ডকুমেন্ট’ শিরোনামে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযানের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। যা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রদান করে।

  • Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের লড়াই শুধু বিজেপি বা আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়। কংগ্রেসের লড়াইটা গোটা রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে! কংগ্রেস কর্মীদের এক সম্মেলনে অত্যুৎসাহে বলে ফেলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এখন সেই মন্তব্যের জন্য আইনি বিপাকে পড়তে হচ্ছে রাহুলকে। এই মন্তব্যের জেরে সম্ভলের জেলা আদালত নোটিস পাঠাল লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। আগামী ৪ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলেছিলেন রাহুল

    দিল্লিতে কংগ্রেসের নতুন সদর দফতর উদ্বোধনের দিন বক্তব্য পেশ করছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বর্তমানে বিজেপি-আরএসএস দেশের সব প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। এর পরই তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘যদি কেউ মনে করেন, আমরা বিজেপি কিংবা আরএসএস নামে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে বলব দেশে কী ঘটছে তা আপনারা বুঝতে পারছেন না। বিজেপি এবং আরএসএস আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। আমাদের এখন শুধু বিজেপি, আরএসএস নয়, সামগ্রিকভাবে ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে।’’ এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে জোড়া মামলা দায়ের হয়। দুই রাজ্য থেকেই আইনি নোটিস পেয়েছেন রাহুল।

    রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বিজেপি শাসিত অসমের গুয়াহাটিতে। আর একটি মামলা দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। গুয়াহাটিতে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাহুল যা বলেছেন সেটা উগ্রপন্থীদের উসকানি দেওয়ার শামিল। ওই মামলাটি জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হওয়া। সেই মামলা গৃহীত হলে রাহুলকে ফের জেলে জেতে হতে পারে। আর উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের একটি এমপি-এমএলএ কোর্টেও রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলাতেও রাহুলকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। সম্ভলের আদালত আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলকে ওই নোটিসের জবাব দিতে বলেছে।

    রাহুলকে আক্রমণ বিজেপির

    বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, ‘‘শহুরে নকশাল এবং ডিপস্টেটের সঙ্গে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর বাস্তুতন্ত্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা ভারতকে অপমান, অবমাননা এবং অসম্মান করতে চায়। কংগ্রেসের কুৎসিত সত্য তাদের নিজেদের নেতাই উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করতে চাই। গোটা দেশ যা জানে, তাই তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করছেন। তিনি যা কিছু করেছেন বা বলেছেন তা ভারতকে ভাঙার এবং আমাদের সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্যেই করেছেন।’’ তীব্র আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তাহলে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী, তোমরা কেন সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে ঘোরো?’’

  • Bill Gates: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ বিল গেটসের, গেলেন সংসদ ভবনেও

    Bill Gates: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ বিল গেটসের, গেলেন সংসদ ভবনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরেই নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিলেন মাইক্রোসফ্টের কর্ণধার বিল গেটস (Bill Gates)। নতুন বছর পড়তেই ফের একবার ভারত সফরে এসেছেন এই ধনকুবের। গত তিন বছরে এই নিয়ে টানা তিন বার এদেশে সফরে এলেন তিনি।

    মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে পোস্ট সমাজমাধ্যমে

    নয়াদিল্লিতে গেটস ফাউন্ডেশনের ২৫তম বর্ষপূর্তি চলছে। সেই উপলক্ষেই এদেশে এসেছেন বিল গেটস। গতকাল বুধবার তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গেও। এই বৈঠক প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন মাইক্রোসফ্টের কর্ণধার। নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘স্বাস্থ্য, কৃষি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব ক্ষেত্রে ভারতের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে অনেকটা সময় আলোচনা করলাম।’’

    দেখা করেন সাংসদ ও মন্ত্রীদের সঙ্গেও

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরই বিল গেটস (Bill Gates) সরাসরি চলে যান দেশের সংসদে। সেখানে গিয়ে সাংসদদের সঙ্গে আলাপচারিতা করতেও দেখা যায় তাঁকে। এর পাশাপাশি, তিনি সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও কেন্দ্রীয় রাসায়নিক মন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গেও। জানা গিয়েছে, বিল গেটস অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গেও বৈঠক করেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং কর্মসংস্থান প্রভৃতি নানা বিষয় উঠে আসে আলোচনায়। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বিল গেটসের বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কৃষিতে এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।

    ভারতের বন্ধু বলেই পরিচিত বিল গেটস (Bill Gates)

    প্রসঙ্গত, বরাবরই ভারতের বন্ধু হিসেবেই আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি রয়েছে বিল গেটসের (Bill Gates)। এবারের সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভারত এমন একটি জায়গা, যেখানে যেমন বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে, তেমনি মানুষের মনের মধ্যে রয়েছে বড় উচ্চাকাঙ্খাও।’’ মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমি যখনই ভারতে আসি, তখনই দেখি এখানকার স্বাস্থ্য, কৃষি এবং প্রযুক্তিতে বড় কোনও উন্নতি করে ফেলেছে সরকার।’’

  • BJP: বিজেপিতে নাড্ডার উত্তরসূরী কে? জাতীয় সভাপতি পদে ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’!

    BJP: বিজেপিতে নাড্ডার উত্তরসূরী কে? জাতীয় সভাপতি পদে ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) শেষ হতে চলেছে নাড্ডা জমানা। চলতি মাসের ১৫ বা ১৬ তারিখে ঘোষণা হতে পারে পদ্ম-পার্টির নয়া জাতীয় সভাপতির নাম। নাড্ডার উত্তরসূরি (New President) কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। জানা গিয়েছে, এবার কোনও পুরুষ নন, বিজেপির জাতীয় সভাপতি হতে পারেন কোনও মহিলা।

    দৌড়ে দুই মহিলা (BJP)

    গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “যা প্রত্যাশিত, পার্টি এই শীর্ষ পদে একজন মহিলাকে নিয়োগ করতে চায়। দক্ষিণ ভারত থেকেই কাউকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতে দক্ষিণী রাজ্যগুলির জনগণের কাছে শক্তিশালী সাংগঠনিক বার্তা দেওয়া যাবে।” যদি দক্ষিণ ভারত থেকে কোনও মহিলাকে বেছে নেওয়া হয় জাতীয় সভাপতি পদে, তাহলে ওই পদে বসতে পারেন অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপি প্রধান দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী। বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় সভাপতি তথা কোয়েম্বাটুরের বিধায়ক বনাথি শ্রীনিবাসনও রয়েছেন জাতীয় সভাপতি পদের দৌড়ে।

    দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নাড্ডা

    জাতীয় সভাপতি পদে নাড্ডার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। তার পরেও দলের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন তিনি। বিজেপির সাংগঠনিক নিয়মবিধি অনুযায়ী, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের কাজে হাত দেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, দেশের অন্তত ৫০ শতাংশ রাজ্যে সভাপতি নির্বাচনের পরেই ঘোষণা করা হবে সর্বভারতীয় সভাপতির নাম। পার্টি সূত্রে খবর, জেপি নাড্ডার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ ঐক্যমত্য গড়ে তুলেই নেওয়া হবে।

    পদ্ম-পার্টি (BJP) সূত্রে খবর, জাতীয় সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পুরন্দেশ্বরী। বছর ছেষট্টির পুরন্দেশ্বরী ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপির প্রধান। তিনি ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’ নামে পরিচিত। তিনি বাগ্মী। পাঁচটি ভাষায় সাবলীলভাবে বক্তৃতা দিতে পারেন তিনি। বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও তুঙ্গে।

    দৌড়ে রয়েছেন বনাথি শ্রীনিবাসনও। বিজেপির এক নেতার কথায়, “তাঁর নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি জনসংযোগ কর্মসূচি সফল হয়েছে। তিনি দলের কৌশলবিদও। তাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” বিজেপির এক প্রবীণ নেতার কথায়, যদি কোনও মহিলা প্রার্থী জাতীয় সভাপতি পদে নির্বাচিত না হন, তাহলে (New President) দৌড়ে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিনোদ তাওড়ে। তবে ঠিক কে হবেন নাড্ডার উত্তরসূরি, তা জানা যাবে আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই (BJP)।

  • JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই ভারতবর্ষ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা হবে। এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Health Minister) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার, জেপি নাড্ডা হাজির ছিলেন নবম জাতীয় সম্মেলন সামিট অন গুড অ্যান্ড রেপ্লিকেবল প্র্যাকটিস অ্যান্ড ইনোভেশন-এ। সেখানেই তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নির্ধারিত সময়সীমার পাঁচ বছর আগেই যক্ষ্মামুক্ত ভারত গড়া সম্ভব।

    যক্ষ্মামুক্ত ভারত ২০২৫ সালেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘Sustainable development goals-এর কর্মসূচি অনুযায়ী, ভারতবর্ষকে যক্ষ্মামুক্ত করার কথা ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু আমরা মনে করছি, সেই লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা পূরণ করে নেব।’’ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) যদি নিজের বক্তব্যে সম্পূর্ণ তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘‘২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতবর্ষে ১৭.৭ শতাংশ টিবি বা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমেছে। প্রসঙ্গত, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা রোগের সংখ্যা কমেছে ৮.৩ শতাংশ।’’ একথা জানিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পৃথিবীর যে গড় তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে আমরা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমাতে পেরেছি। একথা উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেই ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারপর থেকেই এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘করোনা কালে সারা ভারত যখন লকডাউন আক্রান্ত ছিল, তখনও আমাদের যক্ষ্মা রোগীর নির্মূলের কর্মসূচি চলেছিল।’’

    ১০০ দিনে পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত

    নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘বিগত ১০০ দিনে আমরা এখনও পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে চিহ্নিত করেছি। তাঁদের যথাযোগ্য চিকিৎসা চলছে। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযানও চলছে। ৪৫৫টি জেলাতে যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। আমরা ব্লক স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছি এবং সেখানেও টিবি মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণে আমরা সংকল্পবদ্ধ।’’ প্রসঙ্গত, এই সম্মেলন দুদিন ধরেই চলবে এবং আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি ও ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর মুকেশ মাহালিং। এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র যিনি পুরী লোকসভার সাংসদ।

    কমেছে ম্যালেরিয়াও

    এই সম্মেলনে বিভিন্ন গবেষকরা নিজেদের প্রদর্শনী দেখান এবং যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণ করতে তাঁরা কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই সমস্ত নথিও তাঁরা দেখান। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) তুলে ধরেন মোদি জমানায় ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলিকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে আরও তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট। তিনি জানান যে বিশ্ব সংস্থা স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৪ সালে ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত যে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে সেখানেও ভারতবর্ষে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গিয়েছে। এদেশে কমেছে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা। মোদি জমানায় ২০১৪ সাল থেকে ভারত স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭ সালের কথা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-র নীতি অনুযায়ী আমরা প্রিভেন্টিভ প্রোমোটিভ ও কম্প্রিহেনসিভ পদ্ধতিতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা করছি।

    আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথাও উঠে আসে নাড্ডার বক্তব্যে

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) নিজের বক্তব্য বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদাই দায়বদ্ধ হয়ে রয়েছে সারা দেশ জুড়ে সকলকে একটি ভালো স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়ার জন্য।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে দেশবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কমেছে মোদি জমানায়।’’ এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে আশা কর্মীদের কথা এবং একেবারে নিচুস্তরে যাঁরা স্বাস্থ্য কর্মী আছেন তাঁদের কথা তুলে ধরেন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা হবে। যে রোগগুলি সংক্রামিত নয় সেগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে আমাদেরকে জীবনশৈলীর বদল করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে জেপি নাড্ডা উল্লেখ করেন যে কীভাবে তাঁরা ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও তিন ধরনের ক্যান্সার এর মোকাবিলা করছেন। জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘এদেশের প্রতিটি জেলাতে একটি করে ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। আমরা লক্ষ্যমাত্রারে রেখেছি যে ২০০ জেলাকে এর আওতায় আনব।’’

  • JP Nadda: “সেঙ্গোল জাদুঘরে রেখেছিলেন নেহরু, সংসদে স্থাপন করেছেন মোদি”, বললেন নাড্ডা

    JP Nadda: “সেঙ্গোল জাদুঘরে রেখেছিলেন নেহরু, সংসদে স্থাপন করেছেন মোদি”, বললেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে চোল যুগের সেঙ্গোলকে জাদুঘরে রেখে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বৈদিক প্রথা অনুযায়ী এটিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নয়া সংসদ ভবনে।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

    নেহরুকে নিশানা নাড্ডার (JP Nadda)

    কাশী-তামিল সংঘম ৩.০-তে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, “স্বাধীনতার সময়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সেঙ্গোল, যা ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক, সেটিকে জাদুঘরে রেখে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈদিক ঐতিহ্য অনুযায়ী এটিকে নতুন সংসদ ভবনে স্থাপন করেছেন। পূর্ব হোক বা পশ্চিম, উত্তর হোক বা দক্ষিণ — প্রধানমন্ত্রী মোদি সারা দেশে সাংস্কৃতিক ঐক্য বজায় রাখার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন।” প্রসঙ্গত, রূপার তৈরি ও সোনার প্রলেপযুক্ত সেঙ্গোল, যাকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০২৩ সালে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা সংসদ সদস্যদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে, সেটি দিল্লির নতুন সংসদ ভবনে স্থান পাওয়ার আগে এলাহাবাদ মিউজিয়ামের নেহরু গ্যালারিতে সংরক্ষিত ছিল।

    মোদি-স্তুতি

    নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, “কাশী-তামিল সংঘম, কাশী-তেলুগু সংঘম এবং সৌরাষ্ট্র-তামিল সংঘম হল সেই প্রচেষ্টার উদাহরণ, যা প্রধানমন্ত্রী দেশকে ঐক্যের সুতোর মধ্যে বাঁধার জন্য করেছেন।” তিনি বলেন, “এই ধরনের প্রচেষ্টা দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ভাষাগুলিকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে। কাশী-তামিল সংঘমকে দুটি সংস্কৃতির মিলন হিসেবে বর্ণনা করে নাড্ডা বলেন, “এই অনুষ্ঠানটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সুতোর দ্বারা গেঁথে পরিকল্পিত হয়েছে।” তিনি বলেন, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ উদ্যোগকে মাথায় রেখে ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশী-তামিল সংঘম শুরু করেছিলেন।

    বিজেপি প্রধান মনে করিয়ে দেন, সুব্রহ্মণ্যম ভারতী, আদিভীরা পাণ্ড্যন এবং অগস্ত্য ঋষির প্রচেষ্টার কথা, যাঁরা দেশের ঐক্যকে মজবুত করতে কাজ করেছিলেন। বক্তব্য শেষে নাড্ডা বিভিন্ন মন্ত্রক আয়োজিত কাশী-তামিল সংঘম উদ্যোগের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন (PM Modi) এবং সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজোও দেন তিনি (JP Nadda)।

LinkedIn
Share