Tag: JU Student Death

JU Student Death

  • JU Student Death: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে প্রাক্তনীদের! যাদবপুরকে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    JU Student Death: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে প্রাক্তনীদের! যাদবপুরকে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তন পড়ুয়াদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে। মঙ্গলবার এমন নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

    কী বলল আদালত

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের হস্টেলে থাকতে দেওয়া যাবে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘হস্টেলের প্রত্যেক রুমে গিয়ে দেখতে হবে, প্রাক্তনীরা রয়েছেন কিনা। যদি থাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বের করে দিন।” আদালতের নির্দেশ, ‘‘প্রাক্তনীরা যে ঘর ছেড়ে দিয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। ঘর ছেড়ে দিলে মেইনটেন্যান্সের কাজ শুরু করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।” পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ইউনিয়ন না থাকলে জনসমক্ষে বক্তব্য বা প্রেস রিলিজ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, সোমবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল। সেক্ষেত্রে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইউজিসি দেখবে রেগুলেশন প্রয়োগ হচ্ছে কিনা।”

    কেন এই নির্দেশ?

    গত ৯ অগাস্ট মেইন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। এই ঘটনায় উঠেছিল র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেইসঙ্গে নাম জড়িয়েছিল বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়ার। প্রশ্ন উঠেছিল, প্রাক্তনীরা কেন হস্টেলে থাকছেন। যদিও ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রাক্তন পড়ুয়াদের হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার সরাসরি আদালতের নির্দেশ এলো।

    আরও পড়ুন: ৭টি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ বাড়ল রাজ্যে! রেলকে ধন্যবাদ জানালেন শুভেন্দু

    যাদবপুরকাণ্ডে তোলপাড় দেশ

    দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে একজন জামিনে মুক্তি পেলেও বাকিরা জেলেই রয়েছেন। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়াও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় তাঁরা হস্টেলের তিনতলায় ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এই প্রেক্ষিতেই নতুন ছাত্রদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট অভিমত শিক্ষামহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা! রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠিকাণ্ডে ধৃত ‘অধ্যাপক’ রানা রায়

    Jadavpur University: যাদবপুরে ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা! রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠিকাণ্ডে ধৃত ‘অধ্যাপক’ রানা রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর প্রতিনিধি দল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা যেতে পারেন হস্টেলেও। সব পক্ষের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে ইউজিসি-র সদস্যদের। অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি পাঠানোর দায়ে ‘অধ্যাপক’ রানা রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।

    যাদবপুর চার সদস্যের প্রতিনিধি দল

    সোমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছয় ইউজিসি-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে ইউজিসি। খতিয়ে দেখা হবে র‌্যাগিং সংক্রান্ত নিয়মকানুনও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কয়েকটি রিপোর্টও চাইতে পারেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি নির্ধারিত র‌্যাগিং-বিরোধী নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে এর আগেও কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। 

    রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় শনিবারই মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল রানার বিরুদ্ধে। চিঠিতে নিজের পরিচয়ে ‘অধ্যাপক’ লিখেছিলেন রানা। তার দু’দিনের মাথাতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মামলায় রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাদবপুরের ঘটনার কোনও যোগ নেই। বেলগাছিয়ার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন রানা।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির ভ্রুকুটি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে

    ধৃত রানা রায়

    বেলগাছিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা রানা রায়ের বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মহিলা জানিয়েছেন, গত চার বছর ধরে রানা তাঁকে উত্ত্যক্ত করছেন। মাঝে মাঝে কুপ্রস্তাব দিয়ে তাঁকে চিঠিও পাঠানো হতো। বর্তমানে কয়েক বছর ধরে বেলগাছিয়ায় থাকলেও তিনি আসলে কোচবিহারের বাসিন্দা। রানার কুকীর্তির এখানেই শেষ নয়। এলাকার দোকানদার এবং বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকাও ধার করেছিলেন। সেই টাকা ফেরত দেননি। টাকার সব মিলিয়ে প্রায় ৬২ হাজার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ‘‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে…’’! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি

    Jadavpur University: ‘‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে…’’! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়া হল। ‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে এক দানাই যথেষ্ট’, এই বয়ানে  হুমকি পোস্ট কার্ড পৌঁছল যাদবপুরের রেজিস্ট্রার-সহ রেজিস্ট্রারের কাছে। হুমকি পোস্ট কার্ডের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। শনিবার যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকি

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে প্রথম থেকেই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করে আসছে কলকাতা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রের তথ্যও আদালতে পেশ করেছেন সরকারি আইনজীবীরা। এরই মধ্যে সৌরভের পক্ষ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছল হুমকি-চিঠি! তাতে বলা হয়েছে, সৌরভের কিছু হলে, ‘রিভলভরের দানা খরচ করতে বেশি সময় লাগবে না’। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার সঞ্জয়গোপাল সরকারের কাছে এসেছে ওই চিঠি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকির পাশাপাশি ‘জুতোর মালা পরিয়ে বিদায়’ করার মতো কটূক্তিও করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, তারপরই সূর্যে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’

    তদন্তে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, টার্গেট করে ওই পড়ুয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই নির্যাতন করা হয়।  সৌরভকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ফের আলিপুর আদালতে হাজির করা হবে। আপাতত জেলে বন্দি অঙ্কের স্নাতকোত্তর ওই ছাত্র। এখন কে বা কারা সৌরভের পক্ষ নিয়ে ওই হুমকি পোস্ট কার্ড পাঠিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর মধ্যে এই হুমকি চিঠি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই চিঠি পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। স্নেহমঞ্জুর দাবি, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিঠির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় যাদবপুর থানায়। তার প্রেক্ষিতেই মামলরা রুজু করল পুলিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট নয় শিশু সুরক্ষা কমিশন, পাঠানো হল তৃতীয় চিঠি

    JU Student Death: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট নয় শিশু সুরক্ষা কমিশন, পাঠানো হল তৃতীয় চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যু (JU Student Death) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এর আগে দুটি চিঠি পাঠিয়েছিল শিশু সুরক্ষা কমিশন। কোনও সন্তোষজনক উত্তর কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি, এই যুক্তিতে তাই ফের তৃতীয় চিঠি পাঠাল শিশু সুরক্ষা কমিশন। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র শিশু সুরক্ষা কমিশনই নয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনও দুটি চিঠি পাঠিয়েছিল এবং কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তৃতীয় চিঠি পাঠানোর  ব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু করে।

    কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট নয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (Ju Student Death)

    গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তৃতীয় তল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Ju Student Death)। সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা স্বপ্নদীপ এখনও ১৮ পেরোয়নি। সেই অর্থে সে নাবালক। তাই সক্রিয় হয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন (JU Student Death)। জানা গিয়েছে, হস্টেলে আবাসিকদের প্রকৃত সংখ্যা অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির ভূমিকা, এ সমস্ত নানা বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তার কোনও সন্তোষজনক উত্তর কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। আবার শিশু সুরক্ষা কমিশন এ নিয়ে চিঠি করতে পারে নাকি, সেই এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে।

    কী বলছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান?

    কমিশনের চেয়ারপার্সেন সুদেষ্ণা রায়ের কথায়, ‘‘আমরা দ্বিতীয় যে চিঠি পাঠিয়েছিলাম তার জবাব সন্তোষজনক নয় (Ju Student Death)। তাই আমরা আবার চিঠি পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে তাদের কাছে রেকর্ড বজায় আছে। কিন্তু তারা হস্টেলে আবাসিকদের সংখ্যা, র‍্যাগিং বিরোধী কমিটি সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি (Ju Student Death)। ওদের অবগতির জন্য জানাই যে মৃত পড়ুয়া এখনও আঠারো বছরের হয়নি। তাই ওই পড়ুয়া (JU Student Death) শিশু সুরক্ষা কমিশনের এক্তিয়ারর মধ্যে পড়ে।

    শনিবারই যাদবপুরের ওপেন থিয়েটারে উদ্ধার অসংখ্য মদের বোতল

    অন্যদিকে ১০ অগাস্ট যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) পর ক্যাম্পাসে মেলে প্রচুর মদের বোতল। পাশাপাশি পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে হস্টেলের টবে চলতো গাঁজা চাষ। শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস পরিষ্কার করতে আসেন সাফাই কর্মীরা। এবং সেখানকার ওপেন থিয়েটার থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর খালি মোদের বোতল এবং নেশা সামগ্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ‘পিক অ্যান্ড চুজ করে মারা হয়েছে’! যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের জেল হেফাজত

    JU Student Death: ‘পিক অ্যান্ড চুজ করে মারা হয়েছে’! যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের (JU Student Death) রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। শুক্রবার সৌরভকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার বলেন, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রকে মারা হয়েছে।

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা

    সরকারি আইনজীবী জানান, একটি গামছা উদ্ধার হয়েছে। যেটা দিয়েই মৃত ছাত্রের মুখ চাপা দেওয়া হয়েছিল। সেই রক্ত মাখা গামছা ও ২ টো ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে মেসেজ চালাচালি হত। আইনজীবীর দাবি, সেখানে তদন্ত প্রভাবিত করার প্রমাণ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফোনে ‘জেইউএমএইচ’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সৌরভের সেই গ্রুপে ‘ইনস্ট্রাকশন’ দিতেন। মাঝেমধ্যে সেই গ্রুপে অ্যাক্টিভ হতেন নির্দেশ দেওয়ার জন্য।

    র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ

    আদালতে সৌরভের আইনজীবীর সঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল পাল্টা সওয়াল চলে। সৌরভের আইনজীবী জানান, তদন্তে সৌরভ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, এই মামলায় অনেক অগ্রগতি হচ্ছে। দাগী বন্দিদের সঙ্গে যাতে জেলে সৌরভকে না রাখা হয়, সেই আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এই নিয়ে যা নিয়ম রয়েছে, তা মেনে চলা উচিত। গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে এক ছাত্র নীচে পড়ে যান বলে অভিযোগ। পরের দিন ভোরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু (JU Student Death) হয়। র‌্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: মালদায় রাজ্যপাল, দেখা করলেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে

    সৌরভই ‘কিংপিন’

    ছাত্রমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় প্রথম সৌরভকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সৌরভকেই ‘কিংপিন’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সৌরভ।  লালবাজার সূত্রে খবর, হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। কী ভাবে র‌্যাগিং হয়েছে, তার নথি মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে জমা করেছে পুলিশ। গত ৯ অগস্ট রাতে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি। এই ঘটনায় শুক্রবার যাদবপুরকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আরও চার আবাসিক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী। যাদবপুর থানায় বৃহস্পতিবারও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতাও। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুগ্ম কমিশনার জানান, চার পড়ুয়াকে আটক করা হয়নি। তবে তাঁরা ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় স্বপ্নদীপকে! মিলেছে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ, দাবি পুলিশের

    JU Student Death: বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় স্বপ্নদীপকে! মিলেছে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ, দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে। দুর্ঘটনার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়েছিল স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)। মঙ্গলবার লালবাজার সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, র‌্যাগিংয়ের (JU Student Death) সমস্ত প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, যে ১২ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সেদিনের র‌্যাগিং-এ জড়িত। ইতিমধ্যে র‌্যাগিং বিরোধী আইনের ৪ নম্বর ধারায় মামলা (JU Student Death) রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তের জাল ক্রমশই গোটাচ্ছে পুলিশ।

    হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে বিবস্ত্র করা হয় স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)

    মঙ্গলবার হস্টেলের রাঁধুনিকে লালবাজারে তলব করা হয়। ঘটনার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল সে কথাই জানা হয় তাঁর কাছ থেকে, এমনটাই সূত্রের খবর। লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপের (JU Student Death) রুম নম্বর ৬৮ হলেও তাঁকে ৭০ নম্বর ঘরে বিবস্ত্র করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে হস্টেলের বারান্দা থেকে নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে যে সেটি স্বপ্নদীপের (JU Student Death) পোশাক। অভিযোগ উঠেছে, স্বপ্নদীপকে সমপ্রেমী বলে খেপানো হতো। সে যে সমপ্রেমী নয়, তা প্রমাণ করতে বলে সিনিয়রা। বারবার বাড়ি ফেরার কথা নিজের মাকে বলতে থাকে স্বপ্নদীপ।

    যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান স্বপ্নদীপ কুণ্ডু (JU Student Death)। তিনি ছিলেন বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। পরের দিন ভোর বেলায় তাঁর মৃত্যু (JU Student Death) হয়। সামনে আসে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ। এই ঘটনায় একে একে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে, সোমবারই যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব করে মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু রজত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদে করে সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন (JU Student Death), এমনটাই জানা গিয়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিনই যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভায় কালো উত্তরীয় পরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় ধাক্কা রাজ্যের! রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে এখনই হস্তক্ষেপ নয়, জানালো সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় ধাক্কা রাজ্যের! রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে এখনই হস্তক্ষেপ নয়, জানালো সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য় সরকার। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তে এখনই হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কী বলা হয়েছে?

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করার সিদ্ধান্তকে ‘একতরফা’ বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিন এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। শীর্ষ আদালত জানায়, মামলার সব পক্ষকে নোটিস দিতে হবে। দু’সপ্তাহ পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। তবে আংশিক সময়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। আপাতত হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল থাকবে। বিচারপতি সূর্য কান্তর পর্যবেক্ষণ, উপাচার্য নিয়োগে আচার্য না রাজ্য, কে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, এখন আমরা সেই বিচার করছি না। আপাতত অস্থায়ী উপাচার্যেরা কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি, নিয়োগের ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে রাজভবন এবং নবান্ন কোনও সমাধানসূত্র বের করতে পারে কিনা, সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ফুটপাথ থেকে সবজি কিনে ইউপিআই ব্যবস্থায় পেমেন্ট, ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিতে মুগ্ধ জার্মান মন্ত্রী

    একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের 

    যাদবপুরকাণ্ডের এই আবহের মধ্যেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন ধরেই উপাচার্য পদ খালি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। তাই গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে অস্থায়ী উপাচার্য পদে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। এর আগেও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যপাল। কিন্তু তারপরেই সংঘাত বাধে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের। অস্থায়ী উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করে নবান্ন। রাজ্যের যুক্তি ছিল, 7রাজভবন একক সিদ্ধান্তে উপাচার্য নিয়োগ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইন মেনে এই নিয়োগ হয়নি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট আচার্যের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে। এরপরেই রাজ্য দ্বারস্থ হয়েছিল সুপ্রিম (Supreme Court) কোর্টের।

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ 

    পাশাপাশি হাইকোর্ট রাজ্যকে অবিলম্বে উপাচার্যদের ভাতা চালু করতেও নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল,‘‘কোনওরকম প্যানেল না পাঠিয়ে শুধুমাত্র ২৭টি নাম পাঠিয়েছে রাজ্য। তাই রাজ্যপালের এক্তিয়ার রয়েছে নিজের মতো উপাচার্য নিয়োগের (Supreme Court)।’’ তবে এবার রাজ্য-রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সংঘাতে সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) কী পর্যবেক্ষণ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যপালকে পার্টি করার অনুমতি হাইকোর্টের

    JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যপালকে পার্টি করার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় যখন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ উঠছে, ঠিক তখনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (JU Student Death) স্নেহমঞ্জু বসু শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে সবাই জানেন। অন্যদিকে তিনি সমস্ত দায় চাপিয়েছেন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়ের উপর। আবার রজত রায় লালবাজারে যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে তিনি বলছেন, ‘‘ছাত্রদের বাধাতেই নাকি আইন কার্যকর করা যায় না।’’ রেজিস্ট্রার এবং ডিন মিলে সমস্ত দায় ছাত্রদের ওপরে চাপিয়েছেন। এমন অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্তৃপক্ষের দায় ঝেড়ে ফেলে তা রাজ্যপালের ওপরে চাপানোর প্রচেষ্টা করছেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট মৃত্যু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। যাদের সবাই যাদবপুরের প্রাক্তনী ও পড়ুয়া। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

    জনস্বার্থ মামলা তৃণমূলের 

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ খালি রয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি যে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদাধিকারী। এবং উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নাম জোড়া হোক। এমন দাবি নিয়ে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুদীপ রাহা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে করা এই জনস্বার্থ মামলার (JU Student Death) আইনজীবী রয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সক্রিয় রাজ্যপাল

    যদিও যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় রাজ্যপালকে অত্যন্ত সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। তিনি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার গিয়েছেন, সেখানকার পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রাজভবনের তলবও করা হয়েছে। বৈঠক করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ধৃত ৯ জনের বয়ানেই অসঙ্গতি! যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুনর্নির্মাণ পুলিশের

    JU Student Death: ধৃত ৯ জনের বয়ানেই অসঙ্গতি! যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুনর্নির্মাণ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। এর পরবর্তীকালে আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর প্রত্যেককেই যা বয়ান দিয়েছে তাতে মিলেছে বেশ কিছু অসঙ্গতি। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তনী সপ্তককে নিয়ে যাদবপুর থানার পুলিশ মেন হস্টেলে আসে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। তারপর সপ্তককে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুর থানায়।

    এখনও পর্যন্ত স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনা গ্রেফতার হয়েছে ৯ জন। এদের প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি মেলায় প্রত্যেককেই আলাদাভাবে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের, এমনটাই সূত্রের খবর। স্বপ্নদীপকে (JU Student Death) কোথায় ইন্ট্রো নেওয়া হয়েছিল, কোন ঘরে তাকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল, চিঠি কে লিখেছিল, তখন কে কোথায় ছিল, এসব প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাতেও জড়িত এসব ছেলেরা।

    গ্রেফতার হওয়ার ৯ জনের বয়ানে অসঙ্গতি

    গ্রেফতার হওয়ার ৯ জনের বয়ানে অসঙ্গতি (JU Student Death) থাকায় তাদেরকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করে নিতে চাইছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। তার পরবর্তীকালে গ্রেফতার হয় দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ। এরপর গ্রেফতার করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা অসিত সরকার, সুমন নস্কর, পূর্ব মেদিনীপুরের সপ্তক কামিল্যা নামের এক প্রাক্তনী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া মহম্মদ আরিফ, পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আফজাল আনসারি, উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অঙ্কন সরকার। 

    তদন্তের খুঁটিনাটি

    জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় মেন হোস্টেল থেকে দুটি ডায়রি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১০ অগাস্ট হস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে প্রথম ডাইরি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সৌরভ চৌধুরীকে জেরা করে একটি চিঠির বিষয়ে সামনে আসে। গত ১২ অগাস্ট রাতে ১০৪ নম্বর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় দ্বিতীয় ডায়েরি। ডায়েরির ১৫১ নম্বর পাতায় ওই চিঠি পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ৯ অগাস্ট রাত্রি নটার পর ওই ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)। সেখানে তাকে দিয়ে চিঠি লেখানোর পরিকল্পনা করেছিল সৌরভ এবং সপ্তক। এরা দুজনই প্রাক্তনী। সৌরভ অবশ্য পুলিশের কাছে দাবী করেছে যে চিঠি লেখার সময় সে নাকি ছিল না। দীপশেখরের দাবি, চিঠিটি তার নিজের লেখা। এসব কিছুই তদন্ত করছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ছাত্রমৃত্যুর পর ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রবল চাপে নির্দেশিকা জারি কর্তৃপক্ষের

    JU Student Death: ছাত্রমৃত্যুর পর ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রবল চাপে নির্দেশিকা জারি কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) জেরে অবশেষে ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুরের। তরুণ তাজা একটি প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ার পর টনক নড়লো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এখন ‘নিজেদের পিঠ বাঁচাতে’ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যদিও, তাতে আদৌ কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    রাতে প্রবেশে লাগবে বৈধ পরিচয়পত্র

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর চারদিক থেকে ধেয়ে আসা প্রবল চাপের মধ্যে অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ জারি আরোপ করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাত ৮টার পর থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র লাগবে। অর্থাথ, ক্যাম্পাসে রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যু করা পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না।

    কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপ 

    এছাড়া, নির্দেশিকায় বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসে কোনও জাতীয় মাদক সেবন করা যাবে না। কেউ যদি মাদক সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বাইক বা চারচাকার সামনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষের অনুমোদন স্টিকার না থাকলে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রোজ রেজিস্ট্রার মেনটেন করা হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের গেটগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসছে।

    বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা থেকেই গেল…

    স্নেহমঞ্জু বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, ‘ছাত্র মৃত্যুর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে কী কী করা উচিত তা নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি।’ অথচ, র‌্যাগিং বন্ধ করতে কী কী বদক্ষেপ, তা সম্পর্কে কোনও ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস শোনা গেল না তাঁর কথায়। ফলে, এই নির্দেশিকায় কতটা লাভ হবে, বা আদৌ কোনও লাভ হবে কিনা, তা নিশ্চিত করে কেউ-ই বলতে পারছেন না। এমনকী, এই নির্দেশিকা কার্যকর কোন পদ্ধতিতে করা হবে, বা একে লঙ্ঘন করলে, আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে, তাও স্পষ্ট নয়। এর পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি জেনেই থাকতো যে, সেখানে মাদক সেবন হয়, তাহলে, এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর অধরাই থেকে গেল। 

    আরও পড়ুন: টানা ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখে ডিন কি দায় এড়ালেন?

    মেডিক্যালে আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা 

    যাদবপুর (Jadavpur University) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। হস্টেলে কারা থাকছেন, প্রাক্তনীরা থাকছেন কিনা, থাকলেও কী প্রয়োজনে? সবটাই খতিয়ে দেখছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য ২ টি আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি গার্লস হস্টেল ও আরেকটি বয়েজ হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গিরিবাবু লেনের বয়েজ হস্টেলে রাখা হবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। পুনর্গঠন করা হয়েছে হস্টেল কমিটি ।হস্টেলে কারা থাকছে এবং কারা প্রাক্তনী হয়েও হস্টেলে রয়েছে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন হস্টেল সুপার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share