Tag: Justice

Justice

  • National Lok Adalat: বিরাট সাফল্য! ২০২৪ বর্ষে চতুর্থ জাতীয় লোক আদালতে ১.৪৫ কোটি মামলার নিস্পত্তিকরণ

    National Lok Adalat: বিরাট সাফল্য! ২০২৪ বর্ষে চতুর্থ জাতীয় লোক আদালতে ১.৪৫ কোটি মামলার নিস্পত্তিকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় লোক আদালত (National Lok Adalat) হল প্রথাগত বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার বাইরে বাদী-বিবাদী পক্ষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ মীমাংসাকে সহজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে ন্যায় বিচাররের (Justice) সুবিধাকে উপলব্ধ করতে এই বিশেষ ব্যবস্থার সাফল্য এখন বিরাট কৃতিত্বের। দেশের চতুর্থ জাতীয় লোক আদালত, ২০২৪ বর্ষে ১.৪৫ কোটি মামলার নিস্পত্তি করেছে। এই ব্যবস্থায় ন্যায় বিচার অত্যন্ত সাশ্রয়ী। দেশের ন্যায় বিচারকে আরও শক্তিশালী করতে এই প্রক্রিয়া ভীষণ ভাবে কার্যকর।

    বিকল্প বিরোধ সমাধানে লোক আদালতের ভূমিকা অনন্য (National Lok Adalat)

    ২০২৪ সালের এই লোক আদালতের পরিচালনায় ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি (NALSA) বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এই লোক আদালতের (Justice) চিফ-ইনচার্জ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাই। দেশের ৩৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্যাপক মামলার নিস্পত্তিকরণ এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের পদ্ধতি হিসেবে এই বিচার প্রক্রিয়ার ভূমিকা অসামান্য। রাজস্থানে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে ২১ এবং ২২ ডিসেম্বরে লোক আদালত গঠন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ“দলিত নয়, মুসলিমদের কথা ভাবতেন নেহরু”, অম্বেডকরকে উদ্ধৃত করে কংগ্রেসকে আক্রমণ রিজিজুর

    এখনও পর্যন্ত মোট নিস্পত্তির মামলা হল ৭,৪৬২.৫৪ কোটি

    জানা গিয়েছে এই লোক আদালতে (National Lok Adalat) ১.৪৫ কোটি (১,৪৫,৪৭,৫৯৫) মামলার নিস্পত্তি (Justice) করা হয়েছে। এই মামলাগুলির মধ্যে ১.২১ কোটি (১,২১,৭৮,৫০৯) হল প্রাক-মোকদ্দমা মামলা এবং ২৩.৬৯ লাখ (২৩,৬৯,০৮৬) মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। এইসব মামলার বিষয়ের মধ্যে ফৌজদারি অপরাধ, দেনা-পাওনা, দুর্ঘটনা, শ্রম এবং বৈবাহিক বিরোধ, উপভক্তা বিষয়ক ছাড়াও আরও একাধিক বিষয় রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট নিস্পত্তি হয়েছে, এমন মামলা হল ৭,৪৬২.৫৪ কোটি। লোক আদালত নিরন্তর বিচার প্রক্রিয়ার জটিল কাজকে অনেক সহজ করেছে। বিশেষ করে প্রান্তিক এলাকার মানুষের কাছে ন্যায় বিচারের সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই লোক আদালতের প্রধান উদ্দেশ্য। ন্যায় বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করাই প্রধান উদ্দেশ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    RG Kar Case: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে রাজ্য প্রশাসনের কোপের মুখে। হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডাকে কেন সাসপেন্ড করা হল, জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যের প্রতিবাদী আন্দোলনে। উল্লেখ্য, ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামলে প্রশাসনের রোষের মুখে পড়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে তিন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। একই ভাবে নানা সময়ে ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশনমঞ্চ থেকে প্রতিবাদীদের জোর করে তুলে দেওয়ার ঘটনা এই রাজ্যে বিরল নয়। তবে প্রবুদ্ধ নাগরিক সমাজকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে।

    উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খড়্গহস্ত (RG Kar Case)

    জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে থেকে বেলঘড়িয়া থানায় ট্রাফিক হোমগার্ডের চাকরি করছিলেন কাশীনাথ পাণ্ডা। গত ২১ অগাস্ট তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে (RG Kar Case) একটি গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন। মূলত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ হল, এই গান গাওয়ার পর থেকেই উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খড়্গহস্ত হন। একই ভাবে সিনিয়ররা তাঁকে হেনস্থা করেন, পোস্ট তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সাময়িক ভাবে কাজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এখন এই ভাবে কেন কাশীনাথকে সাসপেন্ড করা হল, তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে কী অভিযোগ রয়েছে- এসব বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দ। পুজো অবকাশের পর হাইকোর্টে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশে দেন বিচারপতি। এই ঘটনায় ফের একবার অভয়ার ন্যায় বিচারের আন্দোলনে প্রতিবাদের ভাষা, বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    আগেও চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ

    অপর দিকে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল। জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন, ধর্না, অবস্থান-বিক্ষোভ, আমরণ অনশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন। রাজ্যের উৎসবের কার্নিভালের বিরুদ্ধে দ্রোহের কার্নিভাল হয়েছে। একই ভাবে প্রতীকী অনশনের (RG Kar Case) ব্যাজ লাগিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলে কলকাতা পুরসভার এক চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ। ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে চিকিৎসক মহলে। একই ভাবে হোমগার্ড কাশীনাথের প্রতি রোষের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দার বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ঘুচল অন্ধত্ব, হাতে তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, নব কলেবরে ‘লেডি অফ জাস্টিস’

    Supreme Court: ঘুচল অন্ধত্ব, হাতে তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, নব কলেবরে ‘লেডি অফ জাস্টিস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাপড়ের ফেট্টি দিয়ে চোখ বাঁধা। ডান হাতে দাঁড়িপাল্লা। বাঁ হাতে ধরা তরোয়াল। এতদিন ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র (Lady Of Justice Statue) এই ছবিই দেখা গিয়েছে সর্বত্র (Supreme Court)। চির-চেনা এই ছবিটাই এবার গেল বদলে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের লাইব্রেরিতে বসানো হল ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র নয়া মূর্তি। এই মূর্তির চোখ খোলা। ডান হাতে দাঁড়িপাল্লা ধরা রইলেও, বাঁ হাতে তরোয়ালের জায়গায় ধরা সংবিধান। লেডি অফ জাস্টিসের এই নয়া মূর্তি দেখলে আর কেউ বলতে পারবে না আইন ‘অন্ধ’, বরং খোলা চোখে সংবিধান মেনে তুল্যমূল্য বিচার করে আদালত।

    ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র মূর্তি (Supreme Court)

    জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে বদলে গিয়েছে ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র মূর্তি। প্রধান বিচারপতি এর মাধ্যমে এই বার্তা দিতে চেয়েছেন, আইনের চোখ বাঁধা নয়। বরং আদালত সকলকে সমদৃষ্টিতে দেখে বিচার করে। ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র বাঁ হাতে ধরা তরোয়ালের পরিবর্তে সংবিধান রাখার (Supreme Court) ক্ষেত্রেও কাজ করছে এই যুক্তি। তরোয়ালটি হিংসার দ্যোতক। প্রধান বিচারপতির বার্তা, আইনের চোখে হিংসার কোনও স্থান নেই। বরং আদালত বিচার করে সংবিধান অনুযায়ী, রায়ও দেয় সেই মতো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তরোয়ালের পরিবর্তে ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র হাতে সংবিধান রেখে এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে, দেশের আইন কেবল শাস্তির প্রতীক নয়, বরং ন্যায় বিচারের প্রতীক।

    হাতে ধরা দাঁড়িপাল্লা

    ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র পুরানো মূর্তির ডান হাতে আগে যেমন দাঁড়িপাল্লা ছিল, নয়া মূর্তিতেও তেমনই রয়েছে। তাতে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। এই দাঁড়িপাল্লা সমাজের ভারসাম্যের প্রতিফলন ঘটায়। বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের যুক্তি শুনে বিচার করে আদালত। পাল্লা কোনও একদিকে ঝুঁকে থাকে না। আইন যে নিরপেক্ষভাবে বিচার করে, এই ছবি তারই প্রতিফলন। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধান বিচারপতির এই পদক্ষেপে দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিকতার গন্ধ মুছতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন, যেভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে ন্যায় সংহিতা চালু করা হয়েছে, তেমনই (Supreme Court) বদলে ফেলা হল ‘লেডি অফ জাস্টিসে’র মূর্তি (Lady Of Justice Statue)।

    ক্রমেই ‘বিকশিত’ হচ্ছে ভারত!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Case: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) ইস্যুতে প্রতিবাদের আন্দোলন অব্যাহত। আজ, সোমবার অভয়াকাণ্ডের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আর আগের রাতে, রবিবার ফের ন্যায় বিচারের (Justice) দাবিতে কলকাতার রাজপথে মশাল মিছিল করতে দেখা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের। তবে শুধু কলকাতায় নয়, একই সঙ্গে জেলায় জেলায় এই আন্দোলন লক্ষ্য করা গিয়েছে। মিছিলে যোগদান করেন নাগরিক সমাজও। সম্প্রতি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ক্ষোভের আগুনে যেন ঘি ঢেলেছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে সুপ্রিম-শুনানির পর ফের পূর্ণ কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    ন্যায় বিচারের দাবিতে মশাল হাতে প্রতিবাদ (RG Kar Case)

    গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ প্রথম থেকেই এই হত্যাকে ‘আত্মহত্যার তত্ত্ব’ বলে চালাতে চেয়েছিল। ময়নাতদন্তে মিলেছে একাধিক অসঙ্গতির চিত্র। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। অভয়ার ন্যায় বিচারের (Justice) দাবিতে ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা বিক্ষোভ, মিছিল, আন্দোলন, ধর্না করে চলেছেন। জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা জানিয়ে ১০ দফা দাবি রেখেছিলেন। দাবি মানবে বলে রাজ্য সরকারেরে আশ্বাস মেলায় জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের কর্মবিরতিকে আংশিক ভাবে তুলেও নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও সাগর দত্ত হাসপাতালে ডাক্তারদের উপর বহিরাগতরা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর প্রতিবাদে রবিবার জুনিয়র ডাক্তাররা সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে রাজপথে মহামিছিল করেন। মিছিলে যোগদান করেন নাগরিক সমাজ। মিছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যায়। এসএসকেএম, এনআরএস থেকেও জুনিয়র ডাক্তাররা মিছিলে যোগদান করেছিলেন। একই ভাবে পথ চলতি মানুষ এবং পুজোর কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।

    সাগর দত্তে কর্মবিরতি

    এই মহামিছিলে যোগদান করেন ডাক্তারদের প্রতিবাদী মুখ অনিকেত মাহাতো। তিনি এদিন হাতে মশাল নিয়ে রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের ভূমিকায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সাগর দত্তের মতো ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে নিরাপত্তা আপসের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির (RG Kar Case) পর ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দেব আমরা।” অপর দিকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজেও ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করে। হাতে মশাল নিয়ে ডানলপ পর্যন্ত মিছিল করেন। প্রতিবাদী এক ডাক্তার বলেন, “অভয়ার বিচার চেয়েছিলাম, আমাদের নিরাপত্তা চেয়েছিলাম এখনও পেলাম না। এর মধ্যেই হামলার শিকার হলাম। আমাদের আবার পথে নামতে হল।”

    আরও পড়ুনঃ জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির ‘শাস্তি’, হুমায়ুনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করার নিদান শুভেন্দুর

    সাতটি মিছিলে ছয়লাপ মহানগর!

    মোট সাতটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতাল থেকে মিছিল হয় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত। মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল হয় ধর্মতলা পর্যন্ত। এসএসকেএম থেকে মিছিল যায় ধর্মতলায়। এনআরএস থেকে মিছিলের গন্তব্য ধর্মতলা ছিল। ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট পর্যন্ত মিছিল হয়। সাগর দত্ত হাসপাতাল থেকে ডানলপ পর্যন্ত যায় মিছিল। আর কেপিসি হাসপাতাল থেকে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যায় একটি মিছিল। উল্লেখ্য এই শেষের মিছিলে স্লোগান ওঠে ‘আজাদি আজাদি, কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান। ডাক্তারদের এই মিছলের স্লোগান নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্কের দানা বেঁধেছে। রাজনীতি মুক্ত আন্দোলনের কথা বললেও এই স্লোগান যে রাজনীতি মুক্ত নয়, তা ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, অভিনব প্রতিবাদ আরজি কর-কাণ্ডে

    RG Kar Case: শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, অভিনব প্রতিবাদ আরজি কর-কাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় এবার আরও এক অভিনব প্রতিবাদ লক্ষ্য করা গেল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের নেতাজি পল্লিতে। নিজের মায়ের শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (We Want Justice)। নির্মম ভাবে ধর্ষণ করে খুনের একমাস অতিক্রম হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তবুও মানুষের মনে আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধর্না, মানববন্ধনে বিন্দু মাত্র ভাটা পড়েনি। প্রতিনিয়ত নানা স্বরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। 

    কেন শ্রাদ্ধের কার্ডে প্রতিবাদ (RG Kar Case)

    গত ৪ সেপ্টম্বর মৃত্যু হয়েছিল রায়গঞ্জের বাসিন্দা প্রতিমা দত্তের। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা প্রতিমা দেবী, আরজি করের (RG Kar Case) নৃশংস খুনের ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। দোষী কারা? তদন্ত প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে? কবে শাস্তি (We Want Justice) মিলবে-এই সব বিষয় নিয়ে সবসময় সংবাদ মাধ্যমের উপর নজর রাখতেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে মায়ের মৃত্যু হওয়ায় ছেলে শুভ্রজ্যোতি দত্ত আন্দোলন-প্রতিবাদকে জিইয়ে রাখতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। যদিও মা, সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতির কথা শুনে যেতে পারেননি, কিন্তু তাঁর ছেলে মায়ের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে আরজি কর-কাণ্ডের কথা মনে রেখেছেন।

    সুবিচারের দাবি ছড়িয়ে দিতে এই ভাবনা

    সোমবার, প্রতিমা দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। ছেলে শুভ্রজ্যোতি বলেন, “মায়ের মৃত্যুর জন্য বাড়ির বাইরে গিয়ে আন্দোলন করতে পারিনি। তাই শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ পত্রে ন্যায় বিচার চাই (We Want Justice) লিখে প্রতিবাদ জানালাম। সকলের মধ্যে যাতে সুবিচারের দাবি ছড়িয়ে পড়ে সেই জন্য আমাদের এই চেষ্টা। আমি চাই নির্যাতিতার দোষীদেরকে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন (RG Kar Case) সফল হোক এই কামনা করি। সমাজের সকল স্তরের মানুষ আন্দোলনে সামিল হোক। সামাজিক সচেতনতার জন্যই আমি আমার মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ ভাবনা ভেবেছি।”

    আরও পড়ুনঃ ৯ অগাস্ট বার বার ফোনে কথা সন্দীপ-অভিজিতের, দুজনকে মুখোমুখি জেরার ভাবনা সিবিআইয়ের

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    শুভ্রজ্যোতির এই ভাবনাকে সাধুবাদ জনিয়েছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, “ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনার প্রায় ৪০ দিন হতে চলল, এখনও দোষীদের সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা গেল না। পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে তদন্তকে ভুল দিকে ঠেলে দিয়েছে। নিজের মায়ের স্মৃতির মধ্যে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিয়েছেন, যা অত্যন্ত ভালো দিক।” উল্লেখ্য ডাক্তাররা রোগী দেখার সময় তিলোত্তমার (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের জন্য স্ট্যাম্প ব্যবহার করছেন প্রেসক্রিপশনে। একই ভাবে খাবারের বিলে দোকানদাররা নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের (We Want Justice) জন্য সিল দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছিলেন। এবার তাতে যোগ দিলেন রায়গঞ্জের শুভ্রজ্যোতিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: লাগাতার আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধে ফের পথে বাংলাদেশের হিন্দুরা, অবরোধে অচল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: লাগাতার আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধে ফের পথে বাংলাদেশের হিন্দুরা, অবরোধে অচল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাস হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার (Hindus) পরেও বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। লাগাতার আক্রমণের প্রতিবাদে পথে নামলেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা (Bangladesh Crisis)। ন্যায় বিচার ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।

    আট দফা দাবি (Bangladesh Crisis)

    আন্দোলন হয় সনাতনী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে। এই ছাতার তলায় জড়ো হয় হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন। এদিনের আন্দোলনে ছিল বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চও। আট দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে তারা। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ শুরু হয় অবরোধ। যার জেরে ব্যাপক যানজট হয় শহরে। শুক্রবারই আট দফা দাবিতে চট্টগ্রাম শহরের জামাল খান মোড় এলাকায় সমাবেশ করে সম্মিলিত সনাতনী সমাজ, বাংলাদেশও। যে আট দফা দাবিতে এদিন আন্দোলন হয়েছে, সেগুলি হল, সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, সাম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন দেওয়া, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করা, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তরিত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা এবং তাদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করা, সঠিকভাবে অর্পিত সম্পত্তি আইন কার্যকর করা এবং দুর্গাপুজোয় পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা।

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা

    আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীও। তিনি (Bangladesh Crisis) বলেন, “ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ অভ্যুত্থানের পর আমরা ভেবেছিলাম, আমরা একটা বৈষম্যহীন সামাজিক ব্যবস্থা পাব। তবে ৫ অগাস্ট থেকে দেশের ৪৯টি জেলায় হিন্দু জনগণের বাড়িঘর, তাদের মন্দির ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রথম আলোর (বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ থেকে ২০ অগাস্টের মধ্যে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১ হাজার ৬৮টি।” তিনি বলেন, “অস্থায়ী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। আমরা আশা করি, তিনি দেশের সকল মানুষের, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ করবেন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ওঁরা ঘৃণার দোকানে ভালোবাসার বোর্ড ঝুলিয়েছেন’’, ভূ-স্বর্গে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    বিশিষ্ট কবি ফারহাদ মাজহার বলেন, “দেশের বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুর একটি পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড।” তিনি বলেন, “এটা অপরাধমূলক কাজ। একাজ প্রতিরোধে নয়া সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। দ্বিতীয়ত, মন্দিরগুলিতে আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। জনসাধারণের ঘোষণার পরেই এসব আক্রমণ চালানো হয়েছে।”
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আমি মোদি (নরেন্দ্র মোদি)-কেও বলেছি, এসব বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামি লিগ যে অরাজকতা করেছিল, তার পর দেশ একটি অস্থিরতার মধ্যে পড়েছিল। সেই সময় যারা (Hindus) তাদের পাশে ছিল, তারাই আক্রমণের শিকার হয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৫টি দেশের ১৩০টি শহরে বিক্ষোভ প্রবাসীদের

    RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৫টি দেশের ১৩০টি শহরে বিক্ষোভ প্রবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে শিক্ষানবিশ তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিদেশের মাটিতেও। ২৫টি দেশের মোট ১৩০টি শহরে প্রবাসীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন। রবিবার নির্যাততার জন্য ন্যায় বিচার (Justice) চেয়ে আমেরিকার ৬০টি শহরে আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মূলত ছিলেন ভারতীয়রা, তবে তাঁদের মধ্যে আয়োজক ছিলেন বাঙালি সমাজ।

    আমেরিকার কোথায় কোথায় প্রতিবাদ

    চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ (RG Kar Case) করে খুনের প্রতিবাদে আমেরিকার যে শহরগুলিতে আন্দোলন হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম — আটলান্টা, ডাবলিন, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া। আবার জাপান, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, সাউথ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, নিউজিল্যান্ডেও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

    ব্রিটেন-সুইডেনেও বিক্ষোভ

    অন্যদিকে, ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টারের মতো শহরে প্রবাসী ভারতীয়রা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। সকলের একটাই দাবি ছিল, জাস্টিস ফর আরজি কর। ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) দাবিতে সুইডেনে মূলত মহিলারা প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নামেন। তাঁদের পরনে ছিল কালো পোশাক। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে গান গেয়েছেন এবং সেই সঙ্গে তুলেছেন স্লোগান। এই কর্মসূচির আয়োজক ছিলেন দীপ্তি জৈন। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবশ্য ব্রিটিশ নাগরিক। দীপ্তি বলেন, “কলকাতার হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা শিহরিত। এটা মানব সভ্যতার লজ্জা।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    রবিবার রাত দখলে জনজোয়ার

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রবিবার ফের মেয়েদের রাত দখলকে ঘিরে রবিবার শহর কলকাতা জুড়ে জন জোয়ায়ের ঢল নেমেছিল। আপামর বাঙালি সমাজের একটাই দাবি বিচার চাই (Justice), বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ (RG Kar Case) করে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের ভূমিকা প্রথম থেকেই অত্যন্ত সন্দেহজনক ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৩ তারিখ থেকে মামলার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে সিবিআই তার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের পর খাবারের বিলে ‘বিচার চাই’

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের পর খাবারের বিলে ‘বিচার চাই’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার ন্যায় বিচার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কলকাতা সহ সারা দেশ এখন উত্তাল। একদিকে যেমন মিছিল-মিটিং, সভা-সমিতি, ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও সহ একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তেমনি আবার শুরু হয়েছে প্রতীকী মৌন প্রতিবাদ। ডাক্তাররা আগেই নিজেদের প্রেসক্রিপশনে ‘বিচার চাই’ লিখে রোগীর পরিষেবা দিচ্ছিলেন। এবার ব্যান্ডেলের এক ক্লাউড কিচেনের পক্ষ থেকে অভিনব প্রতিবাদের সূচনা করা হল। বহুজাতিক খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপে খাবার ডেলিভারি করার সময় বিলে (Food Bill) লেখা হল, ‘আরজি করের জন্য ন্যায় বিচার চাই।’ এই বিল এখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। 

    পশ্চিমবঙ্গের নারীরা কী সত্যই সুরক্ষিত (RG Kar Rape-Murder)?

    ব্যান্ডেলের নারায়ণপুর কলোনির বাসিন্দা শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য ও প্রবীর ভট্টাচার্য। গত তিন বছর ধরে একটি ক্লাউড কিচেন চালান। মূলত অনলাইনে খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপের মাধ্যমেই খাবার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেন তাঁরা। কাজের জন্য আন্দোলনে যেতে পরেননি। তাই অভিনব ভাবে প্রতিবাদের হাতিয়ার বেছে নিয়েছেন। ‘ফ্লেভার হোম সার্ভিস’-এর বিলে লেখা রয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আরজিকর (RG Kar Rape-Murder)।’ শুচিস্মিতা বলেন,“পশ্চিমবঙ্গের নারীরা কী সত্যই সুরক্ষিত? হাসপাতলের কর্মক্ষেত্রে কী মহিলা চিকিৎসকেরা সুরক্ষিত? ব্যবসা সামলাতে গিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে যোগদান করতে পারিনি। তাই আমার প্রতিবাদ লিখে করলাম। তিলোত্তমার উপর নির্যাতনের দিন থেকেই মেনে নিতে পারছিলাম না। আমার ছেলে সাগ্নিক এই ভাবনার কথা আমায় বলেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সমস্ত বিলে (Food Bill) লিখে আমরা প্রতিবাদ শুরু করেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদ আমাদের চলবে।”

    আরও পড়ুনঃ চার ছাত্রের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, পুলিশকে ‘বিধি মানার’ নির্দেশ বিচারপতির

    অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই, দাবি প্রাক্তনীর

    ডাক্তাররা আগেই নিজের প্রেসক্রিপশনে অভয়ার বিচার চাই লিখে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এবার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন ছাত্র দেবব্রত দাস প্রতিবাদ জানিয়ে লাল কালির স্ট্যাম্পে লিখেছেন, “আর জি করের বিচার চাই, অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই।” তিনি রামপুরহাট গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের প্রাক্তন কনসালট্যান্ট ল্যাপরোস্কোপিক সার্জেন। তিনি বলেন, “প্রেসক্রিপশন প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি ওষুধের দোকানেও চলে যাচ্ছে। সারা ভারতে যে আমাদের সংগঠন রয়েছে সেখানেও আমার প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরেছি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রতিবাদের এই ভাষা ইংরেজিতেও লেখা হয়েছে”। একই ভাবে স্থানীয় রোগীর হাতে হাতে এই প্রেসক্রিপশন তুলে দিচ্ছেন। সামজিক মাধ্যমে এ রকম প্রতিবাদ যাতে সবাই করেন, সেই আবেদনও করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার লালবাজার চত্বরে। একদিকে যেমন ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) করা হয়, ঠিক একই ভাবে বিজেপির লালবাজার অভিযান করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র সহ সাধারণ মানুষকে ছাড়াতে এই অভিযান করে বিজেপি। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হায় হায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ ইত্যাদি স্লোগানও ওঠে ঘটনাস্থলে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপিকে ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ল পুলিশ। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। 

    পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি (Nabanna Abhijan)

    মঙ্গলবার দুপর ১টায় সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিলের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ। মিছিল শুরু হতেই পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামান দিয়ে নির্মম ভাবে অত্যাচার করে। একই ভাবে নির্বিচারে বহু ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। এর আগে, গতকাল মধ্যরাতে আন্দোলনকারী ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্ত করতে বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লালবাজারে অভিযান করা হয়।

    পুলিশের কাঁদানে গ্যাস অসুস্থ সুকান্ত

    বিকেল চারটের সময় মিছিল করে লালবাজারের দিকে এগোলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এদিন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন— লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সমীক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে। আটকে দিলে বিজেপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। রাস্তায় বসে বিজেপি নেতারা স্লোগান দেন— ছাত্রদের জোর করে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের মুক্তির জন্য পুলিশকে আধ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরই সুকান্তদের অবস্থান হঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপর বিজেপিকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির বিক্ষোভে কার্যত অবরূদ্ধ হয়ে যায় লালবাজার। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বিনা কারণে লাঠিচার্জ করেছে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।” 

    আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    Puri Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভক্তদের বিশ্বাস জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) দুর্মূল্য রত্নরাজি আগলে রেখেছেন নাগ দেবতা। তা স্পর্শ করা সহজ সাধ্য নয়। ৪৬ বছর পর রবিবার, সেই রত্নভান্ডার (Ratna Bhandar) খোলা হয়েছিল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারকে ঘিরে মানুষের কৌতূহল দীর্ঘদিনের। ভান্ডারে বৈদুর্যমণি, নীলকণ্ঠমণি-সহ অসংখ্য মূল্যবান রত্ন রয়েছে বলে দাবি পাণ্ডাদের। উল্টো রথের আগের দিন মাহেন্দ্রক্ষণে সেই রত্নভান্ডারে প্রবেশ করে ওড়িশা সরকারের তৈরি ১১ জন প্রতিনিধির একটি দল। রত্নভান্ডারের অন্ধকার কক্ষে কী রয়েছে তার ধারণা দিল সেই দল।

    কী জানা গেল (Puri Jagannath Temple)

    রাজ্য সরকারের তৈরি ওই প্রতিনিধি দলের সভাপতি ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ  জানান, ‘‘রত্নভান্ডারে যে দলটি প্রবেশ করেছিল, তাতে সাত থেকে আট জন মন্দির কমিটির সদস্যও ছিলেন। বহুদা যাত্রা শুরু হয়েছে বলে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। সে কারণে আমরা ভালো করে খতিয়ে দেখার এবং সব রত্ন সরানোর সময় পাইনি। বিগ্রহের অলঙ্কার, রত্ন সরানোর জন্য অন্য একটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এত বছর পর যখন জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার খোলা হল সেই সময় কোনও সাপ ওখানে ছিল না। এমনকী কোনও পোকামাকড় বা অন্য কোনও সরীসৃপও পাওয়া যায়নি ওখানে।’’ 

    কী আছে রত্ন রত্নভান্ডারে (Ratna Bhandar) 

    মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, রত্নভান্ডারের দুটি ভাগ, বাহির ভান্ডার ও ভিতর ভান্ডার। জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) যা কিছু আভূষণ থাকে বাহির ভান্ডারে। আর ভিতর ভান্ডারে থাকে মূল্যবান সামগ্রী, অলঙ্কার। বছরে ১৫ দিন বাহির ভান্ডার খোলা হয়, বন্ধ থাকে ৩৫০ দিন। বহু বছর খোলা হয়নি ভিতর ভান্ডার। শোনা যায়, রত্নভান্ডারে রয়েছে অসংখ্য কাঠের সিন্দুক। সেগুলির উচ্চতা ৩ ফুট, লম্বায় ৯ ফুট। ১৯৭৮ সালের অডিট অনুযায়ী, রত্নভান্ডারে রয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ রকমের অলঙ্কার। যার মধ্যে ৪৫৪ ধরনের খাঁটি সোনার অলঙ্কার রয়েছে। কিছু কিছু অলঙ্কারের ওজন এক কেজির বেশি। মোট সোনার অলঙ্কারের ওজন ১২ হাজার ৮৮৩ ভরি। আছে ২৯৩ রকমের রুপোর গয়না, যেগুলির ওজন ২২ হাজার ১৫৩ ভরি। 

    আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩ বর্ষ পূর্তি! নতুন এক ইতিহাস রচনা ভারতের

    অলঙ্কার রয়েছে মন্দির চত্বরেই (Puri Jagannath Temple)

    শ্রী জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) প্রশাসন (এসজেটিএ)-এর প্রধান অরবনিন্দা পাঢ়ি জানিয়েছেন, বাইরের রত্নকক্ষের (Ratna Bhandar) চাবি রাখা ছিল পুরীর রাজা গজপতি মহারাজের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘তাঁর থেকে চাবি নিয়েই বাইরের রত্নকক্ষে প্রবেশ করেছি আমরা।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে থাকা অলঙ্কার মন্দির চত্বরেই ‘অস্থায়ী স্ট্রং রুম’-এ রাখা হয়েছে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে ভিতরের কক্ষে প্রবেশের জন্য ভাঙা হয় তালা। ওড়িশার বিজেপি সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছায় ওড়িয়া অস্মিতার পরিচয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন ওড়িশাবাসী। এর আগে মানুষের ইচ্ছায় জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খোলা হয়েছিল। ৪৬ বছর পর রত্নভান্ডারের দরজা খোলা হল। মানুষ যা চায়, তাই করতে বদ্ধ পরিকর সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share