Tag: Justice Abhijit Ganguly

Justice Abhijit Ganguly

  • SSC Scam: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মামলায় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ওএমআর শিট। সেগুলোই এবারে প্রকাশের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মোট ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এর জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। ওএমআর প্রকাশ করার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবে এসএসসি। অর্থাৎ ৯ মার্চের মধ্যে ওই উত্তরপত্রগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, নম্বর কারচুপি করা উত্তরপত্রগুলিকে অবিলম্বে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে।

    ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র উদ্ধার

    নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তের সময় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে এসএসসি-র গ্রুপ সি-র (SSC Scam) পরীক্ষার ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করে সিবিআই। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এসএসসির আইনজীবী জানান, অনেক ক্ষেত্রেই উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর ও কমিশনের কাছে থাকা নম্বরে রয়েছে বহু ফারাক। গাজিয়াবাদের সংস্থা নাইসা এই পরীক্ষা খাতার মূল্যায়ন করেছিল। এরপরেই এই ওএমআর শিট এসএসসি-কে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০!

    এসএসসি গ্রুপ সি দুর্নীতিতে (SSC Scam) এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে চাকরি পাওয়া এক ব্যক্তির নম্বর ওএমআর মূল্যায়নকারি সংস্থা নাইসা-র সার্ভারে ৪০। কিন্তু, কমিশনের সার্ভারে তা দেখাচ্ছে ১০! এই তথ্য দেখে রীতিমত বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কী ভাবে তা সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি জানিয়েছে, গ্রুপ সি নিয়োগে পরীক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বর আসল ওএমআর শিটে একরকম এবং কমিশনের কাছে অন্যরকমের রয়েছে। এসএসসি এ-ও জানিয়েছে এর নেপথ্যে কমিশনেরই কিছু আধিকারিকের ভূমিকা রয়েছে।

    বিস্মিত বিচারপতি কী বললেন?

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে শুনানি চলছিল স্কুলের গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের মামলার (SSC Scam)। সেখানেই এসএসসির আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিস্মিত হন বিচারপতি। নম্বরের এত ফারাক দেখে অবিলম্বে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওইসব উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই এসব হয়েছে। সিবিআই চাইলে সুবীরেশ-সহ বাকিদের বারে বারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।” আবার কমিশন আরও জানায় যে, সিবিআই যে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে, তার মধ্যে ৩০০টি বিকৃত করা হয়নি। এ কথা শোনার পরও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী ৯ মার্চের মধ্যে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট স্কুল সার্ভিস কমিশন কে নিজেদের সাইটে প্রকাশ করতেই হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, স্বীকারোক্তি ইন্টারভিউয়ারদের, প্রকাশ্যে এল বয়ানের নথি

    TET Scam: ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, স্বীকারোক্তি ইন্টারভিউয়ারদের, প্রকাশ্যে এল বয়ানের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় খোদ পরীক্ষকদেরই। বন্ধ ঘরে ইন্টারভিউয়ারদের গোপন বয়ান নিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রার্থীরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, পদ্ধতি মেনে করা হয়নি। আর এই অভিযোগই এবারে মেনে নিলেন ইন্টারভিউয়াররা। হাইকোর্টে রুদ্ধদ্বার শুনানির সময় তাঁরা স্বীকার করে নিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট)-র অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ‘সঠিক পদ্ধতি’ মেনে হয়নি। সেই মর্মে নথিতেও সই করেছেন তাঁরা। সেই নথি প্রকাশ করলেন মামলাকারী প্রার্থীদের আইনজীবী।

    বয়ানে কী কী জানিয়েছেন ইন্টারভিউয়াররা?

    অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন জেলার ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে ডেকে গত বুধবার রুদ্ধদ্বার শুনানি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করেন, ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। অনেক প্রার্থীর কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। আর এই বয়ানে নিজেরাই সই করেছেন ও সেই নথি প্রকাশ্যে এনেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সেই নথিতে দেখা গিয়েছে, এক পরীক্ষককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কে তাঁকে ইন্টারভিউ নিতে বলেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে ইন্টারভিউয়ার জানান, কাউন্সিল অফিসের একজন তাঁর স্কুলে এসেছিলেন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁকে বলা হয়েছিল ইন্টারভিউ নিতে। তিনি অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের জন্য কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন কিনা তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি ওই টেস্ট নেওয়ার জন্য।

    অন্য একজন বলেন, বোর্ডের তরফ থেকেও আলাদা করে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার জন্য বলা হয়নি। ফলে তাঁরা এই টেস্টে কত নম্বর রয়েছে, তাও জানতেন না। তাঁদের শুধুমাত্র ইন্টারভিউ নিতে বলা হয়েছিল। এক ইন্টারভিউয়ার জানিয়েছেন, অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও জায়গা তাঁদের দেওয়া হয়নি। যে জায়গায় ইন্টারভিউ হয়েছিল, সেখানে কোনও চক বা ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না। ফলে সে দিন বিচারপতিকে ঠিক কী জানিয়েছিলেন ইন্টারভিউয়াররা, সেই বয়ানের নথিই এবারে সামনে এল।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী জানিয়েছেন?

    মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনরকম অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ২০১৪ থেকে প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬ তে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি নন-ট্রেনড প্রার্থীর নিয়োগ হয়েছিল তাঁদের অ্যাকাডেমিকস, টেট স্কোর, ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট-এর ভিত্তিতে। প্রায় পঁচিশ হাজার জন চাকরি পেয়েছিলেন, যাদের অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৪ বা তার নিচে কিন্তু তাঁদের ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে ৭ থেকে ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। আবার ৫২১৬ জনের অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৩-এর থেকেও কম, তাঁরা আবার অ্যাপ্টিটিউডে বিশাল নম্বর পেয়েছেন। পুরো রাজ্যে ৮২৪ জন আছেন যাঁদের সব মিলিয়ে স্কোর ১৩ থেকেও কম।

    ফলে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির প্রশ্ন, “যেই পরীক্ষাটা হয়নি সেই পরীক্ষায় কেউ তিন থেকে পাঁচ কিভাবে পায়? সবার তো একই নম্বর পাওয়ার কথা ছিল যখন পরীক্ষা হয়নি। কোন অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই নম্বর দেওয়া হয়েছিল?” তাঁর আরও অভিযোগ, কোনরকম রিজার্ভেশন রোস্টার মানা হয়নি এই প্রক্রিয়াতে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে আনতেই কিছু ইন্টারভিউয়ারের বয়ান সামনে এনেছেন। তিনি আরও বলেছেন, “সবে মাত্র একটা দিকের কথা বললাম বাকি দিকগুলো আস্তে আস্তে জানাবো।”

    [fb]https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0m3Cm7Jduzt6tgcYZEAfq3h33Tdx9SvMsH9xRxUTUuPnF5LLxUmSVRMK7ZCcuMe1Fl&id=100052069800604&sfnsn=wiwspwa&mibextid=RUbZ1f[/fb]

  • TET Scam: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    TET Scam: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন পদক্ষেপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার পরীক্ষার মুখে খোদ পরীক্ষকরাই। বন্ধ ঘরে ইন্টারভিউয়ারদের গোপন বয়ান নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই পরীক্ষকদের জিজ্ঞাসা করতেই বেরিয়ে এল আরও এক আশ্চর্যকর তথ্য। টেট পরীক্ষার অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া সেই পরীক্ষকদের একাংশ জানালেন, তাঁদের অনেকে জানতেনই না অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কী ভাবে নিতে হয়। আর এমনকী পরীক্ষকদের মধ্যে একজন বিচারপতিকে বলেছেন, বাংলায় কথা বলতে, ইংরেজি বুঝতে পারবেন না। ফলে খোদ পরীক্ষকদের এমন পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

    কী ঘটেছিল?

    ২০১৪-এর টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। নিয়োগের পরীক্ষায় অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে নিয়ম না মানার অভিযোগ করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই প্রেক্ষিতে এবার হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের ইন্টারভিউয়ারদের তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, পর্ষদের হলফনামা থেকে এটা স্পষ্ট যে প্রাথমিকের ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ৪০ জনের সঙ্গে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার কথা থাকলেও এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে উপস্থিত ছিলেন না হাওড়ার ইন্টারভিউয়াররা। ফলে মোট ৩০ জনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন বিচারপতি।

    পরীক্ষকদের কথা শুনে ‘স্তম্ভিত’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    গতকাল এজলাসে নয়, হাইকোর্টের সার্ধশতবর্ষ ভবনের একটি ঘরে পরীক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি। ১১টা ৪৫ থেকে শুরু হয় সেই প্রক্রিয়া। পরীক্ষকদের আশ্বস্ত করে বিচারপতি জানান, সামান্য কিছু প্রশ্ন করা হবে। এরপর নাম ডেকে একে একে ওই পরীক্ষকদের ঘরে ডাকা হয়। তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন বিচারপতি।

    আইনজীবী সূত্রে খবর, বন্ধ ঘরে উপস্থিত ইন্টারভিউয়ারদের প্রথমেই বিচারপতি অভয় দিয়ে বলেন, “আপনাদের কোনও ভয় নেই। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। যা সত্যি তা আমায় জানাবেন। তবে বিচারকক্ষের বাইরে এ নিয়ে কোনও কথা বলবেন না।” এর পর সেখানেই কেউ কেউ বিচারপতিকে জানান, অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না তাঁরা। এই পরীক্ষা কী, কীভাবে নিতে হয়, তা কিছুই জানতেন না তাঁরা। আবার তাঁদের কারও কারও ‘জ্ঞানের দৌড়’ দেখেও বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। খবর মিলছে, এই ‘পরীক্ষক’-দের একজন নাকি জেরার শুরুতেই আর্জি জানান “বাংলায় বলুন সার! ইংরেজি বুঝতে পারব না।” যা শুনে স্তম্ভিত বিচারপতি।

    ফলে যাঁরা পরবর্তীতে শিক্ষক হতে চলেছেন, তাঁদেরই পরীক্ষা নিতে পারেননি এই ইন্টারভিউয়ার বা পরীক্ষকরা। ফলে তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেছে বিচারপতি। এমনকী প্রাথমিকে ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবে সে দিন আর রুদ্ধদ্বার শুনানি নয়। নিজের এজলাসেই মামলাটি শুনবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য! দু’লক্ষ নয়, মোট চার লক্ষ জরিমানা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-র ফল ঘোষণা না করায় এক চাকরীপ্রার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন দু’লক্ষের পরিবর্তে চার লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন মালারানী পাল। কিন্তু ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ তা জানায়নি বলে অভিযোগ। আর সেসময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মামলকারীর বক্তব্য, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি মালারানী। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, “পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” তাই চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানিক এখনও ওই জরিমানা জমা দেননি। উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরীক্ষার ফল(২০১৪ টেট) প্রকাশ হলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মায়ারানী পাল।

    বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা

    জরিমানা দেওয়ার পরিবর্তে সেই নির্দেশ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন মানিক। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হলেও তার শুনানি না হওয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চে আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী। মানিকের আইনজীবী জানান, ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি না হওয়ায় আপাতত জরিমানা টাকা দেওয়ার নির্দেশ মুলতবি রাখুক একক বেঞ্চ। মানিকের আইনজীবী আরও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের কোনও ভুলের জন্য সভাপতি জরিমানার জন্য দায়বদ্ধ নয়।

    কিন্তু এমন আবেদন ফিরিয়ে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, “৭ দিনের মধ্যে জরিমানা টাকা দিতে হবে মানিককে। হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে টাকা দিতেই হবে মানিককে। সেই টাকা শর্ট টার্ম ডিপোজিটে গচ্ছিত থাকবে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার ফল মানিকের পক্ষে গেলে সুদসহ টাকা ফেরত পাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।”

    ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি না হওয়ায় এর পর আজও মানিকের আইনজীবী জরিমানা নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নতুন করে আরও ২ লক্ষ টাকার জরিমানা নির্দেশ দেন। তাই এখন সর্বমোট ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে হবে।

  • SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি থেকে বহিষ্কৃতরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তাঁরা। মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের এজলাসে। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, অনিন্দ্য লাহিড়ী এবং পার্থ দেববর্মণ। অন্যদিকে বিচারপতি বসুর রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন চাকরি খোয়ানো নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ

    শুক্রবারই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এসএসসি নিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: বিদায় নিচ্ছে শীত! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    এদের প্রত্যেকের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা, তাদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরা। আদালতে কমিশন স্বীকারও করেছে ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তার মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৯১১ জন। ফলে এই ১৯১১জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেদিন বলেছিলেন, “অবিলম্বে ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে, দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।” তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না, সে বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই আজ ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হন চাকরি খোয়া কর্মীরা।

    বিচারপতি বসুর রায়কে চ্যালেঞ্জ নবম এবং দশমের চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের

    উত্তরপত্র বিকৃত করে ৯৫২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যান ওই চাকরি খোয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই দুই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেয় সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর।

  • Justice Abhijit Ganguly: বই লিখবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? দুর্নীতি প্রসঙ্গ কতটা থাকবে তাতে?

    Justice Abhijit Ganguly: বই লিখবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? দুর্নীতি প্রসঙ্গ কতটা থাকবে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কিছুমাস ধরে আলোচনায় রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। চাকরিপ্রার্থীদের জন্যে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘মাসিহা’। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিয়েছেন  একের পর এক যুগান্তকারী রায়। দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই। এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতির যতগুলো মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এসেছে, সেগুলোতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এবং নির্দেশে তোলপাড় রাজ্য।           

    এবার এক নয়া সংবাদ দিলেন এই তারকা বিচারপতি। নিজেই জানালেন যে, বই লিখতে চান তিনি। আর তাতে থাকবে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির উল্লেখও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বইমেলায় এসে হাল্কা মেজাজে এমনটা জানায় তিনি। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ নিরাপত্তারক্ষী সহ বইমেলায় পৌঁছান বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। তাকে দেখা মাত্রই বাড়তে থাকে ভিড়।  

    বিচারপতির দেখা পেতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন জনতা। সাধারণ মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকে তাঁর হাতে ফুলও তুলে দেন। কেউ কেউ প্রণাম করতেও যান। সকলের সাথে কথা বলেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। সেখানে একজন তাঁকে ভগবান বলে সম্মোধন করলে তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “ভগবান আমি নই। ভগবান কেউ নন। ভগবান হল সংবিধান।’’ 

    কী বলেন বিচারপতি? 

    এরপরেই সংবাদমাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করেন “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও (Justice Abhijit Ganguly) কি বই লিখবেন?” উত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নিশ্চয়ই লিখব। আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছা রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির কথা অবশ্যই থাকবে। ওই নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে আমার। সেগুলোর কথা থাকবে।’’ এদিন বিভিন্ন স্টলে ঘুরে কেনেন একাধিক বই।

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারিত 

    বইমেলায় ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণও করেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। উঠে আসে কলেজের প্রসঙ্গও। বলেন, ‘‘কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে আসতাম। অন্য রকম হত।’’ উপন্যাস পড়তে বেশি পছন্দ করেন  বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। কিনেছেন বেশ কিছু উপন্যাস। শুধু বই নয় এদিন লেখার কালিও কেনেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত করা হল এসএসসির (SSC) তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। ওই মামলায় (SSC Scam) শুক্রবার তাঁকে শোনানো হল কঠোর ‘সাজা’। সাজার কথা শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যতদিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন নিজের ডক্টরেট উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ। ব্যবহার করতে পারবেন না স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও।

    কারচুপি…

    শুক্রবার ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পাওয়া ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার সূত্রেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, কার নির্দেশে এতজনকে বেআইনিভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে? তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য কমিশনের তদানীন্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, যতক্ষণ না সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন, ততদিন তিনি তাঁর পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছেন, নাম না বললে ধরে নেব, সুবীরেশ ভট্টাচার্যই দুর্নীতির (SSC Scam) মাথায়। প্রয়োজনে তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যযের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে মনে করে আদালত।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এত বড় একটা দুর্নীতি, অথচ তাতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কোনও যোগ থাকবে না, এটা হতে পারে না। তাই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। কারণ তাঁর আমলেই এই সব নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ওপরেও কেউ রয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সেই মাথার নাম বলতে হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। না হলে তিনিই দোষী (SSC Scam) বলে মনে করা হবে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য যদি নাম বলতে ভয় পান, তাহলে সিআরপিএফ দিয়ে তাঁকে নিরাপত্তা দিতে হবে। বিচারপতি বলেন, প্রয়োজনে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিনই গ্রুপ ডি মামলায় ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবারে এসএসসির গ্রুপ ডির কর্মী নিয়োগের মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া ২৮১৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় কমিশন। এরপরেই নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শুক্রবারের মধ্যে এদের নাম, বাবার নাম ও বাড়ির ঠিকানাসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    ওএমআর শিটে কারচুপি!

    এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কমিশন আদালতকে জানায় ৬,৮৯৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৮১৯ জনেরই নিয়োগে গরমিল রয়েছে। গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ ছিল। তাতে কমিশনের তরফে আইনজীবী আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানান, ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত কমিশন।

    আরও পড়ুন: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে কমিশন

    ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে জেনেও কেন কমিশন পদক্ষেপ নেয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “আপনারাই যখন বলছেন ২৮১৯ জনের ওএমআর শিট কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদের করতে হবে। আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তারপর তাঁদের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করুন।” অযোগ্যদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানাসহ তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করে ও চাকবি বাতিল করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য বিচারপতি এবারে ২৪ ঘণ্টাও বেঁধে দিলেন। আগামীকালের মধ্যেই তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারপতি আরও বলেছেন, শুক্রবার আদালতে কমিশন হলফনামা জমা দেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ২৮১৯ জনের নাম আপলোড করার এবং সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। তার ৫ মিনিটের মধ্যে তাঁদের নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে বিচারপতির এমন নির্দেশে গ্রুপ ডির যোগ্য প্রার্থীরা ফের আশার আলো দেখছেন। এর পর এটাই দেখার যে পরবর্তীতে এই মামলায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে।  

  • TET Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭ টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে? রিপোর্ট তলব বিচারপতির

    TET Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭ টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে? রিপোর্ট তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু তার আগেই নষ্ট করা হয়েছে ওএমআর শিট। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেই উত্তরপত্র। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কার নির্দেশে পুড়িয়ে ফেলা হল তা খতিয়ে দেখতে হবে ও এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আজই, বৃহস্পতিবার আদালতে তা জমা দিতে হবে৷ একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোনও সিনিয়র অফিসারকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির থাকার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    ২০১৭ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। গত বছর জানুয়ারিতে ফল প্রকাশ হয় সেই পরীক্ষার। প্রার্থীদের আরটিআই-এর জবাবে এপ্রিল মাস নাগাদ পর্ষদ ওএমআর শিটের কপিও দেয়। কিন্তু গতকাল জানা গেল সেই ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    সেই পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলার মত বিস্ময়কর কথাা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯৫২ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার মামলার শুনানিতে জানা যায়, ওএমআর শিট প্রকাশ করা সম্ভব নয়, কারণ তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। একথা জেনে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, কোন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হবে হবে? এরপরেই সিবিআইকে নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোন বৈঠকে ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা তদন্ত করে জানাতে হবে সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোর মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথি একই সময়সীমার মধ্যে জমা দিতে হবে পর্ষদকেও।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, একাধিক শিক্ষাকর্তা এখন জেলে। সেই ঘটনায় দিনের পর দিন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এবার তাতে পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এল। এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে কারাবন্দি হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ওএমআর পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তাঁর হাত রয়েছে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। 

  • Recruitment Scam: ‘‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি একা পারছেন না’’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    Recruitment Scam: ‘‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি একা পারছেন না’’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারপাশে বহু দুর্বৃত্ত, তাই দিদি একা সামলাতে পারছেন না, অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলাকালীন বুধবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। এদিন মানিকের প্রসঙ্গে ভরা এজলাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘দিদি একা আর সামলাতে পারছেন না। চারপাশে এত দুর্বৃত্ত থাকলে তিনি সামলাবেন কী করে?’’ এ প্রসঙ্গেই ভূপেন হাজারিকার ‘হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে!’ গানটি স্মরণ করেন তিনি।

    বিচারপতির প্রশ্ন

    এদিন ফের একবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই-ও। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “লন্ডনে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ির ঠিকানা জানেন? জানেন উনি কতবার লন্ডনে গিয়েছেন? আদালত তদন্ত করছে না সিবিআই?” মানিক সম্পর্কে অনেক তথ্য তাঁর জানা আছে, এজলাসে তার প্রমাণ দেন বিচারপতি নিজেই। তিনি জানান, লন্ডনের কোথায় মানিকের বাড়ি রয়েছে, তা তিনি জানেন। তিনি এ-ও জানেন, সেই বাড়ির পাশে এমন এক জনের বাড়ি রয়েছে, যিনি নিজেও রাজনৈতিক নেতা।

    আরও পড়ুন: চলতি মাসের ১৫ তারিখ পেশ হতে পারে রাজ্য বাজেট, জানালেন চন্দ্রিমা

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, মানিক ভট্টাচার্যের ২টি বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন এটা কী করে সম্ভব? পালটা বিচারপতি বলেন, “ছি! ছিঃ! ছিঃ। এটা কী হচ্ছে! লজ্জার ব্যাপার হল তিনি এখনো বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি।” সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, গত ২ সপ্তাহে তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। কিছু এসএমএস উদ্ধার হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকেও কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। ’এই মামলার শুনানিতে আগেই মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে বুধবার সিবিআইয়ের আবেদন ছিল, ‘‘তিন সপ্তাহ পরে আমরা রিপোর্ট পেশ করব। তার পর তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হোক।’’ তবে সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share