Tag: Justice Abhijit Ganguly

Justice Abhijit Ganguly

  • Recruitment Scam: ‘কিছু দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে’, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Recruitment Scam: ‘কিছু দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে’, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের (Recruitment Scam) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি ইডির তল্লাশিতে কুন্তলের চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে টেটের ওএমআর শিট। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে অ্যাডমিট কার্ডও। আর তা দেখে বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি বলেন, “কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে? কী হচ্ছে এটা? কী করে কুন্তলের কাছে ওএমআর সিট, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যায়! ইডিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করব।” সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে প্রাথমিক পর্ষদের তরফের  আইনজীবী জানান, কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে ১৮৬টি ওএমআর সিট ও অ্যাডমিট কার্ড। বিষয়টি শুনেই ফুঁসে ওঠেন বিচারপতি। প্রশ্ন তোলেন, “কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি? কেউ নিজে কিছু করবে না, আবার আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না৷”

    তাপসের বয়ানেই গ্রেফতার কুন্তল 

    প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি বলাগড়ের আরেক তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Recruitment Scam) বাড়িতে প্রায় ১২ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি (Recruitment Scam)৷ একই দিনে তৃণমূত্র যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়৷ এরপর ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ ৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য৷ তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি৷ তাঁর কাছ থেকেই হুগলির এই দুই তৃণমূল যুবনেতার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাধিকবার তাপস মণ্ডলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কুন্তল। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বার বার অভিযোগ করেন, “তাপস মণ্ডলকে ঘুষ দিইনি বলেই আজ আমার এই হাল হল৷” তাপস মণ্ডল তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতির ১৯ কোটি টাকা কুন্তলের কাছে গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, কুন্তলের হাতেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অন্তত ৩৫ জনের অবৈধ চাকরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের? 

    উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষ হুগলির বলাগড় অঞ্চলের (Recruitment Scam) প্রভাবশালী তৃণমূল যুবনেতা। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত 21 অক্টোবর চিনারপার্কের একটি আবাসন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। কুন্তলের হুগলি-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলাতে একাধিক বিএড কলেজ রয়েছে। সেই সুত্রেই মানিক ভট্টাচার্য-‘ঘনিষ্ঠ’ বিএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় হয় কুন্তলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Ganguly: কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার ওএমআর শিট! সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার ওএমআর শিট! সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ইডি ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করল ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে। এর মধ্যে ৩০টি ওএমআর শিট ২০২২ সালের। বেশ কিছু পুরনো ওএমআর শিটও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তলের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করে ইডি জানিয়েছে, কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন তারা ১৮৯টি ওএমআর শিট পেয়েছে। আর এই বিষয়ে জানতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পৃথকভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে এক অভিনেত্রীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে, যাকে তিনটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন কুন্তল। সেই প্রসঙ্গ এনেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, সেই অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে ইডিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে।

    কুন্তলের বাড়ি থেকে ওএমআর শিট উদ্ধার

    এদিন ইডি জানিয়েছে, কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন ১৮৯টি ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, আরটিআই-এর মাধ্যমে এই ওএমআর শিট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুন্তল। তবে কেন আরটিআই করেছিলেন, তার কোনও জবাব দেননি কুন্তল। এই খবর জানতে পেরেই বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে। কী করে কুন্তলের কাছে গেল ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড? কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি? কেউ নিজে কিছু করবে না, আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা বরদাস্ত নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘কিছু দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে’, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    এর পরেই তিনি এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ, কুন্তলকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। কাদের ওএমআর শিট ওখানে মিলেছে, তাঁদের নাম ও রোল নম্বর ধরে তদন্ত করতে হবে। সবটাই তিন দিনের মধ্যে করতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রয়োজনে যাঁদের ওএমআর শিট মিলেছে তাঁদেরও হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই।

    অভিনেত্রীর প্রসঙ্গ এনে বিচারপতি কী বললেন?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে এক অভিনেত্রীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে বলে শুনেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার আদালতে তিনি নির্দেশ দেন, সেই অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে ইডিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। আজ স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে এই নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, কুন্তল এক অভিনেত্রীকে তিনটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন, যা ভেঙে একটি বড় ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। বিচারপতি সোমবার এজলাসে সেই প্রসঙ্গই টেনে এনেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন অভিনেত্রী জড়িত? এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই। তাঁর সিনেমাও দেখতে চাই।”  

  • Justice Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্ত থেকে বাদ এক সিবিআই অফিসার

    Justice Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্ত থেকে বাদ এক সিবিআই অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। মঙ্গলবার তিনিই এক অফিসারকে তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন। বিচারপতির কড়া নির্দেশ, ওই তদন্তকারী গোয়েন্দা যেন মামলা সংক্রান্ত কোনও ফাইল স্পর্শ না করেন।

    কী বলেছেন বিচারপতি? 

    মঙ্গলবার প্রাথমি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। সেই সময়ই মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা এক সিবিআই আধিকারিককে তদন্ত থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তদন্ত থেকে বাদ পড়া সিবিআই কর্তার নাম সোমনাথ বিশ্বাস। তিনি প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৈরি সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য। মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের সিট থেকে সোমনাথ বিশ্বাসকে বাদ দিতে হবে। দুপুর ২টোর মধ্যে নতুন অফিসারের নামও জানাতে হবে সিবিআইকে।’’ এদিন মামলার শুনানিতে ওই সিবিআই আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তিনি অসুস্থ হওয়ায় আদালতে হাজির থাকতে পারেননি।

    সোমনাথ সিবিআইয়ের ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। যদিও হঠাত কেন ওই আধিকারিককে তদন্ত থেকে সরানো হল সেই বিষয়টি পরিস্কার করেননি বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। বিচারপতি কড়া ভাষায় বলেন, “ওই সিবিআই কর্তা তদন্তের কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। কোনও ফাইল স্পর্শ করতে পারবেন না। তাঁর ব্যাপারে ডিআইজি পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।’’   

    এই মুহূর্তে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, তিনিই রাজ্যের স্কুল নিয়োগের দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির উপর আস্থা রেখেছিলেন। ইডি এবং সিবিআইয়ের হাতে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্তভার তুলে দিয়েছেন তিনি নিজেই। সেই তিনিই সিবিআই কর্তাকে তদন্তভার থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়ার কারণ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    এক আধিকারিক বাদ পড়লেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তভার এখনও সিবিআইয়ের হাতেই রয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের তদন্তকারী এক সিবিআই কর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ ছিল, ওই সিবিআই কর্তার হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে বগটুইয়ে হিংসার মূল অভিযুক্ত লালন শেখের।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Manik Bhattacharya: ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ার জের! ফের মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    Manik Bhattacharya: ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ার জের! ফের মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ফের জরিমানার মুখে পড়লেন তিনি। পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এক প্রার্থীকে ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ায় তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে এক প্রার্থীর পরীক্ষার ফল না জানানোয় মানিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল আদালত।

    কী অভিযোগ করেছেন মামলাকারী?

    সহিলা পারভিন নামে ২০১৭ সালের এক প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থী আদালতে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে পরীক্ষা দিয়েও ফলাফল জানতে পারেননি তিনি। এরপর সেই ওএমআর দেখার জন্য আবেদন করেন তিনি। তার পর পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, ৫০০ টাকা ড্রাফট কেটে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টাকা জমা দিয়েই পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু পর্ষদ তাঁকে তাও দেখতে দেয়নি। উল্টে তাঁকে জানানো হয়, সঠিক ফরম্যাটে আবেদন করেননি তিনি। কিন্তু অভিযোগকারীর দাবি, যে ফরম্যাটে তিনি আবেদন করেছেন, সেটি ছাড়া আর কোনও ফরম্যাট নেই। সেই কারণে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর যেসময়ে সহিলা পারভিন অভিযোগ করছেন, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন: আট বছরেও মেলেনি পরীক্ষার ফল, টেট পরীক্ষার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা আদালতের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    এই মামলার রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার জানান, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করলেও সহিলা পারভিনকে ওএমআর শিট দেখতে দেওয়া হয়নি। এজন্য মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রসঙ্গত, এই জরিমানাই প্রথম নয়, এর আগেও মানিককে জরিমানা করেছে হাইকোর্ট। এর আগে মালারানী পাল নামে এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন যে, পরীক্ষার আট বছর পরও তাঁকে ফলাফল জানায়নি পর্ষদ। ফলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Abhijit Ganguly: পরীক্ষা না নিয়েই পুরো নম্বর, পর্ষদ সভাপতির কাছে জবাব চাইল হাইকোর্ট

    Justice Abhijit Ganguly: পরীক্ষা না নিয়েই পুরো নম্বর, পর্ষদ সভাপতির কাছে জবাব চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্য জমানার আরও এক দুর্নীতি এল কলকাতা হাইকোর্টের নজরে! অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা না নিয়েই ‘ফুল মার্কস’ পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা! ৬ পরীক্ষার্থীর বয়ান নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ, “২০১৬ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয় নি।” প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির হলফনামা আকারে কৈফিয়ত তলব হাইকোর্টের। ৭ দিনে এই মামলার হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আদালত হলফনামায় জানতে চান, অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হলে নম্বর বন্টন কী ভাবে হল? ফের অস্বস্তিতে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    কী অভিযোগ?         

    প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে! কলকাতা হাইকোর্টে সাক্ষী দেন ৬ জন চাকরিপ্রার্থী। এ বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ, ২৪ জানুয়ারির মধ্যে পর্ষদ সভাপতিকে জানাতে হবে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না। পাশাপাশি, তিনি হলফনামা দিয়ে জানাবেন এ বছর কী পদ্ধতিতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘মানচিত্রে আজাদ কাশ্মীর চিহ্নিত করো’!, পর্ষদের মাধ্যমিক টেস্ট পেপারের প্রশ্নে বিতর্ক     
     
    প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউর অংশ হিসাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। তার জন্যে আলাদা নম্বর নির্ধারিত ছিল। নিয়ম অনুযায়ী (Justice Abhijit Ganguly) অ্যাপটিটিউড টেস্ট বাধ্যতামূলক। মূলত চক পেনসিল, ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। কিন্তু অভিযোগ এই অংশটিকে বাদ দিয়েই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

    এই মামলায় প্রিয়ঙ্কা নস্কর-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। চাকরিপ্রার্থীরা সাক্ষী দিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ জেলাতেই অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়নি। অনেক জায়গায় শ্রেণিকক্ষের পরিবর্তে বারান্দায় ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। একজন পরীক্ষার্থী জানান, সব নিয়ে ৪টে প্রশ্ন করা হয়। ঘরে দুজন ছিলেন ইন্টারভিউ নেওয়ার সময়। কোনও ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না।

    মামলাকারীদের আইনজীবী (Justice Abhijit Ganguly) তরুনজ্যোতি তিওয়ারি জানান, “অধিকাংশ জেলায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। পরীক্ষার্থী অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নম্বর কী ভাবে পেলেন, তা জানতে চায় আদালত। এক্ষেত্রেই দুর্নীতি, বেছে বেছে অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর বসানো হয়েছে। আমার মামলাকারীদের অনেককে ২ বা ৩ নম্বর দেওয়া হয়েছে। অথচ চাকরি প্রাপকদের সেই নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Group-D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Group-D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির একটি মামলায় (Group-D Recruitment Scam) ফের ইডি-তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লক্ষ্মী টুঙ্গা নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় আজ ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সন্দেহ, সাদা ওএমআর শিটে মোটা টাকার বিনিময়ে বিকৃতি ঘটিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর তা তদন্ত করতেই এবারে এই মামলাতেও ইডিকে যুক্ত করলেন বিচারপতি।

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি তদন্তের নির্দেশ

    উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) (Group-D Recruitment Scam)। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ১০০টি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এসএসসিকে এই ১০০ ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবীকে আদালতের নির্দেশ, ২,৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে। সিবিআই এই বিকৃত ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করেছে।

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    আর এর পরেই গ্রুপ ডি-র প্রায় ১০০টি খাতা খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, অধিকাংশ খাতাই সাদা। কয়েকটি খাতায় পরীক্ষার্থীরা ১ – ৪ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু এসএসসি-র সার্ভারে সেই নম্বরই দেখাচ্ছে ৪৩। ফলে বিচারপতির প্রশ্ন, “এসএসসি-তে সেই সময় কে ছিলেন চেয়ারম্যান?” উত্তরে আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য ছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান। এর পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, “সিবিআইকে কি সুবীরেশ সব বলেছেন? যাঁর নির্দেশে করেছেন, তাঁর নাম কি বলেছেন? অধিকাংশ ওএমআর শিট ফাঁকা। বিশ্বাস করি না, টাকা ছাড়া এই ম্যানুপুলেশন সম্ভব। ইডিকে সব মামলায় যুক্ত করব। কোনও ব্যক্তি যেন পালিয়ে না যায়।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতেই গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ইডি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মানিক ভট্টাচার্যকে। এবার আরও একটি মামলায় তদন্তভার যাচ্ছে ইডি-র হাতে। গ্রুপ ডি নিয়োগেও (Group-D Recruitment Scam) টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, টাকা কার কাছে যেত? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবারে তদন্ত করবে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনাল শেষে কাপ উঠল ফুটবল ম্যাজিশিয়ানের হাতে। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা বর্ণময় হয়ে থাকল লিওনেল আন্দ্রেস মেসির। ফুটবলের যাদুকরের খেলা দেখতে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন বহু বাঙালি। রাতজেগে বিশ্বকাপ  ফুটবল ফাইনাল দেখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। আদ্যোপান্ত মারাদোনা ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুরু থেকেই আর্জেন্টিনার হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন। মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল, বলছেন বিচারপতি।

    কী বললেন বিচারপতি

    একটি মামলা চলাকালীন হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের সঙ্গে কথাবার্তার মধ্যেই উঠে আসে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। তখনই ফুটবল ভক্ত অভিজিৎ জানান, কলকাতাবাসীর পক্ষ থেকে মেসিকে ইমেইল করে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। তবে মারাদোনা ভক্ত বিচারপতি বলেন, ” মেসির পায়ে শাপমুক্তি ঘটলেও লিও কিন্তু মারাদোনা নয়। মেসি মারাদোনা হলে একা দশজনকে কাটিয়ে গোল দিত। ম্যাচ টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়াত না। আর্জেন্টিনা না অন্য দেশ কে জিতলো সেটা বড় বিষয় নয়। ভাল ফুটবল খেলা দেখা গেল।” ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় লা আলবিসেলেস্তেদের। কাতারে সাতটি গোল করে আর্জেন্টিনার (Argentina) জয় নায়ক কিন্তু মেসিই, বলছে ফুটবল বিশ্ব।

    আরও পড়ুন: “নিশ্চয়ই দিয়েগো এখন হাসছেন…”, মেসিদের অভিনন্দন জানালেন ‘ফুটবল সম্রাট’ পেলে

    আর্জেন্টিনা, মেসির জন্য খুশি হলেও বর্তমানে বাংলার ফুটবল নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। একদা ময়দানে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন বিচারপতি। ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে কলকাতার ভেটেরান ক্লাবে খেলতেন। পরিতোষ চক্রবর্তী’র কোচিংয়ে প্র্যাকটিস করতেন। লাতিন আমেরিকার ফুটবল তাঁকে বরাবর আকর্ষণ করে। ব্রাজিল জিতলে খুশি হন। তবে এবার ব্রাজিল বিদায় নেওয়ায় আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করছিলেন। তবে, আর্জেন্টিনা জিতলেও তাঁর গলায় আফসোসের সুর। বললেন, ” স্ক্রিনে স্ক্রল হতে দেখলাম মোস্ট এক্সাইটেড ফাইনাল ম্যাচ। ভালো কথা। আমরা খেলা দেখতে ভালবাসি। ভাল সমর্থক। কিন্তু আমরা খেলতে পারি না। দীর্ঘদিন সন্তোষ ট্রফি অধরা বাংলার। সুরজিৎ, পি কে, অমল দত্তরা অতীত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘‘এখন নয়, আগে ভাল করে পড়ান’’, শিক্ষক বদলি মামলায় বিচারপতির ধমক আবেদনকারীকে

    Justice Abhijit Ganguly: ‘‘এখন নয়, আগে ভাল করে পড়ান’’, শিক্ষক বদলি মামলায় বিচারপতির ধমক আবেদনকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলির মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্নের মুখে মামলাকারী। হাইকোর্টে শিক্ষক বদলির মামলায় ভর্ৎসনা করা হল মামলাকারীকে। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিলেন, এখন কোনও বদলি হবে না। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার থাকলে, ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এই আদালত ওই পড়ুয়াদের জন্য চিন্তিত।” তিনি এদিন পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার ও পড়ানোর মান নিয়ে সরব হন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, শিক্ষক বদলি চাইতেই পারেন, কিন্তু তা নির্ভর করে পড়ুয়াদের উপর। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ায় ক্ষতি করে এই সুবিধা দেওয়া হবে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

    মামলাটি কী?

    পুরুলিয়ার ঝালদার ঘোড়াশূল প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক বদলি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা আজ উঠেছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি ওই স্কুল পরিদর্শনের ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক স্কুলের পঠনপাঠন দেখতে যাব। যে কোনও একদিন স্কুল দেখতে যাব। আগে ভালো করে পড়াও ছাত্রদের, তারপরে বদলি। এই মুহুর্তে কোনও বদলি হবে না। স্কুলে শুধুমাত্র এখন মিড ডে মিল টুকু দেওয়া হয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে মামলাকারী

    সোমবার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্ন করেন, ওই স্কুলে কতজন পড়ুয়া রয়েছে? আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, পডুয়ার সংখ্যা ৫৬ জন আর শিক্ষক ২ জন। তাতে বিচারপতির মন্তব্য, “এখন ভাল করে ছাত্রদের পড়াতে বলুন। এখন আমি কোনও বদলির নির্দেশ দেব না। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই বদলি মামলায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানতে চেয়েছেন। আমিও তাই চাইছি।”

    সোমবার এই মামলায় নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যকে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানাতে হবে। তার পরই আদালত বদলির নির্দেশ দেবে। তার আগে কোনও বদলি সংক্রান্ত মামলার নির্দেশ দেবে না এই আদালত। আবার বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) এই বিষয়ে আরও বলেছেন, “শিক্ষকরা বদলি চাইছেন। তাঁরা বেতন নিচ্ছেন। অন্যান্য সুযোগও পাচ্ছেন। এটা তাঁদের অধিকার। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। তা থেকে তারা যেন বঞ্চিত না হন, তা লক্ষ রাখতে হবে। শুধু বদলি চাইলেই হবে না।” ফলে রাজ্যের তরফে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত হলফনামা দেওয়ার পরই পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ স্থির করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

  • TET Scam: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    TET Scam: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) ফের নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ও তিনি নিজেও অষ্টম শ্রেণি পাশ করা শিক্ষক। আর এরপরেই তাঁকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নেতা হলেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে বেতন পেলেও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও প্রতি মাসে আলাদা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। এইসব অভিযোগের পরেই তাঁকে ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর ১টার মধ্যে সশরীরে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেবজ্যোতি ঘোষের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ?

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) নাম জড়িয়েছে দেবজ্যোতি ঘোষের। তিনি ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একজন প্রাথমিক শিক্ষকও। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সদস্যও তিনি। অভিযোগ উঠেছে, নিজের ক্ষমতা বলে তিনি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ও এই অভিযোগে মামলাও দায়ের হয় হাইকোর্টে। কোয়েনা দে নামে এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায় ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার তৃণমূলের এই নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: মৃত লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ, ফাঁসে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

    কোয়েনা দে দাবি করেছেন, দেবজ্যোতি ঘোষের পাসপোর্টে লেখা, তিনি নাকি অষ্টম শ্রেণি পাশ। ফলে কীভাবে তিনি প্রাথমিকে চাকরি পেলেন সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলার (TET Scam) শুনানি চলাকালীন দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে আসে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দেবজ্যোতি ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আর এরপরেই সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানো তাপস মণ্ডলেরও ঘনিষ্ঠ।

    ফলে এইসব অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন এই হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য। একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, যদি তিনি  হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

  • Justice Abhijit Ganguly: “ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি”, কেন এমন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Justice Abhijit Ganguly: “ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি”, কেন এমন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যেন অস্ত্র তুলে নিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলে-মেয়ে তো বটেই তাদের অভিভাবকদের চোখেই তিনি হয়ে উঠেছেন ভগবান। তাঁর একের পর এক নির্দেশে আজ গারদের অন্ধকারে রাজ্যের হেভিওয়েট দুর্নীতিবাজ নেতারা। গোটা রাজ্যই তাঁকে সততার প্রতীক হিসেবে দেখা শুরু করেছে। এরই মাঝে তিনি নিজেকে ‘শয়তান’ হিসেবে দাবি করে বসলেন। কিন্তু কেন? 

    কী ঘটেছে?

    একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এক মহিলা এগিয়ে এসে তাঁকে তাঁর কথা শোনার আর্জি জানান। সময়ের অভাবে বিচারপতি তা শুনতে অস্বীকার করলে মহিলা বলেন, “ধর্মাবতার আমার কথা একটু শুনুন। আপনিই ভরসা।” তার উত্তরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “এখন তো মামলা মেনশনের সময় নেই। তা ছাড়া এ ভাবে বলছেন কেন? এ ভাবে কি মামলা করা যায়?” মহিলা বলেন, ”বঞ্চিত হয়ে অনেক বছর ধরে ঘুরছি। কয়েক বার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে করতে পারিনি। এর আগে মামলা করেও কিছু হয়নি। আপনি সাহায্য করুন। আপনাকে আমরা ভগবানের মতো দেখি।” সেই সময়ই বিচারপতি উত্তর দিয়ে বলেন, “আমি বদলে গিয়েছি। আগের মতো আর নেই। ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি।”

    আক্ষেপের সুরে তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আর আগের মতো নেই। আর আমি ভগবান-টগবান নই। আমি শয়তান হয়ে গিয়েছি। ভগবান থেকে শয়তান!” মহিলা তখন পাল্টা বলেন, “এ ভাবে বলবেন না! আপনি যা দেশের জন্য যা করেছেন তা অতুলনীয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি 

    বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) এরপর বলেন, “আপনার মামলার নম্বর কত? দিয়ে যান বুধবার বিষয়টি দেখতে পারি।” এরপর এজলাস ছেড়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ পা পিছলে ওই মহিলা পড়ে গেলে কয়েকজন আইনজীবী তাঁকে তুলে ধরেন। মহিলা খানিকটা সুস্থ হয়ে জানান যে, তাঁর মাথা ঘুরে গিয়েছিল। বিচারপতি সেই মহিলাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “সাবধানে যান। মামলা হবে। চিন্তা করবেন না।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”আমার মন্তব্যের অন্য মানে করা হচ্ছে। আমি আর মন্তব্য করব না।”

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে কোনও শুনানি থাকলে এখন ঠেলাঠেলি ভিড় হয়ে যায় হাইকোর্টে। আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই ভিড় করেন। অন্য মামলার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীরাও অনেকে এসে বসে থাকেন বিচারপতি নতুন কী বলছেন তা শোনার জন্য। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা কোনও তারকার থেকে মোটেই কম নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share