Tag: justice rajashekhar mantha

justice rajashekhar mantha

  • Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বয়কট উঠল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বয়কট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন আইনজীবীদের একাংশ। আগেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছিলেন আইনজীবীরা। তবে বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু এবারে জানা গিয়েছে, বিচারপতিকে বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এলেন। আদালত অবমাননার রুল জারি হওয়ার পরই আইনজীবীদের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুধবার সকালে অনেকটাই স্বাভাবিক হল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcuta High Court) পরিস্থিতি।

    আইনজীবীদের রণে ভঙ্গ!

    গত কয়েকদিন ধরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে দেখা যাচ্ছিল আইনজীবীদের ভিড়। সোমবার থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর মঙ্গলবারই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। পরে আজ সকালে বিক্ষোভ করতে না দেখা গেলেও বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বয়কটও উঠিয়ে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসে আদালত। স্বাভাবিক নিয়মেই শুরু হয় আদালতের কাজ। এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসে ৭টি মামলার শুনানি হয়েছে।

    বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কী বলা হল?

    এদিন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মৌলিক বলেন, “এই এজলাসের সামনে আর অবস্থান করা হবে না, বারের সম্পাদক হিসেবে আশ্বস্ত করছি। কোনও মামলায় দুপক্ষ উপস্থিত না থাকলে সেই মামলায় কোনও রায় না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।” এর পরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ, কোর্টের সম্মান নষ্ট করবেন না। শুধু মাত্র আমার এজলাস নয়, অন্য কোনও বিচারপতির ক্ষেত্রেও এমনটা যেন না ঘটে। দয়া করে সে দিকে নজর দিন।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    হাইকোর্টের ঘটনায় ‘তিতিবিরক্ত’ রাজ্যপাল

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের বিক্ষোভের ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে তিনি জানিয়েছেন। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। তিনি গতকাল রাতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে তলব করে বিচারপতির সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে সবরকম সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে কিনা এবং তাঁর বাড়ির বাইরে লাগানো পোস্টার খোলা হয়েছে কিনা সেব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে তথ্য জানাতেও বলেছেন রাজ্যপাল।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন ঘটনা বাংলায়! কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের দাবি তুলে বিক্ষোভ করতে দেখা গেল আইনজীবীদের একাংশকে। আইনজীবীদের মধ্যে এই সংঘাত শেষপর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছল। কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ নম্বর আদালত কক্ষ বন্ধ থাকা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। তাঁরা জোর করে এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেন কিছু আইনজীবী। এর পর দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি। তৃণমূলের মহিলা আইনজীবীদের একাংশ এজলাসের গেট বন্ধ করে দেন। তুমুল হট্টগোলে বিচারপতি এজলাস ছেড়ে উঠে যান। এই বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি শুরু হলে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে কাজ। এর পর ২ ঘণ্টা পর এজলাসে ফিরে আসেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও শুরু হয় বিচারের কাজ।

    হাইকোর্ট চত্বরে ধুন্ধুমার! 

    সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস ঘিরে বয়কটের দাবি তোলে কিছু আইনজীবী। তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সেই পরিস্থিতিতে নিজের এজলাস ছেড়ে উঠে যান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবও। বন্ধ হয়ে যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুনানি বন্ধ থাকে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। এরপর বিচারপতি মান্থা ফিরে আসলে কাজ শুরু হয়। হাইকোর্টের এই দৃশ্য ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন, আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

    বিচারপতির বাড়ির পাশেও বেনামি অভিযোগ-পোস্টার

    আবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের বাইরের দেওয়ালেও পোস্টার দেখা গিয়েছে। তাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ছবি দিয়ে ইংরাজিতে লেখা – লজ্জা, বিচারব্যবস্থার নামে কলঙ্ক! কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন – কোথায় আসল বিচার মিলবে? তাঁর বাড়ির আশেপাশেও লাগানো হয়েছে পোস্টার। যোধপুর পার্ক এলাকায় বিচারপতির বাড়ি। পোস্টারে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নামে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে, কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তার কোনও উল্লেখ নেই। তদন্তে নেমেছে লেক থানার পুলিশ।

    প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব কী বললেন?

    এরপর ১৩ নম্বর কোর্ট বয়কট নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। এসব শুনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, “এটা উচিত নয়। সব তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসুন। বারের সভাপতি ডেকে পাঠাচ্ছি। এই ঘটনা একেবারেই উচিত নয়। বিষয়টি আমরা দেখেছি।” এরপর প্রধান বিচারপতি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে (AG) ডেকে পাঠান। তাঁদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান তিনি। আদালতের ১৩-এর বাইরের সমস্ত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চাইলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। পরে একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাঠানোও হল তাঁর কাছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তিনি। এই বিক্ষোভ এবং হাতাহাতির ঘটনার পর নিজের এজলাসে শুনানি বন্ধ করে জরুরি বৈঠকে বসেছেন তিনি। বৈঠকে রয়েছেন হাই কোর্টের অন্য বিচারপতিরাও। 

LinkedIn
Share