Tag: jute cultivation of bengal

jute cultivation of bengal

  • Jute Cultivation: সরকার পাশে নেই, বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে নদিয়ার পাট চাষিরা

    Jute Cultivation: সরকার পাশে নেই, বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে নদিয়ার পাট চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলায় হাজার হাজার পাট চাষি রয়েছে। মূলত পাট চাষের (Jute Cultivation) উপরই তাঁদের সংসার অনেকটা নির্ভরশীল। তবে এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না থাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। চলে গেছে শ্রাবণ মাস, যেভাবে বর্ষা নামার কথা ছিল, তা না হওয়ায় খাঁ খাঁ করছে জলাশয়। শুকিয়ে গেছে পুকুরের জল, খানাখন্দগুলোরও একই অবস্থা। পাট চাষের জন্য বিশেষ প্রয়োজন বৃষ্টির। অন্যান্য সবজি চাষে সে রকম একটা বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না, মেশিনের জল দিয়ে চাষিরা সবজি তৈরি করতে পারেন। কিন্তু বৃষ্টি যে এ বছর পাট চাষে এতটা ক্ষয়ক্ষতি করবে, তা অনেকটাই অজানা ছিল চাষিদের কাছে। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রায় দুমাস দেরি হয় পাট কাটতে। একদিকে দিনমজুরদের রোজের টাকা, অন্যদিকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে চাষিদের, শুধুই একটু লাভ খুঁজে পাওয়ার জন্য। কিন্তু সে গুড়ে বালি।

    জমানো টাকাও বেরিয়ে যাচ্ছে (Jute Cultivation)

    নদিয়ার বিভিন্ন গ্রামের পাট চাষিরা জানিয়েছেন, এ বছর পাট চাষে (Jute Cultivation) তো লাভ নেই, উপরন্তু ঘরের জমানো টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে তাঁদের। অনেক চাষি এই পাট চাষের উপর নির্ভর করে সারাটা বছর অন্যান্য সবজি চাষে মন দেন। এছাড়াও বছরে দু’একবার ধান চাষও করেন তাঁরা। কিন্তু পাট চাষ করার আগে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় লোন নিয়ে তাঁরা শুরু করেন পাট চাষ। পাট পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পরে শুরু হয় কাটার পালা। এরপর বিভিন্ন জলাশয়ে পচানো হয় পাট। তারপরে লাভ বের করে ঋণ মিটিয়ে আবারও অন্যান্য চাষে নজর দেন চাষিরা।

    সরকারি সুবিধা (Jute Cultivation) নামেই, মিলছে কই!

    চাষের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে বিভিন্ন সুবিধার কথা প্রচারের আলোতে এলেও তাঁদের যে কোনও সুবিধা মেলে না, তা এক প্রকার জানিয়ে দিলেন চাষিরা। স্থানীয় বিডিও দফতর থেকে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বীজ দেওয়া হয় চাষিদের, এখন তাও বন্ধ। তাই নিজেদের চাষের (Jute Cultivation) উপরই নির্ভর করে সারাটা বছর সংসার চলে তাঁদের। যদিও প্রতি বিঘাতে প্রায় দশ হাজার টাকা করে এবার ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছেন চাষিরা। পুকুরের জল পাট পচার কারণে দূষিত হয়, তাই অনেকেই রাজি হন না ব্যবহারের জন্য। কিন্তু এখন আর সেই পুকুর কোথায়? সবই তো ভরাটের খাতায় নাম লিখিয়েছে। অর্থ ব্যয় করে জলাশয়গুলিতে এখন পাট পচানোর একটাই সম্বল চাষিদের। তবে চাষিদের পাশে কেউ নেই বলেই আক্ষেপের সুরে জানান পাট চাষিরা। তাঁদের একটাই দাবি, সরকার যদি একটু নজর দেয়, তাহলে হয়তো বেঁচে যাবে তাঁদের সংসার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share