Tag: Jyoti Malhotra

  • Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার ও ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাণসী নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তদন্তকারীদের মতে, জ্যোতি পাকিস্তান সফরের আগে কিংবা পরেই নিয়মিতভাবে বারাণসীতে যেত। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। জ্যোতি কেন বারবার বারাণসী যেত তা জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাকিস্তান-সমর্থিত গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম জসবীর সিং। “জান মহল” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করত জসবীর। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১১ লক্ষের বেশি।

    কেন কাশী যেত জ্যোতি

    ‘ট্র্যাভেল উইথ জো ’ (Travel with Jo) নামের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। কিন্তু বারাণসীতে তার এত ঘন ঘন উপস্থিতি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বারাণসীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের ভিডিও তৈরি করে জ্যোতি বিশেষ কাউকে পাঠাত। কার নির্দেশে জ্যোতি সেই ভিডিও আপলোড করত? ভিডিওগুলোর মধ্যে কি কোনো সাংকেতিক বার্তা বা গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল? কোন উদ্দেশে এই ভিডিও তৈরি করত জ্যোতি, তা জানতে চায় গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে জ্যোতি। প্রতিবারই পাকিস্তান সফরের আগে বা পরে বারাণসী সফর করত সে। সেইসব সফরের ভিডিও ইউটিউবে আপলোডও করত। প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এ সময় জ্যোতি করতারপুর করিডোর যায়। তার পরের মাসেই জ্যোতি বারাণসী যায় এবং বিভিন্ন স্থানের ভিডিও তৈরি করে।

    বারবার কাশী ভ্রমণ

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তানে (Pak Spy) যাওয়ার পর জুলাই মাসে ফের বারাণসী যায় জ্যোতি। ৯ই ডিসেম্বর বাসে করে আবার কাশী যায় সে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯শে ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীতে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করছিলেন, তখন জ্যোতি সেই একই ট্রেনে বারাণসী থেকে দিল্লি যাচ্ছিল এবং ট্রেনের পাইলট কেবিনের ভিডিও ও ক্লোজ-আপ ছবি ধারণ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও বারাণসীতে গিয়েছিল জ্যোতি। একাধিক স্থানে ভ্রমণও করে সে। এরপর কাশ্মীর ঘুরে মার্চ মাসে আবার পাকিস্তানে যায় হরিয়ানার মেয়ে।

    গ্রেফতার জ্যোতির সঙ্গী জসবীর

    অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রূপনগরের মাহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিংকে মোহালির স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (SSOC) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জসবীরের। মোহালি আদালত তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন এজেন্ট শাকির ওরফে জাট রনধাওয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জসবীরের। তাছাড়া, পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল জসবীর সিং-এর। দানিশকে আগে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    পাকিস্তানে তিনবার ভ্রমণ, দূতাবাসে উপস্থিতি

    জসবীর সিং ২০২০, ২০২১ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার পাকিস্তানে (Pak Spy) সফর করেন। তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ভ্লগারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছবি তোলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি জ্যোতি মালহোত্রা ও দানিশের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন এবং সেগুলো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন। জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর জসবীর সিং নিজের মোবাইল থেকে সমস্ত সন্দেহজনক যোগাযোগের তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পুরোটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

    গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি

    এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে অজনালা, অমৃতসর থেকে ফালাকশের মসিহ ও সুরজ মসিহ, মালেরকোটলা থেকে ৩১ বছর বয়সী গুজালা ও ইয়ামিন মোহাম্মদ এবং গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

  • Jyoti Malhotra: ভিআইপি সুবিধা, স্পেশাল ভিসা, পাকিস্তানে জ্যোতির নিরাপত্তায় একে-৪৭ হাতে ‘রক্ষীরা’! কেন? তদন্তে গোয়েন্দারা

    Jyoti Malhotra: ভিআইপি সুবিধা, স্পেশাল ভিসা, পাকিস্তানে জ্যোতির নিরাপত্তায় একে-৪৭ হাতে ‘রক্ষীরা’! কেন? তদন্তে গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার (Jyoti Malhotra) কাছ থেকে ১২ টেরাবাইট ডিজিটাল তথ্য আদায় করেছে হরিয়ানার হিসার পুলিশ। এই তথ্যভাণ্ডারে রয়েছে চ্যাট রেকর্ড, কল লগ, ভিডিও ফুটেজ, আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য ফরেন্সিক প্রমাণ—যা পাকিস্তানভিত্তিক চার ব্যক্তির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা স্পষ্ট করেছে। সাম্প্রতিক কালে যুদ্ধ শুধু গোলাগুলিতে হয় না। সমাজে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করতে, মানুষকে বোকা বানাতে ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া। এর মধ্য দিয়েই চলে ব্রেন ওয়াশ, বা মগজ ধোলাই। তদন্তে যে সমস্ত বিস্ফোরক তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে জ্যোতিকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)- এর ‘অ্যাসেট’-ও বলছেন তদন্তকারীদের একাংশ। হয়তো এই জন্যই লাহোরের আনারকলি বাজারে যখন ঘুরে বেড়াচ্ছিল জ্যোতি মালহোত্রা, তখন তার সঙ্গে ছিল অন্তত ছ’জন বন্দুকধারী। যাদের হাতে ছিল একে-৪৭। সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের এক ইউটিউবারের ভিডিওয় দেখা গিয়েছে এই চিত্র। ওই ভাইরাল ভিডিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    জ্যোতিকে ঘিরে বন্দুকধারী কেন?

    বিদেশি ইউটিউবের এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লাহোরের আনারকলি বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে জ্যোতি। আর তাকে নিরাপত্তা দিতে হাতে অত্যাধুনিক রাইফেল একে-৪৭ নিয়ে হাজির বেশ কয়েকজন রক্ষী। একজন ইউটিউবার, ভ্লগারের জন্য এত উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে অনেক। একজন ইউটিউবারের জন্য নিরাপত্তায় কেন এত কড়াকড়ি? বিস্মিত খোদ জ্যোতির ভিডিও করা স্কটিশ ইউটিউবারও। একজন ভারতীয় ইউটিউবার পাকিস্তানের রাস্তায় হাঁটছে। ভিডিও শ্যুট করছে। আর তাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে সশস্ত্র বাহিনী। অতএব পাকিস্তানের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ যে ছিল তা স্পষ্ট। ওই স্কটিশ ইউটিউবার প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন ওই বন্দুকধারীদের সঙ্গে রাখার প্রয়োজন হয়েছিল জ্যোতির। ওই সশস্ত্র ব্যক্তিরা রক্ষী ছিল, না কি অন্য কেউ, সেই প্রশ্নও রয়েছে। সূত্রের খবর, এই প্রশ্নগুলি ভাবাচ্ছে হরিয়ানা পুলিশকেও।

    নিরাপত্তা হুমকি ও ‘ন্যারেটিভ পুশ’

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি আধিকারিক দানিশের সঙ্গে তার ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল বলে অভিযোগ। দানিশকে আগেই ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে ভারত। অভিযোগ, দানিশের মাধ্যমে পাকিস্তানের আরও আধিকারিক, এমনকি গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল জ্যোতির। তিনি পাক চরদের কী তথ্য দিয়েছে, তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডিজিটাল ফরেন্সিক তদন্তে উঠে এসেছে, কীভাবে একটি সুপরিকল্পিত ‘ন্যারেটিভ পুশ’ বা মতপ্রচার কৌশলের অংশ হিসেবে জ্যোতিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল। রাষ্ট্রবিরোধী এই প্রচার কৌশলের লক্ষ্য ছিল সমাজকে বিভাজিত করা, ভুয়ো তথ্য ছড়ানো এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করা। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এমন সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদের কাজে লাগিয়ে ভারতের আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করার কৌশলে লিপ্ত।

    চার পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত চার জন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। তাদের সঙ্গে জ্যোতির চ্যাটে কোনও গ্রুপ বা মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতি ছিল না, যা থেকে বোঝা যায়, এই কথোপকথন ছিল পুরোপুরি গোপনীয়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি এই চার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরিচয় এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে সচেতন ছিল জ্যোতি। তার পাকিস্তান সফরের পরপরই তার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ফলোয়ার ও ভিউয়ারশিপ হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। তদন্তকারীদের মতে, এটি শুধুমাত্র স্বাভাবিক জনপ্রিয়তা নয়, বরং পরিকল্পিত প্রচার অভিযানের অংশ, যেখানে তার পোস্ট ও ভিডিও বিশেষভাবে ‘ন্যারেটিভ পুশ’ কৌশল অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, জ্যোতি সচেতনভাবেই এই গোয়েন্দা জালে পা দিয়েছিল এবং সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজে থেকেই সহযোগিতা করেছিল।

    বিশেষ ভিসা ও নিরাপত্তা কভার

    প্রথম পাকিস্তান সফরের পর জ্যোতি মালহোত্রাকে স্পেশাল ভিসা ও নিরাপত্তা কভার দেওয়া হয়েছিল। যা সাধারণ বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত বিরল। তদন্তকারীদের ধারণা, আইএসআই তাকে ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলেছিল এবং বিশেষ এই সুবিধাগুলি তার সক্রিয় সহযোগিতার পুরস্কার ছিল। স্কটল্যান্ডের ওই ইউটিউবারের ভিডিওতে দেখা যায় জ্যোতিকে যারা পাহাড়া দিচ্ছিল, তাদের গায়ে যে জ্যাকেট ছিল, তাতে লেখা ‘ভয় নেই’। ভিডিওতে স্কটিশ ইউটিউবার একবার জ্যোতিকে জিজ্ঞাসা করেছেন পাকিস্তানের আতিথেয়তা প্রসঙ্গে। স্পষ্ট ভাষায় জ্যোতি জানিয়েছে পাকিস্তানের আতিথেয়তা দারুণ। তার মুখভঙ্গিই বুঝিয়ে দিয়েছে যে সে কতটা খুশি পাকিস্তানের আতিথেয়তায়। আপাতত জ্যোতির মোবাইল এবং ল্যাপটপ, আর সেখানে পাওয়া ছবি, ভিডিও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাকিস্তানের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ কতটা দৃঢ়, কী কী তথ্য তার মাধ্যমে পাচার হয়ে গিয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। আর কে কে এই গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত, তাদের খোঁজও চলছে।

    শক্তিশালী ডিজিটাল প্রমাণ, হতে পারে সাজা

    পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতির কাছ থেকে পাওয়া ডিজিটাল প্রমাণ এতটাই শক্তিশালী যে, এর ভিত্তিতে আদালতে সহজে দোষ স্বীকার করানো সম্ভব হতে পারে। যদিও এখনও কোনও সংবেদনশীল তথ্য ফাঁসের প্রমাণ মেলেনি, তবুও তার কাজকর্ম সাধারণ সাংবাদিকতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মত তদন্তকারীদের। জ্যোতির কাছ থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। এই ঘটনা আবারও তুলে ধরছে কীভাবে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছে এবং ভেতর থেকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

  • India Pakistan Conflicts: জ্যোতিকে জেরা করেই সন্ধান! আরও এক পাক কুটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    India Pakistan Conflicts: জ্যোতিকে জেরা করেই সন্ধান! আরও এক পাক কুটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts) হাই-কমিশনের আরও এক আধিকারিককে ফের বহিষ্কার করল কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় পাক আধিকারিককে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভারত ৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ভারত ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘তাঁর সরকারি মর্যাদার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল ওই পাক কর্তা।’ সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ‘চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্স’কে সতর্ক-বার্তা

    বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পাক হাইকমিশনের ‘চার্জ দ্যাফেয়ার’কে তলব করা হয় এবং তাঁর হাতে সরকারি ভাবে একটি ডিমার্শে ধরানো হয়। তাঁকে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সতর্কও করা হয়েছে। যাতে আর কোনও পাকিস্তানি কূটনীতিক ভারতে থাকাকালীন তাঁদের কূটনৈতিক পরিচয়ের সুবিধার অপব্যবহার না করেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পাকিস্তান হাইকমিশনের ‘চার্জ দ্যাফেয়ার’কে। এই নিয়ে গত দশদিনে পাক হাইকমিশনের দু’জন কর্তাকে তাদের কূটনৈতিক পরিচয়ের সুবিধা নিয়ে ভারত-বিরোধী (India Pakistan Conflicts) কাজে জড়িত থাকার দায়ে পার্সোনা নন গ্রাটা ঘোষণা করা হল। এর আগে গত ১৩ মে পাক হাই-কমিশনের আরেক আধিকারিক দানিশকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

    জ্যোতিকে জেরা করেই মিলল হদিশ!

    গত ১৩ মে পাক কূটনীতিকে বহিষ্কারের তিন দিন পরে ১৭ মে হরিয়ানার হিসার থেকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে৷ তার সঙ্গে পাক হাই কমিশনের আধিকারিক আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের যোগাযোগের বিষয়টি সামনে আসে৷ অভিযোগ, ইউটিউবার জ্যোতি তার চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরির অছিলায় পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) গিয়েছিল৷ সেখানে পাক আধিকারিক দানিশের সূত্রে পাকিস্তানের গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়৷ জ্যোতি ভারতের সংবেদশীল গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করত বলে অভিযোগ করেছেন তদন্তকারীরা৷ জ্যোতি মালহোত্রাকে বর্তমানে জেরা করছে হরিয়ানা পুলিশ। তাকে জেরা করেই কি পাকিস্তানি হাইকমিশনে কূটনীতিকের পোশাক পরে বসে থাকা আরও গুপ্তচরের সন্ধান পাওয়া গেল? এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ পাক হাই কমিশনে বসেই ভারতের নানা প্রান্তে গুপ্তচর নিয়োগ করত আইএসআই এজেন্টরা।

  • ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে চর (ISI Spy) জ্যোতি মালহোত্রর (Jyoti Malhotra) সম্পর্ক ছিল, তা আগেই জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় গোয়েন্দাদের চিহ্নিত করতে ও তাদের ওপর নজরদারি করতে ভারতীয় ইউটিউবার জ্যোতিকে ব্যবহার করেছিল আইএসআই। হরিয়ানার ওই ইউটিউবার রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। তাকে জেরা করেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইএসআইয়ের সঙ্গে জ্যোতির করা সব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাদের হাতে এসেছে। প্রতিটিতে একটি করে কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে। আরএসআইয়ের এক এজেন্ট জ্যোতিকে নির্দেশ দেয়, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢোকার সময় সে যদি কোনও ভারতীয় গুপ্তচরকে বিশেষ কোনও দায়িত্ব নিতে দেখে, তা যেন তাকে জানায়। আপাতত এই চ্যাটের মাধ্যমেই জ্যোতির আসল সত্যিটা খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জ্যোতি ও আলি হাসান (ISI Spy)

    সূত্রের খবর, জ্যোতি এবং আলি হাসান নামে একজন আইএসআই চরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেখানে সাংকেতিক ভাষায় দু’জনের কথাবার্তা হয়েছে। আলি জ্যোতিকে জিজ্ঞেস করে, আটারি সীমান্তে জ্যোতি কোনও ভারতীয় এজেন্টকে বিশেষ প্রোটোকল পেতে দেখেছে কিনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গোটা চ্যাটে ‘প্রোটোকল’ এবং ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’ এই দুই শব্দের ব্যবহার হয়েছে একাধিকবার। এ থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, জ্যোতিকে ভারতীয় এজেন্টদের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করাত আইএসআই।

    ষড়যন্ত্র ফাঁস

    জ্যোতির গ্রেফতারের মাধ্যমে আইএসআইয়ের একটি বড় মডিউলের সঙ্গে জড়িত একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতে একটি গুপ্তচর (ISI Spy) নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হচ্ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, জ্যোতি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। এই অঞ্চলটি জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত।

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, আইএসআই একটি পরিকল্পিত মডিউল তৈরি করে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করেছে, যাদের সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর প্রভাব রয়েছে। শুধু গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করাই নয়, পাকিস্তানের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রচারের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিদের। প্রসঙ্গত, জ্যোতির (Jyoti Malhotra) ইউটিউবে প্রায় ৪ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ইনস্টাগ্রামে ১ লাখ ৩২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে (ISI Spy)।

  • Jyoti Malhotra: জ্যোতিকে চর হিসেবে গড়ে তুলছিল আইএসআই! জানুয়ারিতেই গিয়েছিলেন পহেলগাঁও, উঠে এল তদন্তে

    Jyoti Malhotra: জ্যোতিকে চর হিসেবে গড়ে তুলছিল আইএসআই! জানুয়ারিতেই গিয়েছিলেন পহেলগাঁও, উঠে এল তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Agents) অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। রবিবারই এই খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের কাছে গোপন তথ্য পাচার করতেন জ্যোতি (Jyoti Malhotra)। শুধু তাই নয়, পুলিশে তরফে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে, যে পহেলগাঁও হামলার আগে জানুয়ারি মাসেই সেখানেই ঘুরতে যান জ্যোতি। অপারেশন সিঁদুরের আবহেও পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে জ্যোতি মালহোত্রা যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তবে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত কোনও তথ্য তিনি পাননি, কারণ ততদূর পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা তাঁর ছিল না। জানা যাচ্ছে, জ্যোতিকে ‘অ্যাসেট’ বা চর হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল পাকিস্তান।

    কী জানালেন হিসারের পুলিশ সুপার

    এ নিয়ে সামনে এসেছে হিসারের পুলিশ সুপার শশাঙ্ক কুমার শাওনের বিবৃতি। রবিবারই উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে,  জ্যোতি মালহোত্রাকে (Jyoti Malhotra) পাকিস্তানের ভ্রমণে নিয়ে যায় সে দেশের গোয়েন্দারা। তাঁদের টাকাতেই একাধিকবার পাকিস্তানের গিয়েছেন জ্যোতি। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন যে, পহেলগাঁও হামলায় যদি কোনও যোগসূত্র থাকে, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তে। পুলিশ সুপারের দাবি, আধুনিক যুদ্ধ কেবলমাত্র সীমান্তে গুলি-বারুদের লড়াইতেই হয় না। পাকিস্তানি এজেন্টরা (Pak Agents) তাঁদের নিজেদের বক্তব্য প্রচারের জন্য এদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা প্রভাবশালী রয়েছেন, তাঁদের ‘অ্যাসেট’ (গুপ্তচর দুনিয়ার পরিভাষায় বিদেশে থাকা চর) হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সেই লক্ষ্যেই জ্যোতিকে তারা গড়ে তুলছিল পাকিস্তান।

    চিন সফরও করে পাকিস্তানের চর জ্যোতি (Jyoti Malhotra)

    হিসারের পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, জ্যোতি মালহোত্রা সাম্প্রতিককালে একবার চিন সফরও করেছেন। জ্যোতি মালহোত্রার ভ্রমণের যে ব্যয় তা তাঁর আয়ের থেকে অনেক বেশি বলে দেখা যাচ্ছে। এনিয়েই এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা জ্যোতি মালহোত্রা আর্থিক বিবরণটা বিশ্লেষণ করছি। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় জ্যোতি মালহোত্রা পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগে ছিলেন। দেখা যাচ্ছে, তাঁর ভ্রমণের যে অর্থ ব্যয় করেছেন তিনি, তা তাঁর মোট আয়ের থেকেও বেশি। এই টাকা তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

    অপারেশন সিঁদুরের সময়ও পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির

    প্রসঙ্গত, জ্যোতি মালহোত্রার (Jyoti Malhotra) চ্যানেলের নাম হল ‘ট্রাভেল উইথ জো’। শনিবারই জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তরফ থেকে গোপন তথ্য পাওয়ার পরেই এই কাজ করে হরিয়ানা পুলিশ। পাকিস্তানের এজেন্টদের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিল এহসান-উর-রহিম। যাঁর অপর নাম দানিশ। এই পাকিস্তানি এজেন্ট নয়া দিল্লিতে পাক হাই কমিশনের একজন কর্মচারী বলেই জানা গিয়েছে।

    পাক হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতেও ছিল জ্যোতি

    গত বছরে ড্যানিসের সঙ্গেই পাক হাইকমিশন একটি বিশেষ ইফতার পার্টিতেও যোগদান করেছিলেন জ্যোতি মালহোত্রা। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারতের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন মনে করছে, এই মামলায় আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। গ্রেফতারের পর জ্যোতিকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের হাইকমিশনের কর্মীদের ওপর কড়া নজর রাখে দিল্লি

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি, শেস পল বৈদ্য জানিয়েছেন যে পাকিস্তানি গুপ্তচরের কাছে হানি ট্রাপে পড়েছিলেন জ্যোতি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পহেলগাঁওয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন ডিজিপি আরও জানিয়েছে, বর্তমান কালে আমাদের দেশে পাকিস্তান, চিন এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনের কর্মীরা কোথায় কোথায় যাচ্ছেন তা কড়া নজরদারিতে রাখেন আমাদের গোয়েন্দারা।

    ২০২৩ সালে প্রথম পাকিস্তানে যান জ্যোতি

    পাকিস্তান গিয়ে জ্যোতি একাধিক আইএসআই এজেন্ট এবং কর্তার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে শাকির আর রান শাহবাজ নামের দুই পাক এজেন্টের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। গত তিন বছরে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে বড় চর নেটওয়ার্ক তৈরি করেন জ্যোতি। জানা যাচ্ছে, পাক এজেন্টদের মোবাইল নম্বর অন্য নামে সেভ করা রয়েছে তাঁর ফোনে। নিয়মিত যোগাযোগ থাকত এঁদের সকলের সঙ্গে। সূত্রের খবর, কথা চলত হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটে। হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতি মালহোত্রার বিভিন্ন ডিভাইস ঘেঁটে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২৩ সালে প্রথম পাকিস্তান যান জ্যোতি। সেই সময়েই নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের আধিকারিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই এই দানিশকে ভারতে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

LinkedIn
Share