Tag: kali puja 2023

kali puja 2023

  • Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বোল্লা কালীপুজো (Kali Puja 2023)। রাস পূর্ণিমা তিথির পরের শুক্রবার এই রক্ষাকালী পুজো হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের সবথেকে বড় কালীপুজো বলে পরিচিত বোল্লা কালী। এছাড়া বলিদান প্রথাও রয়েছে। শুধু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা নয়, দক্ষিণবঙ্গ, এমনকি রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন রাজ্য থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন অংশগ্রহণ করার জন্য। শুক্রবার শুরু হয় এই পুজো, শেষ হয় রবিবার। উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন, সকলেই মনে করছেন, এবার রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটবে। পুজোকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বোল্লা মন্দির চত্বরে। পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানো রয়েছে পুজো প্রাঙ্গণ জুড়ে।

    কোথায় এই মন্দির?

    বালুরঘাট-মালদা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বোল্লা বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বোল্লা কালীমন্দির (Kali Puja 2023)৷ রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবারে এই মন্দিরের পুজোকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যাপী বিরাট মেলার আয়োজন হয়ে থাকে৷ মেলায় হিন্দুরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও অংশ নেন। মেলা প্রাঙ্গণের ঠিক সামনেই মুসলিমদের কবরস্থান থাকলেও তা নিয়ে কখনও কোনও তরফ থেকে আপত্তি বা অভিযোগ ওঠেনি। হিন্দু-মুসলিম-দুই ধর্মের পবিত্র দুটি স্থান পাশাপাশি অবস্থানের এই নজিরকে সম্মান দিয়ে কবরস্থানের নাম রাখা হয়েছে “সম্প্রীতি”৷

    বয়স তিনশো বছরেরও বেশি

    জেলায় জনশ্রুতি রয়েছে যে আগে এই এলাকার জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা। আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে এলাকারই এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখণ্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথিপত্রে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালীর পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স তিনশো বছরেরও বেশি বলে জানা যায়। পুজো সম্পর্কে নানান যে জনশ্রুতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মুরারিমোহন চৌধুরী নামের জমিদার৷ তিনি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার তিনি ঘটা করে এই পুজো (Kali Puja 2023) শুরু করেন বলে জানা যায়। সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি, তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷

    সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা

    এবছর শতাব্দীপ্রাচীন বোল্লা মেলার মূল আকর্ষণ সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা (Kali Puja 2023)। সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সেজে উঠেছেন মা। সেই তালিকায় রয়েছে প্রায় দু’ কেজির বেশি ওজনের গলার হার, কারুকার্যময় অপর একটি গলার মালা, দেড় কেজি ওজনের হাতের খড়্গ। মায়ের হাতের গোটা খড়্গ সোনার। দুই হাতে চুর, চিক, কানপাশা, মাথার টিকলি, বাজুবন্ধ। রুপোর অলঙ্কারের মধ্যে থাকছে কোমরের বিছা, পায়ের নূপুর সহ আরও বিবিধ। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার। এবার নতুন অলঙ্কার হিসেবে থাকছে ভক্তের দেওয়া হিরের আংটি।

    সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো

    এই বিষয়ে বোল্লা মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এই বোল্লা পুজো (Kali Puja 2023) খুবই জাগ্রত। রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার বোল্লা মায়ের পুজো হয়। পুজোর দিন ভোরে মঙ্গল আরতির মধ্যে দিয়ে মাকে জাগানো হয়। সকাল ৬ টার পর থেকে পুণ্যার্থীদের ভোগ দেওয়া শুরু হয়, যা সারাদিন চলে। রাত ১০ টায় মায়ের ঘট ভরানো হয়। রাত ১১ টা থেকে পুজো শুরু হবে। সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো। তার মাঝে চণ্ডী পাঠ হয়। তবে গত বছর প্রবেশের ক্ষেত্রে জিগজাগ পদ্ধতি করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল ভক্তদের। যে দিকটি এবারে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Barrackpore: প্রকাশ্যে মদ্যপানের বিরোধিতা করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ, চাঞ্চল্য

    New Barrackpore: প্রকাশ্যে মদ্যপানের বিরোধিতা করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে কালীপুজোর চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্রান্ত হন। ক্লাবের ছেলেরা মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও মারধর করা হয়। এবার প্রকাশ্যে মদ খাওয়ার বিরোধিতা করার জন্য ক্লাবের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী সহ এক পুলিশ অফিসার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ বারাকপুর (New Barrackpore) পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডে জনকল্যাণ পাড়া এবং ৪ নং ঝিলের সামনে একটি গলিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। বার বার এরকম হামলার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (New Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ বারাকপুর (New Barrackpore) পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডে জনকল্যাণ পাড়ায় চলছিল স্থানীয় ক্লাবের শ্যামা পুজো উপলক্ষে বিচিত্রানুষ্ঠান। তারপর রাত ১২ টায় পাশের ঝিলে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা এলাকায় ডিউটি করছিলেন। রাতে গলিতে কয়েকজন যুবক প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিলেন। প্রতিবেশীরা মদ্যপানের প্রতিবাদে করলে তাঁরা হুমকি দেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন প্রতিবেশীদের। শেষে নিউ বারাকপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত টহলদারি পুলিশ কর্মীরা গেলে যুবকদের হাতে তাঁরা আক্রান্ত হন। কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে  ওই যুবকরা। নিগৃহীত করা হয় মহিলা পুলিশ কর্মীকেও। হামলার জেরে থানার সাব ইন্সপেক্টর আশিস গুহ গুরুতরভাবে জখম হন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউ বারাকপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে চারজন যুবককে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের বারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়। এর আগেও এই থানা এলাকায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Shantipur: আক্রান্ত চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে বিজেপি-র আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার

    Shantipur: আক্রান্ত চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে বিজেপি-র আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) থানার ফুলিয়া এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। তাতে ১০ জন বিজেপি কর্মী জখম হন। পরে, পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantipur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার ১২ নভেম্বর সকালে ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সুজন দাস নামে এক চিকিৎসক। তাঁর বাড়ি শান্তিপুর (Shantipur)। বাইকে করে তিনি ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। বঁইচা ঘোষপাড়ায় ফুলিয়া-আড়বান্দি রোডে স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা কালীপুজোর জন্য চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু, দাবি মতো চাঁদা দিতে রাজি হননি সুজনবাবু। আর তারপরই ক্লাবের ছেলেরা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিরে রোগী দেখতে শুরু করেও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে, সেখান থেকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেদিনই তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। বুধবার বাড়ি ফেরার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাঁকে জেএনএমে পাঠানো হয়।

    আক্রান্ত চিকিৎসককে দেখতে শুভেন্দু, কী বললেন?

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কল্যাণী জেএনএম কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকার ও শান্তিপুর থানার পুলিশকে নিশানা করেন তিনি। শুভেন্দু আসার সময়ে চিকিৎসকের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা ও ভাই। শুভেন্দুর দাবি, স্থানীয় থানার ওসি তাঁর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এফআইআর নম্বর দেননি বলে সুজন আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। উল্টে যে বাঁচাতে গিয়েছিল, তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আসল অপরাধীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক হওয়ায় পুলিশ তাদের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পায়নি।

    বিজেপির শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গন্ডগোল 

    শুক্রবার দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুরের (Shantipur) ফুলিয়া ফাঁড়ির সামনে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেখানেই কয়েক ঘন্টা ধরে চলে বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ। পরবর্তীতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকে়ড ভেঙে পুলিশ ফাঁড়ির ভিতরে ঢুকতে গেলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। তারপর তা প্রায় হাতাহাতিতে পরিণত হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয় বেশ কয়েকজন মহিলা বিজেপি কর্মী, এছাড়াও আহত হন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার সহ রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। পরবর্তীতে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়, সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার পুলিশ প্রশাসনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। যে ব্যক্তি চিকিৎসককে মারধর করেছে সেই মূল অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হল না? আমরা সেই কারণেই পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে আহত হতে হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বলেন, আমাকেও আঘাত পেতে হয়েছে। পুলিশের এই বর্বরতা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firecrackers: লাগামহীন বাজির জেরে উৎসবের মরশুমে সিওপিডি-র সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ!

    Firecrackers: লাগামহীন বাজির জেরে উৎসবের মরশুমে সিওপিডি-র সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। এবার সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হল ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীপাবলির পরেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এতেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর পর থেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় অনেকে ভুগছিলেন। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু দীপাবলির পরে সিওপিডি-র সমস্যা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় এই রোগীর ভোগান্তি বাড়ছে। কলকাতার অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এরপরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    কেন পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিওপিডি হল ফুসফুসের একাধিক সমস্যা। যার জেরে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। দীপাবলির সময় কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় অবাধে বাজি পোড়ানো হয়েছে। শব্দবাজি, আলোবাজির ধোঁয়ার জেরে বাতাসে দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে একাধিক শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছে। যাদের ধারাবাহিক সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুসফুসের ধারাবাহিক সমস্যা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, শীতে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। তার উপর বাজির দাপট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। বিশেষত যাদের সিওপিডি রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। 
    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের বিশেষ যত্ন জরুরি। যে সব শিশুরা হাঁপানির সমস্যায় ভোগে কিংবা যারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শ্বাসকষ্ট জনিত কোনও রকম সমস্যা হলেই অবহেলা করা যাবে না। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে যাদের সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে, মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। যাদের বাতাসের অতিরিক্ত ধোঁয়া আর ধূলিকণার জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি না হয়। পাশাপাশি সর্দি-কাশিতে যাতে ভোগান্তি না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, সর্দি-কাশি সিওপিডি-র রোগীর বিপদ বাড়ায়। 
    ফুসফুস সুস্থ রাখতে খাবারেও খেয়াল রাখতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত আপেল খাওয়া দরকার। আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। খনিজ থাকে। ফলে, ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা নিয়মিত খেলে সিওপিডি-র রোগীদের সমস্যা কমবে বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, কলাতে থাকে পটাশিয়াম। যা ফুসফুস সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। পেয়ারা আর লেবু জাতীয় ফল নিয়মিত খেলেও বিশেষ উপকার হবে। কারণ, এগুলোতে থাকে ভিটামিন সি, যা ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদা আদায়! প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের

    Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদা আদায়! প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায়। ক্লাবের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায় একটি ক্লাবে কালীপুজোর অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় ক্লাবের সদস্যরা এশিয়ান হাইওয়েতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তুলছিলেন। এর ফলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। তাতে আটকে যায় জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়ার গাড়িও। তাঁর নিরাপত্তারক্ষী গাড়ি থেকে নেমে বিষয়টি দেখতে গেলে চাঁদা আদায়কারীরা তাঁর ওপর চড়াও হন। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজে গাড়ি থেকে নেমে নিরাপত্তারক্ষীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জেরে এলাক জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক?

    জখম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াংডেন বলেন, বেশ কয়েকজন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে টাকা তুলছিল। রাস্তায় যানজট হচ্ছে বলে আমার নিরাপত্তারক্ষী বিষয়টি দেখতে যান। ওরা তাঁকে মারধর করে। চোখের সামনে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করতে দেখে আমি তাঁকে বাঁচাতে যাই। ওরা আমার উপর চড়াও হয়।

    জেলার পুলিশ সুপার কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার পুলিশ সুপার খান্ডবহালে উমেশ গণপত বলেন,  রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় করা অন্যায়। তারপর পুলিশ আধিকারিকের উপর চড়াও হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Firecrackers: প্রশাসনের গাফিলতিতেই রাতভর শব্দবাজির দাপট! কোন কোন রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল?

    Firecrackers: প্রশাসনের গাফিলতিতেই রাতভর শব্দবাজির দাপট! কোন কোন রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কালীপুজোর আগের রাত থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। আর সেই ইঙ্গিত আরও প্রকটভাবে টের পাওয়া গেল দীপাবলির রাতে! এমনকি তারপরেও রেহাই নেই। কলকাতা থেকে আশপাশের জেলা, সর্বত্র বাজির দাপটে নাজেহাল শিশু থেকে প্রৌঢ়। রেহাই পায়নি পোষ্যরাও। শব্দবাজির বিকট আওয়াজ (Firecrackers) থেকে আলোর বাজির ধোঁয়ার দাপটে নাজেহাল রাজ্যবাসী। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, শীতের একাধিক রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

    কোন কোন রোগের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা? (Firecrackers)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিন যেভাবে আলোর বাজির দাপট দেখা গিয়েছে, তাতে বাতাসে দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। অধিকাংশ আতসবাজির থেকেই সাদা ধোঁয়া বের হয়। যার ফলে, বাতাসে নানান বিষাক্ত পদার্থ যোগ হয়। এর ফলে, বাড়বে ফুসফুসের রোগ। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, এর জেরে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়বে। বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বেশি হতে পারে। অ্যাজমা, হাঁপানির মতো একাধিক সমস্যা বাড়তে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাদের আছে, তাদের পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল। 
    শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গেল বলেও আশঙ্কিত চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে, তাতে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের কাশির সমস্যা বাড়তে পারে। দীর্ঘদিন কাশির সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। 
    বাজির দাপটে (Firecrackers) ত্বকের সমস্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ আলোর বাজিতে সীসা ব্যবহার হয়। সীসা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আর এই মাত্রাহীন আলোর বাজি পোড়ানোর জেরে বাতাসে সীসা মিশছে। এর জেরে নানা রকম ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
    আলোর পাশাপাশি সপ্তাহান্তে চলছে শব্দবাজির দাপট। আর এর জেরে অধিকাংশ হৃদরোগীর রক্তচাপের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতভর লাগাতার শব্দবাজির দাপটে অধিকাংশ মানুষের রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটেছে। হঠাৎ তীব্র আওয়াজে হৃদস্পন্দন ওঠানামার ক্ষেত্রেও ছন্দপতন ঘটেছে। আর এর জেরেই হৃদরোগে আক্রান্তদের সমস্যা বাড়ছে। 
    লাগাতার এই বাজির দাপটে শিশু মনে মারাত্মক ক্ষতি করছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তীব্র আওয়াজের জেরে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে শিশুরা কোনও কাজেই মনোযোগ দিতে পারছে না। এর সূদুর প্রসারী প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কী বলছেন সংশ্লিষ্ট মহল? (Firecrackers)

    দীপাবলির উদযাপনে বাজির দাপটে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের প্রশ্ন, রাতে এলাকা পরিদর্শন আদৌও হয়েছে কি? আর পুলিশের এলাকা টহল ঠিকমতো হলে, রাতভর বাজি পোড়ানো (Firecrackers) হয় কীভাবে? কালীপুজোর আগে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যে বাজি পোড়ানো যাবে। শব্দবাজি ফাটানো যাবে না বলেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রাতভর কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র বাজির দাপট চলেছে, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 
    যদিও এখনও এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

    Kali Puja 2023: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর থিমেও ভরপুর রাজনীতির ছোঁয়া। বর্ধমানে সেই রকম একটি কালীপুজোর (Kali Puja 2023) থিম নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত দেখা দিয়েছে। কালীপুজোর প্যান্ডেলে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর সাজে। তিনি স্বয়ং লালাকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিল তৃণমূল কীভাবে? আর এই থিমের বিষয় নিয়েই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি বলেছেন, এই থিম সনাতনী বিরোধী।

    থিমে রাজনীতি (Kali Puja 2023)

    কালীপুজোর (Kali Puja 2023) থিম নিয়ে জেলায় জেলায় তীব্র উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। সকল ক্লাব, বারয়ারি, এবং ব্যবসায়ী সমিতির কালীপুজোগুলি অমাবস্যার রাতে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। কোথাও কেদারনাথ, কোথাও দক্ষিণ ভারতের মন্দির আবার কোথাও ধরা পড়েছে ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চিত্র। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রমী বর্ধমানের (Kali Puja 2023) এক কালীপুজোর থিম। এই দিন দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মডেল রূপে সাজানো হয়েছে। বিতর্ক এখানেই যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লালকেল্লায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। যদিও এই কালীপুজোর মণ্ডপের থিম লালাকেল্লা, তার একজায়গায় লেখা রয়েছে ইন্ডিয়া ১৫ অগাস্ট, ২০২৪।

    কালীপুজোর কমিটির বক্তব্য

    বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু বলেন, “বিজেপির ধর্মীয় বাতাবরণে দেশে বিভেদের রাজনীতি চলছে। সেই জায়গা থেকে বাংলার এই থিম (Kali Puja 2023) মানুষকে মুক্তির বার্তা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনের ইচ্ছাকে এই থিমের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সকলেই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার বিজেপির পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র এই থিমের (Kali Puja 2023) বিরোধিতা করে বলেছেন, “সনাতনধর্মের মানুষদের একটা প্রধান পুজো হল কালীপুজো। কালীপুজোর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। এই ধরনের থিমের আমদানীতে সনাতনী সমাজের মনে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। ২০২৪ সালের লোকসভার ভোটে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন কোনও দিনই পূরণ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের, এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: সোমবারও তারাপীঠে ব্যাপক ভিড়, রেকর্ড ভক্ত সমাগম নৈহাটির বড়মার মন্দিরে

    Kali Puja 2023: সোমবারও তারাপীঠে ব্যাপক ভিড়, রেকর্ড ভক্ত সমাগম নৈহাটির বড়মার মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিন সোমবারও শক্তিপীঠ তারাপীঠে ব্যাপক ভক্তের ভিড়ের চিত্র দেখা গেল। সতীর একান্নপীঠের মধ্যে একটি হল এই তারাপীঠ। সাধক বামাক্ষ্যাপার সাধনার কেন্দ্র ছিল এই তারা মায়ের মন্দির। মা তারা এদিন শ্যামা রূপে পূজিত হলেন।

    অপর দিকে বঙ্গে কালীপুজোর বড় আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে নৈহাটির বড় মায়ের কালীপুজো। এই বছর রেকর্ড ভক্তের সমাগম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বছর বড় মায়ের কালীপুজো শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। লাখ লাখ মানুষ দর্শন করে পুজো দিলেন। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, বড় মা এখন শুধু নৈহাটির মা কালী নন সারা বিশ্বের জননী।

    তারা রূপে শ্যামা মায়ের পুজো (Kali Puja 2023)

    কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিনে ভোর ৫টা থেকে তারাপীঠে মায়ের মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এখানে মায়ের আরাধনা করা হয় তন্ত্রমতে। কথিত আছে দেবীর মাতৃরূপ দেখতে চেয়েছিলেন বশিষ্ঠ মুনি। মা তারা মাতৃ রূপে দর্শন দিয়েছিলেন তাঁকে। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধপুরুষ হন সাধক বামাক্ষ্যাপা। পুজোতে তারা মাকে নিবেদন করে এদিন পোড়া শোলমাছের মাথা দিয়ে অন্নভোগ দেওয়া হয়। এদিন নিয়ম মেনে দেওয়া হয় মাকে শীতল ভোগও। মঙ্গলারতি, সন্ধ্যারতির সময় মায়ের পুজো করতে ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

    নৈহাটির বড় মায়ের কালীপুজো

    শ্যামাপুজোর (Kali Puja 2023) মূল আকর্ষণের কেন্দ্র হল নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বড়মা কালী। এই পুজো জেলার কালীপুজোর পরিধি অতিক্রম করে রাজ্য, দেশ এবং বিশ্বের বড় মা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই কালীর মাহাত্ম্য এমনই যে মানত করলে মা ভক্তদের মনের বাসনা পূরণ করেন। মায়ের পুজো দিলে ভক্তরা খালি হাতে কেউ বাড়ি ফেরেন না। এই বারের মূর্তি হয়েছে উচ্চতায় ২২ ফুট। উপচে পড়েছে ভক্তদের ভিড়। রীতিমতো ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। নবদ্বীপের রাস মেলায় গিয়ে বড় মূর্তি দেখার পর জুটমিলের কর্মী ভবেশ চক্রবর্তী বড় মায়ের কালী পুজোর প্রচলন শুরু করেছিলেন। মায়ের পুজো দিতে লক্ষাধিক মানুষ দণ্ডি কেটে পুজো দেন বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ বিহনে উধাও জাঁকজমক, সোনার বদলে মায়ের গায়ে ইমিটেশনের গয়না!

    Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ বিহনে উধাও জাঁকজমক, সোনার বদলে মায়ের গায়ে ইমিটেশনের গয়না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা ছিলেন তিনি (Anubrata Mondal)। ফলে তাঁর কালীপুজোয় যে কেমন জাঁকজমক হবে, তা বলাই বাহুল্য। বাস্তবে হতও তাই। আসলে পুজোটা হত বীরভূমে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে। কিন্তু জেলার লোক জানতেন, এই পুজোর সর্বেসর্বা একজনই, তিনি আর কেউ নন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, মানে ‘কেষ্টদা’। শোনা যায়, প্রায় ৩০০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হত মাকে। এমনকি ২০২১ সালে নাকি মায়ের গায়ে উঠেছিল ৫৬০ ভরি সোনার গয়না, যার বাজারমূল্য ছিল আড়াই কোটি টাকার মতো। পুজোর জাঁকজমকও ছিল দেখার মতো। শুধুমাত্র মায়ের সাজ দেখতেই দলে দলে মানুষ ভিড় জমাতেন এই পুজোয়।

    গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে বন্দি। স্বাভাবিকভাবে কেষ্টহীন অবস্থায় এবার পুজোয় কেমন আড়ম্বর হবে, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা ছিল। দেখা গেল, কেষ্ট নেই, জাঁকজমকও নেই। সবচেয়ে বড় কথা, সোনার বদলে মায়ের গায়ে উঠেছে ইমিটেশনের গয়না!

    অনুব্রতর সময় কেমন ছিল পুজো(Anubrata Mondal)

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকের শেষের দিকে কেষ্টর (Anubrata Mondal) হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়। তবে, তখন খুব বেশি জাঁকজমক হত না। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুজোর আড়ম্বর ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। যদি দিন গিয়েছে, জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্টর জমি ততই শক্ত হয়েছে। আর ফি বছর মায়ের পুজোর জাঁকজমক তত বেড়েছে। ২০২০ সালে মাকে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গলার হার, হাতের আংটি, কোমর বিছে মিলিয়ে প্রায় ৩০০ ভরির বেশি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল। গত বছর গরু পাচার মামলায় অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। এবারও আর পুজোতে তিনি থাকতে পারবেন না। ফলে, পুজোর সেই আড়ম্বরও এবার অনেকটাই ম্লান। দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল পরিমাণ গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই গয়না দিয়েছিলেন যে ব্যবসায়ী, তাঁকেও আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    কী বলছেন তৃণমূলের নেতারা?

    তৃণমূল নেতারা বলছেন, এবার মায়ের গায়ে দু-একটা সোনার গয়না থাকবে, বাকিটা ইমিটেশন। তাঁরা স্বীকার করছেন, তাঁদের দাদা (Anubrata Mondal) থাকলে পুজোয় যে আমেজ থাকত, দাদাবিহীন পুজোয় তা নেই। তাছাড়া ওই সব সোনার গয়না দাদা নাকি নিজে হাতে মাকে পরিয়ে দিতেন। তাই নাকি এবার গয়নায় কাটছাঁট। তাঁরা এও বলছেন, সবার মনও নাকি ভালো নেই। যদিও বিরোধীরা আড়ালে বলতে ছাড়ছেন না, আসলে এবারও যদি মায়ের গায়ে ওই বিপুল সোনার গয়না ওঠে, তাহলে তা তদন্তকারী সংস্থার নজর এড়াবে না। সেই গয়নারও খোঁজখবর শুরু হয়ে যাবে। আরও জোরদার হবে প্রভাবশালী তত্ত্ব। অগত্যা…

    বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় একটি সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন, এবার মা কালীকে তাঁরা প্রায় ৭০ ভরি সোনার গয়না পরিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে শুরু হয়েছে মা তারার অঙ্গে শ্যামার আরাধনা, ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Tarapith: সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে শুরু হয়েছে মা তারার অঙ্গে শ্যামার আরাধনা, ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কালীপুজো। সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে (Tarapith) চলছে তারার অঙ্গে শ্যামার আরাধনা। সেই পুজো দেখতে পুণ্যার্থীদের ভিড় জমেছে তারাপীঠে। আজ দুপুর ২ টো ৩৪ মিনিটে শুরু হবে অমাবস্যার তিথি। অমাবস্যা তিথি শুরু হতেই মা তারাকে পুজো দেওয়ার হিড়িক শুরু হবে। তারই প্রস্তুতি চলছে তারাপীঠ মন্দিরে। সেইসঙ্গে দক্ষিণা কালী রূপে পূজিত হন নলহাটিতে মা নলাটেশ্বরী।

    তারা মায়ের অঙ্গে শ্যামাপুজো (Tarapith)

    আজ ভোর চারটের সময় তারাপীঠের (Tarapith) মা তারার শিলামূর্তিকে মহাস্নান করানো হয়েছে। তারপর মা তারাকে রাজবেশে সাজিয়ে মঙ্গলারতি করা হয়েছে। তারপরেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ভোর থেকে মা তারাকে শ্যামা রূপে পুজো করা হচ্ছে। তারাপীঠে মা তারা সব দেবীর উর্ধ্বে। তাই তারাপীঠে কোনও দেবী মূর্তি পুজোর চল নেই। সেই কারণেই মা তারার অঙ্গে শ্যামা পুজো করা হচ্ছে।

    আজ সারা রাত মায়ের গর্ভগৃহ খোলা

    মা তারাকে (Tarapith) দুপুরে ভাত, পোলাও, ডাল, পাঁচ রকম ভাজা, পাঁচ রকম তরকারি, মাছ, বলির পাঁঠার মাংস, শোল মাছ পোড়া, চাটনি, পায়েস, পাঁচ রকম মিষ্টি ও কারণবারি দিয়ে মা তারাকে মধ্যাহ্ন ভোগ নিবেদন করা হবে। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ করা হবে সন্ধ্যা আরতি। তারপর খই, মুড়কি, লুচি ও মিষ্টি দিয়ে শীতল ভোগ নিবেদন করা হবে। রাত্রি ১০ টা নাগাদ মা তারাকে স্বর্ণ অলঙ্কার ও ডাকের সাজে রাজ রাজেশ্বরী বেশে সাজানো হবে। তারপর শুরু হবে নিশি পুজো এবং বিশেষ আরতি। আজ সারারাত মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা খোলা থাকবে।

    নলাটেশ্বরী মন্দিরেও ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    তারাপীঠের (Tarapith) সতীর একান্নপীঠের মতো অন্যতম এক সতীপীঠ বীরভূমের নলহাটির নলাটেশ্বরী। কথিত আছে দক্ষ যজ্ঞের সময় সতীর দেহ খণ্ডিত হয়ে এই নলহাটিতে সতীর কণ্ঠনালী পড়েছিল। তাই দেবীকে এখানে নলাটেশ্বরী রূপে পুজো করা হয়। আজ দীপান্বিতা অমাবস্যা। এই দিনটিতে নলাটেশ্বরী মন্দিরে উপচে পড়েছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। ভোর চারটের সময় মঙ্গল আরতির পর মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। দিনভর পুজো দেওয়ার পর দুপুরে মা নলাটেশ্বরীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হবে। ভোগে থাকবে অন্ন, পোলাও, ডাল, পাঁচ রকম ভাজা, পাঁচ রকম তরকারি, মাছ, বলির পাঁঠার মাংস, চাটনী, পায়েস ও পাঁচ রকমের মিষ্টি। তবে এই ভোগ নিবেদন করা হয় সবার চোখের অন্তরালে। আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ অমাবস্যার তিথি শুরু হওয়ার পর দেবী নলাটেশ্বরীকে ডাকের সাজে সাজানো হবে। তারপর সন্ধ্যায় হবে সন্ধ্যা আরতি। রাত দশটায় নিশিরাতে নলাটেশ্বরীকে দক্ষিণা কালী রূপে পুজো করা হবে। আজ সারারাত মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে। ইতিমধ্যেই ভক্ত সমাগমে পরিপূর্ণ সতীর এই পীঠ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share