Tag: kali puja 2023

kali puja 2023

  • Asansol: ভূত চতুর্দশীর রাতে মুক্তি পেয়ে কালীপুজোর দিনই মন্ত্র-তন্ত্রে বাঁধা পড়ে ভূতেরা! কোথায় জানেন?

    Asansol: ভূত চতুর্দশীর রাতে মুক্তি পেয়ে কালীপুজোর দিনই মন্ত্র-তন্ত্রে বাঁধা পড়ে ভূতেরা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমাবস্যাতে অদ্ভূত এক ভূতের মুক্তির উপাখ্যান। আজও এক বটগাছকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে রয়েছে কত না কল্পকথা, কত বিশ্বাস, কত কাহিনী। এখানে মানুষের বিশ্বাস, মাত্র এক রাতের জন্য ভূতেরা মুক্তি পায় আসানসোলের (Asansol) পিয়ালবোড়োর শ্মশানঘাটে । বিগত ৭১ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বিশ্বাস বহন করে চলেছেন এলাকাবাসীরা। ভূত চতুর্দশীর রাতে মুক্তিলাভ, কিন্তু পরে কালীপুজোর দিনই ফের মন্ত্র-তন্ত্রে গাছে বাঁধা পড়ে ভূতেরা।

    গাছে ভূত বাঁধা রয়েছে (Asansol)!

    আসানসোলের (Asansol) মহিশীলা গ্রামের এক নম্বর কলোনির শ্মশানঘাটে ভূত চতুর্দশীর দিন থেকে সাজো সাজো রব। এই গাছেই ভূতেদের বেঁধে দিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপার প্রধান শিষ্য বনমালী ভট্টাচার্য। প্রায় ৭১ বছর আগের সে কাহিনী আজ মিথে পরিণত হয়েছে। মানুষের বিশ্বাস, গাছে বাঁধা পড়া অবস্থায় ভূতেরা আজও রয়ে গিয়েছে স্বমহিমায়।

    ভূতের উপদ্রব 

    আসানসোলের (Asansol) রায় পরিবাররের জমিদার তান্ত্রিক বনমালী ভট্টাচার্যকে জমি দান করেছিলেন আশ্রম গড়ে তোলার জন্য। মহিশীলার পিয়ালবোড়োর ওই শ্মশান সংলগ্ন নির্জন স্থানে তিনি নিজের সাধনার ক্ষেত্র গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু আশ্রম করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। ওই স্থানে যে ভূতের উপদ্রব ছিল বিরাট! এমনই উপদ্রব যে গ্রামের কেউ মারা গেলে রাতে শ্মশানে নিয়ে যেতেও ভয় পেতেন গ্রামবাসীরা।

    কার্তিক অমাবস্যায় কালীপুজো হয়

    এখন আর আশ্রম স্থানে (Asansol) শ্মশান নেই। আছে আশ্রমের পঞ্চমুণ্ডির আসন। বনমালী ভট্টাচার্যের ছেড়ে যাওয়া আসনে পুজোর দায়িত্ব সামলাতেন শম্ভুনাথ ভট্টাচার্য। আর তার পরে দায়িত্ব নেন বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। তিনি পুজো করেন এবং সহযোগিতা করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কার্তিক অমাবস্যায় ভূত চতুর্দশীতে কালীপুজো করা হয় এখানে। এখন পুজো করেন বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। শিবা ভোগ ও ভৈরব ভোগ দান করা হয় মায়ের পুজোতে। ভোগের উপাচার মদ আর মাংস। কালীপুজোর পরে ভূতেদের বেঁধে দেওয়া হয়। এই রীতি আজও চলে আসছে পরম্পরা মেনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: এখানেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা, জানুন শক্তিপীঠ তারাপীঠের গল্প

    Kali Puja 2023: এখানেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা, জানুন শক্তিপীঠ তারাপীঠের গল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিপীঠ, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith)। কালীপুজোয় (Kali Puja 2023) জমজমাট বীরভূমের তারাপীঠ। অনেকে ভাবেন এটি সতীপীঠ কিন্তু তারাপীঠ সতীপীঠ নয়। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি৷ দেবীও নিরাশ করেননি৷ এখানেই তাঁকে মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারা মায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধপীঠ হিসেবেও পরিচিত। অমাবস্যায় রীতি মেনে পুজো হয় এখানে।

    কালীপুজোয় কেমন হয় তারা মায়ের ভোগ?

    সকালে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। পরানো হয় চুনরি। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো সম্পন্ন হয়। কালীপুজোর দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। এখানে মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়৷ আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তারা। কালীপুজোর দিন ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সন্তানকে না খাইয়ে ভোগ গ্রহণ করেন না তারা মা

    দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। তারা মায়ের যেভাবে ভোগ পুজো হয়, সেই একই ভাবে পুজো করা হয় শ্মশান কালীকে। শ্মশানেই রয়েছে মায়ের আসল শিলা পাদুকা। তার পাশে বামদেবের সমাধি। তারাপীঠের নিয়ম অনুযায়ী, সন্তানকে খাইয়ে তবেই তারা মা ভোগ গ্রহণ করেন। তাই বামদেবের ভোগ আগে দেওয়া হয়। ভোগের তালিকায় রয়েছে প্রেত ভোগও। ডাকিনী-যোগিনীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এই ভোগ শ্মশানেই দেওয়া হয়। রাতে এক বারই এই ভোগের আয়োজন থাকে। বামদেবের খুব প্রিয় কুকুর ছিল শিবা। তার জন্যও থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

    Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় বীরভূম জেলার শেষ কথা ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে কেষ্টহীন অবস্থায় এবারও পুজো হবে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। আর কেষ্ট ছাড়া এবার পুজোয় কেমন আড়ম্বর হবে, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অনুব্রতর সময় পুজোর আয়োজন কেমন হত? (Anubrata Mondal)

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকের শেষের দিকে কেষ্টর (Anubrata Mondal) হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়। তবে, তখন খুব বেশি জাঁকজমক হত না। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুজোর আড়ম্বর ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। যদি দিন গিয়েছে, জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্টর জমি ততই শক্ত হয়েছে। আর ফি বছর মায়ের পুজোর জাঁকজমক তত বেড়েছে। ২০২০ সালে মাকে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গলার হার, হাতের আংটি, কোমর বিছে মিলিয়ে প্রায় ৩০০ ভরির বেশি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল। গত বছর গরু পাচার মামলায় অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। এবারও আর পুজোতে তিনি থাকতে পারবেন না। ফলে, পুজোর সেই আড়ম্বরও এবার অনেকটাই ম্লান। দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল পরিমাণ গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই গয়না দিয়েছিলেন যে ব্যবসায়ী, তাঁকেও আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কেষ্টদা (Anubrata Mondal) এবার পুজোয় থাকবেন আমরা সকলেই আশা করেছিলাম। কিন্তু, সেটা তো হল না। খারাপ লাগছে। নিয়ম মেনে পুজোর আয়োজন করা হবে। প্রশ্নে তাঁর জবাব, অন্তরের শ্রদ্ধাই বড় কথা, কতটা গয়না দেবীকে পরানো হল, বড় কথা নয়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর যেটুকু গয়না পরানো হয়েছিল, এ বছর তার থেকেও কম অলঙ্কারে সাজানো হবে কালীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: ফি বছর মা কালীর ভিন্ন ভিন্ন রূপ সামনে এনে আকর্ষণের কেন্দ্রে সিউড়ির ক্লাব

    Kali Puja 2023: ফি বছর মা কালীর ভিন্ন ভিন্ন রূপ সামনে এনে আকর্ষণের কেন্দ্রে সিউড়ির ক্লাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আমেজ শেষ হতে না হতেই সামনে দীপান্বিতা অমাবস্যা আর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের মধ্যে একটি কালীপুজো (Kali Puja 2023)। এই সময় কয়েকটা দিন গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষ রঙিন আলোয় সেজে ওঠে। সাধারণ মানুষের কাছে এটি যেমন একটি আনন্দোৎসব, পাশাপাশি সাধকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে একটি অন্য রকম কালীপুজোর কথা জানব, যেটি বীরভূম জেলার সিউড়ি শহরে অবস্থিত মালঞ্চ ক্লাব নামে পরিচিত।

    কেন এই মালঞ্চ ক্লাবের পুজো আলাদা?

    প্রত্যেক বছর চিরাচরিত কালীমূর্তির পরিবর্তে এখানে দেখা যায় হিন্দু পুরাণের কোণে লুকিয়ে থাকা অজানা ও ভিন্ন দেবীদের। এখানে থাকে না কোনও চিরাচরিত কালী মূর্তি। আর এই বিষয়টিই সব ক্লাবের পুজোর থেকে এটিকে আলাদা ও আকর্ষণীয় করে তোলে। এর সঙ্গে প্রত্যেক বছর যে মূর্তি পুজো হয় (Kali Puja 2023), সেই মূর্তির সম্বন্ধে মানুষকে অবগত করার জন্য থাকে সেই দেবীর পরিচয় পত্রিকা। এই বিষয়টির পিছনে আছে এক ইতিহাস।

    প্রত্যেক বছর ভিন্ন ভিন্ন মূর্তি

    সিউড়ি শহরের মালঞ্চ ক্লাবের নিকটবর্তী বাসিন্দাদের কাছে থেকে জানা যায়, সম্ভবত ৭০ এর দশকের শুরু থেকে এই ধরনের পরীক্ষামূলক কাজের সূচনা ঘটে, কালীমাতার বিভিন্ন রূপ নিয়ে প্রত্যেক বছর ভিন্ন ভিন্ন মূর্তি স্থাপন করা হত (Kali Puja 2023)। যা দেখতে বহু দূর দূরান্তের মানুষ ভিড় করত। আর এই  ধরনের মূর্তি স্থাপনের পিছনে যাঁর উদ্যোগ ছিল, তিনি অর্ণব মজুমদার। কোনও বার কালীর দশ মাথা ও দশ হাত যুক্ত মূর্তি, আবার কোনও বার ভয়ংকর উগ্রচণ্ডী মূর্তি স্থাপন করে পুজো শুরু হয়। এছাড়াও আর কিছু রূপ যেমন মধুকৈটভবধ, ব্রহ্মসরস্বতী, কামেশ্বরী, উগ্রতারা ইত্যাদির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।

    কিন্তু কেন এমন রীতি?

    ১৯৬০ সালে এই মালঞ্চ ক্লাবের পুজো শুরু হয়। সিউড়ির ইতিহাস গবেষক অর্ণব মজুমদার নানা পৌরাণিক বই, নথি, বৌদ্ধতন্ত্র চর্চা করে কালীর বিভিন্ন রূপ সবার সামনে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর পর পুরাণের বিভিন্ন শ্লোক থেকে কল্পনা করে দেবীর বিভিন্ন রকম কাল্পনিক রূপের মূর্তির ছবি কাগজে অঙ্কন করে সেটি মৃতশিল্পীর কাছে পাঠাতেন। পরে সেই মূর্তি তৈরি করে পুজো শুরু হত। প্রায় ৩০ বছর তিনি আলাদা আলাদা মূর্তি সামনে নিয়ে এসে মানুষকে অবাক করে দিয়েছিলেন (Kali Puja 2023)। এখনও একই রীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এই মালঞ্চ ক্লাবে ভিড় করতেন। প্রত্যেক বছর যে মূর্তি স্থাপন করা হয়, সেই মূর্তিটি সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য একটি লিফলেটে সেই দেবীর সম্বন্ধে সমস্ত নথি ছাপানো হয়ে থাকে। এই বছর দেবীর যে রূপটি পূজিত হবে, সেটি কৌমরী মাতা নামে পরিচিত। ক্লাবের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, এক সময় রেডিওতে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই মালঞ্চ ক্লাবের পুজো প্রচার করা হত। প্রত্যেক বছর মানুষ অপেক্ষা করে থাকতেন দেবীর নতুন রূপের দর্শন পাওয়ার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: এই মন্দিরে শোনা যায় মা কালীর নূপুরের ধ্বনি! কোথায় হয় এই পুজো?

    Kali Puja 2023: এই মন্দিরে শোনা যায় মা কালীর নূপুরের ধ্বনি! কোথায় হয় এই পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরা দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসছেন রায়গঞ্জ আদি করুণাময়ী কালীমন্দিরে। অসম, পঞ্জাব, বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্য, এমনকি বিদেশ থেকেও দীপাবলির রাতে আদি করুণাময়ী কালীবাড়িতে কালীমাতার পুজো (Kali Puja 2023) দিতে আসেন ভক্তরা। বন্দরের এই কালীমন্দিরে দীপান্বিতার পুজোকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে পূণ্য তীর্থক্ষেত্র হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ শহর। তবে এবছর সেবাইত তথা সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধর মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে জাঁকজমক না থাকলেও পুরনো নিয়ম-রীতি মেনেই পুজোর আয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    ইতিহাস ৫০০ বছরের পুরনো (Kali Puja 2023)

    কথিত আছে, আজ থেকে পাঁচশো বছর আগে পঞ্জাব প্রদেশের এক সাধু হেঁটে এসে উপস্থিত হন রায়গঞ্জের কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর ঘাটে। ঘাটের কাছেই একটি গাছের তলায় আসনে বসে সিদ্ধিলাভ করেন৷ প্রতিষ্ঠা করেন পঞ্চমুণ্ড আসনের। সেই থেকে শুরু হয় এখানে মা কালীর আরাধনা। বেদীতেই পুজোর (Kali Puja 2023) প্রচলন হয়েছিল। ১২১৬ বঙ্গাব্দে দিনাজপুরের রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই স্থানে নির্মাণ করেন কালীমন্দির। এরপর তারাপীঠের মহাসাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধর জানকিনাথ চট্টোপাধ্যায় বারাণসী থেকে কষ্টি পাথরের কালীর মূর্তি এনে প্রতিষ্ঠা করেন পঞ্চমুণ্ড আসনে। সেটাও আজ থেকে আনুমানিক ২১৩ বছর আগের কথা। সেই থেকেই ওই একই মূর্তিতে দক্ষিণা কালীমাতার পুজো হয়ে আসছে বন্দর আদি করুণাময়ী কালীবাড়িতে।

    হাজার হাজার ভক্তের সমাগম

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই মন্দিরে কালীপুজোর (Kali Puja 2023) রাতে মায়ের পায়ের নূপুরের ধ্বনি শোনা যায়। তন্ত্রমতে এখানে দেবী পূজিতা হন। কালীপুজোর রাতে এখনও পুরনো রীতি মেনে শেয়ালের ডাক শোনার পরই পুজো শুরু হয়। সোল ও বোয়াল মাছের ভোগ দেওয়ার পাশাপাশি ছাগ বলির প্রচলন রয়েছে। আজও কালীমন্দিরে বংশপরম্পরায় পুজো করে আসছেন সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরা। জাগ্রতা এই দেবীর মাহাত্ম্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি বিদেশেও। তাই তো দীপান্বিতা কালীপুজোর রাতে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় রায়গঞ্জের এই কালীমন্দিরে। সারা বছরই অসংখ্য ভক্তের সমাগম হয় এই জাগ্রতা দেবীর মন্দিরে। ভক্তদের প্রণামী আর দান দিয়েই হয় দীপান্বিতা কালীপুজো। তবে এবছর বন্দর আদি করুণাময়ী কালীমন্দিরের সেবাইত সাধক বামাক্ষ্যাপার বর্তমান বংশধর মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কালিবাড়ি চত্বর। তবে পুরনো নিয়ম-নীতি মেনেই পুজো হবে। পুজোয় কোনও রকম ত্রুটি থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে সেবাইতের পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: লোহাদহ থেকে আসত ক্ষীর, ছানা, দুধ! বলি হত ১০৮টি! কেমন ছিল ঘোষালবাড়ির পুজো?

    Kali Puja 2023: লোহাদহ থেকে আসত ক্ষীর, ছানা, দুধ! বলি হত ১০৮টি! কেমন ছিল ঘোষালবাড়ির পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়ের ছাউনি, মাটির দেওয়াল। একচালা মন্দিরের মধ্যে অষ্টধাতুর কালী বিগ্রহ। মন্দিরে নিত্যপুজো হত। কার্তিক মাসে কৃষ্ণপক্ষে বিশেষ দিনে ধুমধাম করে কালীপুজো হত। গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা সেই পুজোয় সামিল হতেন। তখন মুঘল যুগ। আর গৌড়ের শাসক সুলায়মান খান কররানি। তাঁর আমলে সেনাপতি ছিলেন কালাপাহাড়। সুবে বাংলা, ওড়িশা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালাপাহাড়। জগন্নাথ মন্দিরে হামলা চালিয়ে লুটতরাজ চালায় কালাপাহাড়। বাংলার একাধিক মন্দিরে হানা দেয় কালাপাহাড়ের দলবল। চলে লুটপাট। অত্যাচার থেকে মন্দির রক্ষা করতে মুর্শিদাবাদের বাজারসৌ ঘোষালবাড়ির অষ্টধাতুর বিগ্রহ মাটির তলায় রেখে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ঘোষালবাড়ির কালী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ। কালের নিয়মে ঘোষালবাড়ি এখন ঘোষালপাড়়ায় পরিণত হয়েছে। পুরানো ঐতিহ্য মেনেই কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের বিশেষ দিনে জাঁকজমকভাবে পুজো (Kali Puja 2023) হয়ে আসছে।

    কালীপুজোর ইতিহাস

    পুজোর ইতিহাস জানার আগে জানতে হবে ঘোষালদের আদি বাসস্থান। পরিবারের প্রবীণ সদস্য প্রয়াত চণ্ডীদাস ঘোষাল, সুর্নিমল ঘোষালের কাছে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বাজারসৌ ঘোষালদের আদি ভিটে ছিল দক্ষিণেশ্বরের পাশে আড়িয়াদহে। সেখান থেকে আট পুরুষ আগে রাম যাদব ঘোষাল বাজারসৌ আসেন। কান্দীর জেমোর জমিদারের অধীনে ছিল এই এলাকা। ওই জমিদারদের আমলেই মোড়পতলার দুর্গামন্দির, দুটি শিব মন্দির, বর্তমান ঘোষালপাড়ার পাশে শিবপুকুর পাড়ে তিনটি শিব মন্দির নির্মিত হয়েছিল। আর মন্দিরের সেবাইত ছিলেন রামযাদব। শিবপুকুরের পাড়ে শিব মন্দিরের আশপাশে ছিল বসতভিটে। বসতভিটের কাছেই একচালার মন্দির তৈরি করে শুরু হয়েছিল কালীপুজো (Kali Puja 2023)। তবে, নির্দিষ্ট সময়কালের নথি আর নেই। ফলে, শিবমন্দিরের পাশাপাশি কালী মন্দিরে নিত্যপুজো হত। সেই সময় ঘোষালদের সঙ্গে বন্দ্যোপাধ্যায়, ভট্টাচার্য, আচার্য্যরা সামিল হতেন। সেই সময় এই পুজোকে ঘিরে গোটা গ্রামের মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

    ১০০ বছর আগে কেমন ছিল পুজো?

    কালীপুজোর অনেক আগে থেকে চলত প্রস্তুতি। এখন ঘোষালপাড়ায় করুণাসিন্ধু, দ্বিজত্তোম, দিলীপ, ভাগবত, মধুসূদন, তপন, স্বপন, উত্তম, জয়ন্ত, আশিস, সঞ্জয়, সমর ঘোষালের মতো প্রবীণ সদস্যরা রয়েছেন। মায়ের প্রতিমা থেকে সাজ, ঢাক-ঢোল সব কিছুই নির্দিষ্ট পরিবার থেকে প্রতি বছর আসত। ঘোষাল পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা বলেন, সালারের কাছে হলদে থেকে নাটাকুরু আসতেন ঢোল, বাঁশি বাজাতে। বাজারসৌ দাসপাড়া থেকে ঢাক আসত। সুকুলি দাস, কুশো দাসরা বাজাতে আসতেন। লোহাদহ থেকে ক্ষীর, ছানা, দুধ আসত। বিনিময়ে জমি দেওয়া ছিল। আর ভরতপুর থকে মালাকার পরিবারের সদস্যরা মাকে ডাকের সাজ পরাতেন। আমাদের পুজো শুরু হওয়ার পর তালডাঙা মায়ের পুজো শুরু হত। ১০৮টি বলি হত। মেষ, মোষ বলি হত। বিশালকার তশলা ছিল। বাপ ঠাকুরদার সময় থেকেই এই নিয়ম চলে আসে। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা মায়ের পুজোর (Kali Puja 2023) পৌরোহিত্য করতেন। আদি বড়মায়ের নতুন মন্দির তৈরিতে সহদেব ঘোষালের অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। সেই নতুন মন্দির এখনও বর্তমান রয়েছে।

    কবে থেকে শুরু হল নতুন কালীপুজো?

    সালটা ১৯৬৬। পরিবারের এখন যারা প্রবীণ সদস্য, তাঁরা তখন ছোট। পুজো সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিরোধের জেরে পুজো (Kali Puja 2023) ভাগ হয়ে যায়। শিবনারায়ণ ঘোষালের ফাঁকা জমিতে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। গৌরী-কান্তি-অনিল তিন ভাই মিলে নতুন করে কালীপুজো শুরু করেন।২০১১ সালে নতুন করে মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়। মন্দির তৈরিতে সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণাসিন্ধু, উদয়, দ্বিজত্তোম, দিলীপ, প্রয়াত চণ্ডী ঘোষাল, সুভাষ ঘোষাল, সুর্নিমল ঘোষালদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। পরিবারের আত্মীয়রা নতুন মন্দির তৈরিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। নতুন মন্দিরে সেই ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়ে আসছে। পুজোর দিন পরিবারের অধিকাংশ সদস্যও সারাদিন উপোস করে থাকেন। বিকেলের পর থেকে রাত পর্যন্ত চলে ভোগ রান্না। দুটি কালী মন্দিরে এখনও বলিপ্রথা অব্যাহত। তবে, মোষ বলি বহু বছর আগেই উঠে গিয়েছে। এখন শুধু ঘোষাল পরিবারের সদস্যরা ছাগ বলি দেন।

    বর্তমানে কেমন হয় কালীপুজো?

    ঘোষালবাড়ির বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগই কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন। পুজোর কদিন সকলেরই বাড়ি ফিরে আসেন। পরিবারের আত্মীয়স্বজনরাও সকলেই পুজোর কদিন চলে আসেন। আগের দিন থেকেই ঘোষালপাড়াকে আলোয় সাজানো হয়। প্রতিটি বাড়িতে জ্বলে ওঠে টুনি। আগে ছাদের উপর বাঁশ বেঁধে নাইট ল্যাম্প লাগিয়ে রঙিন কাগজ দিয়ে ঘেরা দেওয়া হত। সমগ্র এই উদ্যোগটাকে বলা হত ফনাস। সেই সময় ঘোষালপাড়া জুড়ে ফনাস টাঙানোর রেওয়াজ ছিল। সুতলির দড়িতে রঙিন কাগজ লাগিয়ে গোটা রাস্তা সাজিয়ে তোলা হত। এখন সেই রীতি উঠে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কালীপুজোর আগেরদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। এছাড়া অর্কেষ্টা, বাউল গান, সাঁওতালি নাচ, ম্যাজিক শো হত। করোনার পর এখন আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় না। তবে, পুজোর আগের দিন মণ্ডপে বসে সান্ধ্যকালীন আড্ডা কার্যত মিলন উত্সবে পরিণত হয়। পুজোর আগের দিন ঢাক-ঢোলের আওয়াজে মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। পুজোর দিন সন্ধ্যায় গোটা ঘোষালবাড়ির ছাদ মোমবাতি জ্বালিয়ে সাজানো হয়। দুই কালী মন্দিরের সামনে ঢাক-ঢোল, সাউন্ড বক্সের আওয়াজে আর ছাদে থরে থরে সাজানো মোমবাতির আলোর রোশনাইয়ে গোটা ঘোষালপাড়া গমগম করে। পরিবারের নবীন সদস্যরা বলেন, পুজোর সময় সারারাত ধরে চেয়ারে বসে পুজো দেখা, ভোরের দিকে মন্দিরে বসে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আলাদা উন্মাদনা। পুজোর (Kali Puja 2023) পরদিন প্রত্যেকের বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়া হয়। পুজোর কদিন কার্যত ঘোষালপাড়া আদতে একটি বৃহত্ ঘোষালবাড়ির আকার নেয়। গোটা পাড়া হয়ে ওঠে একটি পরিবার। আলোর উত্সবে আদিশক্তির আরাধনায় মেতে ওঠে সকলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: নৈহাটির ‘বড়মা’-র পুজো এবার ১০০ বছরে, ভোর থেকেই শুরু হবে দণ্ডি কাটা

    Kali Puja 2023: নৈহাটির ‘বড়মা’-র পুজো এবার ১০০ বছরে, ভোর থেকেই শুরু হবে দণ্ডি কাটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটির বড়মা ১০০ বছরে পদার্পণ করল। তাই এবার বাড়তি উন্মাদনা পুজো উদ্যোক্তাদের। নতুন মন্দিরে বিশাল জাঁকজমকভাবে মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি বসানো হয়েছে। উদয়পুর থেকে বড়মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি নিয়ে আসা হয়েছে। কষ্টি পাথরের বিগ্রহে মায়ের নিত্য পুজো হচ্ছে। আর নিয়ম মেনে মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মায়ের সোনা, রুপোর কয়েক কেজি গয়না থাকে ব্যাঙ্কে। অন্যবারের মতো এবারও পুলিশি নিরাপত্তার মোড়কে মাকে গয়না পরানো হবে (Kali Puja 2023)। লক্ষ্মীপুজোর দিন জাঁকজমকভাবে মায়ের বিগ্রহের খুঁটি পুজো হয়েছে। বড়মায়ের পুজো ঘিরে নৈহাটিবাসীর উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। মায়ের মাহাত্ম্যেই ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

    ভবেশ কালীই আজকের বড়মা (Kali Puja 2023)

    এই পুজোর সৃষ্টির একটি ইতিহাস রয়েছে। নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী এক বন্ধুর সঙ্গে ১০০ বছর আগে নদিয়ার শান্তিপুরে রাস উৎসব দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে কালীর বড় বিগ্রহ দেখে নৈহাটি ফিরে অরবিন্দ রোডে কালীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এই কালী প্রতিমা ভবেশ কালী নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে ২১ ফুটের এই ভবেশ কালীকে বড় কালী বলা হত। কালের নিয়মে এই বড় কালী এখন বড়মা। বড়মায়ের মাহাত্ম্য লোকমুখে ঘুরে বেড়ায়। শুধু জেলার বাসিন্দারা নয়, দূর দূরান্তের হাজার হাজার ভক্ত দণ্ডি কাটার জন্য কালীপুজোর দিন ভোর থেকে গঙ্গায় লাইন দেন। বড় মায়ের পুজো দেখতে এতটাই ভিড় হয় যে অরবিন্দ রোডে ভক্তদের দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। তাই, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই পুজো সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকে। বড় মা পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী বলেন, করোনার সময় দু’বছর মানুষের ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারেননি। গত বছর থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে। এবছর তো ভিড় অনেক বাড়বে। সেই মতো ভলান্টিয়ারের ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিন ভোর থেকে ভক্তদের দণ্ডি কাটার জন্য বলা হচ্ছে।

    তৈরি হচ্ছে ৫ তলা ধর্মশালা (Kali Puja 2023)

    বড়মা পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর দেড় কোটি টাকা খরচ করে অরবিন্দ রোডে পাঁচতলা ধর্মশালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বড় মা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে। প্রতিটি ফ্লোরে ৬ হাজার ৮০০ স্কোয়ার ফুট জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে, ধর্মশালায় অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের থাকার কোনও সমস্যা হবে না। অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বিনা পয়সায় থাকার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বড় মা মন্দির কমিটির কর্মকর্তা তথা নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, জি প্লাস ফোর বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। বড় মা পুজো কমিটির উদ্যোগেই সমস্ত কিছু করা হয়েছে। সেখানে যে কেউ চাইলে আর্থিক সাহায্য করতে পারেন। এই পুজো এবার ১০০ বছরে পদার্পণ করল। এই সময়ের মধ্যে ধর্মশালা চালু করার সব রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতদিন সারা বছর ছবি দিয়ে মায়ের নিত্য পুজো হত। এখন কষ্টি পাথরের বিগ্রহে পুজো হচ্ছে (Kali Puja 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী! কোথায় জানেন?

    Kali Puja 2023: কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্র ছাড়াই শুধুমাত্র রীতি মেনে ৬১ বছর ধরে মা কালীর আরাধনা (Kali Puja 2023) চলছে আরামবাগের রতনপুরে। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা তথা পূজারী কালীশঙ্কর সাঁতরা। তিনি দাবি করেন, এখানে মন্ত্রপাঠ ছাড়াই পুজো হয়। ৯ বছর বয়স থেকে কালী মূর্তি তৈরি করে পুজো করছেন। দেবীকে স্মরণ করে মুখে যে কথা বা গান আসে, সেটাই মন্ত্র। কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী। দেবীর কাছে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পৌঁছে দিতে কাচের উপরে মাথা ঠোকেন। আরামবাগ-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ভক্ত এখানে পুজো দেখতে আসেন। ভিড় সামলাতে রাখতে হয় পুলিশি ব্যবস্থা।

    কী এই পুজোর ইতিহাস? (Kali Puja 2023)

    পুজোর প্রতিষ্ঠাতা তথা পূজারী কালীশঙ্কর সাঁতরা জানান, পুজোর সমস্ত আচারই দৈব আদেশে পাওয়া। তিনি জানান, ৯ বছর থেকে কালী মূর্তি তৈরি করে পুজো করছেন। বর্গক্ষত্রিয় পরিবারের হওয়ায় তিনি কোনও মন্ত্রও জানেন না। মাকে স্মরণ করে মুখে যা আসবে, সেটাই মন্ত্র। যুবক বয়সে তিনি এক বার ১২ ফুট উচ্চতার কালীমূর্তি তৈরি করেন। রং করার সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অজ্ঞাত মহিলা কণ্ঠ তাঁকে জাগিয়ে রঙের কাজ শেষ করতে বলে। কিন্তু চক্ষুদানের সময়ে মূর্তির মুখের নাগাল পাচ্ছিলেন না। তখন দুঃখে মাথা ঠুকছিলেন। ফের সেই মহিলা কণ্ঠ তাঁকে চৌকিতে উঠে মূর্তির বুকে পা দিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেয়। সেই থেকেই তিনি প্রতিমার বুকে পা দিয়েই পুজো করেন। পুজোর মন্ত্র এবং ভক্তের আকুতি দেবীর কাছে পৌঁছাতে কাচের উপর মাথা ঠোকা, নাচও মায়ের আদেশেই বলে তিনি জানান। বছর কুড়ি হয়ে গেল কালীশঙ্কর আর মাটির প্রতিমা (Kali Puja 2023) গড়েন না। আরামবাগ শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে রতনপুরের মন্দিরে এখন স্থাপিত হয়েছে ৬ ফুট উচ্চতার পাথরের দক্ষিণাকালী মূর্তি। তবে মূর্তির বুকে পা দিয়ে পুজো করার প্রথা বদলায়নি।

    ভাত, খিচুড়ি, লুচি ভোগের ব্যবস্থা (Kali Puja 2023)

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহু আগে একটি তালপাতার ছাউনি করে এই কালীপুজো শুরু হয়েছিল। ভক্তদের দানের অর্থে এখন সেই জায়গায় প্রায় চার বিঘা জমির উপরে তৈরি হয়েছে মন্দির। নিত্য পুজো হয়। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শনিবার ভক্তদের ভিড় বেশি হয়। তবে বিশেষ পুজো (Kali Puja 2023) ধূমধাম হয় কার্তিক মাসে। এখানে পাঁঠা বলি হয়। ভাত, খিচুড়ি, লুচি ভোগের ব্যবস্থা থাকে ভক্তদের জন্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: উলুবেড়িয়ার খলিসানিতে বুড়িমার পুজোর পরে শুরু হয় দীপান্বিতা কালীপুজো

    Kali Puja 2023: উলুবেড়িয়ার খলিসানিতে বুড়িমার পুজোর পরে শুরু হয় দীপান্বিতা কালীপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ বলেন অন্তত সাড়ে তিনশো, কেউ বলেন চারশো পার হয়ে গেছে। উলুবেড়িয়ার খলিসানির বুড়িমার কালীপুজোর প্রতিষ্ঠা কবে, তার লিখিত কোনও নথি নেই। কেউ বলেন কালীপ্রসন্ন ভট্টাচার্য আবার কেউ বলেন কালীকুমার নামে স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ এখানে প্রথম ঘটে ও পরে মূর্তিতে পুজো শুরু করেন। সেই ঘট আর মূর্তি কালের নিয়মে হারিয়ে গেছে। রয়ে গেছে পুজোর রীতি, মানে অনাড়ম্বর উপাসনা (Kali Puja 2023)।

    বুড়িমা আদতে কালী (Kali Puja 2023)

    কথিত আছে, দেবীকে স্বপ্নে দেখেন আমতার বাসিন্দা কালীপ্রসন্ন। সেইমতো তিনি খলিসানিতে এসে শ্মশানের মধ্যে বেলগাছের নিচে মাটির ঘট দেখতে পান। স্বপ্নে তেমনই দেখেছিলেন। ওই ঘটের জায়গাতেই পুজো শুরু করেন তিনি। মূর্তি থাকলেও মূল পুজো তাই ঘটেই হয়। এখানে বলির প্রথা এখনও রয়েছে, তবে কখনও নরবলি হয়েছে কিনা, সেকথা জানা যায় না।
    কালীপ্রসন্ন যখন এখানে ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন, তখন এটি ছিল শ্মশান। চারদিকে গাছ। ডাকাতের আস্তানা। তাই কালীপ্রসন্ন প্রতিষ্ঠিত দেবীর পুজো এক সময় ডাকাতদের পুজো হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে বন পাতলা হতে থাকে। ডাকাতরাও আর ডাকাত থাকে না। শুধু রয়ে যান দেবী। তাঁর মাহাত্ম্য গ্রাম ছাড়িয়ে দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী জাগ্রত। এখানে পুজো দিলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। রোগ-ব্যাধি সেরে যায়। মূল পুজো হয় কার্তিক ও পৌষ মাসে (Kali Puja 2023), আর নিত্যপুজো তো হয়ই।

    অনেকে আসেন মানত করতে (Kali Puja 2023)

    দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই মন্দিরে সবচেয়ে বেশি ভক্ত সমাগম ঘটে। অনেকে আসেন মানত করতে। মনস্কামনা পূর্ণ হলে আবার আসেন পুজো দিতে। খলিসানির আশেপাশে এখন অনেক জায়গাতেই কালীপুজো হয়। তবে অন্য কোথাও পুজো দেওয়ার আগে ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন পুজো দিতে। দেবী এখানে দক্ষিণাকালী। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১২ বছর অন্তর দেবীর বিগ্রহ পরিবর্তন করা হয়। নিরঞ্জন হয় মন্দির সংলগ্ন পুকুরে। তারপর মহালয়ায় তাতে নতুন করে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে এই প্রথম দীপান্বিতা অমাবস্যা, তাই এবারে অন্যবারের তুলনায় ভিড় (Kali Puja 2023) আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: সাতের দশকের ‘রবিনহুড’! ফাটাকেষ্টর কালীপুজোর গল্প আজও ঘোরে মুখে মুখে

    Kali Puja 2023: সাতের দশকের ‘রবিনহুড’! ফাটাকেষ্টর কালীপুজোর গল্প আজও ঘোরে মুখে মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছিল ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ সিনেমা। এই ফিল্মে মিঠুন চক্রবর্তীর সংলাপ-‘‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’’ আজও সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। জানেন, কে ছিলেন এই ‘ফাটাকেষ্ট’? এর উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে সাতের দশকে নকশাল আন্দোলনে উত্তাল কলকাতায়। প্রতিদিনই তখন হত্যালীলা চলছে, সারা রাজ্যের অলিগলি থেকে কলকাতার রাজপথে তখন রক্তের দাগ। কোথাও বৃষ্টির ফোঁটার মতো গুলিবর্ষণ হয়, তো কোথাও মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি চলে। কলেজ স্ট্রিটের দেওয়ালে তখন নকশালদের দেওয়াল লিখন ‘ফাটাকেষ্টর মুণ্ডু চাই’। তৎকালীন সময় থেকেই জনশ্রুতি রয়েছে, ‘নকশালদের ছোড়া বোমা নাকি তাঁর পায়ের কাছে পড়েও ফাটেনি, ওই বোমা তিনি উল্টোদিকে শট মারেন ঠিক ফুটবলের ধাঁচে’। তিনি যে ফাটাকেষ্ট। বোমা নিয়ে ফুটবল খেলা তো তাঁরই সাজে।

    কলেজ স্ট্রিটের ‘মসীহা’ ফাটাকেষ্ট

    এলাকার মসীহা বলুন অথবা রবিনহুড। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘শাহেনশা’ চরিত্র তাঁর সঙ্গে অনেকাংশে মেলে, এমনটাই বিশ্বাস ছিল তাঁর ফ্যানদের। কলেজ স্ট্রিটের রাস্তা ধরে এলাকার মেয়েরা ‘নাইট শো’ দেখে নিশ্চিন্তে রাতে একাকী ফিরতে পারতেন যখন দেখতেন, তাঁদের পাহারার জন্য ‘ফাটাকেষ্ট’ বারোয়ারি মন্দিরের মেঝেতে তোয়ালে বিছিয়ে রাত্রিযাপন করছেন।

    কালীমায়ের ভক্ত ফাটাকেষ্ট

    আসল নাম কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত। ‘নব যুবক সংঘ’-এর কালীপুজোর উদ্যোক্তা। নকশাল আমলে কলেজ স্ট্রিটে দুই মস্তানের সঙ্গে ব্যাপক ছুরির লড়াই হয় ‘কালীভক্ত’ কৃষ্ণচন্দ্র দত্তের। লড়াইয়ে জিতলেও শরীরে ব্যাপক ছুরিকাঘাতের কারণে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাঁর। ভর্তি হন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সুস্থ হয়ে পাড়ায় ফিরলে তাঁর নাম হয় ‘ফাটাকেষ্ট’। কলেজ স্ট্রিটের এই ‘মসীহা’-র এমন অদ্ভূত নামকরণের কারণ তাঁর মুখমণ্ডল জুড়ে থাকা বসন্তের দাগ বলেও মনে করেন অনেকে। ছোটখাট চেহারা, সুঠাম দেহের অধিকারী ফাটাকেষ্টর কলেজ স্ট্রিটের কালীপুজো প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে সেই ছয়ের দশক থেকেই। কালীমায়ের ভক্ত কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত ওরফে ফাটাকেষ্ট ‘তন মন ধন’ দিয়ে মায়ের আরাধনা করতেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় পুজোর উদ্বোধন করতেন। সারা এলাকা জুড়ে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা থাকত, বিভিন্ন থিম দ্বারা সাজানো হত মায়ের মণ্ডপ। বিশালকায় মায়ের মূর্তির দর্শন করতে কাতারে কাতারে মানুষজন আসতেন।

    প্রচলিত বিশ্বাস মতে, নব যুবক সঙ্ঘের কালীপুজোয় একবার এক মহিলার ভর হয় কালীমূর্তির সামনে। ওই মহিলা তখন বলতে থাকেন ‘‘ছোট গ্লাসের জলে আমার চেষ্টা মেটে না, আমাকে বড় গ্লাসে জল দিতে পারিস না তোরা?’’ তখন দেখা গেল মাতৃ প্রতিমার নৈবেদ্যতে রাখা জলের পাত্রটি সত্যিই ছোট। এই ঘটনার পরে বড় গ্লাসে দেবী কালীকে জলদানের রীতি রয়েছে ফাটাকেষ্টর কালীপুজোতে।

    সিনেজগতের হুজ-হু’দের চাঁদের হাট

    কালীপুজোর প্রাক মুহূর্তে একবার পরিচালক দুলাল গুহর ছবির কাজে কলকাতায় এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, সদ্য মুক্তি পেয়েছিল ‘নমক হালাল’ সিনেমা। বাচ্চা থেকে বুড়ো অবধি তখন মোহাচ্ছন্ন নমক হালাল-এর সংলাপে। ফাটাকেষ্টর ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরিচালক দুলাল গুহ। মূলত তাঁরই অনুরোধে সেবার নব যুবক সঙ্ঘের কালীপুজো উদ্বোধন করেন অমিতাভ বচ্চন। মঞ্চ বাঁধা হয় তাঁর জন্য। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে তখন অমিতাভ বচ্চন বলছেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নমক হালাল’ সিনেমার একের পর এক বিখ্যাত সংলাপ। শুধু তাই নয়। ফাটাকেষ্টর কালীপুজোতে তিনি মায়ের জন্য গড়িয়ে দিয়েছিলেন হীরের নাকছাবি। 

    ফাটাকেষ্টর পুজোয় হাজির অমিতাভ বচ্চন ও বিনোদ খান্না (ছবি-সংগৃহীত)

    দেশ-বিদেশ খ্যাত অসংখ্য সেলেব্রিটি যুক্ত থেকেছেন ফাটাকেষ্টর কালীপুজোর উদ্বোধনে। এই তালিকায় যে যে নামগুলো ছিল একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। সিনেমা জগতের তারকা বিনোদ খান্না, শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে সঙ্গীত জগতের হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, রাহুল দেব বর্মন, আশা ভোঁসলে, ক্রীড়া জগতের বিশ্ববিখ্যাত গোলকিপার লেভ ইয়াসিন-প্রতি বছর কালীপুজো উদ্বোধনে চাঁদের হাট বসতো নব যুবক সঙ্ঘে। প্রয়াণের আগের বছর অবধি ওই পুজোতে এসেছেন স্বয়ং উত্তম কুমার অবধি।

    ফাটাকেষ্টর পুজোয় মহানায়ক উত্তম কুমার (ছবি-সংগৃহীত)

    জগৎজোড়া খ্যাতির নেপথ্য কী?

    ১৯৯২ সালে প্রয়াত হন কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত ওরফে ফাটাকেষ্ট। কয়েক বছর আগেও তাঁর কালীপুজোর উদ্বোধন করে গেছেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতায় সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের এই কালীপুজো আজও একটা ‘মিথ’। নবযুবক সঙ্ঘের কালী পুজোর জগৎজোড়া খ্যাতির নেপথ্যে ছিল কালী মায়ের ভক্ত, ছোটখাট চেহারার ওই দাপুটে মানুষটি। যাঁর কথায় নাকি এলাকার বাঘে-গরুতে একসঙ্গে জল খেত বলেই বিশ্বাস করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share