Tag: kali puja 2023

kali puja 2023

  • Kali Puja 2023: আড়ম্বর নয়, ভক্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই বয়রা কালীবাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য

    Kali Puja 2023: আড়ম্বর নয়, ভক্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই বয়রা কালীবাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু উত্তর দিনাজপুর নয়, বলতে গেলে গোটা উত্তরবঙ্গের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোগুলির মধ্যে আজও উজ্জ্বল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীবাড়ির পুজো। আড়ম্বর নয়, ভক্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই এই পুজোর (Kali Puja 2023) অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাচীনত্ব এবং দেবীর অলৌকিক মহিমার টানেই পুজোর রাতে বহু মানুষ ভিড় করেন এখানে।

    বয়রা গাছের নিচে পুজোর প্রচলন (Kali Puja 2023)

    উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরে অবস্থিত বয়রা কালীবাড়ির কালীপুজো অনেক প্রাচীন। এই কালীবাড়ির পুজোর বয়স কত, তার হিসেব অজানা সকলের। কথিত আছে, প্রবীণ এক সাধক বয়রা গাছের নিচে প্রথম কালীপুজোর প্রচলন করেন। শোনা যায়, এখানে দুটি নদী ছিল। একটির নাম রুহিতর এবং অপরটির নাম শ্রীমতি। এই দুটি নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা করে বাণিজ্য করতে আসতেন দূর দূরান্ত থেকে অনেক বণিক। রুহিতর নদীটি এখন মজে গিয়েছে ও শ্রীমতি নদীটিরও প্রায় একই অবস্থা। এখানে বণিকরা এসে বিশ্রাম করতেন এবং সেই জায়গাটি ছিল জঙ্গলে ভর্তি। পাশে একটি ছোট ঘর ছিল। বর্তমানে সেই জায়গাটির নাম গুদরি বাজার। মূলত সেই ঘরটিতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে দেবীর নতুন মন্দির। এরপর কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক সুকুমার ঘোষ মন্দিরটির সংস্কার করেন। এরপর থেকে দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। মন্দিরে বসানো হয় দেবীর অষ্টধাতুর মূর্তিও। আর বর্তমানে কালীপুজোর দিন থেকেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই মন্দির প্রাঙ্গণে (Kali Puja 2023)। শুধু জেলা নয়, জেলার বাইরে থেকেও লোক সমাগম হয় এই মন্দির প্রাঙ্গণে।

    মানত করেন অনেকেই (Kali Puja 2023)

    শাস্ত্রমতে দেবী পূজিতা হন এখানে। এই কালীবাড়ির অলৌকিক ক্ষমতার নানা গল্পকথা ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। নিজ নিজ মনস্কামনা পূরণে কালীপুজোর রাতে ভক্তদের প্রার্থনা আর মন্ত্রোচ্চারণে সরগরম হয়ে ওঠে এই মন্দির প্রাঙ্গণ। পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই কালীপুজো দীর্ঘদিনের প্রাচীন। মানুষ ভক্তি আর নিষ্ঠা মেনেই মায়ের মন্দিরে পুজো দেন। পুজোর কটা দিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। পুজো দেন মায়ের কাছে। মানত করেন অনেকেই। কালীপুজোর আর বেশি দেরি নেই৷ তবে দৈনিক মায়ের পুজো হয়। প্রচুর মানুষ প্রতিদিন এখানে পুজো দিতে আসেন। ভক্তি আর নিষ্ঠা মেনে এখানে পূজিতা হন বয়রা মা (Kali Puja 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: শুধু জবা নয়, হরিপালের ‘সবুজ কালী’র পুজো হয় জুঁই ফুল দিয়ে!

    Kali Puja 2023: শুধু জবা নয়, হরিপালের ‘সবুজ কালী’র পুজো হয় জুঁই ফুল দিয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলি জেলার অন্তর্গত হরিপাল থানার শ্রীপতিপুর পশ্চিম গ্রাম। এখানকার ৭৩ বছরের সিদ্ধেশ্বরী কালীমাতার মন্দির ও অধিকারী বাড়ির ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ। শারদ উৎসব শেষ। সামনে দীপাবলি। চারদিকে ধুমধাম করে হবে কালীপুজো (Kali Puja 2023)। সাধারণত নিকষ কালো অথবা শ্যামলা গায়ের মায়ের প্রতিমা দেখতে অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু মা কালীর গায়ের রং সবুজ! তাও হয় নাকি? এই প্রতিমা দেখতে গেলে আসতে হবে হুগলির হরিপালের ওই ছোট্ট সুন্দর গ্রামে। হুগলি জেলার সুপ্রাচীন বর্ধিষ্ণু গ্রাম হরিপাল। এই অঞ্চলে একটি ছোট জনপদ শ্রীপতিপুর গ্রাম। এই গ্রামের অধিকারী পরিবারে দীর্ঘদিন যাবৎ পূজিতা মা সবুজ কালী। এখানে সব চেয়ে আকর্ষণীয় ব্যপার হল, মা কালীর গায়ের রং কচি কলাপাতার মতো সবুজ। বেশ জাগ্রত বলে খ্যাত এই সবুজ মা। আর এই মা কালীকে ঘিরে রয়েছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস।

    ৭৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠা (Kali Puja 2023)

    ১৩৫৭ সালে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন বটকৃষ্ণ অধিকারী মহাশয়। তিনি এই শ্রীপতিপুরেরই বাসিন্দা ছিলেন। বৈষ্ণবসুলভ আচরণ ছোট থেকেই জন্মসূত্রে পেয়েছিলেন অধিকারী মশাই। তৎকালীন ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করার পর কয়েক বছর ভিন রাজ্যে চাকরি করেন। তারপর ভাগ্যচক্রে আবারও গ্রামে এসে চাষাবাদ শুরু করেন। অতঃপর পরিবারের আদেশ অনুযায়ী জনৈক আঙুরবালা দেবীর সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। কিন্তু সংসারে তাঁর মতি ছিল না। মাঠে-ঘাটে, শ্মশানে ঘুরে বেড়াতেন। এরকম কয়েক বছর চলার পর জানা যায়, কোনও এক মাঠে তিনি গরুর খুঁট বাঁধছিলেন, সেই মুহূর্তে তাঁর পিছন থেকে এক সাদা বস্ত্র পরিহিত সন্ন্যসী এসে বলেন, অমুক স্থানে অমুক সময়ে তোমার দীক্ষা হবে। এর পরের ঘটনা সবটাই গুপ্ত।

    কী জানালেন পরিবারের সদস্যরা?

    কথা হচ্ছিল বটকৃষ্ণর সুযোগ্য নাতি দেবজ্যোতি অধিকারীর সঙ্গে। তিনি জানান, এরপর বটকৃষ্ণ শ্মশানে সাধনা করতে করতে সিদ্ধিলাভ করেন, এবং স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে মা কালীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু গোঁড়া বৈষ্ণব পরিবারে জন্ম। তাঁর বাড়িতে কেউ তিলক সেবা রাধাগোবিন্দের নাম না করে জলস্পর্শ করেন না। সেই বৈষ্ণব বাড়িতে কালীপুজো! তৎকালীন সমাজের মাতব্বররা রে রে করে উঠলেন। বললেন নৈব নৈব চ। কিন্তু সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তিনি বাড়িতে কালীর ঘট স্থাপন করলেন। বেশ কিছুদিন পর আবার তিনি স্বপ্ন দেখেন, মায়ের মূর্তি স্থাপনের। এবার তিনি দেখেন, অদ্ভুত এক স্বপ্ন। কৃষ্ণ ও কালী একই অঙ্গে বিরাজ করছেন। গাত্রবর্ণ যার সবুজ। একদম কচি কলাপাতার মতো। এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হল সবুজ কালী। রটন্তী পূজার দিন প্রতিষ্ঠা করেন এই সবুজ কালী মাকে (Kali Puja 2023)।

    প্রতিটি অমাবস্যাতেই আসেন বহু ভক্ত (Kali Puja 2023)

    এখানে মা পরম বৈষ্ণব। সারা বছর এই বৈষ্ণব বাড়িতে পূজিতা হন মা সবুজ কালী। পাশাপাশি অদ্ভুত কিছু নিয়ম আছে এখানে। গুপ্ত তন্ত্র মতে পুজো হয়। মা পঞ্চমুন্ডির আসনের ওপর পূজিত হন। যেহেতু বৈষ্ণব বাড়ি, তাই বলি প্রথার চল নেই। এখানে দেবী পরম বৈষ্ণব। কপালে তিলক কাটা হয়। যদিও মায়ের ভোগ আমিষ। বিশেষত ইলিশ মাছের ভোগ মায়ের প্রিয়। সাধারণত মাকালীর প্রিয় রং লাল বলে জবা ফুল দিয়ে পুজো করা হয়। যদিও এই সবুজ কালীর পুজোর ফুল জুঁই। আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল বাঁশি। এখনও মাকে বাঁশি বাজিয়ে শোনান সেবাইতরা। মঙ্গলারতির মাধ্যমে পুজো হয়। প্রতিটি অমাবস্যাতেই বহু ভক্ত আসেন এই মায়ের (Kali Puja 2023) দর্শনে। মায়ের কাছে প্রার্থনা করে অনেকেই সুফল পেয়েছেন বলে বিশ্বাস গ্রামবাসীদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: কার্তিক মাসে ঘরে ঘরে কেন জ্বালানো হয় আকাশ প্রদীপ? জানুন মাহাত্ম্য

    Kali Puja 2023: কার্তিক মাসে ঘরে ঘরে কেন জ্বালানো হয় আকাশ প্রদীপ? জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে’ গানটি বাঙালির এক নস্টালজিয়া। এই ‘আকাশ প্রদীপ’ (Akash Pradip) কয়েক বছর  আগেও কার্তিক মাসে বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠত। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় লোকাচার যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও গ্রাম বাংলায় কার্তিক মাসের হালকা শীতের চাদর মোড়ানো সন্ধ্যায় সন্ধান পাওয়া যায় ‘আকাশ প্রদীপ’-এর।

    পুরাণ কী বলছে?

    পুরাণ মতে, দীর্ঘ চার মাসের যোগনিদ্রা শেষে, কার্তিক মাসে (Kartik Masa) জেগে ওঠেন ভগবান বিষ্ণু (Lord Vishnu)। তাঁকে প্রসন্ন রাখতে, ভক্তরা কার্তিক মাসের প্রথম দিন থেকে সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় মাটির প্রদীপে ঘি বা তেল দিয়ে জ্বালিয়ে রাখেন। বাড়ির সব থেকে উঁচু স্থানে উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে রেখে এই প্রদীপ জ্বালানো হয়। লাঠির ডগায় ছাদের উপরেও এই প্রদীপ দিতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক বাতিও দেন অনেকে। বিশ্বাস, ভক্তদের আকাশ প্রদীপ (Akash Pradip) অর্পণে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণু তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে ভক্তদের জীবন। আরোগ্য ও আশীর্বাদ প্রদান করেন ভগবান বিষ্ণু।

    রয়েছে আরও বিশ্বাস…

    অন্য একটি বিশ্বাস মতে, আশ্বিন মাসের মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। তার পরের একটি মাস তাঁরা আনন্দ উৎসবে সামিল হন এবং পরলোকের উদ্দেশে গমন করেন কালীপুজোর (Kali Puja 2023) অমাবস্যায়। এই প্রদীপ জ্বেলে আবাহন করা হয় পিতৃলোকে, প্রেতলোকে অবস্থান করা পূর্বপুরুষদেরও। যাতে তাঁরা আকাশ প্রদীপের আলোয় পথ চিনে আশীর্বাদ দিতে আসতে পারেন উত্তরসূরীদের।

    হিন্দু ধর্মে প্রদীপের তাৎপর্য

    প্রদীপ হিন্দু ধর্মের যে কোনও অনুষ্ঠানের সব থেকে অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধর্মীয় আচার, রীতি সবকিছুই সম্পন্ন হয় প্রদীপের দ্বারা। ভগবান বিষ্ণুর বন্দনা করতে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে আকাশ প্রদীপ (Akash Pradip)। ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশে সমর্পিত এই প্রদীপের ধরন আলাদা আলাদা হয় এবং তা ভক্তদের নানা মনোবাঞ্ছা পূরণের লক্ষ্যে জ্বালানো হয়। একনজরে আমরা দেখে নিই আকাশ প্রদীপের ধরনগুলি।

    ১. দ্বিমুখী প্রদীপ: ভগবানের অসীম কৃপা লাভ, আশীর্বাদ লাভ এবং দীর্ঘজীবনের অধিকারী হওয়া যায় দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালালে। এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    ২. ত্রিমুখী প্রদীপ: লোকবিশ্বাস, এই প্রদীপ জ্বালালে শত্রুর কু-নজর থেকে ভগবান বিষ্ণু ভক্তদের রক্ষা করেন।

    ৩. চতুর্মুখী প্রদীপ: সন্তানের দীর্ঘজীবন কামনা করে মা-বাবারা এই প্রদীপ জ্বালেন।

    কার্তিক মাসব্যাপী সন্ধ্যার সময় অনেক গৃহে তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে‌। পুকুরে বা নদীতেও অনেক সময় প্রদীপ ভাসানো হয় ভগবানের আশীর্বাদ এবং কৃপা লাভের উদ্দেশ্যে। আকাশ প্রদীপ দেওয়ার মন্ত্রটি হলো-‘‘আকাশে সলক্ষ্মীক বিষ্ণোস্তোষার্থং দীয়মানে প্রদীপঃ শাকব তৎ।’’ আকাশে লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থান করছেন যে বিষ্ণু, তাঁর উদ্দেশে দেওয়া হল এই প্রদীপ (Kali Puja 2023)।

    দেহের প্রতীক প্রদীপ

    ঘটের মতো প্রদীপকেও অনেক পণ্ডিত দেহেরই প্রতীক বলে মনে করেন। আকাশ প্রদীপও (Akash Pradip) নশ্বর শরীরের মতো ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এই পঞ্চভূতে তৈরি। ক্ষিতি অর্থাৎ মাটি, কায়া তৈরি করে। অপ অর্থাৎ জলে আকার পায়। তেজ অর্থাৎ আগুন, আত্মার মতোই স্থিত হয় তার অন্তরে। মরুৎ অর্থাৎ হাওয়া আগুনকে জ্বলতে সাহায্য করে। আর ব্যোম অর্থাৎ অনন্ত শূন্য জেগে থাকে প্রদীপের গর্ভে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ইতিহাস জানুন

    Kali Puja 2023: রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ইতিহাস জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের বিভিন্ন সময়ে অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো দেখা যায়। তবে কার্তিক মাসের দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2023) সবথেকে প্রসিদ্ধ। আয়োজন, জাঁকজমক, ধুমধাম সবদিক থেকেই বেশ জনপ্রিয় দ্বীপান্বিতা কালীপুজো।  জাগ্রত কালী মন্দিরগুলিতে কার্তিকী অমাবস্যায় ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কালী আরধনা বা কালী সাধনা বললেই উঠে আসে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় এখানেই রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব হয়েছিলেন। কথিত আছে, হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত এই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি, সেটা ছিল ১৮৫৫ সালের ৩১ মে।

    দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের অধিষ্ঠাত্রীদেবী ‘ভবতারিণী’ 

    এখানে কালী মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ভবতারিণী নামে প্রসিদ্ধ। জনশ্রুতি রয়েছে, রানি রাসমণি মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা কালে রানিকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের (Kali Puja 2023) প্রধান পুরোহিত হন। রামকুমারের হাত ধরেই কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের প্রবেশ ঘটে। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আকর্ষণে এক মহাতীর্থে পরিণত হয় ভবতারিণী মন্দির।

    তরুণ নরেনের রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    এখানেই আগমন ঘটে নরেন্দ্রনাথ দত্তের যিনি পরবর্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ হবেন। তরুণ নরেন্দ্রনাথ দত্ত সাংসারিক অনটনে ভুগছেন তখন। এমনই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে পাঠালেন ভবতারিণীর সামনে। অর্থ কষ্ট মেটানোর প্রার্থনা করতে বললেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ দত্ত চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি। দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দির (Kali Puja 2023) চত্বরে একাধিক দেবদেবীর মন্দিরও রয়েছে। দ্বাদশ শিবমন্দির নামে পরিচিত রয়েছে বারটি আটচালার মন্দির। মন্দিরের উত্তর দিকে রয়েছে রাধাকান্ত মন্দির, দক্ষিণে রয়েছে নাটমন্দির। উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাসগৃহ। বছরের সারাবছর ধরেই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে মন্দিরে। তবে কালীপুজো এবং কল্পতরু উৎসবে বিপুল জনসমাগম ঘটে এখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: চুল্লির আগুনে পুড়ছে শব, কেওড়াতলায় “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা..”

    Kali Puja 2023: চুল্লির আগুনে পুড়ছে শব, কেওড়াতলায় “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা..”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পুড়ছে শবদেহ। পাশেই তন্ত্রমতে পুজো হচ্ছে শ্মশানকালীর (Kali Puja 2023)। ফি বছর কালীপুজোর রাতে এ ছবি দেখা যায় কালীঘাটের কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। এক সময় এখানে দেহ দাহ হত কাঠের চুল্লিতে। পরে হয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। চুল্লি জ্বলে প্রায় সারাদিনই। কালীপুজোর রাতেও এর বিরাম থাকে না। এই আবহেই এখানে হয় মাতৃ আরাধনা।

    মাতৃমূর্তি করুণাময়ী

    কেওড়াতলায় মাতৃমূর্তি করুণাময়ী। ১৬ ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তি লোলজিহ্বা নয়, হাস্যময়ী। অসুর মুণ্ডমালিনী নয়। দেবীর দুই হাত। ডান হাতে নৈবেদ্যরূপী মাংস, অন্য হাতে মদ। অনেকেই এখানে দেবীকে মদ্য মানত করেন। সেই পানপাত্র থেকে মদ্যের একটা অংশ নিয়ে পুরোহিত দেবীর হাতে থাকা পাত্রে রাখেন। বাকিটা প্রসাদ করে তুলে দেওয়া হয় মানতকারীর হাতে। কালীপুজোয় বলিদান সিদ্ধ। তাই বলিদানের রীতি শুরু থেকেই রয়েছে এখানে। ভক্তদের (Kali Puja 2023) মানত করা ছাগ বলি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, কেওড়াতলার মা কালী কাউকে শূন্য হাতে ফেরান না।

    রাতভর চলল পুজো-হোম-বলিদান

    এখানে শ্মশানকালী পুজোর একটি ইতিহাস রয়েছে। গভীর জঙ্গলে আকীর্ণ এই এলাকায় এক সময় ছিল শুধুই শ্মশান। মূলত দেহ দাহ করতেই লোকজন আসতেন এখানে। এই জায়গাটিকেই সাধনস্থল হিসেবে বেছে নিলেন জনৈক চন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য ও মতিলাল ভট্টাচার্য। এক অমাবস্যার রাতে এখানে এসে হাজির হন ভিনদেশি এক তান্ত্রিক। হাতে লৌহনির্মিত একটি ছোট্ট কালীমূর্তি। সাধনারত দুই ব্রহ্মণকে তিনি বললেন, “আজকের এই রাত্রির লগ্ন মাতৃপূজার শুভক্ষণ। আমি এখানে দেবীর আরাধনা করতে চাই। আপনারা আমায় সহযোগিতা করুন।” তখনই ব্রাহ্মণরা আয়োজন করলেন মাতৃ আরাধনার। স্থানীয় জনবসতি থেকে জোগাড় হল পুজোর উপকরণ। রাতভর চলল পুজো-হোম-বলিদান। তন্ত্রমতে সাঙ্গ হল দেবী আরাধনা।  

    আরও পড়ুুন: পুরীর জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদের মূল্য একলাফে বেড়ে ৩ গুণ! ভক্তমহলে অসন্তোষ

    আকাশে ভোরের আলো ফোটার আগেই দেবীমূর্তি নিয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন তান্ত্রিক। তবে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও হচ্ছে পুজো। যেহেতু তান্ত্রিক তাঁর দেবীমূর্তি নিয়ে চলে গিয়েছেন, তাই এখন মৃণ্ময়ী প্রতিমা গড়ে হয় পুজো। তবে পুজোর নিয়ম অনুসরণ করা হয় সেই তান্ত্রিকের মতোই। জনশ্রুতি এই (Kali Puja 2023) যে, দ্বীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে যখন মায়ের আরাধনা হয়, তখনও জ্বলতে থাকে চিতা। কালীপুজোর রাতে এখানে এলে মনে পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের সেই কথা কটি, “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: দেবীর বাঁ পা সিংহের উপর, ডান-পা পদ্মফুলে! জানুন হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

    Kali Puja 2023: দেবীর বাঁ পা সিংহের উপর, ডান-পা পদ্মফুলে! জানুন হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম শিবপুরের হাজার হাত কালী মন্দিরের পুজো (Kali Puja 2023)। শিবপুরের মন্দিরতলা এলাকায় এই কালী ঠাকুরের নাম অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে হাজার হাত কালীতলা। কালীপুজোর দিন বিশেষ পুজো হয় এখানে। হাজার হাত কালীর এক অদ্ভুত রূপ। দেবীর বাঁ হাতে খড়্গ, ডান হাতে পঞ্চশূল, বাঁ পা সিংহের উপরে ও ডান-পা পদ্মফুলের উপরে। দুটি পা দু-দিকে থাকার অর্থ, মা সব সময় জলেও রয়েছেন, স্থলেও রয়েছেন। আর ডান হাতে পঞ্চশূল দিয়ে মা সকলকে রক্ষা করছেন। আর যদি কেউ ভুল করে বা ভুল পথে যায়, তাহলে মা তাঁকে খড়্গ দেখিয়ে সচেতন করার বার্তাও দিচ্ছেন। মা কালীর এই রূপ সচরাচর দেখা যায় না।

    তন্ত্র মতে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী (Kali Puja 2023)

    তবে দক্ষিণ ভারতে বিশেষ জনপ্রিয় হাজার হাত কালী। হাওড়ার শিবপুরে হাজার হাত কালীতলায় প্রায় ২৫ ফুট উঁচু মায়ের এই মূর্তি রয়েছে। শোনা যায়, এখনও পর্যন্ত কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি। গোনা বারণও রয়েছে। প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, স্থানীয় মুখোপাধ্যায় বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে মা চণ্ডী স্বপ্নাদেশ দিয়ে কালীর এই রূপ দেখান এবং মন্দির তৈরির আদেশ দেন। সেই স্বপ্নাদেশ মোতাবেক তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবীর এই রূপের পুজো (Kali Puja 2023) করতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। তবে এই মন্দির নির্মাণের বিপুল ব্যয়ভার বহন করার সাধ্য ছিল না তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বা তাঁর পরিবারের। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের এই ইচ্ছাপূরণের জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় ধনী হালদার পরিবার। তাদের চেষ্টায় ১৮৭০ সালে স্থাপিত হয় হাজার হাত কালী মন্দির এবং দেবীর এই বিশেষ রূপ এখানে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সেই থেকে তন্ত্র মতে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী।

    কিছু প্রার্থনা করলে সেটি পূর্ণ হয় (Kali Puja 2023)

    বলিপ্রথা এখানে নেই এবং প্রাচীন প্রথা মেনে আজও মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা এখানে পুজো করে আসছেন। মায়ের পুজো ও মঙ্গলারতিতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেজন্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মায়ের মন্দিরের নামে বেশ কিছু সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। সেই সম্পত্তি থেকেই আয় যা আসে, তা থেকে মায়ের পুজো করা হয় ও মন্দিরের সংস্কার করা হয়। দৈনন্দিন পুজোর পাশাপাশি বুদ্ধপূর্ণিমা ও দীপাবলিতে এখানে বিশেষ পুজো হয়। দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ। সেই উপলক্ষ্যে প্রচুর জনসমাগম হয়। কালীপুজোর দিনে পুণ্যার্থীদের ভিড় এতটাই হয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে হয়। বিশ্বাস, মায়ের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সেটি পূর্ণ হয়। কালীপুজোর দিন খিচুড়ি, পায়েস পোলাও, রাইস, মাছ, মিষ্টি সহ একাধিক নানা প্রকারের ভোগ দেওয়া হয় দেবীকে। ৩ সময় পুজো হয় ভোরবেলা, দুপুরবেলা ও রাত্রিবেলা। ফল-মিষ্টি দিয়ে পুজো (Kali Puja 2023) করা হয় মাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: যজ্ঞ এবং বলি পুজোর প্রধান অঙ্গ! মা কালীর ১১ রূপের মাহাত্ম্য জানেন কি?

    Kali Puja 2023: যজ্ঞ এবং বলি পুজোর প্রধান অঙ্গ! মা কালীর ১১ রূপের মাহাত্ম্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা কালী (Kali Puja 2023) বিভিন্ন রূপে পূ্জিত হন। তন্ত্র মতে, শক্তি আরাধনায় মা কালী ভীষণ জাগ্রত দেবী। মাকে ১১ রূপে বিনাশকারী শক্তি হিসাবে আরাধনা করে থাকেন ভক্তরা। যজ্ঞ এবং বলি হল পুজোর একটি প্রধান অঙ্গ। আসুন জেনে নিই মায়ের ১১ প্রকার তান্ত্রিক শক্তির মাহাত্ম্যকথা এবং কীভাবে তিনি পূজিত হন।

    দক্ষিণাকালী

    গ্রাম বাংলায় সবথেকে বেশি কালীপুজো (Kali Puja 2023) হয় দক্ষিণাকালীর। এই কালী শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। মায়ের সমস্ত শরীর নীল বর্ণের হয়ে থাকে। রুদ্র মূর্তি, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশী হয়ে থাকেন মা। গলায় মুণ্ডমালার সমাহার। বাম হাতে নরমুণ্ড এবং খড়্গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা। মায়ের পদতলে থাকেন মহাদেব।

    শ্মশানকালী

    এই কালীপুজো মূলত শ্মশানে হয়ে থাকে। বাড়িতে শ্মাশানকালীর পুজো হয় না। আদি পর্ব থেকেই অশুভ কাজ করতে যাওয়ার আগে ডাকাতরা এই কালীপুজো করতেন। বাংলার অনেক বিখ্যাত ডাকাত এই দেবীর উপাসক ছিলেন। তন্ত্র, মন্ত্র এবং বলি এই কালীপুজোর অন্যতম উপাদান।

    সিদ্ধকালী

    এই সিদ্ধকালীর আরেক নাম হল ভুবনেশ্বরী। অমাবস্যার দিনে এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) হয়ে থাকে। সাধারণ পরিবারে এই কালীপুজো হয় না। সাধকরা মূলত সিদ্ধিলাভের জন্য এই পুজো করে থাকেন। এই কালীর দুই হাত থাকে। দেবীর শরীরে গয়না থাকে। এই দেবী অমৃত বর্ণে সজ্জিত থাকেন।

    ফলহারিণী কালী

    এই কালীপুজো হল বাৎসরিক পুজো। গৃহস্থের বাড়িতে শান্তি ফেরাতে কালীপুজো করা হয়ে থাকে।

    মহাকালী

    এই কালীর একসঙ্গে দশ মাথা, দশ হাত এবং দশ পা থাকে। দেবীর পায়ের নিচে কাটা মস্তক থাকে। দশ হাতেই অস্ত্র সজ্জিত থাকে। তবে শিব ঠাকুর মায়ের সঙ্গে থাকেন না। ভূত চতুর্দশীর দিনে এই মহাকালীর পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত বাড়িতে এই কালীপুজো হয় না।

    কাম্যাকালী

    এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) সাধারণত অষ্টমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমাতে হয়ে থাকে। মোটামুটি দক্ষিণা কালীর মতোই পূজিত হন। বিশেষ মনোবাসনা পূরণের আশায় এই দেবীর আরধনা করা হয়।

    গুহ্যকালী

    এই দেবীর গায়ের রং কালো। গালায় ৫০ টি নরমুণ্ড হার সজ্জিত থাকে। কানে থাকে শব দেহ বিশিষ্ট অলঙ্কার। তন্ত্রমতে এই দেবীর রূপ অত্যন্ত ভয়ঙ্করী।

    ভদ্রকালী

    জনসমাজের কল্যাণের কারণে এই কালীপুজো করা হয়। মূলত বিভিন্ন বারোয়ারি মন্দিরে এই দেবীর পুজো করা হয়।

    চামুণ্ডা কালী

    চামুণ্ডা কালী হল আদি শক্তি। তিনি একই সঙ্গে ভগবতী দুর্গা আবার একই সঙ্গে পার্বতী। সেই সঙ্গে চণ্ড ও মুণ্ড নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন দেবী। অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করেন এই চামুণ্ডা দেবী।

    শ্রীকালী

    শ্রীকালী, দেবী দুর্গা অথবা পার্বতীর বিশেষ বিশেষ রূপ। এই দেবী দারুক নামক অসুরকে বধ করেছিলেন। মহাদেবের কণ্ঠে ঢুকে কণ্ঠের বিষকে ধারণ করেন এই দেবী।

    রক্ষাকালী

    দক্ষিণাকালীর একটি বিশেষ রূপ হল রক্ষাকালী। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করার জন্য এই দেবীর নাম রক্ষাকালী। পরিবারে সাধারণ বসতিভুমিকে রক্ষা করতে এই দেবীর পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে উঠেছিল বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ!

    Kali Puja 2023: আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে উঠেছিল বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শতাব্দীপ্রাচীন ও জাগ্রত কালীপুজোর (Kali Puja 2023) মধ্যে অন্যতম হল বালুরঘাট তহবাজার এলাকার বুড়া কালীমাতার পুজো। এখনও সেই পুরনো রীতি-রেওয়াজ মেনেই হয় বালুরঘাট বুড়া কালীমাতার পুজো। তবে কালের স্রোত ও সময়ের সঙ্গে বর্তমানে পুজোর কিছু নিয়ম পরিবর্তিত হয়েছে। শতাব্দীপ্রাচীন হলেও এই পুজোকে কেন্দ্র করে জেলাবাসীর মনে অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। কালীপুজোর দিন এই পুজোকে ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার বুড়া কালীবাড়িতে পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন পড়ে ভক্তদের।

    সারা গায়ে সোনা থেকে রুপোর অলঙ্কার (Kali Puja 2023)

    লোকমুখে শোনা যায়, কয়েকশো বছর আগে বর্তমান বালুরঘাট বুড়া কালীমাতার মন্দিরের পাশ দিয়ে নাকি আত্রেয়ী নদী বইতো। এমনকি লোক মুখে শোনা যায়, মন্দির ও বাজারের জায়গায় ছিল ঘন জঙ্গল। শতাব্দীপ্রাচীন পুজো হলেও এই পুজোর সঠিক বয়স কত, তা কেউ বলতে পারে না। এক সময় আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ বা শিলাখণ্ড। এক তান্ত্রিক সেই সময় নাকি ওই বিগ্রহকে তুলে নিয়ে এসে পুজো দেন। তার পর থেকেই নাকি এই পুজো শুরু হয়। টিনের ঘেরা দিয়ে বুড়া কালীমাতার পুজো শুরু হয়। বর্তমানে বিশাল আকারের মন্দিরে পূজিতা হন বুড়া কালীমাতা। পুজোর দিন মায়ের মূর্তির (Kali Puja 2023) সারা গা সোনা থেকে রূপার অলঙ্কারে সুসজ্জিত থাকে। পুজোকে ঘিরে দিন কয়েক হাজার ভক্তদের সমাগম হয় পুজো প্রাঙ্গনে। পুজোতে এখন পাঁঠা বলি, শোল মাছ বলি হয়। তবে জনশ্রুতি আছে, আগে নাকি ২০ কিলো ওজনের শোল মাছ বলি দেওয়া হত। এই পুজোকে ঘিরে শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরবাসীর নয়, পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর ও মালদা, শিলিগুড়ি থেকেও প্রচুর ভক্ত বা দর্শনার্থী আসে। বর্তমানে বুড়া কালী মন্দির থেকে অনেকটা পশ্চিমে সরে গেছে আত্রেয়ী নদী।

    রানি রাসমণি এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন? (Kali Puja 2023)

    জনশ্রুতি আছে, একটা সময় নাকি কলকাতার রানি রাসমণি এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন। বজরায় করে এসে তিনি আত্রেয়ী নদী থেকে জল নিয়ে এসে মায়ের পুজো দিয়ে আবার ফিরে যেতেন কলকাতায়। তবে এর সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি। এই বিষয়ে পুজা কমিটির সম্পাদক গোপাল পোদ্দার বলেন, আমরা শুনেছি আত্রেয়ী নদীর ধারে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়া কালীমাতার শিলাখণ্ড। সেই সময় ওই শিলাখণ্ড তুলে নিয়ে এসে পুজো দেন এক তান্ত্রিক। তার পর থেকেই শুরু হয় মায়ের পুজো (Kali Puja 2023)। প্রতি বছর দীপান্বিতা অমাবস্যায় মায়ের পুজো হয়। পুজোর দিন বহু ভক্ত আসেন পুজো দিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: ভারতীয় ‘হ্যালোউইন’, নাকি অন্য কিছু! ভূত চতুর্দশীতে কার পুজো করা হয়?

    Kali Puja 2023: ভারতীয় ‘হ্যালোউইন’, নাকি অন্য কিছু! ভূত চতুর্দশীতে কার পুজো করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2023)। এই তিথিকে আবার অনেকে নরক চতুর্দশী বলেও জানেন। দীপাবলির (Kali Puja 2023) একদিন আগে ও ধনতেরসের একদিন পর ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই তিথিটি ছোট দীপাবলি, রূপ চতুর্দশী বা নরকা পুজো নামেও পরিচিত। এদিন মৃত্যুর দেবতা যম ও কৃষ্ণের পুজো করা হয়। অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচতে নরক চতুর্দশীতে পুজো করা হয়। অনেকে এই দিনটিকে পশ্চিমী হ্যালোউইনের ভারতীয় সংস্করণ হিসেবেও দেখেন।

    কৃষ্ণ-সত্যভামার হাতে নরকাসুর-বধ কাহিনী

    ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশীতে মুক্তিলাভের আশায় পুজো করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান করার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এর প্রভাবে যমলোকের দর্শন করতে হয় না। বিষ্ণু পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, নরকাসুর নামক এক অসুর নিজের শক্তির দ্বারা দেবতা ও মনুষ্যদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ১৬ হাজার স্ত্রী এবং সাধুকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল নরকাসুর। এরপর মুনি-ঋষিরা কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন। নরকাসুরের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন কৃষ্ণ। কিন্তু শুধু স্ত্রীর হাতে মৃত্যুর অভিশাপ পেয়েছিল নরকাসুর। এই কারণে কৃষ্ণ নিজের স্ত্রী সত্যভামাকে সারথী করেন এবং তাঁর সাহায্যে নরকাসুরকে বধ করেন। যেদিন নরকাসুর বধ হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি (Kali Puja 2023)। তাই তিথিকে নরক চতুর্দশী বলা হয়।

    এদিন বেরিয়ে আসে অশরীরী প্রেতাত্মারা!

    আবার এই তিথিটিকে ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2023) বলার পিছনের আরেক ব্যখ্যা হল, মনে করা হয়, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামলেই অশরীরী প্রেতাত্মারা বেরিয়ে আসে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই তিথিতে গৃহস্থ বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার আর একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই তিথিতে চোদ্দ পুরুষের আত্মার আসা-যাওয়া থাকে। মনে করা হয় তাঁদের যাতায়াতের পথ আলোকিত রাখার জন্যই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার প্রথা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: স্বপ্নে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর, প্রতিষ্ঠা করেন আদ্যাপীঠের, জানুন ইতিহাস

    Kali Puja 2023: স্বপ্নে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর, প্রতিষ্ঠা করেন আদ্যাপীঠের, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের কিছু দূরেই অবস্থান আদ্যাপীঠের (Kali Puja 2023)। এখানে দেবী কালী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে বিরাজ করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। কথিত আছে, এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের শিষ্য শ্রী অন্নদা ঠাকুর (Kali Puja 2023)। আদ্যাপীঠ মঠের অবস্থান প্রায় ২৭ বিঘা জায়গা জুড়ে। এই পীঠের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে অজস্র অলৌকিক কাহিনীও। দেবী আদ্যার মূর্তি ছাড়াও দেখতে পাওয়া যায় এখানে রাধাকৃষ্ণ এবং শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মূর্তিও। গবেষকরা বলেন, মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অন্নদা ঠাকুরের বাড়ি ছিল অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তাঁর পৈতৃক নাম অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য। বাংলার ১৩২১ সালে অন্নদা ঠাকুর চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় কবিরাজি পড়তে আসেন। এই সময়ে কলকাতার বর্তমান আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন অন্নদাচরণ। সেখান থেকেই কবিরাজি পাস করেছিলেন বৃত্তি সমেত। তাঁর বন্ধুর বাবার সাহায্যে কবিরাজির চেম্বারও তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়।

    স্বপ্নাদেশে কী নির্দেশ পান অন্নদাশঙ্কর

    কথিত আছে, এই সময়ে অন্নদা ঠাকুরকে স্বপ্নাদেশ দেন আদ্যা মা। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও সেই স্বপ্নাদেশে এসেছিলেন। ওই স্বপ্নাদেশে, শ্রী রামকৃষ্ণ তাঁকে (অন্নদাচরণকে) ইডেন গার্ডেন্সে গিয়ে ঝিলের পাশে নারকেল এবং পাকুর গাছের কাছ থেকে কালি মূর্তি (Kali Puja 2023) নিয়ে আসতে বলেন। ঝিলের পাশ থেকে অন্নদাচরণ ১৮ ইঞ্চি আদ্যা মায়ের কোষ্ঠী পাথরের মূর্তি পান। ঘটনাক্রমে, সেদিন ছিল রামনবমী তিথি। রাতেই দেবী তাঁকে দেখা দিয়ে বলেন, ‘‘অন্নদা কাল বিজয়া দশমী, তুমি আমায় গঙ্গায় বিসর্জন দিও।’’ দেবীর এই কথা শুনে অন্নদা একপ্রকার আঁতকে ওঠে। সে ভাবতে থাকে পুজোপাঠ করিনি তাই হয়তো দেবী রাগ করে চলে যাচ্ছেন। তখন দেবী বলেন, ‘‘সহজ সরল প্রাণের ভাষায় যে ভক্ত নিজের ভোগ্য বস্তু আমাকে নিবেদন করেন সেটাই আমার পুজো। যদি কোনও ভক্ত আমার সামনে আদ্যাস্তোত্র পাঠ করে, তাহলে আমি বিশেষ আনন্দিত হই।’’ এরপরেই দেবী আদ্যাস্তোত্র পাঠ করেন, অন্নদা ঠাকুর তা লিখে রাখেন। স্বপ্নের মধ্যেই বিজয়া দশমীতে আদ্যা দেবীকে (Kali Puja 2023) বিসর্জন দেন অন্নদা। তবে স্বপ্নাদেশে পাওয়া সেই মাতৃমূর্তি ছবি নিজের মনে রেখে দিয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর। পরে তা থেকেই তৈরি হয় বর্তমান মূর্তিটি। বাংলার ১৩২৫ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে স্বপ্নেই সন্ন্যাসী দীক্ষা দেন বলে জানা যায়।

    আদ্যাপীঠের ভোগ

    আদ্যাপীঠে রাধা কৃষ্ণের জন্য সাড়ে ৩২ সের চালের রান্না হয়। দেবী আদ্যার জন্য সাড়ে ১২ সের চাল রান্না হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের রান্না হয় সাড়ে ১২ সের চালে। সেই ভোগ পঞ্চ ব্যঞ্জন এ নিবেদন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে পরমান্ন ভোগ। অন্নদা ঠাকুরের নির্দেশ অনুযায়ী, বড় মন্দিরে ভোগ যায় না। মন্দিরের পাশে ভোগালয় তা সাজিয়ে রাখা হয়। সেখানেই নিবেদন করা হয় ভোগ। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র পরমান্ন ভোগই যাবে দেবীর কাছে। আজও সেই রীতি বজায় রয়েছে আদ্যাপীঠে (Kali Puja 2023)। রাতে পরমান্ন ভোগ দেওয়া হয় ঘি এবং উৎকৃষ্ট চাল সহযোগে। বাংলার ১৩৩৫ সালে অন্নদা ঠাকুর পুরীতে প্রয়াত হন বলে জানা যায়। তাঁর ভক্তরা আজও পালন করে চলেছেন অন্নদা ঠাকুরের দেওয়া শিক্ষা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share