Tag: kalighater kaku

kalighater kaku

  • Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির! ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির! ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল ইডি। গ্রেফতারির ৫৯ দিনের মাথায় এই চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মোট ১২৬ পাতার এই চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে তদন্তকারী সংস্থা। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২০ কোটি টাকার তছরূপের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন কালীঘাটের কাকু। প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারায় চার্জশিট জমা দেয় ইডি।

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) বিরুদ্ধে  চার্জশিট পেশ করল ইডি

    এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই চার্জশিট পেশ করে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে ১২৬ পাতার চার্জশিটে রয়েছে প্রায় ৭০০০ পাতার নথি। এদিন ট্রাঙ্কে করে কাগজ এনে তা জমা দেন ইডির অফিসাররা। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ এনেছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ দুটি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। চার্জশিটে নাম রয়েছে ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড এবং এসডি কনসালটেন্সির। এই সংস্থাগুলির সাহায্যে কালো টাকা সাদা করা হতো বলে নিশ্চিত ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমেও সুজয়কৃষ্ণ কালো টাকা সাদা করতেন বলে অভিযোগ। কীভাবে কালো টাকা সাদা করা হতো তার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।

    কাকুর জামিনের আবেদন খারিজ

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। সম্প্রতি তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে সমস্যা ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারিও করানো হতে পারে বলে খবর মিলেছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের আবেদন করেন কাকুর আইনজীবী। এবিষয়ে বিচারক বলেন, ‘‘বাংলার গর্ব হল এসএসকেএম হাসপাতাল। সেখানে চিকিৎসা করান।’’ তবে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ধারণা, তাঁর অস্ত্রোপচার বেসরকারি হাসপাতালেও করতে হতে পারে। তাই নিম্নআদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে ইডি-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে ইডি-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম বড় চরিত্র। আদপে বেহালার বাসিন্দা কালীঘাটের কাকুর আসল নাম যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, তা আর কারও অজানা নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণের নিত্য নতুন নানা কারবারের হদিশ পাচ্ছে ইডি। বুধবারও শহরের তিন জায়গায় চলল ইডি হানা। এজেসি বোস রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। জানা গিয়েছে, ইডি হানা চলেছে একটি নির্মাণকারী সংস্থার অফিসগুলিতে। রিয়েল এস্টেট ব্যাবসায় নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। 

    ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)

    ইডি সূত্রে খবর মিলেছে, কালীঘাটের কাকুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা নাকি ১০০টি। জানা গিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলির উপরেও কড়া নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতারের আগেও সুজয়কৃষ্ণের ওপর সাতমাস ধরে নজরদারি চালাতেন গোয়েন্দারা। কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন কাকু, কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করতেন, সব কিছুই খুঁটিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে কয়েকদিনে প্যারোলে মুক্ত ছিলেন কালীঘাটের কাকু। সম্প্রতি তাঁর অসুস্থ হওয়ার খবরও মেলে। বুকে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাকুকে। ইডি সূত্রে খবর, নামে, বেনামে একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)। এই সংস্থাগুলির সাহায্যে কালো টাকা সাদা করা হতে বলে অনুমান তদন্তকারী সংস্থার। জানা গিয়েছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছিলেন কাকু।

    কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে পারবে ইডি

    অন্যদিকে, কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। কালীঘাটের কাকুর একাধিক অডিও ক্লিপ রয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ইডি। এগুলি তাঁরই কিনা তা নিশ্চিত হতেই এখন কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় ইডি। এদিন তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, তদন্তের এই পর্যায়ে এসে আদালত নমুনা সংগ্রহের উপর কোনও বাধা দিতে চাইছে না। তবে এই নমুনা তথ্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা হবে কি না, পরবর্তী কালে আদালত তা বিবেচনা করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকুর ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ, দাবি করল ইডি

    Kalighater Kaku: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকুর ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ, দাবি করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku), ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানাল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এইসব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ঘেঁটে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক খুলে যেতে পারে। শোনা যাচ্ছে, এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সাহায্যেই কালো টাকা সাদা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সোমবার ইডি সূত্রে জানা গেছে, আরও নতুন তিনটি কোম্পানির নাম পাওয়া গেছে, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এর আগেই কালীঘাটের কাকুর নামে তিনটি সংস্থার হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। সংস্থার আধিকারিকদের মতে, এই তিনটি সংস্থাতেই নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হত। 

    ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)

    প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে কালীঘাটের কাকুকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তে বিভ্রান্ত করতে থাকেন তিনি। একাধিক বয়ানে মেলে অসঙ্গতি। সেদিন রাত ১১ টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে।

    আরও পড়ুন: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত? 

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগ

    একাধিক ভুল তথ্য সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডির কাছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যেমন তিনি বলেছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে নাকি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত চিনতেন না! কিন্তু ইডি ২০১৮ সালেই মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথোপকথনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে যোগ মিলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। জানা যাচ্ছে, ধৃত ২ তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন ছিল। শুধু তাই নয্‌ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে বিভিন্ন সময় বড় অঙ্কের টাকা ধারও দিতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই টাকার উৎস কী? তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরও ৭-৮ টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে কালীঘাটের কাকুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    ED: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারির তিন দিনের মাথায় দিল্লি থেকে কলকাতা এলেন ইডি (ED) প্রধান সঞ্জয় মিশ্র। তবে কি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি নতুন মোড় এনে দিল? বড় কোনও রাঘববোয়ালের সন্ধানে এবার ইডি? এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। 

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পা রাখেন ইডি প্রধান (ED)

    প্রসঙ্গত গত বছরের নভেম্বর মাসেই ইডি প্রধান হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য দায়িত্ব নেন সঞ্জয় মিশ্র। জানা গেছে, আরও এক বছরের জন্য তাঁর দায়িত্ব বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পা রাখেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক হতে পারে তাঁর! বাকি যে তদন্তগুলি চলছে সেগুলির বিষয়ে খোঁজখবর এবং রিপোর্ট নেবেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারির পরপরই ইডি প্রধানের আগমন কি নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় মাথার সন্ধানে? রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ভাবছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের কনভয়কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে যাচ্ছে কুড়মিরা

    নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্র কালীঘাটের কাকু?

    কালীঘাটের কাকু যেন নিয়োগ দুর্নীতির নিউক্লিয়াস। ইডির দাবি, তদন্তকে বিপথে চালিত করতে নানা মিথ্যা তত্ত্ব সামনে এনেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি বলেছিলেন যে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর কোনও রকমের যোগাযোগ নেই এবং ২০২১ সালের আগে নাকি তিনি প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতিকে চিনতেন না! কিন্তু ইডি (ED) যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালেও নিয়মিত কথাবার্তা চলত মানিক ভট্টাচার্য এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মধ্যে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। তেমনি যারা চাকরি পাইয়ে দিত, সেই দালালদের সঙ্গেও ওঠাবসা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকু। কুন্তল ঘোষের ডায়েরিতেও তাঁর নাম মিলেছে। প্রসঙ্গত, কালীঘাটের কাকু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সংস্থা দেখভাল করেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারির পরে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের দাবি, চুনোপুঁটিদের নয়, একেবারে রাঘববোয়ালকেই ধরতে হবে। তবে কি কোনও রাঘববোয়ালকে ধরতেই শহরে তড়িঘড়ি আগমন হল ইডি প্রধানের? এর উত্তর আগামী দিনেই বোঝা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা-সহ পাঁচটি অডিয়ো ক্লিপ ফরেন্সিকে পাঠাল ইডি

    Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা-সহ পাঁচটি অডিয়ো ক্লিপ ফরেন্সিকে পাঠাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের ‘কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাল ইডি। গত সপ্তাহেই ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এবার সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ইডির তরফে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

    কেন পাঠানো হল রেকর্ডিং ক্লিপিং

    ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনার সঙ্গে পাঁচটি রেকর্ডিং ক্লিপিংও পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্যই রেকর্ডিং ক্লিপিংগুলি পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বার বার বলেছে ইডি। সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করে তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra) কন্ঠস্বর মেলাতে পারলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কণ্ঠস্বর রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয় ইডির তরফ থেকে, ঘটনাচক্রে তার পরেই এসএসকেএমে ভর্তি হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন ‘কাকু’। তিনি ‘গুরুতর’ অসুস্থ হওয়ায় এসএসকেএম তাঁকে ছুটি দিতে পারছে না। এমনকি, জোকার ইএসআই হাসপাতালে গিয়ে কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারেরা আপত্তি করেছিলেন বলে ইডি-র অভিযোগ। সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রুদ্ধদ্বার শুনানি করে নির্দেশ দেন,‘কাকু’-র কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করলে এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি। তারপরেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একক বেঞ্চের পরে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku)। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই কার্যকর হবে, একথা সাফ জানালেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

    ইডির তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে

    নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনিয়ে বুধবারই হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শেষ করব কীভাবে? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। প্রতি পদে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ ইডির আইনজীবীর কথায় উঠে আসে সন্দেশখালির ঘটনাও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী আধিকারিকদের মারধর করা হচ্ছে। এফআইআর করা হচ্ছে।’’ এর পর ইডির আইনজীবী বলেন, কী ভুল রয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ওই নির্দেশে? তিনি তো নির্দেশে লিখেছেন যে, কণ্ঠস্বরের নমুনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

    কী বললেন বিচারপতি সৌমেন সেন

    যদিও কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন এদিন তুলতে দেখা গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চকে। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের কিছু অধিকার থাকে। আইন অনুযায়ী তিনি এই নমুনা দিতে অস্বীকার করতে পারেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সঠিক কাজ করেননি। বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যখন এই একই বিষয়বস্তু নিয়ে মামলা বিচারাধীন তখন বিচারপতি অমৃতা সিংহের এই নির্দেশ সঠিক নয়। এটা বিচারবিভাগীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এবং বিচারবিভাগীয় আচরণবিধির ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ নয়। এটা মারাত্মক প্রবণতা।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণকে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে রাতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: সুজয়কৃষ্ণ স্থিতিশীল! ‘কাকু’র শরীরে বড় জটিলতা নেই, ইডিকে জানাল এসএসকেএম

    Sujay Krishna Bhadra: সুজয়কৃষ্ণ স্থিতিশীল! ‘কাকু’র শরীরে বড় জটিলতা নেই, ইডিকে জানাল এসএসকেএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মাঝেমধ্যে হৃদ্‌স্পন্দনে ছন্দপতন ঘটলেও ওষুধের মাধ্যমে তা এখন অনেকটাই সুস্থ, ‘কালীঘাটের কাকু’। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’-এ এরকমই জানিয়েছে এসএসকেএম। কলকাতা হাইকোর্টে তা পেশও করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শরীরে বড় কোনও সমস্যা নেই বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও জানিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল। 

    কী বলছে এসএসকেএম-এর রিপোর্ট

    আদালত সূত্রে খবর, হাইকোর্টে এসএসকেএম হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগের তরফে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ৬২ বছরের সুজয়কৃষ্ণ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। তবে তাঁর রক্তচাপ (১০৬/৭০) এবং নাড়ির স্পন্দনে (৮৮/মিনিট) তেমন কোনও অস্বাভিকতা নেই। বুধবারের (৩ জানুয়ারি) ওই রিপোর্টে ইডি হেফাজতে থাকা সুজয়ের অন্য কোনও গুরুতর শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লিখিত হয়নি। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে প্রায় পাঁচ মাস পরে ‘কাকু’কে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বার করে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে একই বাক্য বার বার করে বলানো হয়। ওই সূত্রের খবর, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও।

    ইডির রিপোর্ট

    ইডি সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়। ইডি হাইকোর্টে যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান তাঁদের জানিয়েছেন যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শরীরে বড় কোনও সমস্যা (Major Complications) নেই। ডাক্তাররা তাঁর হৃদপিণ্ডে কোনও সিরিয়াস রিদম ডিসঅর্ডার (Ryth Disorder) পাননি। অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের ছন্দ ঠিকই রয়েছে। চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বুধবার রাতেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    কেন শয্যা দখল

    শরীরে বড় কোনও সমস্যা না থাকলেও কেন এখনও এসএসকেএম হাসপাতালের বেড দখল করে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকী আদালতও এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে। পিজি হাসপাতাল হল উৎকর্ষতার দিক থেকে রাজ্যের অন্যতম নামী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষ সহজে পিজিতে চিকিৎসার জন্য বেড পান না। এই অবস্থায় শরীরে গুরুতর সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও সুজয়কৃষ্ণকে পিজিতে রেখে দেওয়া হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে সাধারণ মানুষ জায়গা পাচ্ছেন না। অথচ  কালীঘাটের কাকু সেখানে বেড দখল করে  রয়েছেন প্রায় ৪ মাস ধরে। কোন যুক্তিতে তিনি হাসপাতালে তা জানতে চাইছে আদালতও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল দিল্লি, কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    Kalighater Kaku: কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল দিল্লি, কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার মধ্যরাতে ১৫ থেকে ২০ রকম ভঙ্গিতে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। ইডি সূত্রে  জানা গিয়েছে, ওই ১৫-২০ রকম স্বরক্ষেপণের ভঙ্গি সংগ্রহ করতে দিল্লি থেকে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির এক বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন কলকাতায়। নমুনা সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। ইডির অনুমান, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে। তার পরে তা পেশ করা হবে আদালতে।

    কী বলছেন ইডি আধিকারিক?

    ইডি সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আগেই। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করা হয়, তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘সুজয় (Kalighater Kaku) ঠিক যেমন ভাবে ফোনে কখনও উচ্চস্বরে, কখনও নিম্নস্বরে কথা বলেছিলেন, ঠিক তেমন ভাবেই বুধবার রাতে তাঁকে কথা বলতে বলে, তাঁর গলার স্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে একই কথা একাধিক বার বলানো হয়েছে।’’

    কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    অপরাধীদের ধরতে ফরেন্সিক সায়েন্সে একাধিক পদ্ধতি রয়েছে, যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ, ডিএনএ অ্যানালিসিস ইত্যাদি। তার মধ্যেই একটি হল এই কণ্ঠস্বর পরীক্ষা বা ফরেন্সিক ভয়েস অ্যানালিসিস। একে অনেক সময় ফরেন্সিক ভয়েস কম্প্যারিসনও বলা হয়। মোবাইল ফোনের অডিও রেকর্ড, ভয়েস রেকর্ডিং-এর গলার স্বরের সঙ্গে অভিযুক্তের গলার স্বরের মিল আছে কিনা বা দুটি মানুষই একই কিনা তা বোঝা যায় এই পদ্ধতিতে। ভয়েস স্যাম্পেল বা কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য যাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হবে তাঁকে একটি লেখা পড়তে দেওয়া হয়। কীভাবে তিনি পড়ছেন, গলার পিচ বা তীব্রতা, স্বরের ফ্রিকুয়েন্সি বা কম্পাঙ্ক, উচ্চারণ পদ্ধতি, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। কোনও প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিচ্ছেন, কোন ক্ষেত্রে গলার স্বরের তীব্রতা বাড়ছে, উত্তেজিত হলে গলার স্বরে কতটা বদল আসছে, ভয় বা টেনশন হলে স্বরে কী কী বদল হচ্ছে এসব কিছুও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে চার মাসের অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) ভয়েস স্যাম্পল হাতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা? তদন্তেই বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই কণ্ঠস্বর নমুনা?

    অগাস্ট থেকে এসএসকেএমেই ঠিকানা ‘কাকু’র

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেটা গত বছরের অগাস্ট মাস। সেই মাসেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তার পর ২২ অগাস্ট থেকে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ঠিকানা হয়ে যায় এসএসকেএম হাসপাতাল। কখনও তাঁর ঠাঁই হয় হাসপাতালের আইসিসিইউ বেডে তো কখনও কার্ডিওলজি বিভাগে। সেই থেকে প্রায় সাড়ে চার মাস ওই বিভাগের একটি শয্যা দখল করে রয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)। 

    ‘কাকু’-র কণ্ঠ পেতে মরিয়া ছিল ইডি

    সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইডি। তদন্তকারীরা জানতেন, তদন্তের স্বার্থে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, গ্রেফতারের পর দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে ইডি-কে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এতদিন তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা এতদিন সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি৷ কারণ, শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। বার বার এসএসকেএমে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ইডিকে। এমনকী, ডিসেম্বরের শুরুতে জোকা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স গিয়েও ফিরে এসেছিল। 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    ‘কাকু’কে আড়াল করছে এসএসকেএম!

    এই প্রেক্ষিতে, ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, ‘কাকু’-কে আড়াল করছে এসএসকেএম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার দোহাই দিয়ে বার বার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করছিল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ৷ ইচ্ছে করেই তাঁর স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর পরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ইএসআই হাসপাতালে ‘কাকু’কে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হোক। ২ জানুয়ারি কণ্ঠস্বরের নমুনার উপর ফের জোর দেয় আদালত। ফলস্বরূপ, বুধবার মধ্যরাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে হয় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। যা তদন্তের (Recruitment Scam) গতিপ্রকৃতি স্থির করতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট ভীষণই বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। তাঁরা জানান, ডিএনএ স্যাম্পেলিং, রেটিনাল ম্যাপিং কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যানালিসিস-এর মতোই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট।  সূত্রের খবর, এবার সুজয়কৃষ্ণর এই কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ যার ফলাফলের উপর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের (Recruitment Scam) ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বলে ওয়াকিবহল মহলের মত৷ তদন্তকারীদের ধারণা, সেখান থেকেই অনেক রহস্যের উন্মোচন হবে (Kalighater Kaku)। 

    কথোপকথন পরীক্ষা করা হবে…

    ইডি সূত্রর দাবি, নিয়োগ মামলার তদন্তে (Recruitment Scam) এই পরীক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিশ্বাস। গোয়েন্দাদের মতে, এই নমুনা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে যেদিন সুজয়কৃ্ষ্ণর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি, সেদিনই বিষ্ণুপুর থানায় কর্মরত ‘কাকু’-র ঘনিষ্ঠ রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেও পৌঁছেছিল তদন্তকারী দল। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তার মধ্য়ে ছিল একটি কথোপকথন। ইডির দাবি, অডিও ক্লিপিংয়ে শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলো। ইডি-র দাবি, বক্তা আর কেউ নন, ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই জন্যই এই কণ্ঠস্বর পাওয়া এত জরুরি ছিল ইডি-র কাছে, চ্যালেঞ্জও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    Kalighater Kaku: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানা, টানাপোড়েন পেরিয়ে প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে নিয়োগকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া চরম নাটকের যবনিকা পড়ল বৃহস্পতিবার ভোররাতে।

    মুখে মাস্ক, গায়ে চাদর চাপিয়ে বের হন ‘কাকু’

    বুধবার রাত ৯.৫০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের করা হয় ‘কালীঘাটের কাকু’কে। এসএসকেএমের হৃদরোগ বিভাগের কেবিন থেকে খয়েরি রঙের চাদর মুড়ি দিয়ে বের হয়েছিলেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। মুখে ছিল মাস্ক। হুইলচেয়ারে করে তাঁকে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। আদালতের নির্দেশ মতো, তাঁকে সোজা আনা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল জোকা ইএসআই হাসপাতালে তৈরি ছিল৷ মেডিক্যাল পরীক্ষার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ 

    ভয়েস দিতে রাজি হচ্ছিলেন না ‘কাকু’

    সূত্রের খবর, তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এদিনও যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-কে (Enforcement Directorate)। প্রথম দিকে প্রায় একঘণ্টা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাত পৌনে একটা নাগাদ চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মতো বাক্যগুলি বলতে রাজি হন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)৷ দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে চলে তাঁর ‘ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট’ এর প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, ‘কাকু’র মুখ দিয়ে তিনটি বাক্য বার বার বলানো হয়। সেগুলি হল— ‘আপনার নাম কী?’, ‘আপনার স্ত্রীর নাম কী?’ এবং ‘আমার সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না’৷

    এসএসকেএমে ফিরলেন ভোর রাতে…

    শেষে রাত্রি ২টো বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে ‘কাকু’কে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ফের রওনা দেয় এসএসকেএমের উদ্দেশে। সেখানেও ফিরেও একপ্রস্থ নাটক হয়। গেট বন্ধ থাকায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ‘কাকুকে’। অবশেষে ভোর ৩টে ২০ নাগাদ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share