Tag: kalyani

kalyani

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কল্যাণীর সগুনা পঞ্চায়েতের কাঁটাবেলে এলাকা। তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনেই বুথ সভাপতিকে ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে সংখ্যালঘু সেলের নেতার বিরুদ্ধে। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। ঘটনার জেরে এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় দলীয় কার্যালয়ে। দুপক্ষের চারজন জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নব জোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় আসছেন। কল্যাণীর সগুনায় তাঁর আসার কথা রয়েছে। সেই কর্মসূচি উপলক্ষে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডলের উদ্যোগে বুধবার রাতে কাঁটাবেলে তৃণমূল পার্টি অফিসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডল বলেন, “আসলে আমি নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। মিটিং চলাকালীন জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে হামলা হয়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করে ওরা।” অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল বলেন, “সাইফুলের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। বিজেপির মদতে ওরা এসব করছে। আমি সহ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছি। আমরা কোনও হামলা করিনি। বোমাবাজির অভিযোগ ঠিক নয়।”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি তারক চন্দ বলেন, “পার্টি অফিসে বসা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝি থেকে এসব হয়েছে। দলীয় কোন্দলের বিষয় নেই। তবে, আমাদের আরও সংযত হওয়া দরকার। দুপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রত্যেকে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। ফলে, আর কোনও সমস্যা নেই। আমরা সকলেই একজোট হয়ে লড়াই করব।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের (TMC) এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজকের নয়। এই দল শুরু থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এই ঘটনা শুধু কাঁটাবেলের এলাকা জুড়ে নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। দুর্নীতির জেরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই দলটি লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে এসে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হলেন রোগী। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।  হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট থেকে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। হাসপাতালে ডায়ালিসিস পরিষেবা নিতে এসে পাঁচজন রোগী এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনই অভিযোগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন এক রোগী। আর এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই অনেক রোগীর পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে ডায়ালিসিস করাতে আসছে না বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা এক রোগী এর আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করেছিলেন। মূলত ডায়ালিসিস বিভাগে অব্যবস্থা নিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের পর পরই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ডায়ালিসিস ইউনিট খতিয়ে দেখা হয়। এরপরই ওই রোগী ফের স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ডায়ালিসিস ইউনিটে একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে চিকিত্সার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর তারজন্যই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। পরে, শারীরীক পরীক্ষা করে জানা যায়, গত কয়েকমাসের মধ্যে এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা ৮ জনের মধ্যে ৫ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই তাঁরা সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্তের তিনি দাবি জানান।

    কী বললেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ?

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পরই মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কল্যাণী (Kalyani) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় বলেন,  আমাদের হাসপাতালে ১০টি ডায়ালিসিস বেড রয়েছে। তারমধ্যে একটি বেড এইচআইভি রোগীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। তবু, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সুপারের নেতৃত্ব ৮ সদস্যের হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইপাওয়ার কমিটি তদন্তের প্রয়োজনে যে পাঁচজন এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের পরীক্ষা করবেন। আর হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack:  নৈহাটি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যানের ছেলে গ্রেপ্তার, কেন জানেন?

    Attack: নৈহাটি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যানের ছেলে গ্রেপ্তার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপি নেতা সৌমেন সরকারের উপর হামল (Attack) চালানোর ঘটনায় নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করল। অভিজিতবাবু তৃণমূলের দাপুটে যুব নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ। শাসক দলের খোদ চেয়ারম্যানের ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তবে, কে বা কারা তাঁর সঙ্গে এই ষড়যন্ত্র করেছে  সেই বিষয়ে তিনি আর খোলসা করে কিছু বলেননি। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে দলের জেরবার অবস্থা। এরমধ্যেই চেয়ারম্যানের ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী হয়েছিল? Attack

    বুধবার সন্ধ্যায় নৈহাটি নদীয়া জুট মিলের গেস্ট হাউসের সামনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষকে (Attack)  কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সামান্য মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আর হামলার জেরে  বিজেপি নেতা সৌমেন সরকার ওরফে নাচু এবং তৃণমূলের যুব নেতা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জখম হন। সৌমেনবাবুর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুপক্ষই নৈহাটি থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এই সৌমেনবাবুর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৩ শে মে তৃণমূল পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় দলবল নিয়ে এসে হামলা (Attack)  চালিয়েছে। আসলে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই ওরা এসব করছে। সৌমেনবাবুর মাথায় এগারোটি সেলাই হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। অন্যদিকে, এই বিষয়ে নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার ছেলে একটা নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাচ্ছিল।  সেই সময় এই সৌমেন সরকার তাঁকে উদ্দেশ্য করে নানা ধরনের মন্তব্য করে। অভিজিত্ আপত্তি জানালে  তাঁকে লক্ষ্য করে সে বাঁশ  দিয়ে হামলা (Attack)  চালায়। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। কয়েকজন জখম হয়েছে। ২০১৯ সালে এই নাচুই নৈহাটিতে পরিবেশ অশান্ত করেছিল। এদিন সে ফের অশান্তি করার চেষ্টা করছিল। তৃণমূলের ছেলেটা তা রুখে দিয়েছে। বুধবার ঘটনার পর পরই অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আমি বাইকে করে যাচ্ছিলাম। আমাকে দেখেই ও গালিগালাজ করতে থাকে। আমি বাইক থামিয়ে আপত্তি জানাই। এরপর ও আমার উপর হামলা করে। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায়সহ দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রবিবার উদ্বোধন কল্যাণী এইমসের, রোগী ভর্তি কবে থেকে জানেন?

    PM Modi: রবিবার উদ্বোধন কল্যাণী এইমসের, রোগী ভর্তি কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান হচ্ছে রবিবার। বাংলার প্রথম এইমস হাসপাতালের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উনিশ সালে চালু হয়েছিল এই হাসপাতালের কয়েকটি বিভাগ। এবার পুরোদমে চালু হতে চলেছে হাসপাতালটি। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন তিনি। এদিনই তিনি উদ্বোধন করবেন রাজকোট, মঙ্গলাগিরি, ভাটিন্ডা, রায়বরেলি ও জম্মু এইমেসরও।

    কল্যাণী এইমস

    বর্তমানে কল্যাণীতে যে এইমস তৈরি হয়েছে, তা হওয়ার কথা ছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। পরে সেই হাসপাতাল তৈরি হয় কল্যাণীতে। মোদি সরকার (PM Modi) অনুমোদন দেওয়ায় কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে গড়ে ওঠে এইমস। এতদিন কয়েকটি বিভাগে আউটডোরে চিকিৎসা হচ্ছিল। এবার সেটাই চালু হবে পুরোদমে।

    কী কী রয়েছে এই এইমসে?

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই অনুমোদন মেলে কল্যাণী এইমসের। পরের বছর ১ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ১৭৯ একর জমি দেয় রাজ্য সরকার। হাসপাতালটিতে শয্যা রয়েছে ৯৬০টি। ১২৫টি আসনের মেডিক্যাল কলেজ, ৬০ আসনের নার্সিং কলেজ, ৩০ শয্যার আয়ুষ ব্লক, অধ্যাপক ও কর্মীদের জন্য আবাসন, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস, নৈশকালীন আশ্রয়স্থল, অতিথিনিবাস ও প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক আইসিইউ, ২৩টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার, একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং উন্নতমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

    এতদিন সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের ওপিডি খোলা থাকত। সোম, বুধ ও শুক্র খোলা থাকত সিটিভিএস। সোম ও বুধবার থাকত কার্ডিওলজি, সোম ও শুক্র খোলা থাকত অপথেমোলজি, বৃহস্পতিবার থাকত ইএনটি এবং শুক্রবার থাকত সাইক্রিয়াট্রিক বিভাগ।

    আরও পড়ুুন: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা ছড়িয়ে দিতে চান গোটা দেশে। তাই দেশে ২২টি নতুন এইমস তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি অনুমোদন পেয়েছে এনডিএ সরকারের আমলে। এই তালিকায় রয়েছে, গোরখপুর, নাগপুর, কল্যাণী, মঙ্গলগিরি, বিবিনগর, ভাতিন্ডা, দেওঘর, বিলাসপুর, রাজকোট, গুয়াহাটি, বিজয়পুর, মাদুরাই, অবন্তিপোরা, রেওয়াড়ি এবং দ্বারভাঙা (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • MGNREGA: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    MGNREGA: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ মারা গিয়েছেন ১০ বছর আগে। কেউ বা ৮। তবে তাঁদের জবকার্ড (Job Card) রয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত মজুরিও ঢুকেছে। এভাবেই লুঠ হয়েছে একশো দিনের কাজের (MGNREGA) টাকা। নদিয়া জেলার কল্যাণীর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। একটা, দুটো নয়, এরকম ১ হাজার ৫০০ জাল একশো দিনের কাজের জবকার্ডের হদিশ মিলেছে। শুধু ২০১৯ এবং ’২০ সালের মধ্যেই এভাবে লুঠ হয়েছে অন্তত ৫ কোটি টাকা। যিনি এই অভিযোগ করেছেন তিনি একাধারে স্থানীয় বাসিন্দা, অন্য দিকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

    একশো দিনের কাজ…

    তিনি নারায়ণ হালদার। গত ডিসেম্বরে তিনিই বিষয়টি নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। দায়ের করেছেন পিটিশন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারী যে অভিযোগ করেছেন, তা প্রমাণ করতে পারবে নদিয়া জেলা প্রশাসন। এই নির্দেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তদন্তের কাজ শেষ করতে হবে তাদের। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর তদন্তের কাজ কতদূর এগোল, তা জানতে নদিয়ার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে যান এক সাংবাদিক। আমি এখন ব্যস্ত আছি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    অভিযোগকারী নারায়ণবাবু জানান, ভুয়ো জবকার্ডের (MGNREGA) খোঁজ পেতে তিনি ময়দানে নামেন ২০২০ সালে অতিমারিতে লকডাউনের সময়। তিনি দেখেন, ওই সময় কোনও কাজ না হলেও, তাঁর এলাকার অনেক জবকার্ড হোল্ডারই নিয়মিত মজুরি পাচ্ছেন। নারায়ণবাবু বলেন, স্থানীয়দের অনেকেই আমাকে বলেছেন, তাঁদের নাম একশো দিনের কাজ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের অনুমতি ছাড়াই খোলা হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, যখন আমি ফের এ ব্যাপারে তদন্ত করতে যাই, তখন আমি এমন বেশ কয়েকটি জবকার্ড দেখেছি, যাঁরা অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তবে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়নি। মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে (MGNREGA) মজুরি ঢুকেছে নিয়মিত। ২০১৪ সালে মারা গিয়েছেন সমরকুমার দে। ২০২০ সালেও তিনি একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর খোঁড়ার কাজ করছেন!এরকম উদাহরণ রয়েছে আরও। নারায়ণবাবুর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেন, যাঁদের প্রকৃত কাজ পাওয়ার দরকার, তাঁরা পাননি। অথচ গরিবের টাকা লুঠ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share