Tag: Kamakhya

Kamakhya

  • Odisha: ওড়িশায় লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, মৃত ১, উঠছে নাশকতার প্রশ্ন

    Odisha: ওড়িশায় লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, মৃত ১, উঠছে নাশকতার প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু থেকে অসমের কামাখ্যা যাচ্ছিল ট্রেনটি। রবিবার ওড়িশার (Odisha) কটক স্টেশন ছেড়ে কেন্দাপাড়ার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ খবর অনুযায়ী, কামাখ্যা এক্সপ্রেসের (Bangalore Kamakhya Superfast Express) ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত ১ জন ও আহত ৭ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় নাশকতার প্রশ্নও উঠছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কটকের দিঘি ক্যানেলের কাছে, মাঙ্গুলিতে আচমকাই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একেবারে আতঙ্কে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আসেন।

    বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল (Odisha)

    এই ঘটনায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। জানা গিয়েছে, প্রথম কয়েক ঘণ্টা কোনও উদ্ধারকারী ট্রেন এসে পৌঁছায়নি। রেললাইনের ধারেই অপেক্ষা করছিলেন ট্রেনের যাত্রীরা। প্রসঙ্গত, রেল দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ধৌলি এক্সপ্রেস, নীলাচল এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।

    দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম

    ওড়িশা টিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম। লাইনে কোনও গোলমাল থাকায় প্রথমে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর সেই ধাক্কার অভিঘাতে পর পর আরও ১০টি বগি লাইন থেকে সরে যায়। তবে আরও বড় দুর্ঘটনা হতে পারত, যা এড়ানো গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছোনোর বিকল্প বন্দোবস্ত করা হবে।

    কী বললেন রেল আধিকারিক

    পূর্ব উপকূলীয় রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অশোক মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রবিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কামাখ্যা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। আমরা সেই খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আর একটি ট্রেন পাঠানো হয়েছে। রেল আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরাও পৌঁছেছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’অশোক আরও বলেন, ‘‘কী কারণে দুর্ঘটনা, এত দ্রুত তা বলা মুশকিল। এখন আমাদের অগ্রাধিকার দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই কাজ শুরু হয়েছে।’’

  • Kamakhya Temple: অম্বুবাচীতে কামাখ্যা মন্দিরে কী হয় জানেন?

    Kamakhya Temple: অম্বুবাচীতে কামাখ্যা মন্দিরে কী হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে অম্বুবাচী। এই সময় তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দ্বার। প্রচলিত বিশ্বাস, এই সময় মা কামাখ্যা (Kamakhya Temple) ঋতুমতী হন। অম্বুবাচী উপলক্ষে তিন ধরে চলে বিশেষ পুজো-পাঠ-মেলা।

    রজঃস্বলা হন দেবী (Kamakhya Temple)

    পুরাণ অনুযায়ী, শিবনিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহত্যাগ করেন সতী। তাঁকে নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য করতে শুরু করেন সতী-পতি মহাদেব। শুরু হয় প্রলয়। শিবকে শান্ত করতে সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেন বিষ্ণু। সতীর যোনিদেশ গিয়ে পড়ে কামাখ্যায়। এই কামাখ্যা প্রসিদ্ধ সিদ্ধপীঠ। প্রতিবছর ৭ আষাঢ় রজঃস্বলা হন দেবী কামাখ্যা। নীল পর্বতে অবস্থিত দেবী কামাখ্যার মন্দির (Kamakhya Temple) চত্বর তন্ত্র সাধনার পবিত্র ক্ষেত্র। তাই অম্বুবাচীর সময় দেশ-বিদেশের নানা স্থান থেকে তান্ত্রিক ও অঘোরিরা এসে উপস্থিত হন এখানে। মগ্ন থাকেন জপ-তপে। লোকবিশ্বাস, এই সময় দেবী জাগ্রত হন। তাই যা কিছু কামনা, দেবীর কাছে তা করতে হয় এই সময়।

    মন্দিরের দ্বার বন্ধ

    প্রতি বছর ২২ জুন থেকে বন্ধ থাকে মন্দিরের দ্বার। খোলা হয় ২৫ জুন। এই সময় মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না ভক্ত কিংবা পুরোহিতরা। মন্দির বন্ধের দিন সতীর প্রস্তরীভূত যোনিমণ্ডলের ওপর রেখে দেওয়া হয় একটি সাদা কাপড়। মন্দির খোলা হলে দেখা যায়, সেটি রক্তে রাঙা। সেই কাপড়ের টুকরোই প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয় ভক্তদের।

    মন্দিরের দ্বার বন্ধ হলেও, পুজো-পাঠ বন্ধ থাকে না। এই সময় দেবীর ভোগরাগ হয় বাইরে দেবী মূর্তির সামনে। অবশ্য প্রতিদিনই তাই হয়। পার্থক্য কেবল, বছরের ৩৬২ দিন ভক্তরা যোনিপীঠ দর্শন করতে পারলেও, অম্বুবাচী চলাকালীন তা করা যায় না। রজঃনিবৃত্তির পর ঋতুস্নান করিয়ে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। তারপর ফের ভক্তরা দর্শন করতে পারেন সতীর প্রস্তরীভূত যোনি।

    আর পড়ুন: বাংলায় জাল নথি বানিয়ে হিন্দু ‘সেজে’ বাস অনুপ্রবেশকারীর, গ্রেফতার বাংলাদেশি

    অম্বুবাচী চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই গরম খাবার খান না। পুরোহিতরাও এই তিনদিন গরম কোনও খাবার খান না। অনেকে আবার ফলমূল খেয়েই কাটান অম্বুবাচীর দিনগুলি। যেহেতু অম্বুবাচীতে দেবীর মহিমা প্রকটিত হয়, তাই এই সময় তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না কামাখ্যায়। মেলা উপলক্ষেও প্রচুর মানুষের আগমন হয় (Kamakhya Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “কামাখ্যা করিডর হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনের প্রবেশদ্বার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “কামাখ্যা করিডর হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনের প্রবেশদ্বার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনের প্রবেশদ্বার হবে কামাখ্যা করিডর।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন অসমের গুয়াহাটিতে ১১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, কাশী বিশ্বনাথের থেকে প্রেরণা পেয়ে কামাখ্যা করিডর গড়তে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী জানান, কাশী বিশ্বনাথ করিডর তৈরি হওয়ার এক বছরের মধ্যেই বিশ্বনাথ দর্শন করেছেন ৮.৫ কোটি ভক্ত। তিনি বলেন, “গত কয়েক দিনে অনেক তীর্থ ঘুরে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে আজ আমি মা কামাখ্যার দুয়ারে হাজির হয়েছি। মা কামাখ্যা দিব্যলোক পরিযোজনা (করিডর) প্রকল্পের জেরে ভোল বদলে যাবে এখানকার অর্থনীতির।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার পরে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করেছে, তারা ভারতের পবিত্র স্থানগুলির মাহাত্ম্যই বুঝতে পারেনি।” তিনি বলেন, “আমাদের তীর্থ, মন্দির, ধর্মস্থল কেবলই দর্শনস্থল নয়, হাজার হাজার বছরের সভ্যতার যাত্রার অটুট নিশানা। ভারত সব সঙ্কটের মোকাবিলা করে কীভাবে নিজেদের অটল রেখেছে, তার সাক্ষী।”

    নিশানা কংগ্রেসকে

    এদিন কংগ্রেসকেও একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “দুর্ভাগ্যের কথা, স্বাধীনতার পরে দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করা দল শুধুই রাজনৈতিক লাভের জন্য নিজের সংস্কৃতি, অতীত নিয়ে লজ্জিত হওয়ার পরিকল্পনা বানিয়ে ফেলেছিল। কোনও দেশ এভাবে নিজের অতীতকে ভুলিয়ে, নিজের শিকড় কেটে ফেলে বিকশিত হতে পারে না। গত দশ বছরে ভারতের পরিস্থিতি বদলেছে।” তিনি বলেন, “করিডর তৈরির পরে গত এক বছরে ৮.৫ কোটি মানুষ কাশী ও সাড়ে ৫ কোটি মানুষ উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গিয়েছেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠার ১২ দিনের মধ্যেই অযোধ্যায় বালক রাম দর্শন করেছেন ২৪ লক্ষের বেশি মানুষ। কামাখ্যা দিব্যলোক প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে এখানেও এমনই দৃশ্য দেখা যাবে। অসম উত্তর-পূর্বের প্রবেশদ্বারে পরিণত হবে। তীর্থযাত্রী বাড়লে গরিবদের রোজগার বাড়ে, সামগ্রিকভাবে উন্নত হয় অর্থনীতি।”

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ৩৫ আসন, চূড়ান্ত কমিটি গড়ল বঙ্গ বিজেপি

    বিজেপি সরকারের যে বিকল্প নেই, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “বিজেপির আমলে উত্তর-পূর্বজুড়ে শুধুই শান্তি বিরাজমান। অবরোধ-বিস্ফোরণ-হিংসা আজ অতীত।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আগামী এক বছরে ডাবল ইঞ্জিন সরকার পরিকাঠামো বিকাশে যে টাকা বিনিয়োগ করবে, আগের সরকার তা করেছে ১০ বছরে।” প্রসঙ্গত, কামাখ্যা নিয়ে বাজেটে জোর দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share