Tag: kancharapara

kancharapara

  • Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদাধিকার অনুযায়ী কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কাঁচরাপাড়া পুরসভা। অথচ তিনি সেই পুরসভাতেই আর যান না। কার্যত কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে মুকুলপুত্রকে। পুরসভায় কেন যান না, তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি নিজেই।

    ঠিক কী বলেছেন শুভ্রাংশু? (Subhranshu Roy)

    শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বলেন, আমি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আমাকে ট্রেড লাইসেন্স, অ্যাসেসমেন্ট দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দফতরে বেশিরভাগই অনলাইনে কাজ হয়ে যায়। ফলে, পুরসভায় আমার কোনও কাজ নেই। পুরসভায় গিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে হয়। এমনকী বিল্ডিং-এর অনুমোদনের দায়িত্ব রয়েছে আমার ওপর। তবে, সেটা দোতলা পর্যন্ত। তার ওপরে বিল্ডিং হলে তার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের ওপরে রয়েছে। ফলে, এই দফতরে আমার বিশেষ কোনও কাজ নেই বললেই চলে। থাকল পড়ে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব। তবে, এই কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। সেখানেও আমার কোনও স্বাধীনতা নেই। অথচ পুরসভাকে আরও অনেক ভালোভাবে চালানো যেতে পারত। অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যেত। কিন্তু, কোনও কিছুই করা হচ্ছে না। আর পুরসভায় গিয়ে ঠুঁটো হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে আমি রাজি নই। আমি এসবের কোনও তোয়াক্কা করি না। আর কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না। বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হচ্ছেন কমল অধিকারী। তিনি বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই।

    অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়ে সোমনাথ-সুবোধকে তুলোধনা

    দিন দুয়েক আগে অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধনা করেছিলেন। দলের অনুমতি পেলে দুজনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছিলেন। আর অর্জুনের বিরুদ্ধে বারবার সোমনাথ শ্যাম মুখ খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। কারণ, সাংসদ তৃণমূলের শীর্য নেতৃত্বের কথা মতো দলে এসেছেন। যা বলার তা দলের ভিতরে বলা উচিত। সবমিলিয়ে শুভ্রাংশু রায়ের এই কোণঠাসা নিয়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান,  ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার ভোরে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভূতবাগান ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে (Fire) বেশ কয়েকটি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের(Fire)  তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশাপাশের দোকানগুলি পুড়ে যায়। আর বাজারে অধিকাংশ দোকানই কাঠের। দোকানগুলির মধ্যে প্রচুর কাঠ মজুত থাকায় আগুন (Fire) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাজারের মধ্যে একটি গ্যারাজ ছিল। সেখানের একাধিক বাইক রাখা ছিল। সবই পুড়ে গিয়েছে। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। দোকানের পাশাপাশি সেই বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

    বাজারে  কী করে আগুন লাগল ? Fire

    ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে প্রথমে একটি কাঠের দোকানে আগুন (Fire) লাগে। দমকল আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন (Fire) লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনিতেই বাজারে রাতের দিকে কেউ থাকে না। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। তাদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরা ফোন করে ব্যবসায়ীদের খবর দেন। স্থানীয় লোকজনও নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।  কিন্তু, আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দ্রুত আগুন অন্য দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। পরে, আরও তিনটি দমকলের ইঞ্জিন এসে এদিন দুপুর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। কিন্তু, ততক্ষণে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নেতাজি নগর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রদীপ পালিত বলেন, সব মিলিয়ে ৯ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে একটি বাড়িও পুড়ে গিয়েছে। দমকল বাহিনী এসে আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।

    এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। তিনি বলেন, আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাকে খুন করে নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক মহিলা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়ার (Kanchrapara) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙাপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাধারানি প্রসাদ (৭০)। অভিযুক্ত অসুস্থ মেয়ের নাম ববিতা প্রসাদ। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kancharapara)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ববিতা প্রসাদ কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) মায়ের কাছেই থাকতেন। পাশে থাকতেন তার ভাইরা। ভাইদের সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর ঝামেলা ছিল। তাঁর মা মেয়ের সঙ্গে এক ঘরেই থাকতেন। এদিন সকাল দশটা নাগাদ ঘরের ভেতর থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার ঠিক পাশেই ববিতা দেবীও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের বিষয়টি নজর আসার পর ববিতা দেবীকে উদ্ধার করে কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বৃদ্ধা রাধারানিদেবীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    পরিবারের এক সদস্য বলেন, কয়েকদিন মায়ের সঙ্গে মেয়ের গন্ডগোল হলেও শুক্রবার কোনও ঝামেলা হয়নি। অন্যদিনের মতোই খাওয়া দাওয়া করে তারা শুয়েছেন। এদিন বেলা হয়ে গেলেও ঘর থেকে না ওঠায় আমরা ডাকাডাকি করি। এরপরে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই, দেখি দুজনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) স্থানীয়  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যজনের, অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে কল্যাণীতে নিয়ে যাওয়া হয়।

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    প্রতিবেশী নিলাম সিং  বলেন, ববিতা মাসি তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা নিয়মিতই তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত করতাম। গত দু-তিনদিন ধরে কোনও একটা বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা চলছিল ববিতা মাসির। ফলে মাকে মারধরও করে বলে অভিযোগ। তিনি কাউকে ঘরে ঢুকতে দিতেন না। এদিন সকালে খবরটা পেয়ে আমরা ছুটে আসি। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি, ববিতা মাসি নিচে পড়ে রয়েছে। আর তাঁর মা বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সম্ভবত বিষ জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে বা কোনও ওষুধ খাইয়ে মাকে মারার পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। কিন্তু, তার আগে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, নির্দিষ্ট কি কারণে তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন তা আমাদের কাছে অজানা। জানা গিয়েছে, ঘটনা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share