Tag: Kapil Muni Ashram

Kapil Muni Ashram

  • Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভাঙনের কবলে অন্যতম বাংলার তীর্থ পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগর (Gangasagar)। অমাবস্যার কোটালের জেরে কপিলমুনির মন্দির (Kapil Muni Ashram) সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা ভেঙে পড়ল। গঙ্গাসাগর সমুদ্র পাড়েও দেখা দিয়েছে বড়সড়ো ধস! বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, তৃণমূল সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করলেও, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই রাস্তা ভেঙে পড়ছে। খরচের টাকা সব কি জলে? বিজপির দাবি, তৃণমূলের নেতার কাটমানি খেয়ে সরকারি টাকা লুট করছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের রাস্তা বেহাল (Gangasagar)

    সমুদ্রের জলের স্রোতে ভেঙে গেল গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মন্দির সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা। একদিকে অমাবস্যার কোটাল, তারপর দ্বিতীয়া ও তৃতীয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে সমুদ্রের জল। উত্তাল হয়ে পড়েছে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সমুদ্রের জলের ধাক্কা লাগছে সমুদ্রের পাশে থাকা কংক্রিটের ঢালাই রাস্তাতেও। কপিলমুনির আশ্রমের (Kapil Muni Ashram) সামনে দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের রাস্তা বেহাল অবস্থা। অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল চার নম্বর সান ঘাটের ঢালাই রাস্তা। ইতিমধ্যে ভগ্ন এলাকার রাস্তাকে বেরিকেট করে ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। আতঙ্কিত ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বিজেপির অভিযোগ

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুণাভ দাস বলেছেন, “তৃণমূলের উন্নয়নের পথে কপিলমুনির আশ্রম (Gangasagar) এখন বিপন্ন হওয়ার পথে। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলট প্রজেক্ট করা হয়েছিল কাজ, কিন্তু তার সবটাই কাটমানিতে চলে গিয়েছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভেঙে সব তলিয়ে যেতে বসেছে। আগামী দিনে কপিল মুনির মন্দিরও সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে। যেখানে গঙ্গাসাগর থেকেই সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী পেয়েছে, সেখানে এমন হাল সত্যি লজ্জার বিষয়। অবিলম্বে মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।”

    কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ করা হলেও নজর নেই

    স্থানীয় বাসিন্দা দিব্যেন্দু খাটুই অভিযোগ করে বলেছেন, “গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলার সময় কয়েক কোটি টাকা খরচে অস্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ করা হলেও, সারা বছর ফিরেও তাকানো হয় না এই গঙ্গাসাগরের দিকে। আর যার ফলে একটু একটু করে ভাঙন আরও বেড়েই চলেছে গঙ্গাসাগরে। অন্যদিকে সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের আবেদন, চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা হোক এই নদী বাঁধের।”

    আরও পড়ুনঃক্ষমতার দম্ভ? মাথাভাঙায় পুলিশের সামনেই মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূলের উপ-প্রধানের

    প্রশাসনের বক্তব্য

    পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র জানিয়েছে, “ট্রাটাপট পদ্ধতির মাধ্যমে যে কাজ করা হয়েছিল তা খুব বেশি কাজে আসেনি তবে নতুন করে আবার প্রজেক্ট করা হচ্ছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের দিকে এগিয়ে আসছে সাগর, বিপদের হাতছানি?

    Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের দিকে এগিয়ে আসছে সাগর, বিপদের হাতছানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপজ্জনক অবস্থায় গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম (Gangasagar)। সাগর ক্রমশ এগিয়ে আসায় এই বিপদের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। গতবারের মেলায় সাগরের যা দূরত্ব ছিল, এবার এই দূরত্ব ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সাগরের আগ্রাসন ঠেকাতে পাঁচ ফুটের শালবললি, জিও ব্যাগ, ইট-বালি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হিয়েছে। রবিবার রাজ্যের সেঁচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় এসেছিলেন গঙ্গাসাগরে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মেলার উদ্বোধন করেছেন গতকাল সোমবার। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সাগর পাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তৎপর হয়েছে উপকূলরক্ষীও।

    স্থানীয় ঠিকাদার কর্মীর বক্তব্য (Gangasagar)

    বাঁধের কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদার কর্মী মানিক খাঁড়া বলেন, “ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে এখানে কাজ করছি। যেভাবে সমুদ্র এগিয়ে আসছে তাতে আগামী দিনে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আগে আরও একটি মন্দির (Gangasagar) সমুদ্র গর্ভ চলে গিয়েছে। এবার কি এটাও যাবে?” আবার কপিল মুনির আশ্রমের সামনে ২ নম্বর গেটে ফুচকা বিক্রি করেন সুকেশ মণ্ডল বলেন, “আমরা ছোট বেলা থেকে দেখেছি আশ্রম থেকে এক ঘণ্টা পায়ে হেঁটে সমুদ্রের জল পায়ে ঠেকাতে হত। এখন মাত্র ২ মিনিট হেঁটে গেলেই সমুদ্রের জল। উত্তরের হাওয়ার দাপট, বর্ষার সময় পূবালী হাওয়ায় এখন সমুদ্রের ঢেউ প্রবল করে হিয়েছে। সাগরের আগ্রাসনে আমরা অনেক আতঙ্কে রয়েছি।”

    ৩০ কিমি বাই ১১ কিমি আয়তন সাগর তট

    গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির (Gangasagar) আশ্রমের সমুদ্র সৈকতের বিস্তৃতি হল ৩০ কিমি বাই ১১ কিমি। এলাকার হারাধনপুরের এক স্থানীয় ঝরু জানা বলেন, “আমার বয়স এখন ৫৫। ছোটবেলা থেকে দেখছি সাগর ক্রমশ এগিয়ে এগিয়ে আসছে। গত ২ বছরে প্রায় ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে জলের স্তর। ফলে দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের ঢেউয়ের দাপট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

    তৎপর উপকূলরক্ষী বাহিনী

    মন্দিরকে (Gangasagar) ঘিরে সমুদ্রের আগ্রাসনের রীতিমতো তৎপর রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। বাহিনীর পক্ষ থেকে জেমিনি ক্রাফট দিয়ে টহল দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে এলাকায় ৬ জন করে ডুবুরি নজর রেখে চলেছেন। একই ভাবে মোতায়েন করা হয়েছে হোভারক্রাফট। চলছে আকাশ পথ থেকে বিশেষ নজরদারি। ২ নম্বর ঘাটের কাছে বিপজ্জনক বলে সতর্ক বার্তা লেখা হয়েছে। আগত পুণ্যার্থীরা বলেছেন সাগরের এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য আগে দেখা যায়নি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share