Tag: Karachi

Karachi

  • Hafiz Saeed: পাকিস্তানে ফের হানা অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের, এবার খতম হাফিজ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা

    Hafiz Saeed: পাকিস্তানে ফের হানা অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের, এবার খতম হাফিজ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে ফের খতম ভারত-বিরোধী জঙ্গি। জানা গিয়েছে, হাফিজ সঈদের (Hafiz Saeed) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি কারি শাহজাদাকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে করাচিতে। ২৪ মার্চ সকালে করাচির খরিয়াবাদ এলাকাতে এই ঘটনা ঘটে। জমিয়ত-উলেমায়ে-হিন্দ বলে একটি সংগঠনের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এই শাহজাদা। তাঁকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।

    মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথেই গুলি (Hafiz Saeed)

    জানা গিয়েছে, সোমবার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত মাসে যেভাবে পাঁচজন জমিয়তে-উলেমায়ে-ইসলামের (Qari Shahzada) নেতাকে খুন করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও একই কায়দা অনুসরণ করা হয়েছে। শাহজাদার এই হত্যাকাণ্ড এখন আর কোনও গোপন ঘটনা নেই। সর্বত্র চর্চা চলছে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এর ফলে বেশ চাপেও পড়েছে পাকিস্তানের সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার জন্য কোনও জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। প্রসঙ্গত, ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের (Hafiz Saeed) গুলি করে হত্যা করার ঘটনা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানে এবং এর সবটাই করছে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা। এর আগেও একাধিকবার এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু প্রতিবারই এই ঘটনা রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে পাক সরকার ও গোয়েন্দা বিভাগ।

    পাকিস্তানে ছড়িয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং তাদের গোয়েন্দা দফতরের ওপরেও প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনে এসেছে তাদের ব্যর্থতা। ব্যাপক সমালোচনার শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডকে পাক গোয়েন্দারা কেন আগে থেকে রোধ করতে পারছে না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কারি শাহজাদাকে খতম করার এই ঘটনায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তাপও ছড়িয়েছে। বিরোধী নেতারা দাবি তুলছেন যে, পাকিস্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা এই ধরনের ঘটনাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তথা প্রশাসন এবং সরকারের ব্যর্থতা বলেই তোপ দাগছেন।

  • Dawood Ibrahim: দাউদের জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা! টার্গেট হিন্দু নেতারা

    Dawood Ibrahim: দাউদের জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা! টার্গেট হিন্দু নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি করাচিতে নিজের জন্মদিন পালন করেছেন, পলাতক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ইসলামাবাদ দাউদের উপস্থিতি অস্বীকার করলেও, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাঁকে সুরক্ষা প্রদান করছে। আইএসআই-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল পদমর্যাদা পেয়েছিলেন দাউদ। গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, দাউদের ৬৯ তম জন্মদিনে করাচিতে অনেক ব্যবসায়ী, আইএসআই-র কর্মকর্তা, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য এবং শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের বিরুদ্ধে নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে, বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ভারতের হিন্দু নেতাদের হত্যার চক্রান্তও হতে পারে বলে অনুমান।

    দাউদের জন্মদিন না নয়া পরিকল্পনা

    গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, দাউদ (Dawood at Karachi) এখনও পাকিস্তানে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ভারত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে দাউদ ও তাঁর দল ইসলামাবাদকে সম্পূর্ণ সাহায্য করে। এছাড়া, দাউদ এবং আইএসআই-এর মধ্যে একটি অঘোষিত চুক্তি রয়েছে, যেখানে দাউদ তাঁর মাদক পাচারের আয় থেকে ৪০ শতাংশ আইএসআই-কে দেয়। মুম্বই এবং অন্যান্য স্থানে দাউদের কর্মকাণ্ড কিছুটা কমে গিয়েছে, তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, এটি একটি চক্রান্তের অংশ। ১৯৯৩ সালের মুম্বই সিরিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাসী সবার নজর থেকে দূরে থাকার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন। যদিও তাঁর সহযোগীরা এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয় এবং তাঁদের প্রভাব যথেষ্ট। তাঁর শুটারদেরও যেকোনো সময় ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    ভারতের হিন্দু নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

    ২০১৫ সালে ভারতীয় হিন্দু নেতাদের হত্যার জন্য একটি মডিউল তৈরি করেছিলেন দাউদ ও তাঁর দল। পরিকল্পনাটি ছিল গুজরাটে হত্যাকাণ্ড ঘটানো এবং পরে তা ভারতজুড়ে বিস্তৃত করা। যদিও এই মডিউলটি ২০১৭ সালে ফাঁস হয়ে যায়। নতুন পরিকল্পনা অনুসারে তারা আবারও নতুন মডিউল গঠন করতে পারে। দাউদ এখনও আইএসআই-এর সুরক্ষায় পাকিস্তানে রয়েছেন। তাঁর বাসস্থান করাচির রাহিম ফাকি এলাকায়। তাঁর বাসভবন অত্যন্ত সুরক্ষিত। তাঁর পাসপোর্ট পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে জারি হয়েছে। দাউদ একেবারেই পাকিস্তানে সীমাবদ্ধ নন, তার পৃষ্ঠপোষকতা কারণে তিনি দুবাই, জেদ্দা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ব্যাংককসহ বিভিন্ন দেশে প্রায়শই সফর করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

    Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে ডাকা হয়েছিল। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিস (PMO) জানিয়েছে, করাচিতে আহত দুই চিনা নাগরিকের সুস্থতা কামনা করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তাই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে গিয়েছিলেন। তবে, সাধারণত কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের দূতাবাসে যান না।  কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে সে দেশে নিযুক্ত অন্য দেশের দূতাবাস থেকে! এটা সত্যই বিস্ময়ের! সব জায়গায়, রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সরকার, এখানে উলটপূরাণ। সরকারকে কার্যত তলব করছে দূতাবাস। চিন যে পাকিস্তানকে কব্জা করে ফেলেছে, এটা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    পাকিস্তান কি চিনের উপনিবেশ!

    চলতি বছর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বুধবার (৬ নভেম্বর) চিনা দূতাবাসে যান। করাচির সাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় চিনা নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়ে তাদের আহত করা হয়। চিনা নাগরিক ওয়াং জিং ঝং, ঝেং লুয়েন, ঝোউ বাওলিন এবং ওয়েই সিক্সিয়ান করাচির লিবার্টি মিলসের কাছে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে গিয়েছিলেন। চিনা নাগরিকরা প্রতিদিন একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাঁদের সুরক্ষা দিত একটি বেসরকারী সংস্থা এবং সিন্ধ পুলিশ স্পেশাল প্রোটেকশন ইউনিট (SPU)। এই ঘটনার পরই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে যান। 

    আরও পড়ুন: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    পাকভূমে চিনের সেনা

    চিনা রাষ্ট্রদূত জিয়াং জেইডংকে শাহবাজ বলেন, “আমি এখানে চিনা নাগরিকদের ওপর আক্রমণের নিন্দা জানাতে এবং আহতদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে এসেছি। আমি নিজে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া তদারকি করছি এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব।” পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, চিন হচ্ছে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু। তাই কুশল জানতেই তাঁর যাওয়া। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পাকিস্তান চিনের একটি উপনিবেশের মতো হয়ে উঠেছে, যেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীকে সময়ে সময়ে ডেকে চিন তাদের অভাব-অভিযোগ জানায়। অনুমান, পাক-ভূমে চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান ব্যর্থ হওয়ায়, চিন এখন নিজের সশস্ত্র বাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর কথা ভাবছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: বালোচদের ওপর দমনপীড়ন, করাচির রাস্তায় প্রতিবাদ সমাজকর্মীদের

    Pakistan: বালোচদের ওপর দমনপীড়ন, করাচির রাস্তায় প্রতিবাদ সমাজকর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আমেরিকার ঢেউ এসে আছড়ে পড়ল পাকিস্তানে (Pakistan)! গত বছর ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান উঠেছিল মার্কিন মুলুকে। এবার পাকিস্তানে (Karachi Activists) আওয়াজ উঠল ‘বালোচ লাইভস ম্যাটার’। পাকিস্তানের বালোচ প্রদেশে দমন পীড়ন চালাচ্ছে পাকিস্তান প্রশাসন। তার প্রতিবাদেই শনিবার করাচির রাস্তায় নামেন সে দেশের সমাজকর্মীরা। সেখানেই আওয়াজ ওঠে ‘বালোচ লাইভস ম্যাটার’।

    করাচির রাস্তায় সমাজকর্মীরা (Pakistan)

    পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন বালুচিস্তানবাসী। তার জেরেই চলছে প্রতিবাদ। সিন্ধ এবং বালুচিস্তানেও জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। বিক্ষোভকারীদের কড়া হাতে দমন করতে চাইছে পাক প্রশাসন। চলছে দমন-পীড়ন। এরই প্রতিবাদে করাচির রাস্তায় নামেন সমাজকর্মীরা। মুন্ডুপাত করেন পাক সরকারের। সরকারের ভীরুতা ও হিপোক্র্যাসির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন তাঁরা। গদওয়ারে নিপীড়ন বন্ধের দাবিও জানান তাঁরা। পাক সরকারের দমন পীড়নের প্রতিবাদে তাঁরা যে এককাট্টা, তা স্পষ্ট সমাজকর্মী বীরসা পিরজাদোর কথায়।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    তিনি বলেন, “যতক্ষণ না সরকার দমন পীড়ন বন্ধ করছে, ততক্ষণ আমরা ফিরে যাব না।” বীরসা প্রতিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ। সিন্ধ কমিশন অন দ্য স্টেটাস অফ উইমেনের সদস্যও তিনি। প্রতিবাদীদের সাফ কথা, রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় না। তারা যেভাবে প্রতিবাদীদের গ্রেফতার করছে, তাও মেনে নেওয়া যায় না। যেভাবে বালোচ নারী ও শিশুদের মারধর করা হচ্ছে, তাও সহ্য করা যায় না। তাঁরা জানান (Pakistan), নিখোঁজ ব্যক্তিদের ইস্যুটি জেনুইন।

    আরও পড়ুন: গণধর্ষণকাণ্ডে ডিএনএ টেস্ট চান, অখিলেশের মুসলিম তোষণে ক্ষুব্ধ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে আর্টস কাউন্সিল গোলচত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটির কয়েকজন কর্মকর্তাকে। ওই এলাকায় তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন গোয়াদরে নির্যাতন ও আটকের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে। সেই সময়ই কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে পাক প্রশাসন। বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটির অভিযোগ, মহিলা-সহ প্রায় ৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। কেপিসি এলাকায় মিছিল করার চেষ্টা করতেই আটক করা হয় তাঁদের। যদিও পাক পুলিশের দাবি, সংগঠকরা রেড জোনে বেআইনি সমাবেশ করার নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছেন। ১৪ জন আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মহিলা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সঙ্গেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

    পুলিশের দাবি যে সত্য নয়, তা স্পষ্ট করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদের কথায়। তিনি বলেন, “গতকাল রাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ১৫০ বালোচ আন্দোলনকারী (Karachi Activists)। এঁদের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরাও ছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। কোনও কারণ ছাড়াই করা হয় গ্রেফতার (Pakistan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Pakistan MP Praises India: ‘ভারত চাঁদে পা রাখছে, করাচির ম্যানহোলে শিশুমৃত্যু হচ্ছে’, পাক সাংসদের মন্তব্য ভাইরাল

    Pakistan MP Praises India: ‘ভারত চাঁদে পা রাখছে, করাচির ম্যানহোলে শিশুমৃত্যু হচ্ছে’, পাক সাংসদের মন্তব্য ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভারত-প্রশস্তি পাক সাংসদের মুখে (Pakistan MP Praises India)! ভারতের সাফল্যের কাছে পাকিস্তান যে কিছুই নয়, পরোক্ষে তাও বুঝিয়ে দিলেন সৈয়দ মুস্তাফা কামাল নামের ওই সাংসদ। এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতের চন্দ্রাভিযানের বিষয়টিরও উল্লেখ করেন। কামাল মুত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট পাকিস্তানের নেতা।

    কী বললেন পাক সাংসদ? (Pakistan MP Praises India)

    বুধবার সংসদে তিনি বলেন, “ভারত যেখানে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখার জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসছে, সেখানে করাচির সংবাদ মাধ্যমে খবর হচ্ছে ম্যানহোলে পড়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা।” পাকিস্তানের এই সাংসদ বলেন, “বিশ্ব যখন চাঁদে যাচ্ছে, তখন আজ করাচির খবর হল ম্যানহোলে পড়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা। টিভির ওই একই পর্দায় তখন দেখাচ্ছে চন্দ্রাভিযানে ভারতের সাফল্য-গাথা। এর ঠিক দু’সেকেন্ড পরেই ফের দেখানো হচ্ছে করাচিতে ম্যানহোলে পড়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনার খবর।”

    স্কুলের মুখ দেখেনি ২.৬ কোটি পাক শিশু!

    এর পর ফের করাচির সমস্যার প্রসঙ্গে চলে যান পাকিস্তানের এই সাংসদ। তিনি (Pakistan MP Praises India) বলেন, “করাচিতে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। করাচির ৭০ লাখ ছেলেমেয়ে স্কুলমুখো হয়নি। গোটা পাকিস্তানের নিরিখে এই সংখ্যাটা হল ২.৬ কোটি।” তিনি বলেন, “করাচি হল পাকিস্তানের রেভেনিউ ইঞ্জিন। পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই এখানে দুটি সমুদ্র বন্দর রয়েছে। দুটোই করাচিতে। আমরা(করাচি) তামাম পাকিস্তানের, মধ্য এশিয়া এবং আফগানিস্তানের প্রবেশদ্বার। পনেরো বছর ধরে করাচিকে এক ফোঁটাও পানীয় জল দেওয়া হয়নি। যদিও বা দৈবাৎ জলের ট্যাঙ্ক আসে, ট্যাঙ্কার মাফিয়ারা তার দখল নেয়। সেই জলই তারা বিক্রি করে কারচিবাসীকে।”

    আর পড়ুন: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    পাক সাংসদ আরও বলেন, “সব মিলিয়ে আমাদের স্কুল রয়েছে ৪৮ হাজার। এর মধ্যে ১১ হাজার স্কুলই ভুতুড়ে। সিন্ধের ৭০ লাখ শিশু স্কুলের মুখই দেখেনি। আর গোটা দেশে ২ কোটি ৬২ লাখ ছেলেমেয়ে স্কুলেই যায় না।” তিনি বলেন, “আমরা যদি এ বিষয়ে আলোকপাত করি, তাহলে দেশের নেতাদের ঠিকঠাক ঘুম হবে না।” প্রসঙ্গত, গত অগাস্টে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করেছিল ভারতের চন্দ্রযান-৩। এদিকে, পাহাড়-প্রমাণ দেনা, মুদ্রাস্ফীতির সমস্যায় জর্জরিত দেশটি ফের ঋণের জন্য দ্বারস্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (Pakistan MP Praises India)।

    পাক সাংসদের মুখে ভারত-স্তূতি এই প্রথম নয়

    এই প্রথম নয় যে কোনও পাক সাংসদের মুখে ভারত-প্রশস্তি শোনা গেল। এর আগে, গতমাসেও, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শোনা গিয়েছিল মোদি জমানার জয়গান।  ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্য রাখার সময় জমিয়তে-উলেমা-ই-ফজলের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান শাহবাজ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের তুলনা করে দেখুন। আজ ওরা (ভারত) সুপার পাওয়ার (বড় শক্তি) হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর আমরা দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচতে ভিক্ষা করছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারত সুপারপাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, আমরা ভিক্ষা করছি’’! উষ্মা পাক বিরোধী নেতার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hindu Family’s Food Stall: স্বাদে-গন্ধে লা জবাব! হিন্দু তরুণীর হাতের জাদুতে মজেছে করাচি

    Hindu Family’s Food Stall: স্বাদে-গন্ধে লা জবাব! হিন্দু তরুণীর হাতের জাদুতে মজেছে করাচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তের ওপারেও জনপ্রিয় পাও ভাজি, বড়া পাও। করাচিতে কবিতা দিদির (Kavita Didi in Karachi) ফুড স্টলের (Hindu Family’s Food Stall) সামনে উপচে পড়ছে ভিড়। ‘কবিতা দিদির ভারতীয় খাবার’ পাকিস্তানে বিখ্যাত। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিয়ো। করাচির ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে রয়েছে এই ভারতীয় খাবারের দোকান। সেটি চালান কবিতা নামে এক তরুণী এবং তাঁর পরিবার। আমিষ এবং নিরামিষ, দুই রকম খাবারই পাওয়া যায় কবিতার দোকানে। তবে তাঁর হাতে তৈরি পাও ভাজি, বড়া পাও, ডাল সামোসার চাহিদা সব থেকে বেশি।

    ভাইরাল ভিডিও

    ভারতীয় খাবারের ক্রেজ বিশ্বজুড়ে। পাকিস্তানেও একটি ভারতীয় খাবারের স্টল খুব বিখ্যাত, যেখানে সর্বদাই মানুষের ভিড় লেগে থাকে। পাকিস্তানিরা সেখানকার খাবার দারুণ পছন্দ করেন। এই স্টলের নাম নাম ‘কবিতা দিদি কা ইন্ডিয়ান খানা’। সম্প্রতি, কারামত খান নামে এক পাকিস্তানি ব্লগার কবিতার দোকানের খাবারের ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। ভিডিওটি  ইতিমধ্যেই ভাইরাল। কারামত নিজেও কবিতার দোকানে বড়া পাও খেয়ে মজেছেন। জানিয়েছেন, এর আগে তিনি কখনও এই খাবার খাননি। তবে এর স্বাদ দারুণ। ভিডিয়োয় কবিতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বড়া পাও মুম্বইয়ে বিখ্যাত। এখন করাচির লোকজনও পছন্দ করছেন।’’কবিতা ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ‘কবিতা দিদি’ নামে পরিচিত তিনি। 

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Karamat Khan (@karamatkhan_05)

    লোককে খাওয়াতে ভাল লাগে

    কবিতা জানিয়েছেন, খাবারের প্রতি অনুরক্ত তিনি। যেমন খেতে ভালবাসেন, তেমন খাওয়াতেও ভালবাসেন। সেই কারণেই ভেবেছিলেন, খাবারের দোকান খুললে কেমন হয়! তাঁর ইচ্ছায় সমর্থন জানিয়েছিল পরিবার। দোকানে তাঁর হাতে হাতে সাহায্য করেন মা-সহ পরিবারের অন্য সদস্যেরা। প্রথমে নিজে যে সব পদ খেতে ভালবাসেন, তাই দোকানে রান্না করে খাওয়াতেন। তারপর ধীরে ধীরে নতুন করে খাবারের পসরা সাজান। রমজান মাসে করাচিতে কবিতার দোকানের সামনে ভিড় জমে যায়। বহু মানুষ রোজার উপোস ভাঙেন কবিতার তৈরি পাও ভাজি আর বড়া পাও খেয়ে। ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খান তরুণী। এমনিতে পাকিস্তানের বাসিন্দারা আমিষ খাবার পছন্দ করেন। তবে কবিতা জানিয়েছেন, তাঁর হাতে তৈরি নিরামিষ পদও ক্রেতারা পছন্দ করেন। বড়া পাও, পাও ভাজির সঙ্গে কবিতার হাতে তৈরি কাবাবও বেশ পছন্দ করেন করাচির পথচলতি মানুষ। কবিতার ভিডিয়ো দেখে সমাজমাধ্যমে বহু মানুষ তাঁর দোকানে খেতে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dawood Ibrahim: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

    Dawood Ibrahim: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ বিশ্বমানের জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে করাচির একটি হাসপাতালে। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এ খবর মিললেও, পাকিস্তান সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, করাচির হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে রাখা হয়েছে দাউদকে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মাছি গলারও জো নেই। হাসপাতালের যে অংশে দাউদকে রাখা হয়েছে, সেখানে আর কোনও রোগীকে রাখা হয়নি। কাউকে ধারেকাছেও ঘেঁসতে দেওয়া হচ্ছে না।

    মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী!

    মুম্বইয়ের এক পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে দাউদ আটের দশকে ভারত থেকে পালিয়ে দুবাইয়ে যান। সেখান থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মূল চক্রী দাউদ বলেই শোনা যায়। ওই হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি মানুষ। অপরাধ জগতে দাউদের (Dawood Ibrahim) হাতেখড়ি সাতের দশকে। মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডে দাউদের নাম উঠতে থাকে সামনের সারিতে। আগে কাজ করতেন হাজি মাস্তানের দলে। সেখান থেকেই ক্রমশ প্রভাব বাড়িয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন। লোকজন তাঁর দলকে ‘ডি-কোম্পানি’ বলে ডাকতে শুরু করে। এই কোম্পানিরই মালিক হিসেবে পরিচিত হন বিশ্বত্রাস এই জঙ্গি।

    আল কায়েদার সঙ্গে যোগ!

    পাকিস্তানে বসেই এই অপারেশন পরিচালনা করেছিলেন দাউদ। আল কায়েদা, তালিবানের সঙ্গেও বিশ্বমানের এই জঙ্গির যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রও চালান তিনি। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের সহকারী ডিরেক্টর জেনারেলের পদে বসানো হয়েছে দাউদকে। জানা গিয়েছে, পাক গুপ্তচর ব্যবস্থায় দাউদের অবদানের জন্য এই পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: শিল্পপতি জিন্দালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিনেত্রীর

    বছর পঁয়ষট্টির দাউদের অসুস্থতার কারণ জানা যায়নি। যেমন জানা যায়নি কী সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। অনেকের মতে, বিষ খাওয়ানো হয়েছে বিশ্বমানের এই জঙ্গিকে। তবে পাক সরকার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এ ব্যাপার কিছু জানানো হয়নি। দাউদের অসুস্থতার খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য পাকিস্তানের একাধিক এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্স, ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যম কাজ করছে না। পাক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, দাউদকে (Dawood Ibrahim) তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ বিষ প্রয়োগ করেন। এর পরেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত হিন্দু মন্দির (Attack on Pak Hindu Temple)। গত ২৪ ঘণ্টায় সিন্ধ প্রদেশে দু’টি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতেই পাকিস্তানের করাচিতে একরকম নিঃশব্দে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি হিন্দু মন্দির। মারি মাতার সেই ১৫০ বছর পুরনো মন্দিরটি ভেঙে শপিং কমপ্লেক্স উঠবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার ফের পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় এলাকায় ধ্বংস করা হল আরও একটি হিন্দু মন্দির! এবার রীতিমতো রকেট হামলা চালিয়ে ভাঙা হয়েছে মন্দিরটি (2 Hindu Temples)।

    মন্দিরে রকেট হামলা

    সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় অঞ্চলে রবিবার সকালে একদল দুষ্কৃতী রকেট লঞ্চার নিয়ে আক্রমণ শানায় একটি হিন্দু মন্দিরে (Attack on Pak Hindu Temple)। ওই  এলাকায় বহু সংখ্যক হিন্দু পরিবারের বাস। যে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে বছরে একবার করে পুজো দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, রবিবার দুষ্কৃতীরা একেবারে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে মন্দির চত্বরে এবং রকেট হামলায় মন্দির ধ্বংস করে। ঘটনাচক্রে সে সময়ে মন্দিরটি বন্ধ ছিল বলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। মন্দির সংলগ্ন হিন্দু জনবসতির উপরও নির্মম অত্যাচার ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    সিন্ধের ঘটনায় (Attack on Pak Hindu Temple) এখনও কাউকে ধরা যায়নি। মোট ৯ জন বন্দুকবাজ জড়িত ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। স্থানীয় হিন্দুদের বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, কারও ক্ষতি না হলেও, এই হামলার জেরে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা আতঙ্কিত। পুলিশের কাছে স্থানীয়দের সুরক্ষারও আবেদন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী তথা বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্য ডাঃ সুরেশ জানান, ‘ডাকাত দলের প্রত্যেকের হাতে ছিল বন্দুক। রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে মন্দির ধ্বংস করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তাতে ওই ডাকাতদল সফল হয়নি। কারণ, রকেট লঞ্চারটি কাজ করেনি। তার ফলে বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।’

    করাচিতে ধ্বংস ১৫০ বছরের পুরনো মন্দির

    অন্যদিকে, করাচির সোলজার বাজারে অবস্থিত ১৫০ বছরের মারি মাতার মন্দিরের (Attack on Pak Hindu Temple) জমি শপিং প্লাজার এক প্রোমোটারকে চড়া দামে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাক সরকারের বিরুদ্ধে। সেই মতোই শুক্রবার মধ্যরাতে বুলডোজার এনে মন্দির ভাঙা শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ছিল ঘটনাস্থলেই। তবে অভিযোগ, বাধা দেওয়া দূরের কথা, দাঁড়িয়ে দেখেছে তারা। এই মন্দিরে আগেও ঝামেলা হয়েছে। গত বছরের জুনেই এই মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের খবর মিলেছিল। ওই মন্দিরের পুরোহিত রাম নাথ মিশ্র জানান, ‘প্রথমে স্থানীয় কর্তপক্ষ বলেছিল মন্দিরের মূল দ্বার ও একটি দেওয়াল ভাঙা হবে। কিন্তু লোডশেডিং করে পুরো মন্দির গুঁড়িয়ে দিল ওরা। ১৫০ বছর ধরে এই মন্দির রয়েছে। বহু ভক্ত সমাগম হয়। আসলে অনেকটা অংশ জুড়ে এই মন্দির। যা ভুয়ো কাগজ বের করে বানিজ্যিক সংস্থাকে বেচে দেওয়া হয়েছে। মন্দির পুরানো হয়ে গিয়েছে, বিপজ্জনক বলে এভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া অনুচিত। আশা করব প্রশাসন প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেবে।’ উল্লখ্য, পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলি সুবিচারের দাবি জানিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Karachi Attack: ফের রক্তাক্ত করাচি! পুলিশ প্রধানের দফতরে তালিবান হানা, নিহত ৯

    Karachi Attack: ফের রক্তাক্ত করাচি! পুলিশ প্রধানের দফতরে তালিবান হানা, নিহত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার জঙ্গি হামলা করাচিতে। ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। এবার করাচির পুলিশ দফতরে তালিবান হানা। শুক্রবার রাতে একদল জঙ্গি হামলা চালায় করাচির পুলিশ প্রধানের দফতরে। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১০ জন। মৃতদের মধ্যে জঙ্গি ও দুই পুলিশকর্মীও রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজধানী শহরেও।

    হামলার বিবরণ

    করাচি পুলিশ সূত্রে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ জন জঙ্গি সহ মোট ৯ জন মারা গিয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, দুজন সাধারণ মানুষ সহ মোট ১৭ জন আহত হয়েছে যে ঘটনায়। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। গত রাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি হামলা চালায় বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। প্রথমে ৩জন সশস্ত্র জঙ্গি পুলিশ কর্তার দফতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। বোমা বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban)। যেসময় ওই হামলা চালানো হয় তখন সেখানে পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিক ছিলেন। তবে কোনও শীর্ষ কর্তা এই ঘটনায় জখম হয়েছেন বা মারা গিয়েছেন বলে খবর নেই। ঘটনার পরই ঘটনাস্থল সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা জনসাধারণের বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেখানে পাঠানো হয় আরও বেশি সংখ্যক বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    জঙ্গি দমনের বার্তা

    দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। গত কয়েক মাসে দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সংস্থায় জঙ্গিদের হানা বেড়েছে। কিছু সপ্তাহ আগেই পুলিশরা ব্যবহার করেন এমন একটি মসজিদকে টার্গেট করা হয়েছিল। সেখানে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারাতে হয়েছিল অনেক পুলিশ কর্মী-অফিসারকে। এবার জঙ্গিরা রাতের অন্ধকারে এভাবে পুলিশের হেড কোয়ার্টারে হামলা চালানোয় বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। পুলিশ কোয়ার্টারে জঙ্গিহানা প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাসকে মূল থেকে উপড়েই ফেলবে না। জঙ্গিদের মেরে যোগ্য ন্যায়বিচারও জোগাড় করে নেবে। রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করতে সন্ত্রাসের দুষ্টকে দমন করতেই হবে।’ সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। দেশে প্রথমে আটা ফুরিয়ে গেল, তারপর গ্যাস-পেট্রোলের সংকট, এখন বিদ্যুতের পালা। খবর আসছে, সোমবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একটা বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটল পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর এবং করাচির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অংশে। সেখানকার মানুষদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। ট্রান্সমিশন লাইনে ত্রুটির কারণেই সোমবার দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও সেদেশের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকারে রয়েছে।

    পাকিস্তান জুড়ে বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট

    পাকিস্তান ইলেক্ট্রিকের মুখপাত্র ইমরান রানা একটি ট্যুইটার পোস্টে লিখেছেন, “শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে একাধিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।” প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় গ্রিডের সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বসে যায়, যার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোরকদমে কাজ চলছে। সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকারের শক্তি মন্ত্রক।

    আরও জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের বিশাল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইসলামাবাদ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ১১৭টি গ্রিড স্টেশনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে, পুরো শহর এবং রাওয়ালপিন্ডিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ফিরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগত পারে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    পাকিস্তানের কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, করাচি এবং লাহোরের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। আবার কোয়েটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (QESCO) অনুসারে, গুড্ডু থেকে কোয়েটা পর্যন্ত দুটি ট্রান্সমিশন লাইন ছিঁড়ে গেছে। কোয়েটা সহ বেলুচিস্তানের ২২টি জেলা বিদ্যুৎবিহীন বলে জানিয়েছে এই সংস্থাটি।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আগে থেকেই আর্থিক, খাবার সংকটে ভুগছে।  কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা খারাপ। বিদ্যুতের ঘাটতিতেও রয়েছে পাকিস্তান। ফলে সেদেশের সরকার দীর্ঘ বিদ্যুতের ঘাটতি এড়াতে এবং বিদ্যুত বাঁচাতে রাত ৮টায় বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে। এরই মধ্যে আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দেশবাসী চরম সমস্যায় পড়েছে। বিপর্যয় এতটাই গভীর যে কত দ্রুত তা দূর করা যাবে, তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাই অন্ধকারে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share