Tag: Karnataka

Karnataka

  • Kannada Devotees Stilt Walk: উগাদি উৎসব উপলক্ষে কৃচ্ছ সাধন ভক্তদের, রণ পায়ে চলেছেন দেব দর্শনে

    Kannada Devotees Stilt Walk: উগাদি উৎসব উপলক্ষে কৃচ্ছ সাধন ভক্তদের, রণ পায়ে চলেছেন দেব দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগিয়ে আসছে উগাদি উৎসব। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশৈলম মন্দিরে দেবদর্শন করতে এবং দেবতা মল্লান্নার কাছে প্রার্থনা করতে রণ পায়ে (Kannada Devotees Stilt Walk) হাঁটছেন কন্নড় ভক্তদের একাংশ। কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা শ্রী ভ্রমরাম্বা মল্লিকার্জুন স্বামী মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য শত শত কিলোমিটার হেঁটে যান।

    দেবদর্শনে ভক্তের সারি (Kannada Devotees Stilt Walk)

    মল্লান্না দেবতার মন্দিরের দিকে চলে যাওয়া রাস্তাগুলির বিভিন্ন জায়গায় শ্রীশৈলম মন্দিরের দিকে যাওয়া এমন ভক্তদের সারি দেখা যাচ্ছে। এই ভক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে কুর্নুল শহর এবং এর আশপাশে এলাকায় স্টিল্টে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে ভগবান শিবের নাম জপ করছেন। ভক্তদের একাংশকে শ্রীলিঙ্গম পাহাড়ের দেবতাকে শ্রদ্ধা জানাতে পালকিতে করে শিবলিঙ্গ বহন করতেও দেখা গিয়েছে।

    উগাদি উৎসব

    উগাদি উৎসব (Kannada Devotees Stilt Walk) ইউগাদি নামেও পরিচিত। এটি একটি প্রাণবন্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসব যা প্রধানত অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা এবং কর্ণাটকে উদযাপিত হয়। চান্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার অনুসারে নতুন বছরের সূচনা হিসাবে চৈত্র মাসের প্রথম দিনে এই উৎসবটি পালিত হয়, যা বসন্তের আগমন এবং নতুন বছরের শুরুকে নির্দেশ করে। চলতি বছর এই উৎসব হবে ৩০ মার্চ। এই দিনে এই অঞ্চলগুলির লোকজন ঐতিহ্যপূর্ণ, সুস্বাদু খাবার রান্নাবান্না করেন। মন্দির দর্শন এবং পঞ্চাঙ্গ শ্রবণ এই দিনের মূল অনুষ্ঠান। উগাদি পাচাদি হল রান্নার হাইলাইট। এটি একটি অনন্য খাবার যা জীবনের ছটি স্বাদ—মিষ্টি, টক, নোনতা, তিক্ত, মশলাদার এবং কষা—জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা গ্রহণের প্রতীক। এর পাশাপাশি, পুলিহোরা, বোব্বাটলু, পায়সম এবং বড়ার মতো অন্যান্য উৎসবের খাবারও প্রস্তুত করা হয়। উৎসব উপলক্ষে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

    উগাদি উৎসব পালন করার (Kannada Devotees Stilt Walk) আগে পুণ্যার্থীরা কৃচ্ছসাধন করেন। এঁদের অনেকেই মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়ে দর্শন করেন শ্রীশৈলম মন্দির। এই মন্দিরে রয়েছেন ভগবান শিব। আরও কিছু দেবদেবীও রয়েছেন। মূলত ভগবান শিবকে দর্শন করতেই নানা কসরত করেন ভক্তরা। দেবদর্শন শেষে বাড়ি ফিরে পালন করেন উগাদি পাচাডি (Kannada Devotees Stilt Walk)।

  • Jayalalithaa: জয়ললিতার সব সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল তামিলনাড়ু সরকারের হাতে, কী কী ছিল জানেন?

    Jayalalithaa: জয়ললিতার সব সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল তামিলনাড়ু সরকারের হাতে, কী কী ছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার (Jayalalithaa) স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল সরকারের হাতে। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েক কেজি সোনা ও রুপোর গয়নাও।

    আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন সম্পত্তি (Jayalalithaa)

    ২০১৪ সালে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতাকে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ আদালত। সেই সময়ই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৫ সালে বন্দিদশা ঘোঁচে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল কর্নাটক সরকারের কোষাগারে। ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেই তাঁর আত্মীয়রা সম্পত্তি দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়। শনিবার আদালতের নির্দেশে সেই সম্পত্তি বিশেষ আদালতের তরফে তুলে দেওয়া হয় তামিলনাড়ু সরকারের হাতে।

    জয়ললিতার সম্পত্তির পরিমাণ

    সিনে দুনিয়ার দাপুটে অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ জয়ললিতার (Jayalalithaa) সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে। তাঁর বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়নার পরিমাণ ২৭ কেজি। এর মধ্যে রয়েছে সোনার মুকুট, তরোয়াল, হাতঘড়ি, পেন এবং এক হাজার ৬০৬টি মূল্যবান গয়না। বিশেষ সরকারি আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে ২৭ কেজি ওজনের সোনার নানারকম গয়না-সামগ্রী তামিলনাড়ু সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সামগ্রীগুলি পরীক্ষা করে দেখেছেন তামিলনাড়ুর ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা। এর সঙ্গে ১ হাজার ৫২৬ একর জমির আইনি কাগজপত্রও তুলে দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ু সরকারের হাতে।” তিনি বলেন, “পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে ছটি ট্রাঙ্ক বোঝাই সম্পত্তি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তামিলনাড়ু পৌঁছচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে জয়ললিতার বাজেয়াপ্ত হওয়া শাড়িগুলি ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    এদিন জয়ললিতার যে সম্পত্তি তামিলনাড়ু সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ৪৬৮ রকমের সোনা ও হিরেখচিত গয়না। এর ওজন ৭ হাজার ৪০ গ্রাম। রুপোর গয়না রয়েছে ৭০০ কেজির ৭৪০টি দামি চটি, ১১ হাজার ৩৪৪টি সিল্কের শাড়ি, ২৫০টি শাল, ১২টি ফ্রিজ, ১০টি টিভি সেট, ৪টি ভিসিআর, একটি ভিডিও ক্যামেরা, ৪টি সিডি প্লেয়ার, দুটি অডিও ডেক, ২৪টি টু-ইন-ওয়ান টেপ রেকর্ডার (Tamil Nadu), ১ হাজার ৪০টি ভিডিও ক্যাসেট, ৩টি আয়রন লকার, নগদ ১ লাখ ৯৩ হাজার ২০২ টাকা এবং আরও অন্যান্য সামগ্রী (Jayalalithaa)।

  • Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে ফের মিলল সাফল্য। সোমবার, বসন্ত পঞ্চমীর দিন দুপুরে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার ডিভিশনের কাঁকের জেলায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল মাওবাদীদের (Maoist Guerrilla Killed) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর এক সদস্যের। এ নিয়ে গত মাসের অভিযানে বস্তার ডিভিশনে সিপিআই মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি-সহ মোট ৩৪ জন গেরিলা খতম হল। শনিবারই রাতে কাঁকেরের পাশের জেলা বিজাপুরে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিলেন আট মাওবাদী।

    মাও দমনে অভিযান (Maoist Guerrilla Killed)

    এদিন উত্তর বস্তার ও মাঢ় ডিভিশনের সীমানায় অবুঝমারের জঙ্গলের দুর্গম এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ ও ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর যৌথ অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি মাও অধ্যুষিত নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান।

    পুলিশ কর্তার বক্তব্য

    অভিযানের পাশাপাশি মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য ধারাবাহিক প্রচারও চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ, মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে (Maoist Guerrilla Killed) কাজল। ছত্তিশগড় পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বেশ কয়েকজন মাওবাদী খতম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জখমও হয়েছেন অল্প কয়েকজন। মাওবাদীদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।”

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে ৫০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ৯জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নিঃশর্তে শৃঙ্গেরিতে এসপি আমাথের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বছর চুয়াল্লিশের কোটেহোল্ডা রবীন্দ্র (Chhattisgarh)। তিনি ‘এ’ ক্যাটেগরির নকশাল (Maoist Guerrilla Killed)।

  • Chandra Arya: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    Chandra Arya: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী (Canada PM Race) কি পেতে চলেছে কানাডা? কারণ, জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফার পর তাঁরই দল লিবারেল পার্টির পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দের নাম ঘোরাফেরা করছিলই। এবার সেই দৌড়ে অবতীর্ণ হলেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা নিজেকে ‘গর্বিত হিন্দু’ বলে পরিচয় দেওয়া চন্দ্র আর্য।

    সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্য (Chandra Arya) ঘোষণা করেছেন যে, তিনি লিবারেল পার্টির তরফে কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। যদিও পরবর্তী কেউ দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত তিনিই সবকিছু সামলাবেন।

    চন্দ্রের প্রতিশ্রুতি 

    পেশায় ইঞ্জিনিয়র ও কানাডার নেপিয়ানের সাংসদ চন্দ্র আর্য (Chandra Arya) । ভারতের কর্নাটকে জন্ম তাঁর। বৃহস্পতিবার এক্স পোস্টে তিনি জানান, কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। বিবৃতিতে চন্দ্র লেখেন, কানাডাবাসীর কাছে নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই রচনা করার সুযোগ এসেছে। চন্দ্রের দাবি, তাঁর মন্ত্রিসভায় সংরক্ষণের ভিত্তিতে নয়, মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন হবে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি কানাডা পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘ছোট এবং আরও দক্ষ’ সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আরও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান সাংসদ। তার মধ্যে অন্যতম অবসর গ্রহণের বয়স বাড়ানো। নাগরিকত্বের উপর ভিত্তি করে কর ব্যবস্থার প্রবর্তন ও প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। 

    কানাডার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বার্তা

    ২০১৫ সালে প্রথম সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন চন্দ্র আর্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কানাডায় বেশকিছু সমস্যা চলে আসছে, যেগুলির সমাধান আজও হয়নি বলে দাবি তাঁর। ক্ষমতায় এলে সেগুলিই আগে নিরসনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। কানাডার অর্থনীতিকেও ঘুরে দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ। তাঁর কথায়, “কানাডার মধ্যবিত্তরা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজই করে চলেছে। এমনকী মরণকালেও তাদের দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। কঠোর হলেও সিদ্ধান্ত আমাদের এখনই নিতে হবে। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে আমার কাছে উপায় রয়েছে। সেগুলি বাস্তবায়ন করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” কানাডাবাসীর কাছে সমর্থনের জন্য আহ্বানও জানান চন্দ্র আর্য।

    কর্নাটক থেকে কানাডা

    চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)  কর্নাটকের সিরা তহশিলের দ্বারলু গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। তিনি ধরওয়াদের কৌশালি ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ থেকে এমবিএ করেন। ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর ২০ বছর আগে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কানাডায় চলে যান। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, তিনি প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। পরে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে অটোয়ায় একটি দু-কামরার বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন চন্দ্র। প্রথমে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন, তারপর ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। পরে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন চন্দ্র। এরপর কানাডায় তিনি একটি ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। রাজনীতিতে আসার আগে, তিনি একটি ছোট প্রযুক্তিগত প্রতিরক্ষা সংস্থার এক্সিকিউটিভ হিসেবে ছয় বছর কাটান। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো কানাডার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন চন্দ্র। ২০১৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি।

    মাতৃভাষা নিয়ে গর্বিত চন্দ্র

    ২০২২ সালে কানাডার সংসদে তাঁর মাতৃভাষা কন্নড়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় চন্দ্র আর্য গর্বের সঙ্গে নিজের সাংস্কৃতিক শিকড়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বলেছিলেন, “আমি কানাডিয়ান পার্লামেন্টে আমার মাতৃভাষা কন্নড় ভাষায় কথা বললাম। এই সুন্দর ভাষার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং প্রায় ৫ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ভারতের বাইরে বিশ্বের কোনও সংসদে এই প্রথম কন্নড় ভাষায় কথা বলা হচ্ছে।” 

    কানাডায় গর্বিত হিন্দু চন্দ্র

    কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা বারবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)। গতবছর নভেম্বর মাসে, চন্দ্র কানাডার পার্লামেন্টের সামনে একটি গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেন, যাতে ‘ওম’ প্রতীক ছিল। তিনি হিন্দু হেরিটেজ মাস উদযাপন করেন এবং কানাডার রাজনৈতিক পরিসরে হিন্দু কানাডিয়ানদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। কানাডায় একের পর এক হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন চন্দ্র। এরপরই  নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের হুমকির মুখে পড়েন তিনি। কানাডায় খালিস্তানি উগ্রবাদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চন্দ্র। খালিস্তানি কট্টরপন্থীরা কানাডার বিভিন্ন অংশে ভারতবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV in India: কর্নাটকের পর গুজরাট! দু’মাসের শিশুর দেহে মিলল এইচএমপি ভাইরাস

    HMPV in India: কর্নাটকের পর গুজরাট! দু’মাসের শিশুর দেহে মিলল এইচএমপি ভাইরাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের (Karnataka) পর গুজরাট (Gujarat)। হিউম্যান মেটানিউমো (HMP) ভাইরাসে তৃতীয় আক্রান্তের খোঁজ মিলল। আমেদাবাদের দু’মাস বয়সি এক শিশুর শরীরে মিলল এই ভাইরাস। আক্রান্ত শিশুটি আপাতত চাঁদখেরা এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি রাজস্থানের দুঙ্গারপুর থেকে আমেদাবাদে পৌঁছেছিল ওই শিশুর পরিবার। সেখানেই সোমবার দুপুরে শারীরিক পরীক্ষার পর শিশুর শরীরে মিলেছে এইচএমপিভি-র সংক্রমণ।

    কেমন আছে আক্রান্তরা

    সোমবার সকালেই বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে এইচএমপিভি-র সংক্রমণের খবর মিলেছে। প্রথমে আট মাসের এক শিশুর শরীরে ওই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। পরে তিন মাসের আর একটি শিশুর শরীরেও ভাইরাসের হদিস পাওয়া যায়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা এখনই নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এইচএমপিভি আক্রান্ত দুই শিশুরই অবস্থা স্থিতিশীল। তাদের মধ্যে তিন মাসের শিশুটিকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য জনও সেরে ওঠার মুখে।

    এখনই উদ্বেগ নয়

    ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চিনে ভাইরাসটির যে রূপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটির গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে এটি ভাইরাসের চিনা রূপ নাকি স্বাভাবিক এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। সাধারণ এইচএমপিভি সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা লাগা, ঘাম হওয়া, মাথা ধরা, পেশি ও গাঁটগুলিতে ব্যথা, ক্লান্তি এবং খিদে কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। তবে সম্প্রতি, যে স্ট্রেইন চোখে পড়েছে তাতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সদ্যোজাতরাই। তবে এইচএমপিভি-র সংক্রমণ নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    Karnataka: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মহত্যা করেছেন বছর ছাব্বিশের এক ঠিকাদার। তিনি কর্নাটকের (Karnataka) মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়্গের (Priyank Kharge) ঘনিষ্ট সহযোগী রাজু কাপনুরের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। সচিন নামের ওই ঠিকাদারের দেহ উদ্ধার হয় বিডার জেলার ভল্কি তালুকের কট্টিটুঙ্গাঁও গ্রামে রেললাইনের ওপর থেকে।

    উদ্ধার সুইসাইড নোট

    মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার হয় সাত পাতার একটি সুইসাইড নোটও। ওই নোটে তিনি রাজুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার জেরে তোলপাড় কর্নাটকের রাজনৈতিক মহল। সুইসাইড নোটে সচিন জানিয়েছেন, রাজু যখন কালাবুরাগি পুরসভার কর্পোরেটর ছিলেন, তখন তাঁকে একটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ লাখ টাকারও বেশি প্রতারণা করেছেন। টেন্ডার কিংবা টাকা কোনওটাই তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আরও এক কোটি টাকা না দিলে রাজুর ক্ষতি করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসায় কর্নাটকের ঠিকাদারদের দুরাবস্থার একটি অন্ধকার অধ্যায় উন্মোচিত হল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সচিনের দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন ওই ঠিকাদারের পরিবার। সুইসাইড নোটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে সচিনের পরিবারের তরফে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের নেতারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন, করলেন স্মৃতিচারণও

    বিপাকে মন্ত্রী

    ঘনিষ্ট সহযোগীর (Karnataka) নাম জড়ানোয় বিপাকে পড়েছেন কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সবে মাত্র জানতে পেরেছি। এটি কংগ্রেস দল বা আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সঙ্গে সম্পর্কিত হোক না কেন, আমি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি চাইছি। সত্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করা হবে। ধামাচাপা দেওয়া হবে না।” সচিনের তোলা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রিয়ঙ্ক। মন্ত্রীর কথায় অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারছেন না সে রাজ্যের মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, যথেষ্ট রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি ও নিরপেক্ষ তদন্ত (Priyank Kharge) ছাড়া দুর্নীতি ও ঠিকাদারদের আত্মহত্যার এই চক্র অব্যাহত থাকতে পারে (Karnataka)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার ঠিকাদারদের জীবিকার সঙ্গে খেলা করছে। আমাদের রাজ্যের সামনে থাকা বহু সমস্যার সমাধান করার বদলে, কংগ্রেস সরকার অব্যাহতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করছে এবং দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Distorted Kashmir Map: বেলগাভির কংগ্রেস বৈঠকে ভারত-ভূখণ্ডের বিকৃত মানচিত্র, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির 

    Distorted Kashmir Map: বেলগাভির কংগ্রেস বৈঠকে ভারত-ভূখণ্ডের বিকৃত মানচিত্র, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেসের সর্বভারতীয় অধিবেশনে চোখে পড়ল ভারতের বিকৃত মানচিত্র (Distorted Kashmir Map)। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের বেলগাভিতে কংগ্রেসের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির দু’দিনের বৈঠক শুরুর ঠিক আগে এমনই অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের অধিবেশন উপলক্ষে কর্নাটকের বেলগাভিতে ভারতের মানচিত্র আঁকা যে ব্যানার ঝোলানো হয়েছে, তাতে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ এবং ‘আকসাই চিন’ অনুপস্থিত।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কর্নাটক বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘‘কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের অংশ’ এবং আকসাই চিনকে ‘চিনের অংশ’ দেখিয়ে কংগ্রেস ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদীর দাবি, বিশেষ জনগোষ্ঠীর ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের অংশ’ দেখিয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ১০০ বছর আগে, ১৯২৪ সালের ডিসেম্বরে মহাত্মা গান্ধীর সভাপতিত্বে বেলগাভিতে কংগ্রেসের অধিবেশন বসেছিল। সেটিই ছিল গান্ধীর সভাপতিত্বে কংগ্রেসের একমাত্র অধিবেশন। লোকসভা ভোটে হার এবং তার পরে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজতে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের বেলগাভিকে বেছে নিয়েছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধীরা। আর সেখানেই এমন বিতর্ক।

    বিজেপি এই ঘটনাকে “লজ্জাজনক” আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি, কংগ্রেস মার্কিন বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোসের সঙ্গে আঁতাত করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। বিজেপি নেতারা এও বলেন যে, কংগ্রেসের এমন কাজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয় এবং এটি দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের প্রতি গভীর অসন্মান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maoist Leader: কর্নাটকের জঙ্গলে এনকাউন্টারে খতম মাওবাদী শীর্ষ নেতা বিক্রম, ২০ বছর ধরে চলছিল খোঁজ

    Maoist Leader: কর্নাটকের জঙ্গলে এনকাউন্টারে খতম মাওবাদী শীর্ষ নেতা বিক্রম, ২০ বছর ধরে চলছিল খোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ছিলেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা বিক্রম গৌড়া। দিনের পর দিন তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তদন্তকারীদের। ২০ বছর ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল কর্নাটক পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মিলল সাফল্য। সোমবার কর্নাটকের (Karnataka) উদুপির কাছে কাবিনেল জঙ্গলে রাজ্যের মাওবাদী (Maoist Leader) দমন বাহিনীর (এএনএফ) সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বিক্রমের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Maoist Leader)

    জানা গিয়েছে, উদুপি পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে, ৫ জন মাওবাদী (Maoist Leader) হেবরি তালুকের কাছে এক দোকানে জিনিসপত্র কিনছিলেন। তাদের আচরণ দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে পুলিশে জানানো হয়। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় অ্যান্টি নকশাল ফোর্সের সঙ্গে। এর পরই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরে কাবিনেল জঙ্গলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর এক মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায় নিহত ওই মাওবাদী বিক্রম গৌড়া। এতদিন তাঁর খোঁজে ছিল পুলিশ। যদিও প্রথমদিকে পুলিশ জানতে পারেনি বিক্রমই ওই জঙ্গলে লুকিয়েছিলেন। হামলার পর দেহ উদ্ধার হতেই পুলিশ তাঁকে সনাক্ত করে।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বললেন?

    রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, “রাজ্যে মাওবাদী (Maoist Leader) আন্দোলনের মুখ ছিলেন বিক্রম। কয়েক দশক ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। মাওবাদীর অন্যতম মাথা ছিলেন তিনি। তাঁকে ধরতে অভিযানে যেতেই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মাওবাদীরা। বাহিনীর পাল্টা জবাবে নিহত হন বিক্রম। মাওবাদী নেতা নিহত হলেও তাঁর সঙ্গীরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের খোঁজ চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Lokayukta: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    Karnataka Lokayukta: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত (Karnataka Lokayukta)। রবিবার, ১৮ নভেম্বর রাজ্যের ঠিকাদারদের অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াত সভাপতি ডি. কেম্পান্না এবং সহ-সভাপতি আর অম্বিকাপথীর দায়ের করা ৪০ শতাংশ কমিশন (BJP) মামলায় আগের বাসবরাজ বোম্মাই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিল লোকায়ুক্ত। গত বছরই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ডি. কেম্পান্না এবং আর অম্বিকাপথী।

    কী বলছে বিজেপি? (Karnataka Lokayukta)

    সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা আর অশোক বলেন, “অভিযোগকারীরা কখনওই ৪০ শতাংশ কমিশনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। অথচ  ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রই প্রয়োগ করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “লোকায়ুক্ত কখনওই ঠিকাদারদের দেওয়া ৪০ শতাংশ কমিশনের কোনও প্রমাণ পায়নি। কেম্পান্না এবং অম্বিকাপথী কংগ্রেস পার্টির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু লোকায়ুক্ত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। কারণ অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি।” অশোক আরও বলেন (Karnataka Lokayukta), “বর্তমান কংগ্রেস সরকার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবি এবং ভোটারদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় এসেছে।” তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, “শাসক কংগ্রেস ভবিষ্যতে পরাজিত হবে এবং তাদের নেতারা বাড়িতে থাকতে বাধ্য হবেন।”

    লোকায়ুক্তের বক্তব্য

    লোকায়ুক্তও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও মুখ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, “ক্লিন চিট দেওয়া মানে কোনও অন্যায় হয়নি, এমন নয়।” তিনি বলেন, “বিজেপি দাবি করেছে যে তারা ক্লিন চিট পেয়েছে, তবে এর অর্থ এই নয় যে কোনও ভুল হয়নি। আদালতে একটি মামলা খারিজ হওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। একটি উপায় হল পেশ হওয়া প্রমাণ অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম নয়। আমি নিজে নির্দেশটি পড়িনি, তবে আমি এটি খতিয়ে দেখব।”

    আরও পড়ুন: পিএম-কিষানের টাকায় অর্থ সংগ্রহ! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জঙ্গি-ছক ফাঁস

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এই বলে যে, যদি তাদের কাছে ওই মামলায় বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তারা আদালতে যেতে পারে। শাহের এই মন্তব্যের আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি হল ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল। দুর্নীতির ওই টাকা অন্যান্য দলের বিধায়কদের কিনে নিতে ব্যবহার করা (BJP) হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন শাহ (Karnataka Lokayukta)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Giriraj Singh: ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    Giriraj Singh: ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার উপনির্বাচনে অশান্তি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে দেশের হিংসার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার (Mamata Banerjee) সেখানকার আইন-শৃঙ্খলাকে একদম পকেটে ভরে নিয়েছে এবং মুসলমান সম্প্রদায়কে তোষণ করার রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আগামী দিনে তা বাংলাদেশ হতে চলেছে।’’ 

    নির্লজ্জতার সমস্ত স্তর অতিক্রম করেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী

    একইসঙ্গে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী, সিদ্ধারামাইয়াকেও তিনি তোপ দাগেন এবং বলেন, ‘‘কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি।’’ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন যে তাঁর রাজ্যে অপারেশন লোটাস চালাতে চাইছে বিজেপি। এভাবেই কংগ্রেসের সরকারকে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়েই তাঁকে তোপ দাগেন গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ‘‘নির্লজ্জতার সমস্ত স্তর অতিক্রম করেছেন কর্নাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেই একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি। কর্নাটক সরকার সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করছে। কংগ্রেস সরকার সে রাজ্যের টেন্ডারেও তোষণের রাজনীতি করছে। শুধু মুসলিম হওয়ার জন্য যদি রিজার্ভেশন দেওয়া হয়, তাহলে তার থেকে বড় দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে!’’

    সুইৎজারল্যান্ডে নিষিদ্ধ হবে বোরখা, কী বলছেন গিরিরাজ (Giriraj Singh)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুইৎজারল্যান্ডে বোরখা নিষিদ্ধ হতে চলেছে। ২০২৫ সালের সালের ১ জানুয়ারি থেকে সে দেশে নিষিদ্ধ হবে বোরখা। এ নিয়ে গিরিরাজ বলেন, ‘‘বর্তমানে পরিবর্তনের যুগ চলছে। নারী সশক্তিকরণের যুগ চলছে।’’ অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share