Tag: Karnataka

Karnataka

  • VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru) বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (vhp) ও বজরং দল (Bajrang dal)। এদিন সকালে রীতি মেনে মালালির ওই মসজিদে ‘তম্বুলা প্রশ্নম’ (Thamboola prasnam) পরিবেশিত হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, মসজিদ (mosque) সংস্কারের কাজ চলাকালীন সেখানে একটি মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মিলেছে। তার পরেই এদিন আচার পালনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতো পরিবেশিত হয় তম্বুলা প্রশ্নম।

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো একটি কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। পুজোপাঠ সংক্রান্ত একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল প্রমুখ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সেদিনই ভরত জানিয়েছিলেন, ২৫ মে মসজিদ চত্বরে বিশেষ তম্বুলা প্রশ্নম পালন করা হবে। তার পরেই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অশান্তি এড়াতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তার মধ্যেই তম্বুলা প্রশ্নম পালন করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। মসজিদটি এক সময় মন্দির ছিল কিনা, তা জানতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে হিন্দত্ববাদী একটি সংগঠন। তম্বুলা প্রশ্নম আচার পালনের পর হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে তারা অষ্টমঙ্গলা প্রশ্নম করবে। কারণ তাদের বিশ্বাস, মন্দিরের জায়গায় মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান

    স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি মন্দিরের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভিএইচপি এবং বজরং দলের নেতারা এবং আরও কিছু হিন্দু সংগঠন আদালতে গিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল যাতে মন্দিরের মতো কাঠামোগুলি যথাযথ তদন্ত না করে ভেঙে ফেলা না হয়। সত্য প্রকাশ্যে আনার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সমীক্ষা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে ভিএইচপি নেতারা প্রাপ্ত নথিগুলি যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাঠোমোর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কন্নড় কমিশনারেট। প্রশাসন জমির নথি খতিয়ে দেখছে। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসীকে।

     

  • Domestic violence: কর্তব্যে অনীহা! “স্বাভাবিক” ভাবেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মেয়েরা, দাবি সমীক্ষায়

    Domestic violence: কর্তব্যে অনীহা! “স্বাভাবিক” ভাবেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মেয়েরা, দাবি সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্য পালন না করার ফলে মেয়েদের যদি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হয়, তাহলে তাতে কোনও ‘ভুল’ নেই। সেই ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলেই মনে করে দেশের অর্ধেক ছেলে-মেয়েরা। কেন্দ্রের সমীক্ষায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

    ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (NFHS) অনুযায়ী, কর্ণাটকের বেশিরভাগ বাসিন্দাই মনে করেন, মেয়েরা যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন না করেন তাহলে স্ত্রীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসা বা যৌন হয়রানির ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health & Family Welfare) প্রকাশিত ওই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে শুধু কর্ণাটক নয় দেশের প্রায় অর্ধেক পুরুষ এবং মহিলা এই যুক্তিতে একমত।

     ভারতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হন, ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫ রিপোর্টে এমনটাই দেখা গিয়েছে। যদিও দেশে নারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা ৩১.২% থেকে ২৯.৩% এ হ্রাস পেয়েছে। তবুও দেশবাসীর এই মানিসকতা চমকে দেওয়ার মতো বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৩২% বিবাহিত মহিলা (১৮-৪৯ বছর) শারীরিক, যৌন বা মানসিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রীর সহিংসতার সবচেয়ে সাধারণ প্রকার হল শারীরিক সহিংসতা (২৮%), তারপরে মানসিক সহিংসতা এবং যৌন সহিংসতা। এর বিপরীতে, দেশে মাত্র ৪ % পুরুষ গার্হস্থ্য সহিংসতার মামলার মুখোমুখি হন।

    কর্ণাটকে নারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য সহিংসতা সর্বোচ্চ ৪৮ %, বিহার, তেলেঙ্গানা, মণিপুর এবং তামিলনাড়ুর পরে। লক্ষদ্বীপে সর্বনিম্ন পারিবারিক সহিংসতা ২.১%। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের মধ্যে শারীরিক সহিংসতার অভিজ্ঞতা বেশি সাধারণ (৩২%) শহরাঞ্চলে তাদের সমকক্ষদের তুলনায় (২৪%) এবং একজন মহিলার সহিংসতার অভিজ্ঞতা ক্রমবর্ধমান স্কুলিং এবং সম্পদের সঙ্গে দ্রুত হ্রাস পায়।

    সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চের রঞ্জনা কুমারী বলেন,” এই সমীক্ষা প্রমাণ করে দেশবাসী নারীর উপর গার্হস্থ্য হিংলার ঘটনাকে সাধারণ বলে মনে করে। এতে কোনও অপরাধ লুকিয়ে আছে বলে মানেন না তাঁরা। শুধু পুরুষেরা নয়, মেয়েরাও এই নীতিকেই মেনে নিয়েছে।” এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে নারীশিক্ষার উপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন রঞ্জনা। 

     

  • Karnataka: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সাইক্লিং রুট! কর্নাটক সৈকতের ছবি পোস্ট নরওয়ের কূটনীতিকের

    Karnataka: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সাইক্লিং রুট! কর্নাটক সৈকতের ছবি পোস্ট নরওয়ের কূটনীতিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন নরওয়ের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ এরিক সোলহাইম। কর্নাটকের উডুপি জেলার সমুদ্রসৈকত সহ একটি রাস্তার ছবি শেয়ার করে তাকে “বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সাইক্লিং রুট” বলে উল্লেখ করেছেন।  এরিক তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডলে ছবিটি পোস্ট করা মাত্র তা ভাইরাল হয়ে যায় এবং ৪৭ হাজারের বেশি লাইক আসে। তবে তিনি রাস্তাটির অবস্থান উল্লেখ করেননি।

    যদিও নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই বুঝতে পারেন ছবিটি উডুপি জেলার বাইনদুর শহরের নিকটবর্তী মারাভান্থে সৈকতের। এরিক সোলহাইম শুধুমাত্র ছবিটি শেয়ার করেছেন। ছবিটি কিন্তু তুলেছেন ধীনেশ আন্নামালাই নামের এক চিত্রগ্রাহক এবং তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে প্রথম ছবিটি শেয়ার করেছিলেন।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে, ভারতের প্রশংসা করার জন্য এরিককে ধন্যবাদ জানালেও নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই তাঁর “সাইক্লিং রুট” তত্ত্বকে সমর্থন করেননি। তাঁদের মধ্যে কেউ লিখেছেন, ‘এই রাস্তাটি মোটেই সাইকেল চালানোর জন্য নয়। আমি এখানে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি। এখানে গাড়ি, ট্রাক প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিমি বেগে যাতায়াত করে। এছাড়া এখানে কোনও সাইকেল চালানোর পৃথক লেনও নেই।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে এটি অত্যন্ত সুন্দর রাস্তা কিন্তু এটি জাতীয় সড়ক। সুতরাং সাইকেল চালানোর কথা না ভাবাই উচিত।’

    [tw]


    [/tw]

    অনেকে এরিক সোলহাইমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উডুপিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাবার জন্য। একজন আবার জানিয়েছেন, যাঁরা এটাকে জাতীয় সড়ক বলে উল্লেখ করছেন এবং এই রাস্তা সাইক্লিংয়ের অযোগ্য বলে মত প্রকাশ করেছেন, তাঁদের জানিয়ে রাখি, এটি মারাভান্তে সৈকত নয়। এটা মাল্পল-মাত্তু-কোপ রোড। এই রাস্তাটি অবশ্যই একটি সাইক্লিং রুট।

    উপকূলীয় কর্নাটকের একদিকে আরব সাগর ও অন্যদিকে সৌপর্নিকা নদী। আর এখানেই মারাভান্থে সৈকতটি অবস্থিত। বেঙ্গালুরু থেকে ৪২০ ও ম্যাঙ্গালুরু থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মারাভান্থে।

  • Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) বিতর্কে সরগরম দেশ। বিতর্ক শুরু মথুরায়ও। এহেন আবহে ফের মন্দির-মসজিদ বিতর্ক (temple mosque controversy)। কর্নাটকের (Karnataka) ম্যাঙ্গালুরুর (mangaluru) এক মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। ২৫ মে ওই মসজিদ চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের পরিকল্পনা করছে স্থানীয় হিন্দুরা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (vhp) নেতারা।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই শুরু বিতর্ক। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করেছে হিন্দুদের একটি গোষ্ঠী। পুজোপাঠ সংক্রান্ত ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল।  

    ভরত বলেন, চলতি মাসের ২৫ তারিখে মসজিদ চত্বরে আমরা বিশেষ “থাম্বুলা প্রাশে” করতে চলেছি। আচার শেষ হলে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারব। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। সূত্রের খবর, উত্তেজনা এড়াতে ইতিমধ্যেই এলাকাটি সিল করে দিয়েছে পুলিস।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    দক্ষিণ কন্নড়ের ডেপুটি কমিশনার রাজেন্দ্র কেভি বলেন, আমি পুরো বিষয়টি জেনেছি। ভূমি দফতর জমিটির মালিকানার ইতিহাস খতিয়ে দেখছে। আমি ওয়াকফ বোর্ড এবং হিন্দু মন্দিরের দাবিদার, দু পক্ষের সঙ্গেই কথা বলব। পুরো বিষয়টি শুনব। তিনি বলেন, সব পক্ষের কথা শুনে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করবে। ততদিন এলাকায় বজায় থাকুক স্থিতাবস্থা।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। পরে রানি অহল্যাবাই সেখানে ফের মন্দির গড়ে তোলেন। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shringar Gauri temple) ছিল বলেও দাবি। মসজিদের ওজুখানার (Wazukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন আদালতে। তার পর এবার ফের আরও একটি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্য উত্তর প্রদেশ নয়, কর্নাটক।

     

  • KS Eshwarappa: দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী

    KS Eshwarappa: দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় শেষমেশ পদত্যাগ করলেন কর্নাটকের (Karnataka) মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক কে এস ঈশ্বরাপ্পা (KS Eshwarappa)। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাইয়ের (Basavaraj Bommai) সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসার আগে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র শিবমোগ্গায় (Shivamogga) সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,”আবার ফিরে আসব।”

    সন্তোষ পাটিল (Santosh Patil) নামে এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিপাকে পড়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তিনি আর মন্ত্রী থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরাপ্পা নিজের বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, এই দাবি তুলে প্রতিবাদও করেন অনেকে। তাঁদের উদ্দেশে ঈশ্বরাপ্পার বার্তা,”আমি দলের ক্ষতি করতে চাই না। তাই,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজই পদত্যাগপত্র জমা দেব। আমি নিশ্চিত, সমস্ত অভিযোগ থেকেই মুক্ত হব আমি। এ রাজ্যের বহু দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে নেতা-বিধায়কেরা আমায় সমর্থন করছেন।”

    ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কমিশন (40 per cent commission) চাওয়ার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক প্রিয়ঙ্ক খড়্গে বলেছেন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও অনেকেই জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রিয়ঙ্ক। 

    কর্নাটকের উদুপির একটি লজে বুধবার আত্মহত্যা করেন ৩৭ বছরের সন্তোষ। মৃত্যুর আগে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর বন্ধু ও পরিজনকে জানান, তাঁর মৃত্যুর জন্য মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাই দায়ী। মৃত ঠিকাদারের অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাজ করেছিলেন। বিল হয়েছিল চার কোটি টাকা। তার ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সন্তোষ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তোষের মৃত্যুর পর তাঁর ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে প্রথম অভিযুক্তের নাম ঈশ্বরাপ্পা। যদিও প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, “ওই সুইসাইড নোট মিথ্যে। তার কোনও ভিত্তি নেই। হোয়াটসঅ্যাপকে সুইসাইড নোট হিসাবে ধরা হয় নাকি? অন্য কেউ তো টাইপ করে দিতে পারে।”

     

  • Karnataka Bible: ক্লাসে আনতেই হবে বাইবেল! বেঙ্গালুরুতে নির্দেশ স্কুলের, আদালতে যাচ্ছে এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    Karnataka Bible: ক্লাসে আনতেই হবে বাইবেল! বেঙ্গালুরুতে নির্দেশ স্কুলের, আদালতে যাচ্ছে এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ  ডেস্ক: শিক্ষাপ্রাঙ্গণে হিজাব পরে প্রবেশ নিয়ে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বাইবেল নিয়ে বিতর্ক কর্নাটকে। রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি স্কুলে সম্প্রতি পড়ুয়াদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্লাসে বাইবেল নিয়ে আসতেই হবে। পড়ুয়া যে ধর্মেরই হোক না কেন, এই নির্দেশ মানা বাধ্যতামূলক। এই মর্মে অভিভাবকদের থেকে মুচলেকাও আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ। 

    স্কুলের ওই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরই বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্কুলটি পড়ুয়াদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে, এই দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন অভিভাবকদের একাংশ। এমনকী, বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের সাহায্যে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কাছে এবিষয়ে নালিশ জানানোর পাশাপাশি আদালতে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

    বেঙ্গালুরুর ওই স্কুলটির নাম ক্ল্যারেন্স স্কুল। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুলটি খ্রিস্টান মূল্যবোধে বিশ্বাসী। পড়ুয়াদেরও সেই মূল্যবোধ তারা শেখাতে আগ্রহী। তারা চায়, পড়ুয়ারা সেই আবহে বেড়ে উঠুক। সেই লক্ষ্যে বাইবেল আনতে বলার সিদ্ধান্ত। যদিও বেঙ্গালুরুর একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিনিধির দাবি, বিষয়টি অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অধিকারভঙ্গের একটি ষড়যন্ত্র। তাই তাঁরা স্কুলটির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও যাবে সংগঠনটি। ওই সংগঠনের প্রধান জানান, এই বিষয়টি নিয়ে কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশের কাছে যাবেন তাঁরা। যদি রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আদালতে যাবেন তাঁরা।  

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই কর্নাটকের একটি কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হিজাব পরে আসায় আপত্তি জানিয়েছিল। দীর্ঘ বিতর্কের পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মের কোনও জায়গা নেই। 

     

LinkedIn
Share