Tag: Karnataka

Karnataka

  • Karnataka: মন্দিরের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ পুরোহিতদের! কর্ণাটকে একি কাণ্ড?

    Karnataka: মন্দিরের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ পুরোহিতদের! কর্ণাটকে একি কাণ্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে টাকা আত্মসাতের অনেক ঘটনাই আপনারা শুনেছেন। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন যে পুরোহিতরাও টাকা আত্মসাৎ করেছে ,তাও আবার মন্দিরের নামে! হ্যাঁ, এমনই অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের (Karnataka) কালাবুরাগিতে (Kalaburagi)। কালাবুরাগির দেবলাঙ্গানাপুর মন্দিরের (Devalaganapur temple) নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে ‘ডোনেশন’ থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন পুরোহিতের নামে।  অভিযোগ সামনে আসতেই  তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পুরোহিতরা পলাতক। 

    আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    উত্তর কর্ণাটকের গঙ্গাপুর নদীর পাশে থাকা এই দত্তাত্রেয় (Sri Dattatreya) মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়। শুধুমাত্র এই রাজ্যই নয়, পার্শ্ববর্তী মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গনা থেকেও অনেক ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই পুরোহিতরা এরকম ৮ টি ওয়েবসাইট বানিয়েছে। গত ৪ বছর ধরে ভুয়ো ওয়েবসাইটের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা তারা মানুষের থেকে ‘ডোনেশন’ এর নামে নিয়েছে। আর ওই সমস্ত টাকা তারা পরে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছে। আরও জানা যায়, এক একটি পুজোর জন্য পুরোহিতরা ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করত।

    আরও পড়ুন: ইনি ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন ১০ টাকার কয়েনে! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই মন্দিরটি রাজ্যের মুজুরাই(Muzurai) দফতর ও কালাবুরাগি ডেপুটি কমিশনার যশওয়ান্ত গুরুকরের(Yashwant Gurukar) আওতায় রয়েছে। তিনি এই মন্দিরের টাকার অডিট করতে গিয়ে এই বিষয়ে জানতে পারেন ও পুরোহিতদের অপকীর্তির পর্দা ফাঁস করেন। তারপরেই থানায় এই পুরোহিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, প্রায় ২০০০ জন ভক্তের টাকা এই ভুয়ো ওয়াবসাইটের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে পুরোহিতরা। পুলিশের আরও সন্দেহ যে,  হয়ত মন্দিরের ডোনেশন বক্স থেকেও টাকা সরিয়েছে পুরোহিতরা। এব্যাপারে প্রমাণও মিলেছে।  সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখা গেছে, যেদিনই ডোনেশন বক্সের টাকা গোনা হত সেদিনই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ঢাকা থাকত। অন্যদিকে কালাবুরাগির ডেপুটি কমিশনার (deputy commissioner) যশওয়ান্ত গুরুকর  অভিযুক্ত পুরোহিতদের থেকে টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আরও  তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে আরও তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

  • Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    Rajya Sabha poll : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হল রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)। শুক্রবারই শুরু হয় গণনা। হয়েছে ক্রস ভোটিংও (Cross Voting)। এদিকে, রাজ্যসভা (Rajya Sabha) ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়ে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay Highcourt)।

    ১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ৫৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ৪১ জন আগেই জয়ী হয়ে যাওয়ায় ভোট হচ্ছে ১৬টি আসনে। এই ৫৭টি আসনের মধ্যে ২৩টিরই রাশ রয়েছে বিজেপির হাতে। কংগ্রেসের দখলে ৮টি। বাকি আসনগুলি রয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দখলে। রাজ্যসভা থেকে যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, মুখতার আব্বাস নাকভি, কপিল সিব্বল , পি চিদাম্বরম প্রমুখ। নির্বাচন ঘিরে চার রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছিল বিশেষ পর্যবেক্ষক (Special Observers)। পুরো ভোটপর্ব ভিডিওগ্রাফি (Videography) করা হয়েছে। চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হলেও, জোর লড়াই মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এদিকে, ক্রস ভোটিং হয়েছে কর্নাটকে। এ রাজ্যের জনতা দল সেকুলারের দুই বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। এদিন যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

    ভোট শুরু হয় সকাল ৯টায়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় গণনা। এদিন ভোট হয়েছে চারটি রাজ্যে। বাকি ১১টি রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী আগেই জয়ী হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে শাসক ও বিরোধীর ভোটের অঙ্কে অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়েছেন। তাই ক্রস ভোটিং হওয়ারই ছিল। হয়েছেও তাই।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    যে ১৬টি আসনে এদিন ভোট হয়েছে, তার মধ্যে রাজস্থানে রয়েছে ৪টি আসন। সেখানে দুটি আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। যদিও তাদের প্রার্থীর সংখ্যা তিন। এই তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে তাদের প্রয়োজন আরও ১৫ জনের সমর্থন। কর্নাটকের চার আসনে লড়ছেন ছয় প্রার্থী। হরিয়ানায় আসন দুটি। যদিও লড়ছেন তিন জন। মহারাষ্ট্রে আসন ছটি হলেও, প্রার্থী রয়েছেন সাতজন।

     

  • Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    Hijab Row: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিজাব (Hijab row) বিতর্ক! সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ফিরিয়ে দেওয়া হল কয়েকজন ছাত্রীকে। কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Mangalore University) সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই আসরে সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ ও সরকারি নিয়ম মানতে হবে সবাইকে। তাই বিতর্কে না জড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের উচিত পড়াশোনায় মন দেওয়া।

    সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে গেলে সবাইকেই পোশাকবিধি মানতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হিজাব নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। আদালত রায় দিয়েছে। সবাইকেই আদালত ও সরকারের নির্দেশ মানতে হবে। প্রায় ৯৯.৯৯ শতাংশ পড়ুয়া এটি অনুসরণ করছে। সিন্ডিকেটের রেজোলিউশনও হল যে আদালতের রায় অনুসরণ করতে হবে। আমার মতে, শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন : গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

    ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পি সুব্রহ্মণ্য ইয়াদাপাদিথায় বলেন, যেসব মুসলিম ছাত্রী ক্লাসরুমের ভিতরে  হিজাব পরার জন্য চাপ দেয়, তাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের তাদের মাথার স্কার্ফ ছাড়াই ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়।

    দিন দুয়েক আগে নির্দেশিকা জারি করে ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে সকলকে পোশাকবিধি মানতেই হবে। সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তাদের ঢুকতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যেও। অভিযোগ, পোশাকবিধির আড়ালে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের। এই প্রেক্ষিতেই উপাচার্য জানিয়ে দেন, নতুন করে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোনও মানে হয় না।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    প্রসঙ্গত চলতি বছর ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, ইসলাম (Islam) ধর্মাচরণে হিজাব (Hijab) অপরিহার্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সব আবেদনপত্র জমা পড়েছিল, সেগুলিও খারিজ করে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) আবেদন করেও লাভ হয়নি। যার অর্থ, আইনতই হিজাব পরে আর শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারেন না ছাত্রীরা।

     

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই কর্নাটকের (Karnataka) মাঙ্গালুরুর উপ্পিনাংগাদির গভর্নমেন্ট ফার্স্ট গ্রেড কলেজে পোশাকবিধি না মেনে হিজাব (Hijab Row) পরে ক্লাস করায় ৬ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফের একই অপরাধে চলতি সপ্তাহেই ২৪ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড (Suspend) করল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী 

    পুত্তুরের বিধায়ক সঞ্জীবা মাতান্দুর (Sanjeeva Matandoor) এবিষয়ে বলেন, “ছাত্রীরা কর্নাটক হাইকোর্টের কলেজ পোশাকবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নিয়ম ভেঙে হিজাব পরে ক্লাসে আসবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।”    

    প্রাক্তন মন্ত্রী ইউটি খাদের (UT Khader) বলেন, “যারা হিজাবের পক্ষে সওয়াল করছেন তারা ভারতে যে স্বাধীনতা পাচ্ছেন তাতে খুশি থাকুন। যারা সত্যিই পড়াশোনা করতে চান তাদের বিরক্ত করবেন না।” মাতান্দুর আরও বলেন, “কলেজ সব ধর্মের মানুষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনও দায়িত্বহীন ব্যবহার মেনে নেওয়া হবে না।”

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    গত মার্চ মাসে কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, “হিজাব ইসলামি ধর্মীয় অনুশাসনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। তাই কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি থাকলে তা মানতে হবে পড়ুয়াদের।” এরপরেই কর্নাটকের কয়েক জন পড়ুয়া হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাটির জরুরিভিত্তিক শুনানির আবেদন জানায় তারা। তবে শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।  

    এদিনের ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বিক্ষোভ। নেটমাধ্যমে হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে বিজেপি নেতা জশপাল সুবর্ণ এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রীরাম সেনার প্রধান প্রমোদ মুতালিকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে!

    এই হুমকির জেরে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি জশপাল এবং প্রমোদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। এবিষয়ে জশপাল বলেন, ‘‘দেশবিরোধী শক্তি আবার কর্নাটকে গোলমাল বাধাতে চাইছে। আমরা তাতে ভীত নই।’’

  • Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    Karnataka Idols Vandalized: এবার কর্নাটকের মিনি তিরুপতি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে মূর্তি ভাঙচুর (idol smashed)। কর্নাটকের (Karnataka) হাসান জেলার আরাসিকেরে জেলার একটি মন্দিরের (temple) ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরাসিকেরে শহর থেকে দু’কিলোমিটার দূরে মালেকাল্লু তিরুপতি (Tirupati) পাহাড়ের ওপর রয়েছে ওই মন্দির। ৩০০ বছরের পুরনো এই পবিত্র স্থানটি এলাকাবাসীর কাছে চিক্কা তিরুপতি (Mini Tirupati) নামে পরিচিত। আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই স্থানটি অত্যন্ত শ্রদ্ধার।

    আরও পড়ুন : কাশীর বিন্দুমাধব মন্দিরও হয়েছে মসজিদ! পুনর্নির্মাণের দাবি চেয়ে মামলা

    পুলিশ জানিয়েছে, চার দুষ্কৃতী মূর্তিটি ভাঙচুর করেছে। প্রতিষ্ঠার জন্য সবে তৈরি হয়েছিল মূর্তিটি। রড-সহ বেশ কিছু ধাতব পদার্থ দিয়ে মূর্তিটি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার আর শ্রীনিবাস গোয়াদা। পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে আঙুলের ছাপ।

    খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিন্দুত্ববাদীরা। কয়েকশো জনতা ভিড় করে মন্দির চত্বরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। দুষ্কৃতীদের ধরতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  কে বা কারা মূর্তিটি ভেঙেছে, তা জানা না গেলেও, এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সূত্র পেয়েছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, সোমবার মন্দির চত্বরে আসা দুষ্কৃতীরা প্রথমে মন্দিরের পবিত্র জলাশয়ে স্নান করে। আপত্তি করা হলেও তারা শোনেনি। পরে তারা সেখানে ধূমপান করে। মন্দিরে কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়েও দেয়। তার পরেই ভেঙে ফেলা হয় মূর্তিগুলো।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কে (Temple Mosque controversy) সরগরম গোটা দেশ। হিন্দুত্ববাদী (Hindutva) বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) আমলে দেশের একাধিক মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন এরকমভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ১৮০০ মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে। তারা এই মসজিদগুলিকে অবৈধ তকমা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে হিন্দুদের এক বিগ্রহের মূর্তি ভাঙায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের কয়েকটি প্যান্ডেলে গিয়ে দেবী দুর্গার মূর্তি ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। তা নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। এ দেশের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি পুজো প্যান্ডেলেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয় দুর্গা মূর্তি। মূর্তি ভাঙচুরের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল কর্নাটকের ওই মন্দিরেও।

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী

    Karnataka Hijab Row: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে (Karnataka) ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে হিজাব-বিতর্ক (Hijab Row)। একাধিকবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও নিয়ম লঙ্ঘন করায় ৬ ছাত্রীকে দু’দিনের জন্যে সাসপেন্ড করল কর্নাটকের প্রথম সারির একটি সরকারি কলেজ। উপ্পিনাংগাদির এক কলেজে নিয়ম ভেঙে ‘কলেজ ইউনিফর্ম’-এর বদলে হিজাব (Hijab) পরে আসায় সাসপেন্ড করা হল ওই ছাত্রীদের। এর আগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল তাঁদের বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। 

    মাঙ্গালুরু বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনস্থ ওই কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেন। এর আগেই কলেজ চত্বরে ‘ইউনিফর্ম’ পরাকে আবশ্যিক বলে নির্দেশিকা জারি করে মাঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, হিজাব খুলে ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

    ছাত্রীরা হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানালেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে। তারা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা মেনেই ক্লাস করতে হবে। কিন্তু এরপরেও হিজাব পরেই ক্লাস করতে থাকেন ওই ছয় ছাত্রী। 

    আরও পড়ুন: গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের

    ওই কলেজেরই এক শিক্ষকের বক্তব্য, “হিজাব পরে ওই ছাত্রীরা ক্লাস করছিল। কিছু ছেলে এবিষয়ে অভিযোগ জানায়। অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই ছাত্রীদের ২ দিনের জন্যে সাসপেন্ড করেন, যাতে সমস্যা আরও বেড়ে না যায়। সোমবার থেকে ক্লাস করতে পারবে ওই ছাত্রীরা। আমরা ওই ছাত্রীদের জন্যে পুনর্পঠনের এর ব্যবস্থা করব।”

    কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে (Hijab row) কেঁপে উঠেছিল কর্নাটক। হিজাব পরে স্কুল-কলেজে ক্লাস করার অনুমতির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে মুসলিম শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আন্দোলন শুরু করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এভাবে হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনে বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সব স্কুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয় বলে আদেশ দেয় কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka HC)। যেকোনও রকম অশান্তিকে এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

     

  • VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru) বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (vhp) ও বজরং দল (Bajrang dal)। এদিন সকালে রীতি মেনে মালালির ওই মসজিদে ‘তম্বুলা প্রশ্নম’ (Thamboola prasnam) পরিবেশিত হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, মসজিদ (mosque) সংস্কারের কাজ চলাকালীন সেখানে একটি মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মিলেছে। তার পরেই এদিন আচার পালনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতো পরিবেশিত হয় তম্বুলা প্রশ্নম।

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো একটি কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। পুজোপাঠ সংক্রান্ত একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল প্রমুখ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সেদিনই ভরত জানিয়েছিলেন, ২৫ মে মসজিদ চত্বরে বিশেষ তম্বুলা প্রশ্নম পালন করা হবে। তার পরেই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অশান্তি এড়াতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তার মধ্যেই তম্বুলা প্রশ্নম পালন করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। মসজিদটি এক সময় মন্দির ছিল কিনা, তা জানতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে হিন্দত্ববাদী একটি সংগঠন। তম্বুলা প্রশ্নম আচার পালনের পর হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে তারা অষ্টমঙ্গলা প্রশ্নম করবে। কারণ তাদের বিশ্বাস, মন্দিরের জায়গায় মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান

    স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি মন্দিরের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভিএইচপি এবং বজরং দলের নেতারা এবং আরও কিছু হিন্দু সংগঠন আদালতে গিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল যাতে মন্দিরের মতো কাঠামোগুলি যথাযথ তদন্ত না করে ভেঙে ফেলা না হয়। সত্য প্রকাশ্যে আনার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সমীক্ষা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে ভিএইচপি নেতারা প্রাপ্ত নথিগুলি যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাঠোমোর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কন্নড় কমিশনারেট। প্রশাসন জমির নথি খতিয়ে দেখছে। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসীকে।

     

  • Domestic violence: কর্তব্যে অনীহা! “স্বাভাবিক” ভাবেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মেয়েরা, দাবি সমীক্ষায়

    Domestic violence: কর্তব্যে অনীহা! “স্বাভাবিক” ভাবেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মেয়েরা, দাবি সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্য পালন না করার ফলে মেয়েদের যদি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হয়, তাহলে তাতে কোনও ‘ভুল’ নেই। সেই ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলেই মনে করে দেশের অর্ধেক ছেলে-মেয়েরা। কেন্দ্রের সমীক্ষায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

    ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (NFHS) অনুযায়ী, কর্ণাটকের বেশিরভাগ বাসিন্দাই মনে করেন, মেয়েরা যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন না করেন তাহলে স্ত্রীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসা বা যৌন হয়রানির ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health & Family Welfare) প্রকাশিত ওই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে শুধু কর্ণাটক নয় দেশের প্রায় অর্ধেক পুরুষ এবং মহিলা এই যুক্তিতে একমত।

     ভারতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হন, ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫ রিপোর্টে এমনটাই দেখা গিয়েছে। যদিও দেশে নারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা ৩১.২% থেকে ২৯.৩% এ হ্রাস পেয়েছে। তবুও দেশবাসীর এই মানিসকতা চমকে দেওয়ার মতো বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৩২% বিবাহিত মহিলা (১৮-৪৯ বছর) শারীরিক, যৌন বা মানসিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রীর সহিংসতার সবচেয়ে সাধারণ প্রকার হল শারীরিক সহিংসতা (২৮%), তারপরে মানসিক সহিংসতা এবং যৌন সহিংসতা। এর বিপরীতে, দেশে মাত্র ৪ % পুরুষ গার্হস্থ্য সহিংসতার মামলার মুখোমুখি হন।

    কর্ণাটকে নারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য সহিংসতা সর্বোচ্চ ৪৮ %, বিহার, তেলেঙ্গানা, মণিপুর এবং তামিলনাড়ুর পরে। লক্ষদ্বীপে সর্বনিম্ন পারিবারিক সহিংসতা ২.১%। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের মধ্যে শারীরিক সহিংসতার অভিজ্ঞতা বেশি সাধারণ (৩২%) শহরাঞ্চলে তাদের সমকক্ষদের তুলনায় (২৪%) এবং একজন মহিলার সহিংসতার অভিজ্ঞতা ক্রমবর্ধমান স্কুলিং এবং সম্পদের সঙ্গে দ্রুত হ্রাস পায়।

    সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চের রঞ্জনা কুমারী বলেন,” এই সমীক্ষা প্রমাণ করে দেশবাসী নারীর উপর গার্হস্থ্য হিংলার ঘটনাকে সাধারণ বলে মনে করে। এতে কোনও অপরাধ লুকিয়ে আছে বলে মানেন না তাঁরা। শুধু পুরুষেরা নয়, মেয়েরাও এই নীতিকেই মেনে নিয়েছে।” এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে নারীশিক্ষার উপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন রঞ্জনা। 

     

  • Karnataka: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সাইক্লিং রুট! কর্নাটক সৈকতের ছবি পোস্ট নরওয়ের কূটনীতিকের

    Karnataka: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সাইক্লিং রুট! কর্নাটক সৈকতের ছবি পোস্ট নরওয়ের কূটনীতিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন নরওয়ের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ এরিক সোলহাইম। কর্নাটকের উডুপি জেলার সমুদ্রসৈকত সহ একটি রাস্তার ছবি শেয়ার করে তাকে “বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সাইক্লিং রুট” বলে উল্লেখ করেছেন।  এরিক তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডলে ছবিটি পোস্ট করা মাত্র তা ভাইরাল হয়ে যায় এবং ৪৭ হাজারের বেশি লাইক আসে। তবে তিনি রাস্তাটির অবস্থান উল্লেখ করেননি।

    যদিও নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই বুঝতে পারেন ছবিটি উডুপি জেলার বাইনদুর শহরের নিকটবর্তী মারাভান্থে সৈকতের। এরিক সোলহাইম শুধুমাত্র ছবিটি শেয়ার করেছেন। ছবিটি কিন্তু তুলেছেন ধীনেশ আন্নামালাই নামের এক চিত্রগ্রাহক এবং তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে প্রথম ছবিটি শেয়ার করেছিলেন।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে, ভারতের প্রশংসা করার জন্য এরিককে ধন্যবাদ জানালেও নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই তাঁর “সাইক্লিং রুট” তত্ত্বকে সমর্থন করেননি। তাঁদের মধ্যে কেউ লিখেছেন, ‘এই রাস্তাটি মোটেই সাইকেল চালানোর জন্য নয়। আমি এখানে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি। এখানে গাড়ি, ট্রাক প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিমি বেগে যাতায়াত করে। এছাড়া এখানে কোনও সাইকেল চালানোর পৃথক লেনও নেই।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে এটি অত্যন্ত সুন্দর রাস্তা কিন্তু এটি জাতীয় সড়ক। সুতরাং সাইকেল চালানোর কথা না ভাবাই উচিত।’

    [tw]


    [/tw]

    অনেকে এরিক সোলহাইমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উডুপিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাবার জন্য। একজন আবার জানিয়েছেন, যাঁরা এটাকে জাতীয় সড়ক বলে উল্লেখ করছেন এবং এই রাস্তা সাইক্লিংয়ের অযোগ্য বলে মত প্রকাশ করেছেন, তাঁদের জানিয়ে রাখি, এটি মারাভান্তে সৈকত নয়। এটা মাল্পল-মাত্তু-কোপ রোড। এই রাস্তাটি অবশ্যই একটি সাইক্লিং রুট।

    উপকূলীয় কর্নাটকের একদিকে আরব সাগর ও অন্যদিকে সৌপর্নিকা নদী। আর এখানেই মারাভান্থে সৈকতটি অবস্থিত। বেঙ্গালুরু থেকে ৪২০ ও ম্যাঙ্গালুরু থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মারাভান্থে।

  • Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) বিতর্কে সরগরম দেশ। বিতর্ক শুরু মথুরায়ও। এহেন আবহে ফের মন্দির-মসজিদ বিতর্ক (temple mosque controversy)। কর্নাটকের (Karnataka) ম্যাঙ্গালুরুর (mangaluru) এক মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। ২৫ মে ওই মসজিদ চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের পরিকল্পনা করছে স্থানীয় হিন্দুরা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (vhp) নেতারা।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই শুরু বিতর্ক। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করেছে হিন্দুদের একটি গোষ্ঠী। পুজোপাঠ সংক্রান্ত ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল।  

    ভরত বলেন, চলতি মাসের ২৫ তারিখে মসজিদ চত্বরে আমরা বিশেষ “থাম্বুলা প্রাশে” করতে চলেছি। আচার শেষ হলে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারব। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। সূত্রের খবর, উত্তেজনা এড়াতে ইতিমধ্যেই এলাকাটি সিল করে দিয়েছে পুলিস।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    দক্ষিণ কন্নড়ের ডেপুটি কমিশনার রাজেন্দ্র কেভি বলেন, আমি পুরো বিষয়টি জেনেছি। ভূমি দফতর জমিটির মালিকানার ইতিহাস খতিয়ে দেখছে। আমি ওয়াকফ বোর্ড এবং হিন্দু মন্দিরের দাবিদার, দু পক্ষের সঙ্গেই কথা বলব। পুরো বিষয়টি শুনব। তিনি বলেন, সব পক্ষের কথা শুনে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করবে। ততদিন এলাকায় বজায় থাকুক স্থিতাবস্থা।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। পরে রানি অহল্যাবাই সেখানে ফের মন্দির গড়ে তোলেন। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shringar Gauri temple) ছিল বলেও দাবি। মসজিদের ওজুখানার (Wazukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন আদালতে। তার পর এবার ফের আরও একটি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্য উত্তর প্রদেশ নয়, কর্নাটক।

     

LinkedIn
Share