Tag: Kartik Maharaj

  • Gita Path: রবিবার ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান, তুঙ্গে প্রস্তুতি, থাকবেন কারা কারা?

    Gita Path: রবিবার ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান, তুঙ্গে প্রস্তুতি, থাকবেন কারা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ফের ব্রিগেডে (Brigade) হতে চলেছে সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠের (Gita Path) অনুষ্ঠান। এবার গীতা পাঠ করবেন ৫ লাখ মানুষ। অনুষ্ঠানের জন্য তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিতে বসবেন ১৫০ জন সাধুসন্ত। গীতা পাঠ করতে আসা লোকজনের ঢোকা-বেরনোর জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৮টি গেট। এর আগেও লাখো কণ্ঠে গীতা পাঠের সাক্ষী হয়েছে ব্রিগেড। সেটা ২০২৪ সালে। তার পর ফের এবার। পাঠকের সংখ্যা বেড়ে হবে ৫ লাখ। জানা গিয়েছে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জ্ঞানানন্দ মহারাজজি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধিশ্বর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, পদ্মভূষণ স্বাধ্বী ঋতম্ভরাজি এবং যোগগুরু রামদেব। গীতা পাঠ শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। চলবে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (Gita Path)।

    কার্তিক মহারাজের বক্তব্য (Gita Path)

    সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ বলেন, “ভোটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ভোট তো সারা বছরই থাকে। গীতার সৃষ্টি মোক্ষদা একাদশীতে। এটি অগ্রহায়ণ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী। তাই তিথিটা তো আসবেই। সেই জন্যই ভোটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এই অনুষ্ঠানের কথা আমরা বিভিন্ন মসজিদেও জানিয়েছি। এটা আমাদের ধর্মের কাজ। কোনও রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন নয়। সাধু-সন্ন্যাসীদের শক্তি প্রদর্শনও নয়। আমরা প্রত্যেকের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানিয়েছি।” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এলে আমাদের বিশেষ আনন্দ হবে। এই অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যে।” মহারাজ বলেন, “বস্তুতই আমাদের অনুষ্ঠানের সঙ্গে ভোট-রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সমাজে যে অবক্ষয় তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে আত্মিক চর্চাই প্রয়োজন। গীতাপাঠের অনুষ্ঠান সেই পথেই (Brigade) একটি সামান্য প্রয়াস।”

    মহাযজ্ঞের আয়োজন

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ বহু যুগ ধরেই আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক পরম্পরার কেন্দ্র। সেই ঐতিহ্যকে সামনে রেখে মঠ-মন্দির, আশ্রম, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়েই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।” উদ্যোক্তাদের আশা, গীতাপাঠের মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি, স্থিতি এবং আধ্যাত্মিকতার নয়া বার্তা পৌঁছে যাবে। স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বলেন, “সমাজে বিভাজনের আবহে আধ্যাত্মিক অনুশীলন মানুষকে স্থির রাখে, পথ দেখায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের হাজার হাজার গীতা অনুরাগী এই উদ্যোগে যোগদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন (Gita Path)।”

    ঐতিহাসিকভাবে গীতা পাঠ

    সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সম্পাদক নির্গুণানন্দ মহারাজ বলেন, “২০২৫ সালে ৫ লাখ কণ্ঠে ঐতিহাসিকভাবে গীতা পাঠ হবে। সাধু-সন্তরা আসবেন, তাঁরা মঞ্চের পিছন দিকে যে গেট তৈরি করা হয়েছে, সেখান দিয়ে তাঁরা আসবেন। কোন মঞ্চে কোন সাধু-সন্ত বসবেন, সেটা আমরা ঠিক করেছি। সেই অনুযায়ী তাঁদের বসার ব্যবস্থা করেছি। সেই রকম ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই আমরা এবার গীতা জয়ন্তীর ব্যবস্থা করেছি। সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গীতা পাঠ চলবে। তারপর বিশিষ্ট বক্তারা প্রবচন করবেন।” এদিকে, শুক্রবার রেলের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ কর্তৃক আয়োজিত গীতা পাঠের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক প্রত্যাশিত ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের সুবিধার্থে, পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ এবং হাওড়া শাখায় ৭ ডিসেম্বর ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Brigade)।

    বিশেষ ট্রেন

    এই ট্রেনগুলি হল কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল, শান্তিপুর-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল, বনগাঁ শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন, হাসনাবাদ-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল, শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর ইএমইউ স্পেশাল, ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল এবং ক্যানিং-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল (Gita Path)। হাওড়া শাখায়ও বিভিন্ন রুটে চালানো হবে ৬টি বিশেষ ট্রেন। এর মধ্যে রয়েছে রামপুরহাট-হাওড়া মেমু স্পেশাল ভায়া আহমেদপুর-কাটোয়া, বর্ধমান-হাওড়া ইএমইউ স্পেশাল ভায়া ডানকুনি, এবং শেওড়াফুলি হয়ে আরামবাগ-হাওড়া ইএমইউ স্পেশাল। রবিবার গীতা পাঠের আগে হয়েছে ভূমি পূজন। তার পরেই শুরু হয়েছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। মঞ্চের কাজ প্রায় শেষের পথে।

    গীতা পাঠ

    প্রসঙ্গত, গীতা কেবলমাত্র একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, এটি জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য এক বাস্তব নির্দেশিকাও, যা মানুষকে আধ্যাত্মিক ও ব্যবহারিক উভয় ক্ষেত্রেই পথ দেখায়। এই গীতাই শেখায় প্রতিটি জীবের মধ্যে একটি অমরা আত্মা রয়েছে। রয়েছে পরমাত্মাও। ফলের আশা না করে নিজের কর্তব্য করে যাওয়াও গীতার একটি বাণী। আত্মজ্ঞান লাভ করলে যে অজ্ঞতা দূর হয়, সেই শিক্ষাও মেলে গীতায়। ঈশ্বরকে ভালোবাসা, তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা এবং তাঁর শরণ নেওয়াও গীতার একটি শিক্ষা। নিয়মিত গীতা পাঠ করলে মানসিক শান্তি আসে, জীবন পরিচালিত হয় মহৎ উদ্দেশ্যে (Brigade) এবং পথ দেখায় জীবনের কঠিনতম মুহূর্তেও (Gita Path)।

  • Kartik Maharaj: রাজনীতিতে আসছেন ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ!  

    Kartik Maharaj: রাজনীতিতে আসছেন ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নাম বিবেচিত হয়েছে তাঁর। তার পরেই রাজনীতিতে (Politics) আসার ইঙ্গিত দিলেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। রবিবার বেলডাঙার আশ্রমে তিনি বলেন, “ভারতের রাজনীতির যা অবস্থা, তাতে সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে।” কার্তিক কোনও দলের নাম না করলেও, বলেন, “যে দল ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে থাকবে, তাদের পাশেই থাকব।”

    কী বললেন কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)

    কার্তিক মহারাজ বলেন, “সন্ন্যাসীদের অনেকে পিছন থেকে রাজনীতি করছেন। রাজনীতি হল সব চেয়ে বড় নীতি। কিন্তু এখন রাজনীতি নোংরা হয়ে গিয়েছে। একজন বলছেন ৭০ শতাংশ। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। একজন বলছেন সংখ্যা বাড়াও। সনাতনীদের রক্ষা করার জন্য সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে। তবে যে দল দেশের সংবিধান রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে দাঁড়াবে, আমি তাদের পাশে থাকব।”

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী

    গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর এলাকা। পরে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গন্ডগোলের জন্য আঙুল তুলেছিলেন বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজের দিকে। প্রসঙ্গত, এবার (Kartik Maharaj) পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে মোট ১১৩জনকে। তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছেন কার্তিক মহারাজ-সহ ৯ জন। পদ্ম পুরস্কার পাওয়ার খবরে কার্তিক মহারাজ বলেন, “আমি সন্ন্যাসী মানুষ। মানুষের সেবাই আমার বড় পুরস্কার। এই স্বীকৃতি দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।”

    এই কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সরাসরি নাম করে বিজেপির হয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই বলেই অভিযোগ করেন কার্তিক মহারাজ। নির্বাচনী প্রচারে এ রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে ভোট পেতে সাধুদের ও মহান সংগঠনগুলিকে গালিগালাজ করছেন। সাধুসন্ত সমাজকে অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কার্তিক মহারাজ কলকাতায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে খালি পায়ে মিছিল (Politics) করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে কার্তিক মহারাজের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় (Kartik Maharaj)।

     

LinkedIn
Share