Tag: Kasba gangrape

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Kasba Gangrape) ঘটনায় ধৃত মনোজিৎ মিশ্র-সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের কাছে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে নির্যাতিতাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরে রেখেছিল মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র। এদিন মনোজিতের পাশাপাশি ধৃত প্রমিত ও জায়েবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, মনোজিৎ আগেও একাধিকবার নির্যাতিতার ওপর নজর রেখেছিল (Kasba Gangrape Incident) এবং সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

    হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে ঘটনার পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ

    ঘটনার দিন (Kasba Gangrape) কীভাবে পুরো বিষয়টি ঘটানো হবে, তা নিয়ে মনোজিতের মাথায় একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও ছিল। এইসব তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, একটি কলেজে এমন এক প্রাক্তন ছাত্র দিনের পর দিন একজন ছাত্রীর ওপর নজর রেখে তাকে টার্গেট করছিল, অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ তা আঁচ করতে পারলেন না, কীভাবে? তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই ধৃত তিন অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে এই ঘটনায় পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ। পুলিশ সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত রয়েছে।

    ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছেন তদন্তকারীরা

    এছাড়াও, মনোজিত সহ বাকি দুই অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছে তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার (Kasba Gangrape) দেওয়া বয়ানের উপর ভিত্তি করেই তাদের জেরা করা হয় এবং সেই সময় গোটা প্রক্রিয়াটিকে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তে নেমে কসবা থানার পক্ষ থেকে অভিযোগকারিণী ও তিন অভিযুক্তেরই আইন মেনে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মেডিক্যাল রিপোর্টগুলি পরবর্তীতে মামলার প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    মনোজিৎ ছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত (Kasba Gangrape Incident)

    কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে (Kasba Gangrape) মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে আরও দুই সহযোগী—প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েব আহমেদ। ‘ম্যাংগো’ নামে পরিচিত মনোজিত অতীতে ভাঙচুর, হুমকি এবং মারধরের মতো অপরাধে জেল খেটেছে, তবে তার দুই সঙ্গীর নামে এর আগে তেমন কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের রেকর্ড মেলেনি। কসবা কাণ্ডে তাঁদের জড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসতেই বিস্মিত হয়েছেন এলাকার বহু বাসিন্দা ও পরিচিতজনেরা।

    হাওড়ার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায়

    হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত ১৬/১ হরিনাথ ন্যায়রত্ন লেনের বাসিন্দা প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় বিস্মিত তার পরিচিত মহল। পাড়ায় ‘ঋজু’ নামে পরিচিত এই যুবকের নাম এত বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় চমকে গেছেন অনেকেই। এর আগে তার নামে কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পুলিশের খাতায় নেই। তদন্তকারীদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে প্রমিত। তবে, তার ভূমিকা শুধুমাত্র সাহায্যকারী নাকি সে নিজেও সমানভাবে অপরাধে যুক্ত, তা জানতে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। তিন অভিযুক্তই ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট—এই সবকিছু বিশ্লেষণ করেই প্রমিতের প্রকৃত ভূমিকা নির্ধারণ করতে চায় পুলিশ। যেহেতু মনোজিৎ কলেজের প্রাক্তনী এবং কর্মচারী হিসেবে যুক্ত ছিল, তাই সে কীভাবে প্রমিতকে প্রভাবিত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিলজলা থানার বাসিন্দা জায়েব আহমেদ (Kasba Gangrape)

    তৃতীয় অভিযুক্ত জায়েব আহমেদ বসবাস করেন তিলজলা থানার অন্তর্গত ৬৪/এ, গুলাম জিলানী খান রোডে। তার নাম এলাকায় আগে কখনও শোনা যায়নি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র হলেও সে কলেজ শুরু হওয়ার বহু আগেই প্রতিদিন সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত এবং ফিরত রাতে। বোসপুকুর তালবাগান ক্রসিং এলাকা থেকে পুলিশ জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে। ওই ছাত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিহিংসাবশত এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না, তা জানতে জায়েবের মোবাইল ফোন খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করছে তদন্তকারী দল। মনোজিৎ মিশ্র কোনওভাবে জায়েবকে এই অপরাধে প্ররোচিত করেছিলেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মেয়েটির আবেদনে কর্ণপাত করেনি তিন অভিযুক্ত

    পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, কলেজে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই মনোজিৎ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর একজন প্রেমিক আছেন। এরপর থেকেই মনোজিতের ব্যবহার আচমকা বদলে যায়। অভিযোগ, কলেজের মূল গেট বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে বেরোনোর পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীকে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে চলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। মেয়েটি (Kasba Gangrape) বারবার কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “আমার শরীরটা ভালো নেই, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও।” কিন্তু মনোজিৎ ও তার দুই সঙ্গী সেই আবেদন শোনেনি।

  • BJP: এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে ল’ কলেজে চান্স পেয়েছিলেন অভিযুক্ত জইব?

    BJP: এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে ল’ কলেজে চান্স পেয়েছিলেন অভিযুক্ত জইব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ঘটনায় নয়া বিতর্ক। বিতর্ক উসকে দিলেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর দাবি, ধর্ষণে অভিযুক্ত জইব আহমেদ এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে চান্স পেয়েছিলেন ওই কলেজে (Kasba Gangrape)? কে তাঁকে আড়াল করছেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন অমিত।

    অমিত মালব্যর বক্তব্য (BJP)

    সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে অমিত লেখেন, “জইব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাঠ্যক্রমের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খুবই হতাশাজনক ব়্যাঙ্ক করার পরেও কীভাবে ভর্তি হতে পারেন? কিউলেট ইউজি ২০২৪ (এন্ট্রান্স পরীক্ষা) সালের পরীক্ষায় মেধাতালিকায় জইবের স্থান ছিল ২৬৩৪। তার পরেও কোন জাদুবলে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত-স্বীকৃত সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ভর্তি হতে পারেন? তাঁর ভর্তি হওয়ায় অনেক মেধাবী ও আইন পড়ায় আগ্রহী ছাত্রদের ভর্তি হওয়া আটকে গিয়েছে। অনেক ভালো ব়্যাঙ্ক করা সত্ত্বেও কী কারণে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা?”

    মালব্যর প্রশ্ন

    মালব্যর প্রশ্ন, “জইব আহমেদকে কে এই নামজাদা আইন কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন? কে তাঁকে আড়াল করে চলেছেন, আমরা এখনই তাঁদের নাম জানতে চাই।” অমিত আরও নির্দিষ্ট করে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় স্বাগত – যেখানে আইনের শাসনকে নিয়ে প্রহসন করা হয়। এখানে (BJP) রাজনৈতিক যোগ থাকলেই অপরাধীদের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। সুপরিকল্পিতভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়। ক্রিমিনালকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক কানেকশনের ওপর ভিত্তি করে।”

    প্রসঙ্গত, কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে জইব আহমেদকেও। তপসিয়ার বাসিন্দা জইব বর্তমানে ক্যালকাটা ল’ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বয়স কুড়ির কাছাকাছি। দুই শাগরেদের কাছে মনোজিতের নির্দেশ ছিল, সব ভিডিও উড়িয়ে দে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে চলে এসেছে ওই কলেজের সাড়ে সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা গিয়েছে, রাতে আতঙ্কিত অবস্থায় গেটের কাছে আসছেন নির্যাতিতা। গেটে তালা দেওয়া দেখে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। তখন দুই অভিযুক্ত তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে গার্ডরুমের দিকে। সেখানেই ঘটে ভয়ঙ্কর এই ঘটনা। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা (BJP)। অভিযোগ (Kasba Gangrape), মনোজিতের নির্দেশে ওই ভিডিওগুলি তুলেছিল জইব ও প্রমিত।

  • Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তা সত্ত্বেও মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এক বছরের মধ্যে শহরের বুকে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কসবার (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করল বিজেপি (BJP Fact Finding Team)। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে বিজেপির চার সদস্যের একটি দল কলকাতায় এসেছে। সেই দলে রয়েছেন সৎপাল সিং, মীনাক্ষী লেখি, বিপ্লব দেব এবং মনন মিশ্র। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    ঘটনাস্থলে যাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনা লজ্জার। কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করল বিজেপির চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম৷ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৎপাল সিং৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তাঁদের তরফে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, ঘটনাস্থল কসবা ল’ কলেজে যাওয়ার অনুমতিও কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সৎপাল। তবে, তাঁরা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন৷ সেই মতো চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷ মুখ্যসচিব এবং কমিশনার কেউ দেখা না-করলে, সোজা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি৷

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেছেন, ‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নারীদের উপর শোষণ ও অত্যাচারের নিরিখি পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। নারীদের উপর অত্যাচার আর তৃণমূল এখন সমার্থক হয়ে উঠেছে। দলটির নেতারা সবসময় অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। তারা নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ায় না। আমরা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছি।’ কসবার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সহ মোট চারজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ জুন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছেন ‘জে’, ‘এম’, এবং ‘পি’ নামে।

    মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনা লজ্জার

    এ নিয়ে ত্রিপুরা পশ্চিমের সাংসদ বিপ্লব দেব বলেন, “বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা একেবারেই নেই ৷ বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে৷ তাও কি না, মেডিক্যাল কলেজ ও ল’ কলেজে৷ একজন ছাত্রী পরবর্তী সময়ে যিনি অন্য মেয়ের অধিকারের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে ৷ এটা খুবই লজ্জাজনক৷ বিশেষ করে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা৷ সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তার এই হাল ৷” প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেন, “এমন একটা প্রশাসন চলছে, যেখানে বারবার মহিলাদের সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে৷ আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা ৷ সেখানে এই ঘটনা খুবই লজ্জাজনক৷ আর এখানকার প্রশাসনিক আধিকারিকরা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ সেখানে রাজ্যের মানুষের কী অবস্থা, তা বোঝাই যাচ্ছে ৷ আমরা ঘটনাস্থলে যাব, খতিয়ে দেখব পুরো বিষয়টা৷”

    রাজ্যে অরাজকতা চলছে

    সাংসদ সত্যপাল সিং বলেন, “আমরা নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। এই ধরনের ঘটনার থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু হয় না। পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, সেটাও দেখা হবে। আমি বিশ্বাস করি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেবেন।” ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য বলেন, “এই রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাজ্য পহেলগাঁওতে টিম পাঠাতে পারে, হাথরসে টিম যেতে পারে, কিন্তু অন্য দলের কোনও টিম আসবে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে না। মুখ্যসচিব দেখা করবেন না। ডিজিপি দেখা করবেন না। এটা অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা।” উল্লেখ্য, সোমবার কসবা কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। ঘটনায় বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবীরা। তাঁরা আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানান তাঁরা। আদালত সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Kasba Gangrape: বিকৃত কামনায় আসক্ত মনোজিৎ, রয়েছে অতীত অপরাধের ভয়ঙ্কর রেকর্ড, আগেও হয়েছে গ্রেফতার

    Kasba Gangrape: বিকৃত কামনায় আসক্ত মনোজিৎ, রয়েছে অতীত অপরাধের ভয়ঙ্কর রেকর্ড, আগেও হয়েছে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবার (Kasba Gangrape) আইন কলেজের ক্যাম্পাসেই ছাত্রীকে ধর্ষণে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মনোজিৎ মিশ্র (Monojit Mishra) গ্রেফতার হতেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক কুকীর্তির অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রস্তার দিয়ে একাধিক বার মেয়েদের যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা মনোজিৎ। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁকে মারধরও করত মনোজিৎ। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ প্রায়ই মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলত, ‘তুই কি আমায় বিয়ে করবি?’ সহপাঠী ও কলেজের ছাত্রীরা জানিয়েছেন, এই কথাটি তার মুখ থেকে বারবার শোনা যেত। যদিও সব অভিযোগ লিখিত আকারে দায়ের করা হয়নি, তবু অনেকেই তার হাতে নির্যাতিত হয়েছেন।

    গুণধর মনোজিতের একাধিক কীর্তি- ভাঙচুর, মারধর, শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ছবি তোলা

    মনোজিৎ ২০১৩ সালে কলেজে ভর্তি হয় (Kasba Gangrape)। কিন্তু তার খারাপ আচরণের কারণে ২০১৪ সালে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর প্রভাব ব্যবহার করে ২০১৭ সালে পুনরায় কলেজে ভর্তি হয় মনোজিৎ। যদিও ২০২২ সালে তার পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়, তবুও বহিরাগত হিসেবে নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকত সে। তার বিরুদ্ধে নানা সময়ে গুন্ডাদের দিয়ে মারধরের হুমকির অভিযোগ ওঠে। চেতলা থানায় তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য একবার তাকে গ্রেফতারও করা হয়। অনেক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে সে তাদের বাবা-মাকে গ্রেফতার করানোর হুমকি দিত। কলেজের কয়েকজন জুনিয়র ও সহপাঠী জানিয়েছেন, মনোজিৎ দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করত। মেয়েদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে ছড়াত। ২০১৬ সালে গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। কলেজে শ্লীলতাহানি এবং মদের আসর বসানো তার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ কেউই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি।

    বিকৃত কামনার প্রতি আসক্ত ছিল মনোজিত (Kasba Gangrape)

    কসবার গণধর্ষণকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার (Kasba Gangrape) পরেই পুলিশ মনোজিৎ এবং তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মনোজিতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজ্যে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। পুলিশও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে। এর ফলে মনোজিত ও তার সঙ্গীদের শাস্তি পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের একাধিক কুকীর্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে তার প্রভাব ও দাপটের কথা বহু ছাত্রছাত্রী স্বীকার করেছেন। এবার তার বিকৃত মানসিকতার কিছু দৃষ্টান্তও সামনে এসেছে। মনোজিতের বন্ধু, জুনিয়র এবং ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সে বিকৃত কামনার প্রতি আসক্ত ছিল এবং তাঁরা এ সংক্রান্ত নানা উদাহরণও তারা উপস্থাপন করেছেন।

    কসবা কাণ্ডের অভিযুক্ত মনোজিতের আরও নানান কুকীর্তি (Kasba Gangrape)

    দক্ষিণ কলকাতার ওই ল’কলেজের ক্যাম্পাসে খুবই দাপট ছিল গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিতের। ঘটনা সামনে আসতেই তার তৃণমূল যোগ সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ছবিও। সেই সঙ্গেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল ফেলেছে তার একাধিক কুকীর্তি। মনোজিতের বন্ধুবান্ধব, জুনিয়র থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠমহল বলছে, কসবা কাণ্ডের অভিযুক্তের বিকৃত চাহিদা মেটাতে অনেকেই নিজেদের মহিলা সহপাঠীর শরীরের নানান অংশের আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য হতেন ও সেগুলি মনোজিতকে দেখানো হত। শুধু তাই নয়, মনোজিৎ নিজেও তাঁর ফোনে মহিলাদের শরীরের নানান অঙ্গের ছবি তুলে রাখত বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, ওই ছবি ও ভিডিওগুলি মনোজিৎ তার ঘনিষ্ঠ মহলে শেয়ার করত। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অতীতেও মনোজিতের হাতে একাধিক ছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়েছেন। সেই ঘটনাগুলিও সে নিজেই ক্যামেরায় ধারণ করত (Kasba Gangrape)। পরে সেগুলি শুধু নিজে দেখেই সন্তুষ্ট থাকত না, তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদেরও তা দেখাত বলে অভিযোগ।

    একাধিক মহিলা তার বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হয়েছেন (Kasba Gangrape)

    ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কসবা কাণ্ডের নির্যাতিতাকে মনোজিৎ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে কোনও নতুন ছাত্রীকে পছন্দ হলেই সে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিত। আর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে শুরু হত হুমকি, হয়রানি ও নানা ধরনের নির্যাতন। জানা যাচ্ছে, কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ বিভিন্ন সময়ে বহু নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছে। অভিযোগ, একাধিক মহিলা তার বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হয়েছেন। পরে মনোজিৎ সেই মুহূর্তগুলির ভিডিও বা ছবি অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে নিজের ‘সফলতা’ হিসেবে প্রচার করত। এমনকি, কতজনের সঙ্গে সে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, তার তালিকাও নাকি সে রাখত।

    কলেজ ট্রিপে গিয়েও মনোজিৎ তার ‘শিকার’ খুঁজে বেড়াত

    শোনা যায়, কলেজ ট্রিপে গিয়েও মনোজিৎ তার ‘শিকার’ খুঁজে বেড়াত। সেই পরিস্থিতিতে একবার এক ছাত্রীকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ছাত্রীর দাবি, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে মনোজিৎ তাকে খুঁজে বেরিয়েছিল। কলেজের এক ছাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, মনোজিৎ মারধর ও যন্ত্রণার ভিডিও দেখতে বেশি আগ্রহী ছিল। শুধু নিজে দেখেই থেমে থাকত না, সেগুলি অন্যদেরও দেখাতে সে বিশেষভাবে পছন্দ করত। ‘বিকৃত যৌনতা’ ভীষণভাবে পছন্দ ছিল তার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের (Monojit Mishra) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। সময় যত গড়াচ্ছে, তার কুকর্মের তালিকাও ততই দীর্ঘ হচ্ছে। কীভাবে কলেজের ছাত্রীদের ‘শিকার’ বানাত সে, এবার তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, উঠে এসেছে তার বিকৃত মানসিকতার একাধিক দৃষ্টান্তও।

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণকাণ্ডে শহরে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, বুধে কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণকাণ্ডে শহরে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, বুধে কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা চার সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধানী দল গঠন করেছেন। এই দল সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করবে। সোমবারই সেই দলের সদস্যরা একে একে কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে শহরে এসে গিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ বিপ্লব দেব। দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং ও মীনাক্ষী লেখী এবং রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁদের স্বাগত জানানোর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে গণধর্ষণকাণ্ডে আগামী ২ জুলাই কসবা অভিযানের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    পুলিশকে তোপ শুভেন্দুর (Kasba Gangrape)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর করবেন। মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে নির্যাতিতা (Kasba Gangrape) ও তাঁর পরিবারকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছে দিয়েছে। এনিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে নিশানা করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “নির্যাতিতাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন? বাবা-মায়ের সঙ্গেও দেখা করতে দিচ্ছেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

    ২ জুলাই বুধবার যুব মোর্চার নেতৃত্বে ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক শুভেন্দুর

    অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২ জুলাই বুধবার যুব মোর্চার নেতৃত্বে ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তবে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আমরা কসবায় ঢুকবই, হাজার হাজার মানুষ নিয়ে যাবো।” তিনি আরও বলেন, “কোনও শক্তি আমাদের আটকাতে পারবে না। যেমন মহেশতলা বা ধুলিয়ানে ঢুকেছি, এখানেও ঢুকব। সত্য প্রকাশ করেই ছাড়ব।” কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ ও ধরনা।

    গণধর্ষণকাণ্ডে প্রথম থেকেই রাস্তায় বিজেপি (BJP)

    প্রসঙ্গত কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। শনিবার রাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে গ্রেফতার হন। গড়িয়াহাটে পুলিশের সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। এই প্রেক্ষিতে রবিবারই, কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদে মশাল মিছিল সংগঠিত করে বিজেপি। গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত এই মিছিলে দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যজুড়ে ‘কন্যাসুরক্ষা যাত্রা’র ডাক বিরোধী দলনেতার

    কসবা ল’ কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অন্তত এক সপ্তাহ অন্য কোনও ইস্যুতে না গিয়ে কেবল কসবা-কাণ্ডকে ঘিরেই চলবে তাদের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি। রাজ্যজুড়ে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনে গতি আনতেই এই কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার সকালেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, আইন কলেজের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে তিনি একটি নতুন কর্মসূচি শুরু করছেন, ‘কন্যাসুরক্ষা যাত্রা’। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সোমবার বিকেলে তিনি গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আর বাড়িতে বসে থাকলে হবে না। পার্ক স্ট্রিট, কামদুনি, হাঁসখালি, আরজি কর এবং কসবার ঘটনার প্রতিবাদে কন্যাসুরক্ষা যাত্রা চলতে থাকবে।”

    ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে অভয়ার বাবা-মাকে আর্জি শুভেন্দুর

    উল্লেখযোগ্যভাবে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রীর উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে গত বছর ‘ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে নবান্ন অভিযান সংগঠিত হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু এদিন ফের বলেন, “আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে আমি যাব কিছু দিন বাদে। তখন নির্যাতিতার বাবা-মাকে বলব, আগামী ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিন। সব নাগরিক সেখানে সামিল হবেন। রাজনীতি সরিয়ে রেখে আমিও যোগ দেব।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। কসবাকাণ্ডে এমনিতেই দলীয় যোগ উঠে আসায় বেশ কোণঠাসা তৃণমূল। এই আবহে মমতা সরকারকে চাপে ফেলতে এই ইস্যুতে লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির (BJP)।

    আইনজীবীদের জনস্বার্থ মামলা

    এদিকে, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কসবা কাণ্ডে (Kasba Gangrape) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। তিন আইনজীবী, সৌম্যশুভ্র রায়, সায়ন দে এবং বিজয় কুমার সিংহল, বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসে মামলার অনুমতি চান। তাঁরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মূলত দুইটি বিষয়ে—এক, ঘটনার তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় রাখা; দুই, রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিচারপতি সেন তাঁদের মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল! নাম না করে কল্যাণ-মদনকে নারী বিদ্বেষী বললেন মহুয়া

    Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল! নাম না করে কল্যাণ-মদনকে নারী বিদ্বেষী বললেন মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এল। মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদ নতুন কিছু নয়—এর আগেও একাধিকবার তাঁদের পরস্পরকে কটূক্তি করতে শোনা গেছে (Kasba Gangrape)। এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) স্পষ্ট করে জানান যে, কল্যাণ ও মদনের মন্তব্য ব্যক্তিগত মত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, “যদি কোনও বন্ধু তার বন্ধুকে ধর্ষণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী করা যেতে পারে?” অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র মন্তব্য করেন, “ওই ছাত্রী যদি ঘটনাস্থলে না যেতেন, তাহলে তো এই ধরনের অপরাধ ঘটতই না।” শনিবার এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ মহুয়া লেখেন, “ভারতে নারী বিদ্বেষ সব রাজনৈতিক দলেই আছে।” এনিয়েই অনেকে বলছেন, তবে কি মহুয়া মেনে নিলেন তাঁর দল নারী বিদ্বেষী!

    কসবাকাণ্ড (Kasba Gangrape)

    বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার কসবার (Kasba Gangrape) একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে আইন কলেজের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, অন্যরাও অপরাধে জড়িত ছিল। তারা মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এর পরেই আক্রান্তের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

    রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য (Kasba Gangrape)

    ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পরে গ্রেফতার করা হয় নিরাপত্তারক্ষীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের প্রাক্তনী। তিনি শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলেও অভিযোগ। বর্তমানে শাসক দলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তিনি আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত—জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়—কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

  • Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ বিজেপির, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ বিজেপির, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবার (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল-কলেজে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার পথে নামে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি (Bjp) এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল গড়িয়াহাট পর্যন্ত পৌঁছতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

    শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা মিছিলে হঠাৎই পুলিশ হস্তক্ষেপ করে, অভিযোগ বিজেপির

    গেরুয়া শিবিরের (Bjp) দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা (Kasba Gangrape) মিছিলে হঠাৎই পুলিশ হস্তক্ষেপ করে, যার জেরে ধাক্কাধাক্কি এবং হট্টগোল শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, কোনও উসকানি ছাড়াই পুলিশ কর্মীদের আটকে দেয় এবং কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তুলে আটক করা হয়। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও আটক করা হয় বলে দলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    আন্দোলন চলবে হুঁশিয়ারি বিজেপির (Kasba Gangrape)

    উল্লেখ্য, কসবার ওই কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত মনোজিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবেও কাজ করত সে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে তৃণমূল। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, শাসকদলের আশ্রয়ে রাজ্যে অপরাধ বাড়ছে এবং প্রশাসন তা ধামাচাপা দিতে মরিয়া। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, যতদিন না অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, ততদিন রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই পুলিশ বাধা দেয়, কারণ তারা শাসকদলের হয়ে কাজ করছে (Kasba Gangrape)।”

    কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারও রাস্তায় নামে বিজেপি

    কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারও রাস্তায় নামে বিজেপি। কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তারা পথ অবরোধও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। এদিকে এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ) দাবি করেছে, ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি দক্ষিণ কলকাতা টিএমসিপি-র সম্পাদক পদে রয়েছেন। তাদের আরও দাবি, গ্রেফতার হওয়া অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গেও টিএমসিপি-র ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

  • Kasba Gangrape: ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল, মারার চেষ্টা হকি স্টিক দিয়ে, অভিযোগ কসবাকাণ্ডের নির্যাতিতার

    Kasba Gangrape: ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল, মারার চেষ্টা হকি স্টিক দিয়ে, অভিযোগ কসবাকাণ্ডের নির্যাতিতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা ল কলেজের (Kasba Gangrape) গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ, ধর্ষণের সময় তাঁর ভিডিও তুলে রাখে অভিযুক্তরা এবং তা নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁকে হকিস্টিক দিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর অভিযোগ যে সে ওই ছাত্রীর বয়ফ্রেন্ড এবং তাঁর বাবা-মাকে খুন করার হুমকি দেয়।

    এফআইআর-এ নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ (Kasba Gangrape)

    এফআইআর-এ ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘১২.০৫ নাগাদ কলেজে পৌঁছোই। ফর্ম ফিল আপের পর আমি অন্য়দিনের মতো, ইউনিয়ন রুমে গিয়ে বসি। ‘J’ সেখানে ঢোকে এবং সবাইকে বসতে বলে। আমরা তাই করি। সে প্রাক্তন ছাত্র এবং কলেজের কর্মী। সে কলেজের TMCP ইউনিটের অঘোষিত প্রধান এবং অত্য়ন্ত প্রভাবশালী। সবাই তার কথা শোনে। TMCP ইউনিটে সে সবাইকে পদ দেয়। আমাকেও সে গার্লস সেক্রেটারির পদ দিয়েছিল। ‘J’ আমাকে বাইরে ডেকে বলে, সে (Kasba Gangrape) প্রথম দিন থেকে আমাকে পছন্দ করে। গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও সে আমার প্রেমে পড়েছে। আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। আমি প্রস্তাব প্রত্য়াখ্য়ান করে বলি, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে। আমি তাকে ভালবাসি। আমি তাকে ছাড়তে পারব না।’’

    আমি মড়ার মতো পড়ে ছিলাম (Kasba Gangrape)

    অভিযোগকারিণী উল্লেখ করেছেন, ‘‘তারা জোর করে আমাকে গার্ডের ঘরে নিয়ে যায়। ‘J’ আমাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে। আমি বাধা দিলে, সে আমাকে ব্ল্য়াকমেইল করে, হুমকি দেয়, যা সে আগে থেকেই করে আসছিল। সে আমাকে হুমকি দেয়, আমার বয়ফ্রেন্ডকে খুন করে দেবে, আমার মা-বাবাকে গ্রেফতার (Gangrape) করিয়ে দেবে। তাও আমি বাধা দিই। তখন সে আমার দু’টো নগ্ন ভিডিও দেখায়, যেগুলো আমাকে ধর্ষণের (Kasba Gangrape) সময় তোলা। সে শাসায়, আমি বাধা দিলে, সে যখন ডাকবে তখনই না এলে সেগুলো সবাইকে দেখিয়ে দেবে। ‘J’ যখন আমাকে ধর্ষণ করছিল, তখন ‘M’ আর ‘P’ দাঁড়িয়ে সব দেখছিল। সে আমাকে হকি স্টিক দিয়েও মারার চেষ্টা করে। আমি মড়ার মতো পড়ে ছিলাম। সে ধর্ষণ করে, আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি ১০.৫০-এ ঘরের বাইরে যাই। সে বলে, আমি যেন কাউকে এসব না বলি (Gangrape) ।’’

  • Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের পরে এবার দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজ (Kasba Gangrape)। ‘গণধর্ষণে’র ভয়ঙ্কর অভিযোগ। মূল অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই সন্ধ্যাবেলা ঘটে এমন ভয়াবহ নির্যাতন। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের প্রাক্তনী। তিনি শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলেও অভিযোগ। বর্তমানে শাসক দলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তিনি আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত—জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়—কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের জোরালো প্রশ্ন উঠছে সমাজের নানা স্তরে। এই ঘটনায় মাঠে নেমেছে মহিলা কমিশনও।

    জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে (Kasba Gangrape)

    কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মামলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। ঘটনার পরেই একটি বিবৃতি জারি করে কমিশন জানায়, তারা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট সময়সীমার মধ্যেই জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

    বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে ঘটনা ঘটে

    বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার কসবার (Kasba Gangrape) একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে আইন কলেজের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, অন্যরাও অপরাধে জড়িত ছিল। তারা মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এর পরেই আক্রান্তের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

    চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিং সংলগ্ন সিদ্ধার্থ শংকর রায় শিশু উদ্যানের কাছ থেকে মনোজিৎ মিশ্র ও জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই রাতে অপর অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে তার নিজ বাসভবন থেকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তকারীরা সেটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে তিন অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হলে, আলিপুর আদালত তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    তোপ দাগলেন শুভেন্দু

    খাস কলকাতায় এই ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে তিনি একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে আমি (Kasba Gangrape) একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি করতে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশকে তো পুরো নিয়ে চলে গিয়েছে দিঘাতে। লোক তো নেই দিঘায় । জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। আমরা ইস্যু টেক আপ (BJP) করছি। খুব বড় জিনিস হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘এই অ্যারেস্টও লোক দেখানো, এই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।’’

    কী বললেন সুকান্ত?

    অন্যদিকে কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অভয়াকাণ্ডের পর আবার এক কলেজে মধ্যে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (Kasba Gangrape)। যারা অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে একজন ওই কলেজেরই প্রাক্তনী, স্টাফ !’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখুন, যারা অভিযুক্ত তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত। আর জি কর কাণ্ডের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে কলেজে শিক্ষাকেন্দ্রগুলির কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যতই রথ টানুন না কেন! কালীগঞ্জে মেয়েকে বোমা মেরে খুন করা হচ্ছে, মেয়েদের ইজ্জত লুঠ করা হচ্ছে। আর জি করে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। এই পাপের হাত থেকে উনি বাঁচবেন না।’’

LinkedIn
Share