মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর পূর্ণ করল কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath) করিডর। ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে ১৯.১৩ কোটি ভক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে (Vishwanath Temple)।
কী বলছেন মন্দিরের সিইও? (Kashi Vishwanath)
সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সিইও বিশ্বভূষণ মিশ্র বলেন, “শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট মন্দিরে প্রাপ্ত দান ব্যবহার করছে সনাতন ধর্মকে শক্তিশালী করার জন্য। সংস্কৃত শিক্ষায় নিয়োজিত সমস্ত ছেলে-মেয়েকে খাবার, কাপড় এবং বই সরবরাহ করা হয়। হাসপাতাল ও অনেক অন্যান্য জায়গায় খাবার সরবরাহ করা হয়।” ভক্তরা কাশী বিশ্বনাথ ধাম দর্শন করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বলেছেন, মন্দিরে বেশ ভিড় হচ্ছে। পুজো দিতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। এক দর্শনার্থী বলেন, “মন্দিরে এলে খুব ভালো লাগে। মহাদেবকে দেখে আমরা আনন্দ এবং শান্তি পাই। মন্দিরের ভিতরে সব কিছু সুসজ্জিতভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা এখানে বারবার আসতে চাই।”
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির
দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি বিশ্বনাথ
কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath) মন্দির দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। কেবল দেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসেন মন্দির দর্শনে। ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। তারপর থেকে ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বনাথ মন্দিরে ভক্তরা যা দান করেন, তার সিংহভাগ ব্যয় হয় সনাতন ধর্ম প্রচারে। হাসপাতাল এবং সংস্কৃত শিক্ষায় যুক্ত সমস্ত ছেলে-মেয়েকে খাদ্য, বস্ত্র ও বই প্রদান করতে ব্যবহৃত হয় ওই দানের টাকা। মন্দির ট্রাস্ট বিভিন্ন সনাতন অনুষ্ঠানের আয়োজনেও সহায়তা করে। এই ট্রাস্ট সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সংরক্ষণ এবং শিল্প ও সংস্কৃতি শক্তিশালী করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়ে এটি সৃজনশীল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “এই সমস্ত বিষয়গুলি আমাদের চতুর্থ বছরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রসারিত হবে। চতুর্থ বছরটি আমাদের জন্য অনন্য। কারণ আমাদের ধর্মে চারটি বেদ আছে। এর পাশাপাশি, আমরা (Vishwanath Temple) সনাতন ধর্ম সম্প্রসারণের জন্যও কাজ চালিয়ে যাব (Kashi Vishwanath)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।