Tag: Kashmir

Kashmir

  • India: ‘‘যারা ১৯৭১ সালে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল…’’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    India: ‘‘যারা ১৯৭১ সালে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল…’’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল ভারত (India)। নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করেছিল পাকিস্তান। তারই জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে একহাত নেন ভারতের প্রতিনিধি। তামাম বিশ্বকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামাবাদের অনুমোদিত ৪ লাখ মহিলার ওপর সংঘটিত গণধর্ষণ অভিযানের কথা। ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক’ আলোচনার সময় এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয় ভারতের তরফে।

    পাকিস্তানের মিথ্যাপূর্ণ তথ্যের কড়া সমালোচনা (India)

    বিতর্ক সভায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পর্বতনেনি হরিশ পাকিস্তানের মিথ্যাপূর্ণ তথ্যের কড়া সমালোচনা করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চকে অপব্যবহার করে প্রচার চালানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। হরিশ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত প্রতি বছরই আমাদের আমার দেশকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের এই ভ্রান্তিপূর্ণ বিষোদ্গার শুনতে হয়, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে — যে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রতি তারা লোভাতুর দৃষ্টি দেয় সর্বক্ষণ।” তিনি বলেন, “এটাই সেই দেশ যারা ১৯৭১ সালে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালনা করেছিল এবং নিজেদের সেনাবাহিনী দিয়ে ৪ লক্ষ মহিলা নাগরিকের ওপর পরিকল্পিত গণধর্ষণ চালিয়ে এক গণহত্যার অভিযানে অনুমোদন দিয়েছিল। বিশ্ব পাকিস্তানের এই প্রচারের ভেতরটা স্পষ্টভাবেই দেখতে পায় (UNSC)।”

    পাকিস্তান নিজেদের জনগণকে বোমা মারে

    হরিশ পাকিস্তানকে এমন একটি দেশ হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে তারা নিজেদের জনগণকে বোমা মারে এবং পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালায়। তিনি আরও বলেন, “ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক সমাজের নজর ঘোরাতে ভুল দিকনির্দেশনা করছে, করছে অতিরঞ্জনও। এভাবেই তারা তাদের দোষ আড়াল করার চেষ্টা করছে (India)।” ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ বলেন, যে দেশ নিজের নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করে এবং গণহত্যা চালায়, সেই দেশ মানবাধিকারের নামে মুখ খোলার যোগ্যই নয়। রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর সাইমা সেলিম অভিযোগ করেন, কাশ্মীরি নারীরা কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত যৌন হিংসার শিকার হয়ে আসছেন। তাঁর বক্তব্য, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) প্রতিবেদনগুলিতে কাশ্মীরি নারীদের দুর্দশা প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

    বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বক্তব্য

    পাকিস্তানের এহেন অভিযোগ খারিজ করে দেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি রাষ্ট্রসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে ভারতের দীর্ঘদিনের অবদান ও শান্তির অপরিহার্য প্রতিনিধি হিসেবে নারীদের প্রাথমিক স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন (UNSC)। উদাহরণ হিসেবে তিনি ছয়ের দশকে কঙ্গোয় ভারতীয় নারী চিকিৎসক আধিকারিকের নিয়োগের ঘটনাটিরও উল্লেখ করেন (India)। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের চিরাচরিত অভিযোগেরও কঠোর প্রতিবাদ করেন হরিশ। তিনি বলেন, প্রতি বছর পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বক্তব্য পেশ করে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। হরিশ বলেন, পাকিস্তান অধিকার নিয়ে নানা কথা বলে। অথচ নিজের দেশেই বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যায়। তিনি মনে করিয়ে দেন, গত মাসে পাক সেনা কীভাবে খাইবার পাখতুনখোয়ায় বোমাবর্ষণ করেছিল। নারী, শিশু নির্বিশেষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই হিংসায়। এর পরেই হরিশ বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, চিরকালই থাকবে। কারও অতিরঞ্জিত বক্তব্য এখানে ছাপ ফেলতে পারবে না (India)।

    সাইমা সালেমের বক্তব্য

    পাক কূটনীতিবিদ সাইমা সালেম সভায় অভিযোগ করেছিলেন যে, কাশ্মীরি মহিলারা কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। তাঁর সেই বক্তব্যের জবাবে ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, যে দেশ নারী, শান্তি ও নিরাপত্তার নামে কুমিরের কান্না কাঁদে, তারাই সেনাবাহিনীর ইতিহাসে সব চেয়ে বর্বর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটিয়েছে (UNSC)। পাকিস্তান নারী সুরক্ষার কথা বলার আগে নিজের অতীতের দিকে তাকাক। তিনি বলেন, নারীর অধিকার ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের রেকর্ড নিষ্কলঙ্ক ও অক্ষত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার মিথ্যে প্রচার চালিয়ে পাকিস্তান বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সার্চলাইটের নামে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) অত্যাচার চালিয়েছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান (অধুনা পাকিস্তান)। সেবার পাক সেনা হত্যা করেছিল তিন লাখেরও বেশি বাঙালিকে। শুধু তাই নয়, প্রায় চার লাখ মহিলাকে পাকিস্তানি সেনার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল (India)। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সহায়তায় জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের (UNSC)।

  • Kashmir: চেনা ছন্দে ফিরল ভূস্বর্গ, দশেরায় মাতল শ্রীনগর

    Kashmir: চেনা ছন্দে ফিরল ভূস্বর্গ, দশেরায় মাতল শ্রীনগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দশকেরও বেশি সময় পরে ফের ঘটা করে দশেরা উৎসব পালিত হল জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে (Kashmir)। আবারও প্রাণ ফিরে পেল ভূস্বর্গ। গত ২ অক্টোবর হাজার হাজার কাশ্মীরি হিন্দু এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও উৎসব (Grand Dussehra) পালন করতে জড়ো হয়েছিলেন শের-ই-কাশ্মীর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা একটি অঞ্চলে এটি ছিল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক ঐতিহাসিক পুনর্জাগরণ।

    গর্বের দশেরা (Kashmir)

    এদিনের উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের বিশাল মূর্তি পোড়ানো। স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে রাখা অতিকায় প্রতিমাগুলি আগুনের করাল গ্রাসে চলে গেলে ৫ হাজারেরও বেশি দর্শক করতালিতে ফেটে পড়েন। সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী সংগীত, পটকা ফাটানো ও মিষ্টি বিতরণ। দশেরার এই উৎসব ছিল সামাজিক সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক গর্বের এক বিরল মুহূর্ত। এবারের এই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরাও। পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী ইলতিজা মুফতিও উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন (Kashmir)।

    কাশ্মীরি হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি

    অনুষ্ঠানের আয়োজক কাশ্মীরি হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ইন্দিরা নগরের একটি মন্দির থেকে ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা বের হয়, ঠিক ৩৩টি বছর আগেও যেমনটি হত।কাশ্মীরি হিন্দু রাহুল মাত্তু বলেন, “কাশ্মীরে দশেরা আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষদের একত্রিত করে। এটি আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।” স্থানীয় বাসিন্দারাও একই কথা বলেন। তাঁরা উৎসবটির ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “এটি আমাদের যৌথ ঐতিহ্যকে দৃঢ় করে, আশার সঞ্চার করে।” ক্ষীরভবানীর এক বাসিন্দা বলেন, “দশেরা উদযাপন আমাদের শেকড় ও যৌথ ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি আশা ও একতার এক বিশেষ মুহূর্ত।”

    উৎসবের সমাপ্তি হয় এক মনোমুগ্ধকর আতশবাজির প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এটি শ্রীনগরের আকাশকে রঙিন করে (Grand Dussehra) তোলে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছিল প্রশাসন (Kashmir)।

  • Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর কিছুদিন ভয়ে গুটিয়ে ছিল জঙ্গিরা। অভিযোগ, পাকিস্তানের মদত পেয়ে তারা ফের মাথা তুলেছে। ওই অভিযানে পাক পাঞ্জাবের মুরিদকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar E Taibas) সদর দফতর মার্কাজ তায়েবা। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই সদর দফতর পুনর্নিমাণে ফের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। এই তথ্য জানা গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে প্রাপ্ত একটি রিপোর্টে।

    অপারেশন সিঁদুর (Lashkar E Taibas)

    পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী, ওই দিন রাত ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় মিরাজ বিমান পাঞ্জাব প্রদেশের গভীরে ঢুকে মার্কাজ তায়েবা ক্যাম্পাসের ১.০৯ একর এলাকায় তিনটি প্রধান কাঠামোর ওপর বিমান হামলা চালায়। টার্গেটে ছিল, একটি লাল রংয়ের বহুতল ভবন, যেটি ব্যবহৃত হত ক্যাডারদের ব্যবস্থাপনা ও অস্ত্রসংগ্রহের জন্য, এবং হলুদ রংয়ের দুটি ভবন যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং সংগঠনের সিনিয়র কমান্ডারদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত। অপারেশন সিঁদুরের জেরে ওই তিনটি ভবনেরই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই হামলা লস্করের পরিকাঠামোর ওপর ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর সব চেয়ে বিধ্বংসী আঘাত। সূত্রের খবর, ১৮ অগাস্ট লস্কর-ই-তৈবা ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে ফেলে। লস্করের ক্যাডারদের দেখা গিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর তদারকি করতে।

    পুনর্নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ফেব্রুয়ারিতে!

    সূত্রের খবর, বর্তমানে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নজর আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে। ফি বছর এই দিনটি পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এই দিনেই উদ্বোধন করা হতে পারে পুনর্নির্মিত ভবনের। এদিনই হতে পারে লস্করের বার্ষিক সম্মেলনও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুনর্নির্মিত মার্কাজ ফের প্রশিক্ষণ, আদর্শায়ন এবং অপারেশনাল পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। সদর দফতর পুনর্নির্মাণের কাজ ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্ববধান করছেন মাওলানা আবু জার। তিনি মার্কাজ তৈবার পরিচালক এবং লস্করের প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি উস্তাদ উল মুজাহিদ্দিন হিসেবেও পরিচিত। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউনূস শাহ বুখারিও। অপারেশনাল তত্ত্বাবধানে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুখারি (Lashkar E Taibas)।

    জঙ্গি গোষ্ঠীটির অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি অস্থায়ীভাবে তাদের প্রশিক্ষণ শাখাগুলিকে বাহাওয়ালপুরের মারকাজ আকসায় এবং পরে কাসুর জেলার পাটোকির মারকাজ ইয়ারমুকে স্থানান্তরিত করেছে (Operation Sindoor)। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরির বিশ্বস্ত সহযোগী আবদুল রশিদ মহসিন। ডসিয়ার অনুসারে, ইসলামাবাদ প্রকাশ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) ধ্বংস হওয়া কার্যালয়গুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এগুলিই ধ্বংস হয়েছিল অপারেশন সিন্দুরে। অগাস্ট মাসে লস্কর-ই-তৈবা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা পেয়েছে। অনুমান, ওই ভবনগুলি তৈরি করতে খরচ হবে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। এই আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বন্যা ত্রাণ কর্মসূচি তহবিলের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করেছে লস্কর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এহেন আচরণ মুখোশ খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভন্ডামির। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা দাবি করছে, পাকিস্তান উগ্রপন্থার শিকার, যদিও রাষ্ট্র স্বয়ং অর্থায়ন করে চলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে (Lashkar E Taibas)।

    পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    ২০০৫ সালে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভূমিকম্পের পরে লস্কর (সেই সময় জামাত-উদ-দাওয়া নামে পরিচিত ছিল) মানবিক সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, সংগৃহীত অর্থের  ৮০ শতাংশই জঙ্গিঘাঁটি গড়তে খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতলি অঞ্চলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস নির্মাণও ছিল, অপারেশেন সিঁদুরে যেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত সাফল্যের পরেও, লস্করের দ্রুত উত্থান তার মজবুত সংগঠনেরই প্রমাণ দেয়, যে গোষ্ঠীতে নিয়মিত অর্থায়ন করে চলে রাষ্ট্র নিজে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কাজ পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে (Operation Sindoor)। এটি প্রতিরোধ ও প্রচারের কাজ করবে। নিশ্চিত করবে পাকিস্তানের ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা। লস্করের প্রক্সি ফ্রন্টগুলির বিস্তার দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট, কাশ্মীর টাইগার্স এবং মাউন্টেন ওয়ারিওর্স অফ কাশ্মীর – একদিকে যেমন পাকিস্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ করে দেয়, তেমনি অন্য দিকে ভারত-বিরোধী হিংসার ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করে (Lashkar E Taibas)।

    ইসলামাবাদের অর্থায়ন

    মুরিদকের এই ঘটনা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যের গভীর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নিদর্শন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করার বদলে, ইসলামাবাদের অর্থায়ন, সাহায্য এবং উদাসীনতা নিশ্চিত করে যে লস্করের মতো গোষ্ঠীগুলি শুধু টিকে থাকবে না, বরং আরও ডালপালা বিস্তার করবে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার দিন পনেরো পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত (Lashkar E Taibas)।

  • Kashmir: কাশ্মীরে ৪ হাজারের মধ্যে আড়াই হাজার কবর পরিচয়হীন জঙ্গিদের, পাক-মিথ্যাচার ফাঁস হল রিপোর্টে

    Kashmir: কাশ্মীরে ৪ হাজারের মধ্যে আড়াই হাজার কবর পরিচয়হীন জঙ্গিদের, পাক-মিথ্যাচার ফাঁস হল রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ধরে পাকিস্তান এবং কয়েকটি ভারতবিরোধী সংগঠন এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো কিছু এনজিও — জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) কবরগুলিকে দেখিয়ে দাবি করত যে, এইসব কবর সাধারণ নাগরিকদের, যাদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনী হত্যা করে গোপনে কবর দিয়েছে। তবে এইসব অভিযোগ আর ধোপে টিকল না (Jammu And Kashmir News)। কারণ, গত ৪ সেপ্টেম্বর ‌‘সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার শিরোনাম ছিল: “কাশ্মীর উপত্যকায় অচিহ্নিত এবং অজ্ঞাত কবর”। এই রিপোর্টটি তারা ছয় বছর ধরে গবেষণা করে তৈরি করেছে, এবং এতে মোট ৪,০৫৬টি কবর চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ছড়িয়ে রয়েছে ৩৭৩টি কবরস্থানে। গবেষণায় উঠে এসেছে, এই কবরগুলোর (Kashmir) মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ — প্রায় ৬১.৫% বা ২,৪৯৩টি কবর — বিদেশি জঙ্গিদের, যারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশ করে এবং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়। অজ্ঞাত পরিচয় জঙ্গিদের অনেকের কাছেই কোনও পরিচয়পত্র ছিল না — ইচ্ছাকৃতভাবেই এমনটা করা হয়, যাতে তাদের সংগঠন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা গোপন রাখা যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি ছিল পাকিস্তানের যুদ্ধের দায় এড়ানোর এক কৌশল।

    এই গবেষণায় পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে কবরগুলোকে

    ১. অজ্ঞাত পরিচয় বিদেশি জঙ্গি – ২,৪৯৩ জন (৬১.৫%)
    ২. স্থানীয় জঙ্গি – ১,২০৮ জন (২৯.৮%) – যাদের নাম-পরিচয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে
    ৩. অচিহ্নিত কবর – ২৭৬টি (৬.৮%) – মূলত বারামুলা জেলায়
    4. ভারতের নাগরিক – ৯ জন
    5. ১৯৪৭ সালের উপজাতি হামলাকারী – ৭০ জন

    ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত ফারুক ভাট কী বললেন?

    এই গবেষণা কাশ্মীরের (Kashmir) চারটি সীমান্তবর্তী জেলা — বারামুলা, কুপওয়ারা, বান্দিপোরা ও গান্দেরবালে করা হয়। ফাউন্ডেশনের বক্তব্য অনুযায়ী, এই রিপোর্ট মিথ্যাচার ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে প্রমাণ সমেত ভিত্তিক জবাব দিয়েছে। গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের প্রাক্তন চিফ ইনফরমেশন কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লা। তিনি বলেন, “এই গবেষণা একটি জটিল সত্যকে প্রমাণ করতে পেরেছে। যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।” ওই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত ফারুক ভাট বলেন, “এই কবরগুলোকে ঘিরে বহু বছর ধরে ভুল ধারণা ও সন্দেহ রয়ে গেছে। আমরা তথ্য-ভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

    ভারতের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র (Jammu And Kashmir News)

    এমন অনেক গণকবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল যেগুলিকে কেন্দ্র করে তথাকথিত ভারত বিরোধী মানবাধিকার সংগঠনগুলো এদেশকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল (Kashmir)। সংগঠন যেমন — এপিডিপি (জম্মু ও কাশ্মীর নিখোঁজ ব্যক্তিদের আত্মীয়দের সংগঠন), আইপিটিকে (কাশ্মীর বিষয়ক সত্য অনুসন্ধান সংগঠন), এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল — দাবি করেছিল যে এই কবরগুলো নিঁখোজ হয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষদের। কিন্তু সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন এসব দাবি যে মিথ্যা তা প্রমাণ করেছে।

    ভারতের বিরুদ্ধে গণহত্যার গল্প সাজানো হত

    সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ডিএনএ টেস্ট বা ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়াই, সব ধরনের মৃত ব্যক্তিকে একই ক্যাটাগরিতে ফেলত এই মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা আলাদা করে বোঝায়নি যে কেউ সাধারণ নাগরিক, কেউ স্থানীয় জঙ্গি, আর কেউ বিদেশি জঙ্গি। এভাবেই দিনের পর অপ্রচার করা হয়েছে। জঙ্গি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্য না করে, আগের অনেক মানবাধিকার রিপোর্ট মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়েছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে গণহত্যার গল্প সাজিয়েছে।

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়েকেউ আওয়াজ তোলেনি

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এক তদন্তে উঠে আসে যে, অনেক কবরেই বিদেশি জঙ্গিদের দেহ রয়েছে, যারা সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল। কিন্তু এই সত্যকে উপেক্ষা করা হয়েছিল, কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বদনাম করা, সত্য খোঁজা নয়। প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে এই অচিহ্নিত কবর নিয়ে ভারত বিরোধীরা যত আলোচনা করেছে, তার তুলনায় ১৯৮৯-৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যা নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। এমনকি যেসব মুসলিম সাধারণ মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডও (যেমন: ওন্ধামা – ১৯৯৮, চিট্তিসিংহপোরা – ২০০০, নাদিমার্গ – ২০০৩) এইসব সত্য়ও প্রকাশ পায়নি।

    এনিয়ে পাকিস্তান চালাত ছায়াযুদ্ধ

    সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই কবর নিয়ে পাকিস্তান প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই কাশ্মীরকে নতুন টার্গেট বানায়। তারা পাকিস্তানি জঙ্গিদের অস্ত্র, অর্থ, প্রশিক্ষণ এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করে। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ— এসব সংগঠন কাশ্মীরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। বিদেশি জঙ্গিদের কাছে কোনও পরিচয়পত্র থাকত না, তাই তাদের অনেকেই অপরিচিত জঙ্গি হিসেবে কবর দেওয়া হয়।

  • India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে, এসসিওতে (SCO) আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা (India Blocks Azerbaijans Bid) রুখে দিল ভারত। রবিবার কূটনৈতিক সূত্রেই এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে বাকু(আজারবাইজানের রাজধানী)-র ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্কই এই বিরোধিতার প্রধান কারণ। এই দুই দেশই কাশ্মীর-সহ নানা বিষয়ে বারবার অবস্থান নিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।

    ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা (India Blocks Azerbaijans Bid)

    বর্তমানে আজারবাইজান এসসিও জোটে ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা ভোগ করছে। তবে পূর্ণ সদস্যপদে উন্নীত হওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি সময়ে এসসিওর এক বৈঠকে আজারবাইজান ফের এই চেষ্টা করলে আপত্তি জানায় ভারত। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান যেখানে ইতিমধ্যেই সদস্য, সেখানে আজারবাইজানকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত রাজি নয়। কারণ এতে সংগঠনটির ভারসাম্য ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানকে আজারবাইজানের সমর্থন এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)- প্রকল্পে তার সম্পৃক্ততাও ভারতের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে। যেহেতু ঐকমত্য প্রয়োজন, তাই ভারতের ভেটোয় আপাতত বাকুর এই আশা পূরণ হল না (India Blocks Azerbaijans Bid)।

    হিন্দু পর্যটকদের হত্যা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ঠিক পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে ভারত। এই সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। সরবরাহ করেছিল সামরিক সরঞ্জামও। ওই সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন করে আজারবাইজান। আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী জেইহুন বায়রামভের সঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দারের ফোনে কথাবার্তা হয়েছে। ওই সময়ই পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানান আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে আন্তরিক (SCO) সমবেদনা জানান পাকিস্তানের জনগণের প্রতি। উল্লেখ্য, ভারতের দাবি, অপারেশন সিঁদুরে খতম করা হয়েছে কেবলই জঙ্গিদের (India Blocks Azerbaijans Bid)।

  • Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) গুরেজ সেক্টরে গত সপ্তাহে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজন ছিল বাগু খান। হিউম্যান জিপিএস নামেও পরিচিত ছিল সে। বাগু (Terrorist Bagu Khan) এবং আর এক জঙ্গি নওশেরা যখন নার এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল, তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।

    কে এই বাগু খান? (Terrorist Bagu Khan)

    প্রশ্ন হল, কে এই বাগু খান? বাগু খান সমন্দর চাচা নামেও পরিচিত ছিল। সে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে গুরেজ সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সে ১০০ও বেশি জঙ্গিকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় জড়িত ছিল। তার অধিকাংশ চেষ্টাই সফল হয়েছিল। কারণ সে এই অঞ্চলটির দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও গোপন রুটগুলি সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিল। সে সীমান্ত পেরিয়ে আসা যাতায়াতকারীদের অন্যতম প্রবীণ হ্যান্ডলার ছিল। দক্ষতার কারণে সে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হত। কখনও কোনও জঙ্গিকে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢোকাতে হলে ডাক পড়ত বাগুর।

    হিজবুল কমান্ডার

    বাগু মূলত হিজবুল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। তবে সে আরও কয়েকটি সংগঠনকেও সাহায্য করেছিল। গুরেজ ও আশপাশের সেক্টরগুলি দিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেও সাহায্য করেছে সে। কুখ্যাত এই জঙ্গির মৃত্যু এই অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্যদানকারী লজিস্টিক নেটওয়ার্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সাম্প্রতিক যে সংঘর্ষটি নৌশেরা নার এলাকায় হয়েছে, তার নাম “অপারেশন নৌশেরা নার চতুর্থ”। এখানে সেনারা ভারী অস্ত্রসজ্জিত একদল অনুপ্রবেশকারীর মুখোমুখি হয়। শুরু হয় গুলি যুদ্ধ। নিকেশ হয় বাগু-সহ দুজন। বাকিরা পালিয়ে যায় (Terrorist Bagu Khan)।

    জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সাল থেকে বাগু ঘাঁটি গেড়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তার প্রধান কাজই ছিল, ভারতে জঙ্গি ঢোকানো। বহু বছর ধরে বাগুকে খুঁজছিল ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার গুরেজে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল আরও দুই জঙ্গি (Jammu Kashmir)। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় তাদের। এরপর ফের একবার অভিযান চালানো হয় গুরেজে। তাতেই খতম হয় বাগু (Terrorist Bagu Khan)।

  • India Alerts Pakistan: ‘মানবিক মুখ’ ভারতের, পাকিস্তানকে বন্যার সতর্কবার্তা দিল নয়াদিল্লি

    India Alerts Pakistan: ‘মানবিক মুখ’ ভারতের, পাকিস্তানকে বন্যার সতর্কবার্তা দিল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার তামাম বিশ্ব দেখল ভারতের ‘মানবিক মুখ’ (India Alerts Pakistan)। যে দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক অহি-নকুলের, সেই দেশকেই বন্যার ব্যাপারে আগাম সতর্ক করল নরেন্দ্র মোদির ভারত (Indus Treaty Abeyance)। ফেরা যাক খবরে। প্রবল বর্ষণের জেরে জম্মুর তাওয়ি নদীতে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। স্বাভাবিকভাবেই বিপদ বাড়ছে পাকিস্তানেরও। নদী তীরবর্তী অঞ্চলের পাক নাগরিকরা যাতে ভয়াল বন্যার কবলে না পড়েন, তাই আগেভাগেই পাকিস্তানের আধিকারিকদের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক অবহিত করল ভারত। সূত্রের খবর, ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনার মঙ্গলবার সকালে এই সতর্কবার্তার বিষয়ে পাক আধিকারিকদের জানান।

    জলস্তর বৃদ্ধি তাওয়ি নদীর (India Alerts Pakistan)

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে জম্মু ও তাওয়ি নদীর উৎপত্তিস্থলে প্রবল বৃষ্টির জেরে দ্রুত জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে (India Alerts Pakistan) ওই নদীর। তার পরেই পাক কর্তাদের এ ব্যাপারে অবহিত করেন ভারতীয় আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরেই বন্যার সতর্কতা জারি করেছে পাকিস্তান। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জনগণকে। স্থানান্তরিত করা হয়েছে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের (Indus Treaty Abeyance)। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে ওই মাসেই সিন্ধু জলচুক্তি স্থায়ীভাবে স্থগিত করে দেয় ভারত। স্বাভাবিকভাবেই এর পর আর ভারত পাকিস্তানকে জলপ্রবাহের তথ্য এবং প্রযুক্তিগত তথ্য দিতে বাধ্য নয়।

    সিন্ধু জলচুক্তি

    প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সিন্ধু জলচুক্তি (India Alerts Pakistan)। তার পর থেকে এতদিনেও একবারও ছেদ পড়েনি এই চুক্তিতে। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ইতি পড়েছে এই চুক্তিতে। অথচ, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার আগে দু’পক্ষই জলপ্রবাহের বিষয়ে একে অপরকে অবহিত করত। চুক্তি স্থগিত হওয়ায় তা আর করতে বাধ্য নয় ভারত। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিল, “তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন (India Alerts Pakistan)!”

    যদিও সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সিন্ধু জলচুক্তি অন্যায্য, ওই জল ভারত ও তার কৃষকদের। রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারত আর পাকিস্তানের পরমাণু ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। তাই ভারত এই চুক্তি মেনে নেবে না।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এনডিএ সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সিন্ধু জলচুক্তির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন, “নেহরু দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পাকিস্তানকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন (Indus Treaty Abeyance)। সংসদে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে ওই চুক্তি করা হয়েছিল (India Alerts Pakistan)।”

  • Jammu and Kashmir: ১৩ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ বলে কেন প্রচার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা?

    Jammu and Kashmir: ১৩ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ বলে কেন প্রচার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ বিলুপ্তির পরে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক শক্তিগুলি আবার বলতে শুরু করে যে ৩৭০ ধারা পুনরায় চালু করতে হবে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা দাবি তোলে যে ১৩ জুলাইকে জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তারা এই দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করতে চায়, কারণ ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই (Black Day July 13) শ্রীনগরে কিছু মানুষ নিহত হয়েছিল।তাদের মতে, ওইদিন ২২ জন সাধারণ কাশ্মীরিকে গুলি করে হত্যা করেছিল ডোগরা জওয়ানরা। প্রসঙ্গত, নিহত ২২ জনই ছিল মুসলমান এবং ডোগরা জওয়ানরা ছিলেন হিন্দু। তারা সবাই একত্রিত হয়েছিল আব্দুল কাদেরের জন্য। এই আব্দুল কাদের ছিলেন একজন মৌলবাদী, যিনি সবসময় ডোগরা হিন্দু শাসকদের বিরুদ্ধে সাধারণ কাশ্মীরি মুসলমানদের উসকানি দিতেন। তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন মহারাজা হরি সিংকে ক্ষমতা থেকে সরানো।

    হিন্দু শাসকের বিরুদ্ধে ছিলেন আব্দুল কাদের (Jammu and Kashmir)

    এক বক্তৃতায় আব্দুল কাদের বলেছিলেন, “ডোগরা শাসকদের হত্যা করো এবং তাদের জ্বালিয়ে ফেলো।” তিনি আরও বলতেন, “এটা তখনই সম্ভব হবে, যখন প্রত্যেক কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) মুসলমান মহারাজার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে।” এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য মহারাজা হরি সিং তাকে গ্রেফতার করেন এবং তাঁর বিচার চলতে থাকে। ১৩ জুলাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় (Black Day July 13)।

    আব্দুল কাদের ছিলেন বিদেশী

    এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আব্দুল কাদের ছিলেন একজন বিদেশি—একজন আফগান, এবং তিনি ব্রিটিশ অফিসারদের হয়ে কাজ করতেন। কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) নেতাদের কাছে তিনি কখনও নিজের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেননি। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ২২ জন নিহত হয়। হরি সিংয়ের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ এবং নিহত ২২ জনের ঘটনাকেই এখন ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা চলছে।

    উদার প্রকৃতির রাজা ছিলেন হরি সিং

    এইভাবে আব্দুল কাদেরকে প্রচারের আলোয় আনা হচ্ছে, যদিও তিনি ছিলেন একজন বিদেশি, দেশদ্রোহী এবং ষড়যন্ত্রকারী। কিন্তু তাঁকে বীরের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা আজও কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে। এটি একটি ইসলামী অ্যাজেন্ডা, যেখানে বলা হচ্ছে তিনি নাকি হিন্দু শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তব হল, মহারাজা হরি সিং ছিলেন একজন উদার প্রকৃতির শাসক। তিনি জাতিভেদে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সমস্ত মন্দিরে দলিতদের প্রবেশাধিকার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জম্মুর রঘুনাথ মন্দির, যা তাঁর পরিবারের বহু আগের নির্মিত মন্দির।

  • PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তুরস্ককে ‘বেইমানি’র জবাব দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে প্রথম ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দূরে থাক, উল্টে ভারত যখন পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নির্লজ্জভাবে মুসলমান রাষ্ট্র তুরস্ক আর এক ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়! অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করে ইসলামাবাদকে। যদিও তুরস্কের সেই সব ‘হাতিয়ার’কে মাঝ আকাশেই ছিন্নভিন্ন করে দেয় ‘বিকশিত ভারতে’র উন্নততর প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র।

    মোদির সাইপ্রাস তাস (PM Modi)

    আপাতত (Cyprus) যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে পাকিস্তানের বন্ধুদেশকে জব্দ করতে এবার ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। যে সাইপ্রাসের একটা অংশ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে তুরস্ক, সেই সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েই আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)-কে বার্তা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফেরা যাক খবরে। জি৭ সামিটে যোগ দিতে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জ্বালানি ভরতে তাঁর বিমান থামবে সাইপ্রাসে। সাইপ্রাস হল ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র। এর সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক পাক-বন্ধু তুরস্কের। ২৩ বছর পরে তৃতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে দেশে পা রাখছেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এহেন কূট চালে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তুরস্ক। এর একটা কারণও আছে। কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে বরাবর সমর্থন করে এসেছে তুরস্ক। এই তুরস্কই অবৈধভাবে কব্জা করে রেখেছে সাইপ্রাসের একাংশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে পা রেখে তুরস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছে মোদির দেশ।

    সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব

    দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। দেশটির একদিকে রয়েছে তুরস্ক, অন্যদিকে গ্রিস। তাই সাইপ্রাস কব্জা করতে পারলেই কেল্লাফতে। কারণ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সাইপ্রাস থেকে। এখানে বসেই নজরদারি চালানো সম্ভব পশ্চিম এশিয়ার ইজরায়েল, লেবানন এবং সিরিয়ার ওপর। তাই সাইপ্রাসের ওপর শ্যেনদৃষ্টি তুরস্কের পাশাপাশি গ্রিসেরও। ১৯৬০ সালে (PM Modi) ব্রিটিশ জমানার অবসান শেষে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাইপ্রাস। তার পরেই তাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করে গ্রিস। ১৯৭৪ সালে চরমপন্থীদের অভ্যুত্থানে রাতারাতি ক্ষমতাবদল হয় সাইপ্রাসে। এই অভ্যুত্থানে পূর্ণ সমর্থন জুগিয়েছে গ্রিসের জান্তা সরকার। এথেন্সের (গ্রিসের রাজধানী) এই আগ্রাসী মনোভাবে প্রমাদ গোনে তুরস্ক। তাই দেরি না করে ওই বছরেরই ২০ জুলাই সাইপ্রাস আক্রমণ করে তুরস্ক।

    সাইপ্রাসের একাংশ দখল করে তুরস্ক

    সদ্য স্বাধীন হওয়া সাইপ্রাসের পক্ষে এই আক্রমণের মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাইপ্রাসের এক তৃতীয়াংশ জমি দখল করে নেয় আঙ্কারা। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও সাইপ্রাসের দখল করা এলাকা থেকে সেনা সরায়নি তুরস্ক। এই এলাকার পোশাকি নাম টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাস। একে স্বশাসিত এলাকা বলে তুরস্ক। আঙ্কারার দখলে থাকা এই এলাকাকে স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। সাইপ্রাসও একে তুরস্কের অবৈধভাবে কব্জা করা এলাকা বলে মনে করে। তবে এলাকাটি তাদের বলেই দাবি করে তুরস্ক। তাদের দাবি, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্র অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। তাই এর ওপর একমাত্র অধিকার থাকা উচিত কেবল আঙ্কারারই (Cyprus)।

    আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইপ্রাস। কাশ্মীর ইস্যুতে তারা বরাবর পাশে রয়েছে ভারতের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই এবার সাইপ্রাসে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৬২ সালে সাইপ্রাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে নয়াদিল্লি। ১৯৮৩ সালে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাইপ্রাস সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী। ২০০২ সালে এই দ্বীপরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। এবার সে দেশে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারত-সাইপ্রাসের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অঙ্ক ছিল ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২০০২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সাইপ্রাস থেকে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ২৬৪ কোটি মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্ক

    সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) সদস্য। আগামী বছরের গোড়ায় এই ইউনিয়নের সভাপতি হবে সাইপ্রাস। সেক্ষেত্রে ইইউ এবং ভারতের মধ্যে আরও মজবুত হতে পারে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভারত সফরে আসেন সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “আধুনিক যুগে আমাদের সম্পর্কের শেকড় প্রাক-স্বাধীনতা যুগে পৌঁছায়, যখন আমাদের জাতির পিতারা সাইপ্রাসের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেছিলেন। আর সাইপ্রাসও সব সময়ই বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেই সম্পর্কের প্রতিদান দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত সব সময় সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৪ সালে ভারত দৃঢ়ভাবে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ভারত সাইপ্রাসে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য পাঠিয়েছে। ভারত থেকে তিনজন ফোর্স কমান্ডার এই দায়িত্ব পালন করেছেন (Cyprus), এবং এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, তাদের সবাইকে সাইপ্রাসে আজও সস্নেহে স্মরণ করা হয় (PM Modi)।”

  • Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৭ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মাধবী লতা (Madhavi Latha)। তাঁর সেই অধ্যাবসায়ের ফল হল বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু চেনাব সেতু। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়র হলেন মাধবী লতা।

    চেনাব সেতু, একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন (Madhavi Latha)

    কাশ্মীরের চেনাব সেতু (Chenab Bridge) প্রকল্পের সঙ্গে মাধবী লতা যুক্ত হয়েছিলেন সেই ২০০০ সালে, যখন এই সেতুটি ছিল স্রেফ একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন। নেপথ্যে থেকে কাজ করলেও, সেতু তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন জিওটেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে প্রায় দুদশক ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছেন মাধবী লতা। চেনাব সেতুটি তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ভূতাত্ত্বিকভাবে দুর্বল ভূখণ্ডে। এই সময় তিনি প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য করেছেন জটিল ঢাল স্থিতিশীলতা কৌশল এবং সাব-স্ট্রাকচার নিরাপত্তা নকশা নিয়ে কাজ করতে। কেবল পরামর্শ দেওয়াই নয়, মাধবী লতা বারবার সাইট পরিদর্শন করেছেন, করেছেন তথ্য বিশ্লেষণও, কাঠামোগত মূল্যায়নও করেছেন, যেগুলি মাটির পরিবর্তনশীল আচরণ, উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণতা এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে বারবার নতুন করে ক্যালিব্রেট করতে হয়েছে।

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন চোখ ধাঁধানো। ১৯৯২ সালে তিনি জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেন। এরপর এনআইটি ওয়ারাঙ্গাল থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম টেক করেন। অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য স্বর্ণপদকও লাভ করেন তিনি। ২০০০ সালে মাদ্রাজ আইআইটি থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু জাতীয় সম্মান অর্জন করেন তিনি (Madhavi Latha)।

    সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার

    ২০২১ সালে তিনি ইন্ডিয়ান জিওটেকনিক্যাল সোসাইটি থেকে “সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার” পান। পরের বছর তিনি ভারতের শীর্ষ ৭৫ জন এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রের নারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এটি বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে তাঁর অবদানের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি (Chenab Bridge)। বর্তমানে তিনি আইআইএসসিতে এইচএজি গ্রেডের অধ্যাপক। নয়া প্রজন্মের টেকনিক্যাল পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। চেনাব সেতুটি চেনাব নদীর ওপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে। এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার, যা একে শুধু একটি প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং একটি লজিস্টিক ও ভূতাত্ত্বিক ধাঁধায় পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি খাড়া, ঢালু এবং গভীর খাত দিয়ে গঠিত। দুর্বল শিলা দিয়ে গঠিত ভূমি। তাই ধসের আশঙ্কা প্রতি পদে।

    লতার কাজ

    অধ্যাপক লতা ছিলেন এই ঢালগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ এবং এমন স্থিতিশীলকরণ পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্বে, যা চরম আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক চাপও সহ্য করতে পারে (Chenab Bridge)। তাঁর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টিমের জন্য এমন গভীর ভিত্তি এবং বিশাল আর্চ সমর্থন ডিজাইন করতে সহায়তা করা, যা ঘণ্টায় ২২০ কিমি পর্যন্ত বায়ু প্রবাহ সহ্য করতে পারে এবং এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কম্পনেও অনড় থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে লতা বলেন, “এত জটিল ভূপ্রকৃতিতে ভিত্তি ডিজাইন করার অর্থ ছিল একাধিক ভাঙনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা। সেতুটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যা কল্পনাতীতভাবে কঠিন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কাঠামোগত সিদ্ধান্ত তিনবার করে যাচাই করা হয়েছে (Madhavi Latha)।”

    ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

    প্রধান নির্মাণ সংস্থা আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে কাজ করার সময় মাধবী লতা ভূ-প্রযুক্তিগত সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। ঢালের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করতেন। অপ্রত্যাশিত কোনও ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই প্রায়ই তিনি কাঠামোগত নকশায় পরিবর্তনের সুপারিশ করতেন (Chenab Bridge)। এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের ওপর বেশি ফোকাস পড়ে। কিন্তু অধ্যাপক মাধবী লতার মতো প্রযুক্তিবিদরা দেশকে মনে করিয়ে দেন যে, বৈজ্ঞানিক পরিশ্রম, কারিগরি দক্ষতা এবং গভীর প্রতিশ্রুতিই একমাত্র দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয় (Madhavi Latha)।

    ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিগত প্রকল্পের ইতিহাসে মাধবী লতার নাম চিরস্থায়ীভাবে খোদাই করা হয়ে গিয়েছে। লতা কেবল একজন অধ্যাপক নন, তিনি নিজেই এই সেতুর এক স্তম্ভ — দৃঢ়, স্থিতিশীল এবং অপরিহার্য। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের রেসি জেলার বাক্কাল ও কুরির মধ্যে একটি ইস্পাত ও কংক্রিট খিলান যুক্ত রেল সেতুই হল চেনাব সেতু (Chenab Bridge)। সেতুটি চেনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু এটি (Madhavi Latha)।

LinkedIn
Share