Tag: Kerala

Kerala

  • Air Hostess Arrested: পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার তাল তাল সোনা! কেরল থেকে গ্রেফতার কলকাতার বিমানসেবিকা

    Air Hostess Arrested: পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার তাল তাল সোনা! কেরল থেকে গ্রেফতার কলকাতার বিমানসেবিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানসেবিকার পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার হল তাল তাল সোনা। দুই-পাঁচগ্রাম সোনা নয় উদ্ধার হল প্রায় এক কেজি সোনা। অভিযোগ, পায়ুদ্বারের মধ্যে লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিলেন কলকাতার বিমানসেবিকা (Air Hostess Arrested) সুরভি খাতুন। এর আগে যাত্রীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার সোনা পাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এবার সোনা পাচারের অভিযোগ উঠল বিমানসেবিকার বিরুদ্ধে। কেরল (Kerala) থেকে গ্রেফতারির পর বিমানসেবিকাকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করা হয়েছে। আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে কান্নুরের মহিলা জেলে রয়েছেন তিনি।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Air Hostess Arrested)

    ভেবেছিলেন কেউ কিচ্ছুটি ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না। বিমান সংস্থার পোশাকে গটগট হেঁটে যাচ্ছিলেন। পেশায় বিমানসেবিকা হওয়ায় যাত্রীদের চেকিং হলেও তাঁকে কখনও এক মুহূর্তের জন্যও লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। ভেবেছিলেন এটাই তো সুযোগ। তবে কপাল সঙ্গ দিলনা। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও বিমানবন্দর আধিকারিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে যেতে পারলেন না সুরভি। তল্লাশি চলল আলাদা ঘরে ডেকে। আর তাতে যা বেরিয়ে এল তা দেখে চোখ কপালে উঠল পুলিশ থেকে শুরু করে উপস্থিত সকলের। বিমানসেবিকার পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার হল ৯৬০ গ্রাম সোনা। 

    এ যেন সিনেমারই মতো

    এ ঘটনা যেন সিনেমারই মতো। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের ছবি ‘ক্রু’। করিনা কাপুর খান, তব্বু এবং কৃতী শ্যানন অভিনীত এই ছবিতে সোনা পাচারের ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছিল। ছবিতে করিনা, তব্বু, এবং কৃতী বিমানসেবিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে দেখানো হয়েছে, যে বিমান সংস্থায় তাঁরা কাজ করছেন, সেটি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সেই বিমান সংস্থার মালিক সোনা পাচারে যুক্ত। রুজিরুটি চালাতে ওই তিন চরিত্র শেষে সোনা পাচারে যুক্ত হয়। তবে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান সেবিকা যেভাবে সোনা পাচার করেছেন, তার সঙ্গে ছবির সেভাবে কোনও মিল নেই। মিল একটাই যে, ছবিতে বিমানসেবিকারা সোনা পাচার করেছিলেন, আর এক্ষেত্রেও সোনা পাচারে নাম জড়াল বিমানসেবিকার।  

    আরও পড়ুন: মোদির ধ্যানকে কটাক্ষ করায় ইন্ডি-জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি, কী বলল?

    মাসকট থেকে কন্নুরে সোনা পাচারের চেষ্টা 

    জানা গিয়েছে, মাসকট থেকে কন্নুরে সোনা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। গত ২৮ মে কোচি বিমানবন্দরে সাধারণ মানুষের ভিড়ে ছদ্মবেশে ছিলেন ডিআরআই আধিকারিকরা। তাঁদের কাছে খবর ছিল, সোনা পাচারের উদ্দেশ্য নিয়ে এক বিমানসেবিকা সেই বিমানবন্দরে নামবেন। এরপর সুরভিকে দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। সোনা উদ্ধারের পর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেফতার (Air Hostess Arrested) করে পাঠানো হয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। 

    তদন্ত শুরু পুলিশের 

    ডিআরআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এটাই প্রথমবার নয় এর আগেও একাধিকবার এই বিমানসেবিকা সোনা পাচার (Air Hostess Arrested) করেছেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, সুরভি কেরলের (Kerala) একটি সোনা পাচার গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার পরেই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Nile fever: ওয়েস্ট নাইল ফিভারে কাবু কেরল! কীভাবে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? জানুন এই রোগের লক্ষণ

    West Nile fever: ওয়েস্ট নাইল ফিভারে কাবু কেরল! কীভাবে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? জানুন এই রোগের লক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এক ভাইরাল জ্বরের (West Nile fever) ভাইরাস কাবু করেছে দক্ষিণ ভারতের কেরালার বেশ কিছু মানুষজনকে। তবে মশার কামড়ে সৃষ্ট এই রোগ পরিচিত ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া নয়। জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস থেকে সৃষ্ট এই রোগ বিশেষত দেখা গিয়েছে কেরলের কোঝিকোড়, ত্রিশূর এবং মালাপ্পুরাম এলাকায়। 

    ইতিমধ্যেই কেরলে (Kerala) ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever) একাধিক কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এই রোগে সংক্রমিত ব্যক্তিদের পরীক্ষার নমুনাগুলি পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বর্তমানে সকলেই চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।  

    ওয়েস্ট নাইল ফিভার আসলে কী? (West Nile fever)

    ওয়েস্ট নাইল ফিভার হল ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile virus) দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। ভাইরাসটি সাধারণত আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য,‌ উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার পাওয়া যায়। কেরালা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের মতে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মানুষের মধ্যে একটি মারাত্মক স্নায়বিক রোগের সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ সময়ে এই রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায় না।  

    ওয়েস্ট নাইল ফিভারের উৎপত্তি 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসটি ফ্ল্যাভিভাইরাস গোষ্ঠীর সদস্য এবং এটি ফ্ল্যাভিভিরিডি পরিবারের জাপানিজ এনসেফালাইটিস অ্যান্টিজেনিক কমপ্লেক্সের অন্তর্গত। ১৯৩৭ সালে প্রথম এই ভাইরাস উগান্ডায় পাওয়া যায়। এরপর ২০১১ সালে কেরলে (Kerala) ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever)  প্রথম কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে, মালাপুররামের একটি ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে এই রোগে মারা গিয়েছিল। ২০২২ সালে, ত্রিশুর জেলার একজন ৪৭ বছর বয়সী ব্যক্তিও এই ভাইরাস থেকে মারা গিয়েছিলেন।

    ওয়েস্ট নাইল ফিভারের লক্ষণ

    এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত বেশিরভাগ মানুষই উপসর্গবিহীন। অনেক ক্ষেত্রে সংক্রামিত মশার কামড় থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। ওয়েস্ট নাইল ফিভারের (West Nile fever) লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা, বমিভাব, মাঝে মাঝে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া। তবে এই ভাইরাসে সংক্রমণ গুরুতর হলে উচ্চ জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কোমা, কম্পন, খিঁচুনি, পেশী দুর্বলতা এবং পক্ষাঘাতের লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণগুলি সাধারণত ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে স্থায়ী হয়। 

    আরও পড়ুন: জাল আধার কার্ড বানিয়ে কেরলে রয়েছে ৫০ হাজার অনুপ্রবেশকারী!

    ওয়েস্ট নাইল ফিভারের চিকিৎসা

    এই ভাইরাসে সংক্রমণ ঘটলে যে কোনও বয়সের মানুষের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। বিশেষত ৫০ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই জ্বরে আক্রান্ত হলে গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile virus) দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্য কোনও ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। এই রোগে হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীকে মূলত স্যালাইন, অক্সিজেন দিয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fake Aadhaar Cards: জাল আধার কার্ড বানিয়ে কেরলে রয়েছে ৫০ হাজার অনুপ্রবেশকারী!

    Fake Aadhaar Cards: জাল আধার কার্ড বানিয়ে কেরলে রয়েছে ৫০ হাজার অনুপ্রবেশকারী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যটি বাম শাসিত। সেখানেই রমরমা কারবার জাল আধারকার্ডের (Fake Aadhaar Cards)। অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য বললেও অত্যুক্তি হয় না। কারণ ছোট্ট রাজ্যটিতে অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি। এঁরা সবাই এসেছেন বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা থেকে।

    জাল আধারকার্ড (Fake Aadhaar Cards)

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই অনুপ্রবেশকারীরা জাল আধারকার্ড বানিয়ে নিয়ে কেরলে রয়েছে বহাল তবিয়তে। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অসমের মধুপুর এবং নাগাঁও, পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়া এবং কেরলের পেরামবাভুরে রমরমিয়ে চলছে জাল আধারাকার্ড তৈরির চক্র। এসব জায়গা থেকেই নকল আধারকার্ড সংগ্রহ করে কেরলে ঘাঁটি গেড়েছে এই অনুপ্রবেশকারীরা। কেবল অনুপ্রবেশকারীরাই নয়, অনেক ভারতীয়ও এই সব কেন্দ্র থেকে বানিয়ে নিচ্ছে নকল আধার কার্ড (Fake Aadhaar Cards)। এদেশে দুষ্কর্ম করে অনায়াসে পালিয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। জাল আধারকার্ডের ভিত্তিতে যখন পুলিশ অভিযুক্তদের খুঁজছে, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পগার পার।

    হ্যাকারদের হানা

    অথচ অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে রয়েছে বিএসএফের কড়া নজরদারি। উপকূলীয় রাজ্য কেরলের ওপর বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ডও। তার পরেও বন্ধ হয়নি অনুপ্রবেশ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও বলা হয়েছে, ভিনদেশিরা এদেশে ঢুকছে জাল আধারকার্ড সংগ্রহ করেই। জানা গিয়েছে, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একটি ইন্টারনেট সিস্টেমে হানা দিয়েছে হ্যাকাররা। সেখান থেকেই তথ্য জোগাড় করছে তারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তৈরি করা হচ্ছে আধারকার্ড। নকল আধারাকার্ড তৈরি হচ্ছে পেরামবাভুরের ‘ভাই মার্কেটে’র একটি দোকানেও। কেরলে পা রেখেই এই এলাকায় ভিড় করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, এই দোকানটিতে আধারকার্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে একই ছবি, যদিও বদলে দেওয়া হচ্ছে নাম-ঠিকানা।

    আরও পড়ুুন: ৫০ বছর পর মথুরার গোবর্ধন পাহাড়ে ফের খনন শুরু এএসআই-এর, কেন জানেন?

    কেরল পুলিশের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইউনিট দিন কয়েক বেশ কিছু জাল আধারকার্ডের সন্ধান পেয়েছে। জাল আধারকার্ড তৈরি কিংবা এর অপব্যবহার রুখতে দেশে রয়েছে আধারকার্ড অ্যাক্ট, ২০১৬। ধরা পড়লে ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হয়। তিন বছর ধরে খাটতে হয় জেলও। তার পরেও চলছে জাল আধারকার্ডের রমরমা কারবার। যে কার্ড জোগাড় করে ভিন দেশিও রাতারাতি হয়ে যাচ্ছে খাঁটি দেশি (Fake Aadhaar Cards)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kangaroo Lizard: ভারতে আবিষ্কৃত হল ক্যাঙ্গারু টিকটিকির নতুন প্রজাতি

    Kangaroo Lizard: ভারতে আবিষ্কৃত হল ক্যাঙ্গারু টিকটিকির নতুন প্রজাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল ভারতের কেরল রাজ্যের আগামিডে টিকটিকির একটি নতুন প্রজাতির কথা বর্ণনা দিয়ে সন্ধান দিয়েছেন। নতুন শনাক্ত করা এই প্রজাতিটি হল আগস্তিয়াগামার অন্তর্গত। এটি আগামিডে প্রজাতির স্থলজ, কীটনাশকারী টিকটিকির একটি পূর্ববর্তী প্রজাতি বলে জানা গিয়েছে। এই প্রজাতির টিকটিকিকে মূলত ভারতের তামিলনাড়ু এবং কেরল রাজ্যের ক্যাঙ্গারু টিকটিকির (Kangaroo Lizard) প্রজাতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    গবেষকদেরর মতামত

    কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সন্দীপ দাস এই প্রজাতির সম্পর্কে বলেছেন, “দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কার বনাঞ্চলের স্থলভাগে এই আগামিডগুলিকে জিনগত এবং রূপগত ভিত্তিতে দুটি পৃথক শ্রেণী যথা-অগাস্থ্যাগামা এবং ওটোক্রিপ্টিসের শ্রেণীতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছিলেন যে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ক্যাঙ্গারু টিকটিকিগুলি (Kangaroo Lizard) পশ্চিমঘাটের টিকটিকির সঙ্গে একত্রিত ছিল। নতুন এই প্রজাতির টিকটিকি ৩ থেকে ৪.৩ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ছোট আকারের হয়ে থাকে। এটি সামগ্রিক আকৃতি, আকার এবং রঙে অগস্ত্যগামা বেডডোমির মতোই দেখতে হয়।”

    চিরহতিৎ বনে বাসস্থান

    বর্তমানে ভারতের কেরল রাজ্যের ইদুক্কি জেলার চিরহরিৎ বনের ৬৩৬-৮৩৫ মিটার উচ্চতার গাছের মধ্যে দেখা যায় এই টিকিটিকির প্রজাতি। রাস্তার পাশে লাগানো গাছপালার মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। মার্চ থেকে মে মাস হল এদের প্রজননের সময়। পুরুষদের গলায় ক্রিমি দাগ দেখা যায়। জুন এবং জুলাই মাসে সদ্য জন্ম নেওয়া এই প্রজাতির ক্যাঙ্গারু টিকটিকিকে (Kangaroo Lizard) পর্যবেক্ষণ করা যায়। অগাস্থ্যগামার দ্বিতীয় প্রজাতির এই টিকটিকিগুলি সরীসৃপ প্রজাতির হয়ে থাকে।

    গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় দেখা যায়

    অগস্ত্যগামা বেডডোমিগুলি বিভিন্ন প্রকারের আবাসস্থলে বাস করে থাকে। যেমন দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ের চূড়ায় ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন, পশ্চিম উপকূলীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং পশ্চিম উপকূলীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় আধা-চিরসবুজ বনে লক্ষ্য করা যায়। তবে এখন কেবলমাত্র দক্ষিণ ভারতের আর্দ্র মিশ্র পর্ণমোচী বন, গ্রীষ্মমন্ডলীয় আধা-চিরসবুজ এবং চিরহরিৎ বন থেকেই সমীক্ষা করে ক্যাঙ্গারু টিকটিকি (Kangaroo Lizard) প্রজাতির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arif Mohammed Khan: নিষিদ্ধ পিএফআই-এর সঙ্গে অলিখিত জোট রয়েছ বামেদের, বিস্ফোরক কেরলের রাজ্যপাল

    Arif Mohammed Khan: নিষিদ্ধ পিএফআই-এর সঙ্গে অলিখিত জোট রয়েছ বামেদের, বিস্ফোরক কেরলের রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের রাজ্যপাল (Arif Mohammed Khan) আরিফ মহম্মদ খান বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং বেআইনি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার মধ্যে সম্পর্ক থাকার বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন। এদিনই সাংবাদিক সম্মেলনে তিরুবনন্তপুরমে গভর্নর বলেন যে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এটা প্রমাণ দিচ্ছে যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যথেষ্ট যোগাযোগ রেখে চলেছেন বামপন্থী ছাত্র নেতারা। এ প্রসঙ্গে ২৭ জানুয়ারি তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর বিষয়টিও সামনে আনেন তিনি (Arif Mohammed Khan)। এবং দাবি করেন যে ৭ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারা গেছে যারা ওই বিক্ষোভে হাজির  ছিল এবং তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত।

    বিক্ষোভকারীদের দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রাজ্যপাল

    কালো পতাকা নিয়ে এসএফআই-এর সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে, সে সময় রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান গাড়ি থেকে নেমে পড়েন এবং বিক্ষোভকারীদের (Arif Mohammed Khan) সামনাসামনি হন। এসময় উত্তেজনা যথেষ্ঠ বেড়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নও তুলতে দেখা যায় সেদিন আরিফ মহম্মদ খানকে। এছাড়াও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, পিএফআই এবং এসএফআই-এর হাতে কেরলের অসংখ্য বিজেপি-আরএসএস কর্মী খুন হয়েছেন। সমাজে বিভাজন, উস্কানি, জঙ্গি কার্যকলাপের কারণে পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র।

    রাজভবনের সঙ্গে কেরল সরকারের সংঘাত চলছেই

    সাম্প্রতিক সময়ে কেরলের রাজভবনের (Arif Mohammed Khan) সঙ্গে কেরল সরকারের সংঘাত সামনে এসেছেবিভিন্ন ইস্যুতে। কেরালা ত্রিশূরে গভর্নর আরিফ মহম্মদ খান সমালোচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পীনারাই বিজয়নের। এবং তাঁকে ভন্ড বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন যে মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি দিচ্ছেন বামপন্থী ছাত্র নেতাদের তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য। এবং একই সঙ্গে নিজের (মুখ্যমন্ত্রীর) নিরাপত্তার বিষয়টিও ভালোমতো বন্দোবস্ত করছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত জৈন সন্ত আচার্য বিদ্যাসাগর মহারাজ, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Death Sentence: ১৫ পিএফআই সদস্যকে ফাঁসির সাজা, বিজেপি নেতা খুনের মামলায় কঠোর কেরলের আদালত

    Death Sentence: ১৫ পিএফআই সদস্যকে ফাঁসির সাজা, বিজেপি নেতা খুনের মামলায় কঠোর কেরলের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের বিজেপি নেতাকে খুনের মামলায় ১৫ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল সে রাজ্যের একটি আদালত। ত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা পিএফআইয়ের সদস্য। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর কেরল বিজেপির ওবিসি শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শ্রীনিবাসন বাড়িতেই খুন হয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের সামনেই তাঁকে মারধর করে হত্যা করা হয়।

    আদালতের রায়

    আলাপুঝার ভেল্লাকিনারে থাকতেন রঞ্জিত শ্রীনিবাসন। ২০২১-এর ১৯ ডিসেম্বর রাতে, তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল আসামীরা। শ্রীনিবাসনের মা, স্ত্রী এবং কন্যার সামনেই হামলাকারীরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এই ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি, ১৫ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল মাভেলিকারার অতিরিক্ত দায়রা আদালত। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি শোনালেন অতিরিক্ত জেলা জজ ভিজি শ্রীদেবী। আদালত জানিয়েছে, আসামীদের মধ্যে আটজন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। বাকি আসামীদের এই অপরাধের ষড়যন্ত্রে সামিল থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত এই আটজন হল – নিজাম, আজমল, অনুপ, মহম্মদ আসলাম, সালাম, আব্দুল কালাম, সফরউদ্দিন, মুনশাদ, জাজিব, নওয়াজ, শেমির, নাজির, জাকির হুসেন, শাজি এবং শামনাজ। 

    আরও পড়ুন: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    ঘটনার তদন্ত

    আলাপুঝার সহকারী পুলিশ সুপার এনআর জয়রাজ এই ঘটনার তদন্ত করেন। ১,০০০টিরও বেশি নথি এবং ১০০টিরও বেশি অন্যান্য প্রমাণ-সহ চার্জশিট দাখিল করে তাঁর নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। সেই সব প্রমাণের মধ্যে ছিল আঙ্গুলের ছাপ, ফরেন্সিক অনুসন্ধান রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ এবং গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে অপরাধীদের গতিবিধির মানচিত্র ইত্যাদি। পিএফআই-এর মূল সংগঠন এসডিপিআই-এর রাজ্য সম্পাদক কেএস শানের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হত্যা বলে দাবি পুলিশের। ঘটনাটি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের সমান বলে আদালতে সওয়াল জবাবে জানিয়েছিল পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fiscal Health: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    Fiscal Health: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তায় ভোট কুড়োতে খয়রাতি চালু করেছে বাংলার শাসক দল। এতে ঝুলি পূর্ণ হচ্ছে ঘাসফুলের। তবে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে আর্থিক স্বাস্থ্য (Fiscal Health)। কেবল বাংলা নয়, একই অবস্থা পঞ্জাব এবং কেরলেরও। বলা বাহুল্য, এই তিনটি রাজ্যই শাসন করছে বিজেপি বিরোধী দল। ইএসি-পিএম ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের তথ্যে ধরা পড়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি পরিচালিত রাজ্যগুলির কঙ্কালসার দশার ছবি।

    খয়রাতির রাজনীতি

    ফি বার নির্বাচনের আগে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেয় রাজনৈতিক দলগুলি। ভোটের পরে সেগুলি পূরণ করার একটা দায়বদ্ধতা থাকে। আর তা করতে গিয়েই ফতুর হয়ে যায় রাজকোষ। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয় আর্থিক স্বাস্থ্য। পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা যাক। এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডারে অনুদান পান মহিলারা। দুর্গাপুজো করতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া হয় মোটা টাকা। এসব করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। কোনও রাজ্য আবার ভর্তুকিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডার দেয়। নিখরচায় জল, বিদ্যুৎও দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কোনও কোনও রাজ্য। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। এই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে বিস্তর খরচ করতে হয়। ফাঁকা হয়ে যায় রাজকোষ (Fiscal Health)। বিভিন্ন সময় এই খয়রাতি রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাই বিজেপি এই জাতীয় প্রতিশ্রুতি না দিলেও, পদ্ম-বিরোধী দলগুলি দেয়।

    কী বলছে গবেষণা?

    ইএসি-পিএম (প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি)-এর সদস্য শমিকা রবি ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের মুদিত কাপুর ‘ভারতে রাজ্যের বিজেট: ১৯৯০-২০২০ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণমূলক সময়ের প্রবণতা বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে ভারতের রাজ্যগুলির আর্থিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের একমাত্র রাজ্য হিসেবে বিহারের প্রবৃদ্ধির হার ক্রমশ কমেছে। বিহারের প্রকৃত মাথাপিছু আয় ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘গীতাপাঠ’-এর পোস্টারে গেরুয়া বসনে মোদি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    কোনও রাজ্য উন্নয়নমূলক ব্যয় বেশি করলে সেই রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য ভাল ধরে নেওয়া হয়। ওই গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে উন্নয়ন ব্যয় ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। ২০২০ সালে সেটাই নেমে এসেছে প্রায় ৬০ শতাংশে। পঞ্জাব ও কেরলে উন্নয়ন ব্যয়ের অংশ ৫০ শতাংশেরও কম। অথচ অন্য রাজ্যগুলিতে এটি ৫০ শতাংশের বেশি।

    কেরল ও পঞ্জাবে গত এক দশকে সুদের অর্থ প্রদান ও ঋণ পরিষেবার অংশও বেড়েছে। কেরলে এর পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর পঞ্জাবে ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যয়ের সুদ পরিশোধ ও ঋণ দেওয়ার পরিমাণ সর্বভারতীয় স্তরের চেয়ে বেশি। রবির মতে, পঞ্জাব ও কেরলের এই প্রবণতা (উন্নয়ন ব্যয় কমে যাওয়া) তাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধ ও বিকাশের জন্য ভাল ইঙ্গিত নয় (Fiscal Health)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19 India: ফের কোভিড আতঙ্ক! দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৬৬ জন

    Covid-19 India: ফের কোভিড আতঙ্ক! দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৬৬ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোভিড ১৯ (Covid-19 India) এর আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে দেশে। এই মুহূর্তে গোটা দেশে নতুন করে ১৬৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার জেরে বাড়ছে উদ্বেগ। রবিবার, ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।  রিপোর্ট বলছে ১৬৬ টি নতুন করোনা ভাইরাস মামলার মধ্যে বেশিরভাগই এই মুহূর্তে কেরল থেকে এসেছে। 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট

    সম্প্রতি বের হওয়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক মহলের। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাসের (Covid-19 India) আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৯৫ জন। ইতিমধ্যেই দেশের কোভিড-১৯ (Covid-19 India) মামলার সংখ্যা ৪,৫০,০৩,০৫৫ (৪.৫০ কোটি) এবং মৃতের সংখ্যা ৫,৩৩,৩০৬ (৫.৩৩ লাখ)। দেশে করোনা সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় দৃষ্টান্তমূলক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৫ জন। রিপোর্ট বলছে, ভারতে ১৬৬ টি নতুন কোভিড আক্রান্তের বেশিরভাগই এসেছে কেরল থেকে। যা বেশ উদ্বেগজনক। এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা লোকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৪৪,৬৮,৮৫৪ (৪.৪৪ কোটি) এবং করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা রোগীর হার ৯৮.৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে করোনায় মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১.১৯ শতাংশে।

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শীতের আমেজে ছন্দপতন ! সতর্ক না হলেই বড় বিপদ

    তবে, এখনই এ নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই, বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে কোভিড (Covid-19 India) পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে, আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণগুলির উপর নজরদারি চালানোর কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞরা আগাম সতর্কতা হিসেবে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্টের উপর জোর দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kochi: কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেস্ট চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেন ৪ পড়ুয়া, আহত ৬৪

    Kochi: কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেস্ট চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেন ৪ পড়ুয়া, আহত ৬৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলে পদপিষ্ট হয়ে চারজন পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর পাশাপাশি ৬৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে কেরলের ‘কোচিন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’তে (Kochi) শনিবারই ফেস্ট-এর আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। ফেস্ট শুরু হতেই কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি নামে। সেই সময়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মাঠে থাকা পড়ুয়ারা হুড়োহুড়ি করে ছুটতে শুরু করেন। তখনই অনেকে মাঠে পিছলে পড়ে যান এবং পদপিষ্ট হন। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। মৃত পরিচয় সামনে এসেছে। এঁরা হলেন,  অতুল থাম্বি, আন্না রুফতা, সারা থমাস, আলিউন জোসেফ। জানা গিয়েছে, আলিউনকে বাদ দিয়ে বাকি তিনজনই কোচিন (Kochi) ইউনিভার্সিটির সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের পড়ুয়া।

    কী জানাল প্রশাসন?

    প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় দু হাজারের ওপর পড়ুয়া বিভিন্ন কলেজ থেকে হাজির হয়েছিলেন ফেস্টে। শিল্পী নিকিতা গান্ধীর গান শুরু হতেই বৃষ্টি নামে। তারপেরই এই ঘটনা ঘটে। কেরলের প্রশাসন জানিয়েছে, মাঠের (Kochi) যা ব্যবস্থা ছিল সেখানে দেড় হাজারের মতো মানুষের জমায়েত হতে পারতো কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি লোক সেখানে উপস্থিত ছিল। যখন অনুষ্ঠান শুরু হয় তখন মাত্র ৬ জন মাত্র পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    কী জানালেন উপাচার্য?

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পি শংকরন জানিয়েছেন, প্রতিবছরই এরকম বার্ষিকী অনুষ্ঠান ছাত্রদের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়। কোভিড পিরিয়ডের পর এটাই ছিল প্রথম অনুষ্ঠান। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি বসে কেরল সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠক। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী রওনা হন কোচির উদ্দেশে। জানা গিয়েছে, কোচির (Kochi) সমস্ত হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেড খালি রাখতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: ফিল্ম টিজারে কেরলের সাথে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সূত্র জুড়ে দেওয়ায় চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর কেরল পুলিশের

    The Kerala Story: ফিল্ম টিজারে কেরলের সাথে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সূত্র জুড়ে দেওয়ায় চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর কেরল পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি'(The Kerala Story) নামক এক বলিউড সিনেমার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সিনেমার টিজারে দক্ষিনের এই রাজ্যটিকে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের কেন্দ্র হিসেবে দেখানোর পর থেকে ভারতের এই দক্ষিণী রাজ্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

    সিনেমাটির ট্রেলারে (The Kerala Story Trailer) কি দেখানো হয়েছে?

    সিনেমাটির ট্রেলারে দেখানো হয়েছে রাজ্যের প্রায় ৩২ হাজার নারীকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করানোর পর বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীতে নিয়োগ করা হয়েছে।

    ট্রেলারের এক ভিডিওতে দেখানো হয়, একজন বোরখা পরিহিত এক মহিলা (বলিউডের এক হিন্দু নায়িকা) বলেন আমি ধর্মান্তকরণের শিকার হয়েছি। সে বলে,”আমি একজন নার্স হতে চেয়েছিলাম এবং মানবতার সেবা করতে চেয়েছিলাম। সে আরও বলে, এখন আমি ফাতিমা, আফগানিস্তানের একটি জেলে বন্দিনী আইসিস সন্ত্রাসী, তবে আমি একা নই। ছবির ট্রেলারে বোরখা পরিহিত মেয়েটি আরও দাবি করে যে “আমার মতো ৩২ হাজার মেয়ে আছে যাদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে এবং সিরিয়া ও ইয়েমেনের মরুভূমিতে সমাহিত করা হয়েছে। কেরলের সাধারণ মেয়েদের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীতে রূপান্তরিত করার জন্য একটি মারাত্মক খেলা চালানো হচ্ছে … কেউ কি তাদের বাধা দেবে না?”

    ছবিটির নির্মাতারা দাবী করেন যে, চলচ্চিত্রটি বাস্তব তথ্য এবং ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু তাদের দাবির সমর্থনে তারা কোনো প্রমাণ বা অফিসিয়াল রিপোর্ট পেশ করেনি।

    সিনেমাটির ট্রেলারটির রিলিজের পর প্রতিক্রিয়া (Reaction on The Kerala Story Trailer)

    ট্রেলারটির প্রকাশের পরই ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ুর সাংবাদিক বিআর অরবিন্দদক্ষন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এবং কেরল পুলিশের কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন। পিটিশনে তিনি অভিযোগ করেন যে এই ফিল্মটি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছে এবং এর বিষয়বস্তু সমাজে অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। তিনি অবিলম্বে পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি সিনেমাটি রিলিজ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। 

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যের পুলিশকে অভিযোগটি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পরেই ট্রেলারের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেরলের তিরুবনন্তপুরম জেলার পুলিশ ভুল তথ্য এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে সিনেমা নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

    রাজ্যের বিরোধীদল নেতা ভিডি সতীসান বলেছেন যে ছবিটি তথ্যের দিক থেকে ভুলে ভরা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ। তিনি এই সিনেমাটিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

    পুলিশ চলচ্চিত্রের ঘটনাগুলি কেরলের চারজন মহিলার দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে মনে করছে। যারা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তাদের স্বামীদের সাথে ২০১৬ এবং ২০১৮ সালের মধ্যে খোরাসান প্রদেশে আইএসএ যোগ দিতে আফগানিস্তানে গিয়েছিল। তাদের স্বামীরা নিহত হবার পর ২০১৯ সালে তারা আত্মসমর্পণ করার পরে এখনও তারা আফগান জেলে রয়েছে। ভারত সরকার তাদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে।

    ফিল্মটির দাবী মতো কেরলের এমন হাজার হাজার মেয়েরা এখন যুদ্ধবন্দী, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

    কেরলে বিজেপির সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা (BJP is trying to expand its organization in Kerala)

    ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত ও প্রগতিশীল রাজ্য কেরলে বিজেপি এখনো তাদের প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বিজেপি নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই কেরল রাজ্যে ধর্মান্তকরণ বা ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। রাজ্যে বাম সরকার ও ধর্ম নিরপেক্ষ দলের উপস্থিতি থাকায় বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার অস্ত্রকে ব্যবহার করে কেরল দখল করতে মরিয়া বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

    কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটির প্রভাব (Influence of the movie Kashmir Files)

    বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটি সম্প্রতি বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাশ্মীর ফাইলস এর  অনুকরণে করা হয়েছে। কাশ্মীর ফাইলসেও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে সংখ্যালঘু কাশ্মীরি পন্ডিতেরা কিভাবে অত্যাচারিত হয়েছিল, তা দেখানো হয়। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হলেও বক্স অফিসে বিপুল মুনাফা লাভ করে দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share