Tag: Khalilur Rahman

  • Bangladesh: দিল্লিতে বৈঠকে ডোভাল-খলিলুর, কী আলোচনা হল ভারত-বাংলাদেশের?

    Bangladesh: দিল্লিতে বৈঠকে ডোভাল-খলিলুর, কী আলোচনা হল ভারত-বাংলাদেশের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে। এহেন আবহে বুধবার দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) খলিলুর রহমান। বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভে অংশ নিয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    ডোভালকে আমন্ত্রণ বাংলাদেশে (Bangladesh)

    রহমান অজিত ডোভালকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (CSC) সপ্তম এনএসএ স্তরের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আজ দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও তাঁর দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তাঁরা কনক্লেভের কাজকর্ম ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। রহমান বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান ডোভালকে।” রহমান সপ্তম এনএসএ সিএসসি বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড

    গণআন্দোলনের জেরে বাংলাদেশছাড়া হতে হয়েছিল সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তারপরেই দেশের রশি যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তার পর এটি দু’দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক। দিন চারেক আগে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। দেশ ছেড়ে হাসিনা আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। তার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। পড়শি এই দুই দেশের মধ্যে রয়েছে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি। সেই চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশের (Bangladesh) পক্ষ থেকে ভারতের কাছে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের বৈঠক

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঘোষিত রায়ের বিষয়ে (NSA) অবগত এবং ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারত সব সময় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে। ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঘোষিত রায়টির নোট নিয়েছে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতা-সহ সর্বোত্তম স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্যে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে সব সময় গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব (Bangladesh)।”

    একাধিক চ্যালেঞ্জ

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে বাংলাদেশের একটি আদালত পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের জুলাই–অগাস্ট বিদ্রোহের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে (NSA)। এদিকে, দুই দেশের দুই জাতীয় উপদেষ্টার বৈঠকটি এমন একটা সময়ে হয়েছে, যার মাস তিনেক পরেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ভারত প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছে যাতে নির্বাচন স্বাধীন, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে চলা সম্পৃক্ততাকেই প্রতিফলিত করে। ভারত বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে, আর বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা চায় (Bangladesh)।

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ

    অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সদস্য রাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অজিত ডোভাল যে সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাবেন, সেগুলি হল মলদ্বীপ, মরিশাস, শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নেবে সিশেলস এবং মালয়েশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অতিথি দেশ হিসেবে (NSA)।

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের লক্ষ্য

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ গঠিত হয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যও রয়েছে এই কনক্লেভের (Bangladesh)। এই জোড়া উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের ৭ম বৈঠকটি হবে বিভিন্ন সহযোগিতা স্তম্ভ—যেমন সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধ প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো সুরক্ষা, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলা – এসবের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ। ২০২৬ সালের রোডম্যাপ এবং কর্মপরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করা হবে এই কনক্লেভে।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাই এ বারের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে প্রথমে জানানো হয়েছিল বুধবার দিল্লি পৌঁছবেন খলিলুর। সেই সফরসূচি বদলে ফেলে মঙ্গলবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান তিনি (Bangladesh)।

  • Bangladesh: ডোভালের আমন্ত্রণে বুধে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

    Bangladesh: ডোভালের আমন্ত্রণে বুধে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির সাজা নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি মোতাবেক হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ভারতকে চিঠি দেওয়া কথা মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। এহেন ডামাডোলের বাজারে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA)। ১৯ নভেম্বর, বুধবার ভারতে আসছেন সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে খলিলুরের ভারত সফরের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্তও বাংলাদেশের তরফে কিছু জানানো হয়নি আনুষ্ঠানিকভাবে।

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সম্মেলন (Bangladesh)

    ২০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে হবে ভারত মহাসাগরীয় এলাকার পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই অক্টোবর মাসে খলিলুরকে নয়াদিল্লিতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ডোভাল। সেই আমন্ত্রণেই সাড়া দিয়ে দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। দুই দেশের দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনার সীমা নেই। তবে, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কিছুক্ষণের জন্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন ডোভাল ও খলিলুর। ওই বৈঠকে সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

    হাসিনা সরকারের পতন

    গত বছরের ৫ অগাস্ট ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন ভারতেই। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাশ যায় অন্তর্বর্তী সরকারের (NSA) হাতে। তার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ নয়। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পড়শি বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও টানাপোড়েন চায় না ভারত। তবে একই সঙ্গে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকেও নিজের কথাবার্তার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন রাজনাথ। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওই মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে দাবি করা হয়, রাজনাথের ওই মন্তব্য শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্মানজনক নয়। ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যে হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হচ্ছে, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। এহেন আবহেই ভারতে আসতে চলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূ্র্ণ।

    শ্যেন দৃষ্টি খলিলুরের ভারত সফরে

    বাংলাদেশের পাশাপাশি এই কনক্লেভে যোগ দেবেন মলদ্বীপ, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরাও। সূত্রের খবর, এই কনক্লেভে সমুদ্র, সীমান্ত, সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও ভারত তো বটেই, বাংলাদেশবাসীরও শ্যেন দৃষ্টি খলিলুরের ভারত সফরের দিকে (NSA)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে দুই দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আবেদন ভারতের কাছে করতে পারে বাংলাদেশ। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ডোভাল-খলিলুরের মুখোমুখি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে। ভারতে এসআইআর শুরু হতেই বাংলাদেশে পালাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। সেই (Bangladesh) বিষয়টি নিয়েও হতে পারে আলোচনা। বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপও বাড়ছে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় হতে চলেছে দুই দেশের দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক।

    ‘বিমসটেক’ সম্মেলন

    প্রসঙ্গত, এর আগে তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে ‘বিমসটেক’ সম্মেলনের ফাঁকে খলিলুরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। সেই সময় অবশ্য খলিলুর ছিলেন ইউনূসের প্রতিনিধি। তখনও বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়নি তাঁকে (NSA)। উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ক্রমাগত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরে ধরে পুশব্যাক করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে প্রথম দিকে ব্যাপক আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এখন আর সেরকম কোনও আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। চোরাচালান নিয়েও দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বাংলাদেশি পাচারকারীদের যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা গুলি করে, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ঢাকার।

    ডামাডোলের বাজার

    এসবের মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই ভারত তিনটি সামরিক ছাউনি স্থাপন করেছে। চিকেনস নেকের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় সেনা। আবার আগামী কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন উত্তরপূর্ণ ভারতজুড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার মহড়া চলবে। যার জেরে জারি করা হয়েছে নোটাম। এই সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। এই আবহে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার (NSA) বৈঠক যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য (Bangladesh)।

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

LinkedIn
Share