Tag: kidney disease

kidney disease

  • Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে ভাত-রুটি কি একেবারেই বাদ দিতে হবে? জোর দেবেন কোন কোন খাবারে?

    Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে ভাত-রুটি কি একেবারেই বাদ দিতে হবে? জোর দেবেন কোন কোন খাবারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে জীবন‌যাপনের ধরন। খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের সময়, বদল এসেছে সব কিছুর। আর তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে ডায়াবেটিস। দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিসের প্রকোপ। এই রোগ আর বয়সের সীমানায় আটকে নেই। শিশুদের মধ্যেও মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। শিশুর শরীরে টাইপ টু ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। ১৪ নভেম্বর ছিল ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ডে! দেশ জুড়ে চলেছে নানান সচেতনতা কর্মসূচি। সুস্থ জীবন এবং ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে খাবারকেই হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কীভাবে রুখবেন ডায়াবেটিসের প্রকোপ? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাসই ডায়াবেটিস রুখতে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। আর পুষ্টিকর খাবারে অভ্যস্ত হলে সহজেই এই রোগের প্রকোপ কমানো যায়।

    কখন খাবেন? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার কখন খাওয়া হচ্ছে, সেটা খুব জরুরি। ডায়াবেটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে ঠিক সময়ে খাওয়া দরকার।‌ অর্থাৎ, তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার ন’টার মধ্যে খেতে হবে। অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। এর ফলে জলখাবার খাওয়া হয় না। একেবারেই দুপুরের খাবার খান। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। নিয়মিত সকালের জলখাবার খাওয়া জরুরি। অন্তত তিন ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খেতে হবে। হালকা খাবার খাওয়ার দিকেই নজর দেওয়া জরুরি। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেক পরিমাণ খাওয়ার পরিবর্তে বারবার হালকা খাবার খেলে শরীর ভালো থাকবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে একসঙ্গে অনেক পরিমাণ খাবার খান। আর এর ফলেই একাধিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার ফলে একদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে। আবার হঠাৎ করেই অনেকটা খাবার খেয়ে নিলে শরীরের একাধিক উপাদান যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মাত্রাও ওঠানামা করে। ফলে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়ে। রাতের খাবারের সময় নিয়েও সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনেক রাতে ভারী খাবার খাওয়ায় অভ্যস্থ হয়ে উঠছে।‌ এর ফলে লিভার এবং কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ছে। তাই ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়ছে। কখনই রাত ন’টার পরে ভারী খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী খাবেন?

    ডায়াবেটিস রুখতে সব্জি, ফল এবং প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে ব্যালান্স জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সব্জি খেতে হবে। বিশেষ করে সবুজ সব্জি! পালং শাক, পটল, ঢ্যাঁড়শ, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো নানা রকমের সব্জি নিয়মিত মেনুতে থাকা জরুরি। সঙ্গে রাখতে হবে ডাল। মটর, ছোলার মতো নানান দানাশস্য নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকলে শরীরে ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ কমবে। শরীরে এনার্জির জোগান থাকবে। তবে প্রাণীজ প্রোটিনকেও মেনুতে রাখতে হবে। যদিও পরিমাণ নিয়ে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া যাবে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি পনির, ছানা এবং টক দই নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল‌। প্রতিদিন শশা, আপেল, পেয়ারা, কিউই, লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নানান খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো হলে ডায়াবেটিস জটিল আকার নিতে পারে না।

    ডায়াবেটিস রুখতে কি ভাত-রুটি বাদ? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রুখতে কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates) সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। বরং, ডায়াবেটিসের মোকাবিলার জন্য ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। তাই‌ নিয়মিত ফল, সব্জি, মাছ-মাংসের জন্য দরকার কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ ভাত কিংবা রুটি। কারণ ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থেকেই শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি‌ জোগানে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা‌ দিতে পারে। ফলে, নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট নিয়মিত খেতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    চিনি, ধূমপান, মদ্যপান বিপদ বাড়াবে! (Diabetes)

    নিজে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিংবা যাদের পরিবারে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, তাদের নানান জটিলতা ও ঝুঁকি তৈরি হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে‌, বিপদ কমাতে একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। বংশানুক্রমিক ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে প্রথম থেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ টানতে হবে। চকলেট, পেস্ট্রি, প্যাকেটজাত পানীয় কিংবা রাসায়নিক উপাদান দেওয়া চটজলদি খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। অর্থাৎ, বার্গার, পিৎজা থেকে বিরিয়ানি, খাবারের তালিকায় রাশ না টানলেই বিপদ‌ বাড়বে। আবার খাবারের পাশপাশি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের দিকেও‌ নজর দিতে হবে। অর্থাৎ, মদ্যপান এবং ধূমপানের মতো অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই ধরনের অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। কিডনি এবং লিভারের জটিল রোগ তৈরি করতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetic Nephropathy: ডায়াবেটিস হলেই কি কিডনির রোগ? কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? 

    Diabetic Nephropathy: ডায়াবেটিস হলেই কি কিডনির রোগ? কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই রক্তে বাড়ছে শর্করার মাত্রা। তরুণ প্রজন্মের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা ডায়াবেটিস। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। আর ডায়াবেটিসের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিডনি। দেশ জুড়ে বাড়ছে কিডনির রোগ। গত কয়েক বছরে দেশে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে‌ কিডনির সমস্যা। কিডনির কার্যকারিতা হারানোর জেরে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তারা জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথম থেকেই কিডনি নিয়ে বাড়তি সচেতনতা (Diabetic Nephropathy) না থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেই কি কিডনির রোগের ঝুঁকি? (Diabetic Nephropathy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে গ্লুমেরুলি সংকীর্ণ হয়। এর জেরে রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পায়। আর তার জেরেই কিডনির কার্যকারিতাতেও সমস্যা দেখা যায়। পাশপাশি কিডনিতে অ্যালবুমিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তার জেরেই কিডনির ভিতরের বিভিন্ন ফিল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকারিতা কমে যায়। মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং মূত্রনালীর মধ্যে ঠিকমতো যোগাযোগ থাকে না। এর ফলে, মূত্রথলি পূর্ণ হয়ে গেলেও আক্রান্ত অনুভব করতে পারেন না। দীর্ঘদিন এইভাবে চললে কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। ‌ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে বিশেষত কিডনিতে নানান ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এর জেরে কিডনির রোগের ঝুঁকি (Kidney Disease) বেড়ে যায়।

    কীভাবে এই রোগ শনাক্ত করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে,‌ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিডনির রোগের ঝুঁকি (Diabetic Nephropathy) মারাত্মক বেশি। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগ নির্ণয় প্রাথমিক পর্বেই হলে, চিকিৎসার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির অসুখ শনাক্ত করা বেশ কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই উপসর্গ চিহ্নিত করা যায় না। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিডনির পরীক্ষা করানো জরুরি। কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রয়েছে কিনা, তা যাচাই করা দরকার। তবে, পা ফুলে যাওয়া, সব সময় ক্লান্তি ভাব, বমি ভাবের মতো উপসর্গ নিয়মিত দেখা গেলে কিডনির পরীক্ষা আবশ্যিক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? (Diabetic Nephropathy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে শর্করার পরিমাণ জানা দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও নজরদারি জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্তের কখনই কুকিজ, সোডা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে কিডনির অসুখের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। চিনিজাতীয় কোনও খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি নজরদারি দরকার। কারণ, ডায়াবেটিসের সঙ্গে রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হলে তা কিডনি ও হার্টের রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি।‌ যাতে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এছাড়া, খেজুর, বাদাম জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে। ফলে, কিডনিও সুস্থ থাকে (Kidney Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: কিডনি নিয়ে দুশ্চিন্তায়? কোন দিকে নজর দিলেই কমবে রোগের ঝুঁকি?

    Kidney Disease: কিডনি নিয়ে দুশ্চিন্তায়? কোন দিকে নজর দিলেই কমবে রোগের ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়ালিসিস সেন্টারের সামনে লম্বা লাইন। রোগী ও তাঁর পরিজনদের দীর্ঘ অপেক্ষা। শুধু ডায়ালিসিস নয়, কিডনির একাধিক রোগে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে কিডনির চিকিৎসার (Kidney Disease) দীর্ঘ প্রক্রিয়ার খরচ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু প্রবীণদের নয়। কিডনির জটিলতায় ভোগান্তি বাড়ছে কম বয়সীদেরও। আধুনিক জীবনযাপনের ধরনের জন্য কিডনি রোগ বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, সতর্ক ও সচেতন থাকলে কিডনির রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। এবার দেখা যাক, কোন দিকে নজরদারি পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মদ্যপান চলবে না! (Kidney Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে অনেকেই মদ্যপানে অভ্যস্ত। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে নিয়মিত মদ্যপান করেন। আর তার জেরেই কিডনির একাধিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মদ কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। আর নিয়মিত মদ্যপান করলে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে মদ্যপান চলবে না বলেই সাফ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অতিরিক্ত কফি কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে! (Kidney Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কফি কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। দিনে একবারের বেশি কফি পান করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফির মধ্যে থাকা উপাদান কিডনির কার্যকারিতা অত্যাধিক বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। তাই অতিরিক্ত কফি পান করলে কিডনির সমস্যা (Kidney Disease) দেখা দিতে পারে।

    অনিয়মিত ঘুম নিয়ে সতর্কতা জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিত ঘুম খুব বিপজ্জনক। স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তা কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ রাত জাগতেই অভ্যস্ত। অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস কিডনির রোগের অন্যতম কারণ। রাত জাগার জেরে বা অনিয়মিত ঘুম হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। রক্তচাপ ওঠানামা করে। আর তার জেরেই একাধিক অঙ্গে প্রভাব পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাতেও প্রভাব পড়ে (Kidney Disease)। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রত্যেক দিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি।‌ দীর্ঘদিন কম ঘুম হলে সচেতন হতে হবে। ব্যস্ততার মধ্যেও ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বরাদ্দ করতেই হবে। তা না হলে কিডনির রোগ‌ মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে।

    জল মেপে খাওয়া জরুরি! (Kidney Disease)

    শরীরে জলের অভাব একাধিক রোগের কারণ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদপিণ্ড, কিডনি, লিভার, ত্বকের মতো দেহের একাধিক অংশের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি জল। জল নিয়মিত পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। জল কম খেলে কিডনির কাজ ঠিকমতো হয় না। এর জেরে কিডনির একাধিক রোগ (Kidney Disease) হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই নিয়মিত অন্তত ৪ থেকে ৫ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: পাঁচ ঘরোয়া উপাদানেই সুস্থ থাকবে কিডনি! কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি?

    Kidney Disease: পাঁচ ঘরোয়া উপাদানেই সুস্থ থাকবে কিডনি! কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লেই বিপদ, এমন আর নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। আর তার জেরে বিস্তর ভোগান্তি। স্বাভাবিক জীবন‌যাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু বিষয় খেয়াল করলেই কিডনি সুস্থ (Kidney Disease) রাখা সম্ভব। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি কিডনির সমস্যা বাড়ছে। শুধু বয়স্কদের নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিডনির একাধিক রোগে কাবু অনেকেই। তার জেরেই সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, ডায়ালিসিস সেন্টারে রোগীর লম্বা লাইন। দীর্ঘ ভোগান্তির পরেও আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না অনেকেই। তাই প্রথম থেকেই কয়েকটি বিষয়ে সতর্কতা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদান সুস্থ রাখবে কিডনি? (Kidney Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লিটার জল খাওয়া দরকার। বিশেষত যাঁরা দিনের অনেকটা সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, তাঁদের জলের পরিমাণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ, শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে, সবচেয়ে বেশি কুপ্রভাব পড়ে কিডনিতে। কিডনি সুস্থ এবং সক্রিয় রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগীর পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস নেই। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। 
    দিনে অন্তত একবার প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতেই হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনিকে সক্রিয় ও সুস্থ রাখতে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার সবচেয়ে কার্যকরী। কারণ, এতে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা কিডনিকে সুস্থ (Kidney Disease) রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আর টক দই এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, টক দই খেলে শরীরে প্রচুর ভালো ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। তাই নিয়মিত এক কাপ টক দই খাওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (Kidney Disease)

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার কিডনি ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, তেমনি কিডনির সক্রিয়তাও বাড়ে। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে কিডনি ভালো থাকবে। তাই যে কোনও এক ধরনের লেবু, যেমন, পাতিলেবু, কমলালেবু, মৌসম্বি লেবু দিনে অন্তত একটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এতে শরীরে ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ হবে। 
    ক্র্যানবেরি জুস কিংবা ড্রাই ফ্রুটস হিসাবে ক্র্যানবেরি খেলে কিডনি ভালো (Kidney Disease) থাকবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ক্র্যানবেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন রুখতেও এই ফলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশপাশি কিডনি সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে‌।

    মদ্যপান ও কফি পানে রাশ (Kidney Disease)

    কিডনি সুস্থ রাখতে মদ্যপান ও কফি পানে রাশ টানতে হবে বলেই সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই পানীয় কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। এই দুই পানীয়র জেরে শরীরে প্রচুর পরিমাণে টক্সাইট বেড়ে যায়। কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। কিডনির কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় (Kidney Disease)। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে কফি আর মদ্যপানে রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনির রোগের জানান দেয়? 

    Kidney Disease: কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনির রোগের জানান দেয়? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস কিংবা শারীরিক নানা জটিলতা, নানা কারণে কিডনির সমস্যা (Kidney Disease) বাড়ছে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। সমস্যা বুঝতেই রোগীর দেরি হয়। তাই সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেক সময়ই চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সুযোগ থাকছে না। তাই আগে থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়।

    কাদের কিডনির রোগে (Kidney Disease) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিডনির রোগে যে কোনও বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতেই পারেন। কিন্তু ৪০ বছরের চৌকাঠ পেরলে বাড়তি সতর্ক হতে হয়। বিশেষত মহিলাদের কিডনির রোগ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর ১০ শতাংশের কারণ কিডনি ফেলিওর (Kidney Disease)! তাছাড়া একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ মহিলা পঞ্চাশ বছরের পরে নানা ক্রনিক কিডনির সমস্যায় ভোগেন। তবে, কিডনি ফেলিওর হয়ে মৃত্যুর ঘটনা মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়।

    কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনি সমস্যার (Kidney Disease) জানান দেয়?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ত্বকের সমস্যার কারণে অনেক সময়ই কিডনির রোগ (Kidney Disease) হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময় তা বোঝা যায় না। ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণ কিডনির সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় ত্বকে নানা চুলকানি, কিংবা হাত-পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গ সাধারণ বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঠিকমতো শারীরিক পরীক্ষা করলে জানা যায়, কিডনির সমস্যা থেকেও এগুলো হতে পারে। 
    রাতে ঘুম না হওয়া বা অনিদ্রার মতো সমস্যার কারণ কিডনির রোগ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানান, কিডনির সমস্যা থাকলে ঘুমের অসুবিধা হয়। তাই রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে সতর্ক হতে হবে। কিডনির সমস্যার কারণে ঘুম কম হতে পারে। 
    পা ফুলে যাওয়া কিডনির সমস্যার অন্যতম উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যা থাকলে দেহে সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান কমতে থাকে। তার জেরে দেহের একাধিক অংশ ফুলতে পারে। বিশেষত পা ফুলে যায়। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। 
    বারবার মূত্রত্যাগ কিডনি সমস্যার আরেক উপসর্গ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই বারবার মূত্রত্যাগকে শুধুমাত্র ডায়বেটিসের উপসর্গ বলে ভুল করেন। কিন্তু কিডনির সমস্যা হলেও এই এক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা দরকার। 
    পেটের যন্ত্রণা কিডনির সমস্যার অন্যতম উপসর্গ। বিশেষত পেটের নীচের অংশে প্রায় যন্ত্রণা অনুভব হলে অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যে কোনও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share