Tag: kisan mandi

kisan mandi

  • Birbhum: কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনার ক্ষেত্রে চলছে কালোবাজারি! ক্ষুব্ধ চাষিরা

    Birbhum: কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনার ক্ষেত্রে চলছে কালোবাজারি! ক্ষুব্ধ চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, সরকারি নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে চলছে কালোবাজারি। বৃহস্পতিবার বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কৃষকরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হলেন পারুই থানার কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর গ্রামের কৃষক বামাচরণ সামন্ত। এদিন তিনি বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে ৬২ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেন। তাঁর অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি ৪ কেজি পাঁচ কিলো এমনকী তিন কিলো করে ধান বেশি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর এই অভিযোগে রীতিমতো উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হল বোলপুরের কিষাণ মান্ডি চত্বরে। সরকারিভাবে বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের মধ্যস্থতায় চাষিদের কাছে ধান কেনা হচ্ছে। বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ধান নিয়ে নেওয়া হচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে। যদিও এ বিষয়ে রাইস মিলের ম্যানেজার  কোও মন্তব্য করতে চাননি। বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের বিরুদ্ধে যখন ধান কেনা নিয়ে কালোবাজারের অভিযোগ উঠে আসছে ঠিক সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। গরু পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই রাইস মিলের মালিক কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডের কালো টাকা কেষ্ট মণ্ডলের হাত ধরে এই রাইস মিলে বিনিয়োগ হয়েছে।

    চাষিরা কী বললেন?

    চাষিদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী কুইন্টাল হিসেবে ধান বিক্রির পর সেই টাকা চাষিদের দেওয়ার কথা। কিন্তু, আমাদের কাছে থেকে কুইন্টাল প্রতি ধান চার-পাঁচ কেজি করে বেশি নিচ্ছে। প্রশাসনের মদতেই এসব চলছে। আর আমাদের মতো চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছি।

    কিষাণ মান্ডির দায়িত্বে থাকা আধিকারিক কী বললেন?

    বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর কিষাণ মান্ডির দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক বলেন, চাষিরা ধান বিক্রি করতে আসছে। সঠিকভাবেই ধান কেনা হচ্ছে। কিন্তু, যে ধানের গুণগত মান খারাপ, সে ক্ষেত্রে কুইন্টাল প্রতি ধান তিন-চার কেজি করে অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। যদিও এটি সরকারি গাইডলাইনের বহির্ভূত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kisan Mandi: ভেঙে পড়ছে  বিভিন্ন ভবন, সাপ-পোকামাকড়ের আবাসস্থল সাধের কিষাণ মান্ডি!

    Kisan Mandi: ভেঙে পড়ছে বিভিন্ন ভবন, সাপ-পোকামাকড়ের আবাসস্থল সাধের কিষাণ মান্ডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষকদের সুবিধার্থে বছর কয়েক আগে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল কৃষক বাজার বা কিষাণ মান্ডি (Kisan Mandi)। বর্তমানে এটি বছরে দুই থেকে তিন মাস খোলা থাকে৷ বাকি সারা বছর প্রায় তালাবন্ধ অবস্থাতেই থাকে৷ যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই কিষাণ মান্ডি তৈরি করা হয়েছিল, তা কার্যত জলে গিয়েছে বলেই অভিযোগ। দিনের বেলা একজন সিভিক ও রাতে দুজন সিভিক শুধু পাহারাদার হিসাবে নিযুক্ত রয়েছে৷ লোকজন চলাচল না করার ফলে বর্তমানে কিষাণ মান্ডি সাপ, পোকামাকড়ে ভর্তি হয়ে গেছে৷ সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ছে কিষাণ মান্ডির বিভিন্ন ভবন। বছরে দু-তিন মাস শুধু ধান কেনার জন্য কিষাণ মান্ডি খোলা হয়। তাই সারা বছর এটি খোলা রাখার আর্জি জানিয়েছেন কৃষকরা। 

    অবস্থান (Kisan Mandi) নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ

    বর্তমান সরকারের আমলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আটটি ব্লকেই কৃষকদের স্বার্থে কিষাণ মান্ডি তৈরি করা হয়। প্রায় বছর সাত-আট আগে এগুলি তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য ব্লকের পাশাপাশি বালুরঘাটেও কিষাণ মান্ডি তৈরি করা হয়। ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজিরপুর মাহিনগর এলাকায় রয়েছে বালুরঘাট কিষাণ মান্ডি (Kisan Mandi)। এর অবস্থান নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল কৃষক থেকে ব্যবসায়ীদের৷ কারণ, বালুরঘাট শহর থেকে একেই অনেকটা দূর৷ তার উপর জাতীয় সড়ক থেকে অনেকটা ভিতরে৷ যার ফলে সকালের বাজার কিষাণ মান্ডিতে চালু করার চেষ্টা হলেও তা বিফলে যায়। বর্তমানে শুধুমাত্র বছরে দু থেকে তিন মাস কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনে জেলা প্রশাসন। তারপর তা বন্ধই থাকে। 

    রাতে ডুবে থাকে অন্ধকারে (Kisan Mandi)

    কিষাণ মান্ডি চালুর মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের হয়রানি রোখা। নিজেদের ফসল খুব সহজেই যাতে তাঁরা কিষাণ মান্ডিতে বিক্রি করতে পরেন, তার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি সবজি মজুত করার জন্য ছোট হিমঘর থাকারও কথা ছিল। অন্যান্য কৃষিপণ্য রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে কিষাণ মান্ডিতে (Kisan Mandi)। পাশাপাশি বাজারেরও সুব্যবস্থা রয়েছে এখানে। কিন্তু শহর থেকে দূরে হওয়ায় জেলার অন্যান্য স্থানের মতো এটিও সচল নেই। রাতের বেলা পুরো কিষাণ মান্ডি চত্বর প্রায় অন্ধকারে ডুবে থাকে। তবে যখন ধান কেনা হয়, তখন আলোর ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে করা হয়। এবিষয়ে মালঞ্চার কৃষক সুকমল সরকার বলেন, কিষাণ মান্ডিটি শহর থেকে অনেকটা দূরে৷ এছাড়াও রাস্তার পাশে নয়। যার ফলে ধান বিক্রি করতে বা বাজার করার জন্য যাওয়াটা খুব মুশকিল। এখন শুধু আমন ধান কেনার সময় খোলা থাকে৷ অন্য সময় বন্ধই থাকে। তবে সব কিছু এক ছাতার তলায় হলে সকলের সুবিধা হবে। 

    কী অভিযোগ বিজেপির? কী বলছে তৃণমূল?

    এবিষয়ে বিজেপির স্থানীয় মন্ডল সভাপতি সুভাষ সরকার বলেন, কৃষকদের সুবিধার জন্য কিষাণ মান্ডিটি (Kisan Mandi) তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তা সেভাবে চালুই হয়নি এবং ঠিক জায়গায় এটি করাও হয়নি। যার ফলে কৃষকরা সেখানে যেতে চায় না। বর্তমানে শুধু ধান কেনার সময় খোলা থাকছে৷ বাকি সময় বন্ধ থাকে৷ এর ফলে কিষাণ মান্ডি চত্বরে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে। প্রশাসনের এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বপন বর্মন বলেন, বালুরঘাট কিষাণ মান্ডিটি শুধুমাত্র আমন ধান কেনার সময় নয়, সারা বছর যাতে চালু থাকে তার জন্য ব্লক ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। তবে বিজেপি যে অভিযোগ করছে কিষাণ মান্ডিতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share