Tag: Kolkata Municipality

Kolkata Municipality

  • Bad Road In WB: পুজোয় ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা না দিয়ে রাস্তা মেরামত করলেন বাবা-মায়েরা

    Bad Road In WB: পুজোয় ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা না দিয়ে রাস্তা মেরামত করলেন বাবা-মায়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চালু হয়েছে পথশ্রী প্রকল্প। শাসক দলের মতে, সর্বত্র রাস্তাঘাটে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা পুরোপুরি আলাদা। পঞ্চায়েত-পুরসভা ভোটের আগে শাসক দল রাস্তার উন্নয়ন নিয়ে চড়াম চড়াম ঢাক পেটালেও, বাস্তবে উন্নয়ন রাস্তার খানা-খন্দের মধ্যে আটকে রয়েছে। এবার এলাকার বাবা-মায়েরা, ছেলে-মেয়েদের পুজোয় নতুন জামা কাপড় না দিয়ে, সেই টাকায় রাস্তা মেরামত (Bad Road In WB) শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই নদিয়ার শান্তিপুরে এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামতের কাজ করেছিলেন। ফলে রাজ্যের শাসক দল উন্নয়নের জোয়ারে রাস্তা মেরামত নিয়ে কতটা চিন্তিত, সেই বিষয়ও এলাকার মানুষের কাছে বড় প্রশ্ন উঠেছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Bad Road In WB)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বোগপোতা এলাকায় প্রশাসন রাস্তা (Bad Road In WB) মেরামতিতে উদাসীন হলে, এলাকার অবিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের জন্য পুজোর জামাকাপড়ের খরচে রাশ টেনে, রাস্তা সারাই করার কাজ শুরু করেছেন। এই রাস্তা মহেশতলার আশুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সীমা পর্যন্ত গেছে। লম্বায় প্রায় ১০০ ফুট। রাস্তার পরিস্থিতি ভীষণ খারাপ, রাস্তায় বড় বড় গর্ত, খানাখন্দে ভরা, এলাকায় গাড়ি চালাচল করতে পারছে না। বয়স্ক মানুষের জন্য এই রাস্তা অত্যন্ত অনুপোযুক্ত। তাই পুজোর আগে অভিনব এই প্রচেষ্টা, সরকারের ভূমিকাকে বার বার কাঠগড়ায় তুলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার বাসিন্দা প্রেমাংশু রায় বলেন, “রাস্তার (Bad Road In WB) জন্য এলাকায় কয়েক হাজার টাকার রাবিশ ফেলা হয়েছে। পুজোর আগে মানুষ টাকা পাবেন কোথায়। সন্তানদের বঞ্চিত করেই আমরা রাস্তা সারাইয়ের কাজ করলাম। পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে আমরা গিয়েছিলাম। উত্তর এসেছে নিজেরা টাকা তুলে রাস্তা ঠিক করে নিন।” এলাকার আরও এক বাসিন্দা দীপঙ্কর জানা বলেন, “এই ভাঙা রাস্তায় (Bad Road In WB) এক বয়স্ক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পঞ্চায়েতে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে আমরা নিজেরাই ব্যবস্থায় নেমেছি। ”  

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তৃণমূলের আশুতি ২ পঞ্চায়েতের সদস্য সুরজিৎ নস্কর বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনেছি, খুই দ্রুত সমস্যার সমাধান করব।” তবে কবে থেকে রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে তা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Municipality: বুলডোজার চালিয়ে বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর ইস্যুতে ধুন্ধুমারকাণ্ড কলকাতা পুরসভায়

    Kolkata Municipality: বুলডোজার চালিয়ে বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর ইস্যুতে ধুন্ধুমারকাণ্ড কলকাতা পুরসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর কলকাতার বিজেপির নেতা সুনীল সিং এর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। চলতি পুর-অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলরদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুপক্ষের কাউন্সিলররা (Kolkata Municipality)। হুলুস্থুল কাণ্ড বেধে যায় পুরসভার ভিতরে।

    শুক্রবারই ভাঙা হয় বিজেপি নেতা সুনীল সিং-এর বাড়ি
     

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল সিং-এর বাড়ি ভেঙে দেয় কলকাতা পুরসভা। এ নিয়ে বিজেপি নেতার অভিযোগ যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে সোচ্চার হওয়ার কারণেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা তাঁর বাড়ি ভেঙেছে। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ যে এরকম নির্মাণ আরও অনেক আছে কিন্তু তবুও বিজেপি করেন বলেই সুনীল সিংকে বেছে বেছে টার্গেট করেছে কলকাতা পুরসভা(Kolkata Municipality)। সূত্রের খবর, এদিন যখন বুলডোজার দিয়ে সুনীল সিংয়ের বাড়ির একাংশ ভাঙা হচ্ছিল তখন সে সময় এই বিজেপি নেতা বাড়িতে ছিলেন না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা, যিনি একজন ডায়ালিসিসের রোগী। আরও অভিযোগ, বাড়িতে বুলডোজার চালানোর আগে পর্যন্ত কোনও রকমের নোটিশ আসেনি, কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তাদের সামনেই বুলডোজার চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    হাতাহাতি দুপক্ষের

     এদিন অধিবেশনের শেষে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বিষয়টি উত্থাপন করেন। কিন্তু চেয়ারপার্সন মালা রায় তাঁকে বলেন, অধিবেশনে এসব নিয়ে আলোচনা করা যায় না। তখন সজল ঘোষ মানবিকতার খাতিরে বিষয়টি দেখতে বলেন। সজল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘এভাবে কোনও নাগরিকের বাড়ি ভেঙে দেওয়া যায় না। অধিবেশনে এনিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি।’’ পরবর্তীকালে কাউন্সিলর ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন বিজেপি কাউন্সিলররা (Kolkata Municipality)। হাজির ছিলেন, বিজয় ওঝা, মীনাদেবী পুরোহিত এবং সজল ঘোষ। সেখানে হাজির ছিলেন অভিযোগকারী সুনীল সিং এবং কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। অভিযোগ, তখনই তৃণমূল কাউন্সিলররা এসে আচমকা হামলা চালায় বিজেপি কাউন্সিলরদের ওপর। এবং বলতে থাকে কাউন্সিলর ক্লাব শুধুমাত্র কাউন্সিলরদের (Kolkata Municipality) জন্য। বিজেপি সভাপতি এখানে কেন আসবে? পাল্টা সজল ঘোষরা বলতে থাকেন যে করদাতা হিসেবে তাঁরা এখানে আসতেই পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই দিনে রাজ্যে ৬ জন ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের মৃত্যু।  এর মধ্যে দু’জন রোগী ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শহরের প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতি ছিলেন সেই দু’জনই। মৃতদের মধ্যে একজন ছিলেন বাঘাজতিন এলাকার বাসিন্দা, অপরজন ছিলেন সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা। কলকাতার দুই রোগী ছাড়াও গতকাল ডেঙ্গি প্রাণ কেড়ে নেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজনের। তার মধ্যে দু’জন ঘাটালের বাসিন্দা এবং বাকি দু’জন খড়গপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তবুও নির্বিকার প্রশাসন।গত জুন-জুলাই থেকে রাজ্যে ডেঙ্গি বাড়তে থাকলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।

    কেন্দ্রকে তথ্য দেয়নি রাজ্য

    চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য! কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে একথা জানা যায়। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এখনও পর্যন্ত কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০, ’২১ এবং ’২২ সালে রাজ্য সরকার ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে পাঠালেও, ২০১৮ এবং ’১৯ সালেও কোনও তথ্য দেয়নি।  

    ভয়াবহ পরিস্থিতি

    কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭০০ জন। সেই সংখ্যাটাই গতকাল বেড়ে হয় ৩৮০২। এদিকে  এই নিয়ে এবছরে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এদিকে শুক্রবার একই দিনে ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় স্বভাবতই আরও আতঙ্ক বেড়েছে ডেঙ্গি নিয়ে।

    রাজ্যবাসীর প্রশ্ন

    প্রতিনিয়ত যে হারে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে  শহরবাসী। প্রতি বারই সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার এবং বেশ কিছু প্রাণ চলে যাওয়ার পরে কেন টনক নড়ে রাজ্য সরকারের? বিরোধীদের প্রশ্ন, বর্ষা যখন শুরু হল, তখনই কেন পদক্ষেপ করল না রাজ্য সরকার? ডেঙ্গি যখন মহামারির চেহারা নিতে চলেছে, তখন রাস্তায় নেমে কী হবে? পুর স্বাস্থ্য বিভাগ যদি সত্যিই ঠিক মতো কাজ করত, তা হলে ডেঙ্গি এত ভয়াবহ আকার নিত না বলে অভিমত শহরবাসীর।

    আরও পড়ুন: বিরিয়ানিতে কি রং, বাসি-পচা মাংস? খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    শহরের অবস্থা

    পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, কলকাতার ১৬টি বরোর মধ্যে ডেঙ্গিতে (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক দশ নম্বর বরোয়। সেখানে গত এক মাসে তিন জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। গত বছরেও এই বরো আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষ স্থানে ছিল। বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘গত বছরের চেয়েও এ বার ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশি উদ্বেগজনক। অথচ, কলকাতা পুরসভার বাজেটে মশাবাহিত রোগ দূরীকরণে মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়। আমাদের প্রশ্ন, তা হলে ভেক্টর কন্ট্রোলের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে কাজের কাজ কী হচ্ছে?’’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share