Tag: kolkata police

kolkata police

  • RG Kar Incident: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Incident: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি চাননি মেয়েকে দ্রুত দাহ করা হোক। কিন্তু থানায় ও তাঁর বাড়িতে যেভাবে ৩০০-৪০০ করে পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, তারপর আর কিছু করার ছিল না তাঁর। সেই কারণেই ওই রাতে মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হন বলে জানালেন আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বাবা। প্রায় এক মাস হতে চলল। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর পুরো ঘটনা সুকৌশলে চাপা দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল পুলিশ। কিন্তু কেন? 

    নির্যাতিতার বাবার প্রশ্ন

    বুধবার তিলোত্তমার জন্য ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। আরজি করেও সেই কর্মসূচি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, “টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চাই।” আরজি করে (RG Kar Incident)  গিয়ে নির্যাতিতার বাবা কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে কী ভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওঁদের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল কেন? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’’

    আরও পড়ুন: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    টাকা দিতে চাইল পুলিশ

    মেয়ের মৃত্যুর (RG Kar Incident) ক্ষত এখনও দগদগে। এরই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা।  তিনি বলেন, “আমার ঘরে তখনও আমার মেয়ের দেহ শোয়ানো। পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আমরা আমাদের মতো জবাব দিই। সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই।” সে দিন রাতে কীভাবে তাঁর মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হল, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ওপর প্রেসার তৈরি করা হয়েছিল। টালা থানায় এক ঘণ্টা বসেছিলাম। তারপর বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাই। বাড়ি গিয়ে দেখি সেখানে ৪০০ পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তখন আর আমাদের কিছু করার ছিল না দেহ পোড়াতে বাধ্য হই। কিন্তু সেদিন শ্মশানের খরচ কারা দিল, আমরা জানতে পারিনি আজ পর্যন্ত। আমার মেয়ে বোধ হয় বলে গেল, আমার বাপি এই টাকাটাও খরচ করতে পারল না! এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘‘প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে’’, কন্টেনারকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

    Nabanna Abhijan: ‘‘প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে’’, কন্টেনারকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনা একটা। তাকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় আন্দোলন। আরজি করকাণ্ডের ওই ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত সেই আন্দোলন রুখতে গিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ (Kolkata Police)। তার আগে অবশ্য নিজেই রেকর্ড গড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা স্বয়ং। চিকিৎসক খুনে দোষীর বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন তিনি! এটা যদি এক নম্বর রেকর্ড হয়, তাহলে দু’নম্বর রেকর্ডটা শুনলে হাসবেন না কাঁদবেন, তা বুঝতে পারবেন না।

    কন্টেনার যখন পুলিশের ঢাল (Nabanna Abhijan)

    মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই অভিযান উপলক্ষে ব্যাপক জমায়েত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নে পৌঁছতে না পারেন, তাই ব্যারিকেড হিসেবে পুলিশ ব্যবহার করল কন্টেনার (Nabanna Abhijan)। যে কন্টেনারে করে পণ্য পরিবহণ করা হয়, ক্রেনে করে সেই কন্টেনারটাই টেনে এনে ফেলা হল রাস্তায়। আন্দোলনকারীরা যাতে সুউচ্চ কন্টেনার টপকে নবান্নে ঢুকে পড়তে না পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। লোহার গার্ড রেলের পাশাপাশি এই কন্টেনারকে ঢাল করে পুলিশের আন্দোলন রোখার এই চেষ্টা রাজ্যে প্রথম। যেহেতু দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার রাস্তাগুলি দিয়ে নবান্নে আসা সহজ, তাই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার রাস্তাগুলি বন্ধ করতেই যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এহেন উদ্যোগে হাসির ছররা রাজ্যে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আদালতে দেখা হবে…’’, ধৃত ৪ ছাত্রকে আইনি সহায়তার আশ্বাস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড

    এদিন হেস্টিংসের মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, লোহার গার্ডরেল ও ওয়াল দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই দেখা গেল, ক্রেন নিয়ে বড় বড় কন্টেনার রাস্তার ওপর রেখে দিয়েছে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নে পৌঁছতে না পারে, তাই প্রথমে গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে। তার আগে বসানো হয়েছে কন্টেনার। কন্টেনার রাখা হয়েছে কলেজ স্ট্রিট এবং এজেসি বোস রোডেও। হেস্টিংসে আবার ব্যারিকেডে লাগানো হয়েছে গ্রিজ। হাওড়া ব্রিজের দু’দিকেই রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি এবং অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড। সাঁতরাগাছিতে ১০ ফুটেরও বেশি উঁচু গার্ডওয়াল রাখা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, গার্ডরেলের ব্যারিকেড বড্ড পলকা। তাই অতীতে নবান্ন অভিযানের সময় রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মজবুত ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। তবে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই এবার আর গার্ডরেলের ওপর ভরসা করেনি পুলিশ (Kolkata Police), সাহায্য নিয়েছে পণ্যবাহী কন্টেনারের (Nabanna Abhijan)।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘তিনজন ছাত্রের সাংবাদিক বৈঠক আর কয়েকজন ইউটিউবারের ডাকের কাছে প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে। প্রতিবাদীদের আটকাতে গার্ডেনরিচ থেকে কন্টেনার রাস্তায় বসানো হয়েছে, যা নজিরবিহীন। অরাজনৈতিক একটা কর্মসূচি ঠেকাতে কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার।’’ বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ মেম্বার স্বপন দাশগুপ্ত এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘কলকাতার রাস্তায় পুলিশ কেন কন্টেনার রাখছে? পুলিশ কি ভাবছে বিক্ষোভকারীরা ট্যাঙ্ক নিয়ে নবান্নে হামলা করবেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    RG Kar Incident: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, আরজি করে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার মৃতদেহ ‘লুট’ করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তদন্ত করতে পুলিশ ‘ভয়’ পাচ্ছিল, তাই এত দ্রুত দেহ সৎকার করা হয়। এবার সেই নিয়ে একই প্রশ্ন তুললেন মৃতার বাবা। তাঁর দাবি, পানিহাটি শ্মশানে যখন মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সেই সময় সেখানে আরও তিনটি মৃতদেহ ছিল। কিন্তু সবকিছু থামিয়ে রেখে আগে নির্যাতিতার দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে পুলিশ। কেন এত তাড়াহুড়ো? কী লুকোত চেয়েছিল পুলিশ? ভয় ছিল দেহ থাকলে ফের ময়নাতদন্ত বা ফরেন্সিক হতে পারে, যাতে বিপদে পড়তে পারেন কেউ কেউ?

    কী বললেন নির্যাতিতার বাবা

    আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনার পরে প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, প্রমাণ লোপাটের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে তাড়াহুড়ো করে মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় মর্গে পৌঁছে দেহ আটকে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানায়, দেহ সৎকারে তাদের কোনও হাত ছিল না, যা করার করেছে মেয়েটির পরিবারই। যদিও সম্প্রতি নির্যাতিতার বাবা জানান, গত ৯ অগাস্ট রাতে শ্মশানে তাঁর মেয়ের দেহ দাহ করতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর কথায়, ‘‘শ্মশানে পৌঁছে গিয়ে আমরা দেখি, আমাদের আগে তিনটে বডি রয়েছে। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে আমার মেয়ের দেহ আগে সৎকার করে দেয়। তখন আমরা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। মাথা কাজ করছিল না। ফলে সৎকারে বাধা দেওয়ার কথা মাথায় আসেনি।’’

    দেহ সৎকারে পারদর্শী পুলিশ

    শুধু মৃতার বাবা নন, ওইদিন দেহ সৎকারে পুলিশের তৎপরতার কথা জানিয়েছে পানিহাটি এলাকায় শ্মশানের কর্মীরাও। যে শ্মশানে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়, সেখানকার এক কর্মী ভোলানাথ বলেন, ‘‘আমাদের এলাকার একটি মেয়ের মৃত্যুর খবর সকাল থেকেই চলছিল। রাত ১২টার পর লাশ শ্মশানে আনা হয়। পুলিশ আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে একটি মেয়ের লাশ আসছে এবং তার সঙ্গে বিশাল জনসমাগমও আসবে। এলাকাটি খুব জনাকীর্ণ ছিল, ১০টিরও বেশি পুলিশের গাড়ি ছিল। লোকজনের আসা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এবং যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পুলিশ দ্রুত শেষকৃত্য করার নির্দেশ দেয়। বিপুল জনসমাগম এবং পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতির মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিহতের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল।’’ ভোলানাথ জানান, ওই সময় শ্মশানে থাকা আরও ৩ মৃতের পরিজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশই সব ব্যবস্থা করে। স্বাভাবিক, সদ্য কন্যাহারা তা-ও অকস্মাৎ, মর্মান্তিক, বাবা-মার পক্ষে বাধা দেওয়ার মতো মানসিক জোরই ছিল না। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার দেহ দখল করার অভিযোগ নতুন নয়, এর আগে মধ্যমগ্রামের এক নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ দখল করে দাহ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) আগেই প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। নির্যাতিতার বাবার বক্তব্যে ফের প্রশ্ন উঠছে, কেন দেহ দাহ করতে এত তৎপর ছিল পুলিশ? কিছু কি লুকানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের? এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাতেও ‘সন্তুষ্ট নন’ মৃত চিকিৎসকের বাবা, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ন্যায়বিচার দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু যে সব সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবি করছেন, তাঁদের তিনি জেলে ভরার চেষ্টা করছেন। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সন্তুষ্ট নই। ওঁর দেওয়া কোনও ক্ষতিপূরণ নিতেও অস্বীকার করেছি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: পোস্ট ডিলিটের ‘হুমকি’! নেটিজেনদের নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ, সরব বিজেপি

    RG Kar Incident: পোস্ট ডিলিটের ‘হুমকি’! নেটিজেনদের নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) রাজ্যজুড়ে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। বুধবার রাতে রাস্তায় নেমেছিলেন মহিলারা। শনিবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আইএমএ। আর লাগাতার এই আন্দোলনে চরম ব্যাকফুটে শাসকদল তৃণমূল। আন্দোলনেও সামিল হয়েছে নেটিজেনরা। সমাজ মাধ্যমে আরজি করকে সামনে রেখে একের পর এক জ্বালাময়ী পোস্ট তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। তাই, নেটিজেনদের মুখ বন্ধ করতে আসরে নেমেছে মমতার পুলিশ (Kolkata Police)। এমনিতেই রাজধানীর বুকে ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর থেকে তথ্য লোপাট করতেই ব্যস্ত ছিল পুলিশ। যতদিন পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে ছিল মূল অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে করা পোস্ট ডিলিট করতে তারা বাড়ি বাড়ি ছুটছে। এমনই অভিযোগ নেটিজেনদের। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

    লেখক শেফালি বৈদ্যকে হুমকি চিঠি পুলিশের! 

    বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘পোস্ট ডিলিট করে দিন। আর ভবিষ্যতে এরকম কাজ থেকে বিরত থাকবেন। সেটা মেনে না চললে আইনের নির্দিষ্ট ধারার আওতায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RG Kar Incident)। এমন কয়েকজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাঁরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছিলেন। লেখক শেফালি বৈদ্য অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে স্রেফ কয়েকটি প্রশ্ন করার জন্য কলকাতা পুলিশের থেকে হুমকি (Kolkata Police) দেওয়া চিঠি পেলাম। কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর যে দমিয়ে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটা।’’

    দুষ্কর্মের টাকার যেত তৃণমূল নেতাদের পকেটে!

    সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের নির্দেশে ‘ভয়’ পেয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন না। বরং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে, তারপর নিজের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। দেবায়ন সেন নামে এক ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যে পোস্টটি ডিলিট করতে বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাতে দেবায়নবাবু লিখেছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়নি, নিহত চিকিৎসক আরজি কর মেডিক্যালে ড্রাগ, যৌন, ওষুধ ও অঙ্গ পাচার চক্রের ব্যাপারে জেনে ফেলেছিলেন। যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল। এই সব দুষ্কর্মের টাকার একাংশ তৃণমূল নেতাদের পকেটে যেত। এখন সঞ্জয় রায়কে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    কী বললেন সুকান্ত?

    সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট (RG Kar Incident) ডিলিট করতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছেন নোটিশ প্রাপকরা। শুক্রবার এক পোস্টে সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘নোটিশ পাঠিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে তৃণমূলের পুলিশ। যারা সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁদের প্রতি: আমরা তৃণমূলের পুলিশের হুমকিতে ভয় পাই না। আমরা লক্ষ্যে অবিচল অটল দৃঢ়তায় ন্যায়ের লক্ষ্যে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। বাক স্বাধীনতা হরণ করতে কলকাতা পুলিশ নোটিশ পাঠিয়ে যাক।’’ সুকান্তবাবু তাঁর পোস্টে ৩ জনকে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার পাঠানো নোটিশ প্রকাশ করেছেন। সাইবার ক্রাইম থানার ডেপুটি কমিশনারের তরফে নোটিশগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্ট ডিলিট না করলে তা ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ গণ্য হবে বলে পুলিশের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে (RG Kar Incident)।

    To everyone demanding justice for #BengalDoctor :

    We will not be intimidated by TMC police. Our resolve remains unshaken. We will continue to fight for justice with unwavering determination.

    Let TMC police issue notices in an attempt to stifle free speech. pic.twitter.com/6MgYO1YiGx

    আক্রমণ শানিয়েছেন অমিত মালব্য

    এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের ভয় দেখানোর পরিবর্তে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে (RG Kar Incident) যদি মনোনিবেশ করত কলকাতা পুলিশ, তাহলে কাজে দিত। কলকাতা পুলিশ এবং তাদের মধ্যরাতের ছলচাতুরি কোনওদিন শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। রাত ১ টা ৩৭ মিনিটে লোকজনকে পোস্ট ডিলিট করতে বলছে। হাস্যকর।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার পরেই ভাঙা হল হাসপাতালের দেওয়াল! ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? 

    RG Kar: সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার পরেই ভাঙা হল হাসপাতালের দেওয়াল! ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক থামছে না। একের পর এক অভিযোগে উত্তাল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস (RG Kar)! কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে সামিল রাজ্যের চিকিৎসক মহল। বুধবার তাই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসক এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। বিশিষ্ট মহলের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পরে রাজ্য প্রশাসনের একের পর এক পদক্ষেপ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছে।

    আদালতের নির্দেশের পরেই কী ঘটেছিল? (RG Kar)

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ সিবিআইকে দেন।‌ প্রধান বিচারপতি কলকাতা পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাধিক পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দেওয়াল ভাঙা শুরু হয়। হাসপাতালের সেমিনার হল, যেখানে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সেমিনার হলের আশপাশের দেওয়াল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙার কাজ শুরু হয়। হঠাৎ কর্তৃপক্ষের দেওয়াল ভাঙার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই চিকিৎসক মহলের বিক্ষোভ শুরু হয়। জুনিয়র চিকিৎসকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর তারপরেই তড়িঘড়ি কাজ বন্ধ হয়ে‌ যায়।

    প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ কেন উঠছে?

    চিকিৎসক মহলের একাংশ‌ জানাচ্ছে, ওই মহিলা চিকিৎসক চেস্ট মেডিসিন বিভাগের (RG Kar) স্নাতকোত্তর ট্রেনি ছিলেন। সেমিনার হলের আশপাশের জায়গায় অপরাধীদের হাতের স্পর্শ কিংবা অন্য কোনও প্রমাণ থাকতে পারে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ সেই দেওয়াল থেকেও একাধিক প্রমাণ জোগাড় করতে পারতেন। ঘটনাস্থল সিবিআই (CBI) কর্তারা দেখলে স্পষ্ট হত, আর কেউ বৃহস্পতিবার রাত্রে সেমিনার হলে ছিলেন কিনা, কিংবা কতজনের যাতায়াত হয়েছিল। কিন্তু সেই সব প্রশ্নের স্পষ্ট কিনারা হওয়ার আগেই দেওয়াল ভাঙার কাজ শেষ করে দেওয়া হল। একাধিক মার্বেল টাইলস ভেঙে দেওয়া হল। হাসপাতালের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে কেন এই ঘটনা ঘটল, সেটাও স্পষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলকাতা পুলিশ প্রথমেই ঘটনাকে আত্মহত্যার তকমা দিতে চেয়েছিল। এ নিয়ে হাইকোর্টও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাছাড়া, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত থেকে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়ায় সব সময় টালবাহানা করেছে। মৃতার বাবা-মাকেও মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হচ্ছিল না, এমন অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ হাসপাতালের (RG Kar) দেওয়াল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত একাধিক প্রশ্ন তুলছে বলেই মনে করছে সব মহল। চিকিৎসকেরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, যেসব দেওয়াল (RG Kar) ভাঙা হয়েছে, সেগুলো‌ বহু আগেই পরিকল্পনা করা ছিল। চিকিৎসকদের জন্য ভালো রেস্ট রুম তৈরির পরিকল্পনা ছিল। তাই ওখানে দেওয়াল ভেঙে রেস্ট রুম তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে, স্বাস্থ্য সচিব দেওয়াল ভাঙা ও নতুন পরিকাঠামো তৈরির কাজ আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এখন আপাতত কাজ বন্ধ আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R G Kar Hospital: রাতের হাসপাতালে কী দেখেছিলেন ‘অভয়া’? কাদের আড়ালের চেষ্টা চলছে?

    R G Kar Hospital: রাতের হাসপাতালে কী দেখেছিলেন ‘অভয়া’? কাদের আড়ালের চেষ্টা চলছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনের বেলায় রোগীর ভিড়, ট্রলির আওয়াজ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যস্ততার ছবিটা সূর্যাস্তের পরেই দ্রুত বদলে যায়! রাত বাড়লেই একেবারে ভিন্ন ছবি! রাতের অন্ধকারে যেন এক অজানা হাসপাতাল চত্বর! এবার এমনই কথা জানালেন আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) এমবিবিএস পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের একাধিক কুকীর্তি জানার জেরেই নিগৃহীতার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের তদন্ত নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। আরজি করকাণ্ডে বারবার প্রশ্নের মুখে পুলিশি তদন্ত। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ উঠছে। আর সব চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার একাধিক পথ থাকলেও পুলিশ কেন দেরি করছে! আর এখানেই অভিযোগ উঠছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তির সম্পর্ক থাকার জেরেই কি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক প্রশ্ন?

    যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে কোনও ত্রুটি থাকবে না। দ্রুত সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। সব রকম পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে ঘটনার সম্পূর্ণ কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশ তদন্তের (Police Investigation) দায়িত্ব থেকে সরে যাবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘটনার পরে ১০দিন পেরিয়ে গেলে একাধিক তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট‌ হয়ে যাবে। তাই দশ দিন পরে অন্য তদন্তকারী সংস্থা দায়িত্ব নিলে কতটা তথ্য জোগাড় করতে পারবে, সে নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।

    কী জানাচ্ছে হাসপাতালের একাংশ? (R G Kar Hospital)

    আরজি কর হাসপাতালের একাংশ জানাচ্ছে, রাতের হাসপাতাল চত্বরে চলে একাধিক বেআইনি কাজ। নানান নিষিদ্ধ ওষুধ পাচার থেকে যৌন কেলেঙ্কারির মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাতে কর্তব‌্যরত একাধিক চিকিৎসকের নজরেও পড়ে সেই ঘটনা। কলেজের ইন্টার্ন থেকে স্নাতকোত্তর ট্রেনি চিকিৎসক, রাতে পরিষেবার দায়িত্বে থাকা একাধিক পড়ুয়ার‌ চোখের সামনেই ঘটে এমন নানান অবৈধ ঘটনা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে এমন নানান ঘটনার অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তাই অবাধে চলত বেআইনি কাজ। 
    কলেজের এমবিবিএস-র শেষ বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) শাসক দলের একাধিক নেতার আত্মীয়রা পড়াশোনা করেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে এই সব বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও রকম প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি বলেও তাঁরা অভিযোগ করছেন। পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, মাস দুয়েক আগে থেকেই প্রভাবশালী বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে নিগৃহীতার বচসা শুরু হয়। নিগৃহীতা একাধিকবার তাদের কাজের প্রতিবাদ জানান। তাকে নানা রকম হেনস্থা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, নিগৃহীতা তাঁর বাবা-মাকে বারবার জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে নাইট ডিউটি করতে তাঁর ভালো লাগে না। তাঁর মুখ বন্ধ করতেই এমন ভয়ানক অপরাধ ঘটল বলেও মনে করছেন আরজি কর হাসপাতালের অন্দর মহলের অনেকেই।

    তদন্ত নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছে চিকিৎসক মহল?

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করলেই নানান প্রশ্নের জট খুলে যাবে। ঘটনার পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ (R G Kar Hospital)। চিকিৎসক সূবর্ণ গোস্বামী জানান, মৃতার দেহ থেকে ১৫০ গ্রাম রক্ত মিশ্রিত সিমেন স্যাম্পেল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি ওই মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহ করেছে। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত আরেক চিকিৎসক-শিক্ষক বলেন, ঘটনার রাতে সেমিনার রুমের আশপাশে জনা চারেক ইন্টার্ন যাতায়াত করেছে। তার প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ পুলিশের তদন্ত (Police Investigation) নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharatiya Nyaya Sanhita: ৪২০-র বদলে ৩১৮! নতুন ফৌজদারি আইনে কলকাতায় দায়ের প্রতারণার মামলা

    Bharatiya Nyaya Sanhita: ৪২০-র বদলে ৩১৮! নতুন ফৌজদারি আইনে কলকাতায় দায়ের প্রতারণার মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে চালু হল নতুন ফৌজদারি আইন। সোমবার থেকে সেই আইনেই মামলা দায়ের হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কলকাতাও তার অঙ্গ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ (Bharatiya Nyaya Sanhita) নতুন তিন ফৌজদারি আইন চালু হওয়ার পর প্রথম মামলা দায়ের হল কলকাতায়। সোমবার প্রতারণার অভিযোগে (New Criminal Laws) বাঁশদ্রোণি থানায় দায়ের হয়েছে সেই এফআইআর। 

    কে দায়ের করলেন মামলা (Bharatiya Nyaya Sanhita) 

    সোমবার বাঁশদ্রোণি থানায় ৩১৮ (৪) ধারায় (New Criminal Laws) প্রতারণার ওই মামলাটি দায়ের করেছেন এক মহিলা। এই ৩১৮ ধারা আগে ছিল ৪২০, যা প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা হত। ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁকে সরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক সেজে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার প্রতারণা করেছেন এক ব্যক্তি। পুলিশে কাছে করা অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, সরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক সেজে এক ব্যক্তি ভুয়ো এফডি (স্থায়ী আমানত) শংসাপত্র তৈরি করেছিলেন। সেই ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়েই মহিলার কাছ থেকে দফায় দফায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেন। তারপর আমানতের মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার সময় হলে তিনি ফেরার হয়ে যান। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮ (৪)-সহ ৬১ (২)(এ), ২০৪, ৩১৬ (২), ৩৩৬ (৩), ৩৩৮, ৩৪০ (২) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

    নতুন ফৌজদারি আইন (New Criminal Laws) কার্যকর হওয়ার পর প্রথম এফআইআর দায়ের হয় মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। একটি বাইক চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানান এক ব্যক্তি। রবিবার রাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ ওই এফআইআর দায়ের হয়। এর আগে, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, নতুন আইনের অধীনে প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল দিল্লির এক হকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই খবর ঠিক নয় বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: রাজভবনের সুরক্ষায় আর প্রয়োজন নেই কলকাতা পুলিশের! অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ বোসের

    CV Ananda Bose: রাজভবনের সুরক্ষায় আর প্রয়োজন নেই কলকাতা পুলিশের! অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল। অবিলম্বে রাজভবন খালি করুন। সোমবার সকালে রাজভবনে মোতায়েন কলকাতা পুলিশের কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ইতিমধ্যেই রাজভবন চত্বরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সরানোর নির্দেশ দিয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে রাজভবনের (Raj Bhavan) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রাজভবনের ভিতরে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের অবিলম্বে প্রাঙ্গন খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন।  

    কী জানিয়েছেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর নির্দেশনা মানছে না। ফলে রাজভবন চত্বরে থাকা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তায় তিনি একেবারেই সুরক্ষিত বোধ করছেন না। তাই অবিলম্বে রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সরিয়ে ফেলা হোক। যদিও রাজ্যপালের এই চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য মেলেনি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    আগে কী ঘটেছিল?  

    গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্তদের’ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু সে সময় তাঁকে রাজভবনের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে শুভেন্দু সহ শো দুয়েক লোককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে প্রবেশ করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা। শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি গৃহবন্দী নাকি। তাঁর অনুমতি সত্ত্বেও কেন দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল না। আর বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই এবার রাজভবন (Raj Bhavan) চত্বর থেকে লালবাজারের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার জন্যে নবান্নকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল।

    যদিও রবিবার বিরোধী দলনেতা একশোর বেশি ঘরছাড়াকে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় রাজ্যপাল শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনি হিংসা মুক্ত করবেন। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এসবের মাঝেই এবার বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর সোমবার সকালে রাজ্যপাল এই নির্দেশ দেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! কী নির্দেশ বিচারপতি সিনহার?

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! কী নির্দেশ বিচারপতি সিনহার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিঃসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত বছরের শেষ দিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন, ঠিক সেখানেই এবার ধর্নায় বসতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই ধর্নার অনুমতি চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পর কর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। এসব ইস্যু সামনে রেখেই আগামী ১৯ জুন থেকে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    হাইকোর্টের নির্দেশ (Calcutta High Court) 

    এ প্রসঙ্গে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যপালের কাছে নতুন করে আবেদন জানাতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও নির্বাচন পরবর্তী অশান্তিতে ‘আক্রান্ত’ ব্যক্তিরা। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কতজন দেখা করতে যাবেন, সেটা পুলিশকে জানাতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যদি গাড়ি নিয়ে রাজ ভবনের (Raj Bhavan) ভেতরে যাওয়া হয়, তাহলে কতগুলি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে, সেটাও জানাতে হবে পুলিশকে। 
    তবে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে না। সকলেই হেঁটে রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আবার সওয়াল করা হয়, যাঁরা রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের শনাক্তকরণের কাজ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তিকে করতে হবে। রাজ্যের এই দাবিতে বিচারপতি সম্মতি দিলেও, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কারও পরিচয় নথিবদ্ধ করা যাবে না। কারণ, সেরকম হলে পরে আবার তাঁদের হেনস্থা করার আশঙ্কা থেকে যায় বলেই মনে করছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    আরও পড়ুন: ছাত্রীকে ‘কপালে তিলক’ ও ‘গলায় মালা’ নিয়ে স্কুল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! শোরগোল রঘুনাথগঞ্জে

    কেন এই ধর্নার সিদ্ধান্ত? 

    বিজেপি জানিয়েছে, এ বছর লোকসভা ভোটের ফলাফলে কিছুটা আশাহত দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা পাশে না থাকলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধর্নার উদ্যোগকে দলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়ানোই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  নগরপালকে জানিয়েছেন, তিনি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়েই ধর্নায় বসতে চান। তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের (kolkata police) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবং রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে রাজভবনের সামনে টানা ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ওই একই স্থানে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: এফআইআর করার অধিকার নেই পুলিশের, রাজভবনের কর্মীদের চুপ থাকার নির্দেশ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: এফআইআর করার অধিকার নেই পুলিশের, রাজভবনের কর্মীদের চুপ থাকার নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে এবার কড়াবার্তা রাজভবনের। সংবিধানের ৩৬১ ধারা তুলে ধরে বিবৃতি জারি করেছে রাজভবন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) প্রশ্ন তুলে ধরলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “পুলিশ কীভাবে তথ্যানুসন্ধান করছে?” ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ফের শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট  করের বলেন, “সংবিধানের ধারা ৩৬১ নম্বরকে অমান্য করছে পুলিশ। রাজভবনের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ রাজভাবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে আবেদনের কথা বলেছে। একই ভাবে রাজভাবনের সমস্ত স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মীদের পুলিশের সঙ্গে বার্তালাপের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।” তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, “মুখোমুখি, ফোনে কিংবা কেউ যেন পুলিশের সঙ্গে কোনও রকম কথা না বলেন। সকলের কাছে এই বার্তা দিতে রাজভবনের সিনিয়র আধিকারিক এস কে পট্টনায়ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” একই সঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়ে রাজভবন থেকে বলা হয়, “সংবিধানের ৩৬১ (২) ও ৩৬১ (৩) নম্বর ধারায় বিশেষ রক্ষা কবজ পান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত করার কোনও এক্তিয়ার নেই। পুলিশের তদন্তের বিরুদ্ধে আদলতও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না। পুলিশ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও রকম এফআইআর দায়ের করতে পারবে না।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    গত বৃহস্পতিবার রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী হেয়ার স্ট্রীট থানায় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলা কর্মী নিজে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “চাকরি যাহেতু অস্থায়ী, তাই স্থায়ীর জন্য আমি আবেদন করি। কিন্তু রাজ্যপাল দুই বার অশালীন আচরণ করেছেন।” এরপর থেকেই তৃণমূল রাজ্যপালকে নিশানা করে ময়দানে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে। তাই ওঁই মহিলার অভিযোগকে ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চায় এবং রাজভবনের ওসির কাছে এই মর্মে একটি চিঠিও দেয় লালবাজার। আর এরপরই রাজভবন থেকে পাল্টা পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share