Tag: kolkata police

kolkata police

  • Lok sabha Vote 2024: কসবায় বিজেপির মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলা, গ্রেফতার আসরাফ সহ ২

    Lok sabha Vote 2024: কসবায় বিজেপির মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলা, গ্রেফতার আসরাফ সহ ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিজেপির ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। কসবায় (Kasba Incident) বিজেপির মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ (kolkata police) সূত্রে খবর, দুজনকেই সোমবার আদালতে তোলা হবে। সম্প্রতি ভোট প্রচারে (Lok sabha Vote 2024) বেরিয়ে কসবা বিধানসভা এলাকার আনন্দপুরে আক্রান্ত হন বিজেপি নেত্রী (BJP leader) সরস্বতী সরকার। ঘটনার পরেই আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী। এরপরেই এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় নিজের এক্স হ্যান্ডলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ঠিক কী ঘটেছিল (Lok sabha Vote 2024)?

    শনিবার রাতে কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে নিয়ে আরবান কমপ্লেক্সের কাছে পূর্বপাড়ায় দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা (Lok sabha Vote 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সমর্থনে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই আচমকা তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁদের পোস্টার, ব্যানার। তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়া হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সরস্বতী সরকারকে কোপানো (Kasba Incident) হয়।গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তর নাম গৌর হরি গায়েন ও আসরাফ মোল্লা ওরফে ভুতো। দুজনের বিরুদ্ধেই এফআইআরে বিজেপির (BJP) নেত্রীর উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল।

    বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা (South Kolkata) জেলা সভাপতি অনুপম বলেছিলেন, ‘‘দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের গড় হলেও এ বারের ভোটে সেই গড় নড়ে যাবে। আমাদের প্রার্থী এবং কর্মীরা ভোটপ্রচারে (Lok sabha Vote 2024) নেমে যে ভাবে সাড়া পাচ্ছেন, তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সেই ভয় থেকেই আমাদের মণ্ডল সভাপতি ও কর্মীদের ওপর হামলা (Kasba Incident) চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুত্ব-বিরোধী রাজনীতিই কাল হয়েছে কংগ্রেসের! অস্তিত্বের সঙ্কটে গান্ধিদের দল

    ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না

    এই ঘটনায় আনন্দপুর পুলিশ স্টেশনের সামনে ধর্নায় বসেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী (Lok sabha Vote 2024) দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর দাবি, জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ হামলাকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে পুলিশকে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারার মামলা করার দাবিও জানিয়েছেন দেবশ্রী। যতক্ষণ না তা করা হবে ততক্ষণ ধর্না (Kasba Incident) চলবে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।

    অন্যদিকে শনিবার রাতেই আক্রান্ত বিজেপি নেত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন কেন্দ্রীয় শিশু ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। একই সঙ্গে, তাঁর যাবতীয় খোঁজ খবরও নিয়েছেন মন্ত্রী৷ বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলেও জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electoral Bonds: তৃণমূলকে অনুদান দিতেই ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ কলকাতা পুলিশের!

    Electoral Bonds: তৃণমূলকে অনুদান দিতেই ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ কলকাতা পুলিশের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bonds) মাধ্যমে তৃণমূলকে অনুদান দেওয়ার পুরস্কার পেল ফিউচার গেমিং! ফিউচার গেমিং ও হোটেল সার্ভিসেস এই দুই সংস্থারই মালিক সান্তিয়াগো মার্টিন। এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে দুটি মামলার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই মামলা দুটি বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ। সান্তিয়াগোর এই দুই কোম্পানিই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

    সান্তিয়াগোর কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ (Electoral Bonds)

    পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ডিয়ার লটারি চালায় সান্তিয়াগোর কোম্পানি। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণা ও ক্রিমিনাল ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। সেই অভিযোগেরই তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। সেই তদন্তই বন্ধ করে (Electoral Bonds) দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সম্প্রতি নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তখনই জানা গিয়েছে, সান্তিয়াগোর ফিউচার গেমিং ২০২০ সালের অক্টোবরে তৃণমূলকে অনুদান বাবদ দিয়েছে ১ কোটি টাকা।

    কোটি কোটি টাকা অনুদান 

    পরের বছর জুলাই মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে এই সংস্থা অনুদান দিয়েছে ৩০ কোটি টাকা। এই বছরেরই অক্টোবরে ফের ৪৬ কোটি টাকা দিয়েছে ফিউচার গেমিং। ২০২২ সালে মমতার দলকে সান্তিয়াগোর এই সংস্থা আবারও ৬০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। জানা গিয়েছে, অনুদান পাওয়ার পরে পরেই ২০২১ এর ডিসেম্বর এবং পরের বছরের জানুয়ারিতেই সান্তিয়াগোর দুই সংস্থার বিরুদ্ধে চলা দুটি মামলার তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: মুখ থুবড়ে পড়বে ‘ইন্ডি’, গাড্ডায় কংগ্রেস, অপ্রতিরোধ্য বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    মামলা বন্ধের পরেই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে আরও অনেক বেশি টাকা। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মমতার দলকে অনুদান দিয়েই গিয়েছে সান্তিয়াগোর সংস্থা। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ ৫৪২ কোটি টাকা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর অবশ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া।

    সান্তিয়াগোর সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠায় ২০১০ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিন্তু ২০১৪ সালের পরেও, সেভাবে এগোয়নি তদন্ত। ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। কলকাতা পুলিশ ২০১৯ সালে এফআইআর দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করে ইডি। সেহেতু রাজ্য পুলিশ ক্লোজার রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে, তাই ইডির তদন্ত আপাতত বিশবাঁও জলে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের (Electoral Bonds)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার আগের দিন লাখ লাখ টাকা উদ্ধার শহরে, গ্রেফতার ৩

    Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার আগের দিন লাখ লাখ টাকা উদ্ধার শহরে, গ্রেফতার ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ১৬ মার্চ বাজতে চলেছে ভোটের দামামা (Lok Sabha Election 2024)। ঠিক তার আগেই  শহরের বড়বাজার, বৌবাজার এবং পোস্তা এলাকা থেকে ৫৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার, দু’দিনেই তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওয়ালার মাধ্যমে ওই টাকার লেনদেন চলছিল।

    গ্রেফতার ৩ অভিযুক্ত

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে (Lok Sabha Election 2024) ওই তিন এলাকায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। বড়বাজারের মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রোডে জনৈক সৌরভ সিংহের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। পোস্তায় চন্দ্রমোহন ঠাকুরের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃত চন্দ্রমোহন আসলে বারুইপুরের বাসিন্দা। অন্যদিকে বৌবাজারে প্রদীপ সিংহের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকাগুলি হাওয়ালার টাকা বলে সন্দেশ করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

    তদন্ত করবে পুলিশ

    কলকাতা পুলিশের তরফে (Lok Sabha Election 2024) এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই টাকা আয়কর দফতরের কাছে পাঠানো হবে। এত টাকার উৎস ঠিক কী? তারই খোঁজ চলছে আপাতত। চুরি বা অন্যকোনও কোনও অপরাধের মাধ্যমে এই টাকা অভিযুক্তেরা জোগাড় করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ। এই টাকা লোকসভা ভোটে ব্যবহার করা হতো কি না। তারও তদন্ত চালাবে পুলিশ ও আয়কর দফতর। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন জায়গায় ব্যাগে করে এই তিনজন টাকা পাচার করতে যাচ্ছিলেন। সন্দেহ হতেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর প্রত্যেকটি ব্যাগ থেকেই লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়।

     

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি যেতে বাধা, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ তথ্যসন্ধানী দলের, রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি যেতে বাধা, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ তথ্যসন্ধানী দলের, রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিল দিল্লি থেকে আসা তথ্যসন্ধানী দল। কলকাতা পুলিশ ওই দলকে গ্রেফতারও করেছিল। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে রবিবার রাতেই পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডির নেতৃত্বাধীন ওই দল সাক্ষাৎ করল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও জানিয়েছে ওই দল। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা বলেন, ‘‘মহিলা কমিশন, এসসি কমিশনের মতো আমরাও মনে করি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিৎ। তবে রাজ্যপাল বিষয়টি দেখছেন। এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত তা মানতেই হবে।’’

    টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় দলকে

    শনিবার বিকেলেই দিল্লি থেকে আসে ছ’সদস্যের ওই তথ্যসন্ধানী দল। রবিবার তাঁরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা হন। ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাবার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু ভোজেরহাটেই দলটিকে আটকানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে তখনই বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা অবাধে সেখানে কীর্তন নাচ-গান করতে পারলেও এক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের যুক্তি দেখানো হয় ১৪৪ ধারার। কিন্তু পুলিশের এমন যুক্তি মানতে রাজি না হওয়ায়, তথ্যসন্ধানী দলের সদস্যদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। একপ্রকার বেআইনিভাবেই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

    ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের 

    এর পর রবিবার রাতেই ওই দল সোজা চলে যায় রাজভবনে। গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে দলটি। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্যসন্ধানী দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে আরও খবর, এদিন তথ্যসন্ধানী দল রাজ্যপালকে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আইনের শাসন একেবারেই নেই। সাধারণ নির্দোষ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাজ্যপালকে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল এনআইএ

    Birbhum: মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রভাবশালী শাসক দলের নেতার যোগের ইঙ্গিত মিলল। ধৃত তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, বেআইনি অস্ত্র এবং বিস্ফোরক জোগানে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। পাওয়া গিয়েছে অডিও মেসেজ। ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    এনআইএ সূত্রে খবর (Birbhum)?

    এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার (Birbhum) বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরির ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছে। বিস্ফোরক এবং অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য শাসক দলের অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তথ্যের সত্যতা পরীক্ষা করতে এই তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই তৃণমূল নেতার মোবাইল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অডিও পাওয়া গিয়েছে। এই সব বার্তালাপের মধ্যে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত অনেক তথ্যের সূত্র লুকিয়া থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। একই ভাবে তদন্তকারী অফিসারদের কাছে এই তৃণমূল নেতার সঙ্গে কেষ্টর দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের নামও উঠে এসেছে। এই দেহরক্ষী বর্তমানে গরুপাচার মামলায় তাঁর গুরু অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। সংগৃহীত নমুনা প্রথমে আদলাতে, এরপর সিএফএসএলে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

    উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক

    ২০২২ সালে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল এসটিএফ। গাড়ির চালককে জেরা করে আরও ২৭ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিটেলিন স্টিক এবং ২ হাজার ৩২৫ টি ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তদন্তের ভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর উপর। এই তদন্তকে ঘিরে শাসক দল ফের একবার চাপের মুখে পড়েছে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: বড়দিনের রাতে খাদ্যভবনে গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী, মৃত্যু এসএসকেএমে

    Kolkata Police: বড়দিনের রাতে খাদ্যভবনে গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী, মৃত্যু এসএসকেএমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের রাতে নিউ মার্কেট থানা এলাকার খাদ্যভবনের ভিতরে রিজার্ভ ফোর্স ব্যারাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক পুলিশ (Kolkata Police) কনস্টেবলের। নিজের সার্ভিস রিভলভারের গুলি তাঁর বুকে লাগে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর সহকর্মীরাই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

    কী ঘটেছিল

    মৃত কনস্টেবলের নাম তপন পাল। ৫৩ বছর বয়সী কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ওই কনস্টেবলের বাড়ি হরিণঘাটায়। তিনি নিজেই আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছেন, নাকি এটা দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ব্যারাক থেকে রাত ১১টা নাগাদ ডিউটিতে যাচ্ছিলেন রির্জাভ ফোর্সের অফিসার। সেই সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান সহকর্মীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় কনস্টেবলকে। অতর্কিতে গুলি চলেছে নাকি, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন তা জানা যায়নি। গোটা ঘটনা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা। নিহত কনস্টেবল কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    তদন্তে পুলিশ

    পুলিশ (Kolkata Police) প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে, ছুটি কাটিয়ে ২৪ তারিখ বাড়ি থেকে ফিরেছিলেন তিনি। ডিউটিতে যাওয়ার আগে নিজের সার্ভিস রিভলভার ইস্যু করান। সিক্স চেম্বার রিভলভার। যার মধ্যে থেকে একটা গুলি চলেছে। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল কিনা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যারাক ঘর থাকলেও অধিকাংশ সময় বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতেন তিনি। এদিন, ব্যারাক থেকে খাদ্যভবনে ডিউটি যাওয়ার পথে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে তপন। তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। এদিন রাতেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। প্রায় মিনিট দশেক তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ট্রাম বন্ধ করার আর্জিতে ক্ষোভ প্রকাশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Calcutta High Court: ট্রাম বন্ধ করার আর্জিতে ক্ষোভ প্রকাশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার মধ্যে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম পরিষেবা শুরু হয় কলকাতাতেই। এবার সেই ট্রামকেই বন্ধ করে দেওয়ার আর্জিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court)। এর পাশাপাশি হাইকোর্ট এদিন আরও জানিয়েছে যে ট্রাম বন্ধ নিয়ে কলকাতা পুলিশ একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

    ট্রাম বন্ধ করতে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, শহরে ট্রাম চলাচল বন্ধ করার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় আগেই। সোমবারই এই মামলার শুনানি ছিল এবং সেখানে কলকাতা পুলিশ ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করতে শুরু করে। তার কারণ হিসেবে তারা যানজটকে তুলে ধরে এবং ট্রামের যে ধীরগতি সেটাকেও কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। যদিও কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য সরকারের এই জবাবে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘ট্রাম কর্তৃপক্ষ শুধু ট্রাম বিক্রি করতে বসে রয়েছেন? কর্মচারীদের বেতন দেওয়া বা কী ভাবে পুনরায় যাত্রী পরিষেবা দেওয়া যায়, সে বিষয়ে কোনও চিন্তাভাবনাই নেই তাঁদের?’’

    আধুনিক মানের গড়ে তুলতে ট্রামকে

    কলকাতা হাইকোর্ট এদিন আরও জানায় যে ট্রাম চালানোর বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দরকার পড়লে পিপিপি মডেলের মতো কিছু ভাবতে বলেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ট্রামের আধুনিকীকরণের জন্য তৈরি হবে একটি কমিটিও। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, ‘‘ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। তাকে রক্ষা করতে হবে। অহেতুক তর্কবিতর্ক না করে গঠনমূলক আলোচনা প্রয়োজন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কীভাবে ট্রামকে আধুনিক করা যায়, সে কথা ভাবতে হবে। অত্যাধুনিক ট্রাম করতে হবে যাতে প্রবীণ বা পুরনো যাত্রীরা নয়, যুবক-যুবতীরা ট্রামে চড়ার আকর্ষণ বোধ করেন।’’ এছাড়াও কমিটি দেখবে, ট্রাম পরিষেবা পুনরায় কীভাবে ভালোমতো চালু করা যায়। কলকাতা পুলিশের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে তারাই। রাজ্য আগামী দিনে আদালতকে ফলপ্রসূ কিছু জানাবে, এমনটাই আশা কলকাতা হাইকোর্টের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বড় জয় বিজেপির, ধর্মতলার সভায় অনুমতি দিতে পুলিশকে নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বড় জয় বিজেপির, ধর্মতলার সভায় অনুমতি দিতে পুলিশকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ নভেম্বর কলকাতায় মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ ছিল, এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের অনুমতি মিলছে না। জল গড়ায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। অবশেষে বড় জয় পেল বঙ্গ বিজেপি। ২৯ নভেম্বরের সভায় অনুমতি দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলাটি ওঠে এবং সেখানেই বিচারপতি পুলিশকে নির্দেশ দেন যে সভার অনুমতি দিতে হবে।

    কী বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা?

    বিচারপতি (Calcutta High Court) রাজাশেখর মান্থা এদিন কলকাতা পুলিশকে তুলোধনা করে বলেন, ‘‘স্বাধীন দেশে মানুষ যেখানে মন চায় যাবে। কোনও কারণ ছাড়াই পর পর দু’বার সভার অনুমতি বাতিলের কারণ কী? অনুমোদন বাতিলের দু’টি চিঠি দিয়েছে পুলিশ। অথচ একটিতেও আপত্তির কারণ লেখা নেই। খুব বিস্মিত হচ্ছি পুলিশের এমন জবাব দেখে। কী শর্ত দেবে সেটা পুলিশ ঠিক করুক। কিন্তু অনুমতি দিতে হবে পুলিশকেই। সবার সমানাধিকার থাকা উচিত। কোনও কারণ না দেখিয়ে দু’বার অনুমতির আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এতেই সন্দেহের উদ্রেক হয়।’’

    ধর্মতলায় বিজেপির সভা

    প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ যে রাজনৈতিক রং দেখে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা দেওয়া হচ্ছে না এই যুক্তিতে গত অগাস্টেই অভিষেক ও তাঁর দলবল দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক শুরু করেন। সেই নাটকের আঁচ পরবর্তীকালে দেখা যায় রাজভবনের সামনেও। তখনই বঙ্গ বিজেপি ঘোষণা করে, রাজ্যে যে সমস্ত মানুষদের শাসক দল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন, তাদের নিয়ে বড় সভা করা হবে কলকাতায়। ঠিক যেখানে একুশে জুলাই প্রতি বছর শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়ার সামনেই সভা করার আবেদন জানায় রাজ্য বিজেপি। তবে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হলেও তারা কোনও রকম অনুমতি দেয়নি। বিজেপির অভিযোগ, কোনও রকম কারণ না দেখিয়ে পরপর দুবারই বিজেপির আবেদন খারিজ করেছে পুলিশ। পরে এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ চায় রাজ্য বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC ODI World Cup 2023: ইডেনে টিকিটের কালোবাজারি! সাধারণের জন্য টিকিট নেই, সিএবি-কে নোটিস পুলিশের

    ICC ODI World Cup 2023: ইডেনে টিকিটের কালোবাজারি! সাধারণের জন্য টিকিট নেই, সিএবি-কে নোটিস পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস বা বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে মাঠ ফাঁকা থাকলেও ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের জন্য টিকিটের হাহাকার ইডেন-চত্বরে (ICC ODI World Cup 2023)। গান্ধী মূর্তির তলা থেকে কার্জন পার্ক, শহিদ মিনার চত্বরে একটা টিকিটের জন্য হাপিত্যেশ করছে আট থকে আশি। রবিবার বড় ম্যাচ রয়েছে ইডেনে। সেই ম্যাচে টিকিট বিক্রি ঘিরে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠে এসেছে। এক ক্রিকেটপ্রেমী ময়দান থানায় টিকিট বিক্রি ঘিরে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে নালিশ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সিএবিকে নোটিস পাঠানো হয়েছে ময়দান থানার তরফে।

    কী অভিযোগ

    বাংলার ক্রিকেট সংস্থার (সিএবি) কর্তাদের বিরুদ্ধেই টিকিট দুর্নীতির অভিযোগ করলেন এক ব্যক্তি। ময়দান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগকারীর বক্তব্য, অনলাইনে ম্যাচের টিকিট যে সংস্থার তরফে বিক্রি করা হচ্ছে, সেখানে বিবিধ সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা ম্যাচের টিকিট পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর আরও বক্তব্য, এই ঘটনার পিছনে অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থা, বিসিসিআই ও সিএবির একাংশের হাত থাকতে পারে। তিনি সন্দেহ করছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে একটা বড় অংশের টিকিট আলাদা করে সরিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে সেগুলি পরে কালোবাজারি করা যেতে পারে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ময়দান থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: অরুণাচল প্রদেশে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, কেন জানেন?

    কী বলছে সিএবি

    মঙ্গলবার ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকে ২০টি টিকিট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ২,৫০০ টাকার টিকিট তিনি ১১,০০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “ময়দান থানা থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। জানতে চেয়েছিল, আমাদের সঙ্গে অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না। আমরা জানিয়েছি, ওই অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। তাদের যোগাযোগ বিসিসিআই-এর সঙ্গে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: বেহালায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু, ভারী যান চলাচলে নয়া বিধি লাগু শহরে

    Kolkata Police: বেহালায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু, ভারী যান চলাচলে নয়া বিধি লাগু শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় খুদে পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর জেরে এবার পণ্যবাহী ট্রাক ও লরি চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন বিধি চালু হল শহরে। সোমবার রাতে এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ট্রাফিক বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী ট্রাক কলকাতার রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না। এতদিন সকাল আটটা থেকে শহরে এই নিয়ম চালু ছিল।

    শুক্রবার সকালেই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় খুদে পড়ুয়ার

    শুক্রবারে সকালেই পথদুর্ঘটনায় বেহালা চৌরাস্তায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় সাত বছরের শিশু সৌরনীল সরকারের। বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের এই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সমগ্র বেহালা। পুলিশের (Kolkata Police) গাড়ি জ্বলে ওঠে জনরোষে। একাধিক সরকারি বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়। সকালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ কর্তারা।  কলকাতার রাস্তায় সকাল আটটা পর্যন্ত ট্রাক লরি চলাচলে কোনও রকমের নিষেধাজ্ঞা ছিল না এতদিন পর্যন্ত। কিন্তু শহরের বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হল, কারণ কলকাতার একাধিক স্কুলের ক্লাস শুরু হয় সকাল সাড়ে সাতটা কিংবা আটটা থেকে। এই সময়ে ট্রাক ও লরি চলাচল করলে স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি সোমবার রাতেই লালবাজারে তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  

    অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী যানের ক্ষেত্রে লাগু হবে না নির্দেশিকা

    তবে পণ্যবাহী ভারী ও মাঝারি যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (ওষুধ, দুধ, সবজি ইত্যাদি) এবং পচনশীল পদার্থের যাতায়াতকারী যানবাহনগুলি রাত দশটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে বলেই জানা গিয়েছে। এবং পুরো শহর জুড়ে এই নিয়ম চালু হলেও বন্দর এলাকায় এই নতুন নির্দেশ কার্যকর হবে না বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে (Kolkata Police)। কারণ বেশিরভাগ কলকারখানা রয়েছে কলকাতা বন্দর এলাকায়। এবং সেখানে অনেক ক্ষেত্রে মাল খালি করতে হয় ট্রাক ও লরিগুলিকে। পাশাপাশি বন্দর এলাকাতে সেভাবে বিদ্যালয়ও নেই।

    শিশুমৃত্যুর পরেই সক্রিয় প্রশাসন

    শুক্রবার শিশুমৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তাই রবিবার ছুটির দিনেও বেহালা চৌরাস্তায় কড়া পুলিশি প্রহরা (Kolkata Police) দেখা গিয়েছে। এবং রাস্তাতেও সেদিন ব্যারিকেড বসানো হয়। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে শহরের সমস্ত স্কুলের বাইরে থাকতে হবে ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসি পদমর্যাদার একজন পুলিশকর্তাকে (Kolkata Police)। স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ভিড় সামলানোর দায়িত্ব থাকবে পুলিশের উপর। লালবাজারের আরও নির্দেশ, কোনও পথ দুর্ঘটনা ঘটলে সবার আগে দেহ সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে প্রতিটি থানায় উপস্থিত থাকতেই হবে ওসিদের এবং বিশেষ করে রাতে যেন ২৫ শতাংশ বাহিনী হাজির থাকে থানায়।  আইনশৃঙ্খলার কোথাও অবনতি ঘটলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মহিলা পুলিশও (Kolkata Police) মোতায়েন করতে হবে সঙ্গে সঙ্গে। এই সমস্ত বাহিনীর উপর নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share